টেকনাফ
অপহরণের ২ দিন পর মুক্তি পেলেন টেকনাফের ৭ কৃষক ও ২ রোহিঙ্গা
কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে অপহৃত ৭ কৃষক ও ২ রোহিঙ্গাসহ ৯ জনকে অপহরণের ২ দিন পর ছেড়ে দিয়েছে অপহরণকারীরা।
পুলিশের দাবি, সোমবার (৪ নভেম্বর) সকালে অভিযানের কারণে অপহরণকারী চক্র এই ৯ জনকে ছেড়ে দেয়।
আরও পড়ুন: নাটোরে স্কুলছাত্রীকে অপহরণের দায়ে যুবককের কারাদণ্ড
অপহৃতরা হলেন- আনোয়ার ইসলাম, গিয়াস উদ্দিন, বেলাল উদ্দিন, আবু বকর, মুহাম্মদ আলম, কফিল ও নুরুল হোসেন। ২ রোহিঙ্গার পরিচয় পাওয়া যায়নি।
অন্যদিকে অপহরণের শিকার হওয়া ভিকটিম মো. আনোয়ার ইসলামের ভাই ছৈয়দ কামাল দাবি করেন, ২ লাখ ৭৪ হাজার টাকার বিনিময়ে ডাকাতের কবল থেকে বাড়িতে ফিরে এসেছেন অপহৃতরা।
কক্সবাজার জেলা পুলিশের তথ্য বলছে, গত এক বছরে টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে ১৪৫ জনের অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ৮৮ জন স্থানীয় বাসিন্দা এবং ৫৬ জন রোহিঙ্গা নাগরিক।
অপহরণের শিকার ব্যক্তিদের মধ্যে কমপক্ষে ৭৮ জন মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পেয়েছেন বলে ভুক্তভোগীদের পরিবার ও জনপ্রতিনিধিদের দাবি।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গিয়াস উদ্দিন বলেন, শনিবার অপহরণের বিষয়টি জানার পর পুলিশ উদ্ধার অভিযান শুরু করে। পুলিশ পাহাড়ে ধারাবাহিক অভিযান অব্যাহত রাখায় অপহরণকারী চক্রের সদস্যরা অপহৃতদের ছেড়ে দিয়েছে।
এরআগে শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের কানজরপাড়ার করাচিপাড়া পাহাড়ি এলাকা থেকে ওই নয়জনকে অপহরণ করা হয়।
আরও পড়ুন: সাজেক থেকে ফেরার পথে চালকসহ তিন পর্যটককে অপহরণের চেষ্টা
২ সপ্তাহ আগে
মিয়ানমার থেকে ছোড়া গুলি পড়ছে টেকনাফে, স্থলবন্দরের কার্যক্রম বন্ধ
মিয়ানমারের সীমান্ত থেকে ছোড়া গুলি এসে পড়ছে টেকনাফ স্থলবন্দরে। তাই স্থলবন্দরের সব কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আদনান চৌধুরী।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২২৬
টেকনাফ স্থলবন্দরের ব্যবস্থাপক জসিম উদ্দিন জানান, ১৮ সেপ্টেম্বর বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে মিয়ানমার সীমান্ত এলাকা থেকে টেকনাফ স্থলবন্দরে পর পর ৩টি গুলি এসে পড়ে। একটি গুলি স্থলবন্দরের অফিসে এসে পড়লে অফিসের কাচ ভেঙে যায়। দ্বিতীয় গুলি এসে পড়ে স্থলবন্দরের মালামাল বহনকারী ট্রাকে। অপরটি নারিকেল গাছে এসে লাগে।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে ভয়াবহ বন্যায় ৭৪ জনের মৃত্যু, নিখোঁজ ৮৯
তিনি বলেন, স্থলবন্দরে কর্মরত সবার মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ভয়ে সবাই স্থলবন্দর থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যায়। আপাতত স্থলবন্দরের সব কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে।
মিয়ানমারের ওপারে তোতারদিয়া দ্বীপে দুই পক্ষের ব্যাপক সংঘর্ষের কারণে গত কয়েকদিন ধরে টেকনাফ স্থলবন্দরসহ সীমান্ত এলাকায় গুলি এসে পড়ছে বলে জানান স্থানীয়রা।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে সামরিক হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে নিহত ২
২ মাস আগে
টেকনাফে সাড়ে ১১ কোটি টাকার স্বর্ণ জব্দ, মিয়ানমারের ২ নাগরিক আটক
কক্সবাজারের টেকনাফে স্বর্ণ পাচারের অভিযোগে মিয়ানমারের দুই নাগরিককে আটক করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১০ দশমিক ৫ কেজির স্বর্ণ জব্দের দাবি করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাতে টেকনাফ পৌরসভার অলিয়াবাদ থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটকেরা হলেন- মো. হাফিজুর রহমান (২৮) ও মো. আনোয়ার (৩০)।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন টেকনাফ ২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মহিউদ্দীন আহমেদ।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে ১৮১ ভরি স্বর্ণ জব্দ, আটক ১
