ভূমিকা
'গ্লোবাল ইয়ুথ ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন অ্যাওয়ার্ড-২০২৪' পেল বাংলাদেশ ব্যাংক
তরুণদের আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখায় 'গ্লোবাল ইয়ুথ ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন অ্যাওয়ার্ড-২০২৪' পেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
সম্প্রতি মধ্য আমেরিকার দেশ এল সালভাদরে অনুষ্ঠিত অ্যালায়েন্স ফর ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন (এএফআই) গ্লোবাল পলিসি ফোরামের সভায় কেন্দ্রীয় ব্যাংককে এ পুরস্কার দেওয়া হয়।
আর্থিক অন্তর্ভুক্তিবিষয়ক নীতিনির্ধারক ও নিয়ন্ত্রকদের আন্তর্জাতিক জোট এএফআই আর্থিক খাতের জন্য মর্যাদাপূর্ণ 'গ্লোবাল ইয়ুথ ফিন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন অ্যাওয়ার্ড' দেয়।
আরও পড়ুন: বিলাসবহুল পণ্য আমদানিতে শতভাগ নগদ মার্জিন নির্ধারণ করল বাংলাদেশ ব্যাংক
রবিবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পুরস্কারের জন্য দেশের যুব সমাজের আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বাড়াতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিভিন্ন কার্যক্রম বিবেচনা করা হয়েছে।
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য আর্থিক সাক্ষরতার নির্দেশিকা তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এছাড়া এসব নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো নির্দিষ্ট শ্রেণির শিক্ষার্থী ও যুবকদের কাজের ক্ষেত্র নিশ্চিত করতে এবং তাদের আর্থিক সাক্ষরতা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করেছে।
যেমন দেশের ২১ থেকে ৪৫ বছর বয়সি উদ্যোক্তাদের ঋণ দিতে স্টার্টআপ ফান্ড গঠন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আর্থিক সাক্ষরতা প্রদান এবং ভোক্তাদের স্বার্থ নিশ্চিত করার জন্য একটি পৃথক ওয়েবসাইট (https://finlit.bb.org.bd) চালু করা হয়েছে। এ ছাড়া জাতীয় পাঠ্যক্রমে আর্থিক সাক্ষরতাবিষয়ক একটি অধ্যায় যুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে দেশব্যাপী স্কুল ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যাংকে ৪ লাখ ৩০ হাজার স্কুল ব্যাংক হিসাব খোলা হয়েছে। স্কুল ব্যাংকিংয়ে মেয়ে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে আর্থিক খাতে লিঙ্গ বৈষম্য কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বর্তমানে স্কুল ব্যাংকিং হিসাবধারী মেয়ে শিক্ষার্থীর হার ৪৮ দশমিক ৯ শতাংশ।
এ ছাড়া প্রশিক্ষণ, দক্ষতাভিত্তিক পেশা ও ব্যবসা ব্যবস্থাপনার জন্য স্কুল ব্যাংকিং হিসাবধারীদের পুনঃঅর্থায়ন স্কিমের আওতায় ঋণ দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ব্যাংকিং খাতের সংস্কারে জনগণের আস্থা ফেরানোর আহ্বান বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের
নগদ অর্থ উত্তোলনের সীমা তুলে নিল বাংলাদেশ ব্যাংক
২ মাস আগে
বিশ্ব শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষায় কূটনীতির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা তুলে ধরলেন পররাষ্ট্র সচিব
বিশ্ব শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষায় কূটনীতির ভূমিকার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।
কৌশলগত জাতীয় লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে নিরবচ্ছিন্ন সহযোগিতার বিষয়ে জোর দেন তিনি।
এসময় পেশাগত শিক্ষার উৎকর্ষ সাধনে সশস্ত্র বাহিনীর অঙ্গীকারের প্রশংসা করে জাতির প্রতি তাদের আত্মোৎসর্গের প্রশংসা করেন মোমেন।
রবিবার (৩০ জুন) ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের (এনডিসি) আর্মড ফোর্সেস ওয়ার কোর্স ২০২৪ (এএফডব্লিউসি-২০২৪)- এ অংশগ্রহণকারী প্রতিনিধিদলকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে স্বাগত জানানো হয়।
আরও পড়ুন: ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়াত্রার সফর 'স্থগিত'
এই সফর কূটনীতি ও জাতীয় সুরক্ষার ক্ষেত্রগুলোর মধ্যে গভীরতর বোঝাপড়া ও সহযোগিতা গড়ে তোলার দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের নেতৃত্বে অনুষ্ঠানটি কূটনৈতিক ও প্রতিরক্ষা সম্প্রদায়ের মধ্যে দৃষ্টিভঙ্গি বিনিময়ের জন্য একটি প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়।
অতিরিক্ত পররাষ্ট্র সচিব (দ্বিপক্ষীয়) ও মিশনের মহাপরিদর্শক ড. মো. নজরুল ইসলাম সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
