সই
বাংলাদেশের সঙ্গে জাইকার দুটি কারিগরি সহযোগিতা প্রকল্প সই
কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও বায়ুদূষণ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে দুটি কারিগরি সহযোগিতা প্রকল্প সই করেছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রকল্প সইয়ের বিষয়টি জানানো হয়।
এতে বলা হয়, এটি জাইকার বৈশ্বিক উন্নয়নে জাইকার বিষয়ভিত্তিক কৌশলের 'জাইকা ক্লিন সিটি ইনিশিয়েটিভ' (জেসিসিআই) অন্যতম প্রধান বৈশ্বিক এজেন্ডা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ উদ্যোগের লক্ষ্য হলো- টেকসই পদ্ধতিতে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে বর্জ্য ও বায়ুদূষণ ব্যবস্থাপনা উন্নত করার মাধ্যমে শহরাঞ্চলে 'পরিচ্ছন্ন নগরী' গড়ে তোলা।
আরও পড়ুন: শাহজালাল বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্পে জাইকার ৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকা ঋণচুক্তি
প্রকল্পগুলোতে সই করেন জাইকা বাংলাদেশের সিনিয়র রিপ্রেজেন্টেটিভ মিউরা মারি, বাংলাদেশের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এ কে এম শাহাবুদ্দিন, স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আমিনুর রহমান, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবদুল হামিদ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব লুবনা ইয়াসমিন।
আরও পড়ুন: ৯ প্রকল্পে জাইকার সহায়তা ১১৩৪৪ কোটি টাকা, শুরু হচ্ছে আরও ৪ প্রকল্প: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
৫ মাস আগে
রেল যোগাযোগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য ঢাকা-দিল্লির মধ্যে ১০ চুক্তি সই
বিভিন্ন খাতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা জোরদারে তিনটি সমঝোতা স্মারক নবায়নসহ ১০টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই করেছে ঢাকা ও নয়াদিল্লি।
এর মধ্যে রয়েছে ব্লু ইকোনমি, সমুদ্রবিজ্ঞান গবেষণা, মৎস্য, দুর্যোগ ও স্বাস্থ্য, মহাকাশ ও সামরিক শিক্ষা।
নয়াদিল্লির হায়দরাবাদ হাউজে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে দুটি অভিন্ন অংশিদারিত্ববিষয়ক দৃষ্টিভঙ্গিসহ পাঁচটি নতুন সমঝোতা স্মারক সই এবং তিনটি পুরোনো সমঝোতা স্মারক নবায়ন করা হয়েছে।
নতুন সাতটির মধ্যে দুটি হলো- ভারত-বাংলাদেশ ডিজিটাল অংশীদারিত্বের দৃষ্টিভঙ্গি বিনিময় এবং টেকসই ভবিষ্যতের জন্য ভারত-বাংলাদেশ সবুজ অংশীদারিত্বের অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি।
অন্য পাঁচটি নতুন চুক্তিগুলো হচ্ছে- বঙ্গোপসাগর ও ভারত মহাসাগর অঞ্চলে ব্লু ইকোনমি এবং মেরিটাইম কো-অপারেশনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকার ও ভারত সরকারের মধ্যে সমঝোতা স্মারক; ভারত মহাসাগরের সমুদ্রবিজ্ঞান বিষয়ে যৌথ গবেষণার জন্য বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট (ওআরআই) এবং ভারতের কাউন্সিল অব সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চের (সিএসআইআর) মধ্যে সমঝোতা স্মারক; ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে রেল যোগাযোগ বিষয়ে সমঝোতা স্মারক; যৌথ উদ্যোগে ক্ষুদ্র উপগ্রহ প্রকল্পে সহযোগিতার জন্য ভারতের ন্যাশনাল স্পেস প্রমোশন অ্যান্ড অথরাইজেশন সেন্টার (ইন-স্পেস) ও বাংলাদেশের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক এবং প্রতিরক্ষা স্টাফ কলেজগুলোর মধ্যে একাডেমিক সহযোগিতা সম্পর্কিত সমঝোতাপত্র।
আরও পড়ুন: উভয় দেশের জনগণের কল্যাণে সহযোগিতার বিষয়ে একমত ঢাকা-দিল্লি: মোদির সঙ্গে বৈঠক শেষে শেখ হাসিনা
