সিরিয়া
সিরিয়ায় অতর্কিত হামলায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ১৪ কর্মকর্তা নিহত, আহত ১০
সিরিয়ায় অতর্কিত হামলায় দেশটির বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ১৪ কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছেন আরও ১০ জন।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় তারতুস প্রদেশে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন দেশটির অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ আবদুল রহমান।
স্থানীয় আল-ওয়াতান সংবাদপত্রের বরাত দিয়ে মন্ত্রী হামলাকারীদের সাবেক আসাদ সরকারের 'অংশ' বলে বর্ণনা করেছেন।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নিহত কর্মকর্তারা নিরাপত্তা ও বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষায় দায়িত্ব পালন করছিলেন। এর বেশি কিছু জানানো হয়নি।
চলতি মাসের শুরুতে সিরিয়ায় বাশার আল আসাদ সরকারের পতনের পর বেশ কয়েকটি আলোচিত ঘটনা দেশটিতে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে।
আরও পড়ুন: সিরিয়ার দামেস্ক ও আলেপ্পোর বিমানবন্দরে ইসরায়েলের বিমান হামলা
বুধবার, আলেপ্পোতে আলাউয়ি উপাসকদের দ্বারা সম্মানিত একটি মাজারে কথিত হামলার একটি ভিডিও প্রচারিত হলে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে এবং জবাবদিহির আহ্বান জানায় বিক্ষোভকারীরা।
বেশ কয়েকটি প্রধানত আলাউয়ি অঞ্চলেও বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। সম্প্রদায়ের সদস্যরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে নতুন কর্তৃপক্ষ তাদের ধর্মীয় প্রতীক রক্ষায় যথেষ্ট কাজ করছে না।
এদিকে, নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জোর দিয়ে বলেছেন যে, এই ধরনের ঘটনাগুলো বিচ্ছিন্ন ছিল এবং সতর্ক করে দিয়েছিল যে, পতিত সরকারের অবশিষ্টাংশগুলো বিভেদ ছড়াতে সাম্প্রদায়িক উপাদানগুলো ব্যবহার করতে পারে।
আরও পড়ুন: সিরিয়ায় এক সপ্তাহে নিহত অন্তত ৩৭০: জাতিসংঘ
৮১ দিন আগে
সিরিয়ার একাধিক স্থানে ইসরায়েলি বিমান হামলা
সিরিয়ার বিভিন্ন এলাকায় বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। বুধবার মধ্যরাতের পর এসব হামলা চালানো হয় বলে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন।
এসময় শিল্প নগরী হাসিয়ায় একটি কারখানা লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। তাৎক্ষণিকভাবে একজন আহত এবং ত্রাণ সামগ্রী ও ত্রাণবোঝাই বেশ কয়েকটি গাড়ি ধ্বংস হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এছাড়াও হামা প্রদেশের মারিন শহরে পৃথক এক হামলায় বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। এ হামলায় তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: লেবাননে গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত ৩৬, আহত ১৫০
এদিকে সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, স্থানীয় সময় রাত ১টার দিকে ইসরায়েল উত্তর লেবাননের দিক থেকে হোমসের গ্রামাঞ্চলের হাসিয়া শিল্পাঞ্চলের একটি গাড়ি মেরামতের কারখানা এবং হামার একটি সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালায়।
দারা শহরেও বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন।
এছাড়াও দামেস্কের নিকটবর্তী আল-কিসওয়াহ এলাকায় ইরানসংশ্লিষ্ট দলগুলোর সঙ্গে সম্পর্কিত একটি স্থাপনায় হামলার খবর দিয়েছে সৌদি আল-হাদাথ টেলিভিশন।
পরপর একাধিক এলাকায় আঘাত হানার এই হামলাগুলো এই সংঘাতে আরও এক দফা উত্তেজনা বাড়িয়ে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ বৈরুতে ইসরায়েলের ব্যাপক বিমান হামলা
১৫৮ দিন আগে
সিরিয়ায় ট্রাক বোমা হামলায় নিহত ১০, আহত ১৩
সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত শহর আজাজে একটি ট্রাক বোমা বিস্ফোরণে ১০ জন নিহত ও ১৩ জন আহত হয়েছে।
বুধবার ব্রিটেনভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে অন্তত চারজন তুরস্ক সমর্থিত 'সিরিয়ান ন্যাশনাল আর্মি'র সদস্য।
এদিকে অন্যান্য প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিস্ফোরণের পর কুর্দি নেতৃত্বাধীন সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস (এসডিএফ) বিস্ফোরণস্থলে শেল নিক্ষেপ করেছে। সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে এসডিএফ ও তুর্কি সমর্থিত বিদ্রোহীরা দীর্ঘদিন ধরে একে অপরের বিরুদ্ধে লড়ে যাচ্ছে।
এখন পর্যন্ত কেউ এ হামলার দায় স্বীকার করেনি।
সিরিয়ার আলেপ্পো প্রদেশে অবস্থিত আজাজ শহরটি সিরীয় সরকারবিরোধী বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
২২১ দিন আগে
সিরিয়ার আলেপ্পোতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত ৪২
সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় শহর আলেপ্পোতে শুক্রবার ইসরায়েলের বিমান হামলায় ‘বেশ কয়েকজন’ হতাহত হয়েছে বলে জানিয়েছে সিরিয়ার সেনাবাহিনী।
বিরোধীপক্ষের যুদ্ধ পর্যবেক্ষণ সংস্থা জানিয়েছে, এসব হামলায় ৪২ জন নিহত হয়েছে, যাদের অধিকাংশই সিরীয় সেনা।
আরও পড়ুন: ব্রাজিলের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৩
ব্রিটেনভিত্তিক পর্যবেক্ষক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, আলেপ্পোর দক্ষিণাঞ্চলীয় উপশহর জিবরিনে লেবাননের জঙ্গি গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর ক্ষেপণাস্ত্র ডিপোতে ইসরায়েলি বিমান হামলা চালানো হয়েছে।
অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস আরও জানিয়েছে, ৩৬ জন সিরীয় সেনা এবং ৬ হিজবুল্লাহ যোদ্ধা নিহত ও কয়েক ডজন লোক আহত হয়েছে। এটিকে কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক হামলা বলে অভিহিত করা হয়েছে।
এই হামলার বিষয়ে ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের তাৎক্ষণিক কোনো বিবৃতি পাওয়া যায়নি।
উত্তরাঞ্চলীয় প্রতিবেশী দেশটিতে ইরানি অনুপ্রবেশ বন্ধ করার অঙ্গীকার করেছে ইসরায়েল। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সিরিয়ার সরকার নিয়ন্ত্রিত এলাকায় শত শত হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। কিন্তু খুব কমই হামলার কথাই স্বীকার করেছে।
বৃহস্পতিবার রাজধানী দামেস্কের কাছে বিমান হামলার কথা জানিয়েছে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম। এতে বলা হয়, দুই বেসামরিক লোক আহত হয়েছে।
সিরিয়ায় সরকারি বাহিনীর পাশাপাশি লড়াইয়ে যোগ দেওয়ার পর থেকে হিজবুল্লাহর সশস্ত্র উপস্থিতি রয়েছে।
সিরিয়ার বৃহত্তম শহর ও একসময়ের বাণিজ্যিক কেন্দ্র আলেপ্পোতে অতীতেও এ ধরনের হামলা করা হয়েছিল। যার ফলে এর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বন্ধ হয়ে যায়। তবে শুক্রবারের হামলায় বিমানবন্দরে কোনো প্রভাব পড়েনি।
গাজায় যুদ্ধ এবং লেবানন-ইসরায়েল সীমান্তে হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলি বাহিনীর মধ্যে চলমান সংঘর্ষের প্রেক্ষাপটে গত পাঁচ মাস ধরে এই হামলা বেড়েছে।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে বাস খাদে পড়ে নিহত ৪৫, বেঁচে গেল ৮ বছরের শিশু
হাসপাতাল পরিদর্শন করে 'অকল্পনীয়' পরিস্থিতির বর্ণনা দিয়েছে ত্রাণ সংস্থাগুলো
৩৫৩ দিন আগে
সিরিয়া-অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের হামলা, গাজায় পৌঁছেছে ত্রাণের দ্বিতীয় বহর
ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের জন্য নির্ধারিত দ্বিতীয় ত্রাণবাহী ট্রাকের বহর রবিবার গাজায় পৌঁছেছে। অন্যদিকে সিরিয়া ও অধিকৃত পশ্চিম তীরের লক্ষ্যবস্তুতে হামলা বাড়িয়েছে ইসরায়েল। লেবাননের হিজবুল্লাহ সশস্ত্র গোষ্ঠীকে সতর্ক করে দিয়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন বলেছেন, যদি তারা নিজেদের যুদ্ধ শুরু করে, তাহলে ‘আমরা তাকে এমন এক বাহিনী দিয়ে পঙ্গু করে দেব, যা তারা কখনো কল্পনাও করতে পারে না।’
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি সম্প্রদায়ের ওপর হামাসের ভয়াবহ আক্রমণের পর কয়েক দিন ধরেই গাজায় স্থল আক্রমণ শুরু করার দ্বারপ্রান্তে রয়েছে ইসরায়েল। গাজা সীমান্তে ট্যাঙ্ক ও সৈন্য মোতায়েন করা হয়েছে, কমান্ড অতিক্রম করার অপেক্ষায়।
ইসরায়েলের সামরিক মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, যুদ্ধের পরবর্তী পর্যায়ে সৈন্যদের ঝুঁকি কমাতে গাজার লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা বাড়িয়েছে ইসরায়েল।
ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানগুলো গাজা, সিরিয়ার দুটি বিমানবন্দর এবং অধিকৃত পশ্চিম তীরের একটি মসজিদে হামলা চালানোর পর যুদ্ধের আশঙ্কা বেড়ে যায়।
যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েল হিজবুল্লাহর সশস্ত্র যোদ্ধাদের সঙ্গে গুলি বিনিময় করেছে এবং পশ্চিম তীরে উত্তেজনা বাড়ছে। ইসরায়েলি বাহিনী শরণার্থী শিবিরে সশস্ত্র যোদ্ধাদের সঙ্গে লড়াই করেছে এবং সম্প্রতি দুটি বিমান হামলা চালিয়েছে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু উত্তর ইসরায়েলের সৈন্যদের উদ্দেশে বলেছেন, হিজবুল্লাহ যদি যুদ্ধ শুরু করে, ‘তাহলে তারা জীবনের একটি ভুল করবে। আমরা এটিকে এমন একটি শক্তি দিয়ে পঙ্গু করে দেব যা তারা কল্পনাও করতে পারে না, এবং লেবানন রাষ্ট্রের পরিণতি হবে বিধ্বস্ত।’
আরও পড়ুন: ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধে মার্কিনিরা হামলার শিকার হলে জবাব দিতে প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র: ব্লিঙ্কেন-অস্টিনের হুঁশিয়ারি
অন্যদিকে হামাস জানিয়েছে, তারা গাজার দক্ষিণাঞ্চলে খান ইউনিসের কাছে ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে লড়াই করেছে এবং একটি ট্যাংক ও দুটি বুলডোজার ধ্বংস করেছে।
গত রবিবার রাতে হাগারি ঘোষণা করেন, ৭ অক্টোবরের হামলায় অপহৃত ২০০ জনেরও বেশি জিম্মিকে উদ্ধারের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে গাজার অভ্যন্তরে একটি ট্যাংক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে এক সৈন্য নিহত ও আরও তিনজন আহত হয়েছেন।
দুই সপ্তাহ আগে ইসরায়েল সম্পূর্ণ অবরোধ আরোপ করার পর শনিবার ২০টি ত্রাণবাহী ট্রাক প্রাথমিক চিকিৎসা চালান নিয়ে গাজায় প্রবেশ করেছে।
রবিবার রাতে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধে তারা গাজায় দ্বিতীয় দফায় সহায়তার অনুমতি দিয়েছে।
ফিলিস্তিনের বেসামরিক বিষয়ক দায়িত্বপ্রাপ্ত ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা সংস্থা সিওজিএটি জানিয়েছে, এই সহায়তার মধ্যে পানি, খাদ্য ও চিকিৎসা সরঞ্জামাদি রয়েছে এবং গাজায় আনার আগে ইসরায়েল সবকিছু পরিদর্শন করেছে।
ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থা ১৪টি ট্রাক আসার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
তবে, ইসরায়েল গাজায় কোনো ধরনের জ্বালানি প্রবেশ করতে দেয়নি।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলি হামলায় ফিলিস্তিনিদের মৃত্যুতে সংসদে শোকপ্রস্তাব গৃহীত
৫১১ দিন আগে
সিরিয়ার আলেপ্পো বিমানবন্দরে ফের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল
সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশ আলেপ্পোর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর শনিবার (১৪ অক্টোবর) রাতে ফের ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় আঘাত হেনেছে। যার ফলে সম্প্রতি মেরামত করা রানওয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় টিভি সানা এ তথ্য জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাজধানী দামেস্ক ও আলেপ্পোর বিমানবন্দরে ইসরায়েলি হামলার তিন দিনের মধ্যে আলেপ্পো বিমানবন্দরে এটি দ্বিতীয় আঘাত।
সিরিয়ার সিভিল এভিয়েশনের প্রধান বাসেম মনসুরের মতে, হামলার কারণে সাময়িকভাবে বিমানবন্দরের কার্যক্রম বন্ধ গয়ে গেছে। কারণ এতে আবার রানওয়ের ক্ষতি হয়েছে।
আগের হামলার ক্ষতি মেরামত করার পর শনিবার থেকে বিমানবন্দরটি পুনরায় পরিষেবা শুরু করেছিল।
ইসরায়েল ও হামাস মারাত্মক সংঘাতে লিপ্ত হওয়ায় এই অঞ্চলে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে বারবার হামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজায় ‘আকাশ, সমুদ্র ও স্থল’ হামলার প্রস্তুতি চলছে: ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী
ইসরায়েল সফরে সাহায্য বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর
গাজার বাসিন্দাদের স্থানান্তর অত্যন্ত বিপজ্জনক: জাতিসংঘ মহাসচিব
৫১৯ দিন আগে
সিরিয়ার বিমানবন্দরে ইসরায়েলি হামলা ‘অত্যন্ত উদ্বেগজনক’: জাতিসংঘের মুখপাত্র
ইসরায়েলি হামলায় সিরিয়ার দুটি বিমানবন্দরকে বিকল করে দিয়েছে। ইসরায়েলের এ ধরনের হামলাকে অত্যন্ত উদ্বেগজনক বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের একজন মুখপাত্র।
বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) গুতেরেসের মুখপাত্র স্টেফান ডুজারিক বলেছেন, আলেপ্পো ও দামেস্ক বিমানবন্দরে ইসরায়েলি হামলা অত্যন্ত উদ্বেগজনক।
বিশেষ করে ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধির জন্য জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সতর্কতা ও উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন তিনি।
মুখপাত্র বলেছেন, গুতেরেস সিরিয়ায় সমস্ত সহিংসতার তীব্র নিন্দা করেছেন এবং আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের অধীনে বেসামরিক নাগরিক এবং বেসামরিক অবকাঠামোকে অবশ্যই সুরক্ষা দিতে হবে। তা স্মরণ করে সব পক্ষকে আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে তাদের বাধ্যবাধকতাকে সম্মান করার আহ্বান জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: গাজার উত্তরাঞ্চলের ১ মিলিয়ন মানুষকে সরে যাওয়ার নির্দেশ ইসরায়েলের
তিনি প্রাত্যাহিক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমরা এমন একটি সময়ে আছি যেখানে এই উত্তেজনাগুলো আরও বেড়েছে। সেখানে একটা ভুল পদক্ষেপও এরই মধ্যে অস্থিতিশীল হওয়া অঞ্চলকে ব্যাপক সহিংসতার দিকে নিয়ে যেতে পারে।’
তিনি বলেন, যে দুটি বিমানবন্দর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেগুলোতে জাতিসংঘের মানবিক বিমান পরিষেবা সাময়িক স্থগিত থাকবে।
সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ফলে দামেস্ক ও আলেপ্পোর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলোর পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ লেবাননের গ্রামগুলোর উদ্দেশে ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে ইসরায়েল
ইসরায়েলি বিমান হামলায় ১৩ জিম্মি নিহত: আল-কাসাম ব্রিগেড
৫২১ দিন আগে
সিরিয়ায় সামরিক বাহিনীর অনুষ্ঠানে ড্রোন হামলায় নিহত ৮০, আহত ২৪০
সিরিয়ার হোমস শহরে বৃহস্পতিবার সামরিক গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠানে ড্রোন হামলায় ৮০ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ২৪০ জন।
