প্রথমবার
প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হলো আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কনভেনশন
রাজধানী ঢাকায় প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হলো ঢাকা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কনভেনশন।
শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ‘অ্যামেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি নিবেদিত প্রথম ঢাকা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কনভেনশন-২০২৪' সুপ্রিমকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন- বাংলাদেশ ল’ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি আলী আসগর খান। এসময় তারা ২০২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।
আরও পড়ুন: খুলনায় বজ্রপাতে গৃহবধূর মৃত্যু
জাতীয় মানবাধিকার সোসাইটির চেয়ারম্যান, আমেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির প্রশাসক ও বোর্ড অব গভর্নেন্সের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মু. নজরুল ইসলাম তামিজীর সভাপতিত্বে এবিইউ’র ট্রেজারার ও সিনিয়র সাংবাদিক মোহাম্মদ আবদুল অদুদের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন- সংগঠনের মহাসচিব ব্যারিস্টার আফতাব উদ্দিন আহমেদ।
কনভেনশনে ২০১৮ সালে কোটা সংস্কারের রিট করে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ঐতিহাসিক ভূমিকা ও ডাকসু নির্বাচন নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রাখায় জাতীয় মানবাধিকার সোসাইটির যুগ্ম মহাসচিব মোহাম্মদ আবদুল অদুদ, রিটের বাদী বিএসএস’র বিশেষ প্রতিনিধি আইনজীবী দিদারুল আলম, আনিসুর রহমান মীর ও তাদের আইনজীবী একলাছ উদ্দিন ভুইয়াকে বিশেষ সম্মাননা দেওয়া হয়েছে।
অনুষ্ঠানে সাবেক সচিব সৈয়দ মার্গুব মোর্শেদ, এটিএন বাংলার চেয়ারম্যান ড. মাহফুজুর রহমান, লায়ন ড. হারুনুর রশীদ, অধ্যাপক ড. হাফিজ উদ্দিন ভুইয়া, অভিনেতা ডিএ তায়েব, ড. সৈয়দ আবদুল, লাহ আল মামুন চৌধুরী, ক্রীড়া বিশেষজ্ঞ মীর বারেকে ফেলোশিপ অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়।
এছাড়া ড. হামিদা খানম, প্লানচেট লেখক কাপ্তান নূর, মুদ্রন ব্যবসায়ী মো. নুরুল ইসলামকে লাইফটাইম এচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়। এসময় নাচ, গান, অভিনয় করে কনভেনশনকে উৎসবমুখর করে তোলেন পালকী শিল্পীগোষ্ঠী, আলফ্রেড ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, আল-হেরা ইন্টারন্যাশনাল স্কুলসহ বিভিন্ন শিল্পীগোষ্ঠীর শিল্পীরা
আরও পড়ুন: হিলি বন্দর দিয়ে ডিম আমদানি করতে না পারার অভিযোগ ব্যবসায়ীদের
২ সপ্তাহ আগে
দেশে প্রথমবার শিং মাছের জীবনরহস্য উন্মোচন
দেশে প্রথমবারের মতো দেশীয় শিং মাছের জীবন রহস্য বা জিনোম সিকোয়েন্স উন্মোচন এবং স্ত্রী-পুরুষ শিং মাছের লিঙ্গ নির্ধারণকারী সম্ভাব্য জিন শনাক্তকরণে সফলতা পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) মৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ফিশারিজ বায়োলজি ও জেনেটিক্স বিভাগের অধ্যাপক ড. তাসলিমা খানম ও তার গবেষক দল।
লিঙ্গ নির্ধারণকারী জিন শনাক্তকরণের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ শিং মাছ উৎপাদন সম্ভব হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন গবেষক তাসলিমা খানম।
গবেষক তাসলিমা খানম বলেন, জাপান সোসাইটি ফর দি প্রমোশন অব সায়েন্সের অর্থায়নে ২০২২-২০২৪ সালে জাপানের টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ে সিকোয়েন্সিং কাজটি সম্পন্ন করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় তৈরিকৃত ড্রাফট জিনোম ব্যবহার করে সম্ভাব্য লিঙ্গ নির্ধারণকারী জিন সনাক্তকরণ সম্ভব হয়েছে যা যেকোনো দেশীয় মাছের ক্ষেত্রে প্রথম।
এই গবেষণার উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কিছু কিছু মাছের ক্ষেত্রে লিঙ্গভেদে স্ত্রী ও পুরুষ মাছের দৈহিক বৃদ্ধির পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। শিং মাছ এর অন্যতম উদাহরণ। যেখানে স্ত্রী শিং মাছের বৃদ্ধি পুরুষ মাছ অপেক্ষা ৪০ থেকে ৬০ শতাংশ বেশি হয়ে থাকে। এই মাছের বাণিজ্যিক উৎপাদন বাড়ানোর জন্য তেলাপিয়ার ন্যায় মনোসেক্স শিং মাছ উৎপাদনকে অন্যতম উপায় হিসেবে মনে করা হয়। সফলভাবে মনোসেক্স শিং মাছ উৎপাদনের জন্য লিঙ্গ নির্ধারণকারী জিন সনাক্তকরণ অত্যন্ত জরুরি।
