আর সম্ভব নয়
আর সম্ভব নয়, রোহিঙ্গাদের ফিরে যেতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশে অস্থায়ীভাবে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মিয়ানমার থেকে আর কোনো মানুষকে নেয়ার মতো অবস্থায় নেই দেশ।
মঙ্গলবার ভয়েস অব আমেরিকার (ভোয়া) বাংলা বিভাগকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি একথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ দেশে ফিরে যেতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোভিড-১৯ মহামারি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং পরবর্তী নিষেধাজ্ঞার মধ্যে বাড়তি বোঝা হিসেবে বর্ণনা দিয়ে বলেন, ‘আমাদের পক্ষে আর কোনো লোক নেয়া সম্ভব নয়’।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের গণমাধ্যম স্বাধীনভাবে সরকারের সমালোচনা করতে পারে: ওয়াশিংটনে প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশ বর্তমানে কক্সবাজার ও ভাসানচরে ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে এবং গত পাঁচ বছরে একজনকেও মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন করা হয়নি।
প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গাদের নিয়ে নানা রকম সমস্যা তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের দীর্ঘস্থায়ী অবস্থান কক্সবাজার এলাকার বন উজাড় করেছে, স্থানীয়দের দুর্ভোগের কারণ হয়েছে এবং ক্যাম্পের অভ্যন্তরে সংঘাতে জড়িয়ে পড়া ছাড়াও অনেক রোহিঙ্গা মাদক পাচার, অস্ত্র চোরাচালান, মানব পাচারে জড়িয়ে পড়েছে।
নিরাপদ প্রত্যাবর্তনের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে বাংলাদেশের বারবার আহ্বানের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তাদের (রোহিঙ্গাদের) নিজ দেশে ফিরে যেতে হবে। ‘প্রত্যেকের (পরিস্থিতি) বুঝতে হবে।’
সাক্ষাতকারে প্রধানমন্ত্রী ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর নৃশংস দমন-পীড়নের মধ্যে বাংলাদেশের মানুষ কীভাবে ভারতে আশ্রয় নিয়েছিল তা তুলে ধরেন।
মিয়ানমারে তাদের বিরুদ্ধে বর্বরতার মধ্যে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে অস্থায়ী আশ্রয় দেয়ার আগে তার বোন শেখ রেহানার সঙ্গে তার কথোপকথন শেয়ার করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা নিজেদের চোখে (১৯৭১ সালের) দুর্ভোগ দেখেছি।’
বাংলাদেশ সম্প্রতি মিয়ানমারে সহিংসতা বন্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সমর্থন এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ চেয়েছে, যাতে এটি এই অঞ্চলে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে না পারে এবং একইভাবে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন এড়াতে না পারে।
এছাড়া মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশের ভূখণ্ডের অভ্যন্তরে মর্টার শেল পড়া ও বিস্ফোরণের সাম্প্রতিক ঘটনা, নির্বিচারে বিমান থেকে গুলি, মানুষের প্রাণহানি এবং গুরুতর আহত, সীমান্তবর্তী এলাকার জনগণের সম্পত্তি ও জীবিকার ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে আসিয়ান দূতদের কাছে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী বাংলার মানুষের অধিকার আদায়ে আপোষ করেননি: নৌপ্রতিমন্ত্রী
সৌদি আরবের প্রধানমন্ত্রী হলেন ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান
২ বছর আগে