নিক্ষেপ
আদালত চত্বরে সাবেক গাসিক মেয়রকে ডিম, জুতা ও ঝাড়ু নিক্ষেপ
যশোর কারগার থেকে গাজীপুর আদালতে নেওয়ার পথে আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও গাসিকের সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরণের ওপর ডিম, জুতা ও ঝাড়ু নিক্ষেপ করেছে সাধারণ জনতা। এ সময় তার ফাঁসি চেয়ে আদালত এলাকায় ও জেলা শহরে বিক্ষোভ মিছিল হয়।
জিএমপির বাসন, কাশিমপুর, কোনাবাড়ি ও সদর থানার হত্যা মামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগে করা ৯টি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে রবিবার (৮ ডিসেম্বর) গাজীপুর মেট্রোপলিটন আদালত-৫ এ নিয়ে যাওয়া হলে বিচারক ইকবাল হোসান তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
সেখান থেকে বের হওয়ার পথে ডিম, জুতা ও ঝাড়ু নিক্ষেপের ঘটনাটি ঘটে। এ সময় সাধারণ জনতাকে সামাল দিতে হিমশিম খায় পুলিশ।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়া আদালতে মারামারি-হট্টগোল, দুই কর্মচারী আহত
গাজীপুর আদালতের পরিদর্শক আহসান উল্লাহ চৌধুরী বলেন, গত ১৯ নভেম্বর (মঙ্গলবার) ভারতে পালানোর সময় যশোরের শার্শা সীমান্ত থেকে গাসিকের সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র কিরণকে গ্রেপ্তার করে বিজিবি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর গুলি ও হত্যার অভিযোগে গাজীপুর ও উত্তরা থানায় কয়েকটি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি কিরণ।
তিনি কয়েকবার গাসিকের ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হয়েছেন। এছাড়া ২০২১ সালে গাসিকের মেয়র মো. জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িক বরখাস্ত করার পর ভারপ্রাপ্ত মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। এছাড়া ২০১৩ সালের সিটি নির্বাচনের পর অধ্যাপক এম এ মান্নান কারাগারে থাকাকালেও আড়াই বছর ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে সংঘর্ষ, রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নিহত
২ সপ্তাহ আগে
খুলনায় বৈষম্যবিরোধী সমাবেশে শিক্ষার্থী-পুলিশ সংঘর্ষ, কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ
খুলনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা ছাত্র-জনতার গণমিছিল কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে।
শুক্রবার (২ আগস্ট) বিকাল সোয়া ৩টার দিকে যখন শিক্ষার্থীদের একটি বিশাল মিছিল গাল্লামারী এলাকায় পৌঁছালে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
আরও পড়ুন: ডিবি আমাদের জোর করে আটকে রেখেছিল, আন্দোলন চলবে: মুক্তির পর কোটা আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ক
মিছিলটি গাল্লামারী পৌঁছালে জিরো পয়েন্টের কাছে থাকা পুলিশ তাদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। এরপরই সংঘর্ষ শুরু হয়।
এ সময় পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের যোগ দিতে দেখা যায়। পরে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী মিছিল নিয়ে এগিয়ে গেলে পুলিশ ধীরে ধীরে পিছু হটে যায়। এরপর শিক্ষার্থীরা জিরোপয়েন্টে অবস্থান নেন।
