করতোয়া
করতোয়া থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার, স্ত্রী-শ্বাশুড়িসহ আটক ৪
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে গিয়ে নিখোঁজের চারদিন পর এক যুবকের লাশ উদ্ধার হয়েছে।
শনিবার দুপুরে উপজেলার চর বেতকান্দি এলাকায় করতোয়া নদী থেকে তার হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় স্ত্রী ও শ্বাশুড়িসহ চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গুলিস্তানের ফুটপাথ থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
নিহত শরিফুল ইসলাম (২৫) উপজেলার আগনুকালী গ্রামের মৃত আবু সামার ছেলে।
শাহজাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম মৃধা এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, প্রায় দুইমাস আগে উপজেলার চরবেতকান্দি গ্রামের ফারজানার সঙ্গে শরিফুলের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে বনিবনা হতো না। একপর্যায়ে ফারজানা তার বাপের বাড়ি চলে যায়। গত সোমবার রাতে যুবক শরিফুল শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে যায়। শ্বশুরবাড়িতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয় এবং ওই রাত থেকেই শরিফুল নিখোঁজ হন।
তিনি আরও জানান, শনিবার দুপুরে শ্বশুরবাড়ির পাশেই করতোয়া নদীতে শরিফুলের হাত-পা বাধা অবস্থায় লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে এবং নিহতের স্ত্রী ও শ্বাশুড়িসহ চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনে।
ওসি বলেন, রবিবার সকালে নিহতের লাশ সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে।
এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা হয়েছে বলেও জানান ওসি।
আরও পড়ুন: খুলনায় পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে নিঁখোজ: ৫ দিন পর ফাতেমার লাশ উদ্ধার
মাগুরায় নিজের বাসা থেকে কলেজ শিক্ষকের লাশ উদ্ধার
১ বছর আগে
করতোয়ায় নৌকাডুবি: ৪৭ দিনের মাথায় আরেক শিশুর লাশ উদ্ধার
পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার আউলিয়ার ঘাটে করতোয়া নদীতে নৌকাডুবির ঘটনায় নিখোঁজের ৪৭ দিন পর এক শিশুর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এনিয়ে মোট ৭১ জনের লাশ উদ্ধার হলো।
শুক্রবার করতোয়া নদীর আউলিয়া ঘাট এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
শ্রীমতি জয়া রাণীর (৪) বাড়ি পঞ্চগড় সদর উপজেলার ঘাটিয়াপাড়া এলাকায়। সে ওই এলাকার ধীরেন্দ্রনাথ রায়ের মেয়ে।
এছাড়া জেলা প্রশাসনের তালিকা অনুযায়ী আরও একজন নিখোঁজ রয়েছে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় শিশুর লাশ উদ্ধার
পুলিশ ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, দুপুরে কয়েকজন পাথর শ্রমিক করতোয়া নদীর তাঈলিয়া ঘাট এলাকায় পাথর উত্তোলন করছিলেন। পাথর তোলার যন্ত্রে পানির নিচ থেকে লাশটি ভেসে ওঠে। এসময় শ্রমিকেরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানসহ পরিবারের লোকজনদের খবর দেয়া হয়। পরিবারের সদস্যরা লাশের পরিচয় শনাক্ত করে।
উপজেলা প্রশাসন পুলিশ প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ওই শিশুর লাশ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করেন। এছাড়া বুধবার দুপুরে একই এলাকা থেকে ভূপেন্দ্রনাথ রায় ওরফে পানিয়ার লাশ উদ্ধার করা হয়। এঘটনায় সুরেন্দ্রনাথ (৬৫) নামে আরও একজন নিখোঁজ রয়েছেন। তাঁর বাড়ি বোদা উপজেলার সাকোয়া ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া গ্রামে।
বোদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুজয় কুমার রায় জানান, ওই লাশের পরনের কাপড় দেখে পরিবারের লোকজন লাশ শনাক্ত করেন। পরে তাদের হাতে লাশ হস্তান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: কুশিয়ারা নদী থেকে অজ্ঞাত শিশুর লাশ উদ্ধার
