দৃষ্টিনন্দন
কর্ণফুলী নদীর তীর ঘেষে হবে দৃষ্টিনন্দন বিনোদন পার্ক ও খেলার মাঠ
চট্টগ্রাম মহানগরীতে কর্ণফুলী নদীর তীর ঘেষে গড়ে তোলা হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন বিনোদন পার্ক ও খেলার মাঠ। নগরীর ফিরিঙ্গিবাজারে বিশাল এলাকা জুড়ে এসব পার্ক ও খেলার মাঠ বাস্তবায়নে যৌথ উদ্যোগে কাজ করছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) ও জেলা প্রশাসন।
কর্ণফুলী নদীর তীরবর্তী উন্মুক্ত সরকারি খাস জমিতে অপদখল ও নদী দূষণ প্রতিরোধে প্রায় ১২ দশমিক ৪৫ একর সরকারি খাস জমিতে নির্মিত হতে যাওয়া এই প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে ‘কর্ণফুলী লুকআউট’।
এখানে পার্ক ও খেলার মাঠ গড়ে উঠলে কর্ণফুলী নদীর তীর দখল ও দূষণের কবল থেকে রক্ষা পাবে এমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
আরও পড়ুন: শাহবাগ শিশু পার্ক: আধুনিকায়নের নামে ৩ বছরের বেশি সময় বন্ধ
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের কার্যালয় সূত্র জানায়, নগরবাসীর চিত্ত বিনোদনের চাহিদা পূরণ এবং কর্ণফুলী নদীর অপার সৌন্দর্য উপভোগের সুযোগ করে দিতে জেলা প্রশাসক চট্টগ্রাম আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের উদ্যোগে কর্ণফুলী নদী তীরবর্তী উন্মুক্ত সরকারি খাস জমির দখল প্রতিরোধে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এ পার্কে থাকবে ফেরিস হুইল (বিশালাকার নাগরদোলা)। থাকবে কিডস্ জোন থেকে শুরু করে বিনোদনের নানা উপকরণ। প্রকল্পটি ব্যয় ধরা হয়েছে পাঁচ কোটি টাকা। প্রকল্পটি হবে কর্ণফুলী নদীর পাশ ঘেঁষে বিআইডব্লিউ ঘাট থেকে সদরঘাট পর্যন্ত। পার্কের পাশাপাশি থাকবে খেলার মাঠও। এ ছাড়া চিত্তবিনোদনের জন্য টেনিস, বাস্কেটবল, ভলিবল কোর্ট, ক্লাব হাউস তৈরি করা হবে। থাকবে- মুক্তমঞ্চ, বোট মিউজিয়াম, কিডস্ জুন, ফুট কোর্ট, পার্কিং, পিকনিক স্পট ও ওয়াকওয়ে।
আরও পড়ুন: সাফারি পার্কে মারামারিতে আঘাত পেয়ে হাতির মৃত্যু
১ বছর আগে
বসবাস উপোযোগী দৃষ্টিনন্দন ঢাকা গড়ে তুলতে সকলকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, সকল শ্রেণির মানুষের জন্য সুন্দর ও নিরাপদ জীবন যাপনের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। সবার জন্য বসবাস উপোযোগী দৃষ্টিনন্দন ঢাকা গড়ে তুলতে সকলকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্ত সকল শ্রেণির মানুষ ঢাকায় বসবাস করে। তাই সবার বিষয়কে বিবেচনায় রেখেই ঢাকাকে গড়ে তুলতে হবে।
বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে সেন্টার ফর আরবান স্টাডিজ, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ এবং ইউএন হ্যাবিট্যাট এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, যেকোন শহরেই সকল শ্রেণির মানুষের প্রয়োজন রয়েছে। একইভাবে রাজধানী ঢাকায়ও সকল শ্রেণির মানুষের প্রয়োজন রয়েছে। তাই সকল শ্রেণির মানুষের জন্য সুন্দর ও নিরাপদ জীবন যাপনের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। রাজধানীতে শ্রেণিভেদে মানুষের আয়ের তারতম্য রয়েছে। পানি, গ্যাস, বিদ্যুৎসহ অন্যান্য ইউটিলিটি সার্ভিসের মূল্য নির্ধারণে মানুষের আয়ের বিষয়কে বিবেচনায় রাখতে হবে। এজন্য জোনভিত্তিক পানি, গ্যাস, বিদ্যুৎসহ অন্যান্য ইউটিলিটি সার্ভিসের দাম নির্ধারণ করা যৌক্তিক।
