ট্রেন চলাচল শুরু
রেললাইন ছেড়েছেন বিক্ষুব্ধ কর্মীরা, ট্রেন চলাচল শুরু
বকেয়া বেতন ও মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে রেললাইন অবরোধ করার প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর সরে গেছেন রেলওয়ের অস্থায়ী কর্মীরা। এর ফলে কমলাপুরের সঙ্গে সারা দেশের ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) বেলা পৌনে ১১টা থেকে পাঁচ মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধ ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে কাওরানবাজার রেললাইন এলাকা অবরোধ করে রাখেন তারা।
অস্থায়ী এসব কর্মী (টিএলআর) দৈনিক কাজের ভিত্তিতে রেলওয়ের বিভিন্ন দপ্তরের পোর্টার, গেটকিপার (ট্রাফিক/ইঞ্জিনিয়ারিং), খালাসি, ওয়েম্যান, অফিস সহকারী, ওয়েটিং রুম কেয়ারটেকারসহ বিভিন্ন পদে দীর্ঘদিন ধরে কর্মরত এবং দৈনিক ভিত্তিতে মজুরি পান।
আরও পড়ুন: লাইনচ্যুতির সাড়ে ৮ ঘণ্টা পর ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক
এ বিষয়ে ঢাকা রেলওয়ে পুলিশ স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন ইউএনবিকে জানান, অস্থায়ী শ্রমিকেরা বকেয়া বেতনের দাবিতে সকাল পৌনে এগারোটা থেকে কারওয়ান বাজার রেলপথ অবরোধ করলে সারা দেশের সঙ্গে ঢাকার রেল চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে ১২টা ৫০ মিনিটে তারা অবরোধ তুলে দিলে রেল চলাচল স্বাভাবিক হতে শুরু করে।
এর আগে, গত ২৫ মার্চও বকেয়া বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ করেন এই অস্থায়ী কর্মীরা।
৯৩ দিন আগে
চট্টগ্রাম থেকে সারাদেশে ট্রেন চলাচল শুরু
কোটা সংস্কার ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ঘিরে সহিংসতার ঘটনায় টানা ২৩ দিন বন্ধ ছিল ট্রেন চলাচল। দীর্ঘ বিরতির পর বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন থেকে পুরোদমে সব ধরনের ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।
এর আগে সোমবার (১২ আগস্ট) থেকে শুরু হয় মালবাহী ট্রেন চলাচল এবং পরদিন মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) থেকে মেইল, এক্সপ্রেস, লোকাল, কমিউটার ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার শফিকুল ইসলাম সব ধরনের ট্রেন চলাচল শুরুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: ১১ দিন পর খুলনা-বেনাপোল-মোংলা কমিউটার ট্রেন চালু
চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন থেকে চট্টগ্রাম-চাঁদপুর রুটে চলাচলকারী সাগরিকা এক্সপ্রেস ট্রেনটি বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) সকাল ৮টায় ছেড়ে গেছে। চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী কর্ণফুলী এক্সপ্রেস ট্রেনটি সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে ছেড়ে গেছে। দিনের সূচি অনুযায়ী অন্যান্য ট্রেনগুলো চলাচল করবে।
এছাড়াও চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে দুপুর ১২টার দিকে হাটহাজারী ও দোহাজারীর উদ্দেশ্য দুটি মালবাহী ট্রেন ছেড়ে গেছে।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনের মধ্যে গত ১৬ জুলাই ঢাকা, গাজীপুর, চট্টগ্রাম, ফেনী ও ময়মনসিংহ, রংপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় রেলপথ অবরোধ করা হলে ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। পরদিন ট্রেন চলাচল কিছুটা স্বাভাবিক হলেও ১৮ জুলাই ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচির দিন সারাদেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরদিন ১৯ জুলাই সরকারের কারফিউ জারি করার পর থেকে সারাদেশে পুরোপুরি বন্ধ ছিল ট্রেন চলাচল। এর মধ্যে গত ১-৩ আগস্ট পর্যন্ত সীমিত পরিসরে কমিউটার ট্রেন চলাচল করে। পরে ৪ আগস্ট রাতে অনির্দিষ্টকালের জন্য সব ধরনের ট্রেন চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
