চ্যালেঞ্জিং
পাকিস্তানকে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য দিল কানাডা
বড় ব্যবধানে জয়ের লক্ষ্যে মাঠে নেমে কানাডাকে অল্পে গুটিয়ে ফেলতে ব্যর্থ হয়েছেন পাকিস্তানি বোলাররা। ফলে ব্যাট হাতে দারুণ কিছু করে দেখাতে হবে দলটির ব্যাটারদের।
নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়ামে টস জিতে কানাডাকে শুরুতে ব্যাট করতে পাঠান বাবর আজম। প্রথম ইনিংসে সাত উইকেটে ১০৬ রান করেছে সাদ বিন জাফরের দল। ফলে জিততে হলে এই লক্ষ্য অতিক্রম করতে হবে পাকিস্তানকে।
টি-টোয়েন্টিতে ১০৬ একেবারেই মামুলি লক্ষ্য হলেও নাসাউ কাউন্টির উইকেটে এ রান অনেক। এখন পর্যন্ত এই উইকেটে ব্যাটারদের ভুগতেই দেখা গেছে। এ মাঠে অনুষ্ঠিত ছয় ম্যাচের মাত্র দুটিতে লক্ষ্য তাড়ায় জিতেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। বাকি সব ম্যাচেই রান তাড়ায় ব্যর্থ বাকি দলগুলো।
তাই কানাডার দেওয়া এই চ্যালেঞ্জিং স্কোর ভালো রান রেটের সঙ্গে অতিক্রম করা পাকিস্তানি ব্যাটারদের জন্য কঠিন হবে বলেই ধারণা করা যায়।
কানাডার পক্ষে সর্বোচ্চ ৫২ রান করেন অ্যারন জনসন। অপরদিকে, পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট নিয়েছেন মোহাম্মদ আমির ও হারিস রউফ।
জোড়া চারে ইনিংস শুরু করা কানাডা প্রথম তিন ওভারই চার মেরে শুরু করেন। এতে ভালো শুরুর ইঙ্গিত দেন দুই ওপেনার অ্যারন জনসন ও নবনীত ধালিওয়াল। তবে তৃতীয় ওভারে মোহাম্মদ আমিরের শেষ বলে বোল্ড হয়ে যান নবনীত। এর ফলে তিন ওভার শেষে ২০ রানে প্রথম উইকেট হারায় কানাডা। ফেরার আগে ৭ বলে ৪ রান করেন নবনীত।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের হারে ‘আইসিসির আইনকে’ কাঠগড়ায় তুললেন বিশ্লেষকরা
এরপর ষষ্ঠ ওভারের প্রথম বলে তৃতীয় ব্যাটার পারগাত সিংকে ফেরান শাহীন আফ্রিদি। তার শর্ট অফ লেংথের লাফিয়ে ওঠা বলটি খেলার চেষ্টা করেই বিপদ ডেকে আনেন পারগাত। বলটি তার গ্লাভস ছুঁয়ে স্লিপে দাঁড়িয়ে থাকা ফখরের তালুতে আটকে যায়। ফলে ২৯ রানে দুই উইকেট হারায় কানাডা।
সপ্তম ওভারের শেষ বলে ফের উইকেট পাওয়ার উল্লাসে মাতে পাকিস্তান। নিকোলাস কিরটনকে রানআউট করে দেন ইমাদ ওয়াসিম। এরপর দশম ওভারে জোড়া উইটকেট নেন হারিস রউফ। ওভারের তৃতীয় বলে হারিস রউফের ডেলিভারিতে কট বিহাইন্ড হয়ে ফেরেন শ্রেয়াস মোভা। পঞ্চম বলে স্লিপে ক্যাচ দেন নতুন ব্যাটার রবিন্দরপাল সিং। এর ফলে দশ ওভার শেষে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ৫৫ রান করে কানাডা।
ব্যাটাররা যখন একের পর এক যাওয়া-আসার মিছিলে যোগ দিয়েছেন, তখন এক প্রান্ত আগলে রেখে রানের চাকা সচল রাখেন অ্যারন জনসন। ত্রয়োদশ ওভারে ছক্কা মেরে নিজের ফিফটিও তুলে নেন তিনি। তবে ঠিক ছয় বল পর ১৩.৩ ওভারে নাসিম শাহ তাকে বোল্ড করে ফেরান। সাজঘরে ফেরার আগে ৪৪ বলে চারটি করে ছক্কা ও চারের সাহায্যে ৫২ রান করেন তিনি।
এরপর ১৭.৫ ওভারে মোহাম্মদ আমিরের শিকার হন কানাডা অধিনায়ক সাদ বিন জাফর। ইনিংসের তৃতীয় দুই অঙ্ক ছোঁয়া ১০ রান করেন তিনি।
শেষের দিকে কলিম সানার ১৩ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ১০৬ রান করে কানাডা।
আরও পড়ুন: এক পরিবর্তন নিয়ে ফিল্ডিংয়ে পাকিস্তান
৬ মাস আগে
দ্বিতীয় ওয়ানডেতে টাইগারদের চ্যালেঞ্জিং টার্গেট দিল নিউ জিল্যান্ড
বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে শনিবার মিরপুরে ৪৯ দশমিক ২ ওভারে ২৫৪ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর করেছে নিউ জিল্যান্ড।