আরও পড়ুন: এসএসসিতে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের অভূতপূর্ব সাফল্য, কারিগরির চিত্র উল্টো
এ পর্যায়ে বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা ও খাদ্য নিরাপত্তা সুরক্ষায় মনোসেক্স তেলাপিয়ার গুরুত্ব উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিশ্বে মাছ উৎপাদনে দ্বিতীয় শীর্ষ প্রজাতি হল তেলাপিয়া যার সিংহভাগ আসে মনোসেক্স তেলাপিয়া থেকে। শিং মাছের লিঙ্গ নির্ধারণকারী জিন শনাক্তকরণের ফলাফল ব্যবহার করে মনোসেক্স শিং মাছও উৎপাদন করা সম্ভব। যা শিং মাছের বাণিজ্যিক চাষে বিপ্লব ঘটাবে বলে মনে করি।
মনোসেক্স শিং মাছ উৎপাদন সম্পর্কে এই গবেষক আরও বলেন, লিঙ্গ নির্ধারণকারী জিন শনাক্তের ফলে প্রচলিত পদ্ধতির পরিবর্তে মার্কার অ্যাসিসটেড সিলেকশনের মাধ্যমে স্বল্প সময়ে মনোসেক্স শিং মাছ উৎপাদন করা সম্ভব হবে। পাশাপাশি শিং মাছ প্রজননক্ষম হওয়ার অনেক আগেই স্ত্রী ও পুরুষ মাছ শনাক্তকরণ সম্ভবপর হবে যা প্রচলিত সিলেকটিভ ব্রিডিং প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করবে। শিং মাছের জিনোম থেকে শুধুমাত্র লিঙ্গ নির্ধারণকারী জিনই নয়, অন্যান্য বৈশিষ্ট্য যেমন দৈহিক বৃদ্ধি, রোগ প্রতিরোধ ও প্রতিকূল পরিবেশে টিকে থাকার জন্য দায়ী জিন সনাক্তকরণেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
মানব স্বাস্থ্যে ও অর্থনীতিতে শিং মাছের গুরুত্ব উল্লেখ করে গবেষক তাসলিমা বলেন, উন্নতমানের আমিষ, ক্যালসিয়াম ও আয়রনসমৃদ্ধ, কম কাঁটা ও স্বল্প চর্বিযুক্ত হওয়ায় এই মাছটি পুষ্টি ও ঔষধি গুণাগুণের জন্য বিশেষভাবে সুপরিচিত।
তিনি আরও বলেন, ২০২০-২০২১ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী স্বাদুপানির মোট উৎপাদিত মাছের ২ দশমিক ৫২ শতাংশ এসেছে শিং ও মাগুর মাছ থেকে।
প্রাকৃতিক পরিবেশ থেকে স্ত্রী ও পুরুষ মাছ সংগ্রহ করে বাকৃবির মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদে প্রজননের এর মাধ্যমে মাছের সর্বমোট ৪০টি পরিবার তৈরি করা হয়। তবে শেষ পর্যন্ত ৮টি পরিবার টিকে ছিলো এবং তা থেকে ৮০০টি পোনার নমুনা সংগ্রহ করা হয় বলে জানান তিনি।
গবেষণা প্রকল্পটির ফলাফল জাপানিজ সোসাইটি অফ ফিশারিজ সায়েন্স আয়োজিত একটি আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলনে উপস্থাপন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। তাসলিমা খানমের নেতৃত্বে গবেষক দলে ছিলেন বাংলাদেশ, জাপান ও সুইডেনের একদল গবেষক।
গবেষণার বিষয়ে বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী বলেন, শিং মাছ রোগীর পথ্য হিসেবে পরিচিত। আমরা জানি পুরুষ মাছ সচারচর বেশি শক্তিশালী হয় মেয়ে মাছের তুলনায়। কিন্তু শিং মাছে তার বিপরীত। শিং মাছের ক্ষেত্রে মেয়ে মাছ বেশি শক্তিশালী হয়। মেয়ে মাছগুলো বেশি নির্বাচন করা গেলে বেশি উৎপাদন করানো যাবে। লিঙ্গ নির্ধারণ করার মাধ্যমে সহজেই তা করা সম্ভব হবে।
আরও পড়ুন: স্মরণশক্তিকে মেধা বলার মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে: শিক্ষামন্ত্রী
৫ মাস আগে
দেশে প্রথমবারের মতো শুরু হচ্ছে দারাজ ফ্রি ডেলিভারি ফেস্টিভ্যাল
অনলাইন কেনাকাটায় ক্রেতাদের সম্পূর্ণ নতুন অভিজ্ঞতা দিতে প্রথমবারের মতো ফ্রি ডেলিভারি ফেস্টিভ্যাল শুরু করতে যাচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় ই-কমার্স মার্কেটপ্লেস দারাজ।
এ উৎসব শুরু হবে ২৫ জানুয়ারি থেকে এবং চলবে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। দেশ জুড়ে অবিরাম এই ফ্রি ডেলিভারি নিশ্চিত করতে দারাজ অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং সম্পূর্ণ আধুনিক পদ্ধতি অবলম্বন করেছে।
দারাজ ফ্রি ডেলিভারি ফেস্টিভ্যালে ক্রেতারা আরও পাচ্ছেন ৭০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়সহ আকর্ষণীয় সব অফার। তিনটি পণ্যের বান্ডেল পাচ্ছেন মাত্র ৪৯৯ টাকা থেকে।
আরও পড়ুন: স্যুট অ্যাওয়ার্ডের বর্ষসেরার সম্মাননা পেলেন দারাজের সিসিএও-সিওও
হট ডিলসে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়, মেগা ডিলসে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়, ব্র্যান্ড ওয়ারেন্টি এবং ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত ভাউচার। এসব আকর্ষণীয় অফারসমূহের সঙ্গে থাকছে ফ্রি ডেলিভারি যা ক্রেতাদের সর্বোচ্চ সঞ্চয়ের সুযোগ করে দেবে।