কূটনীতি ও নিরাপত্তার জটিল দিকগুলো নিয়ে আলোচনা করে ড. নজরুল এই সমালোচনামূলক ক্ষেত্রগুলোর মধ্যে গতিশীল আন্তঃক্রিয়ার ওপর আলোকপাত করেন। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা সংরক্ষণের পাশাপাশি সমসাময়িক নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একটি বিস্তৃত পদ্ধতির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন তিনি।
এর আগে মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডি এম সালাহ উদ্দিন মাহমুদ প্রতিনিধিদলকে মন্ত্রণালয়ে স্বাগত জানান।
অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই আয়োজনের জন্য অংশগ্রহণকারীদের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এএফডব্লিউসি ২০২৪-এর লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মামুন মুনতাসির হক।
তিনি সামরিক ও কূটনৈতিক মহলের মধ্যে বৃহত্তর বোঝাপড়া এবং সহযোগিতা প্রচারের জন্য মন্ত্রণালয়ের অবদানের প্রশংসা করেন।
সশস্ত্র বাহিনী যুদ্ধ কোর্সে অংশগ্রহণকারী এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে টেকসই সম্পর্ক জোরদারে পারস্পরিক অঙ্গীকারের ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রাণবন্ত ধারণা বিনিময়ের মধ্য দিয়ে এই সফর শেষ হয়।
কূটনৈতিক ও নিরাপত্তা প্রচেষ্টার সুসংহতির মাধ্যমে জাতীয় নিরাপত্তা ও স্বার্থ রক্ষার অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির সাক্ষ্য হিসেবে এই অনুষ্ঠান কাজ করেছে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
আরও পড়ুন: ভারতে প্রধানমন্ত্রীর দ্বিপক্ষীয় সফরে সই হতে পারে চুক্তি, সমঝোতা স্মারক: পররাষ্ট্র সচিব
অভ্যন্তরীণ কারণে ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের সফর স্থগিত: হাছান মাহমুদ
৪ মাস আগে
সেন্টমার্টিন পরিস্থিতি নিয়ে সরকারের নীরব ভূমিকার সমালোচনা ফখরুলের
সেন্টমার্টিন দ্বীপকে ঘিরে সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে সরকারের নীরব ভূমিকার সমালোচনা করে এটিকে সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির বহিঃপ্রকাশ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, 'পত্র-পত্রিকায় সেন্টমার্টিন দ্বীপের সংকট নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এটা দুঃখজনক যে আমরা নিজেদের দ্বীপে যেতে পারছি না। এই সরকারের কী ব্যর্থতা যে, ওই দ্বীপে গেলে অন্য দেশ থেকে আমাদের গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে।’
শনিবার (১৫ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় বিএনপির এই নেতা দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, এ ধরনের গুরুতর বিষয়ে সরকার এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি দেয়নি।
তিনি আরও বলেন, 'স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, এমন কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি যেখানে আমরা বিবৃতি দেব বা এ বিষয়ে কিছু বলব। এই শাসকগোষ্ঠী এতটাই আজ্ঞাবহ যে, মিয়ানমারের মতো দেশ সম্পর্কে তারা কিছু বলতে পারে না। এর মনোভাব কতটা আজ্ঞাবহ হতে পারে?'
আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সীমান্তে যখন বাংলাদেশিরা মারা যাচ্ছে এবং দেশের মানুষ যখন অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, তখন তারা কোনো প্রতিবাদ করেনি।
তিনি বলেন, ‘সেন্টমার্টিন দ্বীপে খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। সেখানে বিপদে পড়েছেন শত শত মানুষ। কিন্তু সরকার এ নিয়ে বিন্দুমাত্র চিন্তিত নয়।’
আরও পড়ুন: বিএনপি চেয়ারপারসনের বিদেশবিষয়ক উপদেষ্টা কমিটি গঠন
সংবাদপত্রের কালো দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
১৯৭৫ সালের ১৬ জুন তৎকালীন বাকশাল সরকার ৪টি ছাড়া সব সংবাদপত্র বন্ধ করে দেয়। যে কারণে সাংবাদিকদের একাংশ দীর্ঘদিন ধরে দিনটিকে কালো দিবস হিসেবে পালন করে আসছেন।
সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে শক্তিশালী সংগ্রামের মাধ্যমে বর্তমান ফ্যাসিবাদী সরকারকে পরাজিত করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আহ্বান জানান ফখরুল।
তিনি বলেন, ‘আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে জনগণকে জাগ্রত করতে হবে। জনগণকে ছাড়া গণতান্ত্রিক আন্দোলন হবে না। রাতারাতি দু-চারটি বোমা ফাটিয়ে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে না।’
দেশকে দুঃশাসনের হাত থেকে বাঁচাতে এবং মানুষের অধিকার ফিরিয়ে আনতে তরুণ প্রজন্মকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব।