তিনটি নবায়ন করা সমঝোতা স্মারক হলো- মৎস্য খাতে সহযোগিতাবিষয়ক সমঝোতা স্মারক; দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় সমঝোতা স্মারক এবং স্বাস্থ্য ও ওষুধ ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য সমঝোতাপত্র।
অভিন্ন অংশিদারিত্ববিষয়ক সামুদ্রিক সহযোগিতা ও ব্লু ইকোনমি বিষয়ে সমঝোতা স্মারক, স্বাস্থ্য ও ওষুধ বিষয়ে নতুন সমঝোতা স্মারকে সই করেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়াত্রা।
যৌথ কৃত্রিম উপগ্রহ প্রকল্প বিষয়ে সমঝোতা স্মারকে সই করেন বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানির চেয়ারম্যান ও সিইও ড. শাহজাহান মাহমুদ এবং ভারতের মহাকাশ বিভাগের সচিব এস সোমনাথ।
এছাড়া রেলওয়ে যোগযোগ বিষয়ে সমঝোতা স্মারকে সই করেন বাংলাদেশের রেলওয়ে সচিব ড. হুমায়ুন কবির এবং ভারতীয় রেলওয়ে বোর্ডের চেয়ারপারসন জয়া সিনহা।
এছাড়া সমুদ্রবিজ্ঞান খাতে সহযোগিতার জন্য দুটি সমঝোতা স্মারক এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও মৎস্য খাতে সহযোগিতার জন্য দুটি নতুন সমঝোতা স্মারকে সই করেন ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা।
কৌশলগত ও অপারেশনাল স্টাডিজের ক্ষেত্রে সামরিক শিক্ষা বিষয়ে সহযোগিতার জন্য ডিএসএসসি, ওয়েলিংটন ও ডিএসসিএসসি মিরপুরের মধ্যে চূড়ান্ত সমঝোতা স্মারকে সই করেন বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা।
আরও পড়ুন: হায়দরাবাদ হাউজে হাসিনা-মোদির বৈঠক শুরু
৬ মাস আগে
ঢাকা ও রিয়াদ চেম্বারের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই
রিয়াদ চেম্বার অব কমার্সের ভাইস চেয়ারম্যান নায়েফ আবদুল্লাহ আল রাজি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নতি করেছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও সৌদি আরব উভয় দেশেরই আরও অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সম্পদের বহুমুখী ব্যবহার ও বিনিয়োগের দারুণ সম্ভাবনা রয়েছে। শিগগিরই বাংলাদেশি বিনিয়োগকারীরা সৌদি আরবের বিনিয়োগের বড় অংশীদার হবেন।
তিনি সোমবার রিয়াদে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) এবং রিয়াদ চেম্বার অব কমার্সের মধ্যে ব্যবসায়িক বৈঠক এবং বিটুবি ম্যাচ মেকিং সেশন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।
আগামীতে দ্বিপক্ষীয় ব্যবসায়িক সহযোগিতাকে আরও দৃঢ় করার লক্ষ্যে রিয়াদ চেম্বার অব কমার্স এবং ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়।
আরও পড়ুন: প্রবাসে মৃত কর্মীর পরিবারের হাতে ক্ষতিপূরণের চেক বিতরণ
সমঝোতা স্মারকে রিয়াদ চেম্বারের ভাইস চেয়ারম্যান নায়েফ আবদুল্লাহ আল রাজি ও ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি ব্যারিস্টার মো. সামীর সাত্তার সই করেন।
ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পক্ষে ৬১টি বাংলাদেশি কোম্পানির প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত বেসরকারি খাতের বৃহত্তম ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল সৌদি সফর করছেন।
রিয়াদ চেম্বার অব কমার্সের ভাইস চেয়ারম্যান নায়েফ আবদুল্লাহ আল রাজি বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলকে স্বাগত জানান।
বৈঠকে সৌদি বাজার, উপসাগরীয় অঞ্চলের অন্যতম বৃহত্তম বাজার যা বাংলাদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য অত্যন্ত আকর্ষণীয় হতে পারে বলে তিনি জানান।
