চাকরি মেলা
শাবিপ্রবিতে ক্যারিয়ার ক্লাবের উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী চাকরি মেলা
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ক্যারিয়ার ভিত্তিক সংগঠন ‘সাস্ট ক্যারিয়ার ক্লাব’র উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী চাকরি মেলা শুরু হয়েছে।
বুধবার (১লা মার্চ) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস্কেটবল গ্রাউন্ডে এই চাকরি মেলার উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যিলয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম।
'সাস্ট ক্যারিয়ার ক্লাব’ চতুর্থ বারের মতো সাস্টসিসি জব ফেস্ট-২৩ এর আয়োজন করেছে।
এ চাকরি মেলায় দেশের স্বনামধন্য ২৮টি প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন সেক্টরে প্রায় তিনশ’ পদে জনবল নিয়োগ দিবে।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবির ৩২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের চাহিদা অনুযায়ী চাকরি প্রত্যাশীদের বায়োডাটা সংগ্রহ করবে। আজ ও আগামীকাল (২ মার্চ) দুই দিনব্যাপী এ চাকুরী মেলা অনুষ্ঠিত হবে।
মেলার প্রথমদিন চাকরি প্রত্যাশীদের বায়োডাটা সংগ্রহ এবং দ্বিতীয়দিন বাছাইকৃত প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষা নেয়া হবে। এতে শাবিপ্রবির গ্রাজুয়েটদের পাশাপাশি সিলেটের সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করা শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ নিতে পারবেন। এবাবের চাকরি মেলায় বেশ কয়েকটি কনসাল্টেন্সি ফার্মও অংশ নিচ্ছে। যেখানে স্নাতকে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা ঘরে বসে চাকরির সুযোগ পাচ্ছেন।
এবারের চাকরি মেলায় পাঠাও,আইপিডিসি ফাইন্যান্স, অর্থল্যাব, প্রাণ, আরএফএল গ্রুপ, ডরিক, লিঙ্ক-৩, আরলা ফুড, এপেক্স, এডিসন রিয়েল এস্টেট, ক্রাউন সিমেন্ট, ইয়ো টেক, নাভানা গ্রম্নপ, মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ড্রাস্টিজ, সিলেট ইম্পিরাল হাসপাতালসহ বিভিন্ন ন্যাশনাল ও মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি অংশ নিচ্ছে।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবিতে গবেষণাবিষয়ক ১০ম বার্ষিক সম্মেলন শুরু
১ বছর আগে
প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য চাকরি মেলা উদ্বোধন আইসিটি প্রতিমন্ত্রীর
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের উদ্যোগে এবং সেন্টার ফর সার্ভিসেস অ্যান্ড ইনফরমেশন অন ডিজঅ্যাবিলিটির সহযোগিতায় দিনব্যাপী আয়োজিত প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য চাকরি মেলা-২০২৩ উদ্বোধন করেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
শনিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এনজিওবিষয়ক ব্যুরোর অফিস ভবনে অনুষ্ঠিত এই মেলায় সকাল থেকেই অংশ নেয় ৫৪টি আইসিটি ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান।
প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মর্যাদাপূর্ণ জীবিকা ও কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে বিগত ৮ বছর থেকে এ চাকরি মেলর আয়োজন করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল।
প্রধান অতিথি বক্তৃতায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ বলেছেন যে সক্ষম, শারীরিক প্রতিবন্ধকতা ও বিশেষভাবে সক্ষমদের মধ্যে বৈষম্য দূর করতে প্রযুক্তিকে কাজে লাগাতে হবে।
তিনি প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার করে শিক্ষিত প্রতিবন্ধী ভাই-বোনদের চাকরির সুব্যবস্থা করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের চাকরি মেলা’- চাকরি দাতা ও চাকরিপ্রত্যাশীদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, শারীরিক বা মানসিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা যেন অন্যের ওপর নির্ভরশীল না হয়ে প্রযুক্তির ব্যবহার করে আত্মনিশীল হতে পারে সেই লক্ষ্যে আমাদের কাজ করতে হবে।
