পর্দা
ইউরোপিয়ান চলচ্চিত্র উৎসব ২০২৩-এর পর্দা উঠছে
তরুণ ইউরোপিয়ান ও বাংলাদেশি চলচ্চিত্র নির্মাতাদের প্রতিভা প্রদর্শন করে রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে শুরু হয়েছে পাঁচ দিনব্যাপী ইউরোপীয় চলচ্চিত্র উৎসব।
‘এ সেলিব্রেশন অব ইউরোপিয়ান অ্যান্ড বাংলাদেশি ইয়ং সিনেমা’- ট্যাগলাইন নিয়ে বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) আয়োজিত এই উৎসবের প্রধান সহযোগী হিসেবে দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকা।
রবিবার সন্ধ্যায় ঢাকায় ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির পরিচালনায় একটি চমকপ্রদ আলোচনা পর্বের মাধ্যমে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হয়।
আরও পড়ুন: আর পারছি না রাষ্ট্র: ওমর সানি
'চলচ্চিত্রে তারুণ্য'- শীর্ষক আলোচনায় অংশ নেন প্রথম আলোর নির্বাহী সম্পাদক ও কবি সাজ্জাদ শরীফ, প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা অমিতাভ রেজা চৌধুরী এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভিজ্যুয়াল নৃবিজ্ঞান ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও চলচ্চিত্র কর্মী সিমিন ইবনাত ধরিত্রী।
প্যানেল আলোচনায় সাজ্জাদ শরীফ বলেন, ‘আমাদের চলচ্চিত্র শিল্পের জন্য এমন একটি আনন্দময় সময়ে এই উৎসবটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবং আমাদের তরুণ চলচ্চিত্র নির্মাতারা সমাজের অজানা অভিজ্ঞতা উপস্থাপন করে নতুন ভাষার সন্ধান করছেন। তারা আমাদের সিনেমার বাধাগুলো পরিবর্তন করার জন্য উন্মুখ। এই ধরনের উৎসব আমাদের গাইড করতে এবং সাহায্য করতে পারে।’
চলচ্চিত্র নির্মাতা অমিতাভ রেজা চৌধুরী বলেন, ‘আমি যখনই আমাদের নতুন প্রজন্মের লোকদের জিজ্ঞেস করি, তাদের অধিকাংশই বলে যে তারা দেশ ছেড়ে চলে যেতে চায়। আমাদের এমন একটি পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে, যাতে দেশে তারা তাদের প্রতিভা দিয়ে উন্নতি করতে পারে। যদি আমাদের সিনেমা আমাদের গল্প বলতে না পারে বা আমাদের জীবন এবং আমাদের নিজস্ব প্রেক্ষাপটের সঙ্গে অনুরণিত না হতে পারে, তবে এই সমস্যাটি আমাদের মাঝে থেকেই যাবে এবং আমাদের নতুন প্রজন্মের চলচ্চিত্র নির্মাতাদের গাইড করার জন্য আমাদের বিশ্বব্যাপী চলচ্চিত্র প্রশিক্ষক-সহযোগীদের সমর্থন প্রয়োজন।’
সাইমন ইবনাত ধরিত্রী বলেন, তরুণদের জীবনে সিনেমার প্রভাব খুবই প্রবল এবং সিনেমা দর্শকদের বিনোদনের পাশাপাশি বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা ও সামাজিক সচেতনতার ক্ষেত্রেও কার্যকর হতে পারে।
উদ্বোধনী প্যানেল আলোচনার পর ডাচ চলচ্চিত্র ‘ম্যালি ক্যান ফ্লাই’ প্রদর্শনের মাধ্যমে উৎসবের চলচ্চিত্র প্রদর্শন শুরু হয়।