তিনি বিভিন্ন সম্ভাবনাময় খাতে সৌদি ও বাংলাদেশের নতুন ও অভিন্ন সুযোগ অন্বেষণের ওপরও জোর দেন। তিনি বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্য এবং বিনিয়োগের কোনো সীমা নেই এবং সৌদি উদ্যোক্তারাও তাদের বাংলাদেশি বন্ধুদের সঙ্গে আরও ব্যবসা করতে আগ্রহী।
ঢাকা চেম্বার সভাপতি ব্যারিস্টার মো. সামীর সাত্তার বলেন, আমরা সৌদি আরবে বাংলাদেশের তৈরি পণ্য দেখে গর্ববোধ করি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি বিগত এক দশকে তার বাজার ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে এবং বিদ্যমান নানা প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে ক্রমবর্ধমান রয়েছে। বাংলাদেশ ২০২৬ সালে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হতে যাচ্ছে, কাজেই শুধু বাজার বৈচিত্র্য নয়, পণ্য বৈচিত্র্যও প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন সাম্প্রতিক সময়ে সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে তবে এই সংখ্যাটি অন্তর্নিহিত অফুরন্ত সম্ভাবনাকে সবটুকু প্রতিফলিত করে না।
তিনি বলেন, ঢাকা চেম্বারের এ ব্যবসায়িক প্রতিনিধি দলে বাংলাদেশের বিশিষ্ট বড় বিনিয়োগকারীরা বিশেষ করে আইটি, কৃষি পণ্য, অবকাঠামো, নির্মাণ ও রিয়েল এস্টেট, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ, গার্মেন্টস পণ্য, সিরামিক পণ্য, পর্যটন ও আতিথেয়তা, ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন এবং তারা সবাই তাদের সৌদি আরবের সঙ্গে ব্যবসা সম্প্রসারণে আগ্রহী।
পরে তিনি সৌদি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশের অনুকূল বিনিয়োগ পরিবেশের উল্লেখ করে স্মার্ট ফার্মিং, আইটি, ফিনটেক, লজিস্টিকস ও অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগের জন্য আমন্ত্রণ জানান।
ঢাকা চেম্বারের এ প্রতিনিধি দলে চেম্বারের সিনিয়র সহসভাপতি এস এম গোলাম ফারুক আলমগীর (আরমান), সহসভাপতি মো. জুনায়েদ ইবনে আলী, পরিচালনা পর্ষদের সদস্যসহ ব্যবসায়ীরা অন্তর্ভুক্ত আছেন।
উল্লেখ্য যে, ঢাকা চেম্বারের এ প্রতিনিধি দলের আগামী ১ নভেম্বর ২০২৩ তারিখে মক্কা চেম্বার অব কমার্স এর সঙ্গে অনুরূপ বৈঠক এবং বিটুবি ম্যাচ মেকিং সেশন নির্ধারিত রয়েছে।
এ বৈঠকে রিয়াদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষে ইকনমিক মিনিস্টার মুর্তুজা জুলকার নাঈন নোমান এবং জেদ্দাস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কমার্শিয়াল কাউন্সেলর সৈয়দা নাহিদা হাবিবা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সংলাপের মাধ্যমেই রাজনৈতিক সমস্যা সমাধান করতে হবে: আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য রাজ্জাক
'বিএনপি বুঝুক বা না বুঝুক, প্রত্যেক মানুষের জীবনই গুরুত্বপূর্ণ': বিদেশি কূটনীতিকদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
১ বছর আগে
সামুদ্রিক সম্পদের উপযুক্ত ব্যবহারের লক্ষ্যে বিবিএনজে চুক্তি সই করেছে বাংলাদেশ
টেকসই উপায়ে সামুদ্রিক সম্পদ রক্ষা ও ব্যবহারের জন্য বাংলাদেশ মেরিন বায়োডাইভারসিটি অব এরিয়াস বিয়ন্ড ন্যাশনাল জুরিসডিকশনে (বিবিএনজে) সই করেছে, যা ‘ট্রিটি অব দ্য হাই সিস’ নামেও পরিচিত।
বুধবার জেনারেল অ্যাসেম্বলি বিল্ডিংয়ের ট্রিটি ইভেন্ট এলাকার নিচ তলায় ইউনাইটেড নেশনস কনভেনশন অন দ্য ল অব দ্য সি’র (ইউএনসিএলওএস) অধীনে এই চুক্তি সই করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন নিউইয়র্কে প্রধানমন্ত্রীর কার্যক্রম সম্পর্কে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন।