চাঁপাইনবাবগঞ্জে নিখোঁজ শিশুর লাশ উদ্ধার
১ বছর আগে
করতোয়ায় নৌকাডুবি: তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে ধুম্রজাল
পঞ্চগড়ের বোদায় করতোয়া নদীতে নৌকা ডুবির ঘটনায় জেলা প্রশাসনের গঠিত তদন্ত দল তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। রবিবার রাতে তদন্ত দলের প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দীপঙ্কর কুমার রায় জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলামের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। সোমবার জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম প্রতিবেদন জমা দেয়ার বিষয়টি জানান।
এদিকে তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের বিষয়টি গণমাধ্যমকর্মীদের জানানো হয়নি।
গণমাধ্যমকর্মীরা তদন্ত প্রতিবেদনের কপি চাইলে জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম জানান, আপনাদের (সাংবাদিকদের) দেয়া যাবে না, এটি সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে।
জেলা প্রশাসক আরও জানান, তদন্ত প্রতিবেদনে ভয়াবহ নৌদুর্ঘটনার জন্য খেয়াঘাটের ইজারাদারকে দায়ী করা, মাঝির অদক্ষতা, ধর্মীয় অনুভূতি, অসচেতনতার কারণ উল্লেখ করে বলেন ভৌগলিক পরিস্থিতি ও নদীকেন্দ্রিক জীবন জীবিকাকে উল্লেখ করে ১১৮ পৃষ্টার তদন্ত প্রতিবেদনে বিভিন্ন বিষয় উপস্থাপন করা হয়েছে এবং ভবিষ্যতে যেন এমন নৌদূর্ঘটনা না ঘটে এজন্য তদন্ত কমিটি পাঁচ দফা সুপারিশ পেশ করেছেন বলে জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: করতোয়ায় নৌকাডুবি: ৬ষ্ঠ দিনের মত চলছে উদ্ধার অভিযান
এদিকে পুরো তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ না করাসহ গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতিবেদন দাখিলের বিষয়টি না জানানোয় ভুক্তভোগীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মাঝে এ নিয়ে নানা জল্পনা কল্পনা ও প্রকৃত দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে কি না তা নিয়ে আশংকাও সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয়দের দাবি প্রকৃত তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হোক। কি আছে এই তদন্ত প্রতিবেদনে তা জানতে না পারায় সর্বমহলে এ নিয়ে ধুম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে।
অবশ্য তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) দীপঙ্কর কুমার রায় জানান, এলাকার ভৌগলিক পরিস্থিতি এবং নদী কেন্দ্রীক জীবন জীবিকাকে উল্লেখ করে ১১৮ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। তদন্তে সংশ্লিষ্ট সকলের সম্পৃক্ততা উল্লেখ করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম তদন্ত প্রতিবেদন প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, প্রতিবেদনটি মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের কাছে পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে পুলিশ প্রশাসন ও ফায়ার সার্ভিসেরও তদন্ত টিম করা হয়েছে। তিনটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা হওয়ার পর মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ যে নির্দেশনা দেবে সে অনুযায়ী পরবর্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মাঝি (নৌকা চালক) জানান, নৌকাটি ছোট ছিল এবং পুরনো ছিল। ওই নৌকায় সবোর্চ্চ ৫০ জনের বেশি যাত্রী তোলা উচিত হয়নি। অতিরিক্ত যাত্রী উত্তোলন করায় চোখের সামনে নৌকাডুবে যাত্রীরা মারা গেছেন।
আরও পড়ুন: করতোয়ায় নৌকাডুবি: দু’দিনে অর্ধশত লাশ উদ্ধার