দারাজ ফ্রি ডেলিভারি ফেস্টিভ্যালের মূল উদ্দেশ্য হলো- ক্রেতাদের নির্ধারিত ঠিকানায় সহজেই পণ্য পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা। যেখানে তাদের কোনো ডেলিভারি খরচের চিন্তা করতে হবে না। পাশাপাশি পণ্য সংগ্রহ করার জন্য অতিরিক্ত ভাড়াও গুনতে হবে না।
এ ছাড়াও দৈনন্দিন চাহিদাগুলো সর্বোত্তম মূল্যে পূরণ করার সুযোগ করে দেওয়া এই ক্যাম্পেইনের অন্যতম লক্ষ্য। দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকেই ক্রেতারা উপভোগ করতে পারবেন এই আকর্ষণীয় অফার।
ঢাকার বাইরের (চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, সিলেট ইত্যাদি) যেসকল ক্রেতাদের জন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আরও সহজলভ্য করে তোলাই এই ফেস্টিভ্যালের আরেকটি উদ্দেশ্য।
এখানে উল্লেখ্য যে, ডিসেম্বর ২০২৩- এ দারাজের মোট ক্রেতাদের প্রায় অর্ধেক ফ্রি ডেলিভারি সুবিধা উপভোগ করেছেন যা জানুয়ারি ২০২৩ এর তুলনায় ৫০০ শতাংশের বেশি।
এই ক্যাম্পেইন চলাকালীন বিক্রেতাদের ব্যবসা বৃদ্ধির সুযোগও বেড়ে যাবে। কারণ এটি সেসব অঞ্চলে পণ্য পৌঁছার সুযোগ করে দিচ্ছে যেখানে পূর্বে তাদের ব্যবসা সীমিত ছিল।
আরও পড়ুন: টানা তৃতীয় বারের মতো দেশের সর্বপ্রিয় ই-কমার্স ব্র্যান্ড খেতাব জিতল দারাজ
শুধু তাই নয়, এর মাধ্যমে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগের (এসএমই) ব্যবসায়ীরাও সারা দেশে তাদের ব্যবসা প্রসারিত করার পাশাপাশি আয়ও বৃদ্ধি করার সুযোগ পাবেন।
দারাজ বাংলাদেশের চিফ অপারেটিং অফিসার, খন্দকার তাসফিন আলম বলেন, ‘ক্রেতাদের দুয়ারে সর্বোত্তম মূল্যে সর্বাধিক পণ্য পৌঁছে দেওয়ার সুবিধা তৈরি করাই আমাদের মূল লক্ষ্য। দারাজ ফ্রি ডেলিভারি ফেস্টিভ্যাল সে প্রতিশ্রুতির-ই একটি প্রমাণ।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা শত শত যানবাহনের একটি বহর তৈরি করেছি যা কৌশলগতভাবে দেশব্যাপী প্রত্যেক অঞ্চলে অবস্থিত। আমদের ফুলফিলমেন্ট পয়েন্ট এবং সর্টিং সেন্টারগুলোকে সংযুক্ত করে। এখান থেকে হাজারো ডেলিভারি হিরো প্যাকেজগুলো সংগ্রহ করে ক্রেতাদের ঠিকানায় সরাসরি পৌঁছে দেয়।’
তিনি বলেন, ‘দেশব্যাপী অন্যতম এই লজিস্টিকস অবকাঠামো ভৌগলিক অবস্থান নির্বিশেষে প্রত্যেকের কাছে তাদের পণ্যসমূহ সবচেয়ে দ্রুত এবং সর্বনিম্ন খরচে পৌঁছে দিতে দারাজকে সাহায্য করে। এ অবকাঠামোর সঙ্গে আরও আছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি, রিয়েল-টাইম ট্র্যাকিং এবং রুট অপ্টিমাইজেশন যা এ লক্ষ্য পূরণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।’
আরও পড়ুন: স্থানীয় ব্যবসা ও কমিউনিটিকে সংযুক্ত করে ই-কমার্সকে সবার কাছে পৌঁছে দিচ্ছে দারাজ ১১.১১ সেল
৯ মাস আগে
অনূর্ধ্ব ১৯ এশিয়া কাপ: আশিকুরের অসাধারণ সেঞ্চুরিতে প্রথমবারের মতো শিরোপা জিতল বাংলাদেশ
ওপেনার আশিকুর রহমান শিবলীর অসাধারণ সেঞ্চুরিতে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে স্বাগতিক সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ১৯৫ রানে হারিয়ে শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশ।
২০১২, ২০১৬ ও ২০১৮ সালে তিনবার ফাইনাল খেলেও বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল এশিয়া কাপের শিরোপা থেকে বঞ্চিত হওয়ার পর এশিয়ান লেভেল ক্রিকেটে এটি বাংলাদেশ দলের প্রথম শিরোপা।
এর আগে আকবর আলীর নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ যুব দল ২০২০ সালের আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল।
আরও পড়ুন: প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে 'আইসিসি উইমেন্স প্লেয়ার অব দ্য মান্থ' পুরস্কার জিতলেন নাহিদা আক্তার
'বি' গ্রুপের উদ্বোধনী ম্যাচে ৬১ রানে জয়ের পর টুর্নামেন্টে দুইবার সংযুক্ত আরব আমিরাতকে পরাজিত করে ফাইনালে উঠে বাংলাদেশ।
ফাইনালে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৮২ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ, যা টুর্নামেন্টের মান অনুযায়ী একটি বড় স্কোর।
১৪ রানে ওপেনার জিসান আলমের বিদায়ের পর আশিকুর ও চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান দ্বিতীয় উইকেটে ১২৫ রানের জুটি গড়েন, এরপর রিজওয়ান ৭১ বলে চার চার ও একটি ছক্কাসহ ৬০ রান করেন।
গ্রুপ 'বি'র শেষ ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অপরাজিত ১১৬ রান করা ওপেনিং ব্যাটসম্যান-কাম-উইকেটরক্ষক আশিকুর আবারও ১৪৯ বলে ১২ টি চার ও একটি ছক্কা মেরে ১২৯ রান করেন।
