ব্যাপক
টানা বৃষ্টিতে ফরিদপুরে পেঁয়াজের ব্যাপক ক্ষতি
ফরিদপুরের সালথা ও নগরকান্দায় ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের প্রভাবে তিন দিনের টানা বর্ষণে মৌসুমি পেঁয়াজের বীজতলাসহ খেত পানিতে ডুবে গেছে। ফলে পেঁয়াজের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পানিতে তলিয়ে যাওয়া ৭০ শতাংশ পেয়াজ নষ্ট হয়ে যাওয়ার শঙ্কায় রয়েছেন কৃষকরা। এতে করে বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ার আশঙ্কা তাদের।
নগরকান্দা গ্রামের কৃষক মো. আহাদ হোসেন জানান, তিন দিনের টানা বৃষ্টিতে আমাদের খেতের পেঁয়াজের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পেঁয়াজ পচে যাওয়ার ভয়ে কাদার মধ্যেই চারা রোপণ করছি। এতে করে আমরা অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখে পড়ব।
আরও পড়ুন: পেঁয়াজের আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করেছে সরকার
একই এলাকার কৃষক ফরহাদ শেখ জানান, এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে পেঁয়াজের চারা রোপণ করেছি, তিন দিনের বৃষ্টিতে আমার রোপণ করা্ সব চারা ডুবে গেছে, আমি এখন কী করব। কীভাবে এনজিওর টাকা শোধ করব ভেবে পাচ্ছি না।
নগরকান্দা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তিলক কুমার ঘোষ বলেন, টানা বৃষ্টিতে উপজেলার প্রায় ৩৫০ হেক্টর জমির মুড়িকাটা পেঁয়াজ ও ৪০ হেক্টর জমির হালি পেঁয়াজ বৃষ্টির পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে কৃষকদের জমি থেকে পানি নামিয়ে দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, জেলার নগরকান্দা উপজেলায় এ বছর প্রায় ৮ হাজার হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের আবাদের সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে একই চিত্র সালথা উপজেলায়।
বৃষ্টিপাতের ক্ষয়ক্ষতি প্রসঙ্গে সালথা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সুদর্শন শিকদার বলেন, সালথায় এবার ১২০ হেক্টর জমিতে মুড়িকাটা পেঁয়াজের আবাদ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, পেঁয়াজের বীজতলা আবাদ করা হয়েছে ৭৬০ হেক্টর জমিতে। এসব মুড়িকাটা পেঁয়াজ ও বীজতলার বেশিরভাগ খেত তলিয়ে গেছে।
তিনি বলেন, খেতের পানি দ্রুত নামিয়ে ফেলতে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যদি আর বৃষ্টি না হয়, তাহলে তেমন ক্ষতি হবে না। আর বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে ফসলের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
আরও পড়ুন: গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের উৎপাদন বাড়াতে আরও ১৬.২০ কোটি টাকার প্রণোদনা দেবে সরকার
ঢাকায় পেঁয়াজের কেজি ১০০ টাকার বেশি
১ বছর আগে
সীমান্তে মিয়ানমারের হেলিকপ্টার থেকে ব্যাপক গোলা বর্ষণ
নাইক্ষ্যংছড়ি-মিয়ানমার সীমান্তে গত কয়েক সপ্তাহ গোলাবারুদের আওয়াজ বন্ধ থেকে আবারও নতুন করে আতঙ্কের বারুদ ছড়িয়েছে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর যুদ্ধ হেলিকপ্টার।
সীমান্তে বসবাসকারীদের কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত ঘুমধুমের বাংলাদেশ মিয়ানমার সীমান্ত পিলার ১৮,৩১,৩৪,৩৫ দিয়ে এবং সদর ইউনিয়নের আশারতলী, ফুলতলী, জামছড়ির ৪৫ ও ৪৬ নং পিলার দিয়ে কিছুক্ষণ পর পর মিয়ানমার হেলিকপ্টার থেকে বিভিন্ন প্রকার আওয়াজের গোলা নিক্ষেপ করে।
বিভিন্ন প্রকার বিস্ফোরণের বিকট শব্দে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন: সীমান্ত হত্যা ভারতের জন্য লজ্জাজনক: মোমেন
