জেলে নিখোঁজ
চাঁদপুরে ফেরির ধাক্কায় নৌকাডুবি, জেলে নিখোঁজ
চাঁদপুর সদরের হরিণাঘাট এলাকায় চাঁদপুর-শরীয়তপুর ফেরি রুটের মেঘনা নদীতে ফেরির ধাক্কায় একটি মাছ ধরার নৌকা ডুবে গেছে। এ ঘটনায় এক জেলে নিখোঁজ হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) ভোরে এই দুর্ঘটনা ঘটে। ঘন কুয়াশার কারণে দুর্ঘটনাটি হয়েছে।
নিখোঁজ জেলে ছনু গাজী (৬০) সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামের বাসিন্দা।
চাঁদপুর অঞ্চলের নৌপুলিশের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান ইউএনবি কে জানান, মঙ্গলবার ভোরে ফেরি গোলাম মাওলার ধাক্কায় একটি মাছ ধরার নৌকা ডুবে যায়। এসময় নদীতে ঘন কুয়াশা ছিল। ওই নৌকায় থাকা সাত জেলের মধ্যে ছয়জন সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও একজন নিখোঁজ হন। তার সন্ধানে যৌথ অভিযানে নেমেছে নৌপুলিশ, কোস্ট গার্ড ও ফায়ার সার্ভিস। বিকাল পযর্ন্ত নিখোঁজ জেলের সন্ধান মিলেনি।
দুর্ঘটনার শিকার অন্যতম জেলে ইব্রাহিম গাজী জানান, দূর থেকে তারা টর্চের আলো জ্বালিয়ে সংকেত দেয়ার পরও ফেরিটি তাদের নৌকার ওপর উঠে গেছে। এতে নৌকায় থাকা সাত জেলেই নদীতে পড়ে গিয়েছিলেন। তবে সাঁতরে তিনিসহ ছয়জন তীরে উঠতে পারলেও বিকাল পর্যন্ত খোঁজ মেলেনি ছনু গাজীর। তাকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। এ ছয়জন জেলে কম-বেশি আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে নৌকাডুবি: নিখোঁজের ৫ দিন পর নারীর লাশ উদ্ধার
নড়াইলের নবগঙ্গায় নৌকাডুবিতে নিখোঁজ আরও ১ জনের লাশ উদ্ধার
বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবি: ৩৪ জেলে নিখোঁজ
পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে অন্তত ১৬০ জেলেসহ ১১টি মাছধরার ট্রলারডুবির ঘটনায় এখনও ৩৪ জন জেলে নিখোঁজ রয়েছে বলে জানা গেছে। শুক্রবার দুপুর থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত বঙ্গোপসাগরের বিভিন্ন পয়েন্টে এই ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটে।
নিখোঁজ জেলেদের মধ্যে দুজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন-এফবি রফিক মিঝি ট্রলার মালিক রফিক মিঝি (৬০) এবং মোহাম্মদ (৩) ট্রলারের জেলে বাবুল (৩৫)।
ডুবে যাওয়া ট্রলারগুলো মধ্যে এমবি মা-মনি (৩), এফবি সাইফুল, এফবি আল মামুন, এফবি কুলসুম, এফবি রফিক মিঝি, এফবি নুরবানু ও এফবি মায়ের দোয়া রয়েছে। এছাড়া নামবিহীন ভোলার চরফ্যাশনের একটি, গলাচিপার পানপট্রির একটি, কলাপাড়ার লালুয়ার একটি ও বরগুনার নাপিতা এলাকার একটি রয়েছে।
আলীপুর-কুয়াকাটা মৎস্য আড়ৎ মালিক সমিতির সভাপতি আনসার উদ্দিন মোল্লা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগর উত্তাল: নিরাপদ আশ্রয়ে ফিরছেন জেলেরা
মহিপুর আড়তদার মালিক সমিতির সভাপতি রাজু আহমেদ রাজা জানান, নিখোঁজ জেলেদের বাড়ি ভোলার চরফ্যাশন ও আলীপুর মৎস্য বন্দর এলাকায়।
উদ্ধার হওয়া জেলেরা জানান, সাগরের অস্বাভাবিক ঢেউ এবং ঝড়ের কবলে পরে তাদের ট্রলারগুলো ডুবে যায়। এসময় পাশে থাকা অন্য ট্রলারের মাধ্যমে অন্তত ১২৬ জেলে উদ্ধার হলেও ৩৪ জেলে নিখোঁজ হয়। এর মধ্যে নিখোঁজ ১৪ জেলে এফবি কুলসুম ট্রলারে ছিল। আর ১৮ জেলে এফবি মায়ের দোয়া ট্রলারের এবং এফবি রফিক মিঝি ট্রলার ও মোহাম্মদ (৩) ট্রলারের একজন করে রয়েছে।
উদ্ধারকৃত জেলেরা কুয়াকাটা ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাপাতাল ও মহিপুর উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র সহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবি: ১১ জেলে নিখোঁজ, উদ্ধার ৮
নিজামপুর কোস্টগার্ডের কন্টিজেন্ট কমান্ডার সেলিম মন্ডল জানান, সাগরে বেশ কয়েকটি ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে। আমাদের টহল টিম সাগরে রয়েছে এবং উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে।
এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে বলে তিনি জানান।