বিরুদ্ধে
বাংলা টিভির সাংবাদিককে মারধরের অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে
বাংলা টিভির স্থানীয় সাংবাদিক আরিফুল ইসলামকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হাত ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আনোয়ার হোসেন নামে এক পুলিশ পরিদর্শকের বিরুদ্ধে। বুধবার (১৮ অক্টোবর) ঘটনাটি ঘটে।
রসাংবাদিককে মারধরের ঘটনায় আশুলিয়া থানা ছাত্রলীগের সভাপতি আটক
পুলিশের এ ধরনের আচরণে ঢাকা জেলা প্রেস ক্লাব, কেরানীগঞ্জ প্রেস ক্লাব, নবাবগঞ্জ ও দোহার প্রেস ক্লাবের সাংবাদিকরা তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন। এ ছাড়া ওই পুলিশ কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ঢাকা জেলা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সাংবাদিকরা।
এদিকে এ ঘটনার জন্য অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহাবুদ্দিন কবীর পুলিশের পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করে জানান, এরই মধ্যে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে অভিযুক্ত জাজিরা পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আনোয়ার হোসেনকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, বিভাগীয় তদন্ত করে অভিযুক্ত পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া আহত সাংবাদিককে চিকিৎসার জন্য ইবনে সিনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: জাবি ছাত্রাবাসে সাংবাদিককে মারধর
গণধর্ষণের সংবাদ প্রকাশ, কুমিল্লায় ২ সাংবাদিককে মারধর
অসাধু ব্যবসায়ীদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান: রাষ্ট্রপতি
দুর্নীতি ও অপকর্মের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
তিনি বলেন, এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীর লোভ এবং রাতারাতি বড় হয়ে ওঠার চেষ্টা দেশের ব্যবসার উপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে এবং জনগণের ভোগান্তি বাড়াচ্ছে।
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ১২টি শিল্প ইউনিটের মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প পুরস্কার-২০২২ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: পাবনা উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের সংবর্ধনায় একযোগে কাজ করার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
সাহাবুদ্দিন বলেন, ব্যবসায়ীদের একটি অংশ মিথ্যা তথ্য ও নথির মাধ্যমে ব্যবসায়ী, উৎপাদক ও আমদানিকারকদের জন্য বরাদ্দকৃত সরকারি প্রণোদনার অপব্যবহার করছে। এ পরিবেশে সৎ ও ভালো ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছেন।
সরকার সবসময় সৎ ব্যবসায়ীদের পাশে থাকবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ব্যবসা করা সরকারের কাজ নয়। সরকারের কাজ হচ্ছে ব্যবসা-বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করা। সরকার শুধু সেটাই করতে চায়।
রাষ্ট্রপতি ভারি, মাঝারি, ক্ষুদ্র, কুটির ও উচ্চ প্রযুক্তি শিল্পের মালিকদের হাতে পুরস্কার, ক্রেস্ট, অর্থ ও সম্মাননাপত্র তুলে দেন।
সংশ্লিষ্ট খাতে অসামান্য অবদানের জন্য ছয়টি ক্যাটাগরিতে মোট ১২টি শিল্প ইউনিটকে 'বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাওয়ার্ড ২০২২' দেওয়া হয়।
শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক এবং ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) সভাপতি মাহবুবুল আলম অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা।
বৃহৎ শিল্প ক্যাটাগরিতে রানার অটোমোবাইলস লিমিটেড প্রথম, জাবের অ্যান্ড জুবায়ের ফেব্রিক্স লিমিটেড ও বিএসআরএম স্টিলস লিমিটেড, মাঝারি শিল্প ক্যাটাগরিতে নিতা কোম্পানি লিমিটেড প্রথম এবং নোমান টেরি টাওয়েল মিলস লিমিটেড দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে।