শুক্রবার (৬ অক্টোবর) দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী হাসান আল-গাবাস বলেছেন, এক দশকেরও বেশি সময় ধরে চলা গৃহযুদ্ধে সেনাবাহিনীর ওপর সাম্প্রতিকতম সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলা এটি।
তিনি বলেন, এই হামলায় ছয় শিশুসহ বেসামরিক নাগরিক ও সামরিক কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। আহতদের অনেকের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এর আগে সিরিয়ার সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে কোনো নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর নাম উল্লেখ না করে জানায়, তরুণ কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে ড্রোন হামলা চালানো হয়।
আরও পড়ুন: সিরিয়ায় আইএসের হামলায় নিহত বেড়ে ৫৩
সামরিক বাহিনীর উপর এই হামলার জন্য 'পরিচিত আন্তর্জাতিক বাহিনী সমর্থিত' বিদ্রোহীদের অভিযুক্ত করে এতে আরও বলা হয়, 'তারা যেখানেই থাকুক না কেন, এই সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোকে চিহ্নিত করে সমুচিত জবাব দেওয়া হবে।’
সিরিয়ার ১৩ বছর ধরে চলা সংঘাতের মধ্যে এই হামলার জন্য তাৎক্ষণিকভাবে দায় স্বীকার করেনি কোনো গোষ্ঠী।
জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বলেছেন, হোমসে ড্রোন হামলা এবং সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে পাল্টা গোলাবর্ষণের খবরে 'গভীর উদ্বেগ' প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। একই সঙ্গে দেশটিতে সব ধরনের সহিংসতার নিন্দা জানিয়ে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
দেশটির সামরিক বাহিনী হতাহতের কোনো সংখ্যা প্রকাশ না করলেও সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানিয়েছে, সরকার শুক্রবার থেকে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে।
এর আগে ব্রিটেনভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস এবং সরকারপন্থী শাম এফএম রেডিও এই হামলার খবর প্রচার করেছে।
২০১১ সালের মার্চ মাসে প্রেসিডেন্ট বাশার আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের মধ্য দিয়ে সিরিয়ার সংকট শুরু হয়। কিন্তু বিক্ষোভকারীদের ওপর সরকারের নৃশংস দমনপীড়নের পর তা দ্রুত গৃহযুদ্ধে রূপ নেয়।
২০১৫ সালে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে আসাদ সরকার সফলতা পেতে থাকে। এসময় সিরিয়াকে গুরুত্বপূর্ণ সামরিক সহায়তা প্রদান করে সমর্থন দিতে থাকে রাশিয়ার পাশাপাশি ইরান ও লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহ।
এখন পর্যন্ত এই যুদ্ধে পাঁচ লাখ মানুষ নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে লাখ লাখ মানুষ এবং দেশের অনেক অংশ ধ্বংস হয়ে গেছে। সিরিয়ায় চলমান যুদ্ধের ফলে ২ কোটি ৩০ লাখ জনসংখ্যার অর্ধেক বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এর মধ্যে ৫০ লাখেরও বেশি সিরিয়ার বাইরে শরণার্থী হিসেবে রয়েছে।
যদিও বেশিরভাগ আরব সরকার দামেস্ক সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক পুনস্থাপন করেছে,কিন্তু সিরিয়া এখনও বিভক্ত রয়েছে। হায়াত তাহরির আল-শাম গ্রুপের আল-কায়েদা-সম্পর্কিত জঙ্গি এবং তুর্কি সমর্থিত সুন্নি বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে উত্তর-পশ্চিম একটি অঞ্চল রয়েছে। আর মার্কিন সমর্থিত কুর্দি নেতৃত্বাধীন সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চল।
হোমস শহরটি সরকার নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলের কেন্দ্রে অবস্থিত,যেখানে সরকার ও বিদ্রোহী বাহিনী নিয়মিত সরাসরি সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
আরও পড়ুন: সিরিয়ায় আইএসের ল্যান্ড মাইন বিস্ফোরণে ৬ বেসামরিক নাগরিক নিহত
