কাঠামো
বিভ্রান্তিকর তথ্য যারা ছড়ায় তাদের জবাবদিহি নিশ্চিতে কাঠামো বিবেচনা করছে সরকার: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
যারা মিথ্যা তথ্য ও গুজব ছড়াচ্ছে তাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনতে সরকার একটি কার্যকর কাঠামো বিবেচনা করছে।
শনিবার (২০ জানুয়ারি) এক্সের (টুইটার) এক পোস্টে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত এই তথ্য জানান।
তিনি বলেন, 'যারা মিথ্যা তথ্য ও গুজব ছড়ায় তাদের কীভাবে জবাবদিহিতার আওতায় আনা যায় তার একটি কাঠামো বিবেচনাধীন রয়েছে।
তিনি বলেন, অপপ্রচার রোধে মত প্রকাশ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা যাতে বাধাগ্রস্ত না হয় তা নিশ্চিত করছে সরকার।
আরও পড়ুন: টিআইবির গবেষণা আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে পড়ে না: আরাফাত
দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করা হবে : তথ্য প্রতিমন্ত্রী আরাফাত
১০ মাস আগে
‘রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রূপরেখা’: ২৭ দফা ঘোষণা বিএনপি’র
রাষ্ট্র ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আনতে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভার নির্বাহী ক্ষমতার ভারসাম্য আনা, উচ্চ কক্ষের আইনসভা প্রবর্তনসহ ২৭ দফার ‘রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রূপরেখা’ ঘোষণা করেছে বিএনপি।
সোমবার বিকালে গুলশানের ওয়েস্টিন হোটেলের বলরুমে রাজনীতিবিদ-পেশাজীবী-সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে এক সম্মেলনে স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন ২৭ দফার এই রূপরেখা ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, ‘বর্তমান কর্তৃত্ববাদী সরকার বাংলাদেশের রাষ্ট্র কাঠামোকে ভেঙে চুরমার করে ফেলেছে। এই রাষ্ট্রকে মেরামত ও পুনঃগঠন করতে হবে। দেশের জনগণের হাতেই দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দেয়ার লক্ষ্যে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে জয়লাভের পর বর্তমান ফ্যাসিস্ট সরকার হটানোর আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলগুলোর সমন্বয়ে একটি জনকল্যাণমূলক জাতীয় ঐক্যমত্যের সকার প্রতিষ্ঠা করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, এই ‘জাতীয় ঐক্যমত্যের সরকার’ রাষ্ট্রের রূপান্তরমূলক সংস্কার কার্যক্রম গ্রহণ করবে।
খন্দকার মোশাররফ জানান, জিয়াউর রহমান ঘোষিত ১৯ দফা এবং বেগম খালেদা জিয়া ঘোষিত বিএনপির ভিশন-২০৩০ এর আলো এই রূপরেখা প্রণয়ন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিএনপির ৫ সংসদ সদস্যের শূন্য আসনে উপনির্বাচন ১ ফ্রেব্রুয়ারি
তিনি জানান, গত আগস্ট মাস থেকে এই রূপরেখা প্রণয়নে সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর কয়েক দফা সংলাপও করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। যা আজকে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা হলো।
তিনি আরও জানান, রাষ্ট্র ব্যবস্থা পরিবর্তনের ২৭ দফা কর্ম পরিকল্পনার মধ্যে নির্বাচনকালীন দল নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন, প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি ও মন্ত্রিসভার নির্বাহী ক্ষমতার ভারসাম্য আনা, পরপর দুই টার্মের অতিরিক্ত কেউ রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন না করা, উচ্চ কক্ষের আইনসভা, সংবিধান সংস্কার কমিশন গঠন, সংবিধানে গণভোট ব্যবস্থা পুণঃপ্রবর্তন, সংসদ সদস্যদের স্বাধীন মতামত প্রদানের সুযোগ দিতে সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধন, স্বাধীন ও নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের নিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ আইন সংশোধন, জুডিশিয়াল কমিশন গঠন, সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তন, মিডিয়া কমিশন ও অর্থনৈতিক সংস্কার কমিশন গঠনসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারের কথা রয়েছে।