চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় ৭ অক্টোবর মধ্যরাত থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন নিরবচ্ছিন্ন প্রজননের লক্ষ্যে মা ইলিশসহ অন্যান্য মাছ আহরণ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার।
জেলার মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে চাঁদপুর সদর হয়ে হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী পর্যন্ত পদ্মা ও মেঘনা নদীর প্রায় ৯০ কিলোমিটার এবং লক্ষ্মীপুর জেলার চর আলেকজেন্ডার পর্যন্ত একশ’ কিলোমিটার অভয়াশ্রম ঘোষণা করেছে।
নিষেধাজ্ঞার আরোপের পূর্ব মুহূর্তে আজ বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) সারাদিনই জেলার সবচেয়ে বড় মাছ বাজার - বড় স্টেশন মাছ ঘাট ও শহরের বিপনীবাগ, নতুনবাজার, পুরানবাজার, ওয়ারল্যাস বাজার, ও বাবুরহাট বাজারের মাছ বাজারে মানুষের ইলিশ কেনা-বেচার ধুম লেগে গেছে।
৫০০ গ্রামের মাছ ৫০০ টাকায় কেজি দরে বিক্রি হয়। ১ কেজির ইলিশ এক হাজার টাকায়, দেড় কেজি ইলিশ বিক্রি হয় ১৫০০ টাকায়, ২ কেজির ইলিশ ২২০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে বড় স্টেশন মাছ ঘাটে। এ ঘাটে এবার নারীদের উপস্থিতিও ছিলো চোখে পড়ার মতো।
আরও পড়ুন: শুক্রবার থেকে ইলিশ শিকারে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা
সেই লাকসাম উপজেলার গুপ্চি গ্রাম থেকে এসে টাটকা ইলিশ কিনে নিলেন মমতাজ বেগম ও তার বৃদ্ধ ফুপি নুরজাহান(৬৫)।
ওদিকে শহরের কুরিয়ার সার্ভিসে গিয়ে দেখা যায় কয়েশ’ মাছের প্যাক ঢাকাসহ দূর-দুরান্তে চাঁদপুর থেকে যাবার জন্য প্রস্তুত। গড়ে দেড়শ’ প্যাক প্রতিটি কুরিয়ার অফিসে চত্বরে দেখা গেছে।
প্রবীণ মৎস্য ব্যবসায়ী জাহাংগীর পাটোয়ারি, নুরুল ইসলাম বকাউল ও মোস্তফা দীদারসহ আরও অনেকে জানান, আজ ৩/৪ দিন ইলিশ মাছের ৫০টি আড়তে মাছ কম আমদানি হচ্ছে, তাই দামও বেশি।