ভূমিকা
দেশে কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি, নতুন আয়ের উৎস তৈরি এবং দক্ষতা বাড়াতে ভূমিকা রাখছে মোবাইল সংযোগ
কর্মক্ষেত্রে উৎপাদনশীলতা বাড়াতে, ডিজিটাল ভবিষ্যতের জন্য দক্ষতা বৃদ্ধি করতে এবং ফ্রিল্যান্স থেকে বাড়তি উপার্জনের জন্য মোবাইল প্রযুক্তির সম্ভাবনাকে কাজে লাগাচ্ছে বাংলাদেশ।
’টেলিনর এশিয়া ডিজিটাল লাইভস ডিকোডেড’ শীর্ষক জরিপে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
এশিয়া জুড়ে ৮ হাজার মানুষ এই সমীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন।
সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ১০ জনের মধ্যে প্রায় ৬ জনই বলছেন, তারা দিনের অর্ধেকেরও বেশি সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন।
একইসঙ্গে ৬২ শতাংশ মানুষ বিশ্বাস করেন, আগামী ১ থেকে ২ বছরের মধ্যে তাদের মোবাইল ফোন ব্যবহারের হার আরও বাড়বে।
আরও পড়ুন: মোবাইল চুরির অপবাদে অটোরিকশাচালককে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ৩
মূলত কর্মক্ষেত্রের প্রয়োজনেই (৭৫ শতাংশ) মোবাইল ফোন ব্যবহারের মাত্রা বাড়ছে। এর পরেই কারণ হিসেবে রয়েছে দৈনন্দিন কেনাকাটা, রিটেইল ও ব্যাংকিংয়ের-এর মত অনলাইন সেবা গ্রহণ (৬৭%)।
সমীক্ষায় আরও উঠে আসে যে ৯৬ শতাংশ মানুষের মতে, মোবাইল ফোন তাদের কর্মক্ষেত্র ও ব্যক্তিগত জীবনের ভারসাম্যকে উন্নত করেছে।
টেলিনর এশিয়ার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং হেড অফ এক্সটার্নাল রিলেশনস মনীষা ডোগরা বলেন, ‘মোবাইল প্রযুক্তি বাংলাদেশের মানুষের ক্ষমতায়নে ভূমিকা রাখছে এবং এই দেশে মোবাইল ফোন যেভাবে মানসম্মত ডিজিটাল জীবনধারার জন্য অপরিহার্য হয়েছে উঠছে তা আমাদের অনুপ্রাণিত করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ডিজিটাল লাইভস ডিকোডেড সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, বাংলাদেশের মানুষ মোবাইল সংযোগের প্রভাব সম্পর্কে যথেষ্ট ইতিবাচক মনোভাব ব্যক্ত করেছেন এবং নতুন সুযোগগুলোকে কাজে লাগাতে মোবাইল ফোন ব্যবহার করছেন। এই ইতিবাচক মানসিকতাকে কাজে লাগিয়ে একটি সমৃদ্ধ ডিজিটাল অর্থনীতি গড়ে তুলতে এবং ব্যক্তি, ব্যবসা ও সমাজের জন্য এআইয়ের মতো নতুন নতুন প্রযুক্তির সম্ভাবনাগুলোকে কাজে লাগাতে আমাদের একসাথে কাজ করতে হবে।’
এই সমীক্ষায় ব্যবসায়িক অগ্রগতি এবং নতুন আয়ের পথ তৈরিতে মোবাইল ফোন এবং মোবাইল প্রযুক্তির প্রভাব স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে।
আশ্চর্যজনকভাবে ৯৩ শতাংশ উত্তরদাতা বলেন, গত পাঁচ বছরে কর্মক্ষেত্রে কর্মক্ষমতা এবং কাজের মান উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত হয়েছে। আর ৮২ শতাংশ মানুষ কর্মক্ষেত্রে উৎপাদনশীলতার ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ইতিবাচক প্রভাবের কথা উল্লেখ করেন।
সমীক্ষায় জানা যায়, বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সার এবং অনলাইন পরামর্শদাতারা সবচেয়ে বেশি উপকৃত হয়েছেন। কারণ প্রতি ১০ জন উত্তরদাতাদের মধ্যে ৬ জনই বলেছেন, তারা অনলাইনে এই ধরনের সেবা প্রদানের জন্য মোবাইল ফোন ব্যবহার করছেন।
সমীক্ষায় আরও প্রকাশ করা হয় যে, বাংলাদেশের ব্যবসাগুলো জেনারেটিভ এআই-এর মতো নতুন ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত।
অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৬৫ শতাংশ মানুষ বলেছেন, তারা যে কোম্পানিতে কাজ করেন সে কোম্পানিগুলো নতুন প্রযুক্তি এবং জেনারেটিভ এআই ব্যবহারকে সমর্থন করেন এবং প্রায় অর্ধেক (৪৭ শতাংশ) বিশ্বাস করেন যে, আগামী ছয় মাসে জেনারেটিভ এআইয়ের ব্যবহার বাড়বে।
উত্তরদাতাদের ৮৬ শতাংশের মতে, মোবাইল প্রযুক্তির ব্যবহার তাদের কর্মজীবন এবং দক্ষতা বিকাশে সহায়ক হয়েছে এবং ৯১ শতাংশ উত্তরদাতা গত ১২ মাসে নতুন দক্ষতা অর্জনের জন্য তাদের মোবাইল ফোন ব্যবহার করেছেন।
