ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের জন্য নির্ধারিত দ্বিতীয় ত্রাণবাহী ট্রাকের বহর রবিবার গাজায় পৌঁছেছে। অন্যদিকে সিরিয়া ও অধিকৃত পশ্চিম তীরের লক্ষ্যবস্তুতে হামলা বাড়িয়েছে ইসরায়েল। লেবাননের হিজবুল্লাহ সশস্ত্র গোষ্ঠীকে সতর্ক করে দিয়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন বলেছেন, যদি তারা নিজেদের যুদ্ধ শুরু করে, তাহলে ‘আমরা তাকে এমন এক বাহিনী দিয়ে পঙ্গু করে দেব, যা তারা কখনো কল্পনাও করতে পারে না।’
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি সম্প্রদায়ের ওপর হামাসের ভয়াবহ আক্রমণের পর কয়েক দিন ধরেই গাজায় স্থল আক্রমণ শুরু করার দ্বারপ্রান্তে রয়েছে ইসরায়েল। গাজা সীমান্তে ট্যাঙ্ক ও সৈন্য মোতায়েন করা হয়েছে, কমান্ড অতিক্রম করার অপেক্ষায়।
ইসরায়েলের সামরিক মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, যুদ্ধের পরবর্তী পর্যায়ে সৈন্যদের ঝুঁকি কমাতে গাজার লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা বাড়িয়েছে ইসরায়েল।
ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানগুলো গাজা, সিরিয়ার দুটি বিমানবন্দর এবং অধিকৃত পশ্চিম তীরের একটি মসজিদে হামলা চালানোর পর যুদ্ধের আশঙ্কা বেড়ে যায়।
যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েল হিজবুল্লাহর সশস্ত্র যোদ্ধাদের সঙ্গে গুলি বিনিময় করেছে এবং পশ্চিম তীরে উত্তেজনা বাড়ছে। ইসরায়েলি বাহিনী শরণার্থী শিবিরে সশস্ত্র যোদ্ধাদের সঙ্গে লড়াই করেছে এবং সম্প্রতি দুটি বিমান হামলা চালিয়েছে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু উত্তর ইসরায়েলের সৈন্যদের উদ্দেশে বলেছেন, হিজবুল্লাহ যদি যুদ্ধ শুরু করে, ‘তাহলে তারা জীবনের একটি ভুল করবে। আমরা এটিকে এমন একটি শক্তি দিয়ে পঙ্গু করে দেব যা তারা কল্পনাও করতে পারে না, এবং লেবানন রাষ্ট্রের পরিণতি হবে বিধ্বস্ত।’
অন্যদিকে হামাস জানিয়েছে, তারা গাজার দক্ষিণাঞ্চলে খান ইউনিসের কাছে ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে লড়াই করেছে এবং একটি ট্যাংক ও দুটি বুলডোজার ধ্বংস করেছে।
গত রবিবার রাতে হাগারি ঘোষণা করেন, ৭ অক্টোবরের হামলায় অপহৃত ২০০ জনেরও বেশি জিম্মিকে উদ্ধারের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে গাজার অভ্যন্তরে একটি ট্যাংক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে এক সৈন্য নিহত ও আরও তিনজন আহত হয়েছেন।
দুই সপ্তাহ আগে ইসরায়েল সম্পূর্ণ অবরোধ আরোপ করার পর শনিবার ২০টি ত্রাণবাহী ট্রাক প্রাথমিক চিকিৎসা চালান নিয়ে গাজায় প্রবেশ করেছে।
রবিবার রাতে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধে তারা গাজায় দ্বিতীয় দফায় সহায়তার অনুমতি দিয়েছে।
ফিলিস্তিনের বেসামরিক বিষয়ক দায়িত্বপ্রাপ্ত ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা সংস্থা সিওজিএটি জানিয়েছে, এই সহায়তার মধ্যে পানি, খাদ্য ও চিকিৎসা সরঞ্জামাদি রয়েছে এবং গাজায় আনার আগে ইসরায়েল সবকিছু পরিদর্শন করেছে।
ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থা ১৪টি ট্রাক আসার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
তবে, ইসরায়েল গাজায় কোনো ধরনের জ্বালানি প্রবেশ করতে দেয়নি।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলি হামলায় ফিলিস্তিনিদের মৃত্যুতে সংসদে শোকপ্রস্তাব গৃহীত