মঙ্গলবার থেকে কন্টেইনার ট্রেন ও তেলবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়। বুধবার থেকে চলে মেইল, লোকাল, কমিউটার ও বৃহস্পতিবার শুরু হয় সব আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল।
আরও পড়ুন: এক মাস পর চালু হলো আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল
২১৭ দিন আগে
পদ্মা সেতু রেল সংযোগ: ভাঙ্গা-রুপদিয়া রেলপথে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল শুরু
ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে যশোরের রূপদিয়া পর্যন্ত পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। শনিবার সকাল ৮টা ৪১ মিনিটের দিকে ভাঙ্গার রেলওয়ে স্টেশন থেকে ট্রেনটি যশোরের রূপদিয়ার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
মো. সাখাওয়াত হোসেন এ ট্রায়াল ট্রেনে চালকের দায়িত্ব পালন করছেন এবং ট্রেনটি ১২০ কিলোমিটার সর্বোচ্চ গতিতে চলানো হবে।
ভাঙ্গার রেলস্টেশন মাস্টার মো. জিল্লুর রহমান বলেন, শনিবার সকাল ৮ টা ৪১ মিনিটে উচ্চগতি সম্পন্ন এই পরীক্ষামূলক ট্রেনটি যশোরের রুপদিয়ার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। ট্রেনটি ১২০ কিলোমিটার গতিতে যশোর পৌঁছাতে সময় লাগবে মাত্র এক ঘণ্টা।
আরও পড়ুন: এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে থেকে রেললাইনে পড়ল ক্রেন, ব্যাহত ট্রেন চলাচল
তিনি আরও বলেন, রবিবার আবারও (৩১ মার্চ) সকালে রুপদিয়া রেল স্টেশনের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে ট্রেনটি। আবার যশোর থেকে ভাঙ্গার উদ্দেশে ছেড়ে আসবে। এভাবে ট্রেনটি কয়েকবার ফরিদপুরের ভাংগা থেকে যশোরের রুপদিয়া স্টেশন পর্যন্ত চলাচল করবে।
এদিকে আগে ঢাকা-যশোর রেলপথের ভাঙ্গা পর্যন্ত ইতোমধ্যে ট্রেন চলাচল করছে। ভাঙ্গা থেকে নড়াইল হয়ে যশোর অংশের রেলপথ নির্মাণের কাজও প্রায় শেষের দিকে।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা-যশোর রেলপথের ভাঙ্গা পর্যন্ত ইতোমধ্যে ট্রেন চলাচল করছে। প্রকল্পের শেষ অংশ ভাঙ্গা থেকে যশোর। এই অংশের দৈর্ঘ্য ৮৭ দশমিক ৩২ কিলোমিটার। মাঠ পর্যায়ে প্রকল্পটির কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৯ সালে।
এর আগে ২০১৬ সালের ৩ মে ‘পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প’ নামে এটি একনেকে অনুমোদন পেয়েছিল।
২০২৩ সালের ১৪ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা 'পদ্মা সেতু রেল সংযোগ নির্মাণ প্রকল্পের' আওতায় ঢাকার সঙ্গে যশোরের রেল সংযোগের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন।
তিনটি পর্যায়ে (ঢাকা ও গেন্ডারিয়ার মধ্যে তিন কিলোমিটার সংযোগ স্থাপন) ৩৭ কিলোমিটার গেন্ডারিয়া-মাওয়া সেকশন, ৪২ কিলোমিটার মাওয়া-ভাঙ্গা অংশ এবং ৮৭ কিলোমিটার ভাঙ্গা জংশন-যশোর অংশের রেললাইন নির্মাণ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ৩ ঘণ্টা পর ঢাকার সঙ্গে উত্তর-দক্ষিণের ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক
প্রায় ৪৩ দশমিক ২ কিলোমিটার লুপ, সাইডিং এবং ওয়াই-সংযোগগুলো মোট লাইনের দৈর্ঘ্য ২১৫ দশমিক ২ কিলোমিটারে নিয়ে আসে।
ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ২০টি স্টেশন থাকবে, যার মধ্যে ১৪টি নতুন এবং ৬টি ইতোমধ্যে রয়েছে। আগের স্টেশনগুলোও আধুনিকায়ন করা হচ্ছে। নির্মাণ কাজ শেষ হলে ট্রেনগুলো ১২০ থেকে ১৩০ কিলোমিটার গতিতে চলতে পারবে।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, রাজধানী ঢাকা থেকে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যশোরের মধ্যে সংযোগ স্থাপনের জন্য নির্মিতব্য ১৭২ কিলোমিটার রেলপথ পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পটি ২০২৪ সালের জুনে শেষ হওয়ার পথে রয়েছে।
পরীক্ষামূলক ট্রেন যাত্রায় সবকিছু পর্যবেক্ষণ করছেন সেনাবাহিনী ও রেল প্রকল্পে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। নতুন রেললাইন চালু হওয়ার সংবাদে রেল লাইনের আশে-পাশের মানুষের মধ্যে চলছে উৎসবের আমেজ।
আরও পড়ুন: বিজয় এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত: ১৪ ঘণ্টা পর ডাউন লাইনে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক
৩৫৫ দিন আগে
গাজীপুরে রেলওয়েতে ‘নাশকতা’: ট্রেন চলাচল শুরু, তদন্ত চলছে
গাজীপুরে ‘নাশকতা’য় ক্ষতিগ্রস্ত লাইন মেরামত ও উদ্ধার তৎপরতা শেষে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। তবে এখনো কিছু মেরামত কাজ চলছে। নাশকতার এ ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে গঠিত তদন্ত কমিটি।
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বনখড়িয়া এলাকায় বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) ভোরে গ্যাসচালিত মেশিন দিয়ে রেললাইন কেটে নাশকতায় নেত্রকোণা থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসা মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনসহ সাতটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে পড়ে। এতে ৬০০ ফুট রেল সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
আরও পড়ুন: রংপুরে ট্রেন লাইনচ্যুত, ১১ ঘণ্টা পর রেল চলাচল স্বাভাবিক
এরপরই জয়দেবপুর-ময়মনসিংহ সড়কে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দীর্ঘ ১৪ ঘণ্টার পর রেল কর্তৃপক্ষ বুধবার সন্ধ্যায় লাইন ট্রেন চলাচলের উপযোগী করে তোলে। বৃহস্পতিবার ভোর ৫টা ৫০ মিনিটে ভাওয়াল এক্সপ্রেস ট্রেন জয়দেবপুর স্টেশন থেকে ছেড়ে যায়। এছাড়াও ময়মনসিংহ থেকে জামালপুর কমিউটার ট্রেন ও যমুনা এক্সপ্রেস ট্রেন মেরামত করা অংশ দিয়ে ঢাকা প্রবেশ করেছে। জয়দেবপুর-ময়মনসিংহ সড়কে ট্রেন চলাচল পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়েছে।
এদিকে, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের গঠিত ৩ সদস্যের কমিটি বৃহস্পতিবার সকালেই ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছেন। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব শাহ ইমাম আলী রেজাকে আহ্বায়ক করে গঠিত ওই তদন্ত কমিটির সদস্য হিসেবে আছেন বাংলাদেশ রেলওয়ের পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং) মো. মহিউদ্দিন আরিফ ও পরিচালক (মেকানিক্যাল) এ বি এম কামরুজ্জামান। এই কমিটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান এবং দুর্ঘটনা প্রতিরোধে করণীয় নির্ধারণ করে প্রতিবেদন প্রস্তুত করবে।
ওই কমিটির আহ্বায়ক রেলপথ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব শাহ ইমাম আলী রেজা জানান, আমরা তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছি। নির্ধারিত তিন কর্ম দিবসের মধ্যেই তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার চেষ্টা করব।
অন্যদিকে, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে আহ্বায়ক করে জেলা প্রশাসনের গঠিত তথ্য কমিটিও তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে ট্রেনের ইঞ্জিনসহ ৭ বগি লাইনচ্যুত, নিহত ১
৪৬২ দিন আগে
পদ্মা সেতু দিয়ে বাণিজ্যিক ট্রেন চলাচল শুরু
