ব্যাংক
সাপ্তাহিক পুঁজিবাজার: ক্ষুদ্র কোম্পানির উত্থান ভালো, হোঁচট খেল ব্যাংক খাত
সপ্তাহজুড়ে রাজধানীর পুঁজিবাজারে লেনদেনে ভালো অবস্থানে আছে ক্ষুদ্র ও মধ্যম আকারের কোম্পানির এসএমই সূচক। অন্যদিকে এর আগের সপ্তাহে উত্থানের পর গত সপ্তাহে আবারও হোঁচট খেল ব্যাংক খাত।
গত পাঁচ কার্যদিবসের লেনদেনে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের এসএমই সূচক বেড়েছে ৩ দশমিক ৫৮ শতাংশ। ৯৭০ পয়েন্ট নিয়ে শুরু হওয়া এ সূচক সপ্তাহে শেষে ৩৪ পয়েন্ট বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ৫ পয়েন্ট।
শুধু এসএমই খাত না, সপ্তাহান্তে ডিএসই'র প্রধান সূচক বেড়েছে ২১ পয়েন্ট। এছাড়া বাছাইকৃত ব্লু-চিপ কোম্পানি ডিএস-৩০ এর সূচক বেড়েছে ১১ পয়েন্ট এবং শরীয়া ভিত্তিক সূচক বেড়েছে ৪ পয়েন্ট।
আরও পড়ুন: সূচকের উত্থানের ধারা বজায় রেখে লেনদেন বেড়েছে পুঁজিবাজারে
অন্যদিকে বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে ব্যাংক খাতের শেয়ারবাজারে চাঙ্গাভাব বজায় থাকলেও এবার রীতিমতো হোঁচট খেয়েছে এ খাত। ব্যাংক খাতের শেয়ারের দাম কমেছে ২৪ দশমিক ৩৭ শতাংশ।
দাম কমতে শুরু করায় বিনিয়োগকারীরা লেনদেন কমিয়ে দিয়েছেন এ খাতের শেয়ারে। সপ্তাহ ব্যবধানে এ খাতের শেয়ারের লেনদেন কমেছে ২৫ দশমিক ৩০ শতাংশ।
তালিকাভুক্ত ৩৬ ব্যাংকের মধ্যে ১৫ ব্যাংকের শেয়ারের দাম বাড়লেও দাম কমেছে ১৬ এবং অপরিবর্তিত আছে ৫ ব্যাংকের শেয়ারের দাম।
ব্যাংক খাতের শেয়ারের পাশাপাশি আর্থিক খাতের কোম্পানিগুলোও সুবিধা করে উঠতে পারেনি গেল পাঁচ কার্যদিবসের লেনদেনে। লেনদেনে অংশ নেয়া আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়েছে মাত্র ৩, কমেছে ১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সূচক বাড়লেও গেল সপ্তাহে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল নিম্নগামী। ১৭৬ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দরপতন হয়েছে ১৮৪ কোম্পানির। অন্যদিকে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দামে আসেনি কোনো পরিবর্তন।
সপ্তাহের প্রথমদিন ৯ মার্চ পতন দিয়ে লেনদেনে শুরু হওয়ার পর উত্থানের বাকি দিনগুলোতে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে শেয়ারবিক্রির পরিমাণ বেড়ে যায়। সপ্তাহের শেষদিন ১৩ মার্চ এসে ঢাকার পুঁজিবাজারের গড় লেনদেন দাঁড়ায় ৩৯০ কোটি টাকায়, যা আগের সপ্তাহে ছিল ৩৬২ কোটি টাকা।
এক সপ্তাহের ব্যবধানে পুঁজিবাজারে গড় লেনদেন বেড়েছে ৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
ডিএসইতে গেল সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ওরিয়ন ইউফিউশান, বিচ হ্যাচারি এবং লভেলো কোম্পানির শেয়ার। এরমধ্যে ৬ দশমিক ১২ শতাংশ লেনদেন বেড়ে শীর্ষে আছে ওরিয়ন ইনফিউশন।
ঢাকার বাজারে দরবৃদ্ধির শীর্ষে থাকা বেশিরভাগ কোম্পানিই বি এবং জেড ক্যাটাগরির। শীর্ষ দশে এ ক্যাটাগরির কোম্পানি মাত্র তিনটি। ডিএসইতে সাপ্তাহিক লেনদেন শেষে দরবৃদ্ধির শীর্ষে আছে বি ক্যাটাগরির কোম্পানি এস আলম কোল্ড রোলড স্টিলস।
অন্যদিকে দরপতনের শীর্ষে উঠে এসেছে এ ক্যাটাগরির কোম্পানি আলিফ ইন্ডাস্ট্রিস লিমিটেড। এক সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম কমেছে ১১ দশমিক ৪৭ শতাংশ।
আরও পড়ুন: সূচকের উত্থানের ধারা বজায় আছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে
