খাদেম
খালে নেমে নিখোঁজ মাদরাসার খাদেমের লাশ নদী থেকে উদ্ধার
চাঁদপুর মতলবে খালে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হওয়া আনোয়ার হোসেনে নামে এক মাদরাসার খাদেমের লাশ পার্শ্ববর্তী একটি নদী থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় মতলব উত্তর উপজেলার গাজীপুর পাম্প হাউস এলাকার এ ঘটনা ঘটে।
আনোয়ার মতলব দক্ষিণের শামছুল হক মডেল মাদরাসার খাদেম ছিলেন।
আরও পড়ুন: পল্লবীতে ২ সন্তানকে হত্যার পর বাবার আত্মহত্যার চেষ্টা
মতলব দক্ষিণ উপজেলা ফায়ার সার্ভিস বিভাগের স্টেশন প্রধান মো. আসাদুজ্জামান বলেন, আনোয়ার হোসেন মাদরাসার পাশে খালের পানিতে গোসলে নেমে নিখোঁজ হন। একদিন পর শুক্রবার বিকালে স্থানীয় লোকজন ধনাগোদা নদীতে আনোয়ারের লাশ দেখতে পান। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায় তার লাশ উদ্ধার করে। পরে লাশটি থানায় হস্তান্তর করা হয়।
মতলব দক্ষিণের শামছুল হক মডেল মাদরাসার পরিচালক মো. সিফাত উল্লাহ বলেন, তার মাদরাসার কর্মচারী আনোয়ার দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। অসুস্থতার কারণেই এ ঘটনা ঘটতে পারে।
মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) (তদন্ত) প্রদীপ মন্ডল ইউএনবিকে বলেন, এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মুন্সীগঞ্জে চালককে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাই
১ দিন আগে
চৌদ্দগ্রামে খড়ের গাদা থেকে মাজার খাদেমের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার!
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে মাজার খাদেম রেজাউল করিমের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার চিওড়া ইউনিয়নের লতিফ শিকদার গ্রামের পীরবাড়ির গোয়ালঘরের খড়ের গাদা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
বুধবার চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শুভ রঞ্জন চাকমা তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রবিবার (২১ আগস্ট) সকাল ৬টার দিকে মাজারের লাইট বন্ধ করার জন্য ঘর থেকে বের হওয়ার পর থেকে নিখোঁজ হন রেজাউল। এরপর আত্মীয় স্বজনদের বাড়িসহ সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজ করেও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন:বগুড়ায় হত্যা মামলার আসামির গলাকাটা লাশ উদ্ধার
নিখোঁজের দুইদিন পর মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) সন্ধ্যায় পাশের বাড়ির এক মহিলা গোয়ালঘরের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় দুর্গন্ধ পেয়ে রেজাউল করিমের পরিবারের লোকজনকে বিষয়টি জানায়।
পরিবারের সদস্যরা গোয়ালঘরের তালা খুলে খড়ের গাদার নিচে রেজাউল করিমের অর্ধগলিত লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
নিহতের স্ত্রী রাশেদা বেগম বলেন, আমার স্বামী রেজাউল করিম একজন মানসিক রোগী। পারিবারিক যে কোন বিষয় নিয়ে সে সবসময় আমাকে মারধর করতো। তার মৃত্যুর বিষয়ে আমরা কিছুই জানি না।
নিহত রেজাউল করিমের বোন রোকেয়া বেগম বলেন, আমার ভাই অনেক ভালো মানুষ ছিল। তিনি মাজারের খাদেম ছিলেন। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে আমি অপরাধীদের শাস্তি দাবি করছি।
চিওড়া ইউপি চেয়ারম্যান আবু তাহের বলেন, মঙ্গলবার রাতে বিষয়টি শুনেছি। আশা করছি, সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রশাসন রেজাউল করিমের মৃত্যু রহস্য উদঘাটন করবে।
ওসি শুভ রঞ্জন চাকমা বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে জানা যাবে মৃত্যুর কারণ। এছাড়া পুলিশ ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছে।
আরও পড়ুন:সিলেটে তালাবদ্ধ ঘর থেকে প্রবাসীর স্ত্রীর লাশ উদ্ধার, শিশু সন্তান হাসপাতালে
বরিশালে পৃথক স্থান থেকে শিশুসহ ৪ লাশ উদ্ধার
২ বছর আগে