পরিমাণ
বন্যায় কৃষিতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দ্রুত নির্ধারণ করে পুনর্বাসনের আহ্বান কৃষি উপদেষ্টার
বন্যাদুর্গত এলাকায় কৃষি খাতে ক্ষয়ক্ষতির প্রকৃত পরিমাণ দ্রুত নির্ধারণ করে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা ও পুনর্বাসনের আহ্বান জানিয়েছেন কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
শনিবার (২৪ আগস্ট) সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তর ও সংস্থার প্রধান ও মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে তিনি এ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রধান অগ্রাধিকার হচ্ছে বন্যাদুর্গত এলাকায় লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী আমন ধানের উৎপাদন নিশ্চিত করা। তা সম্ভব না হলে শাকসবজিসহ উপযোগী রবিশস্য উৎপাদন বাড়ানো। কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধিতে আবাদযোগ্য সব জমি চাষের আওতায় আনতে হবে।’
আরও পড়ুন: খুলনায় সাবেক মেয়র আব্দুল খালেকসহ ১৩৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা
এ সময় বীজ ও সারসহ অন্যান্য কৃষি উপকরণের জোগান নিশ্চিতকরণ, বীজতলা তৈরি এবং সার্বিক প্রস্তুতি ও করণীয় নির্ধারণ করতে মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন কৃষি উপদেষ্টা।
কৃষি উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসনকালে কৃষি উৎপাদন নিশ্চিতকরণে কৃষি কর্মকর্তাদের সক্রিয়ভাবে মাঠে থেকে কৃষকদের প্রয়োজনীয় সাহায্য-সহযোগিতা করতে হবে।’
এ সময় মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নিয়মিত কর্মস্থলে উপস্থিতি নিশ্চিতকরণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন তিনি।
কৃষি উপদেষ্টা বলেন, ‘বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর রাস্তাঘাট ও অন্যান্য অবকাঠামোর জন্য কৃষি জমিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হলে তা নিরসনে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট দপ্তর/বিভাগের সহযোগিতা নিয়ে সাময়িকভাবে রাস্তা কেটে বা সুবিধাজনক উপায়ে জলাবদ্ধতা নিরসনের ব্যবস্থা করতে হবে।
সভায় কৃষি সচিব দেশের বন্যাকবলিত মানুষদের সহায়তায় সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে কৃষি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এক দিনের বেতনের সমপরিমাণ অর্থ জমা দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানান।
উপদেষ্টা এ সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেন এবং সবাইকে নিজেদের সাধ্য অনুযায়ী এ দুর্যোগকালীন সহযোগিতার আহ্বান জানান।
সভায় দেশের বিভিন্ন এলাকায় চলমান বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় করণীয়/প্রস্তুতি বিষয়ে নিম্নবর্ণিত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়-
ক) বন্যাকবলিত এলাকার কৃষি ফসলের প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতি বিশেষ করে বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পরেই রোপা আমনের বীজতলা, রোপিত আমন এবং দণ্ডায়মান আউশ ধানসহ অন্যান্য ফসলের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রধান ফসল ধান চাষকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। ধান পুনর্বাসন কর্মসূচি প্রদানের পর প্রয়োজনীয়তার নিরীখে পুনর্বাসনের জন্য আগাম শীতকালীন সবজি কর্মসূচিও দেওয়া হবে।
খ) বিভিন্ন দপ্তর/সংস্থা/প্রতিষ্ঠানের আওতাভুক্ত নিজস্ব উঁচু জমিতে রোপা আমন ধানের বীজ তলা দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রস্তুত করার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
গ) বন্যায় কৃষির ক্ষয়ক্ষতির তথ্য সংগ্রহের জন্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কন্ট্রোল রুমের কার্যক্রমের অব্যাহত রাখতে হবে।
