পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন রবিবার বলেছেন, নিষেধাজ্ঞার মধ্যে থাকা রুশ জাহাজ বাংলাদেশ গ্রহণ করবে না।
তিনি বলেন, রাশিয়ার ৬৯টি জাহাজ নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে। এর বাইরেও রাশিয়ার হাজার-হাজার জাহাজ আছে। স্যাংশনে থাকা ৬৯টা জাহাজ বাদে অন্য যেকোনো জাহাজে তারা সরঞ্জাম পাঠাতে পারে।
মোমেন বলেন, ‘যে জাহাজগুলো স্যাংশনের মধ্যে আছে আমরা সেগুলো গ্রহণ করতে চাই না। আমাদের সঙ্গে আমেরিকার ভালো সম্পর্ক সৃষ্টি হয়েছে।’
আরও পড়ুন: মোমেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পদে থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট
তিনি জানান, এটা তাদের কাছে আশ্চর্যজনক লেগেছে যে রাশিয়া স্যাংশনে থাকা একটা জাহাজের নাম পরিবর্তন করে পাঠিয়েছে। ‘আমরা এটা আশা করিনি।’
মোমেন বলেন, ‘আমরা আশা করি এখন রাশিয়া নন-স্যাংশন জাহাজ দিয়ে জিনিসগুলো পাঠাবে।’
২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে মার্কিন স্যাংশনে থাকা রুশ জাহাজ স্পার্টা-৩ এ করে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সরঞ্জাম পাঠিয়েছিল রাশিয়া। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মোংলা বন্দরে কার্গো আনলোড করার কথা ছিল।
কিন্তু মার্কিন দূতাবাস ঢাকাকে জানায়, বাংলাদেশে পাঠানো রাশিয়ার এই জাহাজটি যুক্তরাষ্ট্রের স্যাংশন দেয়া জাহাজের তালিকায় রয়েছে। এরপর বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ জাহাজটি বন্দরে নোঙর করার অনুমতি প্রত্যাখ্যান করে।
সীমান্ত সমস্যা
বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের পরিস্থিতি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জিরো লাইনে যা ঘটেছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক।
তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের বর্ডার প্রোটেকশনে রেখেছি। আমরা ওখানে খুব সতর্ক অবস্থানে আছি। আমাদের এদিকে একটা আতঙ্ক তৈরি হয়েছে ন্যাচারালি।’
মোমেন বলেন, আমাদের বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা চলছে, কিন্তু আমরা তো বিদ্রোহী দলের সঙ্গে আলাপ করি না। ‘আমরা আমাদের এলাকা প্রটেক্ট করছি।’
এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন আগামীকাল (সোমবার) তার সঙ্গে দেখা করবেন এবং তাদের মধ্যে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে।
রবিবার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এবং পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে চীনা রাষ্ট্রদূত পৃথক বৈঠক করেন।
আরও পড়ুন: আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্চে বাংলাদেশ সফরে আসতে পারেন: মোমেন
নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে সহযোগিতা জোরদারে সম্মত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্কটিশমন্ত্রী