ব্যাংক
ব্যাংকগুলোতে আমানতকারীদের আস্থা ও সুশাসন নিশ্চিত করুন: সিপিডি আলোচনায় অর্থনীতিবিদরা
অর্থনীতিবিদরা বলেছেন, ব্যাংকগুলোতে আস্থা ও সুশাসনের অভাবে দেশের ব্যাংকিং খাত হুমকির মুখে পড়েছে। তারা আরও বলেছেন যে এতে প্রভাবশালী গোষ্ঠী জড়িত, যা অর্থনীতির জন্য উদ্বেগজনক।
শনিবার ঢাকার একটি হোটেলে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত ‘অর্থনৈতিক সংকট ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তারা এ মন্তব্য করেন।
রেহমান সোবহানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী আবদুল মান্নান।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালাহউদ্দিন আহমেদ; অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনুর; বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন; অধ্যাপক আবু আহমেদ; আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী; বার্জার পেইন্টসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রূপালী হক চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স সলিডারিটির সেক্রেটারি কামরুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: উচ্চ মূল্যের সরকারি ঋণ অর্থনীতিতে ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি করতে পারে: সিপিডি
সালেহউদ্দিন বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক খেলাপি ঋণ আদায়সহ নীতি বাস্তবায়ন কঠোরভাবে পরিচালনা করতে পারলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে আমার বিশ্বাস।
তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংককে স্বাধীনভাবে সঠিক নীতি নিতে হবে, কারো মুখের দিকে তাকাতে হবে না, বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এটি দাবি করে।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের কোনো সিদ্ধান্ত বিলম্বিত হলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।
একটি উদাহরণ তুলে ধরে তিনি বলেন, ২০১২ সাল থেকে গত ১০ বছরে মোট নন-পারফর্মিং লোনের (এনপিএল) পরিমাণ তিন গুণেরও বেশি বেড়েছে।
তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একটি রিপোর্ট অনুসারে এনপিএলগুলো ২০২৩ অর্থবছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে ৪২ হাজার ৭২৫ কোটি টাকা থেকে ২০১২ অর্থবছরের চতুর্থ ত্রৈমাসিকে এক দশমিক ৩৪ লাখ কোটি টাকার বেশি বেড়েছে।
তিনি বলেন, অর্থনীতি এমন এক পর্যায়ে দাঁড়িয়ে আছে যেখানে সঠিক সংস্কার করতে হবে অথবা এর পতন দেখতে প্রস্তুত থাকতে হবে।
পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, গত মাসে ব্র্যাক ব্যাংকে আমানতের পরিমাণ ২৭ শতাংশ বেড়েছে। কারণ মানুষ তাদের অর্থের নিরাপত্তার জন্য ভালো ব্যাংক খুঁজছে। ‘সুতরাং, আস্থা এবং সুশাসন একটি ব্যাংককে বাঁচাতে পারে।’
তিনি বলেন, জনগণের আস্থা অর্জনের জন্য ঋণ কেলেঙ্কারির জন্য কঠোর ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রয়োজন, পর্যবেক্ষক নিয়োগই যথেষ্ট নয়।
ড. জাহিদ বলেন, মুদ্রাস্ফীতি বাহ্যিক প্রভাবে তৈরি হয় না, অভ্যন্তরীণ চাহিদা ও জিডিপি বাড়ছে, অর্থনীতির সঙ্গে এর কোনো মিল নেই।
সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন অনুষ্ঠানে ‘অর্থনৈতিক সংকট ব্যবস্থাপনা: সিপিডির নীতি সুপারিশ’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘বিশেষ উল্লেখ অ্যাকাউন্টে ঋণ, আদালতের নিষেধাজ্ঞাসহ ঋণ এবং পুনঃনির্ধারিত ঋণ অন্তর্ভুক্ত করা হলে প্রকৃত এনপিএল অনেক বেশি হবে।’