ক্ষুদ্র শিল্প ক্যাটাগরিতে প্রথম হয়েছে হযরত আমানত শাহ স্পিনিং মিলস লিমিটেড, দ্বিতীয় হয়েছে বসুমতি ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেড এবং তৃতীয় হয়েছে টেকনো মিডিয়া লিমিটেড।
এছাড়া ক্ষুদ্র শিল্প ক্যাটাগরিতে গ্রিন জেনেসিস ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড এবং কুটির শিল্প ক্যাটাগরিতে শামসুন্নাহার টেক্সটাইল মিলস নির্বাচিত হয়েছে।
হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ ক্যাটাগরিতে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড প্রথম এবং সুপার স্টার ইলেকট্রিক্যাল এক্সেসরিজ লিমিটেড দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে।
আরও পড়ুন: মালদ্বীপের নির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী
লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য শাহজাহান কামালের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক
হবিগঞ্জে বিএনপির ৩০০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
হবিগঞ্জে বিএনপির ৩০০ নেতাকর্মীকে আসামি করে মামলা করেছে পুলিশ। সিলেট বিভাগীয় সমাবেশের প্রস্তুতিকালে পুলিশের সঙ্গে বুধবারের সংঘর্ষের ঘটনায় এ মামলা করা হয়।
বৃহস্পতিবার ভোরে লাখাই থানার উপ-পরিদর্শক ফজলে রাব্বি বাদী হয়ে ৫০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ও অজ্ঞাত আরও ২৫০ বিএনপি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলাটি করেন।
সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জিকে গাউসকেও আসামি করা হয় মামলায়।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা
এর আগে, বুধবার সিলেট বিভাগীয় সমাবেশের প্রস্তুতি নিয়ে বামই বাজারে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে ১০ পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ৬০ জন আহত হন।
পুলিশও তাদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ ও রাবার বুলেট ছোড়ে।
এদিকে বানিয়াচং থানায় বিএনপির দুই শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ।
এছাড়া জেলায় বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে পুলিশ বিএনপি জামায়াতের ১৬ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে।
নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ডালিম আহমদ জানান, সরকার বিরোধী গোপন বৈঠক থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।
বিএনপি নেতা সাবেক এমপি শেখ সুজাত মিয়া বলেন, সিলেটের সমাবেশ বন্ধের উদ্দেশ্যে পুলিশ নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদেরকে হয়রানি করছে।
আগামী ১৯ নভেম্বর সিলেট জেলায় বিভাগীয় সরকারবিরোধী গণসমাবেশ করার কথা রয়েছে বিএনপির।
আরও পড়ুন: নাটোরে অস্ত্র মামলায় একজনের ১০ বছরের কারাদণ্ড
সিলেটে বিএনপির ৩০০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে যুবলীগকর্মীর মামলা
সিলেটে বিএনপির ৩০০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে যুবলীগকর্মীর মামলা
সিলেটের ওসমানীনগরের গোয়ালাবাজারে যুবলীগ নেতাকর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগে বুধবার সকালে (১৬ নভেম্বর) স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের প্রায় সাড়ে তিনশ’ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
২৪ জনের নাম উল্লেখ করে ও বাকিদের অজ্ঞাত রেখে ওসমানীনগর থানায় মামলা করেন গোয়ালাবাজার ইউনিয়ন যুবলীগের সংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলার শশারকান্দি গ্রামের মৃত এলাইচ মিয়ার ছেলে রিপন মিয়া (৩০)।
রিপন মামলায় উল্লেখ করেন- জন্মদিন উপলক্ষে রিপন তার কয়েকজন বন্ধুদের নিয়ে গত মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় গোয়ালাবাজারের সাজু রেস্টুরেন্টের সামনে আরও কয়েকজন বন্ধুর জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এসময় গোয়ালাবাজারের দক্ষিণ দিকে থেকে বিএনপির নেতাকর্মীরা লাঠিসোটা ও লোহার রড নিয়ে হঠাৎ রিপন ও তার বন্ধুদের উপর হামলা চালায়। এসময় হামলকারীদের মারপিটে রিপন আহত হন।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা
এ ঘটনায় পুলিশ পরে উপজেলার ইছামতি গ্রামের গোলাম কিবরিয়ার ছেলে ফয়ছল আহমদ লিমন (২৭) ও রবিদাস সোনারপাড়া গ্রামের আব্দুল রশিদের ছেলে মো. নুরুল ইসলাম (৩২) নামের দু’জনকে গ্রেপ্তার করে। বুধবার তাদের আদালতে পাঠায় পুলিশ।
গ্রেপ্তার লিমন ও নুরুল ছাড়াও মামলায় অজ্ঞাতনামা ২০০থেকে ৩০০জনকে আসামি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ওসানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মাঈন উদ্দিন বলেন, গ্রেপ্তার দু’জনকে যুবলীগ নেতার করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে বুধবার কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত আর কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার বিকালে নিখোঁজ বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীর স্ত্রী ও বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা তাহসিনা রুশদীর লুনা ওসমানীনগরের বিভিন্ন এলাকায় ১৯ নভেম্বরের সিলেটের বিভাগীয় মহাসমাবেশের প্রচারপত্র বিলি করতে আসেন।
বিকালে উপজেলার স্থানীয় উত্তর গোয়ালাবাজারের নিউ প্লাজার সামনে প্রচারপত্র বিলি করতে গেলে সেখানে স্থানীয় যুবলীগের নেতাকর্মীরা তাদের ওপর হামলা করেন বলে বিএনপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়।
তবে এ ঘটনায় বিএনপির পক্ষ থেকে কোনো মামলা করা হয়নি বলে জানা যায়।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে মাদক মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
সাংবাদিক রোজিনার মামলায় ডিবির প্রতিবেদনে শুনানি ১৫ জানুয়ারি
রাজশাহীতে শিশুকে হত্যার অভিযোগ আরেক শিশুর বিরুদ্ধে
রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে সাড়ে তিন বছরের এক শিশুকে হত্যার পরে বস্তাবন্দি করে রাখার অভিযোগ উঠেছে আরেক শিশুর বিরুদ্ধে। বুধবার (১৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় প্রতিবেশির বাড়ি থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ।
মৃত সুমাইয়া মাহি (৩) উপজেলার আলোকছত্র গ্রামের মিলন খানের মেয়ে।
অভিযুক্ত হিযবুল্লাহ আব্বাস মিম (১২) একই এলাকার মৃত নূরুল ইসলামের ছেলে ও সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র। তারা সম্পর্কে চাচাতো ভাই-বোন।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে বিরোধের জেরে শিশু হত্যা: ৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
নিহত শিশুর পরিবার জানায়, বুধবার সকাল থেকে মাহি বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়। অভিযুক্ত মিম নিহত মাহিকে বাসায় নিয়ে গিয়ে আনুমানিক বেলা ১১ টার দিকে হত্যা করে ওই বাসার মধ্যেই লাশ বস্তাবন্দি করে লুকিয়ে রাখে। হিযবুল্লাহ আব্বাসের মা জাহানারা বেগম একজন স্কুল শিক্ষিকা। তিনি বিকালে বাসায় আসলে বস্তাবন্দি লাশ দেখতে পেয়ে সেটিকে লুকানোর চেষ্টা করে। এরই মাঝে নিহতের ভাই,বাবা ও গ্রামের লোকজন তার বাসায় খুঁজতে গেলে বিষয়টি জানতে পারে। পরে পুলিশকে খবর দিলে গোদাগাড়ী মডেল থানা পুলিশ হিযবুল্লাহ আব্বাসের বাড়ির থেকে বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে ও অভিযুক্ত হিযবুল্লাহ আব্বাস মিমকে আটক করে।
গোদাগাড়ী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম বলেন, লাশ উদ্ধারের সময় নিহত মাহি খাতুনের গলায় তার দিয়ে বাঁধা ছিলো। এছাড়াও চাকু দিয়ে দুই পায়ের রগ কাটা হয়। হত্যায় ব্যবহৃত চাকুটি লুকিয়ে রাখা হয় তবে পুলিশ তা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