তিনি এক সংকটময় মুহূর্তে সাহসিকতার সঙ্গে কাজ করা এবং নানা প্রতিবন্ধকতা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে প্রভাবশালীদের দুর্নীতি ও অপকর্ম উন্মোচন করার জন্য সাংবাদিকদের প্রশংসা করেন।
আরও পড়ুন: ছাত্রদলের ২৬০ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন
৫ মাস আগে
সমৃদ্ধ শেয়ারবাজার গড়তে মার্চেন্ট ব্যাংকের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ: ডিএসই চেয়ারম্যান
সমৃদ্ধ শেয়ারবাজার গড়তে মার্চেন্ট ব্যাংকের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ পিএলসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু।
তিনি বলেন, পুঁজিবাজারের অন্যতম স্টেকহোল্ডার হলো মার্চেন্ট ব্যাংক৷ শেয়ারবাজারের টেকসই উন্নয়নে ভালো শেয়ারের সরবরাহ বাড়ানো, সংশ্লিষ্ট অংশীজনের মধ্যে সমন্বয় এবং বিনিয়োগকারীদের সচেতনতা বাড়ানো মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর অন্যতম প্রধান কাজ৷
ডিএসই চেয়ারম্যান বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে দেশের পুঁজিবাজার পরিস্থিতি অনুকূলে নয়। বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত থেকে বোঝা যায়, বাজারে অর্থের জোগান কম ছিল। সাম্প্রতিক সময়ে প্রধানমন্ত্রী পুঁজিবাজার উন্নয়নে সরকারি কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে আনার নির্দেশ দিয়েছেন যা এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ। যা এরইমধ্যে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আগ্রহ ও সাহস জোগাচ্ছে৷ মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর ব্যাপক ভূমিকা পালনের মাধ্যমেই প্রধানমন্ত্রীর সুদূর প্রসারী দিকনির্দেশনা বাস্তবায়ন সম্ভব৷’
আরও পড়ুন: ডিএসইর নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালকের যোগদান
মঙ্গলবার (১৪ মে) বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট মাজেদা খাতুনের নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের কমিটির সঙ্গে বৈঠককালে তিনি এসব কথা বলেন৷
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. এটিএম তারিকুজ্জামান, প্রধান রেগুলেটরি কর্মকর্তা খায়রুল বাসার আবু তাহের মোহাম্মদসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা৷
ডিএসই চেয়ারম্যান আরও বলেন, উন্নত দেশের পুঁজিবাজার সে দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। অন্যান্য দেশে দেখা যায় সে দেশের মানি মার্কেট যতটা সাপোর্ট দেয় পুঁজিবাজারও ততটুকুও সাপোর্ট দেয়। আমরা সব সময় বলে আসছি যে পুঁজিবাজারে দীর্ঘ মেয়াদে বিনিয়োগ না করলে পুঁজিবাজার সাসটেইনেবল হবে না। এখানে দুই তিন বছরের জন্য আসলেই বাজার ভালো হবে না। আপনারা ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের নিয়ে কথা বলেছেন। কিন্তু আমাদের সাধারণ বিনিয়োগকারীরা এখানে এসে পরের দিনই লাভ তুলতে চান। আর এ কারণেই বড় পতন হয়। সে যায়গাতে আপনাদের কাজ করার সুযোগ রয়েছে। আমরা চাই আপনারা এ যায়গায় কাজ করবেন।
ড. হাসান বাবু আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী আজকে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো তালিকাভুক্ত করার কথা বলেছে। প্রধানমন্ত্রীর কিন্তু সব যায়গাতে নজর রয়েছে। কোম্পানির আইপিও তালিকাভুক্ত করার আইনে কিছু সমস্যা আছে যেগুলো সংস্কার করতে হবে। তবে সংস্কার করতে গিয়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ক্ষতি হয় আপনার এমন কিছু করবেন না। আমি সব সময় বলে আসছি, সামনেও বলব যে তালিকাভুক্ত ও তালিকা বহির্ভূত কোম্পানির মধ্যে করের উল্লেখযোগ্য ব্যবধান না করা গেলে ভালো কোম্পানি বাজারে তালিকাভুক্ত করা যাবে না। আর শুধু সরকারি প্রতিষ্ঠান নয় বাংলাদেশে যেসব গ্রিন ফ্যাক্টরি রয়েছে সেগুলোও তালিকাভুক্তিতে কাজ করতে হবে।
মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বাজারের গভীরতা বৃদ্ধি তথা ভালো কোম্পানিগুলোকে তালিকাভুক্তিতে উৎসাহিত করার পাশাপাশি মার্চেন্ট ব্যাংকের প্রধান কাজ হচ্ছে পুঁজিবাজারে ভালো কোম্পানি তালিকাভুক্ত করা। যা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগে আকৃষ্ট করে। বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে সুনির্দিষ্ট ইস্যু নিয়ে কথা বলতে হবে। নতুন নতুন কর্মপরিকল্পনা নিয়ে তিনি সামনে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান। বাজার উন্নয়নে যদি ডিএসই, মার্চেন্ট ব্যাংক এবং ডিবিএ একসাথে কাজ করে তাহলে এগিয়ে যাওয়ার পথ সুগম হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
