রুশ জাহাজ
রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মালামাল নিয়ে মোংলায় দুটি জাহাজ
রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিভিন্ন ইলেকট্রিক্যাল ও মেশিনারি পণ্য নিয়ে রাশিয়া থেকে দু’টি জাহাজ মোংলা বন্দরে ভিড়েছে।
রবিবার বিকাল ও সন্ধ্যায় এমভি আনকা সান ও এমভি স্যাফোডিলা নামে ওই জাহাজ দু’টি বন্দর জেটিতে নৌঙ্গর করে।
জাহাজ দু’টিতে দুই হাজার ৪১৫ প্যাকেজে এক হাজার ৯১৮ মেট্রিকটন ইলিকট্রিক্যাল ও মেশিনারি পণ্য রয়েছে। ইতোমধ্যে জাহাজ থেকে পণ্য খালাসের কাজ শুরু হয়েছে।
মোংলা বন্দরের হারবার মাস্টার ক্যাপ্টেন শাহীন মজিদ জানান, রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইলেকট্রিক পণ্য নিয়ে এমভি আনকা সান গত ২৬ ডিসেম্বর রাশিয়ার নভরস্কি বন্দর থেকে ছেড়ে আসে। ওই জাহাজটি বন্দরের ৭ নম্বর জেটিতে নৌঙ্গর করেছে। জাহাজটিতে একহাজার ৯৭৯ প্যাকেজে একহাজার ৪০০ মেট্রিক টন ইলেকট্রিক পণ্য রয়েছে।
এছাড়া লাইব্রেরিয়ান পতাকাবাহী জাহাজ এমভি স্যাফোডিলা রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পণ্য নিয়ে রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গ বন্দর থেকে মোংলা বন্দরের উদ্দেশে ছেড়ে আসে। জাহাজটি বন্দরের ৮ নম্বর জেটিতে নোঙ্গর করেছে। জাহাজটিতে ৪৩৬ প্যাকেজে ৫১৮ দশমিক ৪২১ মেট্রিকটন মেশিনারি পণ্য রয়েছে। রবিবার রাত থেকেই জাহাজ দু’টি থেকে পণ্য খালাস কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: মোংলা বন্দরে পৌঁছেছে বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর মালামাল নিয়ে বিদেশি জাহাজ
এমভি আনকা সান জাহাজের স্থানীয় শিপিং এজেন্ট কনভেয়ার শিপিং লাইন্সের খুলনার ম্যানেজার (অপারেশন শিপিং) সাধন কুমার চক্রবর্তী এবং এমভি স্যাফোডিলা জাহাজের স্থানীয় শিপিং এজেন্ট ইন্টারপোর্টার খুলনার ম্যানেজার অসিম মন্ডল জানান, জাহাজ দু’টি থেকে পণ্য খালাস করে জেটিতে রাখা হচ্ছে। এর পর সড়ক পথে নির্মাণাধীন রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কন্দ্রে নেয়া হবে।
এর আাগে ২২ জানুয়ারি রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মালামাল নিয়ে দু’টি জাহাজ মোংলা বন্দরে নোঙ্গর করে। পানামা পতাকাবাহী লিবার্টি হারভেস্ট নামে জাহাজটিতে চার হাজার ৭১৬ দশমিক ০২৬ মেট্রিকটন মেশিনারিজ পণ্য এবং রুশ পতাকাবাহী এমভি কামিল্লা নামে জাহাজে তিন হাজার ৬৩৩ মেট্রিটকন পণ্য ছিল।
জানা গেছে, দেশে চলমান বিভিন্ন মেগা প্রকল্পের মালামাল নিয়ে বিদেশি জাহাজ প্রায় প্রতিমাসে মোংলা বন্দরে ভিড়ছে। জাহাজ থেকে পণ্য খালাস করার পর মোংলা থেকে প্রকল্প এলাকায় নেয়া হচ্ছে। স্বপ্নের পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে বন্দর ব্যবহারকারীদের অধিকাংশ মোংলা বন্দর ব্যবহার করছে। মোংলা বন্দরে ফিরে এসেছে কর্মচাঞ্চলতা।
আরও পড়ুন: মোংলায় সারবোঝাই লাইটার জাহাজডুবি
১ বছর আগে
নিষেধাজ্ঞার মধ্যে থাকা রুশ জাহাজ গ্রহণ করবে না বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন রবিবার বলেছেন, নিষেধাজ্ঞার মধ্যে থাকা রুশ জাহাজ বাংলাদেশ গ্রহণ করবে না।
তিনি বলেন, রাশিয়ার ৬৯টি জাহাজ নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে। এর বাইরেও রাশিয়ার হাজার-হাজার জাহাজ আছে। স্যাংশনে থাকা ৬৯টা জাহাজ বাদে অন্য যেকোনো জাহাজে তারা সরঞ্জাম পাঠাতে পারে।
মোমেন বলেন, ‘যে জাহাজগুলো স্যাংশনের মধ্যে আছে আমরা সেগুলো গ্রহণ করতে চাই না। আমাদের সঙ্গে আমেরিকার ভালো সম্পর্ক সৃষ্টি হয়েছে।’
আরও পড়ুন: মোমেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পদে থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট
তিনি জানান, এটা তাদের কাছে আশ্চর্যজনক লেগেছে যে রাশিয়া স্যাংশনে থাকা একটা জাহাজের নাম পরিবর্তন করে পাঠিয়েছে। ‘আমরা এটা আশা করিনি।’
মোমেন বলেন, ‘আমরা আশা করি এখন রাশিয়া নন-স্যাংশন জাহাজ দিয়ে জিনিসগুলো পাঠাবে।’
২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে মার্কিন স্যাংশনে থাকা রুশ জাহাজ স্পার্টা-৩ এ করে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সরঞ্জাম পাঠিয়েছিল রাশিয়া। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মোংলা বন্দরে কার্গো আনলোড করার কথা ছিল।
কিন্তু মার্কিন দূতাবাস ঢাকাকে জানায়, বাংলাদেশে পাঠানো রাশিয়ার এই জাহাজটি যুক্তরাষ্ট্রের স্যাংশন দেয়া জাহাজের তালিকায় রয়েছে। এরপর বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ জাহাজটি বন্দরে নোঙর করার অনুমতি প্রত্যাখ্যান করে।
সীমান্ত সমস্যা
বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের পরিস্থিতি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জিরো লাইনে যা ঘটেছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক।
তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের বর্ডার প্রোটেকশনে রেখেছি। আমরা ওখানে খুব সতর্ক অবস্থানে আছি। আমাদের এদিকে একটা আতঙ্ক তৈরি হয়েছে ন্যাচারালি।’
মোমেন বলেন, আমাদের বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা চলছে, কিন্তু আমরা তো বিদ্রোহী দলের সঙ্গে আলাপ করি না। ‘আমরা আমাদের এলাকা প্রটেক্ট করছি।’
এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন আগামীকাল (সোমবার) তার সঙ্গে দেখা করবেন এবং তাদের মধ্যে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে।
রবিবার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এবং পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে চীনা রাষ্ট্রদূত পৃথক বৈঠক করেন।
আরও পড়ুন: আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্চে বাংলাদেশ সফরে আসতে পারেন: মোমেন
নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে সহযোগিতা জোরদারে সম্মত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্কটিশমন্ত্রী
১ বছর আগে
মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় মোংলা বন্দরে ভিড়তে পারেনি রুশ জাহাজ
মার্কিন নিষেধাজ্ঞা থাকায় রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মালামাল নিয়ে আসা রুশ পতাকাবাহী একটি জাহাজ মোংলা বন্দরে ভিড়তে পারেনি।
জাহাজটিকে মোংলা বন্দরে প্রবেশ করতে না দেয়ায় কয়েক দিন ধরে ওই জাহাজটি মোংলা বন্দর চ্যানেলে অবস্থান করছিল।
এমনকি ওই জাহাজটি তার নাম এবং রঙ পরিবর্তন করেছিল মোংলা বন্দরে প্রবেশ করার জন্য। রুশ পতাকাবাহী ওই জাহাজটির নাম এমভি স্পার্ট-৩। বুধবার (৪ জানুয়ারি) জাহাজটি ভারতের উদ্দেশে রওনা হয়েছে। সেখানে হলদিয়া বন্দরে ভিড়ে সেখানে মালামাল খালাস করবে বলে জানা গেছে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব কালাচাঁদ সিংহ জানান, রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য রাশিয়া থেকে আমদানিকৃত মালামাল নিয়ে রুশ পতাকাবাহী ওই জাহাজটি গত ডিসেম্বর মাসের শেষ দিকে মোংলা বন্দরের চ্যানেলে প্রবেশ করে। জাহাজের নাম ও রঙ পরিবর্তন করলেও তা ধরা পড়েছে।
রুশ পতাকাবাহী ওই জাহাজটির উপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন দূতাবাস থেকে ওই জাহাজটি মোংলা বন্দরে প্রবেশে আপত্তি জানানো হয়। একারণে জাহাজটিকে চ্যানেল থেকে মোংলা বন্দরে প্রবেশ করতে অনুমতি দেয়া হয়নি।