খুলনা থেকে প্রথমবার যাত্রী নিয়ে পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকায় গেল সুন্দরবন এক্সপ্রেস। এটি ছিল সেতুতে প্রথম বাণিজ্যিক ট্রেন চলাচল।
বুধবার (১ নভেম্বর) রাত ৯ টা ৪৫ মিনিটে খুলনা রেল স্টেশনের এক নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে ট্রেনটি ছেড়ে যায়। ঢাকায় পৌঁছায় ভোর ৫টা ১০ মিনিটে।
নতুন এই রুটে ট্রেন চলাচলে অন্তত ২ ঘণ্টা সময় কমবে।
খুলনা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে প্রথম যাত্রায় অংশ নিতে পেরে উচ্ছ্বসিত যাত্রীরা।
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) মেকানিক্যাল ডিপার্টমেন্টের সহকারী অধ্যাপক হারুন অর রশিদ বলেন, সুন্দরবন ট্রেনে করে ঢাকায় অনেকবার গিয়েছি। আগে সময় অনেক বেশি লাগতো। পদ্মা সেতু হওয়াতে ঢাকায় যেতে আমাদের কম সময় লাগবে। এখন ট্রেনযাত্রা আমাদের জন্য অনেক সহজ হয়ে গেছে। আজকে প্রথম যাত্রায় যাত্রী হতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত।
খুলনা টিঅ্যান্ডটি জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ মাওলানা দেলোয়ার হোসেন বলেন, পদ্মা সেতু হয়ে ট্রেনে করে ঢাকায় যাব কখনো কল্পনাও করিনি। অনেক ভালো লাগছে। নিজের দেশের টাকা দিয়ে পদ্মা সেতু তৈরি করা হয়েছে। সেতুর উপর দিয়ে পরিবহন এবং নিচ দিয়ে ট্রেন যাচ্ছে। আর এত সুন্দর কোচ কখনো দেখিনি। এজন্য প্রধানমন্ত্রীকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
খুলনার নাগরিক নেতা আইনজীবী বাবুল হাওলাদার বলেন, পদ্মা সেতু হয়ে খুলনা টু ঢাকা ট্রেন যোগাযোগের যে মেলবন্ধন শুরু হলো সেটি নিঃসন্দেহে আমাদের জন্য সুখের খবর। তবে খুলনার মানুষ হিসেবে আমাদের দাবি- এই রুটটা যেন আরও শর্ট করা, ট্রেনের বগির সংখ্যা বাড়ানো ও ভাড়া কমানোর বিষয়ে কর্তৃপক্ষ যেন সিদ্ধান্ত নেয় সেই প্রত্যাশা করছি।
খুলনা রেল স্টেশনের মাস্টার মাসুদ রানা বলেন, খুলনা থেকে ঢাকাগামী আন্ত:নগর সুন্দরবন এক্সপ্রেস রুট পরিবর্তন করে পোড়াদাহ, রাজবাড়ী, ফরিদপুর, ভাঙা হয়ে পদ্মাসেতু দিয়ে ঢাকা যাচ্ছে। নতুন এই রুট পরিবর্তনের ফলে পূর্বের তুলনায় যাত্রী সংখ্যা বাড়বে। একইসঙ্গে সময় কমবে অন্তত ২ ঘণ্টা। বুধবার ২২৫ জন যাত্রী নিয়ে খুলনা ছেড়েছে ট্রেনটি।
তিনি জানান, খুলনা থেকে রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে সুন্দরবন ট্রেনটি ছেড়ে যাবে। আর ঢাকায় পৌঁছাবে ভোর ৫টা ১০ মিনিটে। অপরদিকে ঢাকা থেকে সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে ছেড়ে ৩টা ৫০ মিনিটে খুলনায় এসে পৌঁছাবে। নতুন এই রুটে ট্রেন চলাচলের খবরে যাত্রীদের আগ্রহ বেড়েছে।
তার দেওয়া তথ্যমতে, সুন্দরবন ট্রেনটি ১৩টি কোচ নিয়ে যাতায়াত করবে। রাতে খুলনা থেকে ঢাকাগামী সুন্দরবন ট্রেনের মোট আসন সংখ্যা ৮৬০টি। এর মধ্যে শোভন চেয়ার ৪৯২টি, এসি বার্থ ৪৮টি ও স্নিগ্ধা ৩২০টি। আর ঢাকা থেকে খুলনার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা ট্রেনের আসন সংখ্যা ৯০৮টি। এরমধ্যে শোভন চেয়ার ৪৯২টি, এসি সিট ৯৬টি ও স্নিগ্ধা ৩২০টি।
এদিকে খুলনা থেকে ঢাকা পর্যন্ত সুন্দরবন আন্ত:নগর ট্রেনের ভাড়া (ভ্যাট ছাড়া) ধরা হয়েছে- শোভন চেয়ার শ্রেণীর ভাড়া ৫০০ টাকা, প্রথম সিট শ্রেণীর ভাড়া ৬৬৫ টাকা, প্রথম বার্থ শ্রেণীর ভাড়া ৯৯৫ টাকা, স্নিগ্ধা শ্রেণীর ৮৩০ টাকা, এসি সিট শ্রেণীর ভাড়া ৯৯৫ টাকা ও এসি বার্থ শ্রেণির ভাড়া ১ হাজার ৪৯৫ টাকা।
৫০৪ দিন আগে
দেড় মাস পর সিলেট থেকে ট্রেন চলাচল শুরু
প্রায় দেড় মাসেরও বেশি সময় বন্ধ থাকার পর সরকার ঘোষিত নির্দেশনা অনুযায়ী, অর্ধেক আসনে যাত্রী নিয়ে সোমবার সকাল থেকে সিলেট-ঢাকা-চট্রগ্রাম পথে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।
