টেকনাফ
টেকনাফ সমুদ্রসৈকতে নিখোঁজ দুই শিশুর লাশ উদ্ধার
কক্সবাজারের টেকনাফ সমুদ্রসৈকতে গোসলে নেমে নিখোঁজ দুই শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) ভোরে তুলাতলী পয়েন্ট এবং লম্বরী পয়েন্ট থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহতরা হলেন- টেকনাফ সদর ইউনিয়নের খুনকার পাড়ার মো. নজির আহমদের ছেলে নজরুল ইসলাম (১২) ও একই এলাকার কোরবান আলীর ছেলে ইমরান হোসেন ওরফে বাবুল (১৩)।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে অজ্ঞাত যুবকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার
এর আগে রবিবার (২৪ নভেম্বর) সমুদ্রসৈকতে গোসলে নামে তিন শিশু। তাদের মধ্যে নুর কামালের (১০) লাশ উদ্ধার করা হয় ওই দিনই। সেময় ইমরান ও নজরুলকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি গিয়াস উদ্দিন জানান, টেকনাফ সমুদ্রসৈকতে নিখোঁজ দুই শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ভোরে পৃথক জায়গা থেকে তাদের লাশগুলো উদ্ধার করা হয়।
ওসি জানান, দুই শিশুর লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নওগাঁর মান্দায় ২ জনের লাশ উদ্ধার
৩ সপ্তাহ আগে
কক্সবাজার থেকে টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়ক ভ্রমণ গাইড
বাংলাদেশ পর্যটন শিল্পের সঙ্গে প্রতিধ্বনির মতোই ধ্বনিত হয় কক্সবাজারে অবস্থিত পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকতের কথা। বঙ্গোপসাগরের ফেনীল জলরাশিকে দৃষ্টি সীমায় রেখে এই সৈকত ধরে টেকনাফ পর্যন্ত রচনা করা যায় এক অতুলনীয় ভ্রমণের উপাখ্যান। বালুকাবেলার শুভ্রতার সঙ্গে সারি বেঁধে দাঁড়ানো ঝাউ গাছের গাড় সবুজ; এরই মাঝে হঠাৎ একঝাঁক দুধ রঙা পাখি যেন প্রকৃতির এক অদ্ভূত খেয়াল। এমন প্রাকৃতিক নৈসর্গকে প্রাণভরে উপভোগের জন্য এখন পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে সদ্য নির্মিত মেরিন ড্রাইভ। অপার সম্ভাবনাময় সড়কটি উপকূল ভ্রমণকে এক অপূর্ব মাত্রা দিয়েছে। চলুন, কক্সবাজার থেকে টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কপথটি দিয়ে সৈকত ভ্রমণের বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
মেরিন ড্রাইভ সড়কের অবস্থান
বিখ্যাত কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের পাশ দিয়ে টেকনাফ পর্যন্ত বিস্তৃত ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কটিই মেরিন ড্রাইভ। এর শুরু হয়েছে কক্সবাজারের কলাতলী মোড়ে আর শেষ হয়েছে টেকনাফের শাপলা চত্বরের জিরো পয়েন্টে।
মেরিন ড্রাইভের নির্মাণ ও তাৎপর্য
বাংলাদেশ সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধীনে এই দৃষ্টি নন্দন সড়কটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। ২০১৭ সালের ৬ মে সড়কটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়। ২০১৮-এর ২৬ জুন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সড়কটিকে সংরক্ষিত পর্যটন অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করে। শুধু পর্যটনই নয়, এই সড়ক নির্মাণের মধ্য দিয়ে দেশের কর্মসংস্থান বৃদ্ধি,পরিবহন খাতে উন্নতি এবং সামগ্রিকভাবে অর্থনৈতিক উন্নয়নের একটি মঞ্চ স্থাপিত হয়েছে।
আরো পড়ুন: থাইল্যান্ডের কোহ সামুই দ্বীপ ভ্রমণ: যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