বিবিএনজে ইউএনসিএলওএস’র কাঠামোয় বিকশিত একটি নতুন উপকরণ।
আরও পড়ুন: আসন্ন জলবায়ু সংকট এড়াতে প্রধান অর্থনীতিগুলোকে অবশ্যই ন্যায্য অংশীদারিত্ব করতে হবে: জাতিসংঘে প্রধানমন্ত্রী
মোমেন বলেন, তিনি সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান এবং নেদারল্যান্ডের বৈদেশিক বাণিজ্য ও উন্নয়ন সহযোগিতা বিষয়ক মন্ত্রী লাইজে শ্রেইনেমাকারের সঙ্গে কয়েকটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে যোগদানের পাশাপাশি জলবায়ু গতিশীলতার ওপর প্রাতঃরাশ শীর্ষ সম্মেলন এবং ১৮তম এশিয়া সহযোগিতা সংলাপসহ বেশ কয়েকটি উচ্চ পর্যায়ের ইভেন্টে অংশ নিয়েছেন।
জলবায়ু সম্মেলনে মোমেন বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় বাংলাদেশ বাকি দেশগুলোর কাছে রোল মডেলে পরিণত হয়েছে।’
তিনি বলেন, ধনী দেশগুলো মূলত কার্বন নির্গমনের জন্য দায়ী। এক্ষেত্রে উন্নয়নশীল দেশগুলোর অবদান মাত্র শূন্য দশমিক ৪৭ শতাংশ।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ধনী দেশগুলোকে প্রতি বছর জলবায়ু তহবিলে ১০০ বিলিয়ন ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি মেনে চলার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এসডিজি অর্জনের অঙ্গীকার প্রধানমন্ত্রীর
জাতিসংঘের প্রথম নারী মহাসচিব পাওয়ার সময় এসেছে: ইউএনজিএ প্ল্যাটফর্মে প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে
হাসিনা-মোদি আলোচনার পর ঢাকা-নয়াদিল্লি ৩ সমঝোতা স্মারক সই
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠকের পর শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ও ভারত তিনটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করেছে।
সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: ঢাকা-জাকার্তা জ্বালানি ও কৃষি সহযোগিতা বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সই
সমঝোতা স্মারকগুলো হলো-
১.বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল এবং ভারতীয় কৃষি গবেষণা পরিষদের মধ্যে কৃষি গবেষণা ও শিক্ষায় সহযোগিতার বিষয়ে সমঝোতা স্মারক।
এই সমঝোতা স্মারকের আওতায় দু’দেশের মধ্যে কৃষি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ খাতে সহযোগিতা জোরদার হবে।
২. ২০২৩-২৫ এর জন্য কালচারাল এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম (সাংস্কৃতিক বিনিময় প্রোগ্রাম)।
এর অধীনে শিল্প, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক খাতে দু’দেশের মধ্যে সহযোগিতা আরও জোরদারকরণে বিভিন্ন পদক্ষেপ ও কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।
৩. ভারতের এনপিসিআই ইন্টারন্যাশনাল পেমেন্টস লিমিটেড এবং বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) এর মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক।
এই সমঝোতা স্মারকের ফলে দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক লেনদেন সম্পাদন সহজতর হবে।
আরও পড়ুন: ইউএনডিপি-এসএমই ফাউন্ডেশনের সমঝোতা স্মারক সই
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে তিনটি সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
১ বছর আগে
ইউএনডিপি-এসএমই ফাউন্ডেশনের সমঝোতা স্মারক সই
বাংলাদেশে উদ্যোক্তা উন্নয়ন, পরিবেশবান্ধব উৎপাদন বৃদ্ধি এবং কর্মসংস্থান তৈরির লক্ষ্যে একটি সমঝোতা স্মারকে সই করেছে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) এবং ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্প (এসএমই) ফাউন্ডেশন।