তিনি জানান, অভিযুক্ত হিযবুল্লাহ আব্বাস মিম হত্যার দায় স্বীকার করেছে। তাকে আটক করা হয়েছে। এই বিষয়ে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। মামলা হলে তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় শিশু হত্যা: এক আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল, ২ জন খালাস
সিরাজগঞ্জে প্রতিবন্ধী শিশু হত্যা মামলায় চাচাসহ ২ জনের যাবজ্জীবন
হবিগঞ্জে বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা
হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় বুধবার রাতে উপজেলা বিএনপির দেড়শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন বানিয়াচং থানার উপপরিদর্ক (এসআই )শামসুল আরেফিন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অজয় চন্দ্র দেব।
পুলিশের দাবি, হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায় পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে এক বিএনপি নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজলা সদরের এল আর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে পুলিশের হামলায় বিএনপির অর্ধ শতাধিক নেতাকর্মী আহতের অভিযোগ
পুলিশ আরও দাবি করে, বিএনপি নেতারা অস্ত্র নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন।
বিএনপি জানায়, আগামী ১৯ নভেম্বর সিলেটে বিভাগীয় গণসমাবেশ উপলক্ষে তারা প্রচার শেষে চায়ের দোকনে গিয়েছিলেন।চায়ের দোকান থেকে কোনো অপরাধ ছাড়াই উপজলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহির খানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
অপর দিকে পুলিশ জানায়, বুধবার রাতে বিএনপির নেতা–কর্মীদের হামলায় বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত করমকর্তা (ওসি) অজয় চন্দ্র দেব, উপপরিদর্শক (এসআই) আতিক, কনস্টবল বাবুল, বাদশা ও দেলোয়ার আহত হন তারা বানিয়াচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন ৩২ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতশতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করে মমলাটি করা হয়েছে বলে জানান বানিয়াচং থানার উপপরিদর্শক শামসুল আরেফিন ।
তবে হবিগঞ্জ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক জি কে গউছ বলেন, পুলিশ অন্যায়ভাবে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহির খানকে গ্রেপ্তার করেছে। সিলেটের গণসমাবেশকে ঘিরে নেতাকর্মীরা শান্তিপূর্ণভাবে প্রচারপত্র বিলি করছিলেন। পরে তারা এক বিএনপি নতার দোকানে চা পান করতে যান। পুলিশ সেখানে হানা দিয়ে জাহির খানকে ধরে নিয়ে গেছে।
পুলিশ জনস্বার্থ বিরোধী এ কাজ করেছে বলে বিএনপি নেতাকর্মীদের দাবি।
আরও পড়ুন: সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করতে জনগণ গর্জন করছে: ফখরুল
সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক ডা. জাহিদ, সদস্য সচিব কাদের গণি
সরকারি কর্মচারীদের গ্রেপ্তারে পূর্বানুমতি বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল মঞ্জুর
সরকারি কর্মচারীদের গ্রেপ্তারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি নেয়ার বিধান বাতিল করে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতির আবেদন) মঞ্জুর করেছেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত হাইকোর্টের রায় স্থগিত থাকবে বলে আদেশে বলা হয়েছে।
রবিবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের ৫ বিচারপতির বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। পরে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষকে আপিলের অনুমতি দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত। এখন আমরা আপিল দায়ের করবো। আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত হাইকোর্টের রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত থাকবে।’
আরও পড়ুন: মির্জা আব্বাসের দুর্নীতির মামলার বিচার চলবে: আপিল বিভাগ