পরে ম্যান অব দ্য ম্যাচ ও ম্যান অব দ্য সিরিজ নির্বাচিত হন তিনি।
চার নম্বরে ব্যাট করতে নেমে আরিফুল ইসলাম ৪০ বলে মাত্র ৫০ রান করে হাফ সেঞ্চুরি করেন এবং অধিনায়ক মাহফুজুর রহমান রাব্বি ১১ বলে ২১ রান করে দুটি চার ও একটি ছক্কা হাঁকান।
বাংলাদেশের পক্ষে আয়মান আহমেদ ৫২ রানে ৪টি, ধ্রুব পরাশর ও হার্দিক পাল একটি করে উইকেট নেন।
২৮৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে স্বাগতিক সংযুক্ত আরব আমিরাত ২৪.৫ ওভারে মাত্র ৮৭ রানে গুটিয়ে যায় এবং অপমানজনক পরাজয়ের মুখোমুখি হয়।
ধ্রুব পরাশর ৪০ বলে দুটি বাউন্ডারিসহ দলের সর্বোচ্চ ও অপরাজিত ২৫ রানের অবদান রাখেন এবং ওপেনার অক্ষত রাই ২২ বলে ১১ রান করেন।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের পক্ষে রুহানিত দৌলা বোরশান ২৬ ও মারুফ মৃধা ২৯ রান দিয়ে তিনটি করে উইকেট নেন এবং শেখ পারভেজ জীবন ৭ ও ইকবাল হোসেন ইমন ১৫ রান দিয়ে দুটি করে উইকেট নেন।
দলকে উৎসাহ দিতে দুবাই স্টেডিয়ামে জড়ো হয়েছিলেন বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশ সমর্থক।
এর আগে, বাংলাদেশ তাদের বিশাল প্রতিবেশী ভারতকে ৪১ বল বাকি থাকতে চার উইকেটে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছিল। এদিকে স্বাগতিক সংযুক্ত আরব আমিরাত সেমিফাইনালে শক্তিশালী পাকিস্তানকে ১১ রানে হারিয়ে ফাইনালিস্ট হিসেবে আবির্ভূত হয়।
'বি' গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হয়ে ছয় পয়েন্ট নিয়ে সেমিফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ, গ্রুপ রানার্সআপ হয়ে চার পয়েন্ট নিয়ে সেমিফাইনালে উঠেছে স্বাগতিক সংযুক্ত আরব আমিরাত।
অন্যদিকে, পাকিস্তান পুরো ছয় পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ 'এ' চ্যাম্পিয়ন হয়েছে এবং ভারত চার পয়েন্ট সংগ্রহ করে গ্রুপ রানার্সআপ হয়ে সেমিফাইনালে পৌঁছেছে।
'বি' গ্রুপে প্রথম ম্যাচে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ৬১ রানে পরাজিত করে উড়ন্ত সূচনা করে বাংলাদেশ এবং দ্বিতীয় ম্যাচে জাপানকে ২৩২ বল বাকি থাকতেই ৯ উইকেটে পরাজিত করে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ৬ উইকেটে পরাজিত করে বাংলাদেশ।
এসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন মুশফিকুর রহিম, তামিম ইকবাল ও মেহেদী হাসান মিরাজ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ বনাম নিউ জিল্যান্ড ওয়ানডে সিরিজ: সাকিবহীন একাদশে সৌম্যকে গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা শান্তর
অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ: ভারতকে বিদায় করে ফাইনালে বাংলাদেশ
১০ মাস আগে
ব্যয়বহুল ডলার সাশ্রয়ে প্রথমবারের মতো স্থানীয় কারেন্সি কার্ড 'টাকা পে' উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘ভিসা’ ও ‘মাস্টারকার্ডের’ মতো আন্তর্জাতিক কার্ড স্কিমের ওপর নির্ভরতা কমাতে এবং অতি প্রয়োজনীয় মার্কিন ডলার সাশ্রয় করতে স্থানীয় মুদ্রা কার্ড ‘টাকা পে’ চালু করেছেন।
দেশে প্রথমবারের মতো এ ধরনের কার্ড চালু করল বাংলাদেশ ব্যাংক।
বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে এই কার্ডের উদ্বোধন করেন। তিনি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সোনালী ব্যাংক, বেসরকারি সিটি ব্যাংক ও ব্র্যাক ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সঙ্গে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সহযোগিতায় এই ৩ ব্যাংককে টাকা পে কার্ড ইস্যু করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক পরিচালিত ইলেকট্রনিক পেমেন্ট প্ল্যাটফর্ম 'দ্য ন্যাশনাল পেমেন্ট সুইচ অব বাংলাদেশ' ব্যবহারের মাধ্যমে 'টাকা পে' জাতীয়ভাবে একই সেবা প্রদান করবে।
প্রাথমিকভাবে, কার্ডটি দেশের মধ্যে ব্যবহার করা যেতে পারে। পরে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ‘টাকা-রুপি’ কার্ড চালু করবে যা প্রতিবেশি দেশ ভারতে কেনাকাটার জন্য ব্যবহার করা যাবে।
আরও পড়ুন: গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামের জন্য বেলজিয়াম সফরকে সফল বলে বর্ণনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী
ব্যাংক ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের ভিসা ও মাস্টারকার্ড পেমেন্ট নেটওয়ার্কের মাধ্যমে টাকার ইলেকট্রনিক ট্রান্সফার করা হয়।