ডিজিটাল দক্ষতায় আত্মবিশ্বাসের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এগিয়ে থাকলেও, পুরুষ ও নারী উত্তরদাতাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাসের মাত্রা ভিন্ন।
সাধারণত পুরুষ উত্তরদাতারা তাদের ডিজিটাল দক্ষতার ওপর বেশি আত্মবিশ্বাসী (৭৩ শতাংশ পুরুষ বনাম ৫৮ শতাংশ নারী তাদের ডিজিটাল দক্ষতায় ’খুব আত্মবিশ্বাসী’) এবং ভবিষ্যতের প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে চলার বিষয়ে কম উদ্বিগ্ন (২৮ শতাংশ পুরুষ বনাম ১৫ শতাংশ নারীর কথায় বোঝা যায় যে, তারা এ ব্যাপারে ’ উদ্বিগ্ন নয়’)।
টেলিনর এশিয়ার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘এই ব্যবধান কমিয়ে আনতে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ডিজিটাল দক্ষতা বাড়ানো এবং ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি। ডিজিটাল পণ্য ও সেবা ব্যবহারে সবাই আত্মবিশ্বাসী ও স্বাচ্ছন্দ্যময় হয়ে উঠলে এবং সবাই নিরাপদে ডিজিটাল কনটেন্টের নির্মাতা ও ভোক্তা হয়ে উঠতে পারলেই তা সম্ভব হবে। সকল ব্যক্তি, সম্প্রদায় ও ব্যবসা যেন মোবাইল সংযোগ, উন্নত ডেটা সেবা এবং এআইয়ের মতো উদীয়মান প্রযুক্তির সাথে খাপ খাওয়াতে পারে এজন্য প্রয়োজন সম্মিলিত প্রচেষ্টা।’
আরও পড়ুন: সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরে এক প্রবাসী চুরি করলেন আরেক প্রবাসীর মোবাইল-পাসপোর্ট
চিরকুটে মোবাইল নম্বর দিয়ে ১০টি বৈদ্যুতিক মিটার চুরি
আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান রাষ্ট্রপতির
দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন।
তিনি বলেন, উন্নয়ন, অগ্রগতি ও সুশাসনকে অক্ষুণ্ণ রাখতে আইনের যথাযথ প্রয়োগ জরুরি।
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাষ্ট্রপতি ঢাকার রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে বাংলাদেশ পুলিশের বার্ষিক নৈশভোজে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ জনসাধারণের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে এবং জনগণ ঘরে বসে অনলাইনে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এবং সাধারণ ডায়েরির মতো ডিজিটাল সেবা গ্রহণ করছে।
আগামীতে তথ্য ও প্রযুক্তিগত সেবা সম্প্রসারণে পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের আরও সক্রিয় হওয়ারও নির্দেশ দেন তিনি।
তিনি বলেন, যারা থানায় আসেন তাদের আরও আন্তরিকতা ও সময়ানুবর্তিতার সঙ্গে সেবা দিতে হবে।
আরও পড়ুন: ক্ষমতার অপব্যবহার যেন না হয় তা নিশ্চিত করুন: রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন
রাষ্ট্রপতি বাহিনীকে গণমুখী সেবা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
নৈশভোজের আগে রাষ্ট্রপতি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।
বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতির হাতে একটি স্মারক তুলে দেন।
এর আগে রাষ্ট্রপতি অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে তাকে স্বাগত জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফিজুর রহমান; বার্ষিক নৈশভোজ কমিটির সভাপতি ও অতিরিক্ত ডিআইজি বনজ কুমার এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমান।
রাষ্ট্রপতির সংশ্লিষ্ট সচিবরাও নৈশভোজে যোগ দেন।
আরও পড়ুন: বৈদেশিক বাণিজ্যের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে: রাষ্ট্রপতি
আইপিওর যাচাই-বাছাইয়ে স্টক এক্সচেঞ্জের আরও ভূমিকা থাকা উচিত: এটিএম তারিকুজ্জামান
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. এটিএম তারিকুজ্জামান বলেছেন, আইপিওর যাচাই-বাছাইয়ে স্টক এক্সচেঞ্জের আরও ভূমিকা থাকা উচিত। আগে এক্সচেঞ্জের ভালো ভূমিকা ছিল, এখন অনেকটাই কম।