ঘ) কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তর/সংস্থার নিকট রোপা আমন ধানের বীজের স্টক সংক্রান্ত তথ্যাবলি সংগ্রহ করতে হবে এবং মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কৃষি পুনর্বাসন/সহায়তা কার্যক্রমের তথ্যাবলি সংগ্রহ করতে হবে।
ঙ) বিএডিসি/বিনাসহ অন্যান্য সকল সরকারি/বেসরকারি প্রতিষ্ঠান আমন বীজ সংগ্রহ করে বীজতলা প্রস্তুতকরণের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত দপ্তর/সংস্থার নিকট অবিলম্বে সরবরাহ করবে।
চ) যথাসম্ভব বন্যা কবলিত এলাকার নিকটতম এলাকায় বীজতলা প্রস্তুত করতে হবে।
ছ) মাঠ পর্যায়ে কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ও উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের বন্যাত্তোর কৃষি পুনর্বাসনের কার্যক্রম দ্রুততার সঙ্গে শুরু করার জন্য এখন হতে সক্রিয় রাখতে হবে।
জ) বন্যা কবলিত এলাকায় ব্লক ও উপজেলা ভিত্তিক পুনর্বাসন পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।
ঝ) বন্যায় কৃষির ক্ষয়ক্ষতির তথ্যাদি ও মাঠ পর্যায়ের কৃষকদের সচেতন করার জন্য কৃষি তথ্য সার্ভিসকে সামগ্রিক কৃষি পুর্নবাসন কার্যক্রমের বিষয়ে তথ্য চিত্র প্রস্তুত করতে হবে।
ঞ) সামগ্রিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ অনুবিভাগ) সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করবেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান।
আরও পড়ুন: কৃষিতে উৎপাদন বাড়াতে হবে: কৃষি উপদেষ্টা
৩ মাস আগে
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং: ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্প
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্প। সোমবার এই ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশে আঘাত হানার সময় আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের অধীনে দুর্যোগ-প্রতিরোধী বাড়িগুলোতেই ছিল উপকূলের চার লাখ মানুষ। তাদের ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়ণ কেন্দ্রে যাওয়ার প্রয়োজন হয়নি।
ভূমিহীনদের বাড়িগুলো উপহার দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
গত দুই বছরে চার দফায় ১৯টি উপকূলীয় জেলায় ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ৬১ হাজার ৩৭৮টি আশ্রয়ণ বাড়ি দেয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের (পিএমও) কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং-এর সময় কয়েক হাজার প্রতিবেশী আধা-পাকা বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিল।
দুর্যোগ-প্রতিরোধী ঘরগুলো ঘূর্ণিঝড়ের সময় গৃহপালিত পশু এবং অন্যান্য সম্পত্তির ক্ষতির পরিমাণ কমাতেও সাহায্য করেছিল।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং: জলাবদ্ধতা, যানজটে চরম ভোগান্তিতে রাজধানীবাসী
পিএমওর মনিটরিং সেলের তথ্যানুসারে, ঘূর্ণিঝড়ের সময় ১৯টি উপকূলীয় জেলায় মোট দুই লাখ ১৯ হাজার ৬৯০ জন মানুষ এবং ৪৫ হাজার ৪৪৫টি গবাদি পশুকে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হয়েছিল। কিন্তু উপকূলীয় এলাকায় মোট ধারণক্ষমতার প্রায় ৪৩ লাখ লোকের জন্য সাত হাজার ৪৯০টি আশ্রয় কেন্দ্র রয়েছে।
আশ্রয়ণ প্রকল্প হলো প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একটি আবাসন প্রকল্প। যা সারাদেশে গৃহহীন ও বাস্তুচ্যুত মানুষের জন্য ঘর নির্মাণের লক্ষ্যে বাস্তবায়িত হচ্ছে।
এই প্রকল্পের আওতায় পটুয়াখালী জেলায় ছয় হাজার ৯৪১, বরিশালে চার হাজার ৮৩৪, বরগুনায় দুই হাজার ৬০০, ঝালকাঠিতে এক হাজার ৮৪২, পিরোজপুরে চার হাজার ৮৬৭, ভোলায় তিন হাজার ৫২৯, শরীয়তপুরে দুই হাজার ৬৬২, গোপালগঞ্জে তিন হাজার ৮০৫, বাগেরহাটে দুই হাজার ৭৯৪, নড়াইলে ৮২৯, খুলনায় তিন হাজার ৯৫০, যশোরে দুই হাজার ১৫৩, সাতক্ষীরায় দুই হাজার ৯০৬, ফেনীতে এক হাজার ৬৫৯, নোয়াখালীতে তিন হাজার ৬৮৮, লক্ষ্মীপুরে তিন হাজার ২২৮, চাঁদপুরে ৪০৮, চট্টগ্রামে পাঁচ হাজার ৪৩ এবং কক্সবাজারে তিন হাজার ৬৪০ বাড়ি দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং: মুন্সীগঞ্জে গাছ চাপায় মা-মেয়ের মৃত্যু