ড্রোন হামলার পর সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় ইদলিব প্রদেশের বিভিন্ন গ্রামে গোলাবর্ষণ করে সিরিয়ার সরকারি বাহিনী। সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের সিভিল ডিফেন্স অর্গানাইজেশন হোয়াইট হেলমেটস জানিয়েছে, ইদলিব শহরের পূর্বে আল-নায়রাব ও সারমিন শহরে অন্তত ১০ জন বেসামরিক নাগরিক আহত হয়েছে। সরকারি বাহিনী তাদের অনিয়ন্ত্রিত ওই অঞ্চলের অন্যান্য এলাকাতেও গোলাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছে।
হোয়াইট হেলমেটস জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার হোমসের ওপর ড্রোন হামলার আগে সিরিয়ার সেনাবাহিনী ওই অঞ্চলের আরেকটি গ্রামে গোলাবর্ষণ করে। এতে অন্তত পাঁচজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়। পশ্চিম আলেপ্পো প্রদেশের কাফর নুরান গ্রামের উপকণ্ঠে একটি পারিবারিক বাড়িতে গুলি চালিয়েছে সরকারি বাহিনী।
অবজারভেটরি জানিয়েছে, ওই হামলায় এক নারী ও তার চার সন্তান নিহত হয়েছেন। এতে ওই পরিবারের আরও নয়জন আহত হয়েছেন।
উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ায় বসবাসরত প্রায় ৪১ লাখ মানুষের বেশিরভাগই দারিদ্র্যপীড়িত। তারা বেঁচে থাকার জন্য মানবিক সহায়তার উপর নির্ভর করে। তাদের অনেকেই সিরীয়, যারা যুদ্ধের কারণে দেশের অন্যান্য অংশ থেকে অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলের স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার হাসাকেহ ও কামিশলি প্রদেশে তুর্কি ড্রোন হামলায় তেল উৎপাদন কেন্দ্র, বৈদ্যুতিক সাবস্টেশন ও একটি বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্থানীয় কুর্দি কর্তৃপক্ষের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তাদের নিরাপত্তা বাহিনীর ছয় সদস্য ও পাঁচ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।
এদিকে তিন মার্কিন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এপিকে জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের একটি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান বৃহস্পতিবার তুরস্কের একটি ড্রোনকে গুলি করে ভূপাতিত করেছে। ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গিদের মোকাবিলায় সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ৯০০ সৈন্য রয়েছে।
তুরস্ক তাৎক্ষণিকভাবে এই হামলার বিষয়ে কোনো মন্তব্য না করলেও আঙ্কারা বলেছে, সিরিয়ার প্রধান কুর্দি মিলিশিয়া তুরস্কের নিষিদ্ধ কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির সঙ্গে জোটবদ্ধ, যারা ১৯৮৪ সাল থেকে তুরস্কের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের নেতৃত্ব দিচ্ছে এবং কয়েক হাজার মানুষকে হত্যা করেছে। আঙ্কারা পিকেকেকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে ঘোষণা করেছে।
সিরিয়ায় জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত সিরিয়ার কুর্দি বাহিনীর প্রধান মিত্র হলো যুক্তরাষ্ট্র। ২০১৯ সালের মার্চ মাসে সিরিয়ায় জঙ্গি গোষ্ঠীটিকে পরাজিত করেছিল তারা।
আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীর কমান্ডার সিরিয়ায় নিহত
৫২৮ দিন আগে
সিরিয়ায় আইএসের ল্যান্ড মাইন বিস্ফোরণে ৬ বেসামরিক নাগরিক নিহত
সিরিয়ায় একটি মারাত্মক স্থল মাইন বিস্ফোরণে রবিবার অন্তত ছয়জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম।
বার্তা সংস্থা সানা বলেছে যে বিস্ফোরণটি বেসামরিক লোকদের আঘাত করেছে, যারা গ্রামাঞ্চলে ট্রাফল খুঁজতে যাচ্ছিল এবং দক্ষিণ দেইর ইজ-জোর প্রদেশে ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠীর পুতে রাখা একটি স্থল মাইনকে এই ঘটনার জন্য দায়ী করেছে। এলাকাটি জঙ্গিদের সাবেক ঘাঁটি।