ডিএসইতে খারাপ কোম্পানির দৌরাত্ম্য প্রসঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন বলেন, এখনো পুঁজিবাজার স্বাভাবিক রূপে ফিরে আসেনি। এতে করে প্রায়শই খারাপ কোম্পানিকে পুঁজি করে কারসাজিকারিরা ফায়দা লুটতে চায়। অন্যদিকে বিনিয়োগকারীরা চায় ক্ষতি পোষাতে এসব কোম্পানিতে অর্থলগ্নি করে দ্রুত মুনাফা তুলতে। এজন্যই শীর্ষ কোম্পানির তালিকায় বি কিংবা জেড ক্যাটাগরির আধিপত্য দেখা যায়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পুঁজিবাজার সংস্কারে গঠিত টাস্কফোর্স কমিটির এক সদস্য বলেন, পুঁজিবাজারে সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু বিনিয়োগকারীদের আত্মবিশ্বাস ফিরে আসতে এখনো সময় লাগবে। বিনিয়োগকারীরা আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠলে বাজারে অর্থের প্রবাহ বাড়বে।
ভালো কোম্পানির বিনিয়োগ এবং দেশে ব্যবসা পরিচালনাকারী বিদেশি কোম্পানির আইপিও বাজারে আসলে পুঁজিবাজার আবারও চাঙ্গা হয়ে উঠবে বলে মনে করেন বাজার বিশ্লেষকরা।
৩৩ দিন আগে
রমজানে ব্যাংক লেনদেনের সময়সূচিতে পরিবর্তন
আসন্ন রমজানে ব্যাংকে লেনদেনের সময়সূচিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) এক সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত লেনদেন চলবে। তবে ব্যাংকের অন্যান্য কাজকর্ম চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
বর্তমানে ব্যাংক খোলা থাকে সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। এর মধ্যে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত গ্রাহকরা সেবা বা লেনদেন করতে পারেন।
আরও পড়ুন: সামষ্টিক অর্থনীতি স্থিতিশীল রয়েছে: বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর
রোজা ও ঈদ শেষ হওয়ার পর আগের সূচিতে ফিরবে ব্যাংকগুলো।
এছাড়া সাহরি ও ইফতারের সময় বিবেচনায় দেশের সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধাস্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের সময়সূচিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, এসব প্রতিষ্ঠানে সকাল ৯টা থেকে বেলা সাড়ে ৩টা পর্যন্ত অফিস সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। মাঝখানে সোয়া ১টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত নামাজের বিরতি থাকবে।
৫১ দিন আগে
সপ্তাহ ব্যবধানে সূচক বাড়লেও ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি ব্যাংকখাত
এক সপ্তাহের ব্যবধানে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৩৩ পয়েন্ট। প্রধান সূচক বাড়লেও ইতিবাচক কোনো পরিবর্তন আসেনি ব্যাংক খাতে।
বাংলাদেশের প্রধান এই শেয়ারবাজারের সাপ্তাহিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, পাঁচ কার্যদিবসে ব্যাংকখাতে শেয়ারের দাম এবং লেনদেনের পরিমাণ দুটিই কমেছে।
তালিকাভুক্ত ৩৬ ব্যাংকের দাম কমেছে গড়ে প্রায় ৫ শতাংশ। দাম কমার পাশাপাশি গত সপ্তাহের তুলনায় লেনদেনের পরিমাণ আট শতাংশ কমেছে। এই খাতে শেয়ারের দাম কমায় আগ্রহ হারাচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা।
শেয়ারবাজারের সাধারণ বিনিয়োগকারী এতদিন ব্যাংকখাতকে নিরাপদ বিনিয়োগ মনে করলেও গত কয়েক সপ্তাহের পতনে এই খাতের ওপর আর ভরসা রাখতে পারছেন না।
আরও পড়ুন: শেয়ার বাজারে টানা দুই কার্যদিবস সূচকের পতন
এক সপ্তাহের ব্যবধানে ব্যাংকখাতে লেনদেন হওয়া শেয়ারের পরিমাণ কমেছে ১১ দশমিক ৮৯ শতাংশ। অন্যান্য ব্যাংকের শেয়ারের দাম কমার পাশাপাশি পুরো সপ্তাহজুড়ে এসআলম সংশ্লিষ্ট বেশিরভাগ শেয়ারের দাম ছিল নিম্নমুখী।
ব্যাংকখাতের পাশাপাশি অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানের শেয়ারেরও বেহাল দশা। এই সপ্তাহে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম কমেছে ২৯ দশমিক ৮৫ শতাংশ। খাতভিত্তিক লেনদেনে কাগজ, আবাসন, ওষুধ, সিমেন্ট এবং প্রকৌশল শিল্প নিজেদের ইতিবাচক ধারা বজায় রেখেছে।