সিপিডি উল্লেখ করেছে যে রাজনৈতিক সংযোগের ভিত্তিতে ব্যাংক পরিচালকদের নিয়োগ, রাজনৈতিক কারণে মঞ্জুর করা ঋণ, ঋণ পরিশোধের রেকর্ড খারাপ থাকা সত্ত্বেও ঋণের পুনঃতফসিল করা এবং করের বোঝা কমাতে ঋণ বাতিল করা এবং ব্যাংকের ক্লিন ব্যালেন্স শীট দেশে উচ্চহারের এনপিএল এর পরিমাণও কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে।
এনপিএলগুলো বলছে, ব্যাংকগুলোর দুর্বল অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ ও কমপ্লায়েন্স ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা, বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বাধীনতার অভাব, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দ্বৈত নিয়ন্ত্রণ এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃক খেলাপিদের দেয়া নমনীয়তাও এই উচ্চ পরিমাণের জন্য দায়ী।
আরও পড়ুন: বিপিসির দুর্নীতি-অব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণ করা গেলে জ্বালানির দাম বৃদ্ধির দরকার হতো না: সিপিডি
বাজেটে নিম্ন-মধ্যম আয়ের জনগণের জন্য কোনো সুখবর নেই: সিপিডি
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের চেক ডিজঅনার মামলা করতে পারবে না মর্মে হাইকোর্টের রায় স্থগিত
কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান ঋণ আদায়ের জন্য কোনো ব্যক্তিও সংস্থার বিরুদ্ধে চেক ডিজঅনার মামলা করতে পারবে না মর্মে হাইকোর্টের দেয়া রায় দুই মাসের জন্য স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ।
বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।
আদালতে ব্র্যাক ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আবদুল্লা আল বাকি।
জানা গেছে, গত ২৩ নভেম্বর চেক ডিজঅনার মামলা সংক্রান্ত রায় দেন হাইকোর্ট।
রায়ে আদালত বলেন, ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান ঋণ আদায়ের জন্য শুধুমাত্র ২০০৩ সালের অর্থঋণ আইনের বর্ণিত উপায়ে অর্থঋণ আদালতে মামলা করতে পারবে। পাশাপাশি বর্তমানে আদালতে চলমান ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের দায়ের করা সব চেক ডিজঅনার মামলার কার্যক্রম বন্ধ থাকবে বলেও রায়ে বলা হয়।
ঋণ আদায়ের জন্য এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্র্যাক ব্যাংকের চেক ডিজঅনার মামলা বাতিল করে ২৩ নভেম্বর বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
এই রায় স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে ব্র্যাক ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা: দণ্ডিত আবদুস সামাদকে জামিন দেননি হাইকোর্ট
গত ২৮ নভেম্বর এখন থেকে কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান ঋণ আদায়ের জন্য কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে চেক ডিজঅনার মামলা করতে পারবে না, হাইকোর্টের এ সংক্রান্ত রায় স্থগিত না করে শুনানির জন্য আপিল বিভাগে পাঠিয়ে দেয়া হয়। সেদিন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন। সে অনুযায়ী আজ এ বিষয়ে আপিল বিভাগে শুনানি হয়।
রায়ে হাইকোর্ট বলেন, ব্যাংক ঋণের বিপরীতে যে চেক নিচ্ছে সেটা জামানত। বিনিময়যোগ্য দলিল নয়। জামানত হিসেবে রাখা সেই চেক দিয়ে চেক ডিজঅনার মামলা করা যাবে না।
আদালত বলেন, ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ একটি চুক্তির মাধ্যমে নেয়া হয়ে থাকে। ব্যাংকের কিছু দুর্নীতিবাজ, অসাধু কর্মকর্তা নিজেদের স্বার্থে, তাদের হিডেন এজেন্ডা বাস্তবায়নে চেকের অপব্যবহার করে মামলা করে থাকে। তাদের ব্যবহার দাদন ব্যবসায়ীদের মতো।