তিনি জানান, মিয়ানমারের দুইজন নাগরিক পাচারের উদ্দেশ্যে টেকনাফ পৌরসভার অলিয়াবাদ এলাকায় অবস্থান করে। বিজিবির গোয়েন্দার মাধ্যমে খবর পেয়ে সেখানে অভিযান চালিয়ে ১০ কেজি ৫০০ গ্রাম স্বর্ণসহ মিয়ানমারের মুদ্রা ২ লাখ ২৯ হাজার ৫০০ কিয়াত এবং ১০টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
তিনি আরও জানান, জব্দ হওয়া স্বর্ণের আনুমানিক মূল্য ১১ কোটি ৫২ লাখ টাকা। এ সময় দুই যুবককে আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: বেনাপোল সীমান্তে ২ কোটি টাকার স্বর্ণ জব্দ, গ্রেপ্তার ১
২ মাস আগে
টেকনাফে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে হাতির মৃত্যু
কক্সবাজারের টেকনাফে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে একটি বন্য হাতির মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (১৬ আগস্ট) ভোর ৫টার দিকে টেকনাফ বাহারছড়া ইউনিয়নের নোয়াখালী পাড়া কোনাপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
হাতিটির বয়স আনুমানিক ৫০ বছর এবং এটি একটি পুরুষ হাতি বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন খোকন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে হাতির আক্রমণে যুবক নিহত
তিনি জানান,পাহাড়ে খাদ্যের অভাবে কিছুদিন ধরে বুনো হাতি লোকালয়ে নেমে আসছে। আজকেও লোকালয়ে আসলে স্থানীয় মো. হোসাইন নামে একজনের ভিটাবাড়িতে থাকা গাছপালা নষ্ট করে খাদ্য খুঁজছিল,এসময় হাতিটি বৈদ্যুতিক তারের সংস্পর্শে গেলে এটির মৃত্যু হয়।
স্থানীয় মোহাম্মদ হোসাইন বলেন, খাবার সন্ধানে হাতিটা আমার ঘরের পাশে চলে আসে। হাতিটা খাবার না পেয়ে এদিক ওদিক ছোটাছুটি করে। এসময় আমার ঘরের বৈদ্যুতিক তারের সংস্পর্শে গেলে এটির মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে মহাসড়কের পাশ থেকে মৃত হাতি উদ্ধার
৩ মাস আগে
টেকনাফে ভারী বৃষ্টিতে ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি
কক্সবাজারের টেকনাফে ভারী বৃষ্টিতে চারটি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। এতে করে ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
এদিকে ভুক্তভোগীরা দাবি করছে খাল দখলের কারণে বৃষ্টির পানি সরতে না পারায় তাদের বাড়ি-ঘরে পানি প্রবেশ করেছে।
আরও পড়ুন: সারা দেশে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টির পূর্বাভাস
মঙ্গলবার রাত থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টি বুধবার পর্যন্ত অব্যাহত থাকায় চরম দুর্ভোগ ও ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ।
জানা যায়, ভারী বৃষ্টিতে টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের কানজর পাড়া, উলুবুনিয়া, উংচিপ্রাং, সাতঘড়িয়া পাড়া, হারাংখালী হ্নীলা ইউনিয়নের ছৈয়দ নুর পাড়া, সুলিশ পাড়া, পূর্ব সিকদার পাড়া, মৌলভী বাজার, ওয়াব্রাং, চৌধুরী পাড়া, রঙ্গিখালী লামার পাড়া, বাহারছড়া শামলাপুর ইউনিয়নের উত্তর শিলখালী, নতুন বাজার, পশ্চিম পাড়া, টেকনাফ পৌরসভার এলাকার বাড়ি-ঘরে পানি ঢুকেছে।
হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ আনোয়ারী বলেন, ‘আমার ইউনিয়নের উনছিপ্রাং, রইক্ষং, কানজর পাড়া, উলুবুনিয়া, সাতঘড়িয়া পাড়া ও হারাংখালী এলাকা ভারী বৃষ্টির ফলে পানিতে তলিয়ে গেছে। এ সময় অনেক বাড়ি-ঘর ভেঙে গেছে। আমি এসব এলাকা পরিদর্শন করেছি।’
হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলী বলেন, ভারী বৃষ্টিতে আমার ইউনিয়নের ছৈয়দ নুর পাড়া, সুলিশ পাড়া, পূর্ব সিকদার পাড়া, মৌলভীবাজার, ওয়াব্রাং, চৌধুরী পাড়া, রঙ্গিখালী লামার পাড়া প্লাবিত হয়েছে। এতে ১০ হাজারের বেশি মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। খাল দখলের কারণে বৃষ্টির পানি সরতে না পারায় তাদের বাড়ি-ঘরে পানি আটকে গেছে। এছাড়া পানি নিষ্কাশনে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
আরও পড়ুন: সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, পানিবন্দি মানুষের সংখ্যা বেড়ে ৭ লাখ
৫ মাস আগে
টেকনাফ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ছুরিকাঘাতে রোহিঙ্গা নিহত
কক্সবাজারের টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে নূর মোহাম্মদ নামে এক রোহিঙ্গা যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে টেকনাফের নয়াপাড়া রেজিস্টার্ড ক্যাম্পে ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই গ্রুপের গোলাগুলিতে ৫ রোহিঙ্গা নিহত
নিহত যুবকের নাম নূর মোহাম্মদ নয়াপাড়া ক্যাম্পের ডি ব্লকের বাসিন্দা।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গণি বলেন, নূর মোহাম্মদ নিজ বাসায় যাওয়ার সময় ডি ব্লক সংলগ্ন পানির ট্যাংকির সামনে পৌঁছালে দুর্বৃত্তরা তাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।
আশেপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে ক্যাম্প সংলগ্ন আইপিডি হাসপাতালে নিয়ে যায়। আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেন। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় তার মৃত্যু হয়।
লাশ ময়নাতদন্তের কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: উখিয়ায় আরসা-আরএসও 'বন্দুকযুদ্ধে' রোহিঙ্গা নিহত
সন্ত্রাসীদের গুলিতে দুই রোহিঙ্গা নিহত
৮ মাস আগে
টেকনাফে বাসের ধাক্কায় প্রাণ গেল দুই শিশুর
কক্সবাজারের টেকনাফে রাস্তা পার হওয়ার সময় বাসের ধাক্কায় দুই শিশু নিহত হয়েছে।
শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে টেকনাফের লেদা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত দুই শিশুর বয়স ৭-৮ বছর হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়েছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের পরিচয় জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
বিষয়টি নিশ্চিত করেন টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওসমান গনি।
তিনি বলেন, কক্সবাজার থেকে ছেড়ে আসা পায়রা পরিবহন নামে একটি বাস টেকনাফ শহরের দিকে যাচ্ছিল। এ সময় দুই শিশু সড়ক পার হাওয়ার চেষ্টা করে। বাসের গতি বেশি থাকায় ধাক্কা লেগে ঘটনাস্থলে তাদের মৃত্যু হয়।
ওসি বলেন, তাদের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে। বাসটি জব্দ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ইজিবাইকের ধাক্কায় শিশুর মৃত্যু
চাঁদপুরে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা, চলতি মাসে ২ শিশুর মৃত্যু
৯ মাস আগে
মিয়ানমার সীমান্তে অস্থিরতা: অনির্দিষ্টকালের জন্য টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ
কক্সবাজারের টেকনাফ অংশে মিয়ানমার সীমান্তে অস্থিরতা বিরাজ করায় নিরাপত্তার কারণে ১০ ফেব্রুয়ারি হতে টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) ইয়ামিন হোসেন।
তিনি বলেন, নিরাপত্তার স্বার্থে ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে সেন্টমার্টিনে নৌপথে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আদনান চৌধুরী বলেন, নিরাপত্তা কারণে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত টেকনাফ হতে সেন্টমার্টিনগামী সব পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে শুক্রবার পর্যন্ত সব জাহাজ চলাচল করবে।