সপ্তাহজুড়ে শেয়ারবাজারে গড় লেনদেন বেড়েছে ৯ দশমিক ১৫ শতাংশ। গত সপ্তাহে বাজারে গড় লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৩৭৪ কোটি টাকা, যা পাঁচ কার্যদিবসে বেড়ে হয়েছে ৪১২ কোটি টাকা। ডলারের হিসাবে এক সপ্তাহে বাজারে লেনদেন বেড়েছে ১৪ মিলিয়ন ডলার।
আরও পড়ুন: দুই শেয়ারবাজারেই দরপতন, ডিএসইর সূচকে কমেছে ৩৫ পয়েন্ট
সাপ্তাহিক লেনদেনে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। দামবৃদ্ধির তালিকায় আছে ২০১ কোম্পানি। এছাড়া দাম কমেছে ১৫০ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪৬ কোম্পানির। সপ্তাহ ব্যবধানে মার্কেট রিটার্ন এসেছে দশমিক ৩৫ শতাংশ।
৮৩ দিন আগে
ব্যাংকে তারল্য সংকট: টাকা উত্তোলনে ভোগান্তিতে ৬ ব্যাংকের গ্রাহক
সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের (এসআইবিএল) সাভার শাখা থেকে রেমিট্যান্সের অর্থ উত্তোলনের চেষ্টা করেছিলেন ৭৩ বছর বয়সি সাদেকুর রহমান।
গত ২৪ অক্টোবর বাবা-মায়ের চিকিৎসাসহ সংসারের খরচের এক লাখ টাকা পাঠান সাদেকুরের ছেলে রইসউদ্দিন।
১৩ নভেম্বর পর্যন্ত সাদেকুর তিন কিস্তিতে ৩৫ হাজার টাকা উত্তোলন করতে সক্ষম হন।
মুঠোফোনে এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে সাদেকুর বলেন, সংসারের খরচ মেটাতে কমপক্ষে ৭০ হাজার টাকা তুলতে হবে। কিন্তু এসআইবিএল নগদ অর্থের তীব্র সংকটে থাকায় ব্যাংক কর্মকর্তারা কয়েক কিস্তিতে টাকা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন।
আরও পড়ুন: সঞ্চয়পত্রের সঙ্গে সংযুক্ত ব্যাংক পরিবর্তন করে অন্য ব্যাংকে স্থানান্তরের উপায়
এমন অভিজ্ঞতা শুধু সাদেকুরের নয়, এস আলম গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত সংকটাপন্ন ব্যাংকের বিপুল পরিমাণ খেলাপিঋণের কারণে তাদের অনেক গ্রাহক জমা অর্থে পেতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ঋণগ্রহীতারা আত্মগোপনে চলে গেছেন এবং তহবিলের অব্যবস্থাপনার কারণে তাদের ব্যবসা ‘দুর্বল’ হয়ে পড়েছে।
এসআইবিএলের সাভার শাখার কর্মকর্তা আবুল হোসেন (ছদ্মনাম) ইউএনবিকে বলেন, অনেক আমানতকারী তাদের পুরো ব্যালেন্স তুলে নিতে চাচ্ছেন। এ কারণে ব্যাপক সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে এ ব্যাংক।
তিনি বলেন, এই শাখায় ৮৭ কোটি টাকার আমানত রয়েছে। যদি এক-তৃতীয়াংশ আমানতকারীও স্বল্প সময়ের নোটিশে অর্থ উত্তোলনের চেষ্টা করেন, তবে তা যেকোনো ব্যাংকের জন্য চ্যালেঞ্জিং হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী জমা করা অর্থ দীর্ঘমেয়াদি বিভিন্ন ঋণে বিনিয়োগ করা হয়।
আরও পড়ুন: বেক্সিমকো গ্রুপে রিসিভার হলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ইডি
হোসেন আরও জানান, তারা আমানতকারীদের অল্প পরিমাণে নগদ অর্থ সরবরাহ করছেন এবং তাদের অর্থ কিস্তিতে ফেরত দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
সম্প্রতি নগদ অর্থের প্রচলন কমলেও ঋণের কিস্তি নিয়মিত করে তা পুনরুদ্ধার করতে কাজ করছে ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ।
আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজার থেকে তারল্য সহায়তা পেতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গ্যারান্টির আওতায় ইসলামী ব্যাংক, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক (এফএসআইবি), গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক ও ইউনিয়ন ব্যাংক আর্থিকভাবে সচ্ছল ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকার তারল্য সহায়তা পেয়েছে।
তা সত্ত্বেও আমানতকারীরা এসব ব্যাংকের শাখা, প্রধান কার্যালয় ও এটিএম বুথে ভিড় জমাচ্ছেন। কিন্তু অনেক সময় তারা প্রয়োজনীয় অর্থ উত্তোলন করতে পারেন না।
ন্যাশনাল ব্যাংক ছাড়াও তারল্য সংকটে থাকা অন্য ব্যাংকগুলোর পর্ষদে এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণকারী অংশীদারত্ব রয়েছে।