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. নুরুল আমিন বলেন, সোমবার (১০ অক্টোবর) বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ পরিদর্শন শেষে চলে যাওয়ার পরপরই বিকাল ৪টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৭টা পর্যন্ত নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমের তুমব্রু সীমান্তের ৩৪, ৩৫,৩৬ ও ৩৯ পিলার রাইট বিজিপি ক্যাম্প ৪৫ ও ৪৬ নং পিলার সালিডং ক্যাম্প থেকে অগণিত মর্টার ও আর্টিলারি বোমা বিস্ফোরণের আওয়াজে যেন এপারে ভূমিকম্প হচ্ছিল।
তিনি আরও বলেন, ভোরে ওপার থেকে বিস্ফোরণের শব্দে এপারের শিশুদের ঘুম ভেঙেছে।
ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. আলমের সঙ্গে কথা হলে তিনি ইউএনবিকে বলেন, সকাল ৭ টা থেকে ৩ টা পর্যন্ত মোট তিন দফা মিয়ানমারের হেলিকপ্টার থেকে ব্যাপক গোলা বর্ষণে শব্দ তিনি শোনেন, আবার মিয়ানমারের অভ্যন্তরের কিছু দূরের স্থলভাগ থেকে অনবরত গোলাগুলির আওয়াজও শুনেছেন।
তুমব্রু বাজারের ব্যবসায়ী মো. সরোয়ার জানান, পরিবার পরিজন এবং পাড়া প্রতিবেশীকে নিয়ে চিন্তাই আছেন। প্রতিবেশি দেশ মিয়ানমার সীমান্তে যা দেখাচ্ছে তা নিয়ে, অদূর ভবিষ্যত নিয়ে ভাবনায় আছেন?
ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, কয়েক দিন বন্ধ থেকে আবারও গোলাগুলির শব্দে আমাদের মাঝে আতঙ্ক বাড়িয়েছে।
বাংলাদেশ মিয়ানমারের সীমান্ত জুড়ে বিজিবির টহল বৃদ্ধিসহ সীমান্তের বিভিন্ন সম্ভাব্য পয়েন্টে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ শঙ্কায় কঠোর নজরদারিতে রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে আরেক বাংলাদেশি নিহত
চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
২ বছর আগে
আয়ারল্যান্ডে ওয়ালটন স্মার্ট টিভিতে ব্যাপক সাড়া
চলতি বছরের এপ্রিলে বাংলাদেশের শীর্ষ ইলেকট্রনিক্স প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন আয়ারল্যান্ডে নিজস্ব ব্র্যান্ড লোগোতে অ্যান্ড্রয়েড স্মার্ট টিভি রপ্তানি শুরু করে।
আরও পড়ুন: জাপানি স্ট্যান্ডার্ডে ব্যাটারি উৎপাদন করছে ওয়ালটন
এছাড়া উত্তর-পূর্ব ইউরোপের দেশটিতে ইতোমধ্যে ওয়ালটন টিভি ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। এদিকে আয়ারল্যান্ডের অন্যতম বৃহৎ রিটেইল স্টোর ‘ডিড ইলেকট্রিক্যাল’ এ প্রদর্শন ও বিক্রি করা হচ্ছে ওয়ালটনের অ্যান্ড্রয়েড স্মার্ট টিভি। যা ইউরোপের বাজারে নিজস্ব ব্র্যান্ড বিজনেস সম্প্রসারণের ক্ষেত্রেই শুধু নয়; বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ গ্লোবাল কনজ্যুমার ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড হওয়ার লক্ষ্যে ওয়ালটন তথা বাংলাদেশের জন্য আরেকটি বিশাল মাইলফলক।
ইউরোপে দায়িত্বপ্রাপ্ত ওয়ালটন গ্লোবাল বিজনেস ডিভিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট সাঈদ আল ইমরান জানান, ইউরোপের উন্নত দেশগুলোতে ওয়ালটন টিভির ব্র্যান্ড বিজনেস সম্প্রসারণ হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
এরই ধারাবাহিকতায় চলতি বছরে উত্তর-পূর্ব ইউরোপের দেশ আয়ারল্যান্ডে ওয়ালটন ব্র্যান্ড লোগোতে টেলিভিশন রপ্তানি কার্যক্রম শুরু করা হয়।
এছাড়া এপ্রিলে ওয়ালটনের ৩২, ৪৩ ও ৫৫ ইঞ্চি অ্যান্ড্রয়েড টিভির প্রথম শিপমেন্ট পাঠানো হয়।
এদিকে আয়ারল্যন্ডের খ্যাতনামা কনজ্যুমার ইলেকট্রনিক্স অ্যাপ্লায়েন্সে বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান ‘সোমার লিমিটেড’ ওয়ালটন টিভির পরিবেশক হিসেবে বাজারজাত কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
আরও পড়ুন: ওয়ালটনের নতুন ফোনের অনলাইন প্রি-বুকে ১০০০ টাকা ছাড়
