টেকনাফ
টেকনাফে রোহিঙ্গাদের নৌকাডুবি: নিখোঁজ বিজিবি সদস্যের লাশ উদ্ধার
টেকনাফে অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের নিয়ে ডুবে যাওয়া নৌকা উদ্ধারের সময় সাগরে নিখোঁজ বিজিবি সদস্য সিপাহি মোহাম্মদ বেলালের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
রবিবার (২৩ মার্চ) লাশটি উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বিজিবি।
বেলাল টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ সীমান্ত ফাঁড়িতে কর্মরত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নাফ নদী থেকে ৪ রোহিঙ্গার লাশ উদ্ধার, বিজিবি সদস্য নিখোঁজ
বিজিবির বরাত দিয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ এহসান উদ্দিন জানান, বেলালের সঙ্গে থাকা একটি রাইফেলস ও চারটি ম্যাগাজিনও নিখোঁজ হয়েছে।
এর আগে, শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাতে শাহপরীর দ্বীপের পশ্চিমে অবৈধ অনুপ্রবেশের সময় রোহিঙ্গাদের বহনকারী একটি ট্রলার ডুবে যায়। এতে ২৪ জন রোহিঙ্গাকে জীবিত উদ্ধার করে বিজিবি। এ সময় নিখোঁজ হন বিজিবি সদস্য বেলাল।
পরে শনিবার সন্ধ্যায় টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ ও দমদমিয়াস্থ নাফ নদীর মোহনায় চার রোহিঙ্গার লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা। এদের মধ্যে এক শিশু ও তিনজন নারী। পরবর্তীতে স্থানীয়দের সহায়তায় লাশ উদ্ধার করে বিজিবি।
২৫ দিন আগে
টেকনাফে ৬৯টি বোমা ও তৈরির সরঞ্জামসহ আটক ২
কক্সবাজারে ৬৯টি হাতবোমা ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম জব্দসহ দুজনকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ভোরে টেকনাফ উপজেলা হ্নীলা ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী ফুলের ডেইল এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
আটকরা হলেন— চাঁদপুরের মতলব উত্তর থানার নবুরকান্দি গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে মো. সম্রাট প্রধান ও নারায়ণগঞ্জ বন্দর থানার দক্ষিণ গারমোরা গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে মো. অন্তর।
আরও পড়ুন: বন্ধুকে হত্যা মামলার প্রায় ১০ বছর পর যুবককে আটকাদেশ
টেকনাফ ২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান বলেন, ‘হ্নীলা ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী ফুলের ডেইল এলাকায় পরিত্যক্ত একটি বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় ৬৯টি হাতবোমা, ১ কেজি ৬০০ গ্রাম সালফার, ১ কেজি ৩০০ গ্রাম লালা, ৩১টি জর্দার কৌটা, ২২০ গ্রাম গুনা তার ও ১টি প্লাস জব্দ করা হয়। সেইসঙ্গে দুজনকে আটক করা হয়।’
তিনি বলেন, ‘আটকদের জব্দকৃত বোমা ও সরঞ্জামাদিসহ নিয়মিত মামলার মাধ্যমে টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করার কার্যক্রম চলছে। এছাড়া পলাতক ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে এবং বাড়ির মালিকের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
৫৯ দিন আগে
টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুনে শিশুর মৃত্যু
কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৫ বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া শতাধিক বাড়িঘর পুড়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ১২টার দিকে টেকনাফের নয়াপাড়া মৌচনি ক্যাম্পের জি-ব্লকে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