সেখানে বিকাল ৪টার দিকে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করলে দ্বিতীয় দফা সংঘর্ষ শুরু হয়। আবারও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিকেল ৫টা পর্যন্ত জিরোপয়েন্ট মোড়ে অবস্থান করেন শিক্ষার্থীরা। তাদের দুই পাশ দিয়ে ঘিরে রয়েছে পুলিশ।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, পুলিশ ক্রমাগত তাদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করছে, যা সংঘর্ষকে আরও তীব্র করে তুলছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের বিক্ষোভ
ঢাকা-পাবনা মহাসড়কে শিক্ষার্থীদের গণমিছিল
৪ মাস আগে
শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ-কাবা শরিফ তাওয়াফ করে হজ শেষ করলেন হাজিরা
গ্রীষ্মের প্রচণ্ড উত্তাপের মধ্যে তৃতীয় দিন মঙ্গলবার শয়তানকে প্রতীকী পাথর নিক্ষেপ এবং মক্কায় ইসলামের পবিত্রতম স্থান কাবা শরিফ তাওয়াফ (প্রদক্ষিণ) করার মধ্য দিয়ে হজের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শেষ করেছেন হাজিরা।
মক্কার বাইরে মরু এলাকা মিনায় তিন দিনের পাথর ছুঁড়ে মারার অনুষ্ঠানটি হজের চূড়ান্ত আনুষ্ঠানিক কার্যক্রমগুলোর মধ্যে একটি। এটি অশুভ ও পাপ দূরীকরণের প্রতীক হিসেবেও বিবেচিত। গত শনিবার একটি পবিত্র পাহাড়ের পাদদেশে আরাফার ময়দানে হাজিদের জমায়েতের একদিন পর এটি শুরু হয়েছিল।
হজের শেষ দিনগুলোতে বিশ্বজুড়ে মুসলমানরা ঈদুল আজহা একসঙ্গে উদযাপন করে। এসময় আর্থিক সামর্থ্যের আলোকে বিশ্বাসীরা নবী ইব্রাহিমের বিশ্বাসের পরীক্ষার কথা স্মরণ করে। আল্লাহ তাকে (নবী ইব্রাহিম) তার একমাত্র পুত্রকে (ইসমাইল) কোরবানি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গবাদি পশু জবাই করে এবং মাংস মিসকিনদের মধ্যে বিতরণ করে থাকে মুসলমানরা।
ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে হজ অন্যতম। ইসলামের পবিত্র গ্রন্থ কুরআন অনুসারে এর অনুষ্ঠানগুলো মূলত নবী ইব্রাহিম এবং তাঁর পুত্র নবী ইসমাইল, ইসমাইলের মা হাজেরা এবং নবী মুহাম্মদের (সা.) বর্ণনায় উঠে এসেছে। ইসলামের মতে, আল্লাহ তার রহমতের হাত বাড়িয়েছিলেন এবং ইসমাইলকে রক্ষা করেছিলেন।
ইয়েমেন থেকে আসা হাজি মেজাহেদ আল-মেহরাবি পাথর ছুড়ে মারার অনুষ্ঠানের তৃতীয় দিনের পর বার্তা সংস্থা এপিকে বলেন, ‘আমি প্রশান্তি পেয়েছি। 'আমি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছি। যদি কেউ (মক্কায়) গ্র্যান্ড মসজিদ পরিদর্শন করতে পারে, তার তা করা উচিত।’
আরও পড়ুন: রাফা ক্রসিংয়ে ফিলিস্তিনের বহির্গমন হল জ্বালিয়ে দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী
নাইজেরিয়ার হাজি আমির ওমর তার প্রতীকী পাথর নিক্ষেপ শেষ করার পর আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, 'আমার খুব ভালো লাগছে যে আমি আমার ধর্মের একটি ফরজ পালন করেছি। আমি খুব কৃতজ্ঞ বোধ করছি।’
সৌদি ন্যাশনাল সেন্টার ফর মেট্রোলজি জানিয়েছে, মঙ্গলবার প্রখর সূর্য এবং শ্বাসরুদ্ধ করা গরম আবহাওয়া অব্যাহত ছিল। মক্কা ও শহরের আশেপাশের পবিত্র স্থানগুলোতে তাপমাত্রা ৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে (১১৭ ডিগ্রি ফারেনহাইট) পৌঁছাতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অনেক হাজি, বিশেষত বৃদ্ধরা গরমের কারণে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন এবং তাদের চিকিৎসা সহায়তার প্রয়োজন হয়। সানস্ট্রোকে কয়েক ডজন হাজির মৃত্যুও হয়েছে বলে জানা গেছে।