আরও পড়ুন: ভবিষ্যত বিনোদন হবে ইন্টারনেট প্রযুক্তি নির্ভর: আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলক
তিনি আইসিটি বিভাগের এটুআই প্রকল্পে একজন উদ্ভাবক টকিং হোয়াইট স্টিক আবিষ্কার করেছেন উল্লেখ করে বলেন, এই সাদা ছড়ি দিয়ে একজন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, কোন ব্যক্তি বা বস্তুকে স্পর্শ বা ধাক্কা খাওয়ার আগেই টকিং হোয়াইট স্টিক কথা বলে সতর্ক করে দেয়।
তিনি এ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে এসেসটিব টেকনোলজি উদ্ভাবনের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের আইসিটি বিভাগ থেকে হুইল চেয়ার দেয়া হচ্ছে উল্লেখ করে বলেন, শারীরিক প্রতিবন্ধীদের স্বাচ্ছন্দে চলতে দেশে স্বল্প খরচে উচ্চ প্রযুক্তি সম্বলিত হুইলচেয়ার তৈরির পদক্ষেপ নিতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, রাষ্ট্রকে বৈষম্যমুক্ত ও মানবিক করতে হলে সকল সুযোগ সুবিধা সকলের জন্য সমন্বিতভাবে ভাবে কাজে লাগাতে হবে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় কোন প্রতিবন্ধী ভাই বোন যেন কোন নাগরিক সুবিধা হতে বিন্দুমাত্র বঞ্চিত না হয় সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করব।
পলক বলেন, আইসিটি বিভাগের স্টাটআপ প্রকল্প, স্টাটআপ বাংলাদেশ লিমিটেড এর মাধ্যমে প্রতিবন্ধী ভাই-বোনদের পুঁজি দেয়ার সুযোগ রয়েছে। তিনি আগামী বছর থেকে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের চাকরি মেলার পাশাপাশি উদ্যোক্তা সম্মেলন করার ঘোষণা দেন।
প্রশিক্ষিত প্রতিবন্ধী বা বিশেষভাবে সক্ষম ভাই-বোনদের মধ্যে যারা উদ্যোক্তা হতে চান তাদের তরুণ উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেদের তৈরি করতে ৫০ হাজার টাকা থেকে ১০ লক্ষ টাকা সিডমানি হিসেবে পুঁজি প্রদানের সুযোগ রয়েছে বলে তিনি জানান।
তিনি বলেন, এর মাধ্যমে প্রতিবন্ধী ভাইবোনেরা জব সিকার না হয়ে জব ক্রিয়েটর হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে পারবেন। পরে তিনি মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুন: ফুটবল বিশ্বকাপ উপলক্ষে ভাসানচর ও এতিমখানায় 'ফান জোন' স্থাপন
মেলায় সারাদেশ থেকে প্রায় ৪৫০ জন চাকরি প্রার্থী প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা অংশগ্রহণ করে।
বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক রণজিৎ কুমারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, এনজিও বিষয়ক ব্যুরো এর মহাপরিচালক সচিব শেখ মো. মনিরুজ্জামান এবং সিএসআইডি এর নির্বাহী পরিচালক খন্দকার জহুরুল আলম, আইসিটি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ নাভিদ শফিউল্লাহ,প্রতিবন্ধীদের চাকরি দাতা প্রতিষ্ঠানে সমূহের পক্ষে বক্ত্যব রাখেন বাংলাদেশ ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল করিম ভূঁইয়া, মাই আউটসোর্সিং লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তানজিবুল বাশার।
উল্লেখ্য, এর আগে সারাদেশ থেকে প্রায় ৫ শতাধিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তি সিভি জমা দেন অনলাইনে।
এছাড়া, মেলায় সরাসরি উপস্থিত হয়েও বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তি বা প্রতিবন্ধী ব্যক্তি চাকরিপ্রার্থীরা সিভি বা জীবনবৃত্তান্ত জমা দেয়ার সুযোগ পান। যাদের তথ্য প্রযুক্তির দক্ষতা রয়েছে তাদের নিয়োগের লক্ষ্যে ইন্টারভিউ গ্রহণ করে মেলায় অংশগ্রহণ নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো।
ডাটা এন্ট্রি, গ্রাফিক্স ডিজাইন, অ্যানিমেশন, ওয়েব ডিজাইন, ডিজিটাল মার্কেটিং, কল সেন্টার এজেন্ট, প্রোগ্রামিং-সহ নানা প্রকার পদের জন্য প্রতিবন্ধী ব্যক্তি চাকরিপ্রার্থীদের সংক্ষিপ্ত তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করে নিয়োগের পরবর্তী প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।