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই নেতা বলেন, এছাড়া সকল মত ও পথের সমন্বয়ে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, বৈষ্যমহীন ও সম্প্রীতিমূলক ‘রেইনবো নেশন’ প্রতিষ্ঠা করার কথাও রূপরেখায় বলা হয়েছে। এজন্য অব্যাহত আলোচনা, মতবিনিময় ও পারস্পরিক বোঝাপড়ার ভিত্তিতে ভবিষ্যমুখী এক নতুন ধারার সামাজিক চুক্তিতে পৌঁছাতে ‘ন্যাশনাল রিকনসিলিয়েশন কমিশন’ গঠন করা হবে বলে বলা হয়েছে।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, সবার জন্য স্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে যুক্তরাজ্যের ‘এনএইচএস’ আদলে সার্বজনীন স্বাস্থ্য সেবা প্রর্বতন, এক বছরব্যাপী বা আত্মকর্মসংস্থান না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষিত বেকারদের বেকার ভাতা প্রদান, আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি করার কথা বিবেচনায় থাকবে বলে রূপরেখায় উল্লেখ করা হয়েছে।
গুলশানে ওয়েস্টিন হোটেলে রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রূপরেখার ঘোষণার আগে লন্ডন থেকে স্কাইপেতে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আগামীতে জাতীয় সরকার গঠন এবং দলের প্রণীত রূপরেখাটি সুধী সমাজের কাছে তুলে ধরেন।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য জমির উদ্দিন সরকার, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লা্হ আল নোমান, শাহজাহান ওমর, বরকত উল্লাহ বুলু, মোহাম্মদ শাহজাহান, আবদুল আউয়াল মিন্টু, শামসুজ্জামান দুদু, এজেডএম জাহিদ হোসেন, জয়নাল আবেদীন, আহমেদ আজম খান, নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, মিজানুর রহমান মিনু, গোলাম আকবর খন্দকার, হাবিবুর রহমান হাবিব, জয়নুল আবদিন ফারুক, আবুল খায়ের ভুঁইয়া, আবদুল কাইয়ুম, কেন্দ্রীয় নেতা আসাদুজ্জামান রিপন, মাহবুবউদ্দিন খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবিব উন নবী খান সোহেল, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, আবদুস সালাম আজাদ, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, মাহবুবে রহমান শামীম, বিলকিস জাহান শিরিন, শ্যামা ওবায়েদ, অনিন্দ্র ইসলাম অমিত, আসাদুজ্জামান, আফরোজা আব্বাস, হেলেন জেরিন খান, তাইফুল ইসলাম টিপু, হাসান জাফির তুহিন, শহিদুল ইসলাম বাবুল, মিডিয়া সেলের জহির উদ্দিন স্বপন, শাম্মী আখতার, রুমিন ফারহানা, শায়রুল কবির খান, চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ের এবিএম আবদুস সাত্তার, রিয়াজউদ্দিন নসু, শামসুদ্দিন দিদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, গণফোরামে মোস্তফা মোহসীন মন্টু, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ, সুব্রত চৌধুরী, গণঅধিকার পরিষদের রেজা কিবরিয়া, গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের ইমরান ইমন, হাসিব উদ্দিন হোসেন, জেএসডির কামাল উদ্দিন পাটোয়ারী, ২০ দলীয় জোটের জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, এলডিপির রেদোয়ান আহমেদ, শাহাদাত হোসেন সেলিম, এনপিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা, ইসলামী ঐক্যজোটের মাওলানা আবদুল করিম খান, জাগপার ব্যারিস্টার তাসমিয়া প্রধান, খন্দকার লুতফর রহমান, ন্যাপ-ভাসানীর আজহারুল ইসলাম, ডিএলের সাইফুদ্দিন মনি, মুসলিম লীগের শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, পিপলস লীগের গরীবে নেওয়াজ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, বাংলাদেশ ন্যাপের শাওন সাদেকী প্রমুখ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