টেকনাফের নয়াপাড়া ক্যাম্পের ইনচার্জ আবদুল হান্নান বলেন, ‘ক্যাম্পে আগুন লাগলে মুহুর্তেই আশেপাশে ছড়িয়ে পড়ে। ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে চারপাশ। এ সময় আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয় ৫ বছর বয়সী এক শিশুর।’
আরও পড়ুন: সেন্টমার্টিনে আগুনে পুড়ে গেছে ৩ রিসোর্ট
এছাড়া মৃত শিশুর পরিচয় এখনও জানা যায়নি বলেও জানান তিনি।
১৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক মোহাম্মদ কাউসার সিকদার বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ও রোহিঙ্গাদের এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও পুড়ে গেছে শতাধিক বাড়িঘর। এছাড়াও আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দেয় এপিবিএন পুলিশ।’
৯০ দিন আগে
২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে টেকনাফে ৭ জনকে অপহরণ
মাত্র ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে আবারও কক্সবাজারের টেকনাফে থেকে সাতজনকে অপহরণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে হোয়াইক্যং-শামলাপুর সড়ক থেকে দুইটি সিএনজি অটোরিকশার চালকসহ তাদের অপহরণ করা হয়।
শামলাপুর সিএনজি অটোরিকশার লাইনম্যান আব্দুর রহিম জানান, হোয়াইক্যং থেকে আসা শামলাপুরগামী দুটি সিএনজি (অটোরিকশা) হোয়াইক্যং-শামলাপুর সড়কের ঢালা থেকে ডাকাতদলের সদস্যরা সিএনজি চালকসহ আনুমানিক সাতজনকে অপহরণ করেছে।
তিনি আরও বলেন, ডাকাতদল সিএনজি (অটোরিকশার) দুটির গ্লাস ভেঙে দেয়। এ ঘটনার খবর পেয়ে বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে অপহৃতদের নাম-ঠিকানা পাওয়া যায়নি।
বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) (পরিদর্শক) শোভন কুমার শাহা বলেন, ‘হোয়াইক্যং-শামলাপুর সড়কে দুইটি সিএনজি (অটোরিকশা) থেকে চালকসহ যাত্রী অপহরণের ঘটনা শুনে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে পৌঁছে অপহৃতদের উদ্ধারে চেষ্টা চালাচ্ছি।‘
তিনি বলেন, কতজনকে অপহরণ করা হয়েছে সেটার সঠিক তথ্য এখনও জানা যায়নি। তবে ঘটনাস্থল থেকে সিএনজি দুইটি উদ্ধার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: টেকনাফে ১৯ বনকর্মী অপহরণ
এর আগে সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে টেকনাফের জাদিমুড়া পাহাড়ে বন বিভাগের কাজ করতে গিয়ে রোহিঙ্গা ও স্থানীয় শ্রমিকসহ ১৭ জন অপহরণের শিকার হয়েছেন। এখনও তাদেরকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
অপহৃতদের কাছ থেকে ১ লাখ করে মুক্তিপণ দাবি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তাদের পরিবার। সকাল থেকে পুলিশ, র্যাব ও বনবিভাগের কর্মীরা হ্নীলার রঙ্গিখালী হয়ে অপহৃতদের উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে।
১০৬ দিন আগে
টেকনাফে ১৯ বনকর্মী অপহরণ
কক্সবাজারের টেকনাফে ১৯ বনকর্মীকে অপহরণ করা হয়েছে। সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে টেকনাফ জাদিমুড়ার পশ্চিমে এই অপহরণের ঘটনা ঘটে।