বুধবার দুপুরে ঢাকায় এসএমই ফাউন্ডেশন এর কার্যালয়ে ইউএনডিপি বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক প্রতিনিধি ভ্যান গুয়েন এবং এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. মফিজুর রহমান সমঝোতা স্মারকে সই করেন। আরও পড়ুন: দ্বিতীয়বার ইউএনডিপির শুভেচ্ছা দূত হলেন জয়া আহসান
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ইউএনডিপি জানায়, এই সমঝোতা স্মারক এর আওতায় দুই সংস্থা যৌথভাবে কাজ করবে। এর মাধ্যমে জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে উদ্যোক্তা বিশেষত নারী উদ্যোক্তাদের জন্য উদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। তারা বাংলাদেশে পরিবেশবান্ধব উদ্যোগ বাস্তবায়নে কাজ করবে।
এছাড়া উদ্যোক্তাদের দক্ষতা উন্নয়ন এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি বিষয়ক বিভিন্ন কর্মশালা এবং সেমিনারের আয়োজন করবে।
বাংলাদেশে উদ্যোক্তা বিষয়ক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা, টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত, পুনরুদ্ধার ও উন্নয়ন প্রচেষ্টার অগ্রগতি সাধন করাই এই অংশীদারিত্বের মূল লক্ষ্য। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে এসএমই খাত একটি বড় ভূমিকা পালন করছে এবং এই অংশীদারিত্ব এ খাতের প্রবৃদ্ধিকে আরও জোরদার করবে।
ভ্যান নুয়েন বলেন, ‘বাংলাদেশে শিল্পোদ্যোগ এবং পরিবেশবান্ধব উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে এসএমই ফাউন্ডেশন এর সঙ্গে অংশীদারিত্ব করতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। এই সমঝোতা নারী উদ্যোক্তাদের জন্য অধিক সুযোগ সৃষ্টি, আর্থিক খাত ও ডিজিটাল মার্কেটপ্লেসে প্রবেশাধিকার নিশ্চিতকরণ এবং গ্রামাঞ্চলে এসএমই পরিষেবা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে সাহায়তা করবে।’
আরও পড়ুন: ডিজিটাল লাইব্রেরি অ্যাপ চালু করল ইউএনডিপি
এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. মফিজুর রহমান বলেন, ‘এই অংশীদারিত্বের উদ্দেশ্য হলো ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের সহায়তা প্রদান এবং বাংলাদেশে উদ্যোক্তা বান্ধব পরিবেশকে শক্তিশালী করা। এই অংশীদারিত্ব আর্থিক অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতে ও রপ্তানিমুখী দক্ষতা উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। যা আমাদের ক্ষুদ্র ও মাঝারি নারী উদ্যোক্তাদের সহায়তা করবে এবং স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের মর্যাদা রক্ষায় অবদান রাখবে।’
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. মো. মাসুদুর রহমান, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক সালাহ উদ্দিন মাহমুদ, মহাব্যবস্থাপক ফারজানা খান, জাতীয় প্রকল্প স্বপ্ন এর পরিচালক কাজল চ্যাটার্জি, এবং ইউএনডিপি বাংলাদেশের উইং প্রকল্প, জেন্ডার টিম লিডার শারমিন ইসলাম, উইং প্রকল্প ন্যাশনাল কনসালটেন্ট সারাহ জিতা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের তরুণদের দক্ষতা বাড়াতে ইউএনডিপি ও ব্রিটিশ কাউন্সিলের সমঝোতা চুক্তি
১ বছর আগে
Crickex.in লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ ২০২৩: গ্যালে টাইটানসের সঙ্গে স্পনসরশিপ চুক্তি সই
ক্রিকেট বিষয়ক জনপ্রিয় ও স্বনামধন্য প্ল্যাটফর্ম Crickex.in গ্যালে টাইটানসের সঙ্গে স্পন্সরশিপ চুক্তির ঘোষণা দিয়েছে।
এ চুক্তি অনুযায়ী, আসন্ন লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ ২০২৩- এ গ্যালে টাইটানসের মূল স্পন্সর হিসেবে থাকবে Crickex.in।