একদিন আগে সানা জানিয়েছে যে ছয়জন লোক - যারা ট্রাফলের সন্ধানে যাচ্ছিল - হোমসের পূর্বাঞ্চলীয় গ্রামাঞ্চলের মরুভূমিতে আইএসের রেখে যাওয়া একটি ট্যাঙ্ক বিধ্বংসী মাইন বিস্ফোরণে তারা নিহত হয়েছে।
ব্রিটেন-ভিত্তিক যুদ্ধ পর্যবেক্ষক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস রবিবার নিহতের সংখ্যা ৯ জন বলে উল্লেখ করেছে। সংস্থাটি বলেছে যে এই ঘটনাটি ৩০ শিশু সহ যুদ্ধ থেকে অবশিষ্ট মাইন এবং অন্যান্য বিস্ফোরক বস্তুর বিস্ফোরণের ফলে এ বছর নিহত বেসামরিক লোকের সংখ্যা ১৩৯ -এ দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীর কমান্ডার সিরিয়ায় নিহত
ট্রাফলগুলো একটি মৌসুমী খাবার যা উচ্চ মূল্যে বিক্রি করা যেতে পারে। যেহেতু ট্রাফল শিকারীরা প্রত্যন্ত অঞ্চলে বড় দলে কাজ করে, তাই আইএস জঙ্গিরা বারবার তাদের ওপর হামলা করেছে। মরুভূমি থেকে তাদের অপহরণ করতে, কাউকে হত্যা করতে এবং অর্থের জন্য অন্যদের মুক্তিপণ দেওয়ার জন্য তাদের শিকার করেছে।
ফেব্রুয়ারিতে, আইএস স্লিপার সেলগুলো কেন্দ্রীয় শহর সুখনার কাছে ট্রাফল সংগ্রহকারী কর্মীদের আক্রমণ করে, এতে কমপক্ষে ৫৩ জন নিহত হয়, যাদের বেশিরভাগই শ্রমিক এবং কিছু সিরিয়ার সরকারি নিরাপত্তা বাহিনীও ছিল।
আরও পড়ুন: সিরিয়ায় আইএসের হামলায় নিহত বেড়ে ৫৩
৭০৭ দিন আগে
ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীর কমান্ডার সিরিয়ায় নিহত
ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী ইসলামিক জিহাদের একজন কমান্ডার সিরিয়ায় নিহত হয়েছেন। বলা হচ্ছে ইসরায়েলি গুপ্তঘাতরা হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়েছে।
ইসলামিক জিহাদ গোষ্ঠীর সামরিক শাখা আল-কুদস ব্রিগেড ইজরায়েলকে উল্লেখ করে এক বিবৃতিতে বলেছে যে ৩১ বছর বয়সী আলী রামজি আল-আসওয়াদ রবিবার সকালে দামেস্কের গ্রামাঞ্চলে "জায়নবাদী শত্রুর কাপুরুষোচিত হত্যাকাণ্ডে বুলেটের আঘাতে নিহত হয়েছেন।’
রবিবারের কথিত হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো বিবৃতি পাওয়া যায়নি।
ইসলামিক জিহাদ এক বিবৃতিতে বলেছে যে আসওয়াদের পরিবার ১৯৪৮ সালে হাইফা শহর থেকে বাস্তুচ্যুত হয়েছিল এবং সিরিয়ার শরণার্থী শিবিরে বসতি স্থাপন করেছিল। যেখানেই তিনি যুবক হিসাবে সংগঠনে যোগ দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: জেরুজালেমের সিনাগগে ফিলিস্তিনি বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত ৭
২০১৯ সালে, ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানগুলো নির্বাসিত জীবনযাপনকারী ইসলামিক জিহাদের নেতৃত্বের সদস্য আকরাম আল-আজুরির বাড়িতে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছিল। আজুরির কোনো ক্ষতি হয়নি, তবে তার ছেলে ওই হামলায় নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
গত মাসে দামেস্কের আবাসিক এলাকায় বিমান হামলায় অন্তত পাঁচজন নিহত হওয়ার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছেন বলে সিরিয়ার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। ইসলামিক জিহাদের একজন কর্মকর্তা একটি বিবৃতিতে ইসরায়েলকে সতর্ক করেছেন যে ‘প্রতিরোধের নেতাদের হত্যার প্রচেষ্টার (অবিলম্বে) দেরি না করে একটি নিষ্পত্তিমূলক জবাব দেয়া হবে।’
ইসরায়েল সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সিরিয়ার সরকার-নিয়ন্ত্রিত অংশের অভ্যন্তরের লক্ষ্যবস্তুতে শত শত হামলা চালিয়েছে। যার মধ্যে দামেস্ক এবং আলেপ্পো বিমানবন্দরেও হামলা চালানো হয়েছে। তবে অভিযানগুলোকে খুব কমই স্বীকার করে বা আলোচনা করে।
আরও পড়ুন: সম্মিলিতভাবে ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়াতে মুসলিম উম্মাহের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
৭২৯ দিন আগে