অপহৃতরা হলেন- আইয়ুব খান, আইয়ুব আলী, আনসার উল্ল্যাহ, আয়াত উল্ল্যাহ, সামছু, ইসলাম, সামছু, ইসমাইল, মোহাম্মদ হাসিম, নূর মোহাম্মদ, সৈয়দ আমিন, সফি উল্ল্যাহ, আইয়ুব, মাহাতা আমিন, সাইফুল ইসলাম, সৈয়দ ও রফিক। বাকি দুইজনের নাম পাওয়া যায়নি।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ এহসান উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘বনবিভাগের ১৯ জন কর্মী সকালে পাহাড়ে কাজ করতে যায়। এ সময় তাদের কিছু লোক ধরে নিয়ে যাওয়ার খবর পেয়েছি। তাদের উদ্ধারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে।’
আরও পড়ুন: অপহরণের ২ দিন পর মুক্তি পেলেন টেকনাফের ৭ কৃষক ও ২ রোহিঙ্গা
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘অপহরণের শিকার বনবিভাগের ১৯ জন শ্রমিককে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আছে।’
১০৭ দিন আগে
টেকনাফ সমুদ্রসৈকতে নিখোঁজ দুই শিশুর লাশ উদ্ধার
কক্সবাজারের টেকনাফ সমুদ্রসৈকতে গোসলে নেমে নিখোঁজ দুই শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) ভোরে তুলাতলী পয়েন্ট এবং লম্বরী পয়েন্ট থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহতরা হলেন- টেকনাফ সদর ইউনিয়নের খুনকার পাড়ার মো. নজির আহমদের ছেলে নজরুল ইসলাম (১২) ও একই এলাকার কোরবান আলীর ছেলে ইমরান হোসেন ওরফে বাবুল (১৩)।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে অজ্ঞাত যুবকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার
এর আগে রবিবার (২৪ নভেম্বর) সমুদ্রসৈকতে গোসলে নামে তিন শিশু। তাদের মধ্যে নুর কামালের (১০) লাশ উদ্ধার করা হয় ওই দিনই। সেময় ইমরান ও নজরুলকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি গিয়াস উদ্দিন জানান, টেকনাফ সমুদ্রসৈকতে নিখোঁজ দুই শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ভোরে পৃথক জায়গা থেকে তাদের লাশগুলো উদ্ধার করা হয়।
ওসি জানান, দুই শিশুর লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নওগাঁর মান্দায় ২ জনের লাশ উদ্ধার
১৪৩ দিন আগে
কক্সবাজার থেকে টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়ক ভ্রমণ গাইড
বাংলাদেশ পর্যটন শিল্পের সঙ্গে প্রতিধ্বনির মতোই ধ্বনিত হয় কক্সবাজারে অবস্থিত পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকতের কথা। বঙ্গোপসাগরের ফেনীল জলরাশিকে দৃষ্টি সীমায় রেখে এই সৈকত ধরে টেকনাফ পর্যন্ত রচনা করা যায় এক অতুলনীয় ভ্রমণের উপাখ্যান। বালুকাবেলার শুভ্রতার সঙ্গে সারি বেঁধে দাঁড়ানো ঝাউ গাছের গাড় সবুজ; এরই মাঝে হঠাৎ একঝাঁক দুধ রঙা পাখি যেন প্রকৃতির এক অদ্ভূত খেয়াল। এমন প্রাকৃতিক নৈসর্গকে প্রাণভরে উপভোগের জন্য এখন পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে সদ্য নির্মিত মেরিন ড্রাইভ। অপার সম্ভাবনাময় সড়কটি উপকূল ভ্রমণকে এক অপূর্ব মাত্রা দিয়েছে। চলুন, কক্সবাজার থেকে টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কপথটি দিয়ে সৈকত ভ্রমণের বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
মেরিন ড্রাইভ সড়কের অবস্থান
বিখ্যাত কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের পাশ দিয়ে টেকনাফ পর্যন্ত বিস্তৃত ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কটিই মেরিন ড্রাইভ। এর শুরু হয়েছে কক্সবাজারের কলাতলী মোড়ে আর শেষ হয়েছে টেকনাফের শাপলা চত্বরের জিরো পয়েন্টে।
মেরিন ড্রাইভের নির্মাণ ও তাৎপর্য