ঢাকা থেকে কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভ যাওয়ার উপায়
এই সড়ক পরিদর্শনের জন্য প্রথমে সরাসরি কক্সবাজার চলে আসতে হবে। ঢাকার ফকিরাপুল, কলাবাগান, কল্যাণপুর, গাবতলী ও যাত্রাবাড়ী থেকে কক্সবাজারের নিয়মতি বাস রয়েছে। শ্রেণি ভেদে এগুলোর টিকিট মূল্য জনপ্রতি ৯০০ থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকা। বাস যোগে কক্সবাজার আসতে ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত সময় লাগে।
ট্রেনে আসার ক্ষেত্রে কমলাপুর কিংবা বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন থেকে সরাসরি কক্সবাজারের ট্রেন রয়েছে। সিটের ধরনভেদে যাত্রীপ্রতি ভাড়া পড়ে ৬৯৫ থেকে ২ হাজার ৩৮০ টাকা। আর কক্সবাজার পৌঁছতে সময় নেয় প্রায় ৯ ঘণ্টা।
আরও দ্রুততম সময়ে যাওয়ার জন্য রয়েছে সরাসরি কক্সবাজার ফ্লাইট ব্যবস্থা। প্লেন যাত্রার মাধ্যমে সর্বোচ্চ ১ ঘণ্টার মধ্যে গন্তব্যে পৌঁছা যায়।
কক্সবাজার পৌঁছার পর মেরিন ড্রাইভে যাওয়ার চাঁদের গাড়ি, ট্যুরিস্ট জিপ, ছাদ খোলা জিপও মাইক্রোবাস পাওয়া যাবে সুগন্ধা পয়েন্ট থেকে। পর্যটন মৌসুমের ওপর ভিত্তি করে এই পরিবহনগুলোর ভাড়া কম-বেশি হয়ে থাকে। বিশেষত অফ সিজনে চান্দের গাড়ি ভাড়া ৬ হাজার টাকা, সেখানে পিক টাইমগুলোতে পড়বে প্রায় ৭ হাজার টাকা। খোলা জিপ বা চান্দের গাড়িগুলোতে ১০ থেকে ১২ জন পর্যন্ত এক সঙ্গে যাওয়া যায়।
আরো পড়ুন: বান্দরবানের মিরিঞ্জা ভ্যালি ভ্রমণ: ঘুরে আসুন দ্বিতীয় সাজেক
পুরো মেরিন ড্রাইভ ঘুরে আসতে সময় লাগে প্রায় ৫ ঘণ্টা। সময় সংকুলান না হলে পুরোটা না ঘুরে হিমছড়ি বা ইনানী বিচ পর্যন্ত যেয়ে ফিরে আসা যেতে পারে।
৩ সপ্তাহ আগে
টেকনাফে ট্যাংক বিধ্বংসী রকেট হিট ও ফিন অ্যাসেম্বলি উদ্ধার
টেকনাফ সাবরাং এলাকা থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় চারটি ট্যাংক বিধ্বংসী তাজা ৪০ মিলিমিটার রকেট হিট ও চারটি ফিন অ্যাসেম্বলি উদ্ধার করেছে র্যাব-১৫।
কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) রাত ১টা ৩০ মিনিটে সিপিএসসি ক্যাম্পের একটি দল সাবরাং ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড উত্তর পাড়া মাঝের পাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে চারটি ট্যাংক বিধ্বংসী অবিস্ফোরিত সতেজ ৪০ মিমি রকেট হিট এবং চারটি ফিন অ্যাসেম্বলি সহ পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।’
তিনি জানান, উদ্ধার হওয়া অত্যাধুনিক অস্ত্র দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য একটি বড় হুমকি বলে ধারণা করা হয়।
মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘উদ্ধার হওয়া গোলাগুলোগুলো ১০ পদাতিক ডিভিশন, রামু সেনানিবাসের গ্রেনেড ফায়ারিং রেঞ্জের অভিজ্ঞ বম্ব ডিসপোজাল টিমের বিশেষজ্ঞদের দিয়ে ধ্বংস করা হয়েছে। পরবর্তী আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।’
৪ সপ্তাহ আগে
অপহরণের ২ দিন পর মুক্তি পেলেন টেকনাফের ৭ কৃষক ও ২ রোহিঙ্গা
কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে অপহৃত ৭ কৃষক ও ২ রোহিঙ্গাসহ ৯ জনকে অপহরণের ২ দিন পর ছেড়ে দিয়েছে অপহরণকারীরা।
পুলিশের দাবি, সোমবার (৪ নভেম্বর) সকালে অভিযানের কারণে অপহরণকারী চক্র এই ৯ জনকে ছেড়ে দেয়।
আরও পড়ুন: নাটোরে স্কুলছাত্রীকে অপহরণের দায়ে যুবককের কারাদণ্ড