গত ২৫ আগস্ট সরকারি কর্মচারীদের গ্রেপ্তারে সরকারের পূর্বানুমতি নেয়ার বিধান বাতিল করেন হাইকোর্ট।
আদালত বলেন, সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ এর ৪১ (১) ধারা বেআইনি, সংবিধান পরিপন্থি ও মৌলিক অধিকার পরিপন্থি।
জনস্বার্থে করা এক রিটের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ সেদিন এ রায় ঘোষণা করেন।
পরে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে গত ১ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের দেয়া ওই রায় স্থগিত করেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে এই সময়ের মধ্যে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষকে লিভ টু আপিল করতে বলা হয়।
সে অনুযায়ী রাষ্ট্রপক্ষ লিভ টু আপিল করে যা আজ মঞ্জুর করেন আপিল বিভাগ।
২০১৮ সালের সরকারি চাকরি আইনের ৪১ (১) ধারায় বলা হয়, ‘কোনও সরকারি কর্মচারীর দায়িত্ব পালনের সঙ্গে সম্পর্কিত অভিযোগে দায়েরকৃত ফৌজদারি মামলায় আদালত কর্তৃক অভিযোগপত্র গৃহীত হবার আগে, তাকে গ্রেপ্তার করতে হলে, সরকার বা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি গ্রহণ করতে হবে।’
পরে আইনের ওই ধারা চ্যালেঞ্জ করে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে জনস্বার্থে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সরোয়ার আহাদ চৌধুরী, একলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া ও মাহবুবুল ইসলাম রিট দায়ের করেন।
সে রিটের শুনানি নিয়ে ২০১৮ সালের ৪১ (১) ধারা কেন বেআইনি ও বাতিল ঘোষণা করা হবে না এবং ধারাটি কেন সংবিধানের ২৬ (১) (২), ২৭ ও ৩১ অনুচ্ছেদের পরিপন্থী ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের তৎকালীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। সেই রুল যথাযথ ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: খালাস চেয়ে ডিআইজি প্রিজন বজলুর রশিদের আপিল
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা: ডেথরেফারেন্স ও আপিল শুনানির দিন ধার্য হতে পারে সোমবার
ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছি: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন, ২০১৯ সাল থেকে ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছি। ২০২০ সালে সফলতা দেখাতে সক্ষম হয়েছি তুলনামূলকভাবে। ২০২২ সালে পরিস্থিতির অবনতি লক্ষ করছি। যদিও পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর পরিস্থিতি আরও খারাপ।
রবিবার সারা দেশে মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধ ২০২২ সালের পঞ্চম আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি জানান, ডেঙ্গুতে বাংলাদেশে ১ জানুয়ারি ২০২২ থেকে ২৬ অক্টোবর ২০২২ পর্যন্ত ৩৩ হাজার ৯৩০ জন আক্রান্ত হয়েছে। অন্য দেশগুলোর তুলনায় তা কম হলেও আমরা আরও ভালো করতে চেয়েছি। আমরা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে চাই।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, প্রতিবেশি অন্যান্য দেশের তুলনায় দেশে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা কম হলেও অস্বস্তি আছে। আমরা তুলনাটা (আক্রান্ত) কেন দেই? কারণ আমাদের এখানেতো এডিস মশা ছিল না,ডেঙ্গু রোগ ছিল না। এটাতো বাহির থেকে এসেছে। ফ্লাইটে করে প্যাসেঞ্জার আসছিল, হয়তোবা এর মধ্যে দুটি মশা এসেছে। দুটি মশা এখানে এসে আরও মশা প্রজনন করেছে।
এখন যে ডেঙ্গু হচ্ছে এটা নির্মুল করার পথ কী আপনাদের কাছে নেই-এ প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এটা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হচ্ছে বলেইতো অবস্থাটা অন্য দেশের তুলনায় এরকম (ভালো)। তাদের (প্রতিবেশি দেশসমূহে) দেশেওতো এটা ছিল না। এটা ইউরোপে ছিল। ফ্রান্সে দেখা গেছে যে একদিনে ৭/৮ হাজার লোক মারা গেছে। এরকম তথ্য আছে আমাদের কাছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এটা আমি বলছি যে হয়তো কোন কারণে অর্থাৎ কোন কোন কারণে আসতে পারে। যেমন আমাদের হয়তো কোন প্যাসেঞ্জার আসছে হয়তো কোভিড যুক্ত তাকে আইডেন্টিফাই করা যায়নি, অথবা কেউ জানে না সে এসে নিজে সুস্থ ছিল কিন্তু রোগী সৃষ্টি করেছে; তেমনিভাবে ফ্লাইটে করে একটি মশা আসতে পারে।’