তিনি আরও বলেন, টেকনাফ থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকলেও চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার হতে চলাচলকারী জাহাজ চলাচল অব্যাহত থাকবে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে ঘন কুয়াশায় লঞ্চে কার্গো জাহাজের ধাক্কা, নিখোঁজ ১
শিবসা নদীতে ফ্লাইঅ্যাশবোঝাই জাহাজডুবি, ১২ নাবিক উদ্ধার
৯ মাস আগে
সেন্টমার্টিনে আটকে পড়া পর্যটকরা টেকনাফে ফিরেছেন
বৈরী আবহাওয়া কেটে যাওয়ায় সেন্টমার্টিনে আটকে পড়া ৪০০ পর্যটক অবশেষে দুই দিন পর টেকনাফে ফিরে এসেছেন।
শনিবার (১৮ নভেম্বর) বিকালে কেয়ারী সিন্দবাদ জাহাজে করে নিরাপদে টেকনাফ পৌঁছান বলে জানিয়েছেন সি-ক্রোজ অপারেটর ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক হোসাইনুল ইসলাম বাহাদুর।
তিনি বলেন, বৈরী আবহাওয়া কেটে যাওয়ায় শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় কেয়ারী সিন্দবাদ জাহাজ টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে রওনা দেয়। পরে বেলা সাড়ে ১১টায় সেন্টমার্টিনের জেটি ঘাটে পৌঁছায় জাহাজ। এরপর বিকাল ৩টায় আটকে পড়া ৪ শতাধিক অন্যান্য পর্যটকদের নিয়ে বিকাল ৫টায় টেকনাফ দমদমিয়া ঘাটে পৌঁছায় জাহাজটি।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ: পর্যটকদের সেন্টমার্টিন ছাড়ার নির্দেশ
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, আবহাওয়া স্বাভাবিক হওয়ায় সেন্টমার্টিনে আটকা পড়া পর্যটকদের ফেরাতে একটি জাহাজ সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। সেই জাহাজে করে দ্বীপে আটকা পড়া পর্যটকরা ফিরে আসেন।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, দ্বীপে আটকে পড়া পর্যটকরা ৩টার দিকে দ্বীপ থেকে টেকনাফের উদ্দেশে রওনা দেয়। তারা এতক্ষণে টেকনাফে পৌঁছানোর কথা।
উল্লেখ্য, গত বুধবার (১৬ নভেম্বর) নিম্নচাপের প্রভাবে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত জারি করায় টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে জাহাজসহ সকল নৌযান চলাচল বন্ধ করে দেয় উপজেলা প্রশাসন।
শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) বিকালে আবহাওয়া অধিদপ্তর সতর্ক সংকেত প্রত্যাহার করে নেয়। ফলে শনিবার সকালে পুনরায় জাহাজ চলাচল শুরু হয়।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ: সেন্টমার্টিনে আটকা পড়েছেন শতাধিক পর্যটক
১ বছর আগে
টেকনাফে মাটির দেয়াল ধসে একই পরিবারের ৪ জন নিহত
কক্সবাজারের টেকনাফ হ্নীলা মৌলভীবাজার এলাকায় মাটির দেয়াল ধসে একই পরিবারের চারজনের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১১৬ নভেম্বর) দিবাগত রাত ২টার দিকে উপজেলা হ্নীলা মৌলভীবাজার মরিচ্যা ঘোনার পানিরছড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দেয়াল ধসে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলী।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পাহাড় ও দেয়াল ধসে প্রাণ গেল চারজনের
নিহতরা হলেন, আনোয়ারা বেগম (৫০), ছেলে শাহিদুল মোস্তফা (২০), মেয়ে নিলুফা ইয়াছমিন (১৫) ও সাদিয়া (১১)।
ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলী বলেন,বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়। মৌলভীবাজার মরিচ্যা ঘোনা এলাকার আনোয়ারা বেগম তার ছেলে-মেয়েদের নিয়ে রাতের খাবার শেষে তাদের মাটির তৈরি ঘরে স্ত্রীকে নিয়ে ঘুমাতে যান। রাতে প্রচণ্ড বৃষ্টিতে ঘরের মাটির দেয়াল ধসে তাদের ওপর পড়ে। ঘটনাস্থলেই ৪ জনের মৃত্যু হয়। শুক্রবার সকালে স্থানীয়রা বিষয়টি টের পেয়ে তাদের লাশ উদ্ধার করে।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওসমান গণি বলেন, পুলিশ টিম ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করেছে।
আরও পড়ুন: বাঁশখালীতে অতি বৃষ্টিতে ঘরের দেয়াল ধসে শিশুর মৃত্যু
১ বছর আগে