ঝুলছিল
ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলছিল ইমানার লাশ!
চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে ইমানা আক্তার নামে এক সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার বিকালে উপজেলার টামটা উত্তর ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামের মিয়াজী বাড়িতে ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: গোলাপগঞ্জে যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
মৃত ইমানা আক্তার ওই বাড়ির ইব্রাহিম খলিলের মেয়ে। সে আশরাফপুর গণিয়া ইসলামিয়া ফাযিল ডিগ্রি মাদরাসার সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
স্বজনরা জানান, ইমানা আক্তার কিছুদিন ধরে মানসিক ভারসাম্যহীন রোগে ভুগছিল। শনিবার বিকালে হঠাৎ করে পরিবারের সকলের অগোচরে ঘরের আড়ার সঙ্গে ওড়না প্যাঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।
শাহরাস্তি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মান্নান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গলায় ফাঁস দিয়ে ইমানার মৃত্যু হয়েছে। খবর পেয়ে লাশ থানায় এনে রবিবার সকালে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। মামলা হয়েছে। ঠিক কি কারণে এ আত্মহনন তা জানা যায় নি।
আরও পড়ুন: চবি ক্যাম্পাসের বাসা থেকে প্রবাসীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
ধানখেত থেকে তরুণীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার
২ বছর আগে
জানালার গ্রিলের সঙ্গে ঝুলছিল গৃহবধূর লাশ!
সিলেটে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মহানগরীর শাহপরান থানাধীন টুলটিকর এলাকায় নিজ বাড়ির জানালার গ্রিল থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত রাজমিন বেগম (৪০) ওই এলাকার মিয়াবাগের বন্ধন হাউসের নাছির উদ্দিনের স্ত্রী এবং তিন সন্তানের জননী। তিনি একই এলাকার মিরাপাড়ার (মৃত) ইছন মিয়ার মেয়ে।
প্রতিবেশীরা জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সন্তানরা ঘরে টেলিভিশন দেখছিল। হঠাৎ তারা তাদের মাকে (রাজমিন) ঘরের জানালার গ্রিলের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় ঝুলতে দেখে। এসময় তাদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা এসে ওড়না খুলে রাজমিনের ঝুলন্ত দেহ নামান। পরে খবর পেয়ে তার স্বামী সবজি ব্যবসায়ী নাছির উদ্দিন শ্যালককে নিয়ে বাসায় এসে রাজমিনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। তবে হাসপাতালে যাওয়ার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানান চিকিৎসকরা।
আরও পড়ুন: খুলনায় কলেজছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
পুলিশের ধারণা, রাজমিন বেগম (৪০) নামের ওই গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন। তবে তার বাবার বাড়ির লোকজনের দাবি স্বামীর নির্যাতনে তার মৃত্যু হয়েছে।
রাজমিনের চাচা রুহুল আমিন বলেন, খবর পেয়ে আমরা দ্রুত হাসপাতালে এসে রাজমিনকে মৃত দেখতে পাই। আমাদের ধারণা, রাতের কোনো এক সময় আমার ভাতিজিকে নাছির উদ্দিন মারধর করে। এতে সে মারা যায়। আর সকালে অসুস্থতার নাটক করে নাছির উদ্দিন আমার ভাতিজিকে হাসপাতালে নিয়ে আসে।
তিনি জানান, গত কয়েকমাস ধরে নাছির উদ্দিন আরেকটি বিয়ে করবে বলে আমার ভাতিজির সম্মতি নিতে চাপ দিচ্ছিল। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কলহের সৃষ্টি হয়। এর আগেও রাজমিনকে মারধর করেছে নাছির উদ্দিন।
নাছির মৃত রাজমিনের লাশের ময়না তদন্ত করাতে ইচ্ছুক নয় বলেও জানান রুহুল আমিন।
তিনি বলেন, আমাদের দাবি- ময়না তদন্তের মাধ্যমে মৃত্যুর সঠিক কারণ বের করে নাছিরকে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা হোক।
এ বিষয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হবে বলে জানান তিনি।
প্রাথমিকভাবে রাজমিন আত্মহত্যা করেছেন বলে জানা গেছে বলে জানিয়েছেন শাহপরাণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আনিসুর রহমান। তিনি জানান, সন্তানেরা তার দেহ জানালায় ঝুলতে দেখে চিৎকার করে। পরে প্রতিবেশীরা এসে দেহটি নামান।
লাশের ময়না তদন্তের জন্য ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালের মর্গে নেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: পুকুরে মিলল গলায় পাটা বাঁধা অবস্থায় গৃহবধূর লাশ!
উঠানের আম গাছে ঝুলছিল যুবকের লাশ!
২ বছর আগে
বাঁশঝাড়ে ঝুলছিল বৃদ্ধের লাশ!
বগুড়ার কাহালুতে বাঁশঝাড় থেকে বৃদ্ধের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার সকালে উপজেলার পিলকুঞ্জ ফকিরপাড়া গ্রামের ওই বাঁশঝাড় থেকে গলায় রশি লাগানো অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত মকবুল হোসেন (৯০) ওই গ্রামের মৃত জোহর উদ্দিনের ছেলে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় বৃদ্ধ মকবুল বাড়ি থেকে বের হয়ে আর বাড়িতে ফিরে আসেনি। শনিবার সকাল ১০টায় ফকিরপাড়া উজ্জলের বাঁশঝাড়ে গাছের সঙ্গে গলায় রশি লাগানো অবস্থায় তার লাশ দেখে পুলিশকে জানানো হয়। পুলিশ খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জোবায়ের হোসেন সবুজ জানান, পারিবারিক অশান্তির কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
কাহালু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমবার হোসেন জানান, বৃদ্ধের ছেলেরা জানিয়েছেন পেটের ব্যথার কারণে আত্মহত্যা করেছেন। তারপরও বিষয়টি পরিস্কার হওয়ার জন্য ইউডি মামলা নিয়ে ময়না তদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: বরিশালে নির্মাণাধীন ভবনের ছাদে যুবকের ঝুলন্ত লাশ
২ বছর আগে