বেলা সোয়া ১১টার দিকে জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। তবে প্রথমদিনে যাত্রী সংখ্যা ছিল অপেক্ষাকৃত কম।
সিলেট রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার শামীম আহমদ জানান, রবিবার হঠাৎ করে ঘোষণা আসায় আজ যাত্রী সংখ্যা অপেক্ষাকৃত কম ছিল। নির্ধারিত ৫০ শতাংশ আসনই পূরণ হয়নি।
তিনি জানান, দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে পারাবত ও রাত সাড়ে ৯টায় উদয়ন ট্রেন সিলেট থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে নির্ধারিত সময়ে ছেড়ে যাবে। এছাড়া সরকারের পক্ষ থেকে বেধে দেয়া সকল স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও মাস্ক ছাড়া কাউকেই ট্রেনে উঠতে দেয়া হচ্ছে না বলে জানান সিলেট স্টেশনের এই ব্যবস্থাপক।
আরও পড়ুন: আরও ১৩ জোড়া ট্রেন চালু
প্রসঙ্গত, দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে চলমান বিধিনিষেধের আওতায় গত ৫ এপ্রিল থেকে যাত্রীবাহী সব ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। তবে গতকাল রবিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মো: রেজাউল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে ৩০ মে পর্যন্ত বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়ানো হলেও সোমবার থেকে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করবে জানানো হয়। তবে সেক্ষেত্রে জনগণকে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
এদিকে ২৩ মে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন জানিয়েছেন, সোমবার ২৮ জোড়া আন্তঃনগর ও নয় জোড়া এক্সপ্রেস-কমিউটার ট্রেন দিয়ে শুরু হবে ট্রেন চলাচল। এক আসন ফাঁকা রেখে বিক্রি হবে টিকিট। ৫০ শতাংশ টিকিট বিক্রি হবে। কাউন্টারে কোনো টিকিট বিক্রি হবে না, সব টিকিট বিক্রি হবে অনলাইনে।
আরও পড়ুন: আরও ১১ জোড়া যাত্রীবাহী ট্রেন চালু
রবিবার যাত্রীদের উদ্দেশে বাংলাদেশ রেলওয়ে বেশকিছু নির্দেশনা দিয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে- প্রতিটি ট্রেনের টিকিট অনলাইনে বিক্রয় করা হবে, আসনবিহীন কোনো টিকিট থাকবে না, টিকিটবিহীন কোনো যাত্রী স্টেশনে প্রবেশ বা ট্রেনে ভ্রমণ করতে পারবেন না, বিশেষ প্রয়োজন ব্যতীত রেলভ্রমণ করবেন না এবং অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। মাস্ক ব্যতীত কোনো যাত্রীকে স্টেশনে প্রবেশ বা ট্রেনে ভ্রমণ করতে দেয়া হবে না।
১৩৯৬ দিন আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেল ‘বনলতা এক্সপ্রেস’
করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে প্রায় দুই মাস বন্ধ থাকার পর সরকারি নির্দেশনায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাত্রী নিয়ে রবিবার চাঁপাইনবাবগঞ্জ ছেড়ে গেল ঢাকাগামী আন্তনগর ‘বনলতা এক্সপ্রেস’।
১৭৫৪ দিন আগে
অর্ধেক যাত্রী নিয়ে রবিবার থেকে ছুটবে ট্রেন
করোনাভাইরাসের কারণে প্রায় দুই মাস বন্ধ খাকার পর রবিবার থেকে পুনরায় শুরু হচ্ছে ট্রেন চলাচল।
১৭৫৫ দিন আগে
জুনের মধ্যে ঢাকা-শিলিগুড়ি ট্রেন চলাচল শুরু: মন্ত্রী
রেলপথমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মো. নূরুল ইসলাম সুজন শুক্রবার জানিয়েছেন, জুনের মধ্যে ঢাকা-শিলিগুড়ি ট্রেন চলাচল শুরু হবে।
১৮৬১ দিন আগে
প্রায় ১০ ঘণ্টা পর ময়মনসিংহ-চট্টগ্রাম রুটে ট্রেন চলাচল শুরু
ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত হওয়ায় প্রায় ১০ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর বৃহস্পতিবার সকাল ৭টায় ময়মনসিংহ-চট্টগ্রাম রুটে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
১৮৯০ দিন আগে