বাংলাদেশ সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধীনে এই দৃষ্টি নন্দন সড়কটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। ২০১৭ সালের ৬ মে সড়কটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়। ২০১৮-এর ২৬ জুন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সড়কটিকে সংরক্ষিত পর্যটন অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করে। শুধু পর্যটনই নয়, এই সড়ক নির্মাণের মধ্য দিয়ে দেশের কর্মসংস্থান বৃদ্ধি,পরিবহন খাতে উন্নতি এবং সামগ্রিকভাবে অর্থনৈতিক উন্নয়নের একটি মঞ্চ স্থাপিত হয়েছে।
আরো পড়ুন: থাইল্যান্ডের কোহ সামুই দ্বীপ ভ্রমণ: যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
ঢাকা থেকে কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভ যাওয়ার উপায়
এই সড়ক পরিদর্শনের জন্য প্রথমে সরাসরি কক্সবাজার চলে আসতে হবে। ঢাকার ফকিরাপুল, কলাবাগান, কল্যাণপুর, গাবতলী ও যাত্রাবাড়ী থেকে কক্সবাজারের নিয়মতি বাস রয়েছে। শ্রেণি ভেদে এগুলোর টিকিট মূল্য জনপ্রতি ৯০০ থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকা। বাস যোগে কক্সবাজার আসতে ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত সময় লাগে।
ট্রেনে আসার ক্ষেত্রে কমলাপুর কিংবা বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন থেকে সরাসরি কক্সবাজারের ট্রেন রয়েছে। সিটের ধরনভেদে যাত্রীপ্রতি ভাড়া পড়ে ৬৯৫ থেকে ২ হাজার ৩৮০ টাকা। আর কক্সবাজার পৌঁছতে সময় নেয় প্রায় ৯ ঘণ্টা।
আরও দ্রুততম সময়ে যাওয়ার জন্য রয়েছে সরাসরি কক্সবাজার ফ্লাইট ব্যবস্থা। প্লেন যাত্রার মাধ্যমে সর্বোচ্চ ১ ঘণ্টার মধ্যে গন্তব্যে পৌঁছা যায়।
কক্সবাজার পৌঁছার পর মেরিন ড্রাইভে যাওয়ার চাঁদের গাড়ি, ট্যুরিস্ট জিপ, ছাদ খোলা জিপও মাইক্রোবাস পাওয়া যাবে সুগন্ধা পয়েন্ট থেকে। পর্যটন মৌসুমের ওপর ভিত্তি করে এই পরিবহনগুলোর ভাড়া কম-বেশি হয়ে থাকে। বিশেষত অফ সিজনে চান্দের গাড়ি ভাড়া ৬ হাজার টাকা, সেখানে পিক টাইমগুলোতে পড়বে প্রায় ৭ হাজার টাকা। খোলা জিপ বা চান্দের গাড়িগুলোতে ১০ থেকে ১২ জন পর্যন্ত এক সঙ্গে যাওয়া যায়।
আরো পড়ুন: বান্দরবানের মিরিঞ্জা ভ্যালি ভ্রমণ: ঘুরে আসুন দ্বিতীয় সাজেক
পুরো মেরিন ড্রাইভ ঘুরে আসতে সময় লাগে প্রায় ৫ ঘণ্টা। সময় সংকুলান না হলে পুরোটা না ঘুরে হিমছড়ি বা ইনানী বিচ পর্যন্ত যেয়ে ফিরে আসা যেতে পারে।
১৪৩ দিন আগে
টেকনাফে ট্যাংক বিধ্বংসী রকেট হিট ও ফিন অ্যাসেম্বলি উদ্ধার
টেকনাফ সাবরাং এলাকা থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় চারটি ট্যাংক বিধ্বংসী তাজা ৪০ মিলিমিটার রকেট হিট ও চারটি ফিন অ্যাসেম্বলি উদ্ধার করেছে র্যাব-১৫।
কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) রাত ১টা ৩০ মিনিটে সিপিএসসি ক্যাম্পের একটি দল সাবরাং ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড উত্তর পাড়া মাঝের পাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে চারটি ট্যাংক বিধ্বংসী অবিস্ফোরিত সতেজ ৪০ মিমি রকেট হিট এবং চারটি ফিন অ্যাসেম্বলি সহ পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।’
তিনি জানান, উদ্ধার হওয়া অত্যাধুনিক অস্ত্র দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য একটি বড় হুমকি বলে ধারণা করা হয়।
মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘উদ্ধার হওয়া গোলাগুলোগুলো ১০ পদাতিক ডিভিশন, রামু সেনানিবাসের গ্রেনেড ফায়ারিং রেঞ্জের অভিজ্ঞ বম্ব ডিসপোজাল টিমের বিশেষজ্ঞদের দিয়ে ধ্বংস করা হয়েছে। পরবর্তী আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।’