আদালত আরও বলেন, ঋণের বিপরীতে ব্ল্যাংক চেক নেয়াটাই বেআইনি। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো দীর্ঘদিন ধরে এই বেআইনি কাজ করে আসছে।
রায়ে হাইকোর্ট নিম্ন আদালতের প্রতি নির্দেশনা দিয়ে বলেন, আজ থেকে কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান যদি চেক ডিজঅনার মামলা করে তাহলে আদালত তা সরাসরি খারিজ করে দেবেন। একইসঙ্গে তাদের ঋণ আদায়ের জন্য অর্থঋণ আদালতে পাঠিয়ে দেবেন।
আদালত বলেন, ব্যাংক হওয়ার কথা ছিল গরিবের বন্ধু, কিন্তু তা না হয়ে ব্যাংক ও বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান গরিবের রক্ত চুষছে। এটা হতে পারে না। যারা হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে খেলাপি হচ্ছে ব্যাংক তাদের ঋণ মওকুফ করার কথা শুনি। কিন্তু কোনো গরিবের ঋণ মওফুফ করার কথা কোনোদিন শুনিনি। নীলকর চাষিদের মতো, দাদন ব্যবসায়ীদের মতো যেন-তেন ঋণ আদায় করাই তাদের লক্ষ্য। ঋণ আদায়ের জন্য অর্থঋণ আইনে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান মামলা দায়ের না করে চেক ডিজঅনার মামলা করছে। এ কারণে আমাদের ক্রিমিনাল সিস্টেম প্রায় অকার্যকর হয়ে গেছে। তাই এখন থেকে ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান শুধুমাত্র অর্থঋণ আদালতে মামলা করতে পারবে। অন্যকোনো আইনে নয়।
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি হাইকোর্টের রায়ের আলোকে নির্দেশনা জারি করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এছাড়াও সব ধরনের ঋণের বিপরীতে ইনস্যুরেন্স কাভারেজ দিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে নির্দেশনা দিয়েছেন আদালত।আজ পুরো রায়টি স্থগিত করা হয়েছে বলেও জানান আদালত।
আরও পড়ুন: ফটো সাংবাদিক শহিদুল আলমের মামলার তদন্ত চলবে: আপিল বিভাগ
আদালতের অনুমতি ছাড়া বিদেশ যেতে পারবেন না বিডিনিউজের সম্পাদক
ব্যাংক থেকে টাকা তুলে বাড়িতে রাখলে চোরেরা উৎসাহিত হবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কিছু লোক ব্যাংকে টাকা নেই বলে মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে এবং সেই গুজবে কান দিয়ে কেউ কেউ ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নিচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘ব্যাংক থেকে টাকা তুলে বাড়িতে রাখলে চোরেরা টাকা চুরি করতে উৎসাহিত হবে। এটা শুধু চোরদের জন্য একটা সুযোগ তৈরি করছে।’
বৃহস্পতিবার যশোর জেলা স্টেডিয়ামে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক বিশাল জনসভায় বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় ‘ব্যাংকগুলো তীব্র তারল্য সংকটে রয়েছে এমন গুজবের’ নিন্দা করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন,‘ব্যাংকে টাকা নেই, এটা একটা নির্জলা মিথ্যাচার। ’
শেখ হাসিনা জানান, বুধবারও তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
তিনি আশ্বস্ত করে বলেন, ‘ব্যাংকে যথেষ্ট টাকা আছে’।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ বিমান বাহিনী এখন আগের চেয়েও অনেক বেশি শক্তিশালী: যশোরে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কিছু লোক বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের কথা বলছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিয়ে কোন সমস্যা নেই।’
তিনি বলেন, রেমিট্যান্স আসছে, বিদেশি বিনিয়োগ হচ্ছে, রপ্তানি আয় বেড়েছে, কর আদায়ও বেড়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘অন্যান্য দেশগুলো যখন বৈশ্বিক মন্দার কারণে মারাত্মক বিপর্যয়ের মুখোমুখি হচ্ছে, তখনও বাংলাদেশ শক্তিশালী হচ্ছে।’
