কিস্তি
আইএমএফের ঋণের তৃতীয় কিস্তি পেয়েছে বাংলাদেশ
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে ৪৭০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণের তৃতীয় কিস্তি হিসেবে বৃহস্পতিবার ১১৫ কোটি ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক ইউএনবিকে বলেন, ‘আইএমএফ ছাড়াও আমরা কোরিয়া, আইবিআরডি, আইডিবি ইত্যাদি অন্যান্য উৎস থেকেও প্রায় ৯০ কোটি ডলার পেয়েছি। ফলে মোট রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৬০০ কোটি ডলারেরও বেশি। চূড়ান্ত পরিমাণ শুক্রবার জানা যাবে।’
এর আগে ২৪ জুন আইএমএফের নির্বাহী বোর্ড ৪৭০ কোটি ডলার ঋণের তৃতীয় কিস্তি ছাড়ের অনুমোদন দেয়।
২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারি ঋণ প্যাকেজের প্রথম কিস্তি অনুমোদন করে আইএমএফ। ২০২৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ৪৪ কোটি ৭৮ লাখ ডলার গ্রহণ করে। আইএমএফের ঋণের পুরো অর্থ ২০২৬ সাল পর্যন্ত সাড়ে ৩ বছরে ৭ কিস্তিতে বাংলাদেশকে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: আইএমএফ থেকে ঋণের তৃতীয় কিস্তি ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার জুন মাসেই পাওয়া যাবে: অর্থমন্ত্রী
৪ মাস আগে
আইএমএফ ফর্মুলায় ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির পর বাংলাদেশের রিজার্ভ ২০.২৫ বিলিয়ন ডলার: বাংলাদেশ ব্যাংক
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে ৪ দশমিক ৭০৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) বাজেট সহায়তা ঋণ থেকে ৪০০ মিলিয়ন ডলার ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি হিসেবে ৬৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ।
এর অর্থ হলো- অভ্যন্তরীণ মুদ্রাবাজারে ডলারের স্বল্প সরবরাহের মধ্যে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে প্রায় ১ দশমিক ০৯ বিলিয়ন ডলার যোগ হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক শনিবার ইউএনবিকে বলেন, শুক্রবার রাতে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে এই পরিমাণ ঋণ সহায়তা যোগ হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৬৯০ মিলিয়ন ডলার ঋণের দ্বিতীয় কিস্তিতে শর্তারোপ আইএমএফের
ফলে শনিবার বাংলাদেশের রিজার্ভ (গ্রস) দাঁড়িয়েছে ২৫ দশমিক ৭১ বিলিয়ন ডলার, যা বৃহস্পতিবার ছিল ২৪ দশমিক ৬২ বিলিয়ন ডলার। তবে আইএমএফ ফর্মুলা বা বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ হিসাব করলে রিজার্ভ দাঁড়াবে ২০ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলারে।
এর আগে মঙ্গলবার ওয়াশিংটনে আইএমএফের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংস্থাটির নির্বাহী বোর্ডের সভায় বাংলাদেশের জন্য ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি অনুমোদন করা হয়।
এদিকে, গত জুনের শেষে বাংলাদেশ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংরক্ষণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে না পারায় আইএমএফের বোর্ড আনুষ্ঠানিকভাবে আইএমএফের কাছ থেকে যে ছাড় চেয়েছিল তা অনুমোদন করে।
একই সঙ্গে ডিসেম্বর শেষে রিজার্ভ সংরক্ষণের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২০ বিলিয়ন ডলার।
আরও পড়ুন: ৪.৭ বিলিয়ন ডলার ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি ছাড়ের অনুমোদন আইএমএফ বোর্ডের
বাংলাদেশের জ্বালানি সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ২০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে এডিবি
১০ মাস আগে
৪.৭ বিলিয়ন ডলার ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি ছাড়ের অনুমোদন আইএমএফ বোর্ডের