অপহৃতরা হলেন- আনোয়ার ইসলাম, গিয়াস উদ্দিন, বেলাল উদ্দিন, আবু বকর, মুহাম্মদ আলম, কফিল ও নুরুল হোসেন। ২ রোহিঙ্গার পরিচয় পাওয়া যায়নি।
অন্যদিকে অপহরণের শিকার হওয়া ভিকটিম মো. আনোয়ার ইসলামের ভাই ছৈয়দ কামাল দাবি করেন, ২ লাখ ৭৪ হাজার টাকার বিনিময়ে ডাকাতের কবল থেকে বাড়িতে ফিরে এসেছেন অপহৃতরা।
কক্সবাজার জেলা পুলিশের তথ্য বলছে, গত এক বছরে টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে ১৪৫ জনের অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ৮৮ জন স্থানীয় বাসিন্দা এবং ৫৬ জন রোহিঙ্গা নাগরিক।
অপহরণের শিকার ব্যক্তিদের মধ্যে কমপক্ষে ৭৮ জন মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পেয়েছেন বলে ভুক্তভোগীদের পরিবার ও জনপ্রতিনিধিদের দাবি।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গিয়াস উদ্দিন বলেন, শনিবার অপহরণের বিষয়টি জানার পর পুলিশ উদ্ধার অভিযান শুরু করে। পুলিশ পাহাড়ে ধারাবাহিক অভিযান অব্যাহত রাখায় অপহরণকারী চক্রের সদস্যরা অপহৃতদের ছেড়ে দিয়েছে।
এরআগে শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের কানজরপাড়ার করাচিপাড়া পাহাড়ি এলাকা থেকে ওই নয়জনকে অপহরণ করা হয়।
আরও পড়ুন: সাজেক থেকে ফেরার পথে চালকসহ তিন পর্যটককে অপহরণের চেষ্টা
১ মাস আগে
মিয়ানমার থেকে ছোড়া গুলি পড়ছে টেকনাফে, স্থলবন্দরের কার্যক্রম বন্ধ
মিয়ানমারের সীমান্ত থেকে ছোড়া গুলি এসে পড়ছে টেকনাফ স্থলবন্দরে। তাই স্থলবন্দরের সব কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আদনান চৌধুরী।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২২৬
টেকনাফ স্থলবন্দরের ব্যবস্থাপক জসিম উদ্দিন জানান, ১৮ সেপ্টেম্বর বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে মিয়ানমার সীমান্ত এলাকা থেকে টেকনাফ স্থলবন্দরে পর পর ৩টি গুলি এসে পড়ে। একটি গুলি স্থলবন্দরের অফিসে এসে পড়লে অফিসের কাচ ভেঙে যায়। দ্বিতীয় গুলি এসে পড়ে স্থলবন্দরের মালামাল বহনকারী ট্রাকে। অপরটি নারিকেল গাছে এসে লাগে।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে ভয়াবহ বন্যায় ৭৪ জনের মৃত্যু, নিখোঁজ ৮৯
তিনি বলেন, স্থলবন্দরে কর্মরত সবার মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ভয়ে সবাই স্থলবন্দর থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যায়। আপাতত স্থলবন্দরের সব কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে।
মিয়ানমারের ওপারে তোতারদিয়া দ্বীপে দুই পক্ষের ব্যাপক সংঘর্ষের কারণে গত কয়েকদিন ধরে টেকনাফ স্থলবন্দরসহ সীমান্ত এলাকায় গুলি এসে পড়ছে বলে জানান স্থানীয়রা।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে সামরিক হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে নিহত ২
৩ মাস আগে
টেকনাফে সাড়ে ১১ কোটি টাকার স্বর্ণ জব্দ, মিয়ানমারের ২ নাগরিক আটক
কক্সবাজারের টেকনাফে স্বর্ণ পাচারের অভিযোগে মিয়ানমারের দুই নাগরিককে আটক করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১০ দশমিক ৫ কেজির স্বর্ণ জব্দের দাবি করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাতে টেকনাফ পৌরসভার অলিয়াবাদ থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটকেরা হলেন- মো. হাফিজুর রহমান (২৮) ও মো. আনোয়ার (৩০)।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন টেকনাফ ২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মহিউদ্দীন আহমেদ।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে ১৮১ ভরি স্বর্ণ জব্দ, আটক ১