এই মাধ্যমগুলো ক্রেডিট, ডেবিট ও প্রিপেইড কার্ডের জন্য ব্র্যান্ডেড পেমেন্ট প্রসেসিং পরিষেবা সরবরাহ করে। অভ্যন্তরীণ কার্ড 'টাকা পে' একই সেবা দেবে বলে বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে।
বিদেশি ব্যাংক ও প্রতিষ্ঠান প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করলে এটি বিদেশে ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে বৈদেশিক মুদ্রার খরচ কমবে। কারণ বিদেশি কোম্পানিগুলোকে সার্ভিস চার্জবাবদ অনেক অর্থ খরচ করতে হয়।
শুরু থেকেই দেশের সব এটিএম, পয়েন্ট অব সেলস এবং অনলাইন প্লাটফর্মে এই কার্ড ব্যবহার করা যাবে।
প্রাথমিকভাবে এটি ডেবিট কার্ড হিসেবে ব্যবহার করা হলেও ভবিষ্যতে টাকা পে ক্রেডিট কার্ডও আসবে।
এই কার্ডের নিরাপত্তার জন্য ম্যাগনেটিক স্ট্রিপ ব্যবহার করা হয়। কিন্তু এখন সব ব্যাংকের কার্ডে বাড়তি নিরাপত্তাসহ নতুন ইএমভি প্রযুক্তি চালু করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে ইএমভি প্রযুক্তির সঙ্গে টাকা পে কার্ডও চালু করা হবে।
আরও পড়ুন: আমরা অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে বদ্ধপরিকর: দক্ষিণ এশীয় নির্বাচন কমিশনারদের প্রধানমন্ত্রী
প্যারিস ভিত্তিক কনসালটেন্সি ‘ফাইম’ কার্ডটি তৈরি করেছে।
বাংলাদেশের প্রতিবেশি দেশগুলোতেও তাদের কারেন্সি কার্ড রয়েছে। ভারতের কার্ড 'রুপি', পাকিস্তানের 'পাকপে', শ্রীলঙ্কার 'লঙ্কাপে', সৌদি আরবের 'মাদা'।
অনুষ্ঠানের শুরুতে টাকা পে'র ওপর একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।
সোনালী ব্যাংকের মুক্তিযোদ্ধা দুই গ্রাহক টাকা পে কার্ড ব্যবহার করে সিটি ব্যাংকের এটিএম থেকে টাকা উত্তোলন করেন।
গণভবনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষয়ক্ষতি তহবিল সম্পূর্ণরূপে চালু করুন: ধনী দেশগুলোর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
১ বছর আগে
প্রথমবারের মতো ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে কমনওয়েলথ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ফোরাম
প্রথমবারের মতো ঢাকায় আগামী ১৩ ও ১৪ সেপ্টেম্বর কমনওয়েলথ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ফোরাম অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
রবিবার কমনওয়েলথ এন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কাউন্সিল (সিডব্লিউইআইসি) এক সংবাদ সম্মেলনে এই ফোরাম অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ঘোষণা করে।
এই ফোরামের আয়োজক কমনওয়েলথ এন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কাউন্সিল।
আরও পড়ুন: 'কমনওয়েলথের অভিভাবক' হিসেবে ব্রিটেনের রাজার গুরুত্ব অপরিসীম: মোমেন
আয়োজনে অংশীদার হিসেবে রয়েছে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিআইডিএ), পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং জেডআই ফাউন্ডেশন।
রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, যুক্তরাজ্যের হাউস অব লর্ডসের সদস্য এবং সিডব্লিউইআইসি’র ডেপুটি চেয়ারম্যান লর্ড সোয়ার কেসিএমজি, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-এর নির্বাহী চেয়ারম্যান (সিনিয়র সচিব) লোকমান হোসেন মিয়া এবং বাংলাদেশে সিডব্লিউইআইসি-এর কৌশলগত উপদেষ্টা জিল্লুর হোসেন এমবিই।
বাংলাদেশে এই প্রথমবারের মতো কমনওয়েলথ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ফোরাম আয়োজিত হতে যাচ্ছে।
পূর্বে ফোরামটি কমনওয়েলথের অন্যান্য সদস্যরাষ্ট্র যেমন- যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপুর, কেনিয়া, রুয়ান্ডা, মাল্টা ইত্যাদিতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
কমনওয়েলথ হলো- ৫৬টি দেশ নিয়ে গঠিত একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা, যা অভিন্ন মূল্যবোধ দ্বারা একত্রিত। বিশ্বের জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশ কমনওয়েলথের আওতাভুক্ত দেশগুলোয় বাস করে।
১৯৭২ সালে বাংলাদেশ কমনওয়েলথের ৩৪তম সদস্য হিসেবে যোগদান করে।
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশ স্বাধীন হওয়ার পরপরই কমনওয়েলথ সদস্যদের পারস্পরিক সহযোগিতার স্বপ্ন নিয়ে কমনওয়েলথে যোগ দেন।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পর স্বাধীনতাপ্রাপ্ত বাংলাদেশ যখন কমনওয়েলথে যোগদান করে, তখন দেশটি যুদ্ধবিধ্বস্ত অর্থনীতি এবং বিধ্বস্ত অবকাঠামো নিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই করছিল। সময়ের সঙ্গে, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক বিভিন্ন সূচকে ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করেছে।
এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ ২০২৬ সালে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হচ্ছে। এই জাতির কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে এই অর্জন সম্ভব হয়েছে। পাশাপাশি ছিল কমনওয়েলথ সদস্যদের মতো উন্নয়ন অংশীদারদের সমর্থন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে আগামী নির্বাচনের জন্য কমনওয়েলথের পর্যবেক্ষক চান প্রধানমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদারদের মধ্যে রয়েছে কমনওয়েলথ ভুক্ত বেশ কয়েটি দেশ।
যুক্তরাজ্যের হাউস অব লর্ডসের সদস্য এবং কমনওয়েলথ এন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কাউন্সিলের ডেপুটি চেয়ারম্যান লর্ড সোয়ার কেসিএমজি বলেন, বাংলাদেশি কোম্পানিগুলির জন্য কমনওয়েলথ ৫৬টি দেশের মধ্যে অপার সম্ভাবনা অন্বেষণ ও তা কাজে লাগানের একটি বিশাল সুযোগ তৈরি করেছে।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, কমনওয়েলথকে অবশ্যই এলডিসি, এলএলডিসি, এসআইডিএস এবং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন দেশগুলির চ্যলেঞ্জ ও ঝুঁকিসমূহ মোকাবিলায় সহায়ক ভূমিকা পালন করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, এলডিসি উত্তরণ পরবর্তী সময়ে জিএসপি সম্পর্কিত বাণিজ্যিক সুবিধার ধারাবাহিকতা বজায় রাখা, বেসরকারি পুঁজির প্রবাহ এবং সবুজ প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে সহজ অর্থায়নের মতো ক্ষেত্রগুলিতে গুরুত্ব আরোপ করতে হবে।
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-এর নির্বাহী চেয়ারম্যান (সিনিয়র সচিব) লোকমান হোসেন মিয়া বলেন, বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া কমনওয়েলথ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ফোরামের অফিসিয়াল অংশীদার হতে পেরে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ অত্যন্ত আনন্দিত।
আমাদের জন্য এটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ এবং অপূর্ব সুযোগ। এটা আমাদের অর্জিত অর্থনৈতিক অগ্রগতি এবং ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার স্বীকৃতিস্বরূপ, যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী ও গতিশীল নেতৃত্বে আমরা অর্জন করেছি।
দেশের শীর্ষ বিনিয়োগ প্রচার সংস্থা হিসেবে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এই ফোরাম যে সুযোগগুলি তৈরি হবে তার পূর্ণ সদ্ব্যবহার করতে সচেষ্ট থাকবে।
বাংলাদেশে ব্যবসা করার সুযোগ অন্বেষণ করতে আগ্রহী এমন বিনিয়োগকারীদের আমরা নির্বিঘ্নে বিনিয়োগ পরিষেবা পৌঁছে দেব।
বাংলাদেশে কমনওয়েলথ এন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কাউন্সিল-এর কৌশলগত উপদেষ্টা জিল্লুর হোসেন এমবিই বলেন, কমনওয়েলথ সদস্যদের রাষ্ট্রপ্রধান, রাজনৈতিক ও ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ এ বছর ঢাকায় কমনওয়েলথ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ফোরামে যোগ দেবেন।
সুতরাং, বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সম্পর্কিত বিষয়সমুহ তুলে ধরার জন্য এটি একটি অনন্য প্ল্যাটফর্ম হবে।
এ ফোরমের লক্ষ্য হলো- অংশীদারিত্ব বৃদ্ধি ও মজবুত করা, উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করা এবং বাংলাদেশের জন্য টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথ অন্বেষণ করা।
আরও পড়ুন: কমনওয়েলথ লিডার্স ইভেন্টে রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে মতবিনিময় প্রধানমন্ত্রীর
১ বছর আগে
রমজান উপলক্ষে প্রথমবারের মতো লন্ডনের ওয়েস্ট এন্ড-এ আলোকসজ্জা
যুক্তরাজ্যে প্রথমবারের মতো পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে লন্ডনের ওয়েস্ট এন্ড জেলা ৩০ হাজার বাতি জ্বালিয়ে আলোকিত করা হয়েছে।
বিবিসি একটি প্রতিবেদনে বলেছে, লিসেস্টার স্কোয়ারকে পিকাডিলির সঙ্গে যুক্তকারী কভেন্ট্রি সড়কটি ‘হ্যাপি রমজান’ দিয়ে আলোকিত হয়েছে৷
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের লক্ষ্যে আলোকসজ্জা না করার নির্দেশনা