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) মঙ্গলবার তাদের ডিসেম্বরের বোর্ড সভায় ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি ছাড়ের অনুমোদন দিয়েছে। দ্বিতীয় কিস্তি অনুমোদিত হয়েছিল জানুয়ারিতে।
দ্বিতীয় ধাপে বাংলাদেশের অ্যাকাউন্টে ৬৮ কোটি ২০ লাখ ডলার স্থানান্তর করা হবে। প্রথম ধাপে প্রায় ৪৫ কোটি ডলার স্থানান্তর করা হয়।
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) থেকে ৪০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ পাওয়ার পাশাপাশি আইএমএফের অর্থ গত দুই বছরে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর যে উল্লেখযোগ্য চাপ তৈরি হয়েছে তা প্রশমিত করতে সহায়তা করবে।
আরও পড়ুন: বিশ্বব্যাংক-আইএমএফ প্রধানদের সঙ্গে ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) রাতে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ইউএনবিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
৩০ জানুয়ারি আইএমএফ বোর্ড ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ অনুমোদন করে।
চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি প্রথম কিস্তিতে বাংলাদেশ পেয়েছে ৪৪ কোটি ৭৮ লাখ ডলার। বাকিগুলো আরও ৫ কিস্তিতে পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এর আগে অক্টোবরে আইএমএফের একটি প্রতিনিধি দল ২ সপ্তাহের সফরে বাংলাদেশে এসে ঋণ কর্মসূচি পর্যালোচনা করে এবং আইএমএফ বোর্ডের কাছে দ্বিতীয় কিস্তির প্রস্তাব উপস্থাপন করে।
আরও পড়ুন: ডিসেম্বরে আইএমএফের ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি পাওয়ার আশা বাংলাদেশ ব্যাংকের
৪.৭ বিলিয়ন ডলার ঋণের পরবর্তী কিস্তির জন্য আইএমএফের সঙ্গে চুক্তি সই
১০ মাস আগে
৪.৭ বিলিয়ন ডলার ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি নিয়ে আলোচনা করতে ২৫ এপ্রিল ঢাকায় আসছে আইএমএফ প্রতিনিধিদল
বাংলাদেশের জন্য চার দশমিক সাত বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ কর্মসূচির প্রথম কিস্তির ব্যবহার এবং দ্বিতীয় কিস্তি বিতরণের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) একটি দল ২৫ এপ্রিল ঢাকায় আসছে।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র বুধবার ইউএনবিকে জানায়, ২৫ এপ্রিল থেকে ২ মে পর্যন্ত মিশনটি অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি), বাংলাদেশ ব্যাংক এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আইএমএফের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় বিভাগের প্রধান রাহুল আনন্দ তিন থেকে চার সদস্যের এই প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন।
আরও পড়ুন: আর্থিক খাত সংস্কার নিয়ে আলোচনা করতে ঢাকায় আসছে আইএমএফ দল
গত ৩০ জানুয়ারি আইএমএফ কর্তৃক অনুমোদিত চার দশমিক সাত বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণের মধ্যে ৪৭৬ দশমিক ২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রথম কিস্তি পেয়েছে বাংলাদেশ।
২০২৬ সাল পর্যন্ত সাড়ে তিন বছরে সাতটি কিস্তিতে ঋণের পুরো অর্থ পরিশোধ করা হবে। সে হিসাবে আরও ছয়টি কিস্তি বাকি রয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, আইএমএফ সাধারণত প্রতিটি কিস্তি বিতরণের আগে সম্মতির বিভিন্ন দিক পর্যালোচনা করে। সে অনুযায়ী দ্বিতীয় কিস্তি বিতরণের আগে ঋণের শর্ত পূরণ পর্যালোচনা করতে আগামী সেপ্টেম্বরে আইএমএফের একটি দল আসবে।
সাধারণত প্রতিটি বাজেট ঘোষণার আগে আইএমএফের একটি মিশন ঢাকায় আসে বাজেট সহায়তা নিয়ে আলোচনা করতে। সূত্র থেকে আরও জানা যায়, এখন যেহেতু তাদের সঙ্গে ঋণ কর্মসূচি চলছে, তাই বাজেট সহায়তার পাশাপাশি ঋণের শর্ত পূরণের বিষয়টিও আলোচনায় উঠে আসবে।
