ত্রিদেশীয় সিরিজ
ত্রিদেশীয় সিরিজ: প্রস্তুতি ম্যাচে আফগানিস্তানের কাছে বড় হার বাংলাদেশের
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভ পর্বে লড়াইয়ের আর মাত্র কয়েক দিন বাকি আছে। তবে বাংলাদেশের ব্যাটিং নিয়ে দুশ্চিন্তা এখনও কাটছেই না।
সোমবার, মূল ইভেন্টের আগে নিজেদের দুটি প্রস্তুতি ম্যাচের প্রথমটিতে আফগানিস্তানের কাছে ৬২ রানে হেরেছে বাংলাদেশ।
১৬১ রানের টার্গেট নিয়ে ব্যাট করতে নেমে নাজমুল হোসেন শান্ত, সৌম্য সরকার ও সাকিব আল হাসানসহ সবাই একে একে ব্যর্থ হয়ে সাজঘরে ফেরেন।
কিছুদিন ধরে টি-টোয়েন্টিতে ভালো খেলা আফিফ হোসেনও প্রথম বলেই আফগানদের কাছে ধরাশায়ী হন।
আরও পড়ুন: টি২০ বিশ্বকাপ: ১৬০ রানের টার্গেট বাংলাদেশের
বাংলাদেশের পক্ষে মেহেদি হাসান মিরাজ ৩১ বলে ‘সর্বোচ্চ’ ১৬ রান করেন।
১৬১ রান তাড়া করতে নেমে ২০ ওভারে নয় উইকেটে মাত্র ৯৮ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ।
আফগানিস্তানের পক্ষে পেস বোলার ফজল হক ফারুকী তিনটি উইকেট নেন।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে আফগান খেলোয়ার ইব্রাহিম জাদরান ও মোহাম্মদ নবী যথাক্রমে ৪৬ ও ৪১ রান করে দলীয় সংগ্রহ ১৬০ পর্যন্ত টেনে নেন।
বাংলাদেশের ডানহাতি পেসার তাসকিন আহমেদ তিনটি উইকেট নিয়ে ভালো পারফরমেন্স করেছেন।
ব্রিসবেনে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় আফগানিস্তান দল। হযরত জাজাই ও রহমানুল্লাহ গুরবাজ উদ্বোধনী জুটিতে মাত্র ১৯ রান সংগ্রহ করেন।
তবে তিন নম্বর ব্যাট করতে নেমে ইব্রাহিম দারুণ একটি ইনিংস খেলেন। অন্যদিকে মোহাম্মদ নবীও দলীয় সংগ্রহ বাড়াতে অবদান রাখেন।
বাংলাদেশের পক্ষে তাসকিন আহমেদ তিনটি এবং সাকিব আল হাসান ও হাসান মাহমুদ দুটি করে উইকেট নেন।
যত দিন যাচ্ছে, আফগানিস্তান টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে বাংলাদেশের জন্য অপরাজেয় প্রতিপক্ষ হিসেবে নিজেদের অবস্থান মজবুত করছে।
আগামী ১৯ অক্টোবর নিজেদের দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ: প্রস্তুতি ম্যাচে টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ
টি-২০ বিশ্বকাপ ২০২২: ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৪২ রানে হারাল স্কটল্যান্ড
২ বছর আগে
ত্রিদেশীয় সিরিজ: দুর্দান্ত দলীয় প্রচেষ্টায় নিজেদের ঘরে ট্রফি তুলল পাকিস্তান
শুরু থেকেই তারা ত্রিদেশীয় সিরিজ জয়ের ফেভারিট দল। দাবার শেষ চালে ঠিকই দলটি গুরুত্বপূর্ণ চালে নিজেদের ঘরে ট্রফি তুলেছে। বুঝতেই পারছেন বলা হচ্ছে পাকিস্তানের কথা।
ক্রাইস্টচার্চে শুক্রবার তিন বল হাতে রেখেই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ উইকেটে জয়ী হয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজের ট্রফির স্বাদ গ্রহণ করল পাকিস্তান। এই সিরিজে পাকিস্তান মাত্র একবার নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরেছে। কিন্তু সে হারই ফাইনালে শেষ পর্যন্ত নিজেদের স্নায়ু শক্ত রাখতে ভূমিকা রাখে।
সিরিজ জিততে পাকিস্তানকে তাড়া করতে হয়েছে ১৬৪ রানের লক্ষ্য। ওপেনিং জুটিতে তাদের ঝুলিতে আসে ২৯ রান। ধীরগতির এই রান সংগ্রহে কিছুটা নিরাশার পথ দেখালেও নিউজিল্যান্ডের বোলিং আক্রমণের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থানেই ছিল পাকিস্তানের ব্যাটাররা।
বাবর আজম ১৪ বলে ১৫ রান করে প্রথম উইকেটের শিকার হন। অন্যদিকে ওপেনিং জুটির মোহাম্মদ রিজওয়ান ৩৪ রান করে মাঠ ছাড়েন। উভয়ই ফাইনালের আগের দিন বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৭৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে হাফ সেঞ্চুরি করেছিলেন।
আরও পড়ুন: ত্রিদেশীয় সিরিজ: ৮ উইকেটের বড় হার বাংলাদেশের
প্রয়োজনের সময় হায়দার আলীর ১৫ বলে ৩১ রান দলকে অনেকটাই এগিয়ে নিয়ে যায়। চতুর্থ উইকেটে নওয়াজ ও হায়দার মাত্র ২৬ বলে ৫৬ রান করে ম্যাচটিকে অনেকটাই পাকিস্তানের অনুকূলে নিয়ে আসে।
ষষ্ঠ উইকেটে নওয়াজ ও ইফতিখার আহমেদ ২০ বলে ৩৬ রান করে ম্যাচের ইতি টানেন। শেষ ওভারের তৃতীয় বলে ব্লেয়ার টিকনারের ছোড়া বলকে বাউন্ডারির বাইরে পাঠিয়ে জয়সূচক ছয় হাঁকেন ইফতিখার। তিনি ১৪ বলে ২৫ রান করেন।
পাকিস্তানি ব্যাটারদের কেউই ৪০ রান করতে পারেনি। তবে বড় লক্ষ্য তাড়া করার দলীয় প্রচেষ্টা দেখেছে ক্রাইস্টচার্চ।
পুরো সিরিজে অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখানো নিউজিল্যান্ডের মাইকেল ব্রেসওয়েল ফাইনালে দুটি উইকেট পান। তবে পরাজয় এড়াতে তার চেষ্টা যথেষ্ট হয়নি।
আরও পড়ুন: ত্রিদেশীয় সিরিজ: টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
এর আগে, টস জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান। অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনের ৩৮ বলে ৫৯ রান নিউজিল্যান্ড সাত উইকেটে ১৬৩ রানের লক্ষ্য দেয় পাকিস্তানকে।
প্রথম ওভারের শেষ বলে ওপেনার ফিন অ্যালেনকে হারায় নিউজিল্যান্ড। নাসিম শাহের শিকার হওয়ার আগে তিনি তিনটি চার মেরে ছয় বলে ১২ রান করেন। অন্য ওপেনার ডেভন কনওয়েও ফাইনালে বড় রান করতে পারেননি।
পাকিস্তানের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন নাসিম ও হারিস রউফ।
অস্ট্রেলিয়ায় চলতি মাসে শুরু হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অভিযানের আগে এই জয় নিশ্চিতভাবেই এশিয়ান জায়ান্টদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেবে।
আরও পড়ুন: ত্রিদেশীয় সিরিজ: ৪৮ রানে হারল বাংলাদেশ
২ বছর আগে
ত্রিদেশীয় সিরিজ: টস জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, দলে ৩ পরিবর্তন
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ত্রিদেশীয় সিরিজে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ।
ম্যাচে সৌম্য সরকারকে একাদশে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।। বাঁ-হাতি এই ব্যাটার সর্বশেষ ২০২১ সালের নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। তার জন্য মেহেদি হাসান মিরাজকে বিশ্রাম দেয়া হয়েছে।
এছাড়া তাসকিন আহমেদ ও হাসান মাহমুদের পরিবর্তে মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন ও এবাদত হোসেন একাদশে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন।
নিউজিল্যান্ডের একাদশেও তিনটি পরিবর্তন আনা হয়েছে। কেন উইলিয়ামসন, ব্লেয়ার টিকনার এবং মিচেল স্যান্টনারের পরিবর্তে মার্টিন গাপটিল, ট্রেন্ট বোল্ট এবং অ্যাডাম মিলনে একাদশে যুক্ত হয়েছেন।
পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচে হেরেছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের একাদশ: নাজমুল হোসেন শান্ত, সৌম্য সরকার, লিটন দাস, সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), আফিফ হোসেন, মোসাদ্দেক হোসেন, নুরুল হাসান, ইয়াসির আলী, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, এবাদত হোসেন, শরিফুল ইসলাম
নিউজিল্যান্ড একাদশ: ডেভন কনওয়ে, ফিন অ্যালেন, মার্টিন গাপটিল, গ্লেন ফিলিপস, মার্ক চ্যাপম্যান, জেমস নিশাম, মাইকেল ব্রেসওয়েল, ইশ সোধি, অ্যাডাম মিলনে, টিম সাউদি (অধিনায়ক), ট্রেন্ট বোল্ট
পড়ুন: নারী এশিয়া কাপ: বৃষ্টিতে ম্যাচ পরিত্যক্ত, ছিটকে গেল বাংলাদেশ