পেশাজীবীদের মধ্যে- অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ, অধ্যাপক সদরুল আমিন, অধ্যাপক আফম ইউসুফ হায়দার, অধ্যাপক তাজমেরি এস এ ইসলাম, অধ্যাপক একেএম আজিজুল ইসলাম, অধ্যাপক এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, অধ্যাপক শামসুল আলম, অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজু, হাছিন আহমেদ, অধ্যাপক গোলাম হাফিজ কেনেডি, অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়া, অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়া, রফিকুল ইসলাম, আশরাফ উদ্দিন উজ্জ্বল, জাহানারা বেগম, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের এজেডএম জাহিদ হোসেন ও কাদের গনি চৌধুরী, সাংবাদিক সোহরাব হাসান, এম আবদুল্লাহ, আবদুল হাই শিকদার, কামাল উদ্দিন সবুজ, মোস্তফা কামাল মজুমদার, সৈয়দ আবদাল আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নয়াপল্টনে নিজেদের কার্যালয় ভাঙচুরের নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি বিএনপির
নাজমুল হুদাকে ‘তৃণমূল বিএনপি’র নিবন্ধন দেয়ার রায় আপিলে বহাল
১ বছর আগে
দেশের রাজনৈতিক কাঠামো ধ্বংস করেছে আ.লীগ: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করে বলেছেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে দেশের রাজনৈতিক কাঠামোকে ধ্বংস করেছে।
তিনি বলেন, ‘ আমরা ১৯৯১ সালে অনেক আন্দোলন ও সংগ্রামের মধ্য দিয়ে যে রাজনৈতিক কাঠামো গড়ে তুলেছিলাম তা আওয়ামী লীগ ধ্বংস করেছে। সেই রাজনৈতিক কাঠামো অনুযায়ী গণতান্ত্রিক নির্বাচনের মাধ্যমে আবারও সরকার গঠন করা হবে।
সোমবার ইন্সটিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ-এ জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের ২৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘জামায়াত ও জাতীয় পার্টিকে সঙ্গে নিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রবর্তনের দাবিতে ১৭৩ দিন হরতাল করেছে আওয়ামী লীগ।’
তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে তৎকালীন বিএনপি সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা চালু করে এবং এর অধীনে চারটি বিশ্বাসযোগ্য ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ‘কিন্তু যখন তারা (আ.লীগ) বুঝতে পারে যে ২০০৯ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত তাদের অপকর্মের জন্য জনগণ তাদের ভোট দেবে না, তখন তারা বিচারপতি খায়রুল হকের সহায়তায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে দেয়।’
পরে তিনি বলেন, সরকার বিচার বিভাগকে রাজনীতিকরণ করেছে, ফলে দেশের রাজনৈতিক কাঠামো কেমন হবে তা এখন নির্দেশ করে। ‘এভাবে তারা আমাদের রাজনৈতিক কাঠামো ধ্বংস করেছে।’
আরও পড়ুন: পুলিশ ‘অবৈধভাবে’ বিরোধীদের তথ্য সংগ্রহ করছে: মির্জা ফখরুল
টাকা কোথায় গেছে
ফখরুল বলেন, সরকার ব্যাপক লুটপাট ও চুরির মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক কাঠামোকেও ধ্বংস করেছে। ‘এখানে চুরি ছাড়া কিছুই হচ্ছে না। সব মেগা প্রকল্পের পিছনে মূল উদ্দেশ্য চুরি। এভাবে তারা পুরো বাংলাদেশকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। ‘আমাদের অবশ্যই বাংলাদেশকে আবারও দুঃশাসন থেকে মুক্ত করতে হবে এবং জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে।’
তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন দল দীর্ঘদিন ধরে গর্ব করে আসছিল যে দেশ প্রায় ২৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতায় বিদ্যুতে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে।
‘কিন্তু আমরা এখন লোডশেডিংয়ের সম্মুখীন হচ্ছি। তাদের জ্বালানি উপদেষ্টা ও আমার শিক্ষক ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, টাকা না থাকায় আমরা কীভাবে বিদ্যুৎ দেব? কিন্তু তারা দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছিল যে ৪২ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ নিয়ে অর্থের কোনও সংকট নেই। কোথায় গেল সেই টাকা?