বিভিন্ন ট্রেডবডি বা অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যভুক্ত আইসিটিভিত্তিক প্রতিষ্ঠানসমূহ ওই মেলায় অংশগ্রহণ করে।
মেলায় অংশগ্রহণকারী চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে- বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস), ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব), বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কন্টাক্ট সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্কো), ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি), বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস), সাইবার ক্যাফে ওনার্স এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশসহ আইসিটি শিল্পের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং এনজিও ব্যুরোর তালিকাভুক্ত প্রতিবন্ধিতা কাজের সাথে সংশ্লিষ্ট এনজিও প্রতিষ্ঠান সমূহ।
আশা করা হচ্ছে এ মেলা থেকে ৪০-৫০ জন প্রতিবন্ধী ব্যক্তির কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে এবং এ মেলা থেকে ১৫০-২০০ জন চাকরিপ্রার্থীকে পরবর্তীতে নিয়োগের লক্ষ্যে সাক্ষাতকারের জন্য সংক্ষিপ্ত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
আরও পড়ুন: গ্লোবাল ইন্ডাস্ট্রিতে সেবা দিতে প্রস্তুত বাংলাদেশ: পলক
১ বছর আগে
খুলনায় বিডিজবস চাকরি মেলায় ১ হাজার জনের চাকরির সুযোগ
খুলনা জেলা স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেশিয়াম হলে বৃহস্পতিবার ২৭ অক্টোবর চাকরি মেলা আয়োজন করেছে শীর্ষ চাকরির ওয়েবসাইট বিডিজবস ডটকম। ঢাকা ও খুলনার ৪০ টি শীর্ষ কোম্পানী এক হাজারের এর অধিক জনবল নিয়োগের উদ্দেশ্যে মেলায় অংশগ্রহণ করবে।
মঙ্গলবার রাজধানীর কাওরান বাজারে বিডিজবস মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান বিডিজবস ডটকমের মার্কেটিং ডিরেক্টর প্রকাশ রায় চৌধুরী।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- মোসাদ্দিক বিন কামাল, মাজহারুল ইসলাম মঞ্জু, হেলাল উদ্দীন ও মেলার সমন্বয়ক মোহাম্মদ আলী ফিরোজ।
প্রকাশ রায় চৌধুরী বলেন, আমাদের চাকরির বাজারের বাস্তবতা হচ্ছে, দেশে হাজার হাজার চাকরি প্রত্যাশী বেকার থাকে সত্বেও কোম্পানিগুলো প্রয়োজনীয় লোকবল নিয়োগ করতে পারছে না। এই সমস্যা সমাধানে বিডিজবস ডটকম গত ১৫ বছর ধরে চাকরি প্রত্যাশী এবং নিয়োগদাতাদের এক ছাদের নিচে আনার চেষ্টা করে যাচ্ছে এই চাকরি মেলা আয়োজনের মধ্য দিয়ে। অনেকেরই হয়তো চাকরি হবে না, কিন্তু তারা কোম্পানীর চাহিদা, নিয়োগ প্রক্রিয়া সহ চাকরির জন্য নিজেকে তৈরী করার বিষয়ে অনেক কিছু জানতে পারবে।
চৌধুরী আরও বলেন, এখন পর্যন্ত ১৮ হাজার চাকরি প্রার্থী অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করেছে। আমরা আশা করছি ২২ থেকে ২৫ হাজার চাকরি প্রার্থী এই মেলায় অংশগ্রহণ করবে।২৭ অক্টোবর সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত চাকরি প্রার্থীরা অংশগ্রহণকারী কোম্পানির স্টলে আবেদন পত্র জমা দিতে পারবেন। একজন প্রার্থী একাধিক কোম্পানিতে একাধিক পদে আবেদন করতে পারবেন। মেলায় অংশ নিতে চাকরি প্রার্থীদের অনলাইনে www.bdjobs.com/jobfair ঠিকানায় লগইন করে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
উল্লেখ্য, বিডিজবস ডট কম চাকরি প্রার্থীদের সঙ্গে নিয়োগদাতাদের সংযোগ তৈরি করতে ঢাকা, খুলনা ও চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন বড় বড় শহরে চাকরি মেলার আয়োজন করে থাকে।
দেশের শীর্ষ কোম্পানিগুলোতে হাজার হাজার চাকরির সুযোগ তৈরি হয় এ মেলার মাধ্যমে। এই চাকরি মেলায় সার্বিক সহযোগিতা করছে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য বিশেষ প্রোগ্রাম এটুআই ও ব্র্যাক স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম।
২ বছর আগে
৫ হাজারের বেশি মানুষের চাকরি হচ্ছে বিডিজবস চাকরি মেলায়