আগামী ৩০ জুলাই থেকে ২০ আগস্ট পর্যন্ত কলম্বো ও ক্যান্ডিতে অনুষ্ঠিত হবে লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ ২০২৩।
আরও পড়ুন: ব্যাট নিয়েছে আফগানিস্তান, ৩ পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ
ক্রিকেটের প্রচারণা ও ক্রিকেটের উপযোগী পরিবেশ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে অভিন্ন লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে Crickex.in ও লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ।
ক্রিকেট ফ্যানদের অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ Crickex.in এর লক্ষ্য লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ ২০২৩- এ গ্যালে টাইটাইনসকে সমর্থন দিয়ে তাদের পাশে থাকা।
লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে খেলোয়ার ও ফ্যানদের অভিজ্ঞতাকে নতুন মাত্রা দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে ক্রিকেট বিষয়ক এ ওয়েবসাইট।
নিজেদের সহজে ব্যবহার-বান্ধব ওয়েবসাইটের মাধ্যমে Crickex.in এর সমর্থকদের পুরো টুর্নামেন্টজুড়েই রিয়েল-টাইম আপডেট দিবে।
এ অংশীদারিত্ব নিয়ে Crickex.in এর মুখপাত্র কারান শর্মা বলেন, গ্যালে টাইটানসের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করতে পেরে আমরা আনন্দিত। দলটির সমৃদ্ধ ইতিহাস রয়েছে এবং তারা তাদের সফল পারফরমেন্সের জন্য সুপরিচিত।
তিনি আরও বলেন, আমরা দলটিকে সমর্থন দেয়ার ব্যাপারে এবং ফ্যানদের অনন্য ক্রিকেট অভিজ্ঞতা প্রদানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। একসঙ্গে আমাদের লক্ষ্য লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া।
এছাড়া গ্যালে টাইটাইনসের মুখপাত্র এ অংশীদারিত্ব নিয়ে দলের উৎসাহ প্রকাশ করেছেন।
তিনি বলেন, আমাদের মূল স্পন্সর হিসেবে Crickex.in কে পেয়ে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। এ অংশীদারিত্ব ক্রিকেট বিশ্বে দলের সাফল্য এবং স্বীকৃতিরই প্রমাণ।
আমরা আমাদের ফ্যান ও সমর্থকদের জন্য রোমাঞ্চপূর্ণ ও স্মরণীয় অভিজ্ঞতা প্রদানে Crickex.in এর সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করতে প্রত্যাশী।
আসন্ন এ টুর্নামেন্টের মিডিয়াসত্ত্ব থাকছে শুধুমাত্র শীর্ষস্থানীয় স্পোর্টস নেটয়ার্ক স্টার স্পোর্টসের কাছে।
শুধুমাত্র স্টার স্পোর্টসই ভারত, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, ভূটান, নেপাল, মালদ্বীপ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ এমইএনএ অঞ্চলে এ টুর্নামেন্ট সরাসরি সম্প্রচার করবে।
আরও পড়ুন: তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশ নারী দলের জয়
নারী টি-টোয়েন্টি: বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ৮ রানে জিতল ভারত
১ বছর আগে
বাংলাদেশের এভিয়েশন খাতের উন্নয়নে প্রয়োজনীয় সহযোগিতায় বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য যৌথ বিবৃতি সই
যৌথ বিবৃতিতে সইয়ের পর উচ্ছ্বসিত প্রতিক্রিয়ার এক টু্ইট বার্তায় যুক্তরাজ্যের বিনিয়োগমন্ত্রী লর্ড ডমিনিক জনসন বাংলাদেশের এভিয়েশন খাত শক্তিশালীকরণে যুক্তরাজ্যের আগ্রহের কথা উল্লেখপূর্বক একটি কার্যকর এভিয়েশন পার্টনারশিপের মাধ্যমে বাংলাদেশের এভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রি শক্তিশালী হওয়ার পাশাপাশি উভয় দেশেই নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে মর্মে মন্তব্য করেন।