এরপর প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান এই চলচ্চিত্র উৎসব আয়োজনের জন্য বাংলাদেশে ইইউ দূতাবাসের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, গোয়েথে-ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ, অ্যালায়েন্স ফ্রাঙ্কেস ডি ঢাকা এবং ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশসহ সহযোগী আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান।
এর আগে উৎসব কর্তৃপক্ষ সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে ইউরোপ ও বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যকে সমৃদ্ধ করতে তরুণ চলচ্চিত্র নির্মাতাদের নিয়ে একটি 'মাস্টারক্লাস' আয়োজন করেছিল।
গত শুক্র ও শনিবার পরিচালক সৈয়দা নিগার বানু, চিত্রগ্রাহক অপু রোজারিও এবং চলচ্চিত্র নির্মাতা অমিতাভ রেজা চৌধুরী এবং পিপলু আর খান ঢাকার ব্রিটিশ কাউন্সিলে মাস্টারক্লাস পরিচালনা করেন।
রবিবার উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব প্রশিক্ষককে সম্মাননা দের ঢাকায় ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি ও প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান।
উৎসবের অংশ হিসেবে একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয় এবং চলচ্চিত্র নির্মাতাদের তিনটি বিভাগে সম্মানিত করা হয়। তরুণ পরিচালক মোস্তফা মনোয়ার তার ‘যাত্রী’ ছবির জন্য সেরা গল্পের পুরস্কার পেয়েছেন এবং ‘আশ্লেষা’ ছবির জন্য সেরা পরিচালকের পুরস্কার পেয়েছেন আকিব মাহমুদ।
উৎসবে মেহেদী হাসান জোসেফের স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘পোস্টার’ সেরা চলচ্চিত্রের মর্যাদা পায় এবং চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর মাধ্যমে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।
বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন ঢাকায় নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি, প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান এবং চরকি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেদোয়ান রনি।
২৩শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে চলচ্চিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। যার মধ্যে রয়েছে অ্যালায়েন্স ফ্রাঙ্কেস ডি ঢাকা, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট, ডাচ ক্লাব, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহীর বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় এবং ময়মনসিংহের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে।
আরও পড়ুন: নেটফ্লিক্সে বাঁধনের ‘খুফিয়া’ আসছে ৫ অক্টোবর
বিরতির পর ফিরছেন পরীমণি
১ বছর আগে
এমআর নাইন: পর্দায় অবহেলিত ‘মাসুদ রানা’
গোয়েন্দা গল্পনির্ভর সিনেমা দেখার আগে একটু স্থির হয়ে বসতে হয়। যেন কোনো দৃশ্য পাশ কাটিয়ে না যেতে পারে। আর মূল ঘটনা শুরুর পর যেন এক ধাঁধা মেলানো খেলা চলতে থাকে মাথায়। আর পরতে পরতে উত্তেজনা তো আছেই।
