বিভ্রান্তিকর
বিভ্রান্তিকর তথ্য যারা ছড়ায় তাদের জবাবদিহি নিশ্চিতে কাঠামো বিবেচনা করছে সরকার: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
যারা মিথ্যা তথ্য ও গুজব ছড়াচ্ছে তাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনতে সরকার একটি কার্যকর কাঠামো বিবেচনা করছে।
শনিবার (২০ জানুয়ারি) এক্সের (টুইটার) এক পোস্টে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত এই তথ্য জানান।
তিনি বলেন, 'যারা মিথ্যা তথ্য ও গুজব ছড়ায় তাদের কীভাবে জবাবদিহিতার আওতায় আনা যায় তার একটি কাঠামো বিবেচনাধীন রয়েছে।
তিনি বলেন, অপপ্রচার রোধে মত প্রকাশ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা যাতে বাধাগ্রস্ত না হয় তা নিশ্চিত করছে সরকার।
আরও পড়ুন: টিআইবির গবেষণা আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে পড়ে না: আরাফাত
দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করা হবে : তথ্য প্রতিমন্ত্রী আরাফাত
১০ মাস আগে
‘নিখোঁজ’ বিষয়ে রহিমার বক্তব্য বিভ্রান্তিকর: পিবিআই
ফরিদপুরে ২৯ দিন নিখোঁজ থাকার পর জীবিত উদ্ধার হওয়া রহিমা বেগম ‘নিখোঁজ’ হওয়ার বিষয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা বিভ্রান্তিকর বলে জানিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
বৃহস্পতিবার খুলনা পিবিআই –এর এসপি সৈয়দ মুশফিকুর রহমান ইউএনবিকে জানান, আদালতে দেয়া রহিমার জবানবন্দি তারা যাচাই করছেন।
এখন পর্যন্ত রহিমার বক্তব্যের সত্যতা প্রমাণ করে এমন কিছু পাওয়া যায়নি বলে জানান পিবিআই কর্মকর্তা। সোমবার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফরিদপুরের সৈয়দপুর গ্রামে কুদ্দুস মোল্লার বাড়িতে যান, যেখানে ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে রহিমা থাকছিলেন।
এসপি মুশফিকুর বলেন, আমরা সেখানে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছি।
আদালতে দেয়া জবানবন্দি অনুযায়ী রহিমা বান্দরবান সদর উপজেলার ইসলামপুরে যাওয়ায় তদন্ত কর্মকর্তা আরও তদন্তের জন্য বান্দরবানেও যাবেন।
এছাড়া রহিমার দ্বিতীয় স্বামী বেলাল হাওলাদার নিখোঁজের সঙ্গে জড়িত বলে সন্দেহ করছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: রহিমা বেগমের নিখোঁজ ঘটনা ‘অপহরণ’ নয়: পিবিআই
কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আমরা তথ্য পাব বলে আশাবাদী। আমরা তার রিমান্ডের জন্য আদালতে আবেদন করেছি।’
জবানবন্দিতে রহিমা বলেন, ২৭ আগস্ট অপহরণের পর পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় নিজেকে আবিষ্কার করেন। তিনি বান্দরবানের একটি হোটেলে কাজ নেন।
এরপর হোটেল মালিক তাকে একটি স্থানীয় ক্যাম্পে চাকরির প্রস্তাব দেয়। যার জন্য তার জন্মসনদ ও এনআইডি কার্ডের প্রয়োজন ছিল।
এজন্য তিনি জন্ম নিবন্ধন ও এনআইডি কার্ড সংগ্রহের জন্য ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামে তার পরিচিত কুদ্দুস মোল্লার বাড়িতে যান।
সেখানে তিনি ১৬ সেপ্টেম্বর সৈয়দপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হকের কাছে জন্ম সনদ ও এনআইডির জন্য যোগাযোগ করেন এবং জানান, তিনি ওই গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন এবং জীবিকার জন্য বাগেরহাটে থাকতেন।
তবে ইউপি চেয়ারম্যান সন্দেহের বশবর্তী হয়ে এগুলো দিতে রাজি হননি বলে জানান পিবিআই কর্মকর্তা।
পিবিআই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা এখনও মামলাটি তদন্ত করছি এবং রহিমা বেগম তার নিখোঁজের বিষয়ে মিথ্যা বক্তব্য দিলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
২৯ দিন নিখোঁজ থাকা রহিমা বেগমকে আদালতে তার জবানবন্দি রেকর্ড করার পর ২৫ সেপ্টেম্বর তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
পরে তাকে খুলনার বয়রা এলাকায় তার ছোট মেয়ে আদুরী আক্তারের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় বলে বাদীর আইনজীবী আফরুজ্জামান টুটুল জানান।
রহিমা তার বিবৃতিতে ‘জমি বিরোধের জের ধরে অপহরণ’ হওয়ার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দিয়েছেন।
আগের রাতে ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলা থেকে রহিমাকে উদ্ধার করে পুলিশ।
গত ২৭ আগস্ট রাত ১০টার দিকে খুলনার দৌলতপাড়া উপজেলার বণিকপাড়া এলাকায় বাড়ির পাশে পানি আনতে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হন রহিমা। তার সন্তানরা ঘটনাস্থল থেকে তার স্যান্ডেল, স্কার্ফ এবং একটি কলসি খুঁজে পায়।
জবানবন্দিতে রহিমাকে অপহরণের অভিযোগে অভিযুক্ত ছয়জনকে তার সন্তানদের অভিযোগের ভিত্তিতে নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলাতেও আসামি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পিবিআইকে যা বললেন রহিমা
খুলনার রহিমাকে পিবিআইয়ে হস্তান্তর
২ বছর আগে