আরও পড়ুন: মূল্যস্ফীতি রোধে নীতি সুদহার ১০ শতাংশ বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক
ঋণের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ এস আলম গ্রুপের নিয়েছে এবং এসব অর্থ বিদেশে পাচার করা হয়েছে। ফলে ঋণগুলো খেলাপি হয়ে যায়। এতে করে এস আলম গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত ব্যাংকগুলোতে গ্রাহকের চাহিদার তুলনায় যথেষ্ট পরিমাণ নগদ ঘাটতি রয়েছে।
এসআইবিএলের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ ফোরকানুল্লাহ ইউএনবিকে বলেন, নগদ অর্থের চাহিদা মেটাতে তাৎক্ষণিক তারল্য সমাধানের ব্যবস্থা করতে ব্যাংকটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সহযোগিতা নিচ্ছে।
ব্যাংকটি গত দুই মাসে গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকার ঋণের কিস্তি ও আমানত সংগ্রহ করেছে। এটি এসআইবিএলের নগদ প্রবাহকে ত্বরান্বিত করেছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এসআইবিএল বর্তমানে আমানতকারীদের প্রয়োজন অনুযায়ী নগদ চাহিদা পূরণ করছে। কিন্তু একাধিক গ্রাহক একসঙ্গে টাকা তোলার চেষ্টা করায় কিছু শাখায় সমস্যা হচ্ছে।
ফরানউল্লাহ আরও বলেন, 'এ সমস্যা সম্পর্কে সবাই সচেতন, তবে গ্রাহকরা যদি তাদের তাৎক্ষণিক প্রয়োজনের বাইরে নগদ উত্তোলন অব্যাহত রাখেন তবে এটি দীর্ঘায়িত হবে। স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরলে আমানতকারীরা তাদের টাকা পাবেন ব্যাংক।’
আরও পড়ুন: মূল্যস্ফীতি কমাতে ৮ মাস লাগবে: বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর
এফএসআইবির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মান্নান বলেন, আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজার থেকে তারল্য সহায়তার পর স্বাভাবিক ব্যাংকিং কার্যক্রম পুনরায় চালু হয়েছে।
বোর্ড পুনর্গঠনের পর থেকে ব্যাংকটি সফলভাবে ঋণগ্রহীতাদের কাছ থেকে যথেষ্ট তহবিল পুনরুদ্ধার করেছে বলে জানান তিনি।
এফএসআইবির চেয়ারম্যান বলেন, এফএসআইবি গ্রাহকদের মৌলিক চাহিদা, জরুরি চিকিৎসা, জরুরি পরিস্থিতি এবং রেমিট্যান্স এনক্যাশমেন্ট পূরণের জন্য ঋণ পরিশোধকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে।
পর্যায়ক্রমে বড় আমানতকারীদের ঋণ পরিশোধেও কাজ করছে ব্যাংকটি।
ন্যাশনাল ব্যাংকের চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু ইউএনবিকে বলেন, গ্রাহকদের অর্থ দিচ্ছে ব্যাংক, যদিও বড় অংকের উত্তোলন প্রক্রিয়া ধাপে ধাপে সম্পন্ন করা হবে।
আরও পড়ুন: ৭ ব্যাংককে ৬৫৮৫ কোটি টাকার তারল্য সহায়তা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক
তিনি বলেন, এসব সমস্যা রাতারাতি তৈরি হয়নি, বেশ কয়েক বছর ধরে তৈরি হয়েছে।
আমানতকারীদের ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়ে মিন্টু বলেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ব্যাংকের অবস্থার উন্নতি হবে।
১৫২ দিন আগে
৭ ব্যাংককে ৬৫৮৫ কোটি টাকার তারল্য সহায়তা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক
ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিমের আওতায় স্বল্পমেয়াদি অর্থায়নের ঘাটতি মেটাতে ৬ হাজার ৫৮৫ কোটি টাকার তারল্য সহায়তা বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক এবং মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) সাংবাদিকদের জানান, ‘অতিরিক্ত টাকা না ছাপিয়েই এই সহায়তা করা হচ্ছে। কারণ তহবিলটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গ্যারান্টির অধীনে আন্তঃব্যাংক ঋণের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে।’