বধেশ্বরী মন্দির কমিটির সভাপতি নীতিশ কুমার বকশী ওরফে মুকুল বকশী জানান, অনুষ্ঠানের আগে ইজারাদারসহ সংশ্লিষ্ট কমিটির সকলকে ৬টি নৌকা ঘাটে রাখার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু ইজারাদার তা করেননি। অনেকক্ষণ অপেক্ষার পরও বাকি নৌকাগুলো না আসায় একটিতেই উঠে পার হওয়ার চেষ্টা করেন পুণ্যার্থীরা। দায়িত্বপ্রাপ্ত অন্যান্য কর্মকর্তারা ঘাটে সজাগ থাকলে এমন দুর্ঘটনা এড়ানো যেত।
ঘাটে উপস্থিত পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও গ্রাম পুলিশের সদস্যদের আরও কঠোর হয়ে অতিরিক্ত যাত্রী উঠতে বাধা না দেয়ারও সমালোচনা করেন নিতিশ কুমার।
মাড়েয়া বামনহাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু আনছার মো. রেজাউল করিম (শামীম) জানান, নৌকাডুবির ব্যাপারে জেলা পরিষদ এবং ইজারাদার দায় এড়াতে পারেন না। ঘাটের কোনো উন্নয়ন হয়নি। এখানে আমাদের ইউনিয়ন পরিষদ বা আমার কোন সংশ্লিষ্টতা নেই।
সমাজকর্মী আব্দুল্লাহ আল জুবেরী জানান, মহালয়ার মত বড় অনুষ্ঠানের জন্য যেমন সমন্বয় দরকার হয়, আয়োজনকারি কর্তৃপক্ষ এবং প্রশাসনসহ সকল সংশ্লিষ্ট পক্ষের মধ্যে তেমন কোন সমন্বয় ছিলো না। একারণে কয়েক মিনিটের ব্যাবধানে শুধু মাত্র দায়িত্বশীল পদাধিকারীক ব্যক্তিদের উদাসীনতা অবহেলা ও অব্যবস্থাপনার কারণে পরিবারগুলো ভগ্নাংশে পরিণত হয়েছে।
তিনি আরও জানান, এদেশে মানুষ যখন কোথাও বিচার পায় না তখন সে আদালতে যায় এই আশায়, যে সেখানে সে বিচার পাবে। আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে কত বিষয়েই ব্যাখ্যা দাবী করেন। এই ৬৯ জন লাশ ৩ জন অতল জলে হারিয়ে যাওয়া মানুষ কি আদালতের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়ার মতো পর্যাপ্ত মনে হবে না?
সমাজকর্মী আব্দুল্লাহ আল জুবেরী জানান, মহালয়ার মত বড় অনুষ্ঠানের জন্য যেমন সমন্বয় দরকার হয়, আয়োজনকারী কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনসহ সকল সংশ্লিষ্ট পক্ষের মধ্যে তেমন কোন সমন্বয় ছিলো না। একারণে কয়েক মিনিটের ব্যবধানে শুধুমাত্র দায়িত্বশীল পদাধিকারীক ব্যক্তিদের উদাসীনতা অবহেলা ও অব্যবস্থাপনার কারণে পরিবারগুলো ভগ্নাংশে পরিণত হয়েছে।
আরও পড়ুন: করতোয়ায় ট্রলারডুবি: নিহত বেড়ে ২৫
তিনি আরও জানান, এদেশে মানুষ যখন কোথাও বিচার পায় না তখন সে আদালতে যায় এই আশায়, যে সেখানে সে বিচার পাবে। আদালত স্বপ্রনোদিত হয়ে কত বিষয়েই ব্যাখ্যা দাবী করেন। এই ৬৯ জন লাশ ৩ জন অতল জলে হারিয়ে যাওয়া মানুষ কি আদালতের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়ার মতো পর্যাপ্ত মনে হবে না?
জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ সানিউল কাদের জানান, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের হস্তান্তরিত ফেরীঘাটের ইজারা ও ব্যবস্থাপনা এবং উদ্ভুত আয় বন্টন সম্পর্কে নীতিমালা ২০০৩ অনুযায়ী জানা এসব ঘাট পরিচালনা করা হচ্ছে। নদী বন্দরগুলোর জন্য বন্দর পরিদর্শক বা ফিটনেস দেখভালের জনবল রয়েছে। কিন্তু বর্তমান যে আইন রয়েছে তাতে এখানে এমন কোন নীতিমালা নেই। এজন্য প্রয়োজন আইনী কাঠামো। এটা হলে ঘাটগুলো কিভাবে চলবে। নৌযানগুলো কেমন হবে, কোন যন্ত্রের সাহায্যে চলবে, সবোর্চ্চ যাত্রী কত হবে, জনবল কাঠামো কেমন হবে এমন নানা বিষয় নির্দেশনা থাকতো। থাকতো ঘাট পরিদর্শক বা ফিটনেস পরীক্ষক। তাহলে নৌকার ফিটনেস যাচাই করা সম্ভব হতো।
জেলা পরিষদের প্রশাসক আনোয়ার সাদাত সম্রাট জানান, বধেশ্বরী মন্দিরে মহালয়ার পূজা উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে একটি কমিটি করে দেয়া হয়। তারা অনেকেই সেখানে উপস্থিত ছিলেন। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যানও উপস্থিত ছিলেন। তারা মাঝিকে নির্দেশ দিলে এত যাত্রী উঠত না। এত মৃত্যুর ঘটনাও ঘটত না। ওই নৌদুর্ঘটনার কারণ উদঘাটনে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি করা হয়েছে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক দীপঙ্কর কুমার রায় এই কমিটির আহ্বায়ক।