আরও পড়ুন: ৪.৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ: আইএমএফ অনুমোদন করতে পারে সোমবার
১ বছর আগে
সরকারকে দেওয়া ৩১৬.৯১ কোটি টাকা দিয়ে শুরু হচ্ছে পদ্মা সেতুর ঋণ পরিশোধ
প্রথম দুই কিস্তিতে সরকারকে দেওয়া ৩১৬ কোটি ৯১ লাখ টাকা দিয়ে পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য নেওয়া ঋণ পরিশোধ শুরু হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঋণের প্রথম ও দ্বিতীয় কিস্তির ৩১৬ কোটি ৯০ লাখ ৯৭ হাজার ৪৯ টাকার চেক গ্রহণ করেন।
বুধবার সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর কাছে এই চেক হস্তান্তর করেন।
অর্থ বিভাগ ও বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের মধ্যে স্বাক্ষরিত একটি চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে স্বল্প সুদে এই ঋণ নেওয়া হয়।
২০২২ সালের ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী পদ্মা নদীর ওপর দেশের সর্ববৃহৎ ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতুতে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল শুরু
৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতুটি দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলাকে রাজধানীর সঙ্গে সরাসরি সংযুক্ত করবে এবং এটি জিডিপি প্রবৃদ্ধি এক দশমিক ২৩ শতাংশ ত্বরান্বিত করবে এবং দারিদ্র্য বিমোচনের মাধ্যমে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
মোট বরাদ্দ ছিল ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। তবে মূল সেতুর জন্য বরাদ্দ ছিল ১২ হাজার ১৩৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা (৪০০ কিলোভোল্ট বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন ও গ্যাস লাইন স্থাপনের জন্য এক হাজার কোটি টাকাসহ)।
এ ছাড়া নদী প্রশিক্ষণ কাজের জন্য ৯ হাজার ৪০০ কোটি টাকা, অ্যাপ্রোচ রোড (দুটি টোল প্লাজাসহ থানা ও তিনটি সার্ভিস এলাকার জন্য দুটি ভবন নির্মাণ), বাস্তুচ্যুতদের পুনর্বাসনে (প্রকল্পের কারণে সৃষ্ট) এক হাজার ৫১৫ কোটি টাকা এবং ভূমি অধিগ্রহণে দুই হাজার ৬৯৮ কোটি ৭৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
পদ্মা সেতু ১০০ বছরের বেশি স্থায়ী হবে বলে আশা করা হলেও আগামী ৩৫ বছরের মধ্যে এর নির্মাণ ব্যয় পুনরুদ্ধার করা হবে।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু এক্সপ্রেসওয়ের গতি নিয়ন্ত্রণে বিশেষ অভিযান
১ বছর আগে
আইএমএফের ৪৭০ কোটি ডলার ঋণের প্রথম কিস্তি পেল বাংলাদেশ
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে ৪৭০ কোটি ডলার ঋণের প্রথম কিস্তি ৪৭ কোটি ৬০ লাখ ডলার বৃহস্পতিবার পেয়েছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, আইএমএফের ঋণ অনুমোদনের তিন দিন পর বাংলাদেশ ব্যাংক এই অর্থ পেয়েছে।
তিনি ইউএনবিকে নিশ্চিত করেছেন যে আইএমএফ থেকে প্রথম কিস্তি দেয়ার ফলে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ শক্তিশালী হয়েছে এবং বৃহস্পতিবার যা তিন হাজার ৩৬৯ কোটি ডলারে পৌঁছেছে।
এক্সটেন্ডেড ক্রেডিট ফ্যাসিলিটি (ইসিএফ) ও এক্সটেন্ডেড ফান্ড ফ্যাসিলিটি (ইএফএফ) এর আওতায় বাংলাদেশ প্রায় ৩৩০ কোটি ডলার এবং রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ফ্যাসিলিটির (আরএসএফ) আওতায় প্রায় ১৪০ কোটি ডলার পাবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের জন্য ৪.৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ অনুমোদন দিল আইএমএফ
রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ফ্যাসিলিটির (আরএসএফ) আওতায় ১৪০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ অনুমোদনের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঝুঁকিতে থাকা নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোর জন্য তৈরি তহবিল থেকে ঋণ গ্রহণকারী বাংলাদেশ এশিয়ায় প্রথম।
বাংলাদেশ সাতটি কিস্তির মাধ্যমে ঋণ পাবে এবং দুই শতাংশ সুদে ঋণ পরিশোধ করতে হবে।
বাংলাদেশ ২০২২ সালের জুলাই মাসে আইএমএফের কাছে ৪৫০ কোটি ডলার ঋণ সহায়তার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে অনুরোধ করেছিল। তখন আইএমএফ আশ্বস্ত করে যে বৈশ্বিক ঋণদাতা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে গত বছরের জুলাইয়ে বোর্ড সভার সময় এক ফাঁকে আইএমএফ আলোচনা করে।
আলোচনা অনুযায়ী, রাহুল আনন্দের নেতৃত্বে আইএমএফের একটি প্রতিনিধি দল ২০২২ সালের ২৬ অক্টোবর থেকে ৯ নভেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে আইএমএফের সহায়তা নিয়ে আলোচনা করতে ঢাকা সফর করেন।
পরে উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) আন্তোয়নেট মনসিও সায়েহ চলতি বছরের ১৪ থেকে ১৮ জানুয়ারি বাংলাদেশ সফর করেন এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সামাজিক অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেন।
আরও পড়ুন: ৪.৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ: আইএমএফ অনুমোদন করতে পারে সোমবার
বাংলাদেশকে ঋণ দিতে আইএমএফ’র কোনো শর্ত নেই: সংসদে প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে
কিস্তিতে ইডিএফ ঋণ পরিশোধ করা যাবে
রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল (ইডিএফ) থেকে ঋণ পরিশোধের জন্য একটি কিস্তি সুবিধা চালু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এখন থেকে সম্পূর্ণ ঋণ তিন কিস্তিতে পরিশোধ করা যাবে, যা আগে একবারেই পরিশোধ করতে হতো।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেন এক্সচেঞ্জ পলিসি ডিপার্টমেন্ট (এফইপিডি) বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে একটি নির্দেশিকা জারি করেছে এবং বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনে নিয়োজিত সমস্ত অনুমোদিত ডিলারদের কাছে পাঠিয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, রপ্তানিকারকরা আংশিকভাবে ইডিএফ ঋণের দায় পরিশোধ করতে পারবে। ঋণের মেয়াদে সর্বাধিক দুটি আংশিক পরিশোধ সম্পন্ন করা যেতে পারে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঋণের মেয়াদে অবশিষ্ট দায় একযোগে পরিশোধ করতে হবে। অর্থাৎ রপ্তানিকারকরা তিন কিস্তিতে পুরো ঋণ পরিশোধ করতে পারবে।
খাত সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, একই সময়ে রপ্তানি আয় পাওয়া যায় না বলে রপ্তানিকারকদের একবারে পরিশোধ নিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়েছিল।
আরও পড়ুন: প্রবাসীরা ১০ হাজার ডলারের বেশি কাছে রাখতে পারবেন না: বাংলাদেশ ব্যাংক
এমতাবস্থায় রপ্তানিকারকরা নতুন নির্দেশনায় রপ্তানি আয় পাওয়ার পরই আংশিকভাবে কিস্তিতে ইডিএফ দায় পরিশোধ করতে পারবেন।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক ইডিএফের অধীনে কাঁচামাল আমদানির জন্য রপ্তানিকারকদের বৈদেশিক মুদ্রা সহায়তা প্রদান করে। একটি ইডিএফের ঋণের মেয়াদ ১৮০ দিন। বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন সাপেক্ষে এই মেয়াদ আরও ৯০ দিন বাড়ানো যাবে।
আরও পড়ুন: ব্যাংকগুলোকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খরচ কমানোর নির্দেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের
সুইস ব্যাংকের কাছে একাধিকবার অর্থ পাচারের তথ্য চেয়েছে বিএফআইইউ: বাংলাদেশ ব্যাংক
২ বছর আগে