শুক্রবার (৫ মে) যুক্তরাজ্যের লন্ডনে এয়ারবাস হতে যাত্রী ও মালামাল পরিবহনের বিমান ক্রয়সহ বাংলাদেশের এভিয়েশন খাতের উন্নয়নে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার জন্য এভিয়েশন পার্টনারশিপ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও যু্ক্তরাজ্যের মধ্যে একটি যৌথ বিবৃতি সই করা হয়েছে।
বাংলাদেশের পক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং যুক্তরাজ্যের পক্ষে সেদেশের বিনিয়োগমন্ত্রী লর্ড ডমিনিক জনসন এতে সই করেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া ও যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সংক্রান্ত ট্রেড এনভয় রোশনারা আলী উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা জর্জিয়া সিনেটের
এই উদ্যোগের ফলে বাংলাদেশের এভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রির উন্নয়নের পাশাপাশি যুক্তরাজ্যসহ এয়ারবাসের অন্যান্য ইউরোপীয় অংশীদারদের সঙ্গেও বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।
এয়ারবাস হতে বিমান ক্রয়ের ক্ষেত্রে ইউকে এক্সপোর্ট ফাইনান্স হতে সহজ শর্তে দীর্ঘ মেয়াদী ঋণ সুবিধাও পেতে পারে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের এভিয়েশন সেক্টরের সম্প্রসারণ ও এর বহুমাত্রিকতা আনতে এ উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে এবং যাত্রী পরিবহন ও কার্গো ব্যবসার ক্ষেত্রে বিমানের সক্ষমতাকে অনেক উচ্চ স্থানে নিয়ে যেতে পারে।
এটি সই করার পর সন্তোষ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, এই উদ্যোগের ফলে এয়ারবাস এবং বাংলাদেশ বিমানের মধ্যে দীর্ঘ ও কার্যকর সম্পর্ক স্থাপিত হতে পারে, যার মাধ্যমে বাংলাদেশের সঙ্গে ইউকে, ফ্রান্স, জার্মানি তথা ইইউ’র বর্তমান সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হতে পারে।
আরও পড়ুন: অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন ও রোহিঙ্গাদের টেকসই সমাধান চায় যুক্তরাষ্ট্র: মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের কাউন্সেলর
১ বছর আগে
নাগরিক ব্যবস্থাপনায় ধারণা বিনিময়ে ডেট্রয়েটের সঙ্গে ডিএনসিসি’র এমওইউ সই
উন্নত শহর গড়ে তোলার লক্ষ্যে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের লক্ষ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এবং যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান অঙ্গরাজ্যের ডেট্রয়েট শহরের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়েছে।
এখন থেকে ডিএনসিসিকে যে কোন ধরনের সহযোগিতা করতে পারবে ডেট্রয়েট সিটি। অন্য দিকে বাংলাদেশেরও উত্তম কার্যক্রমগুলো শেয়ার করতে পারবে ডিএনসিসি।
বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি ২০২৩) স্থানীয় সময় দুপুর ১২টায় ডেট্রয়েট সিটি ভবনে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম ও ডেট্রয়েট সিটির মেয়র মাইকেল ই দুগান ডিএনসিসি’র সঙ্গে ডেট্রয়েট নগরীর সিস্টার সিটির সমঝোতা স্মারক সই করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডেট্রয়েট সিটির ডেপুটি মেয়র টোডা এ ব্যাটিসন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক, বাংলাদেশ আমেরিকান পাবলিক অ্যাফেয়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান এহসান তাকবীম, স্যোসাল অ্যাফেয়ার্স কাউসার খান প্রমুখ।চুক্তির আওতায় নগরের পরিচ্ছন্নতা, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, ড্রেনেজসহ নগর উন্নয়নের সবগুলো সেক্টরে সহায়তা করবে ডেট্রয়েট। এর মাধ্যমে ঢাকা যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে বলে মনে করেন ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