যেই প্রসঙ্গে এতো কথা বলা তার কারণ সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া ‘এমআর নাইন: ডু অর ডাই’ সিনেমাটি। একে তো বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত এতো বড় বাজেটের সিনেমা হয়নি, তার ওপর এটি কাজী আনোয়ার হোসেনের কালজয়ী সৃষ্টি মাসুদ রানাকে নিয়ে। এই সিনেমা নিয়ে আলোচনায় আরও বেশি করে ঘি ঢালা হয়েছে হলিউডের যৌথ প্রযোজনার প্রসঙ্গ টেনে।
সিনেপ্লেক্সের সিটে বসে অপেক্ষা শেষে শুরু হলো ‘এমআর নাইন: ডু অর ডাই’। মাসুদ রানা সিরিজের ‘ধ্বংস পাহাড়’ গল্প অবলম্বনে এই সিনেমা। তবে বলে রাখি সিনেমায় গল্পটিকে হুবুহু তুলে ধরা হয়নি।
১৯৬৬ সালে প্রকাশ হওয়া সেই গল্পকে আধুনিক সময়ে রূপ দেওয়া হয়েছে। যারা বইয়ের সঙ্গে মিল রেখে সিনেমাটিকে প্রত্যাশা করবেন তাদেরকেই মূলত জানিয়ে রাখা।
একটি হলিউডের সিনেমা দেখতে বসলে পর্দায় ঠিক যা আপনার চোখে আসে প্রায় একই আবহে শুরু হয় ‘এমআর নাইন: ডু অর ডাই’। গল্পটি শুরু হয় আমেরিকা থেকে।
আরও পড়ুন: প্রীতম-ফারিণ জুটির সিনেমা 'কাছের মানুষ দূরে থুইয়া’
এরপর পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ ঘুরে শেষ হবে সেখানেই। প্রথম দিকে দর্শকরা পরিচিত হবেন দুজন সিআই এজেন্টের সঙ্গে। যেই চরিত্র দুটিতে অভিনয় করেছেন নিকো ফস্টার ও মাইকেল জ্য হোয়াইট।
একজন লোকাল ড্রাগ ডিলারকে ধরতে সিআই এজেন্টের এক মিশন দিয়ে যেভাবে সিনেমাটা শুরু হয় ততক্ষণে একটু স্থির হয়ে চোখ শুধু পর্দায় রাখলাম। মনেই হচ্ছে না বাংলাদেশের কোনো সিনেমা দেখছি।
লোকেশন, ফ্রেমিং, অ্যাকশন সব মিলিয়ে দর্শকদের মুগ্ধ না হয়ে হয়তো উপায় থাকবে না। আর সঙ্গে আবহ সঙ্গীত দিয়ে শুরুর কিছুক্ষণ পর্দা থেকে চোখ সরানো ফুসরত পাওয়া যাবে না।
এই আবহ সঙ্গীতটি তৈরি করেছেন ভারতীয় বংশোদ্ভুত আমেরিকান সঙ্গীত পরিচালক রিকি কেজ। যার হাতে এখন পর্যন্ত ৩টি গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড উঠেছে। ‘এমআর নাইন: ডু অর ডাই’ তে তার মুন্সিয়ানার পরিচয় বেশ ভালোভাবেই পাওয়া যায়। তবে কিছু জায়গায় এতো একটু কানের আরাম পেলে ভালো হতো!
পরিচালক আসিফ আকবরের অভিষেক হিসেবে সিনেমার শুরুটা প্রশংসার দাবি রাখে। শুরুর এই মুগ্ধতা নিয়ে মাসুদ রানার পর্দায় কখন আসবে সেই অপেক্ষা তখনও। তবে মূল চরিত্রকে নির্মাতা বেশিক্ষণ আর আড়ালে রাখলেন না। সিআই এজেন্টদেরও তখন মিশন সফল করতে প্রয়োজন মাসুদ রানাকে।
এক জঙ্গলে দেখা মিললো মাসুদ রানার। এই চরিত্রে অভিনয় করেছেন এবিএম সুমন। ‘ঢাকা অ্যাটাক’ দিয়ে শুরু হয় তার পরিচিতি। তবে মূল চরিত্র হিসেবে ‘এমআর নাইন: ডু অর ডাই’ তার প্রথম মুক্তি পাওয়া সিনেমা।