জর্ডান ও তিউনিসিয়ার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে অন্তত ৪১ জন জর্ডানের এবং ৩৫ জন তিউনিসিয়ার নাগরিক। মিশরের স্থানীয় গণমাধ্যমও মিশরীয় হাজিদের মধ্যে কয়েক ডজন মৃত্যুর খবর দিয়েছে। এবারের হজে এখনো মোট মৃত্যুর সংখ্যা জানায়নি সৌদি কর্তৃপক্ষ।
হজ পালনের সময় আরও অনেক হাজির হিসাব পাওয়া যায়নি। অনেক মিশরীয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আরাফার ময়দান ও মিনা উল্লেখ করে তাদের আত্মীয়দের খোঁজে পোস্ট দিয়েছিলেন। কয়েকজন হাজি গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাদের মক্কার আশপাশের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার তৃতীয় দিনের প্রতীকী পাথর নিক্ষেপের পর হাজিরা গ্র্যান্ড মসজিদে কাবা শরিফকে সাতবার তাওয়াফ (প্রদক্ষিণ) করতে করতে মক্কার দিকে রওনা হন। শেষ তাওয়াফ নামে পরিচিত এই প্রদক্ষিণ হজের সমাপ্তি করেন এবং এর মাধ্যমে হাজিরা পবিত্র শহর ত্যাগ করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
হজ শেষ হয়ে গেলে পুরুষরা তাদের মাথা ন্যাড়া করবে এবং নারীরা সমস্ত চুল ধরে আঙুলের এক কড় কেটে ফেলবেন, যা রাসূলের সুন্নাহ।
আরও পড়ুন: ইসরাইল-হামাস যুদ্ধের মধ্যেই পবিত্র হজ শুরু
এরপর অধিকাংশ হাজী মক্কা ছেড়ে প্রায় ৩৪০ কিলোমিটার দূরে মদিনা শহরের উদ্দেশে রওনা দেন এবং মহানবী হযরত মুহাম্মদের পবিত্র কক্ষে (সা.) কবর জিয়ারত করবেন।
পবিত্র কক্ষটি নবীর মসজিদের অংশ, ইসলামের তিনটি পবিত্রতম স্থানগুলোর মধ্যে এটিএকটি। পাশাপাশি মক্কার গ্র্যান্ড মসজিদ ও জেরুজালেমের আল আকসা মসজিদ।
শারীরিক ও আর্থিকভাবে সামর্থ্য থাকলে প্রত্যেক মুসলমানের জীবনে একবার হজ করা বাধ্যতামূলক (ফরজ)। অনেক ধনী মুসলমান একাধিকবারও হজ করে থাকেন।
সৌদি হজ কর্তৃপক্ষের মতে, ২০২৪ সালে ২২টি দেশের ১৬ লাখেরও বেশি হাজি এবং প্রায় ২ লাখ ২২ হাজার সৌদি নাগরিক ও বাসিন্দাসহ ১৮ লাখ ৩ হাজারেরও বেশি মুসলমান হজ পালন করেছেন।
২০২৪ সালে বিধ্বংসী ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের পটভূমিতে হজের কার্যক্রম শুরু হয়। হামাস ও ইসরায়েলের এই যুদ্ধটি মধ্যপ্রাচ্যকে আঞ্চলিক সংঘাতের দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দিয়েছে।
ফিলিস্তিনি উপত্যকায় যুদ্ধ এবং নিজ দেশে এক দশক ধরে চলা সংঘাতের কথা উল্লেখ করে ইয়েমেনের হাজি আল-মেহরাবি বলেন, 'আমি প্রথমে গাজা ও পরে ইয়েমেনের জন্য প্রার্থনা করেছি।’
আরও পড়ুন: হজের সময় সৌদি আরবে গাজা বিষয়ে ‘রাজনৈতিক স্লোগান’ নিষিদ্ধ
৬ মাস আগে
বগুড়ায় হাত-মুখ বেঁধে ইজিবাইক ছিনতাই, চালককে জলাশয়ে নিক্ষেপ
বগুড়ার নন্দীগ্রামে হাত-মুখ বেঁধে চালককে জলাশয়ে ফেলে ইজিবাইক নিয়ে পালিয়েছে ছিনতাইকারীরা। এ ঘটনায় নন্দীগ্রাম থানায় অভিযোগ করেছেন ইজি বাইকচালক সেলিম হোসেন।
শনিবার (১৩ জানুয়ারি) সকাল ৬টার দিকে বগুড়া-নাটোর মহাসড়কের নন্দীগ্রাম উপজেলার পল্লী বিদ্যুৎ সাব-স্টেশন এলাকায় এ ছিনতাই হয়।