তিনি জানান, তদন্তের পর দায় কার তা বোঝা যাবে।
এদিকে পঞ্চগড়ের নৌকাডুবির ঘটনায় দশম দিনেও সীমিত আকারে উদ্ধার অভিযান চলেছে। কিন্তু এখনো নিখোঁজ কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
বোদা উপজেলা ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন অফিসার শাহজাহান আলী জানান, অভিযানে এখন পর্যন্ত কোন অগ্রগতি নাই। মাটি এবং বালির নিচে লাশগুলো চাপা পড়ে যেতে পারে।
এ জন্য খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। প্রতিদিন সকাল এবং বিকালে উদ্ধার অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
২ বছর আগে
করতোয়ায় নৌকাডুবি: জেলায় অনাড়ম্বরভাবে দুর্গাপূজা উদযাপনের সিদ্ধান্ত
পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার আউলিয়ার ঘাট এলাকায় করতোয়া নদীতে নৌকাডুবির ঘটনায় নিহতদের প্রতি সম্মান জানিয়ে পঞ্চগড় জেলা হিন্দু বৌদ্ধ ক্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ও বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, পঞ্চগড় জেলা শাখা যৌথভাবে এবারের দুর্গোৎসব অনাড়ম্বরভাবে পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
শুক্রবার পঞ্চগড় জেলা হিন্দু বৌদ্ধ ক্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ও বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, পঞ্চগড় জেলা শাখার পক্ষ থেকে দেয়া পৃথক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, পঞ্চগড় জেলা শাখার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা জীবধন বর্মন ও সাধারণ সম্পাদক বিপেন চন্দ্র রায় জানান, পঞ্চগড় জেলা হিন্দু বৌদ্ধ ক্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ও বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, পঞ্চগড় জেলা শাখা যৌথভাবে সভা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: করতোয়ায় নৌকাডুবি: দু’দিনে অর্ধশত লাশ উদ্ধার
তিনি জানান, সভায় যেসব সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে সেগুলো হলো-পূজা চলাকালীন কালোব্যাজ ধারণ, সপ্তমী তিথিতে প্রত্যেক পূজা মণ্ডপে প্রয়াত ব্যক্তিদের আত্মার শান্তি ও মঙ্গল কামনায় বিশেষ প্রার্থনা, প্রত্যেক পূজামণ্ডপ থেকে আদায়কৃত অর্থ প্রয়াত ব্যক্তিদের বাড়িতে গিয়ে সমবেদনাসহ আর্থিক সহায়তা প্রদান।
এছাড়া সরকারের কাছে প্রয়াত ব্যক্তিদের নামে ঘটনাস্থলে স্মৃতিসৌধ নির্মাণের দাবি জানানো হয়েছে।
পঞ্চগড় জেলা হিন্দু বৌদ্ধ ক্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল রায় জানান, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, পঞ্চগড় জেলা শাখার সিদ্ধান্তের সঙ্গে আমরাও একমত হয়েছি। এ সিদ্ধান্তের কথা জেলার ২৯৬টি মণ্ডপ কমিটিকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে।
সভার শুরুতে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
আরও পড়ুন: করতোয়ায় নৌকাডুবি: নিহত বেড়ে ৬৯
করতোয়ায় নৌকাডুবি: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬৮
২ বছর আগে
করতোয়ায় নৌকাডুবি: ৬ষ্ঠ দিনের মত চলছে উদ্ধার অভিযান
পঞ্চগড়ে করতোয়া নদীতে নৌকাডুবির ঘটনায় নিখোঁজদের সন্ধানে ৬ষ্ঠ দিনের মতো উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস ও উদ্ধার কর্মীরা। শুক্রবার সকাল ৬টায় করতোয়া নদীর আউলিয়ার ঘাট এলাকা থেকে ৩টি দলে বিভক্ত হয়ে প্রায় ৭০ জন উদ্ধারকর্মী নদীর ভাটি অংশে সাঁড়াশি অভিযান চালাচ্ছে।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত দুটি সাইকেল পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন: করতোয়ায় ট্রলারডুবি: নিহত বেড়ে ২৫