তিনি জনগণকে কোনো গুজবে কান না দেয়ার আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আপনারা জানেন, সব সময় গুজব ছড়ানো বিএনপির কাজ।
বিএনপি কখনো দেশ ও জনগণের কল্যাণে কিছু করেনি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তারা যখন ক্ষমতায় ছিল সব সময় লুটপাটে লিপ্ত হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ২০০১-০৬ মেয়াদে বিএনপি বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ মাত্র ২ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে রেখেছিল। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ যখন সরকার গঠন করে, তখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। করোনাভাইরাস মহামারি চলাকালীন কোনও রপ্তানি বা আমদানি হয়নি, তাই বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে জমা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর জনসভার জন্য প্রস্তুত যশোর
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, জনগণের জন্য কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন, সার, চাল ও গম কিনতে সরকার অর্থ ব্যয় করেছে। ‘এগুলো (বৈদেশিক মুদ্রা) কোথাও যায় নি, এগুলো জনগণের কল্যাণে ব্যয় করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন কাজে বিনিয়োগ করেছি। যেমন- রপ্তানি করেছি, কৃষিতে প্রনোদনা দিয়েছি এবং আট বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঘাটতির অর্থ দিয়েছি।’
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, খুলনা থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য শেখ হেলাল, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মো. আব্দুর রাজ্জাক, পীযূষ কান্তি ভট্টাচার্য ও জাহাঙ্গীর কবির নানক প্রমুখ।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন যশোর জেলা আ’লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন। সমাবেশ পরিচালনা করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার।
আরও পড়ুন: এখন মেগাপ্রজেক্ট নয় জনকল্যাণমুখী প্রকল্প নিয়ে আসুন: প্রধানমন্ত্রী
আর কোন চেক ডিজঅনার মামলা করতে পারবে না ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান
ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান ঋণ আদায়ের জন্য কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে আর কোন চেক ডিজঅনারের মামলা করতে পারবে না বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে বর্তমানে বিচারিক আদালতে চলমান ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের করা সব চেক ডিজঅনার মামলার কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তবে ঋণ আদায়ের জন্য শুধু ২০০৩ সালের অর্থঋণ আইনে অর্থঋণ আদালতে মামলা করা যাবে বলে এই রায়ে বলা হয়েছে।
বুধবার ঋণ আদায়ে এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ব্র্যাক ব্যাংকের চেক ডিজঅনার মামলা বাতিল করে বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেন। তবে এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে যাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ব্র্যাক ব্যাংকের আইনজীবী সাইফুজ্জামান তুহিন। ব্যাবসায়ীর পক্ষে আদালতে শুনানি করেন আইনজীবী আবদুল্লা আল বাকি।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে গ্রেপ্তার এক জঙ্গির জামিন প্রত্যাহার করলেন হাইকোর্ট