আরও পড়ুন: বগুড়া-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর গাড়িতে হামলা, আহত ৪
চালক সেলিম হোসেন (৪২) নন্দীগ্রাম উপজেলার ভাটগ্রাম ইউনিয়নের কাথম গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে।
অভিযোগে জানা গেছে, শনিবার ভোরে প্রতিদিনের মতো সেলিম হোসেন বাড়ি থেকে ব্যাটারিচালিত তিন চাকার ইজিবাইক নিয়ে নন্দীগ্রামের উদ্দেশে বের হন।
আরও পড়ুন: বাকৃবি অধ্যাপক আব্দুল কাফির মৃত্যু, বগুড়ায় দাফন
পথিমধ্যে পল্লী বিদ্যুৎ সাব-স্টেশন এলাকায় পৌঁছিলে হঠাৎ পেছন থেকে অজ্ঞাতনামা একটি প্রাইভেটকার ইজিবাইকের সামনে এসে দাঁড়ায়। কিছু বুঝে উঠার আগেই প্রাইভেটকার থেকে চারজন নেমে ইজিবাইকের চালক সেলিমের হাত-মুখ বেঁধে গাড়িতে তোলে।
এরমধ্যে একজন সেলিমের ইজিবাইক ও একটি মোবাইল ফোন নিয়ে পালিয়ে যায়। গাড়িতে থাকা অন্য তিনজন সেলিমকে হাত, মুখ ও চোখ বাঁধা অবস্থায় কুন্দারহাট-রুপিহার বাজারের মাঝামাঝি সড়কের জলাশয়ে ফেলে দিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: বগুড়ার মহাসড়কে ব্যারিকেড দিয়ে পিকআপে আগুন
পরে স্থানীয় লোকজন দেখতে পেয়ে চালক সেলিম হোসেনকে উদ্ধার করে।
নন্দীগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আজমগীর হোসেন বলেন, অভিযুক্তদের আটক ও ছিনতাই হওয়া ইজিবাইক উদ্ধারে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় পুলিশ সদস্য নিহত
১১ মাস আগে
নারায়ণগঞ্জে ট্রাকে পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ, হেলপার দগ্ধ
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে পণ্যবাহী একটি ট্রাকে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করেছে দুর্বৃত্তরা। এতে ট্রাকটির সামনের অংশ পুঁড়ে যায় এবং চালকের সহকারী (হেলপার) মো. সায়মন (২০) দগ্ধ হন।
বর্তমানে তাকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে উপজেলার শিংলাবো এলাকায় এশিয়ান হাইওয়েতে (ঢাকা বাইপাস সড়ক) এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: রংপুরে বিএনপি কার্যালয়ের পেছন থেকে পেট্রোলবোমা উদ্ধার
বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ বিল্লাল হোসেন বলেন, সোনারগাঁয়ের মেঘনাঘাট এলাকা থেকে টাইলসবাহী একটি ট্রাক সিরাজগঞ্জের দিকে যাচ্ছিল। ট্রাকটি এশিয়ান হাইওয়ের শিংলাবো এলাকায় পৌঁছালে দুর্বৃত্তরা পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে। এতে ট্রাকটির সামনে অংশে আগুন ধরে যায়।
তিনি আরও বলেন, এ সময় ট্রাকের চালক দ্রুত নেমে যেতে পারলেও তার সহকারীর দুই হাত মারাত্মকভাবে দগ্ধ হয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ট্রাকটির আগুন নেভায়।
এ ঘটনায় পুলিশ এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করতে পারেনি। তবে এ ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করতে পুলিশের তৎপরতা চলছে বলে জানান জেলা পুলিশের এই কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: সাভারে পরিত্যক্ত ঘরে আগুন লেগে ৭ যুবক দগ্ধ
দেশব্যাপী ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ: অগ্নিসংযোগে দগ্ধ রিকশাচালক হাসপাতালে ভর্তি
১ বছর আগে
