বাজারভিত্তিক
বাংলাদেশ ব্যাংক রেট ক্যাপসহ 'বাজারভিত্তিক' ডলারের বিনিময় হার চালু করেছে
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) একটি 'বাজার-ভিত্তিক' মার্কিন ডলারের বিনিময় হার চালু করে, নতুন অর্থবছর ২০২৩-২০২৪-এর এইচ-১ এর জন্য সর্বোচ্চ হারের ওপর একটি সীমা নির্ধারণ করেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে প্রতি ডলার ১০৮ টাকা ৮৫ পয়সায় বিক্রি করছে, আগের হার থেকে ২ টাকা ৮৫ পয়সা বেড়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি মালিকানাধীন শিপিং এবং এয়ারলাইন কোম্পানিগুলো বৈদেশিক মুদ্রা অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে: বিবি
বাজারভিত্তিক হারে ডলার বিক্রির নিয়ন্ত্রকের মাধ্যমে আন্তঃব্যাংক লেনদেনে ডলারের দামও সর্বোচ্চ ১০৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এছাড়া বৈদেশিক মুদ্রার বাজার এখনও অস্থির।
এদিকে মঙ্গলবার (৪ জুলাই) ক্লায়েন্টদের কাছে ব্যাঙ্কগুলো বিভিন্ন হারে মার্কিন ডলার বিক্রি করছে।
বৈদেশিক মুদ্রার বাজার এখনও অস্থির এবং মঙ্গলবার (৪ জুলাই) ক্লায়েন্টদের কাছে বিভিন্ন হারে ইউএস ডলার বিক্রি করছে, আমদানিকারকরা এলসির জন্য প্রতি ডলারে ১১২ টাকা পরিশোধ করেছে, যা প্রতিযোগিতামূলক বিনিময় হার সূত্রের বিরুদ্ধে।
রপ্তানিভিত্তিক শিল্পের কাঁচামাল আমদানি করতে মঙ্গলবার মতিঝিলের একটি বেসরকারি ব্যাংকে এলসি খুলতে যাওয়া ব্যবসায়ী রুবায়েত হোসেনকে এলসির জন্য ডলারপ্রতি ১১২ টাকা দিতে হয়েছে।
তিনি ইউএনবিকে জানান, উচ্চহার সত্বেও রুবায়েত তার প্রয়োজনের অর্ধেক ডলার পেয়েছিলেন এবং এ ধরনের পরিস্থিতি ব্যবসার জন্য বিরক্তিকর বলে বর্ণনা করেন।
এর আগে গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার বলেছিলেন যে, বাংলাদেশ ব্যাংক ২৪ অর্থবছর থেকে ছাড়ের হারে ব্যাংকগুলোর কাছে আর ডলার বিক্রি করবে না। তাই আন্তঃব্যাংক লেনদেনের সর্বোচ্চ মূল্যে ডলার বাজারভিত্তিক হারে বিক্রি করা হবে।
এছাড়া বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলার অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) আন্তঃব্যাংক বিনিময় হারের অধীনে ডলারের সর্বোচ্চ দর ১০৯ টাকা নির্ধারণ করেছে।
বিএএফইডিএ অনুযায়ী, এখন থেকে ডিলার ব্যাংকগুলো যে হারে ডলার কিনবে, তার সঙ্গে এক টাকা যোগ করবে এবং বিসি (সংগ্রহের জন্য বিল) বিক্রির হার দেবে। তবে এই হার ১০৯ টাকার বেশি হতে পারবে না। ব্যাংকগুলো এখন রপ্তানি বিল ১০৭ দশমিক ৫০ টাকায় এবং রেমিটেন্স ১০৮ দশমিক ৫০ টাকায় কেনে।
বাফেদা ও অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশ (এবিবি) গড় ডলার ক্রয়মূল্যের সঙ্গে সর্বোচ্চ এক টাকা যোগ করে আমদানি মূল্য নির্ধারণ করেছে।
আরও পড়ুন: জুন মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ৯.৭৪ শতাংশে নেমে এসেছে: বিবিএস
এমএফএসের দৈনিক লেনদেন ৩২০০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে: বিবি
১ বছর আগে
বৈদেশিক মুদ্রার হার বাজারভিত্তিক করা হবে: অর্থমন্ত্রী
সরকার বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার বাজারভিত্তিক করার কথা চিন্তা করছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
তিনি বলেন, ‘আমরা বৈদেশিক বিনিময় হার বাজার ভিত্তিক করার চিন্তা করছি। আজ বা আগামীকাল, আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার বাজার-ভিত্তিক লেনদেনের জন্য যেতেই হবে।’
বুধবার অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি (সিসিইএ) এবং সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির (সিসিজিপি) পরপর দুটি বৈঠকের ফলাফল সম্পর্কে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন:বিদ্যুৎ ও পেট্রোলিয়ামের দাম বাড়াতে আইএমএফের কোনো প্রস্তাব পাইনি: অর্থমন্ত্রী
সাম্প্রতিককালে বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে অস্থিরতার পটভূমিতে অর্থমন্ত্রী এমন মন্তব্য করলেন। মুদ্রার বাজারে মার্কিন ডলারের বিনিময় হার ৮৫ টাকা থেকে ১১৯ টাকায় উঠেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সম্প্রতি বিনিময় হার নির্ধারণ করেছে ৯৫ টাকা, বেসরকারি ব্যাংকগুলোতে ডলার লেনদেন হচ্ছে ১০৮ টাকায়।
ব্যাংক ঋণের সুদ হার পুনর্নির্ধারণের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আমানত ও ব্যাংক ঋণে বিদ্যমান ৬-৯ শতাংশ সুদের হারের বিপরীতে ঋণের হারে কোনো ঊর্ধ্বমুখী বা নিম্নমুখী পরিবর্তনের সম্ভাবনা নাকচ করে দেন অর্থমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘বর্তমান সুদের হার ৬-৯ শতাংশের মধ্যে ভাল কাজ করছে।’
মুস্তাফা কামাল বলেন, অনেক দেশ মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সুদের হার বৃদ্ধির পথ অনুসরণ করে।
তিনি বলেন, ‘কিন্তু বাংলাদেশের মতো দেশে সুদের হার বাড়িয়ে বা কমিয়ে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা খুবই কঠিন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের কেন্দ্রীয় ব্যাংক দুটি উপায়ে কাজ করে – আর্থিক ব্যবস্থা গ্রহণ এবং বাজার পর্যবেক্ষণ করে।
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সম্পর্কে তিনি বলেন, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ভালো অবস্থায় রয়েছে।
অর্থমন্ত্রী দাবি করে বলেন, ‘আমাদের রেমিট্যান্স বাড়ছে, রপ্তানি বাড়ছে এবং আমদানি কমছে।’
তিনি বলেন, বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে কোনো সংকট নেই। শিগগিরই বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আবারও ৪৮ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হবে।
রুবলে রাশিয়ান জ্বালানি আমদানির বিষয়ে অপর এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে কাজ চলছে।
তিনি বলেন, ‘এক্ষেত্রে বাংলাদেশকে মুদ্রা অদলবদলের মাধ্যমে তা করতে হবে। সেক্ষেত্রে রাশিয়াকে প্রথমে আমাদের মুদ্রা গ্রহণ করতে হবে।’
আরও পড়ুন:আইএমএফের কাছে ঋণ চাইলেও অর্থনীতির অবস্থা খারাপ নয়: অর্থমন্ত্রী
আইএমএফের ঋণের জন্য বাংলাদেশের অনুরোধের খবর নাকচ অর্থমন্ত্রীর
২ বছর আগে