নিথর দেহ
নদীর পাড়ে পড়েছিল হরিপদের নিথর দেহ!
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে নিখোঁজের তিন দিনের মাথায় সাঙ্গু নদীর পাড় থেকে হরিপদ দাশ ঘোষ (৬০) নামে যাত্রা মঞ্চের নাট্য ব্যক্তিত্বের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
তিনি আনোয়ারা উপজেলার ৯ নং পরৈকোড়া ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের পরৈকোড়া গ্রামের কড়াই পাড়া এলাকার সারদা চরণ ঘোষের ছেলে।
আরও পড়ুন: বন্ধ ঘরে মা-ছেলের নিথর দেহ
রবিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকালে বাঁশখালীর উত্তর পুকুরিয়া এলাকায় সাঙ্গু নদীর পাড় থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পরিবারের বরাতে পুলিশ জানায়, ৯ ফেব্রুয়ারি নদীতে হাত-পা ধুতে গিয়ে নিখোঁজ হন হরিপদ ঘোষ। পরে ১০ ফেব্রুয়ারি আনোয়ারা থানায় নিখোঁজের জিডি করে পরিবার।
তার দুই দিন পর সাঙ্গু নদীর পাড় থেকে বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয়রা জানায়, বছর দু-এক আগে তার স্ত্রীর মৃত্যুর পর উনি মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে যান, তারপর থেকে অস্বাভাবিক কথাবার্তা বলতেন।
কিছুদিন মেয়ের বাড়িতে, কিছুদিন নিজের বাড়িতে থাকতেন। তিনদিন আগে তালসরা বৌদ্ধ মন্দিরে অনুষ্ঠান চলাকালীন সময়ে তিনি মুরালী খালে নেমে হাত পা ধুতে গিয়ে নদীতে পড়ে নিখোঁজ হন।
তিনি ছিলেন যাত্রা মঞ্চের নাট্য ব্যক্তিত্ব ও সুপরিচিত কৌতুক অভিনেতা।
বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত সুমন বণিক বলেন, নদীর পাড় থেকে এক বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
পরিবারের সদস্যরা এসে মরদেহ শনাক্ত করেছেন। স্থানীয়রা মরদেহ দেখতে পেয়ে আমাদের খবর দিলে আমরা গিয়ে উদ্ধার করি।
আরও পড়ুন: আধা কিলোমিটার দূরে পড়েছিল মা ও ছেলের নিথর দেহ!
গার্ডার তুলতেই বেরিয়ে এলো ৫ নিথর দেহ!
১ বছর আগে
আধা কিলোমিটার দূরে পড়েছিল মা ও ছেলের নিথর দেহ!
সাত বছর বয়সী ছেলে ইমরানকে নিয়ে ইজিবাইকে করে দাওয়াত খেতে যাচ্ছিলেন লিমা বেগম (২৬)। কিন্তু পথে রেললাইনে উঠে যাওয়া তাদের ইজিবাইককে রাজশাহীগামী একটি ট্রেন এক কিলোমিটার পর্যন্ত টেনে নিয়ে যায়। আর আধা কিলোমিটার দূরে পড়েছিল মা ও ছেলের নিথর দেহ। সোমবার দুপুর তিনটার দিকে ফরিদপুরের নগরকান্দার ডাঙ্গী ইউনিয়নের শ্রীরামদিয়া খাল পাড় এলাকায় এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত ১
নিহত লিমা ও ইমরান ভাঙ্গার সদরদী এলাকার মো. ইকবাল হোসেনের স্ত্রী ও ছেলে।
পুলিশ জানায়, ওই ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামে এক আত্মীয়ের বাড়িতে দাওয়াত খেতে ভাঙ্গার সদরদী থেকে একটি ইজিবাইকে করে মা ও ছেলে যাচ্ছিল। পথে জাবেদের বাড়ির পাশে কাঁচা সড়কে এ দুর্ঘটনায় তাদের মৃত্যু হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ডাঙ্গী ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান কাজী আবুল কালাম বলেন, ভাঙ্গা থেকে রাজশাহীগামী মধুমতি এক্সপ্রেস নামের আন্তঃনগর ট্রেনটি ওই জায়গা অতিক্রমের সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত নারীর মৃত্যু
নগরকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিল হোসেন বলেন, ট্রেনটি ইজিবাইকে প্রায় এক কিলোমিটার দূর পর্যন্ত তালমার দিকে টেনে নিয়ে যায়। আধা কিলোমিটার দূরে মা ও ছেলের লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়। তবে ওই ইজিবাইকটি কে চালাচ্ছিল বা তার অবস্থা কি সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।
ফরিদপুর রেলস্টেশনের স্টেশন মাস্টার মো. তাকদির হোসেন বলেন, ঘটনার সময় প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছিল। ওই সময় অসাবধানতাবশত ওই ইজিবাইকটি রেল লাইনের ওপর উঠে পড়লে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
তিনি আরও বলেন, বিষয়টি রাজবাড়ী রেলওয়ে পুলিশকে জানানো হয়েছে। এ ব্যাপারে তারাই আইনগত ব্যবস্থা নেবে
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত বৃদ্ধার মৃত্যু
২ বছর আগে