২০ বছর
২০ বছর পর পরিষ্কার করা হচ্ছে চাঁদপুরের এসবি খাল
২০ বছর পর চাঁদপুরের এসবি খালের জঞ্জাল ও আবর্জনা মুক্ত করা হচ্ছে। এই কার্যক্রম উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন।
জাতীয় যুব দিবস উপলক্ষে প্রত্যেক জেলায় একটি খাল পরিষ্কার করার উদ্যোগের অংশ হিসেবে এসবি খালটি নির্ধারণ করা হয়।
এছাড়া চাঁদপুরের এই এসবি খালটি মেঘনা নদী থেকে শুরু হয়ে শহরের মধ্যখান দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ডাকাতিয়ায় মিলেছে।
আরও পড়ুন: আগামী প্রজন্মকে দূষণমুক্ত নদী-খাল দেখাতে হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা
শনিবার (২ নভেম্বর) সকালে খালটি শহরে মুন্সেফপাড়া এলাকার অংশে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়।
এতে বিডি ক্লিন, রেড ক্রিসেন্ট, নবজাগরণ গোল্ডেন ফাউন্ডেশন ও পৌরসভার পরিচ্ছন্ন কর্মীসহ প্রায় দেড় শতাধিক লোক অংশগ্রহণ করে।
পরিচ্ছন্ন কাজে অংশগ্রহণকারী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন নবজাগরণ গোল্ডেন ফাউন্ডেশনের সদস্যরা জানান, শিক্ষার্থীদের নিয়ে তাদের এই সংগঠন।
তাদের কাজের একটি অংশই হচ্ছে শহর পরিচ্ছন্ন রাখার কাজে সহায়তা করা। এই কাজে তাদের সংগঠনের ৪৫ জন সদস্য অংশ নিছে।
বিডি ক্লিন, চাঁদপুরের সদস্য মিথিলা বলেন, শহরের পানি নিষ্কাশনের একমাত্র খাল এসবি খাল। শহরবাসীকে জলাবদ্ধতা থেকে রক্ষার জন্য আমাদের সদস্যরা আবর্জনা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজে অংশ নিয়েছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন বলেন, এটি আমাদের জাতীয় যুব দিবসের একটি কর্মসূচি। সেই কর্মসূচির আলোকে সারাদেশে একটি করে খাল পরিষ্কার করা হচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে চাঁদপুরের এসবি খালটিকে নির্ধারণ করেছি। ডাকাতিয়া ও মেঘনার সংযোগ পর্যন্ত পরিষ্কার করা হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা এই কাজে পৌরবাসীর সহযোগিতা চাচ্ছি এবং পাশাপাশি তাদের সচেতন হওয়ার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। ছাত্র ও যুবসমাজ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করছেন। কিন্তু এটিকে ধরে রাখার কাজ হচ্ছে পৌরবাসীর। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ ১৫ দিন চলমান থাকবে। এরপর এই কাজটির তত্ত্বাবধান করবে চাঁদপুর পৌরসভা কর্তৃপক্ষ।
এছাড়া আগামীতে খালের অবৈধ দখলও উদ্ধার করা হবে বলে জানান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন।
আরও পড়ুন: পিরোজপুরে প্রাইভেট কার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খালে পড়ে শিশুসহ নিহত ৮
১ মাস আগে
প্রায় ২০ বছর পর কম্বোডিয়ায় বিরল মাছের সন্ধান
প্রায় দুই দশক ধরে ‘মেকং নদীর ভূত’ নামের এক মাছ দেখা যায়নি কম্বোডিয়ার কোনো জলাশয়ে। তবে দীর্ঘদিন পর ফের সেই মাছের দেখা মিলেছে দেশটিতে।
আবারও দৈত্যাকার এই কার্প জাতীয় মাছের দেখা পেয়েছে কম্বোডিয়ার কৃষি, বন ও মৎস্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে এবং দেশটির মৎস্য প্রশাসনের নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞানীদের একটি দল।
আরও পড়ুন: কম্বোডিয়ায় হোটেল-ক্যাসিনোতে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ১৯
এ বিষয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০০৫ সাল থেকে এই অস্বাভাবিক আকৃতির স্যামন মাছ দেখা যায়নি। ফলে মাছের এই প্রজাতিটি বিলুপ্ত হয়ে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছিল। তবে ফের দৈত্যাকার এই মাছের সন্ধান মেলা বিজ্ঞান মহলে একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা।
কম্বোডিয়ার সোয়ে রিয়েং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গবেষক বুনিয়েথ চ্যান বলেন, ‘জায়ান্ট স্যামন কার্পের পুনরাবিষ্কার শুধু এই প্রজাতির জন্যই নয়, পুরো মেকং বাস্তুতন্ত্রের জন্য আশার সঞ্চার করবে।’
‘মেকং বাস্তুতন্ত্র পৃথিবীর সবচেয়ে উৎপাদনশীল বাস্তুতন্ত্রগুলোর একটি, মেকং নদীতে প্রতি বছর ২০ লাখ টনেরও বেশি মাছ উৎপাদিত হয় এই বাস্তুতন্ত্রে, যার মূল্য ২০০ কোটি ডলারেরও বেশি।’
পুনরাবিষ্কারের পর এই মাছকে সুরক্ষিত প্রজাতির তালিকায় যুক্ত করেছে কম্বোডিয়ার মৎস্য প্রশাসন।
আরও পড়ুন: বাণিজ্য বাড়াতে বাংলাদেশ-কম্বোডিয়া এফটিএ চুক্তিতে সম্মত
২ মাস আগে
মুক্তিযোদ্ধা শফিউদ্দিন হত্যার ২০ বছর পর খুনি গ্রেপ্তার
বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্মচারী ও জাতীয়তাবাদী রেল শ্রমিক নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিউদ্দিন আহমদ হত্যা মামলার ২০ বছর পর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি মাজহারুল ইসলাম ফরহাদকে (৪৩) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
সোমবার (৮ মে) দুপুরে র্যাব-৭ এ তথ্য জানায়।
এর আগে রবিবার (৭ মে) দুপুরে মহানগরীর খুলশী থানাধীন আমবাগান এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় যুবলীগ নেতা জামাল হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত ৩ আসামি গ্রেপ্তার: র্যাব
গ্রেপ্তার মাজহারুল নোয়াখালীর সুধারাম উপজেলার পূর্ব এওজবালিয়া গ্রামের মো. মফিজ মিয়ার ছেলে।
তিনি রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সহকারী প্রকৌশলী-১ কার্যালয়ে উচ্চমান সহকারী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
র্যাবের চট্টগ্রাম জোনের সহকারী পরিচালক মো. নুরুল আবসার জানান, গোয়েন্দা নজরদারি ও ছায়াতদন্তে শফিউদ্দিন হত্যা মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি মাজহারুল ইসলাম ফরহাদকে শনাক্ত করা হয়। পরে রবিবার অভিযান চালিয়ে খুলশীর আমবাগান এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গ্রেপ্তার এড়াতে তিনি দীর্ঘ ২০ বছর চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপন করেছিলেন।
জানা গেছে, ২০০৩ সালের ১৪ জুন চট্টগ্রাম মহানগরীর খুলশী থানার উত্তর আমবাগান এলাকায় রেলওয়ে স্টাফ কোয়ার্টারে ঢুকে সন্ত্রাসী মাজহারুল ইসলাম ফরহাদের নেতৃত্বে দুবৃর্ত্তরা শ্রমিক নেতা শফিউদ্দিনকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করে।
এ ঘটনায় শফিউদ্দিনের স্ত্রী বাদী হয়ে মাজহারুলসহ আরও সাত-আটজনকে আসামি করে খুলশী থানায় মামলা করেন। মামলার পর থেকে মাজহারুল আত্মগোপন থাকেন। পরে ওই মামলায় আদালত তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।
হত্যাকাণ্ডের পর আমবাগান এলাকা ছেড়ে যাওয়া ফরহাদ সম্প্রতি আবার এলাকায় ফেরেন।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গ্রেপ্তারের পর তিনি শফিউদ্দিন হত্যা মামলার যাবজ্জীবন দণ্ডিত আসামি বলে স্বীকার করেন।
আরও পড়ুন: নেত্রকোনায় বাবাকে হত্যার পর মাটিচাপা, ছেলে গ্রেপ্তার
কুয়াকাটায় পর্যটকদের মারধর করে টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ২
১ বছর আগে
ফেনীতে ১৯ বছর পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
ফেনীর সোনাগাজীতে মায়ের সামনে মেয়েকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার ১৯ বছর পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রবিবার রাত সাড়ে ৮ টায় শহরের মিজান রোডের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জাহাঙ্গীর আলম (৪৫) সোনাগাজী উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের নাজিরপুর গ্রামের আবুল কালামের ছেলে।
পুলিশ জানায়, ২০০৩ সালের ১৩ মে রাতে সোনাগাজী উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামের সনাতন ধর্মের একটি পরিবারের মা ও মেয়েকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সামনে মায়ের সামনে কিশোরী মেয়েকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে দুর্বৃত্তরা।
আরও পড়ুন:দামুড়হুদায় মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা আটক
এ ঘটনায় ওই ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে পরদিন চারজনের নাম উল্লেখ করে সোনাগাজী থানায় মামলা দায়ের করেন।
গত ১৪ জুলাই ৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ওসমান হায়দার তিন আসামির মৃত্যুদণ্ড ও এক আসামিকে খালাসের রায় ঘোষণা করেন। একইসঙ্গে প্রত্যেক দণ্ডপ্রাপ্তকে দুই লাখ টাকা করে জরিমানার আদেশ দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- সোনাগাজী উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের ফকির আহমদের ছেলে আবুল কাশেম, আবদুর রশিদের ছেলে মো. লাতু ও আবুল কালামের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম।
অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় একই এলাকার রসুল আহম্মদের ছেলে মোহাম্মদ ফারুককে বিচারক এ মামলা থেকে খালাস দিয়েছেন।
রায় ঘোষণার সময় মোহাম্মদ ফারুক আদালতে উপস্থিত থাকলেও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামি পলাতক ছিলেন।
জাহাঙ্গীর আলম আদালতে আত্মসমর্পণ করতে আইনি পরামর্শ নিতে রবিবার সন্ধ্যায় তার ভগ্নিপতিকে সঙ্গে নিয়ে আইনজীবী করিমুল হক দুলালের চেম্বারে যান। সেখান থেকে ফেরার পথে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ খালেদ হোসেন দাইয়্যান তাকে গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সোমবার সকালে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন:সিলেটে ধর্ষণের অভিযোগে কবিরাজ গ্রেপ্তার
ফুলবাড়ীতে তিন বছরের শিশুকে ধর্ষণ, প্রতিবেশী আটক
২ বছর আগে