তিনি বলেন, বর্তমানে আইপিওসহ সব ধরনের পাবলিক অফারের অনুমোদন দেয় বিএসইসি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আলাদা আলাদা আইন রয়েছে। কোথাও স্টক এক্সচেঞ্জ অনুমোদন দেয় আবার কোথাও রেগুলেটর অনুমোদন দেয়। আমাদের দেশে আগে থেকেই রেগুলেটর আইপিও অনুমোদন দিয়ে আসছে।
মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) রাজধানীর পুরানা পল্টনে সিএমজেএফের নিজস্ব কার্যালয়ে ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরাম (সিএমজেএফ) আয়োজিত সিএমজেএফ টক অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।
সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক আবু আলী এটি সঞ্চালনায় এতে স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনের সভাপতি জিয়াউর রহমান।
অনুষ্ঠানে আরেক প্রশ্নের উত্তরে ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ড. এটিএম তারিকুজ্জামান বলেন, পুঁজিবাজারের আস্থার উন্নয়নে ফ্লোর প্রাইস কোনো স্থায়ী কোনো সমাধান নয়।
তিনি বলেন, এটা শেয়ার প্রাইস নির্ধারণে সরাসরি হস্তক্ষেপ। রেগুলেটর বা স্টক এক্সচেঞ্জ প্রাইস ফিক্স করা ঠিক না। এটা বিশ্বের কোথাও নেই। স্টক এক্সচেঞ্জ প্রাইস ডিসকভারের জায়গা।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সাবেক নির্বাহী পরিচালক ড. এটিএম তারিকুজ্জামান চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন।
প্রশ্ন-উত্তর পর্বে পুঁজিবাজারের ম্যানুপুলেশন বন্ধ, ডি-মিউচ্যুয়ালাইজেন, কৌশলগত বিনিয়োগ ও টেকনিক্যাল সহায়তা, ভালো কোম্পানী পুঁজিবাজারে আনা, বিনিয়োগকারীর সুরক্ষা ও তালিকাভুক্ত কোম্পানীতে সুশাসন প্রতিষ্ঠাসহ নানা বিষয় ওঠে আসে।
আরও পড়ুন: জুলাই-সেপ্টেম্বরে ২০৯,৬২৬ মিলিয়ন টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব পেয়েছে বিডা
অনুষ্ঠানে ড. এটিএম তারিকুজ্জামান বলেন, স্টক এক্সচেঞ্জে ব্যবস্থাপনা থেকে মালিকানা পৃথকীকরণে ডি-মিউচ্যুয়ালইজেশন করা হয়। এই আইনে স্বতন্ত্র পরিচালকদের প্রাধ্যান্য দেওয়া হয়েছে। ট্রেকহোল্ডারদের প্রতিনিধিও রয়েছে। তবে কাজ করতে গিয়ে মনে হচ্ছে, কিছু বিষয় পরিবর্তন আনা প্রয়োজন, সেটা নিয়ে রেগুলেটরের সঙ্গে আলোচনা করবো আমরা।
ডি-মিউচ্যুয়ালাইজেশনের পর স্টক এক্সচেঞ্জে বেশ কিছু সুফলও এসেছে। মালিকানা ও ব্যবস্থাপনা আলাদা হয়েছে। সরাসরি কোনো হস্তক্ষেপে নেই। অপারেশনে বোর্ডের কোনো ইনফ্লুয়েশন নেই। তবে আরও কাজ করার সুযোগ রয়েছে।
কৌশলগত বিনিয়োগকারী থেকে কী পেলাম এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, সাংহাই ও শেনজেন স্টক এক্সচেঞ্জের প্রস্তাবে টেকনিক্যাল কিছু প্রস্তাব ছিল। সেই প্রস্তাবের কিছু কাজ ইতোমধ্যে হয়েছে। আরও কিছু বাকি রয়েছে। করোনার কারণে বাস্তবায়নের বিলম্ব হয়েছে। আশা করি, অবশিষ্ট কাজও হবে।
আরও পড়ুন: রপ্তানি বাড়াতে লাল ফিতার দৌরাত্ম্য দূর করতে হবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
বিনিয়োগকারীর সুরক্ষার বিষয়ে তিনি বলেন, বাজারে লাভ-লোকসান থাকবেই। কারো লোকসান হবে না-এমন নিশ্চয়তা দেওয়া সম্ভব নয়। তবে কেউ যাতে প্রতারণার শিকার না হয়, বিনিয়োগকারীর টাকা যাতে কেউ আত্মসাৎ করতে না পারে- সে ব্যাপারে আমরা তৎপর আছি।
পুঁজিবাজারে ম্যানুপুলেশন বন্ধে ডিএসই কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারছে কিনা এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে শেয়ার কারসাজি নিয়ে যেসব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, অনেক তদন্তই ডিএসই করার পর নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে পাঠিয়েছে। কারসাজি নিয়ন্ত্রণের ডিএসইর সার্ভিলেন্স টিম কাজ করছে।