নতুন করে আর কোন লাশ পাওয়া যায়নি বলে নিশ্চিত করেছেন পঞ্চগড় ফায়ার সার্ভিস এবং সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক শেখ মোহাম্মদ মাহাবুবুল আলম।
তিনি জানান, গতকাল ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৬৯ জনের লাশ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
মাড়েয়া বামনহাট ইউনিয়ন পরিষদে জেলা প্রশাসনের স্থাপিত জরুরি তথ্য ও সহায়তা কেন্দ্রের হিসেব অনুযায়ী এখন পর্যন্ত তিনজন নিঁখোজ রয়েছেন।
অন্যদিকে, দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে ৫ সদস্যের তদন্ত দল তিন কার্যদিবসের মধ্যে পঞ্চগড় জেলা প্রশাসকের কাছে রির্পোট দাখিল করবেন। শুক্রবার ও শনিবার সরকারি ছুটি থাকায় আগামী রবিবার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবেন বলে জানিয়েছেন তদন্ত টিমের প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দীপঙ্কর কুমার রায়।
আরও পড়ুন: করতোয়ায় নৌকাডুবি: দু’দিনে অর্ধশত লাশ উদ্ধার
করতোয়ায় ট্রলারডুবি: নিহত বেড়ে ৩৬
২ বছর আগে
করতোয়ায় নৌকাডুবি: দু’দিনে অর্ধশত লাশ উদ্ধার
পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় করতোয়া নদীতে নৌকাডুবির ঘটনায় দ্বিতীয় দিনের মত উদ্ধার অভিযান স্থগিত করা হয়েছে। সোমবার ২৫ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে দুদিনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫০ জনে পৌঁছেছে।
পঞ্চগড়ের করতোয়া নদী ও দিনাজপুর জেলার আত্রাই নদীর বিভিন্ন স্থান থেকে সোমবার সারা দিনে ২৫টি লাশ উদ্ধার করা হয়।
অন্যদিকে নিখোঁজের সংখ্যা ৪০ জনে নেমে এসেছে।
সোমবার রাতে জেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে স্থাপিত জরুরি তথ্য ও সহায়তা কেন্দ্রে (কন্ট্রোল রুম) অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দিপংকর রায় জানান, দ্বিতীয় দিনের মতো উদ্ধার অভিযান স্থগিত করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) থেকে আবারও উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা হবে।
এসময় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষ, বোদা ও দেবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণমাধ্যম কর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
দ্বিতীয় দিনে উদ্ধারকৃত লাশের মধ্যে ২৫ জন নারী, ১৩ জন শিশু ও ১২ জন পুরুষ রয়েছে।
এদের মধ্যে ৭ জনের লাশ দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: করতোয়ায় ট্রলারডুবি: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৬, এখনও নিখোঁজ ৪০
কন্ট্রোল রুম, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, রাজশাহী, রংপুর ও কুড়িগ্রাম থেকে আসা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল মঙ্গলবার সকাল ৬টায় দ্বিতীয় দিনের উদ্ধার অভিযান শুরু করে। নিখোঁজ স্বজনদের খুঁজে বের করতে ভোর থেকেই করতোয়ার দু’পাড়ে মানুষ আসতে শুরু করে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গোটা এলাকায় মানুষের ঢল নামে। তবে বিভিন্ন এলাকা থেকে দেখতে আসা মানুষের ভিড়ও ছিল লক্ষণীয়। ডুবুরি দলের উদ্ধার অভিযানে আধুনিক যন্ত্রপাতির স্বল্পতায় স্থানীয় মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকে। একপর্যায়ে নিখোঁজদের উদ্ধারে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ নদীতে নেমে পড়েন। তারা নদীতে মানববর্ম (মানববন্ধনের মত করে) নদীতে নেমে লাশ খুঁজতে থাকে। অনেকে লাঠি নিয়ে ছোট ছোট নৌকায় নদীর এপার থেকে ওপার খোঁজাখুজি শুরু করে। দুপুরের পর থেকে একে একে বিভিন্ন এলাকায় লাশ ভেসে উঠতে থাকে।
একেকটা লাশ উদ্ধারের সঙ্গে সঙ্গে শত শত মানুষ পরিচয় খুঁজতে সেখানে ভিড় করে। ইউনিয়ন পরিষদসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে খুঁজতে থাকে স্বজন হারানো মানুষেরা। মাড়েয়া বামনহাট ইউনিয়ন পরিষদের সামনে ছবিসহ নিখোঁজদের ছবি টানিয়ে দেয়ার স্থানে শত শত মানুষ স্বজনদের দেখতে ভিড় জমান।
