হিসাব
২২ দল আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দেয়নি নির্বাচন কমিশনে
নির্বাচন কমিশনে (ইসি) নিবন্ধিত ৪২টি দলের মধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলসহ (বিএনপি) ২০টি দল নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আয়-ব্যয়ের হিসাব দিলেও ২২টির বেশি দল জমা দেয়নি।
অর্ধেকের বেশি দল ২০২২ সালের আয়-ব্যয়ের হিসাব নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) জমা দিতে তারা সময় চেয়ে আবেদন জানিয়েছে বলে জানান ইসি কর্মকর্তারা।
এ বিষয়ে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানিয়েছেন, যেসব দল সময় চেয়ে আবেদন করেছে তাদের নথি কমিশনের কাছে উত্থাপন করা হলে কমিশন সিদ্ধান্ত দেবে সময় বাড়ানো হবে কি না।
প্রতি বছর ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে আগের পঞ্জিকা বছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব নির্বাচন কমিশনে দাখিল করতে হয়। নির্বাচন কমিশন বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিতে দলগুলোকে চিঠিও দেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ২০টি দল হিসাব জমা দেয়।
আরও পড়ুন: নির্বাচন কমিশন ভবনে সিইসির সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
এদের মধ্যে আওয়ামী লীগ ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় চাইলে ইসি তা মঞ্জুর করে। তবে দলটি অতিরিক্ত সময় পেলেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই পরে হিসাব জমা দেয়।
যে ২২ দল হিসাব জমা দেয়নি:
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, গণতন্ত্রী পার্টি, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি, গণফোরাম, বাংলাদেশ সাম্যবাদী দল (এম.এল), জাসদ, জেএসডি, বাসদ, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি), বাংলাদেশ কংগ্রেস, তৃণমূল বিএনপি, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (বিএমএল), বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট (মুক্তিজোট), বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ), বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি), গণফ্রন্ট, ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (বাংলাদেশ জাসদ)।
রাজনৈতিক দল নিবন্ধন আইন অনুযায়ী, কোনো দল পরপর তিন বছর আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা না দিলে সংশ্লিষ্ট দলের নিবন্ধন বাতিল করতে পারে বলে জানান নির্বাচন কমিশন।
আরও পড়ুন: ‘নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের ড্রেনে ফেলে দেওয়ার’ হুমকি দিল নূর
ওয়াসার এমডির বেতন-বোনাসের হিসাব দিতেই হবে: চেম্বার আদালত
ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খান গত ১৩ বছর ধরে বেতন-বোনাস ও অন্যান্য সুবিধা হিসেবে কত টাকা নিয়েছেন তার প্রতিবেদন চেয়ে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।
মঙ্গলবার হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে ওয়াসা কর্তৃপক্ষ ও ওয়াসার এমডির করা পৃথক দুটি আবেদনের শুনানি নিয়ে চেম্বার বেঞ্চের বিচারপতি মো. বোরহানউদ্দিন এই আদেশ দেন।
একই সঙ্গে ঢাকা ওয়াসার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ‘পারফরম্যান্স বোনাস’ হিসেবে প্রণোদনা দেয়ার ওপর তিন মাসের নিষেধাজ্ঞার আদেশও বহাল রেখেছেন চেম্বার বিচারপতির আদালত।
আদালতে ওয়াসার এমডির পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট এ এম মাসুম এবং কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার জোতির্ময় বড়ুয়া।
আরও পড়ুন: ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট
এর আগে গত ১৭ আগস্ট কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) করা রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হকের বেঞ্চ ওয়াসার এমডি হিসেবে গত ১৩ বছর ধরে তিনি কত টাকা বেতন, বোনাস ও অন্যান্য সুবিধাদি নিয়েছেন তার হিসাব চেয়ে আদেশ দেন। আগামী ৬০ দিনের মধ্যে ওয়াসার সংশ্লিষ্ট বোর্ডের চেয়ারম্যানকে হলফনামা আকারে জানাতে বলেন আদালত। একই সঙ্গে ঢাকা ওয়াসার এমডিকে অপসারণে নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং তাকে অপসারণের জন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ কেন দেয়া হবে না, জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
এর আগে গত ১৬ আগস্ট হাইকোর্টের একই বেঞ্চ ঢাকা ওয়াসার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ‘পারফরম্যান্স বোনাস’ হিসেবে প্রণোদনা দেয়ার ওপর তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। একই সঙ্গে কোনো বিধি প্রণয়ন না করে পানির মূল্য নির্ধারণ করা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দেয়া হয়।
হাইকোর্টের ওই দুটি আদেশ স্থগিত চেয়ে ওয়াসার এমডি ও ওয়াসার পক্ষ থেকে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির আদালতে আবেদন করেন যে আবেদনের ওপর আজ শুনানি হয়।
ওয়াসার এমডির বেতন-বোনাস এবং কর্মকর্তা কর্মচারীদের পারফরম্যান্স বোনাসারের ব্যাপারে গত ৩১ জুলাই হাইকোর্টে রিট করেন ক্যাবের পক্ষে স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন ও প্রফেসর শামসুল আলম।
রিটে বলা হয়, তাকসিম এ খান ওয়াসার এমডি হিসেবে ২০০৯ সালে তিন বছরের চুক্তিতে নিয়োগ পান। তার চুক্তির মেয়াদ তিনবার বাড়ানো হয়।
ওয়াসার এমডি নিয়মের বাইরে গিয়ে অতিরিক্ত বেতন-ভাতা নিচ্ছেন বলেও রিটে উল্লেখ করা হয়। বোর্ডের সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ওয়াসার এমডির মাসিক বেতন ৬ লাখ ২৫ হাজার টাকা।
আরও পড়ুন: জজ মিয়াকে ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হাইকোর্টে রিট
বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে হাইকোর্ট বিভাগের নবনিযুক্ত বিচারপতিদের সাক্ষাৎ