২০১৯ সালের আগে দেশে ডেঙ্গু রোগের তীব্রতা পরিলক্ষিত হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, যে কারণে এ বিষয়ে আমাদের অভিজ্ঞতা খুব বেশি ছিলো না। সে অভিজ্ঞতা আমরা সংগ্রহ করেছি ও কি কি খাতে আমাদের কি কি ইন্টারভেনশন দরকার বা কি কি আউটপুট দরকার সে বিষয়ে কাজ করতে গিয়ে ২০২০ সালে আমরা মোটামুটি সফলতার সঙ্গে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছিলাম।
মন্ত্রী বলেন, ২০২১ সালে ২০ হাজারের মতো আক্রান্ত হয় ও কিছু মৃত্যু হয়। সেটা আমাদের জন্য অস্বস্তিদায়ক ছিলো। এখন ২০২২ সাল এই ২০২২ সালে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগের তীব্রতা আমাদের সমসাময়িক দেশগুলোতে মারাত্মকভাবে পরিলক্ষিত হচ্ছে। বাংলাদেশও তার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। সাধারণত আমরা সেপ্টেম্বরের পর থেকে এর নিম্নগামী লক্ষ্য করেছি। প্রতিটি দেশে ক্লাইমেট চেঞ্জের কারণে এই রোগের একটা সম্পৃক্ততা আমরা লক্ষ্য করেছি। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত এ বছর অক্টোবর মাস শেষ হয়ে যাচ্ছে, কিন্তু এখনো এটা নিম্নগামী অবস্থা আসছে না আমাদের দেশে।
তিনি বলেন, মশার জন্য কোনো বর্ডার নেই। বাংলাদেশের অবস্থার থেকে আমাদের পাশ্ববর্তী দেশগুলো অনেকের অবস্থা এর থেকে অনেক ভয়াবহ। ভারতে গতকাল পর্যন্ত প্রায় দুই লাখের মতো আক্রান্ত। বিশেষ করে কোলকাতায় অসংখ্য ও মৃত্যুর হার সেখানে বেশি। ১ অক্টোবর পর্যন্ত সিঙ্গাপুরে ২৮ হাজার ১৯৬ জন আক্রান্ত। আমার মনে হয় এই সংখ্যাটা এখন অনেক বেড়েছে, মালয়েশিয়াতে ৩৭ হাজার ৯৫০ জন, ইন্দোনেশিয়াতে ৯৪ হাজার ৩৫৫ জন, ফিলিপাইনে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৬৫০ জন, বাংলাদেশে এখনো পর্যন্ত (২৬ অক্টোবর) ৩৩ হাজার ৯২৩ জন।
মন্ত্রী বলেন, অন্যান্য দেশের সঙ্গে তুলনা করলে যেমন সিঙ্গাপুরে মানুষের সংখ্যা ৫০ লাখের মতো। সেই প্রেক্ষিতে এবং মালয়শিয়া, ইন্দোনেশিয়া,ফিলিপাইনের থেকে আমাদের দেশে জনসংখ্যার পরিমাণ বেশি। তা সত্ত্বেও আমাদের জনসংখ্যার ঘনত্ব ভাইরাস ছড়ানোর জন্য বড় কারণ। এটা তো মশাবাহিত ভাইরাস, সে কারণে যদি ওই ফিগার দেখি তাহলে আমাদেরকে সফল বলতে হবে। কিন্তু আমি এটাকে সফল বলবো না, আমাদের টার্গেট ছিল ২০২০ সালে যে দুই হাজার হয়েছিল,তার থেকে আরও নিচে নামিয়ে আনার।
মন্ত্রী জানান, মশা নিধনের জন্য যেসব উপকরণ প্রয়োজন সেগুলো এবং মশা মারার ওষুধ বছরের শুরুতেই সংগ্রহ করা হয়।তিনি বলেন, এ খাতে তিন হাজার লোকবল দেয়া হয়েছে এবং এ জন্য অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। দুই -পাঁচ কোটি টাকা।তিনি আরও বলেন, মশার ওষুধ আমদানির ক্ষেত্রে এক ধরনের মনোপলি ছিলো। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা মনোপলি ভেঙেছি। আমাদের যে সমস্ত প্রক্রিয়া হাতে আছে, আমরা সেগুলো করছি বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: পানির ভবিষ্যৎ চাহিদা পূরণে ওয়াটার গ্রিড লাইন চালু করবে সরকার: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
সৃজনশীল সমাজ প্রতিষ্ঠায় কাজ করতে হবে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
রাস্তা না রেখে উঁচু উঁচু বিল্ডিং করা কি সমীচিন: স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর প্রশ্ন
‘হাওয়া’র বিরুদ্ধে মামলা, জানেন না পরিচালক
মেজবাউর রহমান সুমন পরিচালিত ‘হাওয়া’ সিনেমার বিরুদ্ধে আবারও মামলা দায়ের করা হলো। তামাক নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা অমান্য করার অভিযোগে আইনি নোটিশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী। যেখানে কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে যে সিনেমায় বিধি অনুসারে ধূমপানের ক্ষতিকর সতর্কবার্তা প্রদান করা হয়নি।
