২০ বছর
মুক্তিযোদ্ধা শফিউদ্দিন হত্যার ২০ বছর পর খুনি গ্রেপ্তার
বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্মচারী ও জাতীয়তাবাদী রেল শ্রমিক নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিউদ্দিন আহমদ হত্যা মামলার ২০ বছর পর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি মাজহারুল ইসলাম ফরহাদকে (৪৩) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
সোমবার (৮ মে) দুপুরে র্যাব-৭ এ তথ্য জানায়।
এর আগে রবিবার (৭ মে) দুপুরে মহানগরীর খুলশী থানাধীন আমবাগান এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় যুবলীগ নেতা জামাল হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত ৩ আসামি গ্রেপ্তার: র্যাব
গ্রেপ্তার মাজহারুল নোয়াখালীর সুধারাম উপজেলার পূর্ব এওজবালিয়া গ্রামের মো. মফিজ মিয়ার ছেলে।
তিনি রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সহকারী প্রকৌশলী-১ কার্যালয়ে উচ্চমান সহকারী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
র্যাবের চট্টগ্রাম জোনের সহকারী পরিচালক মো. নুরুল আবসার জানান, গোয়েন্দা নজরদারি ও ছায়াতদন্তে শফিউদ্দিন হত্যা মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি মাজহারুল ইসলাম ফরহাদকে শনাক্ত করা হয়। পরে রবিবার অভিযান চালিয়ে খুলশীর আমবাগান এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গ্রেপ্তার এড়াতে তিনি দীর্ঘ ২০ বছর চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপন করেছিলেন।
জানা গেছে, ২০০৩ সালের ১৪ জুন চট্টগ্রাম মহানগরীর খুলশী থানার উত্তর আমবাগান এলাকায় রেলওয়ে স্টাফ কোয়ার্টারে ঢুকে সন্ত্রাসী মাজহারুল ইসলাম ফরহাদের নেতৃত্বে দুবৃর্ত্তরা শ্রমিক নেতা শফিউদ্দিনকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করে।
এ ঘটনায় শফিউদ্দিনের স্ত্রী বাদী হয়ে মাজহারুলসহ আরও সাত-আটজনকে আসামি করে খুলশী থানায় মামলা করেন। মামলার পর থেকে মাজহারুল আত্মগোপন থাকেন। পরে ওই মামলায় আদালত তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।
হত্যাকাণ্ডের পর আমবাগান এলাকা ছেড়ে যাওয়া ফরহাদ সম্প্রতি আবার এলাকায় ফেরেন।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গ্রেপ্তারের পর তিনি শফিউদ্দিন হত্যা মামলার যাবজ্জীবন দণ্ডিত আসামি বলে স্বীকার করেন।
আরও পড়ুন: নেত্রকোনায় বাবাকে হত্যার পর মাটিচাপা, ছেলে গ্রেপ্তার
কুয়াকাটায় পর্যটকদের মারধর করে টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ২
ফেনীতে ১৯ বছর পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
ফেনীর সোনাগাজীতে মায়ের সামনে মেয়েকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার ১৯ বছর পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রবিবার রাত সাড়ে ৮ টায় শহরের মিজান রোডের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জাহাঙ্গীর আলম (৪৫) সোনাগাজী উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের নাজিরপুর গ্রামের আবুল কালামের ছেলে।
পুলিশ জানায়, ২০০৩ সালের ১৩ মে রাতে সোনাগাজী উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামের সনাতন ধর্মের একটি পরিবারের মা ও মেয়েকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সামনে মায়ের সামনে কিশোরী মেয়েকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে দুর্বৃত্তরা।
আরও পড়ুন:দামুড়হুদায় মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা আটক
এ ঘটনায় ওই ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে পরদিন চারজনের নাম উল্লেখ করে সোনাগাজী থানায় মামলা দায়ের করেন।
গত ১৪ জুলাই ৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ওসমান হায়দার তিন আসামির মৃত্যুদণ্ড ও এক আসামিকে খালাসের রায় ঘোষণা করেন। একইসঙ্গে প্রত্যেক দণ্ডপ্রাপ্তকে দুই লাখ টাকা করে জরিমানার আদেশ দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- সোনাগাজী উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের ফকির আহমদের ছেলে আবুল কাশেম, আবদুর রশিদের ছেলে মো. লাতু ও আবুল কালামের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম।
অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় একই এলাকার রসুল আহম্মদের ছেলে মোহাম্মদ ফারুককে বিচারক এ মামলা থেকে খালাস দিয়েছেন।
রায় ঘোষণার সময় মোহাম্মদ ফারুক আদালতে উপস্থিত থাকলেও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামি পলাতক ছিলেন।
জাহাঙ্গীর আলম আদালতে আত্মসমর্পণ করতে আইনি পরামর্শ নিতে রবিবার সন্ধ্যায় তার ভগ্নিপতিকে সঙ্গে নিয়ে আইনজীবী করিমুল হক দুলালের চেম্বারে যান। সেখান থেকে ফেরার পথে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ খালেদ হোসেন দাইয়্যান তাকে গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সোমবার সকালে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন:সিলেটে ধর্ষণের অভিযোগে কবিরাজ গ্রেপ্তার
ফুলবাড়ীতে তিন বছরের শিশুকে ধর্ষণ, প্রতিবেশী আটক