ওয়ালটন টিভির চিফ বিজনেস অফিসার প্রকৌশলী মোস্তফা নাহিদ হোসেন বলেন, আয়ারল্যান্ডে টিভি রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণ নিঃসন্দেহে ওয়ালটনের ভিশন ‘গো গ্লোবাল ২০৩০’ অর্জনের পথে এক বিশাল মাইলফলক।
ভৌগোলিক দিক থেকে আয়ারল্যান্ড অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এক বাজার। দেশটির প্রতিবেশি হচ্ছে গ্রেট বিটেন। তাই আয়ারল্যান্ডে রপ্তানি কার্যক্রম শুরুর ফলে গ্রেট ব্রিটেনে ওয়ালটন টিভির ব্র্যান্ড বিজনেস সম্প্রসারণের সুযোগ তৈরি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ টেলিভিশন প্রস্তুতকারি প্রতিষ্ঠান হয়ে ওঠার মিশন নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে ওয়ালটন। এই মিশন বাস্তবায়নের পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০২৩ সালের মধ্যে ৫টি মহাদেশীয় অঞ্চলের সবগুলো দেশে ওয়ালটন টিভি রপ্তানি বাণিজ্য সম্প্রসারণে কাজ করছেন তারা।
সূত্রমতে, ৩৫টিরও বেশি দেশে শতাধিক বিজনেস পার্টনারের মাধ্যমে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ লেবেলযুক্ত টিভি রপ্তানি করছে ওয়ালটন। এছাড়া ওয়ালটন টিভির মোট রপ্তানির প্রায় ৯৫ শতাংশই যাচ্ছে ইউরোপের উন্নত বিশ্বের দেশগুলোতে।
আরও পড়ুন: ওয়ালটনের নতুন অল-ইন-ওয়ান পিসি বাজারে
২ বছর আগে
কুমিল্লায় দুর্গোৎসব ঘিরে ব্যাপক নিরাপত্তা প্রস্তুতি
এবার কুমিল্লায় দুর্গোৎসবকে ঘিরে ব্যাপক নিরাপত্তা প্রস্তুতি গ্রহন করেছে প্রশাসন।
কুমিল্লা নগরীর নানুয়া দিঘীর পাড়ের অস্থায়ী দুর্গা পূজামণ্ডপগুলোর নিরাপত্তায় প্রাধান্য দিয়ে জেলা পূজা উদযাপন প্রস্তুতি সভায় বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থার কথা জানিয়েছেন কমিটির নেতারা।
সকল পূজামণ্ডপে সিসি ক্যামেরা, নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত রাখা এবং সূর্যাস্তের আগে বিসর্জন সমাপ্ত করার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
কোরআন পাওয়ার জেরে কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সংঘটিত অপ্রীতিকর ঘটনার কথা মাথায় রেখে এই প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: শারদীয় দুর্গোৎসবকে সামনে রেখে ব্যস্ত নড়াইলের প্রতিমা শিল্পীরা
অস্থায়ী পূজামণ্ডপগুলোকে নিরাপত্তায় প্রাধান্য দিয়ে জেলা পূজা উদযাপন প্রস্তুতি সভায় ‘নিরাপত্তা ব্যবস্থা’র কথা জানিয়েছেন কমিটির প্রধানরা।
নির্দেশনা মত, অস্থায়ী পূজামণ্ডপ কমিয়ে আনার জন্য হিন্দু ধর্মীয় নেতাদের অনুরোধ করেছেন কমিটি।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ১ অক্টোবর থেকে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া দুর্গোৎসবে কুমিল্লার ৭৯৪টি পূজামণ্ডপে পূজা চলাকালে দিন রাত আনসার সদস্যরা প্রহরা থাকবে।
এছাড়া পুলিশ, র্যাব, বিজিবির আলাদা টহল থাকবে। জেলার কোন কোন পূজামণ্ডপে অতিরিক্ত নিরাপত্তা প্রয়োজন তার তালিকা চাওয়া হয়েছে পূজা উদযাপন কমিটির কাছে।
এছাড়া পূজার সময় পূজামণ্ডপের জন্য সরকারি বরাদ্দ সঠিক সময়ে পৌঁছে যাবে বলেও জানানো হয়।
কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার।
এসময় কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার মো. আবদুল মান্নান, র্যাব-১১ সিপিসি-২ এর অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন, জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি ও চান্দিনা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান তাপস বকশী, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম টুটুল, জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক নির্মল পাল, মহানগর পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি অচিন্ত্য দাস টিটুসহ মুসলমান ধর্মীয় নেতা, ইমাম, ব্যবসায়ী নেতারা, বিভিন্ন উপজেলা নির্বাহী অফিসাররা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: শিকদারবাড়ির দুর্গোৎসব এ বছরও বড় পরিসরে হচ্ছে না