সিত্রাংয়ে ১০ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত: প্রতিমন্ত্রী
২ বছর আগে
উন্মুক্ত বর্জ্যের পরিমাণ ৩০ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে: মেয়র তাপস
ঢাকা শহরে আগে যেখানে ৯০ শতাংশ বর্জ্য উন্মুক্ত অবস্থায় থাকতো, সেখানে বিগত দুই বছর থেকে কমিয়ে ৩০ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে বলে জানান ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
বুধবার সকালে খিলগাঁও এলাকায় দক্ষিণ সিটির দুই নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্বর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্রের (এসটিএস) উদ্বোধন শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এ মন্তব্য করেন।
মেয়র বলেন, ‘ঢাকা শহরে আগে যত্রতত্র ৯০ শতাংশ বর্জ্য উন্মুক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতো। বর্তমানে এটা কমিয়ে তা মাত্র ৩০ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। (বর্জ্য সংগ্রহ বাড়াতে) বাকি অন্তর্বর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্রগুলো নির্মাণ করতে আমাদের কাজ চলমান রয়েছে।’
আরও পড়ুন: আর সম্ভব নয়, রোহিঙ্গাদের ফিরে যেতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
ঢাকা এখন আর বর্জ্যের শহর নয় উল্লেখ করে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ‘ঢাকা শহরে আগে ৯০ ভাগ বর্জ্য উন্মুক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতো। ৫০ বছরে মাত্র ২৪টি বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে। আর আমরা এই দুই বছরে ৩৫টি বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র নির্মাণ করেছি। বাকিগুলোর কাজ চলমান আছে।
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়নের কারিগর, বলিষ্ঠ নেতৃত্বের অধিকারী এবং অসহায়, গরিব-দুঃখী মানুষের আশ্রয়স্থল সফল রাষ্ট্রনায়ক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে দেশব্যাপী উৎসবমুখর পরিবেশে নানা কর্মসূচি পালন করছে, এই দিনে আমরা প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘায়ু কামনা করি। বাংলাদেশ আজ অনেক এগিয়ে গেছে, আমরা কামনা করি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরেই যেন আমরা উন্নত বাংলাদেশ গড়তে পারি।’ এ সময় ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস ভূইয়া মাঠে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে কেক কাটেন এবং পরবর্তীতে বাইতুল মুকাররম মসজিদের পূর্ব ফটক ও ডিআইটি এভিনিউ সড়কের সংযোগ রাস্তা ও আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেলের চলমান খনন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডসমূহের কাউন্সিলর ও মহিলা কাউন্সিলররা, দক্ষিণ সিটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের গণমাধ্যম স্বাধীনভাবে সরকারের সমালোচনা করতে পারে: ওয়াশিংটনে প্রধানমন্ত্রী
এশিয়ায় খাদ্য সংকট মোকাবিলায় ১৪ বিলিয়ন ডলার দেবে এডিবি
২ বছর আগে
খেলাপি ঋণ এর পরিমাণ কমিয়ে আনতে চায় সরকার: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সরকার ‘অর্থনীতির শত্রু’ হিসেবে খ্যাত খেলাপি ঋণ-এর পরিমাণ কমিয়ে আনতে চায়। কারণ ঋণ খেলাপি মামলাজট দেশের অর্থনীতির ওপর বিরুপ প্রভাব ফেলছে।
শনিবার ঢাকায় বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ/সমপর্যায়ের বিচারকদের জন্য আয়োজিত ১৪৭তম রিফ্রেসার কোর্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: সুষ্ঠু ভূমি ব্যবস্থাপনার অভাবেই মামলাজট: আইনমন্ত্রী