শিখা জানান, কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রয়োজন অনুযায়ী এই সহায়তা চালিয়ে যেতে প্রস্তুত। এটি নির্ভর করবে ব্যাংকগুলোর চাহিদার ওপর।
আরও পড়ুন: মূল্যস্ফীতি কমাতে ৮ মাস লাগবে: বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর
এ পর্যন্ত ১০টি আর্থিকভাবে স্থিতিশীল ব্যাংক এই ব্যবস্থার মাধ্যমে ৭টি তারল্য সংকটে থাকা ব্যাংককে অর্থ সহায়তা দিয়েছে।
এই তারল্য সহায়তা সত্ত্বেও, কিছু ব্যাংক এখনও আমানতকারীদের অর্থ দিতে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছে। আগের সরকারের আমলে জালিয়াতির মাধ্যমে আগ্রাসী ঋণ বিতরণের কারণে এ সমস্যা তৈরি হয়েছে।
আরও পড়ুন: মূল্যস্ফীতি রোধে নীতি সুদহার ১০ শতাংশ বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক
১৫৩ দিন আগে
সঞ্চয়পত্রের সঙ্গে সংযুক্ত ব্যাংক পরিবর্তন করে অন্য ব্যাংকে স্থানান্তরের উপায়
কেবল নিরাপদ সঞ্চয় পরিকল্পনাই নয়, অনেকের জন্য আয়ের একটি নির্ভরযোগ্য উৎস এবং আর্থিক স্থিতিশীলতার বাহক সঞ্চয়পত্র। সরকার কর্তৃক জারি করা এই বিনিয়োগ প্রকল্পগুলো পরিচালনা করা হয় বিভিন্ন ব্যাংকে গ্রাহকের অ্যাকাউন্টের সাপেক্ষে। তাই এই বিনিয়োগ থেকে নির্ধারিত মুনাফা প্রাপ্তির সম্ভাবনা ব্যাংকের আর্থিক অবস্থার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। মূলত সঞ্চয়পত্র ক্রয়ের সময়েই ব্যাংকের সার্বিক দিক যাচাই করে নেওয়া জরুরি। এসব সত্ত্বেও পরে যেকোনো ব্যাংক নানা কারণে আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে। এ অবস্থায় সঞ্চয়পত্রের সঙ্গে সংযুক্ত ব্যাংকটি পরিবর্তন করা আবশ্যক হয়ে পড়ে। চলুন, সঞ্চয়পত্রের ব্যাংক পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা এবং অন্য ব্যাংকে স্থানান্তরের পদ্ধতিটি জেনে নেওয়া যাক।
কোন অবস্থায় সঞ্চয়পত্রের ব্যাংক পরিবর্তন জরুরি
সঞ্চয়পত্র বিক্রয়কারী ব্যাংক যখন সার্বিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হয় তখন এই প্রভাব সঞ্চয়পত্রের উপরও পড়ে। এ সময় বিনিয়োগ প্রকল্পটির স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার ফলে এর গ্রাহকরা হয়রানির শিকার হন। মেয়াদ শেষের পরেও নগদ মুনাফার জন্য অপেক্ষার সময় ক্রমাগত দীর্ঘায়িত হতে থাকে। তখন প্রয়োজনের সময়ে অর্থপ্রাপ্তির ঝুঁকিতে পড়ে যান সঞ্চয়পত্র ধারকরা। এই ঝুঁকি থেকে বাঁচার জন্যই দুর্বল ব্যাংক থেকে সঞ্চয়পত্রটি অন্য কোনো সবল ব্যাংকে স্থানান্তর করা প্রয়োজন।
আরো পড়ুন: সঞ্চয়পত্রে যেভাবে বিনিয়োগ করবেন
এক ব্যাংকের সঞ্চয়পত্র অন্য ব্যাংকে স্থানান্তর করার পদ্ধতি
• প্রয়োজনীয় নথিপত্র
• জাতীয় পরিচয়পত্র বা এনআইডি
• সঞ্চয়পত্রের প্রত্যয়নপত্র, যেটি ক্রয়ের সময় ব্যাংক থেকে দেওয়া হয়েছিল
• বর্তমান এবং নতুন যে ব্যাংকে সঞ্চয়পত্র স্থানান্তর করা হবে; উভয় ব্যাংকের চেক
• টিন সার্টিফিকেট
• ব্যাংক সংক্রান্ত তথ্য পরিবর্তন ফর্ম পূরণ
প্রথমেই নিম্নোক্ত লিংক থেকে আবেদন ফর্মটি ডাউনলোড; অতঃপর প্রিন্ট করে নিতে হবে: https://file-dhaka.portal.gov.bd/uploads/570e08be-5c15-4b2a-ae5d-2279c68459c4//624/035/312/624035312e5a4337251782.pdf
ফর্মের শুরুতেই প্রদর্শিত অনুচ্ছেদের শূন্যস্থানগুলো সঞ্চয়পত্র সার্টিফিকেট অনুসারে নির্ভূলভাবে পূরণ করতে হবে। এ সময় সঞ্চয়পত্র ক্রয়ের তারিখ, টাকার পরিমাণ, ধরন, রেজিস্ট্রেশন নম্বর এবং ব্যাংক পরিবর্তনের কারণ উল্লেখ করতে হবে।
এরপর টেবিল অংশে ‘বিদ্যমান তথ্য’-এর কলামে দিতে হবে বর্তমান ব্যাংক সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্যাবলি। অপরদিকে ‘সংশোধিত তথ্য’ থাকবে নতুন যে ব্যাংকের সঙ্গে সঞ্চয়পত্রটি যুক্ত হবে তার সব তথ্য।