আরও পড়ুন: নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন ও সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
তিনি জানান, গুলশান, বারিধারা, বনানীসহ অভিজাত এলাকায় বসবাসরত মানুষ যে নাগরিক সুযোগ সুবিধা ভোগ করেন যাত্রাবাড়ী অথবা পুরান ঢাকার মানুষ তা পায় না। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সমতাভিত্তিক উন্নয়নের কথা বলেছেন। সমাজ ও মানুষের মধ্যে বৈষম্য প্রতিষ্ঠিত করার জন্য বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীন করেননি বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, নগরে মানুষের অভিবাসন কমাতে হলে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থানসহ অন্যান্য নাগরিক সুবিধা গ্রামে পৌঁছে দিতে হবে। এজন্য বর্তমান সরকার প্রতিটি গ্রামকে শহরে পরিণত করার নির্বাচনী অঙ্গীকার করেছে এবং সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। মানুষ গ্রামেই উন্নত সকল সুযোগ-সুবিধা পেলে শহরমুখী হবে না।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বৈশ্বিক জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় কাজ করে ব্লুমবার্গ ফিলানথ্রপিস অ্যাওয়ার্ড-২০২২ অর্জন করায় প্রধানমন্ত্রী ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
ঢাকা শহরে উন্মুক্ত স্থান ও গাছপালা ধ্বংস করে একের পর এক ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। নগরে অপরিকল্পিতভাবে স্থাপনা করা হচ্ছে।
মেয়র বলেন, এগুলো কেন করা হচ্ছে, কার পরামর্শে হচ্ছে? সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। এখন সময় এসেছে নগরে ভবন নির্মাণ করতে গেলে অবশ্যই সিটি করপোরেশনের অনুমতি নিতে হবে। সবুজ এলাকা ও উন্মুক্ত স্থান ধ্বংস করে কিছু করতে দেয়া হবে না এবং আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা ভাবতে হবে।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান পরিকল্পনাবিদ মাকসুদ হাসেম। অন্যান্যের মধ্যে সেন্টার অব আরবান স্টাডিজের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, জাতিসংঘ উন্নয়ন বাংলাদেশের প্রকল্প ব্যবস্থাপক, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নিবার্হী কর্মকর্তাসহ বিশিষ্টজন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: পানির অপচয় রোধে রিসাইক্লিং করার উদ্যোগ নিতে হবে: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
রাজধানীর প্রত্যেক বাসা-বাড়িতে সেপটিক ট্যাংক থাকতে হবে: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
২ বছর আগে
কুমিল্লায় দৃষ্টিনন্দন ‘সাত গম্বুজ মসজিদ’
কুমিল্লার দেবিদ্বারের গুনাইঘর গ্রামের ঐতিহ্যের নিদর্শন হয়ে দাঁড়িয়ে আছে গুনাইঘর সাত গম্বুজ মসজিদ। স্বতন্ত্র নির্মাণ শৈলী ও নান্দনিকতার জন্য বহু দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ ভিড় জমায় মসজিদটি দেখতে আসে।
জানা গেছে, ২০০২ সালে শুরু হওয়া মসজিদটির নির্মাণ কাজ শেষ হয় ২০০৫ সালে। এতে রয়েছে চারটি মিনার ও সাতটি গম্বুজ।মসজিদটির দৈর্ঘ্য ৪৮ ফুট, প্রস্থ ৩৬ ফুট। সাতটি গুম্বুজ ও চার কোনায় রয়েছে চারটি মিনার, প্রতিটি মিনারের উচ্চতা ৮০ ফুট। মসজিদটি নির্মাণের সময় ইট,বালু,সিমেন্ট এর পাশাপাশি চিনামাটি ও স্টাইলস ব্যবহার করা হয়েছে। রয়েছে বিভিন্ন রংয়ের বৈদ্যুতিক বাতির আলোক সজ্জা।