তিনি বলন, গত প্রায় সাড়ে ১৩ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ ও দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ঈর্ষণীয় উন্নয়ন ঘটেছে। এছাড়া বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতিকে গতিশীল রাখতে আমাদের অবশ্যই ঋণ খেলাপি মামলাজট খুলতে হবে এবং এই মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির মাধ্যমে খেলাপি ঋণ বাড়ার লাগাম টানতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, ঋণ খেলাপি মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে সরকার অর্থঋণ আদালত আইন, ২০০৩ সংশোধন করে আদালতের বাইরে এডিআর বা বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি পদ্ধতিতে মামলা নিষ্পত্তির ব্যবস্থা করেছে। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, মামলার পক্ষগণের অনাগ্রহের কারণে এডিআর পদ্ধতির সফল প্রয়োগ হচ্ছে না। ঋণ খেলাপি মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করতে-এডিআর পদ্ধতিকে আরও কার্যকরভাবে অনুসরণ করতে হবে। এর পাশাপাশি শুনানি পর্যায়ে বিবাদীর অযৌক্তিক কালক্ষেপন রোধ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ন্যায়বিচারের সঙ্গে সামাজিক অপরাধ, রাষ্ট্রের আইন শৃঙ্খলা ও নাগরিক জীবনের নিরাপত্তাসহ অন্যান্য মৌলিক অধিকারগুলো নিবিড়ভাবে জড়িত। তাছাড়া ন্যায়বিচার ও আইনের শাসন ব্যতিত রাষ্ট্রের প্রকৃত উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি লাভ করা যায় না।
মামলাজটের পরিসংখ্যান তুলে ধরে আনিসুল হক বলেন, দেশের আদালতগুলোতে দায়েরকৃত সিভিল মামলার অর্ধেকেরও বেশি ভূমি সম্পর্কিত। অনেক ফৌজদারি মামলার মূলেও রয়েছে ভূমি বিরোধ। এসব মামলার বিচার পাওয়ার জন্য প্রতিদিন লাখ লাখ বিচারপ্রার্থীকে আদালতে ধরা দিতে হয়। এতে যে কেবল তাদের সময় ও অর্থ অপচয় হচ্ছে তা নয়, মূল্যবান কর্মঘণ্টাও নষ্ট হচ্ছে। যেসময়ে তাদের উৎপাদনের কাজে থাকার কথা, সেসময় আদালতের বারান্দায় ঘুরেঘুরে বিচার পাওয়ার প্রহর গুণতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন: আ.লীগ জনগণের দল, আমাদের শক্তি জনগণের শক্তি: আইনমন্ত্রী
তিনি আশা প্রকাশ করেন বিচারকগণ, বিচারকগণ এসব বিষয় গুরুত্বের সাথে বিবেচনায় নিবেন এবং জনগণকে দ্রুত ন্যায়বিচার প্রদান করে তাদের বিচার পাওয়ার দুর্ভোগ লাঘব করবেন।
প্রশিক্ষণার্থী বিচারকদের উদ্দেশ্যে আইনমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার সারা জীবনের রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে এমন এক স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও গতিশীল বিচার বিভাগের স্বপ্ন দেখেছিলেন-যেখানে শোষিত, বঞ্চিত, নির্যাতিত এবং অসহায় মানুষ স্বল্প খরচে দ্রুত ন্যায়বিচার পাবে। বঙ্গবন্ধুর এই স্বপ্নের সফল বাস্তবায়ন- বিচারক হিসেবে আপনাদের ওপরই নির্ভর করে। এই নির্ভরতা আপনাদেরকে যেমন দায়িত্বশীল করেছে, তেমনি মর্যাদাবানও করে তুলেছে।
তিনি বলেন, আপনাদের দায়িত্ব পালনে আমরা সহায়ক ভূমিকা পালন করে যাচ্ছি মাত্র। আমরা মনে-প্রাণে বিশ্বাস করি, দক্ষতার সঙ্গে সুচারুরূপে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে আপনাদের দাপ্তরিক সমস্যার যুক্তিসঙ্গত সমাধানসহ পেশাগত দক্ষতা বাড়ানোটাও অপরিহার্য। আর পেশাগত দক্ষতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণের কোন বিকল্প নেই। সেকারণে আমরা দেশে ও বিদেশে বিভিন্ন ধরণের প্রশিক্ষণ কোর্স আয়োজন করে যাচ্ছি।
বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আইন মন্ত্রণালয় এবং বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: জিয়া মারা না গেলে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার আসামি হতেন: আইনমন্ত্রী
২ বছর আগে