টস হেরে প্রথমে বল করে বাংলাদেশ। মুস্তাফিজুর রহমানের দ্রুত বোলিংয়ে উইল ইয়ং আউট হন। উইকেটের পেছনে নিয়মিত ক্যাচ নেন লিটন দাস।
আরও পড়ুন: বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ডের প্রথম ওয়ানডে
পরে ফিন অ্যালেন ও চ্যাড বোয়েসকে দ্রুত ফেরত পাঠানো হয়, ফলে নিউ জিল্যান্ড ৩৬ রানে গুটিয়ে যায়।
এরপর থেকে হেনরি নিকোলস ও উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান টম ব্লান্ডেল ১১১ বলে ৯৫ রানের জুটি গড়ে দলকে স্থিতিশীল করেন।
শেষ পর্যন্ত ৪৯ রানে নিকোলসকে আউট করেন নবাগত খালেদ আহমেদ। ব্লান্ডেল অবশ্য তার চিত্তাকর্ষক পারফরম্যান্স অব্যাহত রেখে ৬৬ বলে ৬৮ রান করেন।
তবুও, শেষ সারির ব্যাটসম্যানরা নিউ জিল্যান্ডকে ২৫০ রানের সীমা অতিক্রম করতে সহায়তা করেছিল।
ইশ সোধি ৩৯ বলে ৩৫ রানে অপরাজিত থাকেন। তবে হাসান মাহমুদের দ্রুত অ্যাকশনের কারণে নন-স্ট্রাইকারের শেষ দিকে ১৮ রানে রান আউট হয়ে যান সোধি। এরপর নাটকীয়ভাবে বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন দাস এবং বোলার হাসান মাহমুদ তাকে ব্যাটিং পুনরায় শুরু করার জন্য ফিরিয়ে আনেন। যদিও টিভি রিপ্লেতে দেখা যায় যে ইশ ক্রিজের বাইরে ছিলেন যখন হাসান বল দেওয়ার সময় বেইলগুলো সরিয়ে ফেলেন।
নবাগত পেসার খালেদ ৬০ রানে তিন উইকেট নিয়ে মুগ্ধ হন। বাংলাদেশের পক্ষে ডানহাতি স্পিনার মেহেদী হাসান ৩টি ও বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান ২টি উইকেট নেন।
আরও পড়ুন: নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বোলিংয়ে বাংলাদেশ
আইসিসির দুর্নীতির অভিযোগে ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ নাসির হোসেন
১ বছর আগে
শ্রীলঙ্কাকে ১৮৪ রানের লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ
এশিয়া কাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে বৃহস্পতিবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করে সাত উইকেটে ১৮৩ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর করেছে বাংলাদেশ।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২২ বলে ৩৯ রান করেন আফিফ হোসেন। এছাড়া মেহেদী হাসান মিরাজ ২৬ বলে ৩৮, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ২২ বলে ২৭ এবং মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ৯ বলে অপরাজিত ২৪ রান করেন।
আরও পড়ুন: ৩ পরিবর্তন নিয়ে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
লঙ্কানদের হয়ে হাসারাঙ্গা ও করুণারত্নে দুটি করে উইকেট নেন।
এশিয়া কাপের সুপার ফোরে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে হলে আজ দু’দলেরই জয়ের বিকল্প নেই।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ।
এই ম্যাচে বাংলাদেশ একাদশে তিনটি পরিবর্তন করেছে।
আরও পড়ুন: এশিয়া কাপ: ৭ উইকেটে হারল বাংলাদেশ
গত ম্যাচে খেলা দুই ওপেনার এনামুল হক বিজয়, মোহাম্মদ নাঈম ও অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন একাদশ থেকে বাদ পড়েছেন। তাদের জায়গায় সাব্বির রহমান, মেহেদি হাসান মিরাজ ও এবাদত হোসেন একাদশে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশ সাত উইকেটে হেরে যাওয়া প্রথম ম্যাচে বিজয় এবং নাইম ওপেনিংয়ে ব্যর্থ হয়েছিলেন।
তিন বছর বিরতির পর টি-টোয়েন্টিতে ফিরছেন সাব্বির।
আরও পড়ুন: আফগানিস্তানকে ১২৮ রানের টার্গেট দিল বাংলাদেশ
২ বছর আগে