রায়ে হাইকোর্ট বলেন, ব্যাংক ঋণের বিপরীতে যে চেক নেয়া হচ্ছে, সেটা জামানত। বিনিময়যোগ্য দলিল নয়। জামানত হিসেবে রাখা সেই চেক দিয়ে চেক ডিজঅনার মামলা করা যাবে না।‘ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ একটি চুক্তির মাধ্যমে নেয়া হয়ে থাকে। ঋণের বিপরীতে ব্ল্যাংক চেক নেওয়াটাই বেআইনি। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো দীর্ঘদিন ধরে এই বেআইনি কাজ করে আসছে। তাদের ব্যবহার দাদন ব্যবসায়ীদের মতো।’
নিম্ন আদালতের প্রতি নির্দেশনা দিয়ে রায়ে হাইকোর্ট বলেন, আজ থেকে কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান যদি চেক ডিজঅনার মামলা করে, তাহলে আদালত তা সরাসরি খারিজ করে দেবেন। একইসঙ্গে তাদের ঋণ আদায়ের জন্য অর্থঋণ আদালতে পাঠিয়ে দেবেন।
আদালত আরও বলেন, ব্যাংক হওয়ার কথা ছিল গরিবের বন্ধু, কিন্তু তা না হয়ে ব্যাংক ও বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান গরিবের রক্ত চুষছে। এটা হতে পারে না। যারা হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে খেলাপি হচ্ছে ব্যাংক তাদের ঋণ মওকুফ করার কথা শুনি, কিন্তু কোনো গরিবের ঋণ মওফুফ করার কথা কোনোদিন শুনিনি।
নীলকর চাষি ও দাদন ব্যবসায়ীদের মতো যেনতেন ঋণ আদায় করাই ব্যাংকের লক্ষ্য উল্লেখ করে আদালত বলেন, লোন আদায়ের জন্য অর্থঋণ আইনে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান মামলা দায়ের না করে চেক ডিজঅনার মামলা করছে। এ কারণে আমাদের ক্রিমিনাল সিস্টেম প্রায় অকার্যকর হয়ে গেছে। তাই এখন থেকে ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান শুধুমাত্র অর্থঋণ আদালতে মামলা দায়ের করতে পারবে। অন্য কোনো আইনে নয়।
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি হাইকোর্টের রায়ের আলোকে নির্দেশনা জারি করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়াও সব প্রকার ঋণের বিপরীতে ইন্স্যুরেন্স কাভারেজ দিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
২০১১ সালের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর সেলিমগঞ্জের বরাইল মধ্যপাড়ার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলী ব্র্যাক ব্যাংক থেকে চার লাখ টাকা ঋণ নেন। পরে ৩৬ কিস্তির মধ্যে ২২ কিস্তি দিয়েছেন। কিন্তু পরবর্তী সময়ে কিস্তি জমা দিতে না পেরে দুই লাখ ৯৫ হাজার ৯০৪ টাকার চেক দেন। কিন্তু এ চেক ডিজঅনার হওয়ায় ব্র্যাক ব্যাংক ২০১৫ সালের ২৭ জুলাই মামলা করে। এ মামলায় ২০১৬ সালের ২০ জুন মোহাম্মদ আলীকে বিচারিক আদালত ৬ মাসের সাজা ও দুই লাখ ৯৫ হাজার ৯০৪ টাকা জরিমানা করেন।
আইনজীবী আব্দুল্লা আল বাকী জানান, ওই রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালে হাইকোর্টে আপিল করেন মোহাম্মদ আলী। ওই আপিলের শুনানি শেষে আজ রায় দেন হাইকোর্ট। রায়ে আপিল গ্রহণ করে তাকে ছয় মাসের সাজা থেকে খালাস দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি মোহাম্মদ আলীকে ৫০ শতাংশ তথা এক লাখ ৪৮ হাজার টাকা ১০ দিনের মধ্যে দিতে ব্যাংককে নির্দেশ দেন আদালত।
আরও পড়ুন: বিচারের দাবিতে আদালতে শিশু, বিজিবি সদস্যের খালাস বাতিল করল হাইকোর্ট
ঢাকার ফুটপাত বিক্রি ও ভাড়া উত্তোলনে জড়িতদের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট
ব্যাংকে অতিরিক্ত তারল্য আছে ১.৬৯ লাখ কোটি টাকা: বাংলাদেশ ব্যাংক
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মো. আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, ব্যাংকগুলোতে এক লাখ ৬৯ হাজার কোটি টাকার অতিরিক্ত তারল্য রয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব ভিত্তিহীন।
সোমবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য তুলে ধরা হয়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাংকের আমানত ও তারল্য নিয়ে প্রচারিত ভুল তথ্যের বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিং দিতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
তিনি বলেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়ায় ষড়যন্ত্রমূলক খবর প্রচার করা হচ্ছে। বিনিয়োগকারীদের তাদের ব্যাংক আমানত তুলে নিতে বলা হচ্ছে। এটা বলা হচ্ছে যে ব্যাংকগুলোতে নগদ নেই বা তারল্য সংকট রয়েছে।’
আরও পড়ুন: তারল্য সংকট রোধে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাল এফবিসিসিআই
‘কিন্তু এটা সত্য না। বাংলাদেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থা খুবই ভালো।
সংবাদ সম্মেলনে আজাদ বলেন, ব্যাংকিং ব্যবস্থায় বর্তমানে এক লাখ ৬৯ হাজার কোটি টাকার অতিরিক্ত তারল্য থাকায় কোনও তারল্য সংকট নেই।
তারল্য পরিস্থিতি নিয়ে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের বিশেষ সতর্কতা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কোনও ব্যাংকের তারল্য ব্যবস্থাপনায় ব্যাঘাত ঘটলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তা সমাধানের পদক্ষেপ নেবে।
তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের ৫১ বছরের ইতিহাসে কোনও ব্যাংক বন্ধ হয়নি।
আজাদ আশ্বাস দিয়ে বলেন, ‘ব্যাংকে মানুষের আমানত সম্পূর্ণ নিরাপদ। ব্যাংকগুলোতে মানুষের কষ্টার্জিত সঞ্চয় নিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করার মতো কিছুই ঘটেনি।’
আরও পড়ুন: ব্যাংকিং খাতে তারল্য সংকট নেই: প্রধানমন্ত্রী
মানি চেঞ্জাররা নগদ ২৫ হাজার ডলারের বেশি রাখতে পারবে না: বিবি
২০২৩ সালে ব্যাংকগুলো সরকারি ছুটি পাবে ২৪ দিন
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত ছুটির তালিকার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে রবিবার দেশের তফসিলি ব্যাংকগুলোর জন্য ২০২৩ সালের ছুটির তালিকা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি)।
রবিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক মো. আব্দুল মান্নান স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনটি অফ-সাইট সুপারভিশন ডিপার্টমেন্ট থেকে জারি করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিটি তফসিলি ব্যাংকগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
নির্দেশনা অনুসারে, ব্যাংকগুলো ২০২৩ সালে ১ জুলাই ও ৩১ ডিসেম্বরের ব্যাংক ছুটিসহ মোট ২৪ দিন ছুটি পাবে।
আরও পড়ুন: ব্যাংকের নতুন সময়সূচি নির্ধারণ, লেনদেন সকাল ১০টা থেকে বিকাল সাড়ে ৩টা
এসব ছুটির মধ্যে চারটি শুক্রবার এবং তিনটি শনিবার পড়ে গেছে, যা দেশের সাপ্তাহিক ছুটির অন্তর্ভুক্ত।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সার্কুলার অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ছুটির তালিকায় রয়েছে- ২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস, ৮ মার্চ শব-ই-বরাত, ১৭ মার্চ জাতির পিতার জন্মদিন ও শিশু দিবস, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস, ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষ, ১৯ এপ্রিল শব-ই-কদর, ২১ এপ্রিল জুমআতুল বিদা, ২১-২৩ এপ্রিল ঈদ-উল-ফিতর, ১লা মে মে দিবস, ৪মে বুদ্ধ পূর্ণিমা, ২৮-৩০ জুন ঈদ-উল-আযহা, ১ জুলাই ব্যাংক ছুটি, ২৯ জুলাই পবিত্র আশুরা, ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস, ৬ সেপ্টেম্বর জন্মাষ্টমী, ২৮ সেপ্টেম্বর ঈদে মিলাদুন্নবী, ২৪ অক্টোবর দুর্গাপূজা (বিজয় দশমী), ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস, ২৫ ডিসেম্বর যীশু খ্রিস্টের জন্মদিন এবং ৩১ ডিসেম্বর ব্যাংক ছুটি।