দুর্বল কোম্পানি তালিকাভুক্তি সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নিয়ন্ত্রক সংস্থা নিশ্চয়ই দেখেশুনেই আইপিও অনুমোদন করে। আর বিএসইসি অনুমোদন করলে সেটি তালিকাভুক্ত করা আমাদের দায়িত্ব।
তিনি বলেন, বাজারের উন্নয়নে আইন-কানুনের কিছু পরিবর্তন ও সংশোধন প্রয়োজন। এগুলো আমরা নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে তুলে ধরব। বিএসইসি এই বাজারের উন্নয়নে অনেক ভূমিকা রাখছে। তাই আইনের পরিবর্তন ও সংশোধনের বিষয়ে তারা ইতিবাচক সাড়া দেবেন বলে আশা করছি।
আরও পড়ুন: খোলা বাজারে ১৫ টাকা বেশি দামে ডলার বিক্রি
দেশের অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে সকলকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান মোমেনের
দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে সকলকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
বুধবার(২৭ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কে জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন অব আমেরিকা ইনকর্পোরেটেড আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
মোমেন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত ১৪ বছরে দেশ অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কল্যাণে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে এই অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রাখা আমাদের সকলের দায়িত্ব।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে কোনো টানাপোড়েন নেই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন
তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশ যাতে আর পিছিয়ে না পড়ে সেজন্য দেশের নাগরিক হিসেবে আমাদের সবাইকে দূরদর্শী ভূমিকা পালন করতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, ‘২০৩০ সালের মধ্যে দারিদ্র্যমুক্ত করার লক্ষ্য নিয়ে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। কর্মসংস্থান আমাদের জন্য একটি বড় সমস্যা। প্রতি বছর প্রায় ২০ লাখ মানুষ চাকরির বাজারে প্রবেশ করে। এর মধ্যে আমরা দেশে ১৫ লাখ চাকরি দিতে পারি। বাকি ৫ লাখ বিদেশে কাজ করতে যায়। আমরা দেশে-বিদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’
আরও পড়ুন: মোমেনের সঙ্গে সিটিবিটিও নির্বাহী সচিবের বৈঠক অনুষ্ঠিত
জালালাবাদ এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দের ঐক্য বজায় রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান ড. মোমেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিলেট ও দেশের কল্যাণে যথাসাধ্য অবদান রাখার জন্য তাদের প্রতি আহ্বান জানান। জালালাবাদ এসোসিয়েশন অব আমেরিকা ইনকর্পোরেটেডের নেতৃবৃন্দ, নিউইয়র্কে বসবাসরত বৃহত্তর সিলেটের জনগণ এবং বাংলাদেশি কমিউনিটির সদস্যরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্ক অত্যন্ত মধুর, কিন্তু কিছু গোষ্ঠী তিক্ততা সৃষ্টির চেষ্টা করছে: মোমেন
দেশের অর্থনীতিতে বিরাট ভূমিকা রাখবে পার্বত্য চট্টগ্রাম: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, পাহাড়ে একসময় শুধু জুম চাষ হতো। এখন সমতলের মতো অনেক ফসল চাষ করা যাচ্ছে।
তিনি বলেন, পাহাড়ের বৃহৎ এলাকাজুড়ে কফি, কাজুবাদাম, গোলমরিচ, পেঁপে, আনারস, আম, ড্রাগন, মাল্টাসহ আট থেকে ১০টি অর্থকরী ফসলের চাষ অনেক সম্ভাবনাময়।
বিশেষ করে দেশে ও আন্তর্জাতিক বাজারে কাজুবাদাম ও কফির বিশাল চাহিদা রয়েছে, দামও অনেক বেশি। সেজন্য এসব ফসলের চাষাবাদ ও প্রক্রিয়াজাত বাড়াতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি: পূর্ণ বাস্তবায়ন এখনও ‘অধরা’