কুমিল্লা মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার বলেন, নানুয়া দিঘীর পাড়ের পূজা মণ্ডপে এবার আরও জাঁকজমকভাবে পূজা হবে। জেলার সকল পূজামণ্ডপে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হবে।
মন্দির ও পূজামণ্ডপে প্রশাসনের পাশাপাশি আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের স্বেচ্ছাসেবকরা নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবেন। কুমিল্লা এবার উৎসব মুখর এবং সুশৃঙ্খল পরিবেশে দুর্গোৎসব পালিত হবে।
সভার সভাপতি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান জানান, পূজামণ্ডপের পরিধি অনুসারে বড় পূজামণ্ডপে আটজন, বরোয়ারি পূজামণ্ডপে ছয়জন এবং পারিবারিক পূজামণ্ডপে চারজন করে আনসার সদস্য পূজা চলাকালীন সময়ে দিনরাত নিয়োজিত থাকবেন। এছাড়া পুলিশ, র্যাব ও বিজিবির টহল মোতায়েন থাকবে।
একটি কন্ট্রোলরুম খোলা হবে-যেখান থেকে পুরো জেলার পূজার সার্বক্ষণিক খবর নেয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসাররা উপজেলার মন্দির এবং পূজামণ্ডপগুলোর তালিকা করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।
পুলিশ সুপার মো. আবদুল মান্নান বলেন, অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে কেউ যেন উস্কানি কিংবা গুজব না ছড়াতে পারে সে ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
আগামী বছর থেকেই যেহেতু জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু হবে সেই বিবেচনায় স্বাধীনতা বিরোধী চেতনার কেউ যেন রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে ধর্মকে ব্যবহার না করতে পারে সেদিকে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।
রাজনৈতিক, সামাজিক এবং ধর্মীয় নেতাদের পাশাপাশি গণমাধ্যমকর্মীদেরকেও তিনি অনুরোধ করে বলেন, যে কোন গুজব কিংবা উস্কানিতে আগে কান না দিয়ে যাচাই করা এবং প্রয়োজনে পুলিশকে জানানো প্রয়োজন।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, কুমিল্লার যে সম্প্রীতির ঐতিহ্য রয়েছে এই দুর্গা পূজায় আমরা প্রমাণ দিতে চাই।
আরও পড়ুন: এ বছর হচ্ছে না দেশ সেরা শিকদারবাড়ির দুর্গোৎসব, পূজা হবে ঘটে
এদিকে জেলায় এবার ৭৯৪টি পূজামণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে উল্লেখ করে জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি তাপস বকশী বলেন, আমরা সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে আশাবাদী। ঝূঁকিপূর্ণ পূজামণ্ডপের তালিকা প্রশাসনকে দেয়া হবে। আমরা নিজেরাও থাকবো যেন পূজামণ্ডপে কোন উচ্ছৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি না হয়।
মহানগর পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক অচিন্ত্য দাশ টিটু বলেন, আমরা সরকারি সকল নির্দেশনা মেনে এবার উৎসবমুখর পরিবেশে দুর্গোৎসব পালন করবো।
সভায় উপস্থিত মুসলিম ধর্মের নেতাদের মধ্যে আলমগীর খান বলেন, আমরা অতীতেও সনাতন ধর্মাবলম্বী ভাইদের পাশে ছিলাম এবং এবারও যে কোন উৎসবে তাদের পাশে থাকবো।
কুমিল্লা ঐতিহ্য আমরা বিনষ্ট হতে দিবো না।
আরও পড়ুন: প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো দুর্গোৎসব
২ বছর আগে