বড়পর্দায় প্রথম মূল চরিত্রে কাস্ট হওয়াটা ক্যারিয়ারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ। তাও এখানে দুটি বিষয় খুবই বিবেচনা করা মতো। এক, মাসুদ রানা একটি বিখ্যাত চরিত্র। সেই গোয়েন্দা হয়ে পর্দায় আসা এবং দর্শকদের গ্রহণ যোগ্যতা। অন্যটি, এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের সবচেয়ে বিগ বাজেটের সিনেমা।
এই প্রসঙ্গগুলোর ব্যাখ্যায় যাওয়ার আগে চলুন একটু দেখে নিই পর্দার মাসুদ রানা কেমন ছিল।
গোয়েন্দা গল্পনির্ভর সিনেমার প্রাণ মূল চরিত্র। মানে এখানে মাসুদ রানা। স্বাভাবিকভাবেই প্রত্যাশা ছিল তার ওপর থেকে চোখ সরানো যাবে না। কিন্তু নির্মাতা তার ওপর চোখই রাখতে দিলেন না। এখনও শুরুর কথা বলছি।
প্রথম দৃশ্যেই এবিএম সুমন এক প্রাণহীন মাসুদ রানা হিসেবে পর্দায় এলেন। শুধু যেটুকু ছিল সেটি তার এক্সপ্রেশনে গোয়েন্দা লুক আনার চেষ্টা। আর তার অস্ত্র গোছানো। এরপরই সেই দৃশ্য শেষ। তার কিছুক্ষণ পর বাংলাদেশের বিসিআইএর অফিসে দেখা যায় আমেরিকা থেকে আসা সিআই এজেন্ট পল টেইলরকে (নিকো ফস্টার)।
এর মাঝে হলিউড বা বলিউডের সেই পুরোনো ঢংয়ে এক মিশনে মাসুদ রানার একটি অ্যাকশন দৃশ্য ফ্ল্যাশব্যাকে দেখানো হলো। সেখানে কিছুটা মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা ছিল সুমনের। তবে তার আশেপাশে সবাই যখন এত ভালো পারফর্মেন্স দেখাচ্ছে সেখানে তিনি যেন ঢাকা পড়ে যাচ্ছিলেন।
এতক্ষণ পর্যন্ত প্রায় ২০ মিনিট চলে গেলেও মাসুদ রানার মধ্যে কোনো প্রাণ পাওয়া গেল না। অথচ গোয়েন্দা গল্পের সিনেমায় মূল চরিত্রের বিভিন্ন সংলাপ, তার বুদ্ধিচর্চা, মিশন নিয়ে তার অবজারভেশন এসবই যেন মুগ্ধ করে দর্শককে। অথচ সিনেমার মাসুদ রানার মুখে নেই কোনো শক্তিশালী সংলাপ, নেই তার অভিনয়ের কোনো জায়গা।
আরও পড়ুন: বিশ্বব্যাপী মুক্তির দিন বাংলাদেশে 'জাওয়ান’
খুব অবহেলায় এন্ট্রি হলো মাসুদ রানার। তবে তখনও আশা তো থেকে যায়। শত হলেও মাসুদ রানা। হতে পারে আমেরিকায় গিয়ে সব চমকের খোলাসা হবে।
আমেরিকায় এক সেফ হাউজে রাখা হয় মাসুদ রানাকে। এই মিশনে তাকে নিয়ে আসার মূল কারণ তার দক্ষতা অথচ পুরো সিনেমায় কয়েকটি অ্যাকশন দৃশ্যছাড়া মাসুদ রানাকে খুঁজে পাওয়া যাবে না। মূল চরিত্রকে পরিচালক কেন এত কম সময় পর্দায় রাখলেন সেটি প্রশ্নবিদ্ধের বিষয়।
তবুও এবিএম সুমন সেটুকু সুযোগ পেয়েছেন সেখানে অভিনয়ের দক্ষতাটা প্রমাণ করতে পারলে হয়তো তাকে নিয়েও কয়েকটি প্রশংসার লাইন লেখা যেত।
যদি ‘এমআর নাইন: ডু অর ডাই’ প্রোডাকশনের প্রযুক্তিগত দিকের কথা বলি, সেখানে পরিচালক শুধুমাত্র বাজেটের কারণে উতরে গেছেন। কিন্তু পরিচালক হিসেবে প্রশংসা পেতে হলে সিনেমায় গল্পের মালা গাঁথাটা জানতে হয়। তবে প্রথম পরিচালনা হিসেবে নির্মাতা আসিফ আকবের চেষ্টার প্রশংসা করতে হয়।
আমেরিকায় আসার পর সিআইয়ের সঙ্গে এক ড্রাগ ডিলারকে ধরার মিশনে নামেন মাসুদ রানা। সেই গল্প দেখানো হয়েছে সিনেমা। আর বইয়ের গল্পে যে ধ্বংসা পাহাড়কে দেখানো হয়েছে সেটি দেখা যাবে সিনেমার একবারে শেষ অংশে।