ফরিদপুরে বাসে আগুন ও লোকাল বাসে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ
বিএনপি-জামায়াতের চতুর্থ দফায় ডাকা ৪৮ ঘণ্টা অবরোধে ফরিদপুর শহরে একটি বাসে আগ্নিসংযোগ ও বোয়ালমারীতে একটি লোকাল বাসে পাথর ও ইট পাটকেল ছুড়ার ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন: নাটোরে পণ্যবাহী নছিমন আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা
ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ জলিল জানান, রবিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জন দুষ্কৃতিকারী শহরের নতুন বাসস্ট্যান্ডে পার্ক করে রাখা জনৈক মনিরুল ইসলাম ফরহাদের মালিকানাধীন একটি বাসের (যার নম্বর ফরিদপুর- ব ১১ ০০২৪ ) পেছনের জানালা ভেঙে অগ্নিসংযোগ করে পালিয়ে যায়।
এ খবর পেয়ে স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। অগ্নিকাণ্ড বাসের ভেতরের সম্পূর্ণ অংশ পুড়ে যায়।
এ ছাড়াও রবিবার (১২ নভেম্বর) রাত পৌনে ১০টার দিকে মাঝকান্দি-বোয়ালমারী-ভাটিয়াপাড়া আঞ্চলিক মহাসড়কের রামচন্দ্রপুর ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় ব্যাসপুরগামী গ্লোবাল আব্দুল্লাহ্ শাহ্ লোকাল নামে বাসটি পৌঁছালে দুর্বৃত্তরা পাথর ছুড়ে পালিয়ে যায়।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ সময় বাসের সামনের গ্লাস, লুকিং গ্লাস, ড্রাইভারের জানালার গ্লাস ভেঙে যায়। বাসের চালক গফফার সিকদার দ্রুত বাস চালিয়ে সহস্রাইল বাজারে গিয়ে স্থানীয়দের ঘটনাটি জানান।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে ট্রাকে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা
১ বছর আগে
নারী ফুটবলারদের মারধর: মামলা তুলে নিতে অ্যাসিড নিক্ষেপের হুমকি
খুলনায় চার নারী ফুটবলারকে মারধরের পর এবার মামলা তুলে নিতে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আসামিদের বিরুদ্ধে। মামলা তুলে না নিলে তাদের শরীরে অ্যাসিড নিক্ষেপের হুমকিও দেওয়া হয়েছে বল জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
এ ঘটনায় মামলার বাদী ও ভুক্তভোগী নারী ফুটবলার সাদিয়া নাসরিন থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।
খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার তেঁতুলতলা সুপার কুইন ফুটবল একাডেমির খেলোয়াড় সাদিয়া নাসরিন বলেন, হামলাকারীরা আমাদের চারজনকে মারধর করেছে। হামলাকারী সালাউদ্দিন আমাদের হত্যার হুমকিও দিয়েছে। মামলা তুলে না নিলে অ্যাসিড মেরে মুখ ঝলসে দেওয়ারও ভয় দেখিয়েছে। এ ছাড়া তারা নিজেরা নিজেদের ক্ষতি করে আমার টিমের সদস্যদের পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করবে বলেও হুমকি দিয়েছে। এরপর তারা গালিগালাজ করে চলে যায়। আমি থানায় জিডি করেছি। এ ঘটনায় আমরা সবাই উদ্বিগ্ন।
আরও পড়ুন: সাফজয়ী নারী ফুটবলার রূপনা চাকমার ঘর হস্তান্তর
সাদিয়া নাসরিনের অভিযোগে বলা হয়, গত ২৭ জুলাই বৃহস্পতিবার একাডেমিতে অনুশীলন করার সময় নূপুর খাতুন নামে প্রতিবেশী এক মেয়ে তার ছবি তুলেন। পরে বাড়িতে গিয়ে তার বাবা-মাকে সেই ছবি দেখিয়ে আজেবাজে মন্তব্য করে আসেন। সাদিয়া ২৯ জুলাই শনিবার বিষয়টি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে নূপুর অকথ্য ভাষায় তাকে গালাগাল করেন। প্রতিবাদ করলে তাকে এলোপাতাড়ি কিল, চড়, ঘুষি মেরে মুখ ও বুকের বিভিন্ন স্থানে জখম করেন।