এই অভিযোগে চলচ্চিত্রটির পরিচালক, প্রযোজক, মূল চরিত্র এবং সেন্সর বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবর আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন আইনজীবী ব্যারিস্টার জুয়েল সরকার।
আরও পড়ুন: ‘হাওয়া’য় মেতেছে দর্শক
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জুয়েল সরকার বলেন, ‘বেশকিছু দিন ধরে সিনেমার প্রযোজক ও পরিচালককে মৌখিকভাবে সতর্ক করা হলেও তারা বিধি অনুসারে সতর্কবার্তা সংযোজন করেননি। তাই তামাক বিরোধী কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও চলচ্চিত্রটির নির্মাতা-প্রযোজকের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি।’
নোটিশে বলা হয়, ‘হাওয়া’ সিনেমায় বিধিমালার চরম অবমাননা দেখা গেছে। সিনেমার মূল চরিত্র জনাব চঞ্চল চৌধুরী দেশের সব শ্রেণির, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের কাছে অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিত্ব। চলচ্চিত্রটির বিভিন্ন স্থানে অপ্রয়োজনে ধূমপানের যেসব দৃশ্য সংযোজিত হয়েছে, তার সঙ্গে ধূমপানের ক্ষতিকর সতর্কবার্তা বিধি অনুযায়ী প্রদান করা হয়নি।
আইনি নোটিশ প্রসঙ্গে ‘হাওয়া’র পরিচালক মেসবাউর রহমান সুমনের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি ইউএনবিকে বলেন, ‘এই বিষয়ে এখন পর্যন্ত কিছু আমরা জানি না। আমাদের প্রযোজকের কাছেও এমন কোনো নোটিশ আসেনি।’
আরও পড়ুন: মার্কিন বক্স অফিসের শীর্ষ ৩০-এ 'হাওয়া': পরিবেশক সংস্থার দাবি
আইনি নোটিশের বিষয়গুলো মেসবাউর রহমান সুমনকে জানানো হলে উল্লেখ করা বিষয়গুলো ভিত্তিহীন বলে তার দাবি।
এ নিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘সতর্কবার্তা নিয়ে এখানে যে অভিযোগ রয়েছে পুরোটা ভিত্তিহীন। যারা সিনেমাটি দেখেছেন বিষয়টি অবশ্য জানেন যে ধূমপানের প্রতিটি দৃশ্যে সতর্কবার্তা দেয়া আছে। আর বিষয়টি সেন্সরবোর্ডেও নজর রাখা হয়।’
মামলা নিয়ে চিন্তার কিছু নেই বলেন আরও জানান ‘হাওয়া’র পরিচালক।
আরও পড়ুন: হাওয়ার প্রদর্শনী বন্ধে আইনি নোটিশ
খালেদা জিয়া ও তারেকের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকার: শিল্পমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেন, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নামে মামলা করেছিলেন তত্ত্বাবধায়ক সরকার। সেই মামলায় তাদের সাজা হয়েছে। এছাড়া মামলা তো আওয়ামী লীগ সরকার করেনি, আওয়ামী লীগ যদি মামলা দিতো, তাহলে তারা বলতে পারতো এটা প্রতিহিংসামূলক।
সোমবার দুপুরে ঝালকাঠির ইছানীল মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে শিক্ষার মানোন্নয়নে অভিভাবক-শিক্ষার্থী সমন্বয়ে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উন্নয়নে অবদান রাখছে প্রবাসীরা: শিল্পমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নের জন্য শেখ হাসিনার প্রতি এ অঞ্চলের মানুষের কৃতজ্ঞ থাকা উচিৎ। পদ্মাসেতু ও পায়রা বন্দর করেছে শেখ হাসিনা। পায়রা তাপ বিদ্যুতকেন্দ্র করা হয়েছে। এর সুবিধা দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ পাবে।
তাই সারা জীবন এ অঞ্চলের মানুষ শেখ হাসিনার কাছে কৃতজ্ঞ থাকা উচিৎ। আগামী নির্বাচনে এর প্রতিদান স্বরূপ নৌকায় ভোট দিয়ে দেখিয়ে দিতে হবে।
ইছানীল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. কামাল শরীফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খান সাইফুল্লাহ পনির, পৌর মেয়র মো. লিয়াকত আলী তালুকদার ও সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খান আরিফুর রহমান।
আরও পড়ুন বিএসটিআইয়ের বৈশ্বিক মানকে শক্তিশালী করতে সরকার কাজ করছে: শিল্পমন্ত্রী
দেশের কোন চিনিকলই স্থায়ীভাবে বন্ধ করা হয়নি: শিল্পমন্ত্রী: