ধরা
ভোলায় ইলিশ ধরায় ১২ জেলের কারাদণ্ড
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে ইলিশ ধরার অপরাধে ১২ জেলেকে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
কোস্টগার্ড ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যৌথ অভিযানে ১ লাখ মিটার নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল ও ২০ হাজার মিটার সুতার জালসহ ৬০ কেজি মা ইলিশ জব্দ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মেঘনায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জাটকা ধরার অভিযোগে ২৩ জেলের কারাদণ্ড
বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) বিকাল থেকে শুক্রবার (২০ অক্টোবর) সকাল পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট বিএন এইচ.এম.এম হারুন অর রশীদ জানান, মা ইলিশ রক্ষার ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা সফল করতে কোস্টগার্ডের একটি দল এই বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।
ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ জানান, শুক্রবার সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ভোলা জেলার বিভিন্ন উপজেলার নদী থেকে ২২ জেলেকে আটক করা হয়েছে।
এদের মধ্যে ১২ জনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এদিকে জব্দ করা জাল মৎস্য কর্মকর্তার উপস্থিতিতে আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয় এবং জব্দ করা মা ইলিশ স্থানীয় এতিমখানায় বিতরণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বরিশালে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরায় ৪৯ জেলের কারাদণ্ড
চাঁদপুরে মেঘনায় জাটকা ধরায় ১০ জেলের কারাদণ্ড
১ বছর আগে
চাঁদপুরের জেলেরা ইলিশ ধরার প্রস্তুতি নিচ্ছে
ইলিশের পোনা জাটকা রক্ষায় মার্চ-এপ্রিল দুই মাস চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীর ৭০ কিলোমিটার অভয়াশ্রম এলাকায় মাছ ধরা নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে রবিবার রাত ১২টায়।
নদীতে মাছ আহরণ করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন জেলেরা।
আরও পড়ুন: জাটকা নিধন বন্ধ হলে দেশের মানুষ বড় ইলিশ খাওয়ার সুযোগ পাবে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
জেলার প্রায় ৪৪ হাজার নিবন্ধিত জেলে মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী পর্যন্ত নৌ সীমানায় মাছ আহরণে নামবেন।
তবে জাটকা রক্ষায় সরকার যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তা বাস্তবায়ন নিয়ে অভিযোগ করেছেন জেলেরা।
জেলা টাস্কফোর্সের দাবি, জাটকা রক্ষায় এবার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা অব্যাহত ছিল।
চাঁদপুর পদ্মা-মেঘনা উপকূলীয় এলাকার অধিকাংশ মানুষই মাছ আহরণ ও কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। জেলেদের মধ্যে অধিকাংশ জেলে গুল্টি জাল ব্যবহার করে ইলিশসহ অন্যান্য মাছ আহরণ করে।
কিন্তু এক শ্রেণির জেলে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল দিয়ে জাটকা আহরণ করে। আইন অমান্য করে জাটকা ধরায় ১ মার্চ থেকে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত ৩৭১ জেলে আটকের পর বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এদিকে দুই মাস বেকার অবস্থায় থাকার পর নৌকা ও জাল মেরামত করে প্রস্তুতি নিয়েছে জেলেরা।
সরেজমিনে সদর উপজেলার তরপুরচন্ডী ইউনিয়নের আনন্দ বাজার, শহরের টিলাবাড়ী এলাকা, পুরান বাজার রনাগোয়াল, দোকানঘর, লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের সাখুয়া, বহরিয়া, হানারচর ইউনিয়নের হরিণা মাছঘাট, আখনের হাট এলাকায় দেখা গেছে জাল ও নৌকা মেরামত কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন জেলেরা।
কিছু লোক ঠিক এই সময়ে শুধু জাল মেরামত করার জন্য বিভিন্ন স্থান থেকে আসেন।
সাখুয়া এলাকার জেলে শাহজাহান রাঢ়ী বলেন, সরকার জাটকা না ধরার জন্য যে অভিযান দেয় আমরা তা মানি। কিন্তু মুন্সীগঞ্জ, মোহনপুর ও শরীয়তপুর এলাকার জেলেরা এসে অধিকাংশ জাকটা ধরে নিয়ে যায়। যে কারণে অভিযান শেষ হলে আমরা কোনো মাছ পাই না। ঋণ করে নতুন জাল ক্রয়, নৌকা মেরামত ও এসব কাজে শ্রমিকদের টাকা দিতে হয়। এরপর নদীতে মাছ না পাওয়া গেলে আমাদের খুবই খারাপ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
আরও পড়ুন: ইলিশ ধরার ওপর দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে রবিবার মধ্যরাতে
১ বছর আগে
আজ মধ্যরাত থেকে ২২ দিন ইলিশ ধরা নিষেধ
চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় ৭ অক্টোবর মধ্যরাত থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন নিরবচ্ছিন্ন প্রজননের লক্ষ্যে মা ইলিশসহ অন্যান্য মাছ আহরণ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার।
জেলার মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে চাঁদপুর সদর হয়ে হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী পর্যন্ত পদ্মা ও মেঘনা নদীর প্রায় ৯০ কিলোমিটার এবং লক্ষ্মীপুর জেলার চর আলেকজেন্ডার পর্যন্ত একশ’ কিলোমিটার অভয়াশ্রম ঘোষণা করেছে।
নিষেধাজ্ঞার আরোপের পূর্ব মুহূর্তে আজ বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) সারাদিনই জেলার সবচেয়ে বড় মাছ বাজার - বড় স্টেশন মাছ ঘাট ও শহরের বিপনীবাগ, নতুনবাজার, পুরানবাজার, ওয়ারল্যাস বাজার, ও বাবুরহাট বাজারের মাছ বাজারে মানুষের ইলিশ কেনা-বেচার ধুম লেগে গেছে।
৫০০ গ্রামের মাছ ৫০০ টাকায় কেজি দরে বিক্রি হয়। ১ কেজির ইলিশ এক হাজার টাকায়, দেড় কেজি ইলিশ বিক্রি হয় ১৫০০ টাকায়, ২ কেজির ইলিশ ২২০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে বড় স্টেশন মাছ ঘাটে। এ ঘাটে এবার নারীদের উপস্থিতিও ছিলো চোখে পড়ার মতো।
আরও পড়ুন: শুক্রবার থেকে ইলিশ শিকারে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা
সেই লাকসাম উপজেলার গুপ্চি গ্রাম থেকে এসে টাটকা ইলিশ কিনে নিলেন মমতাজ বেগম ও তার বৃদ্ধ ফুপি নুরজাহান(৬৫)।
ওদিকে শহরের কুরিয়ার সার্ভিসে গিয়ে দেখা যায় কয়েশ’ মাছের প্যাক ঢাকাসহ দূর-দুরান্তে চাঁদপুর থেকে যাবার জন্য প্রস্তুত। গড়ে দেড়শ’ প্যাক প্রতিটি কুরিয়ার অফিসে চত্বরে দেখা গেছে।
প্রবীণ মৎস্য ব্যবসায়ী জাহাংগীর পাটোয়ারি, নুরুল ইসলাম বকাউল ও মোস্তফা দীদারসহ আরও অনেকে জানান, আজ ৩/৪ দিন ইলিশ মাছের ৫০টি আড়তে মাছ কম আমদানি হচ্ছে, তাই দামও বেশি।
২ বছর আগে