দুর্ঘটনার পর পরই পঞ্চগড় জেলা প্রশাসন ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দীপঙ্কর রায়কে কমিটির প্রধান করা হয়। কমিটিকে ৩ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী নেয়া, ঘাট ইজারাদারের অবহেলা, মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দের অবহেলার কারণেই মূলত এই নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটেছে। শৃঙ্খলা ও সাবধানতা অবলম্বন করা হলে এ দুর্ঘটনা থেকে রেহাই পাওয়া যেত।
আরও পড়ুন: করতোয়ায় ট্রলারডুবি: নিহত বেড়ে ৩৬
পঞ্চগড় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক শেখ মোহাম্মদ মাহাবুবুল ইসলাম জানান, আমরা উদ্ধার অভিযান নিবিড়ভাবে পরিচালনা করছি। গত দু'দিনে স্থানীয়দের সহায়তায় ৫০টি লাশ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি।। নিখোঁজদের উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মাড়েয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু আনছার মো. রেজাউল করিম শামীম জানান, অধিকাংশ মানুষের মৃতদেহ সৎকার করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার করে টাকা দেয়া হয়েছে।
তদন্ত কমিটির প্রধান দীপঙ্কর রায় জানান, আমরা তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছি। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই তদন্ত প্রতিবেদন জেলা প্রশাসকের কাছে দাখিল করতে পারবো। ইজারাদারের অবহেলার অভিযোগ উঠেছে। তবে আমরা তাকে খুঁজে পাচ্ছি না।
জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম জানান, নৌকাডুবির ঘটনায় মৃত, আহতসহ সকল ব্যক্তিকেই আমরা বিভিন্নভাবে সেবা ও সহযোগিতা দিয়ে আসছি। তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: করতোয়ায় ট্রলারডুবি: নিহত বেড়ে ২৫
২ বছর আগে
করতোয়ায় ট্রলারডুবি: নিহত বেড়ে ৩৬
পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার মাড়েয়া ইউনিয়নের আউলিয়ার ঘাট এলাকায় করতোয়া নদীতে ট্রলারডুবির ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৬ জনে পৌঁছেছে।
মৃতদের একজন কবিতা রানী (৫০)। বাকিদের পরিচয় এখনও নিশ্চিত করা যায়নি।
পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার এসএম সিরাজুল হুদা জানান, নিহতদের মধ্যে ১৬ জন নারী ও সাত শিশু রয়েছে।
পঞ্চাগড় ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক শেখ মোহাম্মদ মহাবুবুল ইসলাম জানিয়েছেন, ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিটের কর্মীরা নদীর বিভিন্ন জায়গা থেকে লাশগুলো উদ্ধার করে।
জানা যায়, রবিবার দুপুর আড়াইটার দিকে জেলার বোদা উপজেলার বড়শশী ইউনিয়নের বধেশ্বর মন্দিরে (নদীর অপরপাড়ে) মহালয়া উপলক্ষে এক বিশাল ধর্মসভার আয়োজন করা হয়। এই ধর্মসভায় যোগ দিতে জেলার বোদা ও দেবীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নসহ বিভিন্ন এলাকার লোকজন শ্যালো মেশিন চালিত নৌকা করে যাচ্ছিল। অতিরিক্ত যাত্রীর কারণে মাঝনদীতে গিয়ে ট্রলারটি উল্টে গিয়ে ডুবে যায়। সাঁতার জানা যাত্রীরা তীরে উঠে আসতে পারলেও সাঁতার না জানা নারী ও শিশুরা পানিতে ডুবে যায়। তাদের চিৎকারে এলাকার লোকজন ছুটে এসে অনেককে উদ্ধার করে। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়া হয়।
গতকাল নদী থেকে ২৫ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছিল।
নিখোঁজদের সন্ধানে এখনও উদ্ধার অভিযান চলছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পড়ুন: করতোয়ায় ট্রলারডুবি: নিহত বেড়ে ২৫
পঞ্চগড়ে করতোয়া নদীতে নৌকাডুবে ১৫ জন নিহত, নিখোঁজ ২৫
২ বছর আগে