আর্কষণীয় এই সাত গম্বুজ মসজিদে একসঙ্গে কয়েক শ’ মুসুল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন । মসজিদের গায়ে লেখা রয়েছে পবিত্র কুরআনেরা সূরা-আর রাহমান, আয়াতুল কুরসি ও বিভিন্ন দোয়া। নতুন ও পুরাতন পদ্ধতির সংমিশ্রণে অসংখ্য ক্যালিওগ্রাফিতে আঁকা ব্যতিক্রমধর্মী নির্মাণ শৈলী দেখা যায় মসজিদটিতে। মসজিদটিতে বাংলায় আটটি ক্যালিওগ্রাফি রয়েছে। এছাড়া আরবিতে লেখা রয়েছে ইসলাম ধর্মের চার কালেমা।
আরও পড়ুন: ভারতের মেডিকেল ভিসা: আবেদনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ভিসা প্রসেসিং ফি
২ বছর আগে
লালবাগ থানায় দৃষ্টিনন্দন গ্রন্থাগার
বই পড়ার অভ্যাস দিন দিন কমছে। ভার্চুয়াল দুনিয়ার ব্যস্ততায় বইয়ের পাতার গন্ধের স্মৃতি এখন অনেকের কাছেই অতীত। তাই এই অভ্যাস যেন মানুষের মধ্যে আবারও ফিরে আসে সেই প্রয়াস থেকে রাজধানীর লালবাগ থানায় এ বছর তৈরি করা হয়েছে গ্রন্থাগার।
লালবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এম মুর্শেদ ইউএনবিকে জানান, বিভিন্ন প্রয়োজনে মানুষ থানায় যারা আসেন তাদের অনেক সময় অপেক্ষা করতে হয়। সেই সময়টা যেন তারা বই পড়ার মাধ্যমে ব্যয় করতে পারে সেই উদ্দেশ্যেই গ্রন্থাগারটি করা।
আরও পড়ুন:হলিউডের মোশন গ্রাফিক ডিজাইনার বাংলাদেশের জিসান কামরুল হাসানের গল্প
শুধু তাই নয়, এলাকাবাসীদের জন্যেও এই গ্রন্থাগার উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। বসে বই পড়ার সুযোগের পাশাপাশি কেউ চাইলে বাসায় বই নিয়ে যেতে পারেন।
গ্রন্থাগার নিয়ে এম এম মুর্শেদ বলেন, ‘বই পড়ার অভ্যাসটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা ডিজিটাল দুনিয়ায় এখন এতো ব্যস্ত যে বই পড়ার অভ্যাস দূর হয়ে যাচ্ছে। সেই চিন্তা থেকে আমাদের ডিপার্টমেন্টের অনেকের সহযোগিতায় গ্রন্থাগারের উদ্যোগটি নেয়া। আমরা চেষ্টা করছি এখানে বইয়ের সংগ্রহ আরও বাড়াতে।’
রাজধানীর বেড়ি বাঁধ রাস্তার পাশেই লালবাগ থানার নতুন ভবন। দৃষ্টিনন্দন এই থানার দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষে গ্রন্থাগারটি তৈরি হয়েছে। সেখানে প্রবেশ করতেই বাম পাশে চোখে পড়বে পুরো দেয়ালজুড়ে বইয়ের সমাহার।
গ্রন্থাগারে সংগ্রহে রয়েছে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে অনেকগুলো বই। এছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন উপন্যাস, ছোটগল্প, আইনবিষয়ক বই, গোয়েন্দা গল্পসহ নানা ধরনের সংগ্রহ। মূলত বিভিন্ন বয়সের পাঠকদের কথা চিন্তা করে গ্রন্থাগারটি সাজানো হয়েছে।
গ্রন্থাগারে আসা একজন পাঠক ইউএনবিকে বলেন, ‘আমি মূলত একটি জিডি করার জন্য থানায় এসেছি। কিছুক্ষণ যেহেতু অপেক্ষা করতে হবে তাই লাইব্রেরিতে আসা। বেশ নান্দনিক উদ্যোগ লেগেছে আমার কাছে। কয়েকটি পছন্দের বই পেলাম এখানে সেগুলোর একটি পড়ে সময় কেটে গেল। এমন উদ্যোগ দেশের প্রতিটি থানায় করা গেলে আরও ভালো হবে মনে করি।’
থানার কর্মকর্তাদের অনেকেরই রয়েছে বই পড়ার অভ্যাস। কিন্তু কর্মরত থাকা অবস্থায় গ্রন্থাগারে বসে বই পড়ার অভ্যাসটা হয় না অনেকের। তাই সুযোগ হলে পছন্দের বইটি বাসায় নিয়ে যান তারা।
আরও পড়ুন:এমটিভি ভিডিও মিউজিক অ্যাওয়ার্ডে শীর্ষ পুরষ্কার জয়ী টেইলর সুইফট
নেটফ্লিক্সের পর্দায় বলিউডে বাঁধনের প্রথম ঝলক
২ বছর আগে