২০২২ আইসিসি পুরুষ টি-২০ বিশ্বকাপ আয়োজক ৭ শহর ভ্রমণ
আইসিসি পুরুষ টি-২০ বিশ্বকাপ ২০২২: বাংলাদেশ দলের সোয়াট (SWOT) বিশ্লেষণ
২ বছর আগে
ত্রিদেশীয় সিরিজ: পাকিস্তানের কাছে ২১ রানে হেরেছে বাংলাদেশ
নিউজিল্যান্ডে চলমান ত্রিদেশীয় সিরিজে শুক্রবার পাকিস্তানের কাছে ২১ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। ১৬৮ রানের টার্গেট সামনে রেখে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৬ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ।
শুরুটা ভালো না হলেও দুই উইকেটে ৮৭ রান করতে সক্ষম হয় বাংলাদেশে। এরপর বাকি ছয় উইকেটে হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১০১ রান।
ক্রাইস্টচার্চের এ ম্যাচে বাংলাদেশ জেতার মতো অবস্থায় ছিল না। টাইগারদের নিয়মিত উইকেট পতনের মধ্য দিয়ে হতাশাজনক ব্যাটিংয়ের জন্য অনুমেয় ফলাফলই দেখতে হয় ক্রিকেটপ্রেমীদের।
বাংলাদেশ দলের পরীক্ষামূলক ওপেনিং জুটি মেহেদী হাসান মিরাজ ও সাব্বির রহমান ২৬ বলে ২৫ রান যোগ করেন। মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়রের হাতে শিকার হওয়ার আগে মেহেদি ১১ বলে ১০ রান করেন।
১৪ রান করতে মেহেদির চেয়ে সাত বল বেশি খেলেন সাব্বির। ডানহাতি এই ব্যাটসম্যানের উইকেট নেন হারিস রউফ। রউফের ছোঁড়া বল সাব্বির লেগ সাইডে খেলতে গিয়ে একটু আগেই ব্যাট ঘুরিয়ে বলারের হাতেই বল পাঠিয়ে দেয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জার্সি অনলাইনে বিক্রির পরিকল্পনা বিসিবির
বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলে ফিরে আসা নিয়ে সাব্বির আবারও প্রশ্ন করার জায়গা তৈরি করলেন।
আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন লিটন দাস ও আফিফ হোসেন। তৃতীয় উইকেটে তারা ৫০ রান যোগ করলেও জুটি ভেঙে যাওয়ায় বেকায়দায় পড়তে হয় বাংলাদেশকে।
পরপর দুই বলে লিটন ও মোসাদ্দেককে সরিয়ে দেন মোহাম্মদ নেওয়াজ। নুরুল হাসান ছয় নম্বর উইকেটে খেলতে নেমে ৯ বলে মাত্র আট রান করেন।
ইয়াসির আলি ২১ বলে ৪২ রান করে অপরাজিত থাকেন। শেষ ওভারে হ্যারিসের বলিংয়ে আলি ২০ রান করলেও পরাজয় ঠেকাতে তা যথেষ্ট ছিল না।
পাকিস্তানের হয়ে ওয়াসিম জুনিয়র তিনটি ও নওয়াজ দুটি উইকেট নেন।
এর আগে,ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ান অপরাজিত ৭৮ রান পাকিস্তান বাংলাদেশের ১৬৭ রানের চ্যালেঞ্জিং টার্গেট এনে দিতে সক্ষম হয়।
আরও পড়ুন: নিউজিল্যান্ডের উদ্দেশে শুক্রবার ঢাকা ছাড়বে টাইগাররা
মোস্তাফিজুর রহমান ও হাসান মাহমুদ একটি উইকেটের বিনিময়ে আট ওভারে ৯০ রান দেন। এদিকে, ম্যাচটিতে তাসকিন আহমেদ ছিলেন অসাধারণ। চার ওভারে ২৫ রান দিয়ে দুটি উইকেট নেন তিনি।
টসে জিতে পাকিস্তানকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠায় বাংলাদেশ। মেহেদী হাসান মিরাজ ২৫ বলে ২২ রান করা বাবরকে সরিয়ে দেয়ার আগে রিজওয়ান ও বাবর আজমের ৫২ রানের ওপেনিং স্থায়ী ছিল।
পাকিস্তানের তিন নম্বর উইকেটে শান মাসুদ ২২ বলে ৩১ রান করেন। বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদের শিকার হন তিনি।
উইকেটের একপাশে রিজওয়ান শক্ত অবস্থানে থাকলেও অপরপাশ থেকে বাংলাদেশ উইকেট পাচ্ছিল। ম্যাচের অর্ধেক যেতে না যেতেই বাংলাদেশ হায়দার আলী (৬), ইফতিখার আহমেদ (১৩) ও আসিফ আলীর (৪) উইকেট নিজেদের দখলে নিয়ে আসে।
রবিবার বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টায় নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। এর আগে শনিবার স্বাগতিকদের মুখোমুখি হবে পাকিস্তান।
আরও পড়ুন: আরব আমিরাতের বিপক্ষে সিরিজ জিতল বাংলাদেশ
২ বছর আগে