এছাড়া অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে বাজার উন্নয়নে বেশ কিছু প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়। এরমধ্যে দ্বৈত কর, গুণগত মানসম্পন্ন আইপিও আনা, আইপিও প্রাইসিং সিস্টেম, প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসন, মার্জার একুইজেশন, পলিসিগত প্রতিবন্ধকতা, ঘন ঘন আইন-কানুন পরিবর্তন না করা, কাট-অফ মূল্যের অধিক মূল্যে বিডকারীদের প্রোরাটার ভিত্তিতে সিকিউরিটিজ প্রদান, আইপিওর কোটা ও লক-ইন পিরিডের কিছু সংশোধনী আনা, সিকিউরিটিজ ভ্যালুয়েশনের ক্ষেত্রে মার্কেট অ্যাপ্রোচ ও ইনকাম অ্যাপ্রোচ মেথড অনুসরণ করা, বিডিংয়ের সম্মতি পাওয়ার পরই রোড-শোর আয়োজন করা, মার্জিন ঋণের আইনে কিছু পরিবর্তন আনা, গবেষণায় জোর দেয়া ইত্যাদি বিষয় অন্যতম।
আরও পড়ুন: ক্রান্তিকাল পেরিয়ে সম্ভাবনার পথে শেয়ারবাজার: ডিএসইর চেয়ারম্যান
শেয়ারবাজারে নিরবচ্ছিন্ন লেনদেনের জন্য নতুন ডাটা সেন্টার চালু ডিএসইর
৬ মাস আগে
দেশে কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি, নতুন আয়ের উৎস তৈরি এবং দক্ষতা বাড়াতে ভূমিকা রাখছে মোবাইল সংযোগ
কর্মক্ষেত্রে উৎপাদনশীলতা বাড়াতে, ডিজিটাল ভবিষ্যতের জন্য দক্ষতা বৃদ্ধি করতে এবং ফ্রিল্যান্স থেকে বাড়তি উপার্জনের জন্য মোবাইল প্রযুক্তির সম্ভাবনাকে কাজে লাগাচ্ছে বাংলাদেশ।
’টেলিনর এশিয়া ডিজিটাল লাইভস ডিকোডেড’ শীর্ষক জরিপে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
এশিয়া জুড়ে ৮ হাজার মানুষ এই সমীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন।
সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ১০ জনের মধ্যে প্রায় ৬ জনই বলছেন, তারা দিনের অর্ধেকেরও বেশি সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন।
একইসঙ্গে ৬২ শতাংশ মানুষ বিশ্বাস করেন, আগামী ১ থেকে ২ বছরের মধ্যে তাদের মোবাইল ফোন ব্যবহারের হার আরও বাড়বে।
আরও পড়ুন: মোবাইল চুরির অপবাদে অটোরিকশাচালককে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ৩
মূলত কর্মক্ষেত্রের প্রয়োজনেই (৭৫ শতাংশ) মোবাইল ফোন ব্যবহারের মাত্রা বাড়ছে। এর পরেই কারণ হিসেবে রয়েছে দৈনন্দিন কেনাকাটা, রিটেইল ও ব্যাংকিংয়ের-এর মত অনলাইন সেবা গ্রহণ (৬৭%)।
সমীক্ষায় আরও উঠে আসে যে ৯৬ শতাংশ মানুষের মতে, মোবাইল ফোন তাদের কর্মক্ষেত্র ও ব্যক্তিগত জীবনের ভারসাম্যকে উন্নত করেছে।
টেলিনর এশিয়ার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং হেড অফ এক্সটার্নাল রিলেশনস মনীষা ডোগরা বলেন, ‘মোবাইল প্রযুক্তি বাংলাদেশের মানুষের ক্ষমতায়নে ভূমিকা রাখছে এবং এই দেশে মোবাইল ফোন যেভাবে মানসম্মত ডিজিটাল জীবনধারার জন্য অপরিহার্য হয়েছে উঠছে তা আমাদের অনুপ্রাণিত করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ডিজিটাল লাইভস ডিকোডেড সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, বাংলাদেশের মানুষ মোবাইল সংযোগের প্রভাব সম্পর্কে যথেষ্ট ইতিবাচক মনোভাব ব্যক্ত করেছেন এবং নতুন সুযোগগুলোকে কাজে লাগাতে মোবাইল ফোন ব্যবহার করছেন। এই ইতিবাচক মানসিকতাকে কাজে লাগিয়ে একটি সমৃদ্ধ ডিজিটাল অর্থনীতি গড়ে তুলতে এবং ব্যক্তি, ব্যবসা ও সমাজের জন্য এআইয়ের মতো নতুন নতুন প্রযুক্তির সম্ভাবনাগুলোকে কাজে লাগাতে আমাদের একসাথে কাজ করতে হবে।’
এই সমীক্ষায় ব্যবসায়িক অগ্রগতি এবং নতুন আয়ের পথ তৈরিতে মোবাইল ফোন এবং মোবাইল প্রযুক্তির প্রভাব স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে।
আশ্চর্যজনকভাবে ৯৩ শতাংশ উত্তরদাতা বলেন, গত পাঁচ বছরে কর্মক্ষেত্রে কর্মক্ষমতা এবং কাজের মান উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত হয়েছে। আর ৮২ শতাংশ মানুষ কর্মক্ষেত্রে উৎপাদনশীলতার ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ইতিবাচক প্রভাবের কথা উল্লেখ করেন।
সমীক্ষায় জানা যায়, বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সার এবং অনলাইন পরামর্শদাতারা সবচেয়ে বেশি উপকৃত হয়েছেন। কারণ প্রতি ১০ জন উত্তরদাতাদের মধ্যে ৬ জনই বলেছেন, তারা অনলাইনে এই ধরনের সেবা প্রদানের জন্য মোবাইল ফোন ব্যবহার করছেন।
সমীক্ষায় আরও প্রকাশ করা হয় যে, বাংলাদেশের ব্যবসাগুলো জেনারেটিভ এআই-এর মতো নতুন ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত।
অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৬৫ শতাংশ মানুষ বলেছেন, তারা যে কোম্পানিতে কাজ করেন সে কোম্পানিগুলো নতুন প্রযুক্তি এবং জেনারেটিভ এআই ব্যবহারকে সমর্থন করেন এবং প্রায় অর্ধেক (৪৭ শতাংশ) বিশ্বাস করেন যে, আগামী ছয় মাসে জেনারেটিভ এআইয়ের ব্যবহার বাড়বে।
উত্তরদাতাদের ৮৬ শতাংশের মতে, মোবাইল প্রযুক্তির ব্যবহার তাদের কর্মজীবন এবং দক্ষতা বিকাশে সহায়ক হয়েছে এবং ৯১ শতাংশ উত্তরদাতা গত ১২ মাসে নতুন দক্ষতা অর্জনের জন্য তাদের মোবাইল ফোন ব্যবহার করেছেন।
ডিজিটাল দক্ষতায় আত্মবিশ্বাসের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এগিয়ে থাকলেও, পুরুষ ও নারী উত্তরদাতাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাসের মাত্রা ভিন্ন।
সাধারণত পুরুষ উত্তরদাতারা তাদের ডিজিটাল দক্ষতার ওপর বেশি আত্মবিশ্বাসী (৭৩ শতাংশ পুরুষ বনাম ৫৮ শতাংশ নারী তাদের ডিজিটাল দক্ষতায় ’খুব আত্মবিশ্বাসী’) এবং ভবিষ্যতের প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে চলার বিষয়ে কম উদ্বিগ্ন (২৮ শতাংশ পুরুষ বনাম ১৫ শতাংশ নারীর কথায় বোঝা যায় যে, তারা এ ব্যাপারে ’ উদ্বিগ্ন নয়’)।
টেলিনর এশিয়ার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘এই ব্যবধান কমিয়ে আনতে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ডিজিটাল দক্ষতা বাড়ানো এবং ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি। ডিজিটাল পণ্য ও সেবা ব্যবহারে সবাই আত্মবিশ্বাসী ও স্বাচ্ছন্দ্যময় হয়ে উঠলে এবং সবাই নিরাপদে ডিজিটাল কনটেন্টের নির্মাতা ও ভোক্তা হয়ে উঠতে পারলেই তা সম্ভব হবে। সকল ব্যক্তি, সম্প্রদায় ও ব্যবসা যেন মোবাইল সংযোগ, উন্নত ডেটা সেবা এবং এআইয়ের মতো উদীয়মান প্রযুক্তির সাথে খাপ খাওয়াতে পারে এজন্য প্রয়োজন সম্মিলিত প্রচেষ্টা।’
আরও পড়ুন: সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরে এক প্রবাসী চুরি করলেন আরেক প্রবাসীর মোবাইল-পাসপোর্ট
চিরকুটে মোবাইল নম্বর দিয়ে ১০টি বৈদ্যুতিক মিটার চুরি
৬ মাস আগে
আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান রাষ্ট্রপতির
দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন।
তিনি বলেন, উন্নয়ন, অগ্রগতি ও সুশাসনকে অক্ষুণ্ণ রাখতে আইনের যথাযথ প্রয়োগ জরুরি।
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাষ্ট্রপতি ঢাকার রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে বাংলাদেশ পুলিশের বার্ষিক নৈশভোজে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ জনসাধারণের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে এবং জনগণ ঘরে বসে অনলাইনে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এবং সাধারণ ডায়েরির মতো ডিজিটাল সেবা গ্রহণ করছে।
আগামীতে তথ্য ও প্রযুক্তিগত সেবা সম্প্রসারণে পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের আরও সক্রিয় হওয়ারও নির্দেশ দেন তিনি।
তিনি বলেন, যারা থানায় আসেন তাদের আরও আন্তরিকতা ও সময়ানুবর্তিতার সঙ্গে সেবা দিতে হবে।
আরও পড়ুন: ক্ষমতার অপব্যবহার যেন না হয় তা নিশ্চিত করুন: রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন
রাষ্ট্রপতি বাহিনীকে গণমুখী সেবা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
নৈশভোজের আগে রাষ্ট্রপতি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।
বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতির হাতে একটি স্মারক তুলে দেন।
এর আগে রাষ্ট্রপতি অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে তাকে স্বাগত জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফিজুর রহমান; বার্ষিক নৈশভোজ কমিটির সভাপতি ও অতিরিক্ত ডিআইজি বনজ কুমার এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমান।
রাষ্ট্রপতির সংশ্লিষ্ট সচিবরাও নৈশভোজে যোগ দেন।
আরও পড়ুন: বৈদেশিক বাণিজ্যের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে: রাষ্ট্রপতি
৮ মাস আগে
আইপিওর যাচাই-বাছাইয়ে স্টক এক্সচেঞ্জের আরও ভূমিকা থাকা উচিত: এটিএম তারিকুজ্জামান
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. এটিএম তারিকুজ্জামান বলেছেন, আইপিওর যাচাই-বাছাইয়ে স্টক এক্সচেঞ্জের আরও ভূমিকা থাকা উচিত। আগে এক্সচেঞ্জের ভালো ভূমিকা ছিল, এখন অনেকটাই কম।
তিনি বলেন, বর্তমানে আইপিওসহ সব ধরনের পাবলিক অফারের অনুমোদন দেয় বিএসইসি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আলাদা আলাদা আইন রয়েছে। কোথাও স্টক এক্সচেঞ্জ অনুমোদন দেয় আবার কোথাও রেগুলেটর অনুমোদন দেয়। আমাদের দেশে আগে থেকেই রেগুলেটর আইপিও অনুমোদন দিয়ে আসছে।
মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) রাজধানীর পুরানা পল্টনে সিএমজেএফের নিজস্ব কার্যালয়ে ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরাম (সিএমজেএফ) আয়োজিত সিএমজেএফ টক অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।
সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক আবু আলী এটি সঞ্চালনায় এতে স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনের সভাপতি জিয়াউর রহমান।
অনুষ্ঠানে আরেক প্রশ্নের উত্তরে ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ড. এটিএম তারিকুজ্জামান বলেন, পুঁজিবাজারের আস্থার উন্নয়নে ফ্লোর প্রাইস কোনো স্থায়ী কোনো সমাধান নয়।
তিনি বলেন, এটা শেয়ার প্রাইস নির্ধারণে সরাসরি হস্তক্ষেপ। রেগুলেটর বা স্টক এক্সচেঞ্জ প্রাইস ফিক্স করা ঠিক না। এটা বিশ্বের কোথাও নেই। স্টক এক্সচেঞ্জ প্রাইস ডিসকভারের জায়গা।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সাবেক নির্বাহী পরিচালক ড. এটিএম তারিকুজ্জামান চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন।
প্রশ্ন-উত্তর পর্বে পুঁজিবাজারের ম্যানুপুলেশন বন্ধ, ডি-মিউচ্যুয়ালাইজেন, কৌশলগত বিনিয়োগ ও টেকনিক্যাল সহায়তা, ভালো কোম্পানী পুঁজিবাজারে আনা, বিনিয়োগকারীর সুরক্ষা ও তালিকাভুক্ত কোম্পানীতে সুশাসন প্রতিষ্ঠাসহ নানা বিষয় ওঠে আসে।
আরও পড়ুন: জুলাই-সেপ্টেম্বরে ২০৯,৬২৬ মিলিয়ন টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব পেয়েছে বিডা
অনুষ্ঠানে ড. এটিএম তারিকুজ্জামান বলেন, স্টক এক্সচেঞ্জে ব্যবস্থাপনা থেকে মালিকানা পৃথকীকরণে ডি-মিউচ্যুয়ালইজেশন করা হয়। এই আইনে স্বতন্ত্র পরিচালকদের প্রাধ্যান্য দেওয়া হয়েছে। ট্রেকহোল্ডারদের প্রতিনিধিও রয়েছে। তবে কাজ করতে গিয়ে মনে হচ্ছে, কিছু বিষয় পরিবর্তন আনা প্রয়োজন, সেটা নিয়ে রেগুলেটরের সঙ্গে আলোচনা করবো আমরা।
ডি-মিউচ্যুয়ালাইজেশনের পর স্টক এক্সচেঞ্জে বেশ কিছু সুফলও এসেছে। মালিকানা ও ব্যবস্থাপনা আলাদা হয়েছে। সরাসরি কোনো হস্তক্ষেপে নেই। অপারেশনে বোর্ডের কোনো ইনফ্লুয়েশন নেই। তবে আরও কাজ করার সুযোগ রয়েছে।
কৌশলগত বিনিয়োগকারী থেকে কী পেলাম এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, সাংহাই ও শেনজেন স্টক এক্সচেঞ্জের প্রস্তাবে টেকনিক্যাল কিছু প্রস্তাব ছিল। সেই প্রস্তাবের কিছু কাজ ইতোমধ্যে হয়েছে। আরও কিছু বাকি রয়েছে। করোনার কারণে বাস্তবায়নের বিলম্ব হয়েছে। আশা করি, অবশিষ্ট কাজও হবে।
আরও পড়ুন: রপ্তানি বাড়াতে লাল ফিতার দৌরাত্ম্য দূর করতে হবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
বিনিয়োগকারীর সুরক্ষার বিষয়ে তিনি বলেন, বাজারে লাভ-লোকসান থাকবেই। কারো লোকসান হবে না-এমন নিশ্চয়তা দেওয়া সম্ভব নয়। তবে কেউ যাতে প্রতারণার শিকার না হয়, বিনিয়োগকারীর টাকা যাতে কেউ আত্মসাৎ করতে না পারে- সে ব্যাপারে আমরা তৎপর আছি।
পুঁজিবাজারে ম্যানুপুলেশন বন্ধে ডিএসই কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারছে কিনা এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে শেয়ার কারসাজি নিয়ে যেসব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, অনেক তদন্তই ডিএসই করার পর নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে পাঠিয়েছে। কারসাজি নিয়ন্ত্রণের ডিএসইর সার্ভিলেন্স টিম কাজ করছে।
দুর্বল কোম্পানি তালিকাভুক্তি সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নিয়ন্ত্রক সংস্থা নিশ্চয়ই দেখেশুনেই আইপিও অনুমোদন করে। আর বিএসইসি অনুমোদন করলে সেটি তালিকাভুক্ত করা আমাদের দায়িত্ব।
তিনি বলেন, বাজারের উন্নয়নে আইন-কানুনের কিছু পরিবর্তন ও সংশোধন প্রয়োজন। এগুলো আমরা নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে তুলে ধরব। বিএসইসি এই বাজারের উন্নয়নে অনেক ভূমিকা রাখছে। তাই আইনের পরিবর্তন ও সংশোধনের বিষয়ে তারা ইতিবাচক সাড়া দেবেন বলে আশা করছি।
আরও পড়ুন: খোলা বাজারে ১৫ টাকা বেশি দামে ডলার বিক্রি
১ বছর আগে
দেশের অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে সকলকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান মোমেনের
দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে সকলকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