বুধবার সকালে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় কাজুবাদাম ও কফি বাগান পরিদর্শন এবং চাষিদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এসব ফসলের চাষ আরও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দিতে পারলে পাহাড়ের অর্থনৈতিক চেহারা পাল্টে যাবে। পার্বত্য চট্টগ্রাম দেশের অর্থনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করবে ও বিশাল ভূমিকা রাখবে। পাহাড়ি এলাকার মানুষের জীবনযাত্রার মানের দর্শনীয় উন্নয়ন হবে। একইসঙ্গে, দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করেও প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা যাবে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, কফি ও কাজুবাদামের আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধি এবং প্রক্রিয়াজাতে সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে। এসব ফসলের চাষ জনপ্রিয় করতে কৃষক ও উদ্যোক্তাদেরকে আমরা বিনামূল্যে উন্নত জাতের চারা, প্রযুক্তি ও পরামর্শসেবা প্রদান করে যাচ্ছি।
এছাড়া এখন পর্যন্ত কফি ও কাজুবাদামের ১২ লাখ চারা বিনামূল্যে কৃষকদেরকে দেওয়া হয়েছে, আর এ বছর আরও ২০ লাখ চারা দেওয়া হবে।
মন্ত্রী বলেন, সারসহ বিভিন্ন কৃষি উপকরণের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহের ফলে দেশে ধানসহ সকল ফসলের উৎপাদন বেড়েছে। এর ফলে বিশ্ব মন্দা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধসহ নানা বৈশ্বিক সংকটের মধ্যেও বর্তমানে দেশে খাদ্যের কোনো রকম সংকট নেই।
আরও পড়ুন: রাশিয়ায় আগামী বছর দেড় থেকে ২ লাখ টন আলু রপ্তানি হবে: কৃষিমন্ত্রী
আগামী বছরগুলোতে দেশে সারের দাম বাড়বে না: কৃষিমন্ত্রী
সৌদি-ইরান চুক্তির পর বিশ্বে বৃহৎ ভূমিকা রাখতে চায় চীন
সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনরায় চালু করার একটি চুক্তিতে বেইজিং ভূমিকা রাখার পর প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং চীনকে বৈশ্বিক বিষয়গুলো পরিচালনায় আরও বড় ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন।
সোমবার শি অনুগতদের নিয়ে সরকার গঠনের পর আইনসভা অধিবেশনে বক্তব্য দেন যাতে অর্থনীতি ও সমাজের উপর তার নিয়ন্ত্রণ শক্ত করেছিল।
চীনের আনুষ্ঠানিক আইনসভার বার্ষিক সভা শেষে এক বক্তব্যে কয়েক দশকের মধ্যে দেশটির সবচেয়ে শক্তিশালী নেতা শি বলেছেন, চীনের উচিত ‘বৈশ্বিক শাসন ব্যবস্থার সংস্কার ও নির্মাণে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করা’ এবং ‘বৈশ্বিক নিরাপত্তা উদ্যোগ’ প্রচার করা উচিত।’
শি বলেছেন, এটি ‘বিশ্ব শান্তি ও উন্নয়নে ইতিবাচক শক্তি যোগ করবে এবং আমাদের দেশের উন্নয়নের জন্য একটি অনুকূল আন্তর্জাতিক পরিবেশ তৈরি করবে।’
শি ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির উচ্চাকাঙ্ক্ষার কোনো বিশদ বিবরণ না দিলেও তার সরকার ২০১২ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে বিদেশে ক্রমবর্ধমান দৃঢ় নীতি অনুসরণ করেছে। এটি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল এবং অন্যান্য সংস্থাগুলোতে পরিবর্তনের জন্য চাপ দিয়েছে। বেইজিং বলছে যে উন্নয়নশীল দেশ তাদের চাহিদা এবং ইচ্ছা প্রতিফলিত করতে ব্যর্থ হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইরান ও সৌদি আরবের সম্পর্ক পুনস্থাপনকে স্বাগত জানায় বাংলাদেশ: মোমেন
বেইজিং বাণিজ্য ও নির্মাণ উদ্যোগকে উন্নীত করার জন্য দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হিসাবে চীনের ক্রমবর্ধমান উচ্চতার ওপর ভিত্তি করে তৈরি করেছে। যা ওয়াশিংটন, টোকিও, মস্কো এবং নয়া দিল্লি তাদের বিস্তৃতিতে এর কৌশলগত প্রভাবকে প্রসারিত করবে বলে উদ্বিগ্ন।