সাদিয়া বলেন, বাড়িতে গিয়ে আমি বাবা-মা, কোচ ও অন্য খেলোয়াড়দের ঘটনাটি জানাই। তারা আমাকে নিয়ে সন্ধ্যার দিকে নূপুর খাতুনের বাড়িতে যান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে নূপুর, তার বাবা নূর আলম খাঁ, ভাই সালাউদ্দিন ও নূপুরের মা রঞ্জি বেগম আমাদের উপর হামলা করে। এতে মঙ্গলী, হাজেরা ও জুঁই আহত হয়। তারা লোহার রড দিয়ে আমাদের উপর হামলা চালায়, চায়নিজ কুড়াল নিয়ে এসে হত্যার হুমকি দেয়।
মারধরের শিকার ফুটবলার হাজেরা খাতুন, জুঁই মণ্ডল ও রিতু বৈরাগী জানান, আগে প্রতিদিন প্রায় ৩০ জন অনুশীলনে মাঠে আসত। এখন আসে ১০-১৫ জন।
বটিয়াঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন ফুটবলার মঙ্গলী বাগচী বলেন, নূপুর ও তার পরিবারের লোকজন আমাদের মারধর করেছে। রড দিয়ে পিটিয়ে আমার মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে। তারা ওড়না দিয়ে প্রায় ২ ঘণ্টা আমাকে বেঁধে রাখে।
তিনি আরও বলেন, ওরা বলেছে, হাফ প্যান্ট-জার্সি পরে গ্রামের মাঠে ফুটবল খেলা যাবে না। শুধু তাই নয়, ওরা অ্যাসিড মেরে আমাদের মুখ ঝলসে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে। ঘটনার পর থেকে রাতে ঘুম আসে না। শুধু মনে হয়, এই বোধ হয় আবার হামলা হলো, অ্যাসিড মারল।
তেঁতুলতলা সুপার কুইন ফুটবল একাডেমির সভাপতি ইসলাম হাওলাদার বলেন, হামলার ঘটনায় মেয়েদের মধ্যে আতঙ্কে বিরাজ করছে। অনুশীলনের জন্য ডেকে ডেকে আনতে হচ্ছে। আগে কোনো দিন গ্রামের কেউ ফুটবল খেলা নিয়ে মেয়েদের উত্ত্যক্ত বা কটূক্তি করেনি। কিন্তু নূর আলমের পরিবার এবার ঝামেলা বাধিয়েছে।
এদিকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা ও মারধরের অভিযোগে গত ৩০ জুলাই রবিবার সাদিয়া নাসরিন বাদী হয়ে নূপুর, তার বাবা নূর আলম খাঁ, ভাই সালাউদ্দিন ও নূপুরের মা রঞ্জি বেগমকে আসামি করে বটিয়াঘাটা থানায় মামলা করেন। মামলার পর পরই পুলিশ নূর আলমকে গ্রেপ্তার করে।
বটিয়াঘাটা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শওকত কবির জানান, অ্যা্সিড নিক্ষেপের হুমকির অভিযোগে সাদিয়া গত ৩১ জুলাই একটি জিডি করেন। মামলা ও জিডির তদন্ত চলছে। জিডির বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নিতে বটিয়াঘাটা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কৌশিক কুমার সাহাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, নূর আলম বর্তমানে কারাগারে। তবে অন্য তিন আসামি মঙ্গলবার আদালত থেকে জামিন পেয়েছে। প্রতিদিন পুলিশ ওই গ্রামে টহল দিচ্ছে। মেয়ে ও তাদের অভিভাবকদের বলেছি, কোনো সমস্যা মনে করলে সঙ্গে সঙ্গে জানাতে, আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
এদিকে ফুটবলারদের মারধরের প্রতিবাদে ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে বেলা সাড়ে ১১টায় খুলনা প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ দলিত ও বঞ্চিত জনগোষ্ঠির অধিকার আন্দোলন, খুলনা ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ফুটবল খেলার জন্য সাদিয়া নাসরিন, মঙ্গলী বাগচীসহ চারজনকে মারধর করা হয়েছে।এদিকে আসামিদের ৩ জন জামিন পেয়ে এসিড নিক্ষেপের হুমকি দিচ্ছে। হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তারা।