বিএনপি নেতা বলেন, তৌফিক-ই-এলাহী ব্যবসায়ীদের এক অনুষ্ঠানে অসহায়ভাবে স্বীকার করেছেন যে, তারা দিনে বিদ্যুৎ দিতে পারবেন না, রাতে দেয়া হবে। ‘এটি তাদের উন্নয়নের একটি উদাহরণ এবং এভাবেই বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে।
দুঃশাসনের অবসান ঘটাতে হবে ঐক্য
ফখরুল অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ বারবার বাংলাদেশের ক্ষতি করেছে এবং তারা আবারও গণতন্ত্র হরণ ও জনগণের অধিকার হরণ করে দেশকে ধ্বংস করছে।
তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও অন্যান্য দমনমূলক আইনের কারণে মানুষ এখন স্বাধীনভাবে তাদের মতামত প্রকাশ করতে পারে না। ‘এমন পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য আমরা আন্দোলন শুরু করেছি। আমরা আমাদের গণতন্ত্র, ভোটদান এবং অন্যান্য অধিকার পুনরুদ্ধার করতে চাই। আমরা আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে চাই। আমরাও চাই সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার হোক।
দুঃশাসনের অবসান ঘটাতে এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বাস্তবে রূপ দিতে তরুণসহ সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান বিএনপির এই নেতা।
তিনি অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ লুণ্ঠন-দুর্নীতিতে লিপ্ত হয়ে জাতির সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নকে ভেস্তে দিয়েছে।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের শাসনামলে জাতি যা হারিয়েছে তা ফিরে পেতে তাদের দল আরেকটি যুদ্ধ শুরু করেছে। ‘আমরা একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ ফিরে পেতে
চাই। যেখানে মত প্রকাশের স্বাধীনতাসহ জনগণের সকল অধিকার নিশ্চিত করা হবে এবং তাদের জান-মাল সুরক্ষিত থাকবে।’
ফখরুল বলেন, তারা ক্ষমতায় গেলে প্রথমেই সততা ও সুশাসনের মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি সমৃদ্ধশালী দেশে পরিণত করার পদক্ষেপ নেবেন।
আরও পড়ুন: ক্ষমতা হারানোর ভয়ে কর্মকর্তাদের অপসারণ করছে সরকার: মির্জা ফখরুল
বাংলাদেশকে তারা শ্মশান করে দিয়েছে: চট্টগ্রামে মির্জা ফখরুল
২ বছর আগে
নিরপেক্ষ নির্বাচনের কাঠামো গঠনের পরামর্শ ড. কামালের
গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন দেশের রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে একটি স্বতন্ত্র ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের কাঠামো গঠনের পরামর্শ দিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, অর্থ ও ক্ষমতার লোভ বর্তমান রাজনীতিকে ভয়াবহ ব্যাধিতে আক্রান্ত করেছে। একটি সুস্থ রাজনীতি এই রোগ দূর করে মানুষের আশা-আকাঙ্খা পূরণ করতে পারে।
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে গণফোরামের এক সংবাদ সম্মেলনে ড. কামাল এসব কথা বলেন।
ড. কামাল হোসেনকে সভাপতি ও মিজানুর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক করে গণফোরামের ১০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটিও ঘোষণা করা হয় এই সংবাদ সম্মেলনে।
আরও পড়ুন: অপকর্মের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান ড.কামালের
বেশিরভাগ বিরোধী দলের মতামত উপেক্ষা করে পরবর্তী নির্বাচনে ১৫০ আসনে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্তকে উদ্বেগজনক লক্ষণ উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রতি নিন্দা জানান তিনি।
প্রবীণ এই রাজনীতিবিদ বলেন, ‘আমরা বর্তমান অনিশ্চয়তার অবস্থাকে চলতে দিতে পারি না। সংকট নিরসনে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের কাঠামো গঠনের দাবিতে নাগরিক, সকল নাগরিক সংগঠন, ছাত্র, কর্মী, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, আইনজীবী, শিক্ষক, সাংবাদিক, অন্যান্য পেশাজীবী এবং নারী সংগঠনকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই।’
ড. কামাল বলেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে ইসির ইলেকট্রিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারে নির্বাচনী ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে গেছে এবং প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘জাতি ধ্বংস হওয়া নির্বাচনী ব্যবস্থা থেকে মুক্তি চায়। আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমে দেশকে রক্ষা করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হলে অবশ্যই দেশ ও অর্থনীতিকে বাঁচানো সম্ভব হবে। আসুন একতাবদ্ধ হই, আপনাদের কাছে আমার এই আহ্বান। আসুন জনগণের ঐক্য ও নাগরিক ঐক্য গড়ে তুলি।’
ড. কামাল বলেন, ‘আপনারা নিজ এলাকায় যান এবং স্থানীয় জনগণকে বলুন যে এই দেশটি আমাদের সকলের। আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশকে বাঁচাতে হবে। আমি ঐক্যের ওপর জোর দিতে চাই।’
সরকারের অবহেলা থেকে রাষ্ট্রকে বাঁচাতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যে ঐক্যের মাধ্যমে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি সেই ঐক্যের মাধ্যমেই আমাদের স্বাধীনতা রক্ষা করতে হবে। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে দুর্নীতির হাত থেকে বাঁচাতে হবে।’
আরও পড়ুন: মোবাইল ব্যাংকিংয়ে মাসিক লেনদেন ১.১১ লাখ কোটি টাকার বেশি
অন্যদেশ থেকে পণ্য কিনে তৃতীয় দেশে রপ্তানি করতে পারবেন ব্যবসায়ীরা
২ বছর আগে