পাঁচ হাজারের বেশি কারিগরী শিক্ষার্থী ও পেশাজীবীর চাকরি হচ্ছে বিডিজবস কারিগরি চাকরি মেলায়। মঙ্গলবার ঢাকার মিরপুর পিএসসি কনভেনশন হলে অনুষ্ঠিত হয়েছে দেশের সবচেয়ে বড় চাকরি মেলা ‘বিডিজবস কারিগরি চাকরি মেলা’। দেশের শীর্ষস্থানীয় ৬১ টি কোম্পানিতে ৪১০ টি পদে ৫ হাজারের বেশি লোকবল নিয়োগের উদ্দেশ্যে চাকরি মেলার আয়োজন করে বিডিজবস ডটকম।
এদিন সকাল ১০ টায় মেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কতৃপক্ষ এর সদস্য (সমন্বয় ও অ্যাসেসমেন্ট) ড. মো. জিয়াউদ্দীন। বিডিজবসের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এ. কে. এম. ফাহিম মাশরুর অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন।
ফাহিম মাশরুর বলেন, বর্তমান চাকরি বাজারে সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষার্থীদের থেকে কারিগরি শিক্ষার্থীদের চাহিদা অনেক বেশি। কারিগরি শিক্ষার্থীদের অনেকেরই পাশ করার আগেই চাকরি হয়ে যায়, বেতনও ভাল। অন্যদিকে বিবিএ, এমবিএ করেও অনেকে বছরের পর বছর চাকরি পাচ্ছে না। কিন্তু এর পরেও অনেকে সচেতনতার অভাবে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত হচ্ছে না। চাকরি মেলার অন্যতম উদ্দেশ্য হচ্ছে কারিগরি চাকরির সুযোগ সম্পর্কে সামাজিক সচেতনতা তৈরি করা।
ড. মো. জিয়াউদ্দীন বলেন, আমাদের দেশে মোট শ্রমশক্তি রয়েছে ৮২ মিলিয়ন, পাশাপাশি ২ দশমিক ২ শতাংশ হারে বছরে প্রায় ২২ লাখ লোক শ্রমশক্তি বাজারে নতুন হিসেবে প্রবেশ করছে। এই বিশাল জনগোষ্ঠির জন্য কর্মসংস্থান বা আত্মকর্মসংস্থান তৈরি করতে হবে। সরকার দেশের ২৩ টি মন্ত্রণালয়ের ৩৫ টি দফতরের অধীনে প্রায় ৭ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি পর্যায়ের প্রায় ৬ হাজার প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে শ্রমশক্তির দক্ষতা উন্নয়নে কাজ করছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বিডিজবস চাকরি মেলায় ৩ হাজার নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ
তিনি আরও বলেন, বছরে প্রায় ১৭ লাখ যুবক/যুবতী বিভিন্ন পেশায় প্রশিক্ষণ পাচ্ছে। কিন্তু সাপ্লাই সাইড (প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান) ও ডিমান্ড সাইড (শিল্প প্রতিষ্ঠান) এর মাঝে ম্যাচ মেকিংয়ের অভাবে এর সুফল পুরোপুরিভাবে পাওয়া যাচ্ছিল না। বিডি জবসের এই আয়োজনের কারণে সেই গ্যাপ অনেকটা দূর হয়েছে। চাকরি মেলা আয়োজনের জন্য বিডিজবস, এটুআই ও ব্রাক আইএসডিকে ধন্যবাদ।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান মো: আলী আকবর খান, এটুআইয়ের স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড ইনোভেশন স্পেশালিস্ট আসাদ-উজ-জামান। অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিডিজবসের মার্কেটিং ডিরেক্টর প্রকাশ রায় চৌধুরী।
বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আলী আকবর খান বলেন, দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে টেকনিক্যাল শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। কারিগরি এডুকেশনের কোন শিক্ষার্থী বেকার থাকে না। তবে এর জন্য প্রয়োজন নিয়মিত প্রাকটিস। কারণ পড়াশোনা শেখার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অনুশীলনের মাধ্যমে সফলতা পায় একজন শিক্ষার্থী। বিডিজবসকে বৃহত পরিসরে কারিগরি চাকরি মেলা আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ জানাই।
উল্লেখ্য, মেলায় বিভিন্ন সেমিনারের আয়োজন করে বিডিজবস। কারিগরি কর্মীরা যেন খুব সহজে কোম্পানিগুলোর কাছে নিজেদের উপস্থাপন করতে পারে, কোম্পানির চাহিদা অনুযায়ী নিজেদেরকে প্রস্তুত করতে পারে সেজন্য সেমিনার করে প্রতিষ্ঠানটি। কারিগরি চাকরি মেলার আয়োজনে সহযোগিতা করেছে এটুআই এবং ব্র্যাক স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইন্সটিটিউট।
আরও পড়ুন: নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি: বাংলাদেশ চা বোর্ডে চাকরি
দূতাবাসে নিয়োগ: ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসে চাকরি, বেতন ৯০,০০০
২ বছর আগে