শি’র সরকার ২০২২ সালের শুরুর দিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অস্ট্রেলিয়াকে বিচলিত করেছিল। যখন এটি সলোমন দ্বীপপুঞ্জের সঙ্গে একটি সুরক্ষা চুক্তি সই করেছিল যা দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ দেশটিতে চীনা নৌবাহিনীর জাহাজ এবং নিরাপত্তা বাহিনীকে মোতায়েন করার অনুমতি দেবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী, কিন গ্যাং গত সপ্তাহে ওয়াশিংটনকে সম্ভাব্য ‘সংঘাত ও সংঘর্ষ’ সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়েছিলেন। যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ান, মানবাধিকার, হংকং, নিরাপত্তা এবং প্রযুক্তি নিয়ে দ্বন্দ্বের কারণে উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্কের গতিপথ পরিবর্তন না করে।
শির সোমবারের ভাষণে জাতীয়তাবাদী পদে ভরপুর একটি বক্তব্যে দ্রুত প্রযুক্তি উন্নয়ন এবং আরও আত্মনির্ভরতার আহ্বান জানান। তিনি আটবার ‘জাতীয় পুনরুজ্জীবন’ বা চীনকে অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক নেতা হিসেবে চীনের সঠিক ঐতিহাসিক ভূমিকা পুনরুদ্ধারের কথা উল্লেখ করেছেন।
শুক্রবার, অক্টোবরে ঐতিহ্য ভেঙ্গে এবং শাসক দলের সাধারণ সম্পাদক হিসাবে নিজেকে তৃতীয়-পাঁচ বছরের মেয়াদে পুরস্কৃত করার পরে আজীবন নেতা হওয়ার পথে নিজেকে রেখে দেয়ার পরে আনুষ্ঠানিক চীনা প্রেসিডেন্টের আরেকটি মেয়াদে শির নাম ঘোষণা করা হয়েছিল। ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের অধিবেশন এক দশকের পরিবর্তনে প্রধানমন্ত্রী এবং অন্যান্য সরকারি নেতা হিসাবে তার অনুগতদের নিয়োগকে সমর্থন করে শির আধিপত্যকে শক্তিশালী করেছে। শি সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বিদের দূরে সরিয়ে দিয়েছেন এবং ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিরা তাকে সমর্থন করেছেন।
শি বলেছেন যে ১৯৪৯ সালে ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি ক্ষমতায় আসার আগে, বিদেশি দেশগুলোর নিপীড়নে চীন ‘আধা-ঔপনিবেশিক, আধা-সামন্ততান্ত্রিক দেশে পরিণত হয়েছিল।’
শি বলেছেন, ‘আমরা অবশেষে জাতীয় অপমান মুছে ফেলেছি এবং চীনা জনগণ তাদের নিজেদের ভাগ্যের মালিক।’ ‘চীনা জাতি ঘুড়ে দাঁড়িয়েছে, ধনী হয়েছে এবং শক্তিশালী হয়ে উঠছে।’
শি দেশটিকে ‘জাতীয় পুনঃএকত্রীকরণের’ লক্ষ্য ‘অটলভাবে অর্জন’ করার জন্যও আহ্বান জানিয়েছিন। বেইজিংয়ের দাবির উল্লেখ করে যে গণতান্ত্রিক স্ব-শাসিত দ্বীপ তাইওয়ান, তার ভূখণ্ডের অংশ চীনের সঙ্গে একত্রিত হতে বাধ্য, প্রয়োজনে বল প্রয়োগ করে হলেও।
আরও পড়ুন: সৌদিতে ২০২৪ সাল থেকে ওষুধ উৎপাদন করবে বেক্সিমকো
অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়তে ভূমিকা রাখতে হবে: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়েও দেশে সাম্প্রদায়িক শক্তি ছিলো, এখনও আছে। তাদের প্রতিহত করে অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়তে সকলকে ভূমিকা রাখতে হবে।
শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির প্রাঙ্গণে মহানগর পূজা উদযাপন কমিটি আয়োজিত ' মহানগর পরিবার দিবস ২০২৩' উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: লাইসেন্স ছাড়া ব্যবসা করলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে: খাদ্যমন্ত্রী
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, প্রদানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়তে নিরলস কাজ করছেন। তিনিই পারবেন অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়তে। এছাড়া আমাদের শেকড়ের সন্ধান করতে হবে। সামাজিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে সংস্কৃতির বিকাশ ঘটাতে হবে। সংস্কৃতির বিকাশ ধর্মান্ধতা থেকে মুক্তি দিবে।