তিনি জানান, মিয়ানমারের দুইজন নাগরিক পাচারের উদ্দেশ্যে টেকনাফ পৌরসভার অলিয়াবাদ এলাকায় অবস্থান করে। বিজিবির গোয়েন্দার মাধ্যমে খবর পেয়ে সেখানে অভিযান চালিয়ে ১০ কেজি ৫০০ গ্রাম স্বর্ণসহ মিয়ানমারের মুদ্রা ২ লাখ ২৯ হাজার ৫০০ কিয়াত এবং ১০টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
তিনি আরও জানান, জব্দ হওয়া স্বর্ণের আনুমানিক মূল্য ১১ কোটি ৫২ লাখ টাকা। এ সময় দুই যুবককে আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: বেনাপোল সীমান্তে ২ কোটি টাকার স্বর্ণ জব্দ, গ্রেপ্তার ১
৩ মাস আগে
টেকনাফে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে হাতির মৃত্যু
কক্সবাজারের টেকনাফে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে একটি বন্য হাতির মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (১৬ আগস্ট) ভোর ৫টার দিকে টেকনাফ বাহারছড়া ইউনিয়নের নোয়াখালী পাড়া কোনাপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
হাতিটির বয়স আনুমানিক ৫০ বছর এবং এটি একটি পুরুষ হাতি বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন খোকন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে হাতির আক্রমণে যুবক নিহত
তিনি জানান,পাহাড়ে খাদ্যের অভাবে কিছুদিন ধরে বুনো হাতি লোকালয়ে নেমে আসছে। আজকেও লোকালয়ে আসলে স্থানীয় মো. হোসাইন নামে একজনের ভিটাবাড়িতে থাকা গাছপালা নষ্ট করে খাদ্য খুঁজছিল,এসময় হাতিটি বৈদ্যুতিক তারের সংস্পর্শে গেলে এটির মৃত্যু হয়।
স্থানীয় মোহাম্মদ হোসাইন বলেন, খাবার সন্ধানে হাতিটা আমার ঘরের পাশে চলে আসে। হাতিটা খাবার না পেয়ে এদিক ওদিক ছোটাছুটি করে। এসময় আমার ঘরের বৈদ্যুতিক তারের সংস্পর্শে গেলে এটির মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে মহাসড়কের পাশ থেকে মৃত হাতি উদ্ধার
৪ মাস আগে
টেকনাফে ভারী বৃষ্টিতে ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি
কক্সবাজারের টেকনাফে ভারী বৃষ্টিতে চারটি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। এতে করে ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
এদিকে ভুক্তভোগীরা দাবি করছে খাল দখলের কারণে বৃষ্টির পানি সরতে না পারায় তাদের বাড়ি-ঘরে পানি প্রবেশ করেছে।
আরও পড়ুন: সারা দেশে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টির পূর্বাভাস
মঙ্গলবার রাত থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টি বুধবার পর্যন্ত অব্যাহত থাকায় চরম দুর্ভোগ ও ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ।
জানা যায়, ভারী বৃষ্টিতে টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের কানজর পাড়া, উলুবুনিয়া, উংচিপ্রাং, সাতঘড়িয়া পাড়া, হারাংখালী হ্নীলা ইউনিয়নের ছৈয়দ নুর পাড়া, সুলিশ পাড়া, পূর্ব সিকদার পাড়া, মৌলভী বাজার, ওয়াব্রাং, চৌধুরী পাড়া, রঙ্গিখালী লামার পাড়া, বাহারছড়া শামলাপুর ইউনিয়নের উত্তর শিলখালী, নতুন বাজার, পশ্চিম পাড়া, টেকনাফ পৌরসভার এলাকার বাড়ি-ঘরে পানি ঢুকেছে।
হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ আনোয়ারী বলেন, ‘আমার ইউনিয়নের উনছিপ্রাং, রইক্ষং, কানজর পাড়া, উলুবুনিয়া, সাতঘড়িয়া পাড়া ও হারাংখালী এলাকা ভারী বৃষ্টির ফলে পানিতে তলিয়ে গেছে। এ সময় অনেক বাড়ি-ঘর ভেঙে গেছে। আমি এসব এলাকা পরিদর্শন করেছি।’
হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলী বলেন, ভারী বৃষ্টিতে আমার ইউনিয়নের ছৈয়দ নুর পাড়া, সুলিশ পাড়া, পূর্ব সিকদার পাড়া, মৌলভীবাজার, ওয়াব্রাং, চৌধুরী পাড়া, রঙ্গিখালী লামার পাড়া প্লাবিত হয়েছে। এতে ১০ হাজারের বেশি মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। খাল দখলের কারণে বৃষ্টির পানি সরতে না পারায় তাদের বাড়ি-ঘরে পানি আটকে গেছে। এছাড়া পানি নিষ্কাশনে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
আরও পড়ুন: সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, পানিবন্দি মানুষের সংখ্যা বেড়ে ৭ লাখ
৬ মাস আগে
টেকনাফ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ছুরিকাঘাতে রোহিঙ্গা নিহত
কক্সবাজারের টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে নূর মোহাম্মদ নামে এক রোহিঙ্গা যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে টেকনাফের নয়াপাড়া রেজিস্টার্ড ক্যাম্পে ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই গ্রুপের গোলাগুলিতে ৫ রোহিঙ্গা নিহত
নিহত যুবকের নাম নূর মোহাম্মদ নয়াপাড়া ক্যাম্পের ডি ব্লকের বাসিন্দা।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গণি বলেন, নূর মোহাম্মদ নিজ বাসায় যাওয়ার সময় ডি ব্লক সংলগ্ন পানির ট্যাংকির সামনে পৌঁছালে দুর্বৃত্তরা তাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।
আশেপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে ক্যাম্প সংলগ্ন আইপিডি হাসপাতালে নিয়ে যায়। আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেন। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় তার মৃত্যু হয়।
লাশ ময়নাতদন্তের কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: উখিয়ায় আরসা-আরএসও 'বন্দুকযুদ্ধে' রোহিঙ্গা নিহত
সন্ত্রাসীদের গুলিতে দুই রোহিঙ্গা নিহত
৯ মাস আগে
টেকনাফে বাসের ধাক্কায় প্রাণ গেল দুই শিশুর
কক্সবাজারের টেকনাফে রাস্তা পার হওয়ার সময় বাসের ধাক্কায় দুই শিশু নিহত হয়েছে।
শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে টেকনাফের লেদা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত দুই শিশুর বয়স ৭-৮ বছর হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়েছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের পরিচয় জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
বিষয়টি নিশ্চিত করেন টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওসমান গনি।
তিনি বলেন, কক্সবাজার থেকে ছেড়ে আসা পায়রা পরিবহন নামে একটি বাস টেকনাফ শহরের দিকে যাচ্ছিল। এ সময় দুই শিশু সড়ক পার হাওয়ার চেষ্টা করে। বাসের গতি বেশি থাকায় ধাক্কা লেগে ঘটনাস্থলে তাদের মৃত্যু হয়।
ওসি বলেন, তাদের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে। বাসটি জব্দ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ইজিবাইকের ধাক্কায় শিশুর মৃত্যু
চাঁদপুরে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা, চলতি মাসে ২ শিশুর মৃত্যু
১০ মাস আগে