সিনেমার শেষটা হয় দীর্ঘ এক অ্যাকশন নিয়ে, তবে সেই অংশেও নৌকার বৈঠা পাননি এবিএম সুমন। হলিউডের অভিনয়শিল্পীদের দিয়ে মিশনের সফলতা দেখিয়েছেন পরিচালক। তাই বলা যায় পুরো সিনেমাতেই অবহেলিত ছিলেন মাসদ রানা।
লেখাটি শেষ করার আগে বাংলাদেশ থেকে অভিনয় করা কয়েকটি চরিত্র নিয়ে বলা যাক।
সিনেমায় অল্প সময়ের জন্য আমেরিকার অংশে দেখা যাবে আনিসুর রহমান মিলনকে। অনেকদিন পর পর্দায় তার ফেরাটা ছিল বড়কিছু দিয়েই। আর এখানে তিনি অভিনেতা হিসেবে তার মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন। তবে পর্দায় তাকে বেশিক্ষণ থাকার সুযোগ দিলেন না পরিচালক।
অন্যদিকে গল্পের প্রয়োজনে বিভিন্ন দৃশ্যে অভিনয় করেছেন শহীদুল আলম সাচ্চু। এমন একজন অভিনেতাকে আসিফ আকবর শুধু গ্রিন স্ক্রিনের দৃশ্যে আটকে রাখলেন বোঝা গেল না। তবে যেখান মূল চরিত্রে এতটা অবহেলিত সেখানে তাদের বিষয়টা তো আলোচনার বাইরেই চলে যায়।
আর আলোচনায় না থাকলেও পর্দায় নিজেকে বেশ ফুটিয়ে তুলেছেন মাসুদ রানার নায়িকা চরিত্রে অভিনয় করা ভারতীয় অভিনেত্রী সাক্ষী প্রধান। আর একটি দৃশ্যে দেখা যাবে থ্রি ইডিয়েটখ্যাত অভিনেতা ওমি বৈদ্যকে।
‘এমআর নাইন: ডু অর ডাই’কে বলা যায় শুধু বাজেট খরচের সিনেমা। যেখানে নেই গোয়েন্দা সিনেমার কোনো উত্তেজনা। গোয়েন্দাগীরির চেয়ে গল্পহীন অ্যাকশন সিনেমা হয়ে উঠেছে ‘এমআর নাইন: ডু অর ডাই’।
আরও পড়ুন: ক্যানবেরা মাতালো সোলস
১ বছর আগে
ঈদ উপলক্ষে হইচই’র পর্দায় ‘মহানগর-২’
‘মহানগর’ ওয়েব সিরিজ এদেশের ওটিটি কনটেন্টের বাজারে নতুন এক মাইলফলক। কলকাতার অনেক তারকা পর্যন্ত এর প্রশংসায় বুদ ছিলেন। এমনকি নির্মাতা আশফাক নিপুণকে ফোন করে সাধুবাদ জানিয়েছিলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়।
২০২১ সালের সবচেয়ে আলোচিত কনটেন্ট ছিল ‘মহানগর’। ধারণা করা হচ্ছিল ২০২২ সালে মুক্তি পাবে ওয়েব সিরিজটির দ্বিতীয় কিস্তি। সেই অপেক্ষায় ছিলেন দর্শক। কিন্তু তা আর হলো না।
আরও পড়ুন: শিবলী-নিপা ও দেড় শতাধিক নৃত্যশিল্পী নিয়ে ইত্যাদি’র ত্রিমাত্রিক নৃত্য
সেই অপেক্ষা শেষ হচ্ছে এবার রোজার ঈদে। বিশেষ দিনকে কেন্দ্র করেই ২০ এপ্রিল হইচই-এ ‘মহানগর-২’ মুক্তির ঘোষণা এলো। সেটি ফেসবুকে পোস্টের মাধ্যমে জানালেন নির্মাতা নিজেই।
‘মহানগর-২’ নিয়ে ইউএনবির সঙ্গে আলাপকালে আশফাক নিপুণ বলেন, ‘মহানগর আমার প্রথম ওয়েব সিরিজ। আর এটির প্রথম কিস্তি যখন বানাই তখন এতটা চাপ ছিল না। কিন্তু এটি দর্শকদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পাওয়ায় পর দ্বিতীয় কিস্তি নির্মাণে এক ধরনের চাপ তো কাজ করেছে। সেজন্যই একটু বেশি সময় নেওয়া। চেষ্টা করেছি মহানগর-২-এ দর্শকের প্রত্যাশা পূরণ হবে।’