যুক্তরাজ্যের রাজধানীতে রমজান উদযাপনকারী ১৩ লাখ মুসলমানদের একজন লন্ডনের মেয়র সাদিক খান বাতি জ্বালিয়েছেন।
বিবিসির প্রতিবেদন অনুসারে, ক্রিসমাস লাইটের প্রতি অনুপ্রাণিত হয়ে ইনস্টলেশনটি তৈরি করেছিলেন আয়েশা দেশাই।
তিনি বলেছিলেন, ‘ক্রিসমাস লাইটের মতো এটি করার উচ্চাকাঙ্ক্ষা আমার ছিল।’
তিনি বিবিসিকে বলেন, ‘আমি যখন বড় হচ্ছি তখন আমার বোনের সঙ্গে ক্রিসমাস লাইট দেখতে যাওয়ার কথা মনে পড়েছিল এবং আমারও মধ্যপ্রাচ্যে থাকার সুযোগ ছিল। আমি লন্ডনে সেই আনন্দ এবং জাদু আনতে চেয়েছিলাম, যে শহর থেকে আমি এসেছি।’
দেশাই তিন বছর আগে প্রকল্পটি শুরু করেছিলেন।
তিনি বলেন, ‘এটি অবিশ্বাস্য দেখাচ্ছে, আমি প্রতিক্রিয়া দেখে অভিভূত।’
‘আমি সেই সচেতনতা বাড়াতে চেয়েছিলাম আমাদের প্রতিবেশীদের জানাতে যে এটি আমাদের জন্য সত্যিই একটি গুরুত্বপূর্ণ মাস, এটি বছরের আমার প্রিয় মাস এবং আমি আজকে এখানে এসেছি বলে আমি কৃতজ্ঞ।’
বিবিসি জানায়, সাউথ কেনসিংটনের ভিক্টোরিয়া অ্যান্ড অ্যালবার্ট মিউজিয়ামে একটি পাবলিক ইফতারের আয়োজন করা হবে। যেখানে মুসলিম ও অমুসলিমদের জন্য একটি অস্থায়ী মসজিদ এবং রমজান প্যাভিলিয়ন নির্মাণ করা হয়েছে।
এদিকে, চেলসি ফুটবল ক্লাব স্ট্যামফোর্ড ব্রিজের পিচের পাশে খোলা ইফতারের আয়োজন করবে, যা ক্লাব এবং প্রিমিয়ার লিগ স্টেডিয়ামের জন্য প্রথম হবে।
ওয়েম্বলি স্টেডিয়াম মাসের শেষের দিকে একই কাজ করবে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
আরও পড়ুন: বিদায়ী অর্থবছরে রাজস্ব আদায় তিন লাখ কোটি টাকা ছুঁই ছুঁই
বিদ্যুৎ ঘাটতির কারণে সরকার অফিসের সময় পরিবর্তনের কথা ভাবছে: জ্বালানি উপদেষ্টা
১ বছর আগে
চট্টগ্রাম বন্দরে ভিড়বে ১০ মিটার গভীরতার জাহাজ
চট্টগ্রাম বন্দরে প্রথমবারের মত ভিড়বে ১০ মিটার গভীরতার বড় জাহাজ। আগামীকাল রবিবার (১৫ জানুয়ারি) পরীক্ষামূলকভাবে বন্দর জেটিতে নোঙর করতে যাচ্ছে দশ মিটার ড্রাফট ও ২০০ মিটার দৈর্ঘের এই জাহাজটি। এজন্য সকল প্রস্তুতি নিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, জাহাজ ভেড়াতে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে দক্ষ পাইলট। বড় জাহাজ ভেড়াতে কর্ণফুলী নদীর মোহনায় গভীরতা বৃদ্ধি এবং পাইলটদের প্রশিক্ষণসহ সব ধরনের প্রস্তুতিমূলক কাজও সম্পন্ন হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বন্দরে খালাস হয়েছে রেলের ১৫টি বগি
বন্দর সূত্রে জানা যায়, এতদিন চট্টগ্রাম বন্দরের জেটিতে সাড়ে ৯ মিটার ড্রাফট এবং ১৯৫ মিটার লম্বা জাহাজ ভিড়তে পারতো। ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে বন্দরে উপর্যুক্ত ড্রাফট ও লেংথের জাহাজ নোঙর করে আসছে। এর আগে বন্দরে আরও ছোট জাহাজ ভিড়ত।
দীর্ঘ সময় ধরে বড় জাহাজ ভেড়াতে বড় বাধা ছিল কর্ণফুলী নদীর প্রবেশমুখ অর্থাৎ সাগর ও নদীর সংযোগস্থলের কম গভীরতা।
তবে লন্ডনভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ‘এইচআর ওয়েলিং ফোর্ড’ এর জরিপে ইতিবাচক সাড়া পেয়ে বড় জাহাজ ভেড়ানোর উদ্যোগ নেয় বন্দর। বড় জাহাজ ভিড়লে আমদানি-রপ্তানি খরচ কমার পাশাপাশি বন্দরে জাহাজজট কমে যাবে বলে দাবি বন্দর ব্যবহারকারীদের।
বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, ১০ মিটার ড্রাফটের জাহাজ বার্থিং করা চালু হলে তিন হাজার পাঁচশ’ টিইইউএস কনটেইনার পরিবহন করা সম্ভব হবে। পাশাপাশি ৯ থেকে ১৩ নম্বর জেটি এবং পিসিটি ও এনসিটিতেও ভেড়ানো যাবে ১০ মিটার ড্রাফটের জাহাজ।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চিফ হাইড্রোগ্রাফার কমান্ডার আরিফুর রহমান বলেন, ‘গবেষণা প্রতিষ্ঠান যে রিপোর্ট দিয়েছে তার পরিপ্রেক্ষিতে রবিবার জাহাজের ট্রায়াল রান শুরু হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই রানে সফল হলে বিদেশি শিপিং কোম্পানিগুলোকে বড় জাহাজ পাঠানোর জন্য সার্কুলার দেয়া হবে। তখন বড় জাহাজ এলে বার্থিং দেব।’
তিনি আরও বলেন, বন্দরের ১৮টি জেটিতে একই ড্রাফট থাকবে না।
নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) এবং চিটাগাং কন্টেইনার টার্মিনালে (সিসিটি) ১০ মিটার ড্রাফট দেয়া সম্ভব হবে বলে জানান তিনি।
এছাড়া জেনারেল কার্গো বার্থের (জিসিবি) কয়েকটিতে ড্রাফট বাড়ানো যাবে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ফ্রেইট ফরোয়ার্ডার অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি খায়রুল আলম সুজন বলেন, ‘আগের চেয়ে বেশি ড্রাফট এবং বেশি দৈর্ঘ্যের জাহাজ ভিড়তে পারলে একই সময়ে একই জাহাজে কন্টেইার পরিবহন বাড়বে। এতে পণ্য আমদানি-রপ্তানিতে খরচ কমে আসবে।’