১৪৫ দিন আগে
অপহরণের ২ দিন পর মুক্তি পেলেন টেকনাফের ৭ কৃষক ও ২ রোহিঙ্গা
কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে অপহৃত ৭ কৃষক ও ২ রোহিঙ্গাসহ ৯ জনকে অপহরণের ২ দিন পর ছেড়ে দিয়েছে অপহরণকারীরা।
পুলিশের দাবি, সোমবার (৪ নভেম্বর) সকালে অভিযানের কারণে অপহরণকারী চক্র এই ৯ জনকে ছেড়ে দেয়।
আরও পড়ুন: নাটোরে স্কুলছাত্রীকে অপহরণের দায়ে যুবককের কারাদণ্ড
অপহৃতরা হলেন- আনোয়ার ইসলাম, গিয়াস উদ্দিন, বেলাল উদ্দিন, আবু বকর, মুহাম্মদ আলম, কফিল ও নুরুল হোসেন। ২ রোহিঙ্গার পরিচয় পাওয়া যায়নি।
অন্যদিকে অপহরণের শিকার হওয়া ভিকটিম মো. আনোয়ার ইসলামের ভাই ছৈয়দ কামাল দাবি করেন, ২ লাখ ৭৪ হাজার টাকার বিনিময়ে ডাকাতের কবল থেকে বাড়িতে ফিরে এসেছেন অপহৃতরা।
কক্সবাজার জেলা পুলিশের তথ্য বলছে, গত এক বছরে টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে ১৪৫ জনের অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ৮৮ জন স্থানীয় বাসিন্দা এবং ৫৬ জন রোহিঙ্গা নাগরিক।
অপহরণের শিকার ব্যক্তিদের মধ্যে কমপক্ষে ৭৮ জন মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পেয়েছেন বলে ভুক্তভোগীদের পরিবার ও জনপ্রতিনিধিদের দাবি।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গিয়াস উদ্দিন বলেন, শনিবার অপহরণের বিষয়টি জানার পর পুলিশ উদ্ধার অভিযান শুরু করে। পুলিশ পাহাড়ে ধারাবাহিক অভিযান অব্যাহত রাখায় অপহরণকারী চক্রের সদস্যরা অপহৃতদের ছেড়ে দিয়েছে।
এরআগে শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের কানজরপাড়ার করাচিপাড়া পাহাড়ি এলাকা থেকে ওই নয়জনকে অপহরণ করা হয়।
আরও পড়ুন: সাজেক থেকে ফেরার পথে চালকসহ তিন পর্যটককে অপহরণের চেষ্টা
১৬৩ দিন আগে
মিয়ানমার থেকে ছোড়া গুলি পড়ছে টেকনাফে, স্থলবন্দরের কার্যক্রম বন্ধ
মিয়ানমারের সীমান্ত থেকে ছোড়া গুলি এসে পড়ছে টেকনাফ স্থলবন্দরে। তাই স্থলবন্দরের সব কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আদনান চৌধুরী।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২২৬
টেকনাফ স্থলবন্দরের ব্যবস্থাপক জসিম উদ্দিন জানান, ১৮ সেপ্টেম্বর বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে মিয়ানমার সীমান্ত এলাকা থেকে টেকনাফ স্থলবন্দরে পর পর ৩টি গুলি এসে পড়ে। একটি গুলি স্থলবন্দরের অফিসে এসে পড়লে অফিসের কাচ ভেঙে যায়। দ্বিতীয় গুলি এসে পড়ে স্থলবন্দরের মালামাল বহনকারী ট্রাকে। অপরটি নারিকেল গাছে এসে লাগে।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে ভয়াবহ বন্যায় ৭৪ জনের মৃত্যু, নিখোঁজ ৮৯
তিনি বলেন, স্থলবন্দরে কর্মরত সবার মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ভয়ে সবাই স্থলবন্দর থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যায়। আপাতত স্থলবন্দরের সব কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে।
মিয়ানমারের ওপারে তোতারদিয়া দ্বীপে দুই পক্ষের ব্যাপক সংঘর্ষের কারণে গত কয়েকদিন ধরে টেকনাফ স্থলবন্দরসহ সীমান্ত এলাকায় গুলি এসে পড়ছে বলে জানান স্থানীয়রা।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে সামরিক হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে নিহত ২
২১০ দিন আগে