আশফাক নিপুণ পরিচালিত ‘মহানগর-২’-এ মোশাররফ করিম ছাড়াও অভিনয় করেছেন মোস্তাফিজুর নূর ইমরান, জাকিয়া বারী মম, শ্যামল মাওলা,নাসির উদ্দিন খান, খায়রুল বাসার প্রমুখ।
আরও পড়ুন: নিপুণকে চিঠির জবাব দিলেন জায়েদ খান
যে পরিশ্রম করছি দর্শক তা পর্দায় দেখতে পাবে: নিশো
১ বছর আগে
যে পরিশ্রম করছি দর্শক তা পর্দায় দেখতে পাবে: নিশো
বাংলা সিনেমায় আফরান নিশোর অভিষেক হতে যাচ্ছে ‘সুড়ঙ্গ’ দিয়ে। ছোটপর্দায় তার ব্যাপক জনপ্রিয়তার সুফল যে তিনি বড়পর্দায় পাবেন তা ভক্তদের আগ্রহ প্রমাণ করে। তবে সিনেমাটি মুক্তির খবর পেতে আরও অপেক্ষা করতে হবে। কারণ এখনও শুটিং নিয়েই ব্যস্ত ‘সুড়ঙ্গ’ সংশ্লিষ্ট সবাই।
‘সুড়ঙ্গ’ পরিচালনা করছেন রায়হান রাফি। মার্চের প্রথম সপ্তাহের দিকেই শুরু শুটিং হয়েছে। এতে নিশোর সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন চিত্রনায়িকা তমা মির্জা।
প্রথম সিনেমায় কাজ করার চলমান অভিজ্ঞতা নিয়ে নিশো ইউএনবিকে বলেন, ‘প্রথম সব কাজের অভিজ্ঞতা ভিন্ন থাকে। আর সেটি সিনেমা হলে তো অনেক কিছুই নতুন করে বুঝে কাজ করতে হচ্ছে। সিলেট সুনামগঞ্জের দুর্গম এলাকায় শুটিং করেছি। সবার থাকা খাওয়ার কষ্ট হয়েছে। তবে সেগুলোর কোনো ছাপ পর্দায় পড়তে দেননি সিনেমার পরিচালক।’
নিশো আরও বলেন, ‘রাফির সঙ্গে এইটা আমার প্রথম কাজ। আমি সব সময় চেষ্টা করি পরিচালকের সঙ্গে আরাম করে কাজ করতে। এজন্য আমরা অনেক আলোচনা করে জেনে-বুঝে কাজটা করেছি। যে পরিশ্রম করছি সেটা দর্শক পর্দায় তা দেখতে পাবে।’
আরও পড়ুন: দারাজের নতুন ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হলেন নিশো ও মেহজাবীন
আফরান নিশোর প্রথম সিনেমার মহরত
১ বছর আগে
ওটিটির পর্দায় প্রথমবারের মতো মিশা সওদাগর
বড় পর্দায় ক্যারিয়ারের দীর্ঘ সময় পার করেছেন মিশা সওদাগর। এখনও নিয়মিত ব্যস্ত এই অভিনেতা। এবার তার অভিষেক হতে যাচ্ছে ওটিটির পর্দায় বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টম্বর) তানিম পারভেজ পরিচালিত চরকি লিমিটেড সিরিজ ‘যদি আমি বেঁচে ফিরি’ সিরিজটি মুক্তি পাবে চরকিতে।
একজন দুর্নীতিগ্রস্ত প্রকৌশলী তার স্ত্রী ও বান্ধবীর সঙ্গে সম্পর্ক ঠিক রাখতে হিমশিম খাচ্ছেন। তাই তিনি বান্ধবীকে উপহার দেন একটি ফ্ল্যাট। একদিন হঠাৎ বান্ধবীর জন্য কেনা অ্যাপার্টমেন্টের লিফটে আটকা পড়েন সেই প্রকৌশলী। এই দুর্নীতিগ্রস্ত প্রকৌশলীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন মিশা সওদাগর।
আরও পড়ুন: ‘গ্যাংস্টা'স প্যারাডাইস’ র্যাপার কুলিও মারা গেছেন
