সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক সমন্বয় পরিষদ
সিলেটে পরিবহন শ্রমিকদের কর্মবিরতি স্থগিত
দিনভর দুর্ভোগের পর মঙ্গলবার রাতে কর্মবিরতি স্থগিত করেছেন সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক সমন্বয় পরিষদ।
সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার ড. মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেনের সঙ্গে বৈঠক শেষে মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে সিলেট জেলা বাস মিনিবাস কোচ মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর রাজন এ তথ্য জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে পরিবহন শ্রমিকদের কর্মবিরতি শুরু
তিনি বলেন, প্রশাসন আমাদের দাবি পূরণের আশ্বাস দিয়েছেন, একইসঙ্গে এসএসসি পরীক্ষার কথা বিবেচনা করে কর্মবিরতি স্থগিতের অনুরোধ করেছেন। তাদের আশ্বাসের ভিত্তিতে আমরা কর্মবিরতি স্থগিত করেছি।
রাত ৮টার দিকে সিলেট সার্কিট হাউসে অনুষ্ঠিত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- বিভাগীয় কমিশনার ড. মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন, জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান, সিলেট জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন ও সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক সমন্বয় পরিষদের নেতারা।
আরও পড়ুন: সিলেটে পরিবহন শ্রমিকদের ধর্মঘট: চরম ভোগান্তি যাত্রীদের
বৈঠক শেষে সিলেট জেলা বাস মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মইনুল ইসলাম বলেন, প্রশাসন আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন ১৫ অক্টোবরের মধ্যে আমাদের সব দাবি মেনে নেবেন এবং বুধবার থেকে পুলিশি হয়রানি বন্ধ করবেন। তাদের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে এবং এসএসসি পরীক্ষা ও দুর্গাপূজার কথা বিবেচনা করে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত কর্মবিরতি স্থগিত রাখছি। আশা করছি এই সময়ের মধ্যে দাবিগুলো পূরণ হবে।
এর আগে মঙ্গলবার সকাল থেকে পাঁচ দফা দাবিতে সিলেটে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু করেন পরিবহন শ্রমিকরা এবং বুধবার থেকে বিভাগের চার জেলায় এ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছিলেন তারা।
আরও পড়ুন: মঙ্গলবার থেকে সিলেটে পরিবহন মালিকদের ধর্মঘট
পরিবহন শ্রমিকদের কর্মবিরতির কারণে যানবাহনের অভাবে দূরপাল্লার যাত্রীদের পাশাপাশি নগরের ভেতরে চলাচলকারী যাত্রীদেরও দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
২ বছর আগে
সিলেটে পরিবহন শ্রমিকদের কর্মবিরতি শুরু
পাঁচ দফা দাবিতে বুধবার থেকে সিলেটে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু করেছে ছয়টি নিবন্ধিত সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক সমন্বয় পরিষদ।
কয়েকদিন ধরেই পাঁচ দফা দাবিতে নগরে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছে পরিবহন শ্রমিক সংগঠনটি। দাবি পুরণ না হলে কর্মবিরতিরও হুমকি দিয়ে আসছেন সংগঠনের নেতারা। নির্ধারিত সময় সীমার মধ্যে দাবিগুলো পূরণ না হওয়া মঙ্গলবার থেকে সিলেট জেলায় ও বুধবার থেকে সিলেট বিভাগে কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে এই সংগঠন।
এব্যাপারে সিলেট জেলা বাস মিনিবাস কোচ মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর রাজন সোমবার সন্ধ্যায় বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমরা ন্যায্য পাঁচটি দাবি জানিয়ে আসছি। কিন্তু আমাদের সঙ্গে নানা টালবাহানা করা হচ্ছে। আমাদের একটি দাবিও আজ পর্যন্ত মানা হয়নি।
আরও পড়ুন: মঙ্গলবার থেকে সিলেটে পরিবহন মালিকদের ধর্মঘট
তিনি বলেন, গত ৮ সেপ্টেম্বর আমরা এই দাবিগুলো জানিয়ে দক্ষিণ সুরমার হুমায়ুন রশিদ চত্বরে মানববন্ধন করেছি এবং গত সোমবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি দিয়েছি। স্মারকলিপির অনুলিপি সিলেটের প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট সকল সেক্টরেও পাঠানো হয়েছে। কিন্তু এরপরও আমাদের দাবিগুলো মেনে না নেয়ায় আমরা এ কঠোর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়েছি।
মঙ্গলবার ভোর থেকে সিলেট জেলার রাস্তায় কোনো চালক গাড়ি নিয়ে বের হবেন না জানিয়ে রাজন বলেন, বুধবার থেকে পুরো সিলেট বিভাগে কোনো গাড়ি চলবে না। আমাদের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পরিবহন শ্রমিকরাও। ফলে বুধবার থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়ও পরিবহন শ্রমিকদের কর্মবিরতি শুরু হবে।
আরও পড়ুন: পরিবহন ধর্মঘটের তৃতীয় দিন: দুর্ভোগে যাত্রীরা
সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া আহমদ জানান, তাদের পাঁচটি দাবি হলো। ট্রাফিক পুলিশের হয়রানি, রেকারিং বাণিজ্য ও মাত্রাতিরিক্ত জরিমানা আদায় বন্ধ, মহানগর পুলিশ কমিশনার, পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের উপকমিশনার ও অতিরিক্ত উপকমিশনারকে প্রত্যাহার; গাড়ি ফিটনেস মামলা সঠিকভাবে করা, সিলেট শ্রম আদালতে শ্রমিক ইউনিয়নগুলোকে হয়রানি বন্ধ এবং আদালত থেকে শ্রমিক প্রতিনিধি নাজমুল আলম রোমেনকে প্রত্যাহার; হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনার প্রেক্ষিতে বন্ধ পাথর কোয়ারি খুলে দিতে হবে; সিলেটের সব ভাঙা সড়ক সংস্কার এবং সিএনজিচালিত অটোরিকশা বিক্রি বন্ধ করতে হবে। অটোবাইক, ব্যাটারিচালিত রিকশা, ডাম্পিং করা গাড়ি এবং অন্য জেলা থেকে আগত গাড়ি চলাচল বন্ধ করতে হবে।
আরও পড়ুন: সারাদিন দুর্ভোগ শেষে সিলেটে রাতে পরিবহন ধর্মঘট স্থগিত
এদিকে, কর্মবিরতির ঘোষণা জানিয়ে সোমবার সিলেটে মাইকিংও করেন পরিবহন শ্রমিকরা।
২ বছর আগে