এ সময় উভয় ব্যাংকের চেক অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের নাম, শাখা, রাউটিং নম্বর, অ্যাকাউন্টের ধরন, অ্যাকাউন্ট নম্বর, এবং অ্যাকাউন্টের শিরোনাম বা অ্যাকাউন্টের মালিকের নাম লিপিবদ্ধ করতে হবে।
রাউটিং নম্বর মূলত ৯ অংকের একটি সংখ্যা, যেটি চেক বইয়ের ব্যাংকের শাখার নামের আশেপাশে থাকে। এছাড়া গুগলে ব্যাংকের নির্দিষ্ট শাখার নাম লিখে সার্চ করেও পাওয়া যাবে।
সংশ্লিষ্ট ব্যাংক দুটির সঙ্গে যে মোবাইল নম্বরগুলো নিবন্ধিত রয়েছে, শুধুমাত্র সেগুলো উল্লেখ করা আবশ্যক। এগুলোর স সর্বশেষে তালিকাভুক্ত হবে এনআইডি ও টিন নম্বর।
উপরন্তু, সঞ্চয়পত্রের মালিক/ধারকের সইয়ের স্থানে আবেদনকারীর নাম ও ঠিকানা অবশ্যই এনআইডির অনুরূপ হতে হবে। অতঃপর একটি সক্রিয় মোবাইল নম্বর প্রদানের মাধ্যমে ফর্ম পূরণ সম্পন্ন হবে।
আরো পড়ুন: পুরনো স্বর্ণ বিক্রির সময় যে কারণে দাম কেটে রাখা হয়
আবেদন জমা এবং প্রক্রিয়াকরণের সময়
সঞ্চয়পত্র যার নামে তাকে সশরীরে পূরণ করা ফর্ম জমা দিতে হবে। এ জন্য যে ব্যাংকের যে শাখা থেকে সঞ্চয়পত্র নেওয়া হয়েছিল সেই শাখায় উপস্থিত হতে হবে। জমা দেওয়ার পর আবেদন প্রক্রিয়াকরণে ২ মাস পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে।
বিকল্প উপায় হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের যেকোনো শাখায়ও আবেদন জমা দেওয়া যেতে পারে। বাংলাদেশ ব্যাংকে সঞ্চয়পত্রের জন্য একটি পৃথক সেকশনই থাকে। আবেদন ফর্ম জমা দেওয়ার জন্য সরাসরি সেই সেকশনে যেতে হবে। এ ক্ষেত্রে সঞ্চয়পত্রের স্থানান্তর সম্পন্ন হতে সময় লাগতে পারে ১৫ দিন থেকে সর্বোচ্চ ১ মাস।
আরো পড়ুন: ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ডে প্রবাসী বাংলাদেশিরা যেভাবে বিনিয়োগ করবেন
পরিশিষ্ট
এভাবে সঞ্চয়পত্রের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট পরিবর্তনের প্রচেষ্টা ভবিষ্যতে নিরাপদ মুনাফাপ্রাপ্তির পথ সুগমের ক্ষেত্রে সহায়ক হতে পারে। এই প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য সঞ্চয়পত্র সনদ, বর্তমান এবং উদ্দিষ্ট ব্যাংকের চেক, এনআইডি ও টিন সনদ সঙ্গে রাখা জরুরি। এই স্থানান্তরকরণে বাংলাদেশ ব্যাংক সর্বোচ্চ এক মাস সময় নেয়, যা অন্যান্য ব্যাংকের তুলনায় যথেষ্ট দ্রুত প্রক্রিয়া। সর্বপরি, ভবিষ্যতে একই সংকটময় পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তিতে এই প্রচেষ্টাটি গ্রাহকদের সতর্কতামূলক প্রস্তুতির নিশ্চায়ক।
আরো পড়ুন: বাংলাদেশ সরকারের ট্রেজারি বন্ডে বিনিয়োগ করার পদ্ধতি
১৫৭ দিন আগে
ব্যাংকসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সাইবার হামলা বাড়ায় বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা জারি
ব্যাংকিং খাতকে লক্ষ্যবস্তু করে সাইবার হামলা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে যাওয়ায় সব তফসিলি ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও পেমেন্ট সেবাদানকারীদের সতর্ক করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ সাইবার সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্সের (বিসিএসআই) নিয়মিত তথ্য নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণের পরে শুক্রবার (১ নভেম্বর) এই সতর্কতামূলক নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিবিসি বাংলার প্রয়াত পাঁচ সাংবাদিককে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ
এতে বলা হয়েছে, কিছু ব্যাংক ডুয়াল-কারেন্সি কার্ডে ফেসবুক অ্যাড ম্যানেজার ব্যবহারের সঙ্গে সম্পর্কিত অবৈধ লেনদেনের শিকার হয়েছে, যা দেশব্যাপী সাধারণ গ্রাহকদের প্রভাবিত করছে।