তিনি বলেন, পরিবার দিবস সকলকে কাছে আসার সুযোগ করে দিয়েছে। পারস্পরিক বন্ধনকে শক্তিশালী করতে এ ধরনের অনুষ্ঠান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
আরও পড়ুন: রমজানে ১ কোটি পরিবারকে ১০ কেজি করে চাল দেয়ার পরিকল্পনা করছে সরকার: খাদ্যমন্ত্রী
রবীন্দ্রনাথের গল্প ও সুর মানুষকে সঠিক পথ দেখিয়েছে: খাদ্যমন্ত্রী
‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে আমার বাবার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার ৫০তম বার্ষিকীকে সম্মান জানাব’
এডওয়ার্ড এম. কেনেডি জুনিয়র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ৩১ অক্টোবর বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের ৫০ বছর স্মরণে বক্তৃতা রাখবেন।
যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি. হাস ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. আখতারুজ্জামান অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন।
কেনেডি জুনিয়র বলেন, ‘আমি ও আমার পরিবার বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে বাবার অগ্রণী ভূমিকার ৫০তম বার্ষিকীকে সম্মান জানাব।’
প্রয়াত মার্কিন সিনেটর এডওয়ার্ড এম. কেনেডির ছেলে ও প্রয়াত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডির ভাতিজা কেনেডি জুনিয়র এবং তার পরিবার রবিবার (৩০ অক্টোবর) ধানমন্ডিতে বেঙ্গল ফাউন্ডেশনে যাবেন।
কেনেডি জুনিয়রের সঙ্গে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে যারা থাকবেন- ডা. ক্যাথরিন কেনেডি (স্ত্রী), ড. কিলি কেনেডি (মেয়ে), টেডি কেনেডি (ছেলে), গ্রেস কেনেডি অ্যালেন (ভাতিজি) ও ম্যাক্স অ্যালেন (ভাতিজা)।
কেনেডি পরিবার লাইভ শাস্ত্রীয় সঙ্গীত পরিবেশনা, ভ্রমণবিষয়ক গ্রন্থাগার প্রদর্শনী ও বেঙ্গল ফাউন্ডেশন গ্যালারিতে চলমান শিল্প প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ নেবেন।
পাঠকদের উৎসাহিত করতে পরিবারটি আয়োজকের বইয়ের দোকানেও যাবেন।
যোগাযোগ করা হলে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের একজন মুখপাত্র এটিকে ‘ঐতিহাসিক সফর’ হিসেবে অভিহিত করেন।
কেনেডি পরিবার বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তিতে বছরব্যাপী উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ সফরে আসছেন।
তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে দেখা করবেন।
ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব স্টেট স্পিকারস প্রোগ্রামের পৃষ্ঠপোষকতায় কেনেডি জুনিয়র বাংলাদেশের স্বাধীনতার লড়াইয়ের একজন জোর সমর্থক হিসেবে তার বাবার উত্তরাধিকারকে স্মরণ করবেন এবং যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বের প্রতীক হিসেবে তার বাবার লাগানো বটগাছটি পরিদর্শন করবেন।
আরও পড়ুন: জনপ্রশাসনের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে হার্ভার্ড কেনেডি স্কুলের সঙ্গে বাংলাদেশের এমওইউ সই
একজন আইনজীবী ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নাগরিক অধিকারের প্রবক্তা হিসেবে তিনি এডওয়ার্ড এম. কেনেডি সেন্টার ফর পাবলিক সার্ভিস অ্যান্ড দ্য আর্টসে প্রতিবন্ধী অধিকারের ওপর একটি বক্তৃতাও দেবেন।
বাংলাদেশে এক সপ্তাহের সফরে কেনেডি পরিবার বিভিন্ন সাংস্কৃতিক আকর্ষণ পরিদর্শন করবেন এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, ইউএস গভর্নমেন্ট-স্পন্সর এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম অ্যালামনাই ও বাংলাদেশ সরকারের কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করবেন।