তিনি বলেন, ‘বিশ্বের শিপিং সেক্টরের অনেক জাহাজই বন্দরে আসতে পারে না। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে চট্টগ্রামে শিপিং ব্যবসা এবং আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িতরা দীর্ঘদিন ধরে বন্দরের লেংথ ও ড্রাফট বাড়ানোর বিষয়ে দাবি জানিয়ে আসছিলেন।’
তবে বন্দর কর্তৃপক্ষ সুনিশ্চিত না হয়ে ড্রাফট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত দেয়নি বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বন্দরের জেটি ফাঁকা, আমদানি-রপ্তানিতে ভাটা
চট্টগ্রাম বন্দরে নামল দ. কোরিয়া থেকে আসা রেলকোচের মিটারগেজ চালান
১ বছর আগে
ডিএসসিসিতে প্রথমবারের মতো পিঠা উৎসব
প্রথমবারের মতো পিঠা উৎসবের আয়োজন করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। সোমবার বিকালে নগর ভবনের ফোয়ারা চত্বরসংলগ্ন প্রাঙ্গণে এই আয়োজন করা হয়।
করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বিকালে এই পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধন শেষে তিনি স্টলগুলো ঘুরে ঘুরে দেখেন।
বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে শুরু হওয়া এই উৎসব আজ রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে।
উৎসবে মোট ১৫টি স্টলে এই উৎসবের আয়োজন করা হয়। করপোরেশনের সাধারণ আসনের ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর সাহানা আক্তার ও সংরক্ষিত আসনের নারী কাউন্সিলরগণ এসব স্টলে নানা রকম ও বাহারি ধাঁচের পিঠা প্রদর্শন করেন।
এ সময় আগত অতিথি ও দর্শনার্থীরা- ডিম পোয়া, নারিকেল পুলি, ডিম সুন্দরী, ভেজা, পুলি, দুধ পুলি, সেমাই, ভাপা, ক্ষীরের পুলি, কেক, রিফ ঝাল, ঝাল ভাজা পুলি, কয়েন পুলি, মাংসের পাটি, চিকেন সবজি এমন সব বাহারি নামের ও ভিন্ন স্বাদের এসব পিঠার স্বাদ নেন এবং বাঙালি ঐতিহ্য সংরক্ষণে মেয়র তাপসের এই উদ্যোগের প্রশংসা করেন।
পিঠা উৎসবে নগর সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের শিল্পীগণ লোকজ গান ও নৃত্য পরিবেশন করেন।
করপোরেশনের ক্রীড়া ও সংস্কৃতি বিষয়ক স্থায়ী কমিটির উদ্যোগে এই আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন: এতিম শিশুদের পিঠা উৎসব
১ বছর আগে
দেশে প্রথমবারের মতো অ্যান্ড্রয়েডে মোবাইল ডাটা প্ল্যান সুবিধা নিয়ে এলো গ্রামীণফোন
দেশের সর্বপ্রথম মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটর হিসাবে গ্রাহকদের জন্য মোবাইল ডাটা প্ল্যান (এমডিপি) সুবিধা নিয়ে এসেছে গ্রামীণফোন। এর মাধ্যমে অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা এখন সরাসরি তাদের ফোন থেকেই ইন্টারনেট ডাটা ব্যবহারের পরিমাণ ও খরচ পরিচালনা করতে পারবেন।
নিজের ইন্টারনেট প্ল্যান নিজেই নিয়ন্ত্রণের এই ফিচার চালুর মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশের কানেক্টিভিটি পার্টনার গ্রামীণফোন ব্যবহারকারীদের জন্য আরও সহজ ও সাশ্রয়ী ইন্টারনেট সুবিধা নিশ্চিত করেছে।
এমডিপি ফিচারটির মাধ্যমে মোবাইল অপারেটররা ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের ডাটা প্ল্যান শেষ হওয়ার আগেই সতর্ক করতে পারবে, সেই সঙ্গে বিশেষ ইন্টারফেসের সাহায্যে প্রত্যেক গ্রাহকের জন্য ইন্টারনেট ব্যবহারের নিজস্ব ধরণ অনুযায়ী পার্সোনালাইজড অফার, অ্যালার্ট সিস্টেম, ম্যানেজমেন্ট টুলসহ নানা সুবিধাও দিয়ে থাকে। ডাটা প্যাক কেনা, ব্যালেন্স চেক করা এবং থ্রেসহোল্ড নোটিফিকেশন পাওয়ার ক্ষেত্রে এমডিপি ফিচারটি ব্যবহারকারীদের উপকারে আসবে। এর ফলে প্রতিটি তথ্যের জন্য আলদা কোড মনে রাখা বা অতিরিক্ত অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করার ঝামেলাও আর থাকছে না।
গ্রামীণফোনের সকল প্রিপেইড এবং পোস্টপেইড গ্রাহক এই ফিচারটি উপভোগ করতে পারবেন। অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসের ‘সেটিংস’ অপশনে এমডিপি ফিচারটি সহজেই খুঁজে পাওয়া যাবে। এক্ষেত্রে ডিভাইসে ন্যুনতম অ্যান্ড্রয়েড ৪.৪ ভার্সন থাকা প্রয়োজন। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে ক্রমান্বয়ে দেশের সকল গ্রাহকের জন্য ফিচারটি চালু করবে গ্রামীণফোন।
আরও পড়ুন: শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে ৩০.৩১ কোটি টাকা জমা দিলো গ্রামীণফোন
১ বছর আগে