বুধবার(২৭ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কে জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন অব আমেরিকা ইনকর্পোরেটেড আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
মোমেন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত ১৪ বছরে দেশ অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কল্যাণে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে এই অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রাখা আমাদের সকলের দায়িত্ব।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে কোনো টানাপোড়েন নেই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন
তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশ যাতে আর পিছিয়ে না পড়ে সেজন্য দেশের নাগরিক হিসেবে আমাদের সবাইকে দূরদর্শী ভূমিকা পালন করতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, ‘২০৩০ সালের মধ্যে দারিদ্র্যমুক্ত করার লক্ষ্য নিয়ে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। কর্মসংস্থান আমাদের জন্য একটি বড় সমস্যা। প্রতি বছর প্রায় ২০ লাখ মানুষ চাকরির বাজারে প্রবেশ করে। এর মধ্যে আমরা দেশে ১৫ লাখ চাকরি দিতে পারি। বাকি ৫ লাখ বিদেশে কাজ করতে যায়। আমরা দেশে-বিদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’
আরও পড়ুন: মোমেনের সঙ্গে সিটিবিটিও নির্বাহী সচিবের বৈঠক অনুষ্ঠিত
জালালাবাদ এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দের ঐক্য বজায় রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান ড. মোমেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিলেট ও দেশের কল্যাণে যথাসাধ্য অবদান রাখার জন্য তাদের প্রতি আহ্বান জানান। জালালাবাদ এসোসিয়েশন অব আমেরিকা ইনকর্পোরেটেডের নেতৃবৃন্দ, নিউইয়র্কে বসবাসরত বৃহত্তর সিলেটের জনগণ এবং বাংলাদেশি কমিউনিটির সদস্যরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্ক অত্যন্ত মধুর, কিন্তু কিছু গোষ্ঠী তিক্ততা সৃষ্টির চেষ্টা করছে: মোমেন
১ বছর আগে
দেশের অর্থনীতিতে বিরাট ভূমিকা রাখবে পার্বত্য চট্টগ্রাম: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, পাহাড়ে একসময় শুধু জুম চাষ হতো। এখন সমতলের মতো অনেক ফসল চাষ করা যাচ্ছে।
তিনি বলেন, পাহাড়ের বৃহৎ এলাকাজুড়ে কফি, কাজুবাদাম, গোলমরিচ, পেঁপে, আনারস, আম, ড্রাগন, মাল্টাসহ আট থেকে ১০টি অর্থকরী ফসলের চাষ অনেক সম্ভাবনাময়।
বিশেষ করে দেশে ও আন্তর্জাতিক বাজারে কাজুবাদাম ও কফির বিশাল চাহিদা রয়েছে, দামও অনেক বেশি। সেজন্য এসব ফসলের চাষাবাদ ও প্রক্রিয়াজাত বাড়াতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি: পূর্ণ বাস্তবায়ন এখনও ‘অধরা’
বুধবার সকালে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় কাজুবাদাম ও কফি বাগান পরিদর্শন এবং চাষিদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এসব ফসলের চাষ আরও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দিতে পারলে পাহাড়ের অর্থনৈতিক চেহারা পাল্টে যাবে। পার্বত্য চট্টগ্রাম দেশের অর্থনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করবে ও বিশাল ভূমিকা রাখবে। পাহাড়ি এলাকার মানুষের জীবনযাত্রার মানের দর্শনীয় উন্নয়ন হবে। একইসঙ্গে, দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করেও প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা যাবে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, কফি ও কাজুবাদামের আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধি এবং প্রক্রিয়াজাতে সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে। এসব ফসলের চাষ জনপ্রিয় করতে কৃষক ও উদ্যোক্তাদেরকে আমরা বিনামূল্যে উন্নত জাতের চারা, প্রযুক্তি ও পরামর্শসেবা প্রদান করে যাচ্ছি।
এছাড়া এখন পর্যন্ত কফি ও কাজুবাদামের ১২ লাখ চারা বিনামূল্যে কৃষকদেরকে দেওয়া হয়েছে, আর এ বছর আরও ২০ লাখ চারা দেওয়া হবে।
মন্ত্রী বলেন, সারসহ বিভিন্ন কৃষি উপকরণের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহের ফলে দেশে ধানসহ সকল ফসলের উৎপাদন বেড়েছে। এর ফলে বিশ্ব মন্দা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধসহ নানা বৈশ্বিক সংকটের মধ্যেও বর্তমানে দেশে খাদ্যের কোনো রকম সংকট নেই।
আরও পড়ুন: রাশিয়ায় আগামী বছর দেড় থেকে ২ লাখ টন আলু রপ্তানি হবে: কৃষিমন্ত্রী
আগামী বছরগুলোতে দেশে সারের দাম বাড়বে না: কৃষিমন্ত্রী
১ বছর আগে
সৌদি-ইরান চুক্তির পর বিশ্বে বৃহৎ ভূমিকা রাখতে চায় চীন
সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনরায় চালু করার একটি চুক্তিতে বেইজিং ভূমিকা রাখার পর প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং চীনকে বৈশ্বিক বিষয়গুলো পরিচালনায় আরও বড় ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন।
সোমবার শি অনুগতদের নিয়ে সরকার গঠনের পর আইনসভা অধিবেশনে বক্তব্য দেন যাতে অর্থনীতি ও সমাজের উপর তার নিয়ন্ত্রণ শক্ত করেছিল।
চীনের আনুষ্ঠানিক আইনসভার বার্ষিক সভা শেষে এক বক্তব্যে কয়েক দশকের মধ্যে দেশটির সবচেয়ে শক্তিশালী নেতা শি বলেছেন, চীনের উচিত ‘বৈশ্বিক শাসন ব্যবস্থার সংস্কার ও নির্মাণে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করা’ এবং ‘বৈশ্বিক নিরাপত্তা উদ্যোগ’ প্রচার করা উচিত।’
শি বলেছেন, এটি ‘বিশ্ব শান্তি ও উন্নয়নে ইতিবাচক শক্তি যোগ করবে এবং আমাদের দেশের উন্নয়নের জন্য একটি অনুকূল আন্তর্জাতিক পরিবেশ তৈরি করবে।’
শি ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির উচ্চাকাঙ্ক্ষার কোনো বিশদ বিবরণ না দিলেও তার সরকার ২০১২ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে বিদেশে ক্রমবর্ধমান দৃঢ় নীতি অনুসরণ করেছে। এটি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল এবং অন্যান্য সংস্থাগুলোতে পরিবর্তনের জন্য চাপ দিয়েছে। বেইজিং বলছে যে উন্নয়নশীল দেশ তাদের চাহিদা এবং ইচ্ছা প্রতিফলিত করতে ব্যর্থ হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইরান ও সৌদি আরবের সম্পর্ক পুনস্থাপনকে স্বাগত জানায় বাংলাদেশ: মোমেন
বেইজিং বাণিজ্য ও নির্মাণ উদ্যোগকে উন্নীত করার জন্য দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হিসাবে চীনের ক্রমবর্ধমান উচ্চতার ওপর ভিত্তি করে তৈরি করেছে। যা ওয়াশিংটন, টোকিও, মস্কো এবং নয়া দিল্লি তাদের বিস্তৃতিতে এর কৌশলগত প্রভাবকে প্রসারিত করবে বলে উদ্বিগ্ন।
শি’র সরকার ২০২২ সালের শুরুর দিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অস্ট্রেলিয়াকে বিচলিত করেছিল। যখন এটি সলোমন দ্বীপপুঞ্জের সঙ্গে একটি সুরক্ষা চুক্তি সই করেছিল যা দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ দেশটিতে চীনা নৌবাহিনীর জাহাজ এবং নিরাপত্তা বাহিনীকে মোতায়েন করার অনুমতি দেবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী, কিন গ্যাং গত সপ্তাহে ওয়াশিংটনকে সম্ভাব্য ‘সংঘাত ও সংঘর্ষ’ সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়েছিলেন। যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ান, মানবাধিকার, হংকং, নিরাপত্তা এবং প্রযুক্তি নিয়ে দ্বন্দ্বের কারণে উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্কের গতিপথ পরিবর্তন না করে।
শির সোমবারের ভাষণে জাতীয়তাবাদী পদে ভরপুর একটি বক্তব্যে দ্রুত প্রযুক্তি উন্নয়ন এবং আরও আত্মনির্ভরতার আহ্বান জানান। তিনি আটবার ‘জাতীয় পুনরুজ্জীবন’ বা চীনকে অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক নেতা হিসেবে চীনের সঠিক ঐতিহাসিক ভূমিকা পুনরুদ্ধারের কথা উল্লেখ করেছেন।
শুক্রবার, অক্টোবরে ঐতিহ্য ভেঙ্গে এবং শাসক দলের সাধারণ সম্পাদক হিসাবে নিজেকে তৃতীয়-পাঁচ বছরের মেয়াদে পুরস্কৃত করার পরে আজীবন নেতা হওয়ার পথে নিজেকে রেখে দেয়ার পরে আনুষ্ঠানিক চীনা প্রেসিডেন্টের আরেকটি মেয়াদে শির নাম ঘোষণা করা হয়েছিল। ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের অধিবেশন এক দশকের পরিবর্তনে প্রধানমন্ত্রী এবং অন্যান্য সরকারি নেতা হিসাবে তার অনুগতদের নিয়োগকে সমর্থন করে শির আধিপত্যকে শক্তিশালী করেছে। শি সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বিদের দূরে সরিয়ে দিয়েছেন এবং ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিরা তাকে সমর্থন করেছেন।
শি বলেছেন যে ১৯৪৯ সালে ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি ক্ষমতায় আসার আগে, বিদেশি দেশগুলোর নিপীড়নে চীন ‘আধা-ঔপনিবেশিক, আধা-সামন্ততান্ত্রিক দেশে পরিণত হয়েছিল।’
শি বলেছেন, ‘আমরা অবশেষে জাতীয় অপমান মুছে ফেলেছি এবং চীনা জনগণ তাদের নিজেদের ভাগ্যের মালিক।’ ‘চীনা জাতি ঘুড়ে দাঁড়িয়েছে, ধনী হয়েছে এবং শক্তিশালী হয়ে উঠছে।’
শি দেশটিকে ‘জাতীয় পুনঃএকত্রীকরণের’ লক্ষ্য ‘অটলভাবে অর্জন’ করার জন্যও আহ্বান জানিয়েছিন। বেইজিংয়ের দাবির উল্লেখ করে যে গণতান্ত্রিক স্ব-শাসিত দ্বীপ তাইওয়ান, তার ভূখণ্ডের অংশ চীনের সঙ্গে একত্রিত হতে বাধ্য, প্রয়োজনে বল প্রয়োগ করে হলেও।
আরও পড়ুন: সৌদিতে ২০২৪ সাল থেকে ওষুধ উৎপাদন করবে বেক্সিমকো
১ বছর আগে