সাগরিকা
অনূর্ধ্ব-১৯ নারী সাফ ফুটবলার সাগরিকার ঘর নির্মাণকাজের উদ্বোধন
দেশের কয়েকটি পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর সাফ অনুর্ধ্ব-১৯ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়ন দলের খেলোয়াড় সাগরিকাকে একটি পাকা ঘর তৈরি করে দিচ্ছে রাণীশংকৈল উপজেলা প্রশাসন।
রবিবার (১৭ মার্চ) দুপুরে সাগরিকার ঘর নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন উপজেলা চেয়ারম্যান শাহরিয়ার আজম মুন্না।
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার রাঙাটুঙ্গি গ্রামের দরিদ্র বাবা লিটন আলী ও মা আঞ্জুমান আরা বেগমের নবম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ে সাগরিকা।
আরও পড়ুন: অনূর্ধ্ব-১৯ নারী সাফ ফুটবলার সাগরিকার পরিবার পাচ্ছে নতুন বাড়ি
উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে ও প্রশাসনের সহযোগিতায় এ ঘর তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে মর্মে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রকিবুল হাসান জানান।
এ সময় উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান সোহেল রানা ও শেফালী বেগম, রাঙাটুঙ্গি প্রমিলা ফুটবল একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা-পরিচালক সাবেক অধ্যক্ষ তাজুল ইসলাম, পিআইও স্যামুয়েল মার্ডি, বীর মুক্তিযোদ্ধা রিয়াজুল ইসলাম ও হবিবর রহমান, সাগরিকার বাবা-মা ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: মহিলা ফুটবল: সাগরিকার হ্যাটট্রিকে ফরাশগঞ্জ এসসিকে ৪-০ গোলে হারাল এফসি ব্রাহ্মণবাড়িয়া
৯ মাস আগে
অনূর্ধ্ব-১৯ নারী সাফ ফুটবলার সাগরিকার পরিবার পাচ্ছে নতুন বাড়ি
দেশের কয়েকটি পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর অনূর্ধ্ব-১৯ নারী সাফ ফুটবল দলের খেলোয়াড় মোছাম্মত সাগরিকার পরিবার পাচ্ছে নতুন বাড়ি।
ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রকিবুল হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে সাগরিকার বাড়িতে তাকে দেখতে যান ইউএনও। এ সময় তার পরিবারের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন তিনি।
আরও পড়ুন: এটিজেএফবি এভিয়েট্যুর উইমেন্স আইকন অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন ১০ নারী
ইউএনও রকিবুল হাসান জানান, রাঙ্গাটুঙ্গি গ্রামে সাগরিকার বাড়ি। তাদের বাড়ির খুবই জনাজীর্ণ। তাই নতুন করে নির্মাণ করার জন্য জেলা প্রশাসনের নির্দেশে উপজেলা প্রশাসন নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা হয়েছে।
ইউএনও আরও জানান, উপজেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় সাগরিকার পরিবারকে নতুন করে দুই রুম বিশিষ্ট একটি বাড়ি নির্মাণ করে দেওয়া হবে। এরই মধ্যে রাজমিস্ত্রির সঙ্গে কথাও হয়েছে দ্রুত বাড়ি নির্মাণের জন্য।
নতুন ঘর পাওয়ার কথা শুনে খুশিতে কেঁদে ফেলেন সাগরিকার বাবা মোহাম্মদ লিটন আলী। তিনি জানান, তার মেয়ের কারণেই তিনি আজ নতুন বাড়ি পাচ্ছেন।
স্থানীয়রা জানান, রাণীশংকৈল-হরিপুর মহাসড়কের বাশরাইল এলাকা থেকে মহাসড়কের উত্তর দিক দিয়ে সরু পথ ধরে প্রায় আধা কিলোমিটার যেতেই সাগরিকার বাড়ি। বাড়ির প্রবেশপথে ছোট একটি দরজা। বাড়িটি কাশবনের বেড়া দিয়ে ঘেরা। ঘর দুইটি করা হয়েছে কাশবন আর বাঁশের বাতার বেড়া দিয়ে। ঘরের ছাউনি হিসেবে রয়েছে ছাপড়া টিন। বাড়িতে রয়েছে অস্বাস্থ্যকর শৌচাগার ও টিউবওয়েল।
আরও পড়ুন: মারা গেলেন নারী ফুটবল দলের খেলোয়াড় রাজিয়া সুলতানা
৯ মাস আগে
মহিলা ফুটবল: সাগরিকার হ্যাটট্রিকে ফরাশগঞ্জ এসসিকে ৪-০ গোলে হারাল এফসি ব্রাহ্মণবাড়িয়া
বসুন্ধরা গ্রুপ মহিলা ফুটবল লিগে সাগরিকার দুর্দান্ত হ্যাটট্রিকে এফসি ব্রাহ্মণবাড়িয়া ফরাশগঞ্জ স্পোর্টিং ক্লাবকে ৪-০ গোলে পরাজিত করেছে।
আরও পড়ুন: ২০২২ ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপ জার্সি অনলাইনে কোথায় পাবেন
বুধবার কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ শিপাহী মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে এই জয় পায় এফসি ব্রাহ্মণবাড়িয়া নারী ফুটবল দল।
রুবিনা ৫ম মিনিটে গোলের খাতা খোলার পরে সাগরিকা ১২তম, ৩৭তম এবং ৮৫তম মিনিটে লিগের প্রথম হ্যাটট্রিক করেন।
একই ভেন্যুতে কুমিল্লা ইউনাইটেড ক্লাব ও ঢাকা রেঞ্জার্স ফুটবল ক্লাবের মধ্যে দিনের অন্য ম্যাচটি গোলশূন্য ড্রয়ে শেষ হয়।
আরও পড়ুন: ২০২২ কাতার ফুটবল বিশ্বকাপের ১০টি অত্যাধুনিক প্রযুক্তি
সিরাজগঞ্জে ফুটবলার আঁখিকে ফের উষ্ণ সংবর্ধনা
২ বছর আগে
আশ্রয়ণ প্রকল্প: ‘এহন আমাগের দিন ঘুরতে শুরু করছে’
রেললাইনের বস্তিতে অনিশ্চিত জীবন কাটানো ইউনুস-সাগরিকা দম্পতির এখন পায়ের নিচে একটা শক্ত মাটি হয়েছে। মাত্র এক বছর হলো তার এই পরিবর্তন। এরইমধ্যে যেন নতুন একটি প্রাণ সঞ্চার হয়েছে তাদের মাঝে। একসময়ে অন্যের দোকানে দর্জির কারিগর হয়ে কাজ করা ইউনুছ এখন স্ত্রী সাগরিকাকেও এই দর্জির কাজে যুক্ত করে স্বপ্ন দেখছে ভাগ্য বদলের। সেই স্বপ্ন পূরণে ইতোমধ্যে বেশ এগিয়েও গেছেন তারা।
ইউনুছ মোল্যার বয়স এখন ৩৮। তার স্ত্রী সাগরিকার বয়স ৩০ এর মতো। ১২ বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। সংসারে ১০ বছরের একটি ছেলে শাহাদাত ও ৬ বছরের মেয়ে ইয়ানুর। তবে মেয়েটি একেবারেই শারিরীক প্রতিবন্ধী। বিছানাতেই শুয়ে থাকে সারাদিন। বসেও থাকতেও পারে না।
এই হতদরিদ্র ভূমিহীন দম্পতি থাকতো সদর উপজেলার মাচ্চর ইউনিয়নের খলিলপুরের রেলের জায়গায় গড়ে তোলা অন্যের একটি বস্তি ঘরে। ইউনুছ টেইলারের কারিগর ছিল। নিজের কোন সামর্থ্য ছিল না বলে পরের দোকানেই তাকে কাজ করতে হতো। তার বদলে যাওয়া জীবনের সন্ধিক্ষণ হয়ে আসে মুজিব শতবর্ষ।
এই দম্পতির জানায়, এমনভাবে তাদের জীবন বদলে যেতে পারে সেটি তারা ভাবতেও পারেননি। একদিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্যার এসে তাদের দেখে যান। এরপর বছরখানেক আগে তারা জানতে পারেন যে, সরকার তাদের দুরাবস্থার কথা জানতে পেরে তাদের একখণ্ড জমিসহ থাকার জন্য একটি পাঁকা ঘর তৈরি করে দিচ্ছেন।
‘জায়গা ও বাড়ি পাচ্ছি খবিরটি শুনে অবাক হইয়্যা গেছিলাম। পরে যখন সত্যি সত্যি ঘরে উঠলাম, সেইদিন থিক্যাই (থেকে) আমরা দু’জনে কইছিলাম যে, এখন কিছু একটা কইর্যা (করে) জীবনডারেই (জীবনকে) বদলায় ফ্যালাবো।’
এমন প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে সাগরিকা জানান, তার স্বামী ইউনুছ মোল্যা অসুস্থ্য ছিল। গ্রামের লোকজনের সাহায্য নিয়ে তার চিকিৎসাও করিয়েছেন ঢাকায় নিয়ে। তখন তারা পরের জায়গায় থাকতেন। নিজেদের ঘরদোর না থাকায় অনেক সমস্যা হতো। পরে যখন সরকার তাদের এই ঘরটা দিল তখন তারা চিন্তা করলেন যে, যেহেতু তার স্বামী অসুস্থ তাই আর বাইরে পরের দোকানে তার কাজ করার দরকার নেই। এরপর থেকেই তারা দুজনে দুটি সেলাই মেশিন জোগাড় করে ঘরেই দর্জির কাজ শুরু করেন।
পড়ুন: আশ্রয়ণ প্রকল্পের তৃতীয় ধাপে টেকসই ঘর পাবে প্রায় ৬৫,৪৭৪ পরিবার
২ বছর আগে