১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারিতে সিনেটর টেড কেনেডি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। সেসময় তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন যে যখন কিছু সরকার আপনাদেরকে এখনও চিনতে পারেনি, তবে বিশ্বের মানুষ আপনাদেরকে চিনেছে এবং অত্যাচার ও নিপীড়ন থেকে মুক্তির জন্য আপনারা এখানে যা করেছেন তা বিশ্ববাসী স্বীকার করে। স্বাধীনতায় আমরা ভাই এবং কোনো মানুষ, কোনো নীতি বা কোনো সরকার এই সত্য পরিবর্তন করতে পারে না।’
সিনেটর কেনেডি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে বন্ধুত্ব, স্থিতিস্থাপকতা ও আশার প্রতি জীবন্ত শ্রদ্ধা হিসেবে একটি বটগাছ রোপণ করেছিলেন, যা আজও দাঁড়িয়ে আছে।
সিনেটর টেড কেনেডি ১৯৭২ সালে ঢাকা সফরের সময় বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের সংগ্রাম আমাদের অতীতের সবচেয়ে বড় স্মৃতি জাগায়।’
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র চায় শান্তিপূর্ণ নির্বাচন ও মানবাধিকার সূচকে বাংলাদেশের উন্নতি
যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র সফর সম্পর্কে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রী
আমি আমার ভূমিকা সম্পর্কে পরিষ্কার: শ্রীধরন শ্রীরাম
বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের টি-টোয়েন্টি টেকনিক্যাল কনসালট্যান্ট শ্রীধরন শ্রীরাম জানিয়েছেন, বাংলাদেশ দলে তার ভূমিকা সম্পর্কে তিনি খুবই পরিষ্কার।
চলতি বছরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিতব্য টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপে খেলতে যাওয়া টাইগার দলের হেড কোচ সঙ্গে নেই।
বাংলাদেশ দলের হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গোকে শুধুমাত্র টেস্ট ও ওয়ানডে ক্রিকেটের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে সম্প্রতি শ্রীধরণকে চলতি বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত টি-টোয়েন্টি দলের টেকনিক্যাল কনসালট্যান্ট হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
শুক্রবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী দুবাইতে একটি সাংবাদিক সম্মেলনে শ্রীধরণ বলেন, ‘এখানে আমার কাজ সম্পর্কে আমি পরিষ্কার জানি।’ ‘আমার কাজ হলো সম্পদগুলোকে একত্রীকরণ করা। এখানে দলের সঙ্গে দক্ষ কোচরা আছেন, ক্যাপ্টেন এবং টিম পরিচালক আছেন। আমাকে একত্রে তাদের সকলের সঙ্গে কাজ করতে হবে।’
এর আগে শ্রীধরন অন্তত দুটি আইপিএল দল এবং অস্ট্রেলিয়া জাতীয় দলের সাথে কাজ করেছেন। তিনি মনে করেন, শক্তিশালী টি-টোয়েন্টি দলের সঙ্গে কাজের পূর্ব অভিজ্ঞতা নতুন দায়িত্ব ভালোভাবে পালনের সহায়ক হবে।
তিনি আরও বলেন, সাকিব আল হাসানকে বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক করা বিসিবির একটি চমৎকার সিদ্ধান্ত।
‘আমার কাজ হলো তিনটি উপাদানকে একত্রে কাজে লাগানো এবং টি-টোয়েন্টি আইপিএল-এর অভিজ্ঞতা, অস্ট্রেলিয়া এবং একটি কৌশল নির্ধারণ যাতে আমরা সম্পদগুলোকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারি,’ শ্রীধরণ যোগ করেন।
দীর্ঘদিনের মধ্যে শ্রীধরণই প্রথম ভারতীয় যিনি বাংলাদেশ দলের সর্বোচ্চ দায়িত্ব পেয়েছেন। বাংলাদেশের অন্যান্য কোচদের চেয়ে তিনি ভালো ফলাফল বয়ে আনার আশা করছেন। যেহেতু তিনি বাংলাদেশ দলের ক্রিকেট সংস্কৃতি জানেন ও দলের সঙ্গে ভালো বোঝাপড়া আছে।
চলতি মাসের ৩০ তারিখ বাংলাদেশ এশিয়া কাপে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচ খেলবে। এরপর তাদের গ্রুপ পর্বে দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচ আগামী ১ সেপ্টেম্বর শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হবে।
আরও পড়ুন: সেরা ১০টি মোবাইল ক্রিকেট গেম ২০২২: ক্রিকেট দুনিয়া যখন মুঠোফোনে
একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিচ্ছেন বেন স্টোকস
বাংলাদেশ ক্রিকেটের প্রশংসা আইসিসি চেয়ারম্যানের, উন্নয়নে সহায়তার আশ্বাস