আরও পড়ুন: ব্যাংকগুলোকে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে এসিইউ লেনদেন বন্ধের নির্দেশ বিবি’র
ঋণ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনায় বসেছে আইএমএফ দল
চট্টগ্রামে অগ্নিকাণ্ডে ব্যাংক ও ১০টি দোকান পুড়ে ছাই
চট্টগ্রামের আনোয়ারায় একটি মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে একটি বেসরকারি ব্যাংকের শাখাসহ অন্তত ১০টি দোকান ও হোটেল-রেস্টুরেন্ট পুড়ে গেছে। রবিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার চাতরী চৌমুহনী কাঁচা বাজার সংলগ্ন আমিন মার্কেটে এ আগুন লাগে।
আরও পড়ুন: কেরানীগঞ্জে কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে ১৫ কোটি টাকার মালামাল পুড়ে ছাই
স্থানীয়রা জানায়,আগুনে আরব বাংলাদেশ (এবি) ব্যাংকের স্থানীয় শাখাসহ ও ভোজন বাড়ি নামে একটি রেস্টুরেন্টসহ অন্তত ১৫ টি বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে গেছে।
ফায়ার সার্ভিস আগ্রাবাদ এর উপসহকারি পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বলেন, আনোয়ারার চাতরি বাজারে আগুন লাগার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ফায়ার সার্ভিসের আনোয়ারা ও সিইউএফএলসহ পাঁচটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
তিনি আরও বলেন, আগুনে একটি ব্যাংকের শাখাসহ কিছু দোকান পাট পুড়ে গেছে। আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত সাপেক্ষে জানা যাবে।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে আগুনে ৭ দোকান পুড়ে ছাই
চট্টগ্রামে অগ্নিকাণ্ডে ২৪ বসতঘর পুড়ে ছাই
বিদেশ থেকে রেমিট্যান্স পাঠাতে ফি দিতে হবে না প্রবাসীদের
এখন থেকে বিদেশ থেকে রেমিট্যান্স পাঠাতে ফি দিতে হবে না প্রবাসীদের। অভ্যন্তরীণ রেমিট্যান্স পরিচালনার জন্য সোমবার (৭ নভেম্বর) থেকে ব্যাংকগুলি কোন ধরনের ফি নিবে না। এই সিদ্ধান্ত এমন সময়ে আসলো যখন টানা দুই মাস ধরে বিদেশ থেকে রেমিট্যান্স আসা কমেছে, যা দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে।
আরও পড়ুন: ২৫ আগস্ট পর্যন্ত ব্যাংকগুলোতে রেমিট্যান্স এসেছে ১.৭২ বিলিয়ন ডলার
আশা করা যায় যে এই পদক্ষেপটি অফিসিয়াল চ্যানেলের মাধ্যমে রেমিট্যান্সের প্রবাহ বৃদ্ধিতে কাজ করতে পারবে।
রবিবার সোনালী ব্যাংক ভবনে ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশ (এবিবি) এবং বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের (বাফেদা) যৌথ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এছাড়াও, দেশে রেমিট্যান্স পাঠানোর জন্য রেমিটার্সের সুবিধার্থে এমনকি ছুটির দিনেও বৈদেশিক বিনিময় সংস্থাগুলি খোলা থাকবে। (৭ নভেম্বর) থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
আরও পড়ুন: দেশে ১৪ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ ২.০৯ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে জুলাইয়ে
ডলারের অভিন্ন দাম: রেমিট্যান্সের জন্য সর্বোচ্চ ১০৮ টাকা ও রপ্তানি আয়ের জন্য ৯৯ টাকা
ব্যাংকগুলোকে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে এসিইউ লেনদেন বন্ধের নির্দেশ বিবি’র