আরও পড়ুন: মোংলা বন্দরে ট্রলার ডুবে জেলে নিখোঁজ, উদ্ধার ২১
অন্য একটি সুত্র জানায়, রুশ পতাকাবাহী ওই জাহাজটি ভারতের হলদিয়া বন্দরে ভিড়তে পারে। এর পর সেখানে জাহাজ থেকে রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মালামাল খালাস করবে। হলদিয়া বন্দর থেকে অন্য জাহাজ যোগে ওই মালামাল বাংলাদেশে আনা হতে পারে।
খুলনার কনভেয়ার শিপিং লাইন্সের অপারেশন কর্মকর্তা সাধন কুমার জানান,রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য আমদানি করা মালামাল নিয়ে বিভিন্ন সময় একাধিক জাহাজ মোংলা বন্দরে ভিড়েছে। বন্দরে খালাস করার পর ওই মালামাল রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে নেয়া হয়েছে।
কিন্তু রুশ পতাকাবাহী ওই জাহাজটির ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় জাহাজটি মোংলা বন্দরে প্রবেশ করতে পারেনি বলে তারা শুনেছেন।
মালামাল আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান হয়তো দেশের বাইরে অন্য কোন বন্দরে জাহাজটি ভিড়িয়ে ট্রান্সশিপমেন্ট করে মালামাল রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে নেবে।
আরও পড়ুন: মেট্রোরেলের মালামাল নিয়ে আরও একটি জাহাজ মোংলা বন্দরে
১ বছর আগে
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের যন্ত্রাংশবাহী ৪র্থ রুশ জাহাজ মোংলায় ভিড়েছে
পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের যন্ত্রাংশ নিয়ে আরও একটি রুশ জাহাজ খুলনার মোংলা বন্দরে ভিড়েছে। রবিবার ‘এমভি ইসানিয়া’ নামের রাশিয়ান পতাকাবাহী ওই জাহাজটি বন্দরের ৮নং জেটিতে নৌঙ্গর করে।
জাহাজটির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট কনভেয়ার লজিস্টিক লিমিটেডের প্রজেক্ট ম্যানেজার প্রকৌশলী মো. শিবলী জানান, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য আমাদানি করা মালামাল নিয়ে এমভি ইসানিয়া নামে এই জাহাজটি ১৭ আগস্ট রাশিয়া থেকে ছেড়ে আসে। ২৪ দিনের মাথায় জাহাজটি মোংলা বন্দরে এসে ভিড়েছে।
তিনি জানান, জাহাজটিতে ২৭৪ প্যাকেজে ৯৮৭ মেট্রিকটন ওজনের বিভিন্ন ইলেকট্রিক্যাল মালামাল রয়েছে। জাহাজটি থেকে মালামাল খালাস করার পর সড়ক পথে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: ইউক্রেন হামলার পর দ্বিতীয় রুশ জাহাজ মোংলায় পৌঁছেছে
তিনি আরও জানান, এই জাহাজটির শিপিং এজেন্টে কনভেয়ার শিপিং লাইন। কনভেয়ার শিপিং লজিস্টিক লিমিটেড পণ্য খালাস করে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে মালামাল পৌঁছে দেয়ার দায়িত্বে রয়েছে।
মোংলা বন্দর সূত্র জানায়, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য রাশিয়া থেকে আমদানি করা মালামাল মোংলা বন্দর ব্যবহার করে আনা হচ্ছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে মাঝখানে রাশিয়া থেকে মালামাল আসা বন্ধ ছিল।
১ আগস্ট রাশিয়া থেকে আবারও রূপপুর পারমাণবিক বিদুকেন্দ্রের মালামাল মোংলা বন্দরে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় রাশিয়া থেকে চতুর্থ চালানে রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালামাল নিয়ে জাহাজ এমভি ইসানিয়া মোংলা বন্দরে ভিড়েছে।
প্রসঙ্গত, এর আগে ১ আগস্ট রাশিয়ান পতাকাবাহী জাহাজ এমভি কামিল্লা, ৫ আগস্ট লাইবেরিয়ান পতাকাবাহী জাহাজ এমভি ড্রাগনবল এবং ৬ সেপ্টেম্বর বেলিজ পতাকাবাহী জাহাজ এমভি ইউনিউইসডম রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালামাল নিয়ে মোংলা বন্দরে ভেড়ে।
আরও পড়ুন: ইউক্রেন হামলার পর প্রথম রুশ জাহাজ মোংলায় পৌঁছেছে
২ বছর আগে