সংগঠনের খুলনা জেলা কমিটির সভাপতি সুব্রত কুমার মিস্ত্রীর সভাপতিত্বে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বিভুতোশ রায়, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নিশিত রঞ্জন মিস্ত্রী, গীতা ফাউন্ডেশনের সভাপতি প্রসেনজিৎ দত্তসহ আরও অনেকে ছিলেন।
আরও পড়ুন: আইফোন ও টাকা পেলেন সাফ নারী চ্যাম্পিয়ন দলের তিন ফুটবলার
রাঙামাটিতে সাফজয়ী ৫ নারী ফুটবলারকে উষ্ণ সংবর্ধনা
১ বছর আগে
মিয়ানমারের মর্টারশেল নিক্ষেপ: প্রয়োজনে জাতিসংঘে অভিযোগ জানাবে বাংলাদেশ
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, মিয়ায়নমারের বিষয়টি কূটনৈতিক ও শান্তিপূর্ণভাবে সমাধানের চেষ্টা করছে সরকার। তবে প্রয়োজন হলে সীমান্তে মর্টারশেলিং বিষয়ে জাতিসংঘে একটি অভিযোগ জানানো হবে।
শনিবার রাজধানীতে আহছানিয়া মিশনের একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে সাংবাদিকদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিয়ানমারকে বার বার সতর্ক করছে। তবুও তারা প্রতিশ্রুতি রক্ষা করছে না।
‘তামব্রু সীমান্তে মিয়ানমারের মর্টার শেলিংয়ে হতাহতের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিবাদ জানিয়েছি,’ তিনি যোগ করেন।
আসাদুজ্জামান বলেন, ‘মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব তাদের মধ্যেই রাখতে হবে। কিন্তু তাদের বাহিনী বার বার বাংলাদেশিদের আহত করছে।’
তিনি বলেন, মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করা হচ্ছে এবং বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি সীমান্তে সতর্ক অবস্থানে আছে যাতে কোনও রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরানোর চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
শুক্রবার রাতে বান্দরবানের তমব্রু’র আন্তর্জাতিক জিরো পয়েন্টে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কাছে মিয়ানমার বাহিনী একটি মর্টারশেল নিক্ষেপ করলে মোহাম্মদ ইকবাল(১৭) নামে এক কিশোর নিহত হন। এসময় আহত হন আরও পাঁচজন।
আহত ও ক্ষতিগ্রস্তরা সকলে জিরো পয়েন্টের রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা। ক্যাম্পটি মিয়ানমার বাংলাদেশ সীমান্তের জিরো পয়েন্টের বা নো ম্যান’স ল্যান্ডে অবস্থিত।
শুক্রবার রাত ৮টা পর্যন্ত রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কাছে চারটি মর্টারশেল নিক্ষেপ করে মিয়ানমার।
শুক্রবার বিকালে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে অংথোয়াই তঞ্চঙ্গ্যা নামের এক আদিবাসী তরুণ মারাত্মক আহত হন।
কয়েকদিনের মধ্যে বাংলাদেশ সীমান্তে ১২টি মর্টারশেল নিক্ষেপ করেছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী।
আরও পড়ুন:সরকার বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একার পক্ষে সমাজকে মাদকমুক্ত করা সম্ভব নয়: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশের দিকে গুলি চালানোর বিরুদ্ধে মিয়ানমারকে সতর্ক করা হয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
২ বছর আগে