ব্যাংকগুলোকে এসিইউ পদ্ধতিতে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে লেনদেন থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি)।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ফরেন এক্সচেঞ্জ পলিসি বিভাগ বৃহস্পতিবার একটি সার্কুলার জারি করে ব্যাংকগুলোর শীর্ষ নির্বাহীদের কাছে পাঠিয়েছে।
এসিইউ হল এমন একটি ব্যবস্থা যার মাধ্যমে অংশগ্রহণকারী দেশগুলো আন্তঃআঞ্চলিক লেনদেনের জন্য আমদানি পেমেন্ট নিষ্পত্তি করে।
আরও পড়ুন: ঋণ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনায় বসেছে আইএমএফ দল
বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, ইরান, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা এসিইউ এর সদস্য। যার সদর দপ্তর তেহরানে। দেশগুলোর কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোকে প্রতি দুই মাস অন্তর অর্থ প্রদান করতে হয়।
কোনো বাংলাদেশি ব্যাংক যদি শ্রীলঙ্কার কোনো বাণিজ্যিক ব্যাংকের সঙ্গে লেনদেন নিষ্পত্তি করতে চায়, তাহলে তারা এসিইউ সিস্টেমকে উপেক্ষা করে তা করতে পারে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারি পরিচালক পদে নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত
মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সুদহার বাড়াল বাংলাদেশ ব্যাংক
স্বচ্ছতা নিশ্চিতে ব্যাংকগুলোকে সিটিজেন’স চার্টার প্রস্তুতের নির্দেশ
ব্যাংকের কাজে স্বচ্ছতা ও শৃঙ্খলা জোরদার করা এবং কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জবাবদিহিতা নিশ্চিতের পাশাপাশি গ্রাহকদের যথাযথ সেবা দিতে ‘সিটিজেন’স চার্টার’ তৈরি করে তা বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
সোমবার ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে ব্যাংকগুলোর শীর্ষ নির্বাহীদের কাছে এক পরিপত্র পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
পরিপত্র অনুযায়ী, ব্যাংকগুলো গ্রাহকদের যেসব সেবা দিচ্ছে তা জনগণকে জানাতে হবে এবং প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সেবা না পেলে করণীয় কী তাও জানাতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পোশাক শিল্প উন্নয়ন তহবিলে ঋণের সুদের হার কমাল বাংলাদেশ ব্যাংক
এতে আরও বলা হয়, ব্যাংকের যাবতীয় সেবার শ্রেণিভিত্তিক তালিকা, সেবা পাওয়ার প্রয়োজনীয় যোগ্যতা ও দলিলাদি, দলিলাদির প্রস্তুত প্রক্রিয়া, প্রতিটি সেবা দেয়ার ন্যূনতম প্রয়োজনীয় সময়, সেবা প্রদানের ফি এবং নাগরিক সেবা না পেলে করণীয় উল্লেখ করে সিটিজেনস চার্টার প্রস্তুত করতে হবে।
তারপর এই তথ্য ব্যাংকের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে। এছাড়া প্রধান কার্যালয় ও শাখায় দেখাতে হবে।
আরও পড়ুন: প্রবাসীরা ১০ হাজার ডলারের বেশি কাছে রাখতে পারবেন না: বাংলাদেশ ব্যাংক
পরিপত্রে আরও বলা হয়, নাগরিক সনদ মেনে চলার জন্য একজন ফোকাল পয়েন্ট অফিসার এবং একজন বিকল্প ফোকাল পয়েন্ট অফিসার নিয়োগ দিতে হবে।
আরও পড়ুন: মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সুদহার বাড়াল বাংলাদেশ ব্যাংক
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার নাম, ফোন নাম্বার এবং ই-মেইল ঠিকানা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে। এছাড়া প্রতিটি ব্যাংকের ওয়েবসাইটে একটি বিজনেস চার্টার কর্নার বক্স রাখতে হবে। নাগরিক সনদ সম্পর্কিত সকল তথ্য এই বক্সে আপলোড করতে হবে বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিপত্রে উল্লেখ করা হয়।