প্রথমবার ওটিটির জন্য কাজ করার অভিজ্ঞতা কেমন ছিল সেটা জানিয়ে মিশা সওদাগর বলেন, ‘নতুন জায়গায় গেলে বা নতুন কারো সঙ্গে পরিচয় হলে সেটার অভিজ্ঞতা ভিন্ন রকম থাকে। চরকির ক্ষেত্রেও আমার তেমনটা মনে হয়েছে। আর চরকি তো এরই মধ্যে তার কর্মফল দিয়ে মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছে। কাজটা করার আগে থেকেই ফোকাস ছিলাম যে ভালো একটা প্ল্যাটফর্মের জন্য কাজ করতে যাচ্ছি। আমি যতটুকু পেরেছি আমার সিরিয়াসনেসকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘গল্পটা দারুণ একটা হিউম্যান সাইকোলজির উপর। আর চরিত্রটা ছিল খুব বাস্তবসম্মত, দেখে মনে হবে খুব কাছের বা আপনার আশেপাশের একটা চরিত্র। আরোপিত কোনো চরিত্র না। আর এই গল্পটার মধ্যে অনেক বার্তা আছে যেটা দর্শক দেখলে বুঝতে পারবে।’
শ্যুটিংয়ের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে তিনি বলেন, ‘এখন তো শ্যুট শেষ একটা জিনিস শেয়ার করতেই পারি। আমি ক্লাস্টোফোবিয়ার রোগী। লিফট, বেজমেন্টে, হাইট, অন্ধকারে গেলে আমার হাত-পা কাঁপতে থাকে। যখন আমি শুনলাম যে লিফটের মধ্যের গল্প তখন থেকেই চিন্তায় ছিলাম। পরে তো ভালো মতোই কাজটা শেষ করলাম।’
‘যদি আমি বেঁচে ফিরি’-তে বলা যায় অনেক প্রথমের সমন্বয়, কেননা মিশা সওদাগর বাদেও বিজরী বরকতউল্লাহ, দিলরুবা হোসেন দোয়েল ও পরিচালক তানিম পারভেজসহ সকলের চরকিতে এটা প্রথম কাজ।
আরও পড়ুন: ঢাকায় কোরিয়ান লাইভ মিউজিক কনসার্ট ১ অক্টোবর
ইডি’র মামলায় অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেলেন জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ
২ বছর আগে
নেটফ্লিক্সের পর্দায় বলিউডে বাঁধনের প্রথম ঝলক
‘রেহেনা মরিয়ম নূর’-এর ব্যাপক সফলতার পর আজমেরি হক বাঁধনের আরও একটি চমক ছিল বলিউডের সিনেমায় অভিনয়। সেটি নিয়ে অনেক জল্পনার মধ্য দিয়ে গিয়েছিল সময়টা। মুম্বাইয়ে শুটিং শেষে সেই অভিজ্ঞতার কিছুটা জানিয়েছিলেন এই অভিনেত্রী।
‘খুফিয়া’ শিরোনামে সিনেমাটির পরিচালক বিশাল ভরদ্বাজ। সোমবার (২৯ আগস্ট) রিলিজ হলো ‘খুফিয়া’র টিজার।
আরও পড়ুন: নেটফ্লিক্সের জন্য চিত্রনাট্য লিখছেন মেঘ
টিজারটি রিলিজ করেছে নেটফ্লিক্স। যেখানে এক ঝলক দেখা গেল বাঁধনকে। শাড়ি পরে রহস্যজনক এক লুকে দেখা দিয়েছেন তিনি। টিজারের শুরুতে দেখা গেছে সিনেমাটির মূল চরিত্রে অভিনয় করা বলিউড তারকা টাবুকে। এছাড়াও ছিলেন আলী ফজল, আশিষ বিদ্যার্থী।
একটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে ‘খুফিয়া’। যার চিত্রনাট্য তৈরি হয়েছে লেখন অমর ভুশান-এর ‘এস্কেপ টু নো হোয়ার’ থেকে।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘ বিরতির পর আজমেরি হক বাঁধন ফিরেছিলেন ‘রেহেনা মরিয়ম নূর’ দিয়ে। এরপরই ক্যারিয়ারের সবচেয়ে সুসময় শুরু হলো তার। এই আলোচনা শেষ না হতেই মুক্তি পায় কলকাতার প্রথম ওয়েব সিরিজ ‘রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি।’ যেটির পরিচালক ছিলেন সৃজিত মুখার্জি। এরপরই বাঁধনের বলিউড যাত্রা।
আরও পড়ুন: মাধবন ও সুর্ভিন চাওলা অভিনীত নেটফ্লিক্স ওয়েব সিরিজ ‘ডিকাপল্ড’
রেড নোটিশ: নেটফ্লিক্সের ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যয়বহুল মুভি
২ বছর আগে