নির্দেশনাটি সোশ্যাল মিডিয়ায় সাইবার অপরাধীদের ক্রমবর্ধমান কার্যকলাপকে তুলে ধরেছে, যারা অনবরত জনসাধারণ এবং ব্যাংক গ্রাহকদের একইভাবে হয়রানি করছে। সাইবার হামলার এই ঊর্ধ্বগতি শুধু বাংলাদেশেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি বিশ্বব্যাপী সাইবার হুমকি বৃদ্ধির প্রবণতাকে চিহ্নিত করে। বিশেষ করে ব্যাংকিং খাতে, যেখানে ম্যালওয়্যার আক্রমণ উদ্বেগজনকভাবে বার বার ঘটে থাকে।
এসব সাইবার হুমকি প্রতিরোধে তথ্য আদান-প্রদান, যাচাইকরণ বৃদ্ধি, ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড (ওটিপি) ব্যবহার, টু-ফ্যাক্টর/মাল্টি-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন, লগইন প্রচেষ্টার সংখ্যা সীমিত রাখাসহ বেশ কিছু জরুরি পদক্ষেপ বাস্তবায়নে ব্যাংকগুলোকে অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
ব্যাংকটি বর্ণিত ঝুঁকির বিষয়ে সমস্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। এসব পদক্ষেপ বাস্তবায়নের বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের পরিচালক (আইসিটি)তদারকি করবেন বলে নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিবিএসের তথ্য জালিয়াতির অভিযোগের মধ্যেই নতুন 'পরিসংখ্যান নীতিমালা' বাস্তবায়নের উদ্যোগ সরকারের
১৬৬ দিন আগে
রাষ্ট্রায়ত্ত ৪ বিশেষায়িত ব্যাংকে এমডি নিয়োগ
রাষ্ট্রায়ত্ত চার বিশেষায়িত ব্যাংকে ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নিয়োগের নির্দেশনা জারি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ (এফআইডি)।
রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকের এফআইডির সেকশন-১ সোমবার (২১ অক্টোবর) এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেছে।
সোনালী ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মীর মোফাজ্জল হোসেনকে আনসার-ভিডিপি ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের এমডি করা হয়েছে। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক সালমা বানুকে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের এমডি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পুনরাবৃত্তি-মূলধনী ব্যয়ের ভারসাম্য বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ অর্থ মন্ত্রণালয়ের
এছাড়া সোনালী ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক সঞ্চিতা বিনতে আলীকে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের এমডি এবং বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক চানু গোপাল ঘোষকে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের এমডি করার সুপারিশ করা হয়েছে।
এর আগে ব্যাংক খাত সংস্কারের অংশ হিসেবে গত ১৯ সেপ্টেম্বর এসব ব্যাংকের এমডিকে একসঙ্গে অপসারণ করা হয়।
সোনালী, জনতা, অগ্রণী, রূপালী, বেসিক ও বিডিবিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের নিয়োগ বাতিল করে পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এতে ব্যাংকগুলোর সার্বিক কার্যক্রমে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। এমডি না থাকায় এসব ব্যাংকের নতুন চেয়ারম্যানরাও ভূমিকা রাখতে পারছেন না।
অন্যদিকে সোনালী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক ও বেসিক ব্যাংকে চুক্তিভিত্তিক নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) নিয়োগের জন্য ৬টি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: আইএসও সনদ অর্জন করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আইবাস++ সিস্টেম
১৭৭ দিন আগে
চার দিন বিরতির পর সোমবার অফিস খুলেছে
সরকারি অফিস-আদালত, ব্যাংক, বিমাসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানে চার দিনের ছুটি শেষে সোমবার সকাল থেকে আবার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
এর আগে দুর্গাপূজা উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) নির্বাহী আদেশে ছুটি ঘোষণা করে সরকার। দুর্গাপূজার একদিনের বর্ধিত এবং সাপ্তাহিক ছুটির দুটি নিয়মিত দিন যোগ হওয়ায় মানুষ একসঙ্গে ৪ দিন ছুটি পেয়েছে।
আরও পড়ুন: দুর্গাপূজার ছুটি: ১০ অক্টোবর সারাদেশে ব্যাংক বন্ধ
সাধারণত বিজয়া দশমীতে একদিনই সরকারি ছুটি থাকে। তবে এ বছর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সপ্তমীর দিন (বৃহস্পতিবার) অতিরিক্ত ছুটি ঘোষণা করে কর্মচারীদের শুক্র ও শনিবারসহ ৪ দিনের ছুটি দেয়।
দুর্গাপূজা, ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম, লক্ষ্মীপূজা ও প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে ৯ দিন বন্ধ থাকবে স্কুল-কলেজ। এর সঙ্গে সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে মোট ১১ দিন পর্যন্ত ছুটি থাকবে।
আরও পড়ুন: আরও একদিন বাড়ল দুর্গাপূজার ছুটি
১৮৫ দিন আগে
বেসরকারি ব্যাংকের তারল্য সংকট নিরসনের আশ্বাস দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর: আব্দুল আউয়াল মিন্টু
বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আব্দুল আউয়াল মিন্টু বলেছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর চলমান তারল্য সংকট স্বল্প সময়ের মধ্যে সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘ব্যাংকিং খাতে নানা সমস্যা রয়েছে। এসব বিষয়ে আমরা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে আলোচনা করেছি এবং সহযোগিতা চেয়েছি। ব্যাংকগুলো যাতে সুষ্ঠুভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে সেজন্য গভর্নর আমাদের সম্ভাব্য সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।’
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে বৈঠক শেষে ব্যাংকিং খাতের বর্তমান সংকট নিয়ে কথা বলেন মিন্টু।
ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সাবেক সভাপতি ও ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের (এনবিএল) চেয়ারম্যান মিন্টু কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তারল্য সহায়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
তিনি বলেন, ‘ব্যাংকিং আইনি কাঠামোর মধ্যে থেকে যতটা সম্ভব তারল্য সহায়তা প্রয়োজন। বাংলাদেশ ব্যাংক এই সহায়তা দিলে ডিসেম্বরের মধ্যে আমাদের তারল্য সমস্যার সমাধান হওয়ার কথা।’
আরও পড়ুন: ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতি হবে ১০.১ শতাংশ: এডিবির পূর্বাভাস
ব্যাংকগুলোর সামনে কী ধরনের চ্যালেঞ্জ রয়েছে জানতে চাইলে মিন্টু স্বীকার করেন, এনবিএলসহ অনেক প্রতিষ্ঠান খেলাপি ঋণ ও নগদ প্রবাহ সমস্যায় হিমশিম খাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘অন্যান্য ব্যাংকও যে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে, এনবিএলেরও একই সমস্যা রয়েছে।’
মিন্টু আইনি পদক্ষেপের মাধ্যমে খেলাপি ঋণ আদায়ে এনবিএলের কৌশল তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘এনবিএলের খেলাপি ঋণ আদায়ে আদালতে যাওয়াসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব।’
সুদ মওকুফের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মিন্টু বলেন, বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদ মওকুফ করেছে, কিন্তু আমরা সম্ভাব্য এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের কথাও বলেছি। ব্যাংকিং প্রবিধান মেনেই যে কোনো রেজোলিউশন করা হবে।’
আরও পড়ুন: বিএনপির আব্দুল আউয়াল মিন্টুর হাইকোর্টে আগাম জামিন
২০২ দিন আগে