এই চুক্তি আধুনিক ঢাকা গড়তে যেমন সহায়তা করবে পাশাপাশি শুধু ডেট্রয়েটই নয় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রেও নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে মনে করেন তিনি। শিগগিরই ডেট্রয়েটের মেয়র বাংলাদেশ সফরে আসবেন বলেও নিশ্চিত করেছেন ডিএনসিসি মেয়র।
আরও পড়ুন: মশার জাত বুঝে কীটনাশক প্রয়োগ বাড়াতে চায় ডিএনসিসি: মেয়র আতিক
মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, 'বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটি ইতিহাস সৃষ্টি হলো। যুক্তরাষ্ট্রের ডেট্রয়েট সিটি এবং বাংলাদেশের ডিএনসিসির সঙ্গে সমঝোতা সিস্টার সিটির স্মারক স্বাক্ষরিত হলো। এটি একটি যুগান্তকারী দিন। এতে প্রমাণিত হয় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের অত্যন্ত ভালো সম্পর্ক রয়েছে।'
তিনি বলেন, 'ডেট্রয়েট ম্যানুফ্যাকচারিং সিটি। ঢাকাও ম্যানুফ্যাকচারিং সিটি। কাজেই এই চুক্তি আমাদের জন্য মাইলফলক হয়ে থাকবে। সিস্টার সিটি চুক্তির অর্থ হলো তাদের ভালো দিকগুলো আমাদের দিতে চায়। আবার আমরা আমাদের ভালো দিকগুলো তাদের দিতে চাই। তারা আমাদের ভালো দিক হিসেবে উল্লেখ করেছে কিভাবে আমরা অধিক জনঘনত্বের শহরকে পরিচালিত করি। কারণ ডেট্রয়েট সিটির জনঘনত্বও বাড়ছে যা তাদের চিন্তার কারণ।'ডিএনসিসি মেয়র আরও বলেন, 'ডেট্রয়েট সিটির মেয়র জানিয়েছেন এক সময় তাদেরও ক্যানেলগুলোর খারাপ অবস্থা ছিল। তাদের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় অনেক পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছে। আমরা কিভাবে তাদের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাকে কাজে লাগাতে পারি সে বিষয়ে কথা হয়েছে। ডেট্রয়েট সিটির মেয়র কথা দিয়েছেন তিনি ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশ আসবেন। তার আগে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সময় সময় কথা হবে। প্রয়োজনে তাদের বিশেষজ্ঞ দিয়ে আমাদের সহায়তা করবেন।'
আরও পড়ুন: বায়ুদূষণ কমাতে অত্যাধুনিক মেশিনে পানি ছিটাচ্ছে ডিএনসিসি
১ বছর আগে
বাংলাদেশ-ইইউ ‘অংশীদারি সহযোগিতা’ চুক্তি সই করতে আগ্রহী
বাংলাদেশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) পারস্পরিক সম্পর্ককে আরও উন্নত করতে একটি ‘অংশীদারি সহযোগিতা’ চুক্তি সই করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
তবে এটি এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। কারণ এর জন্য ব্যাপক আলোচনা ও সমঝোতার প্রয়োজন রয়েছে।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম ও ইউরোপিয়ান এক্সটার্নাল অ্যাকশন সার্ভিসের (ইইএএস) ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল এনরিক মোরা এই ধরনের ব্যবস্থার বিষয়ে দুই পক্ষের ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় প্রথম ‘রাজনৈতিক সংলাপের’ মাঝামাঝি সময়ে তারা যৌথভাবে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
কৌশলগত দিকনির্দেশনা প্রদান এবং বৈদেশিক ও নিরাপত্তা নীতির সহযোগিতা জোরদারে উভয় পক্ষ প্রথমবারের মতো উচ্চ পর্যায়ের আলোচনায় মিলিত হয়েছেন।
সংলাপে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষে নেতৃত্ব দেন ইউরোপিয়ান এক্সটারনাল অ্যাকশন সার্ভিসের (ইইএএস) ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল এনরিক মোরা।
সংলাপে শান্তি বিনির্মাণ, সংঘাত প্রতিরোধ, ইন্দো-প্যাসিফিক, ইউক্রেন ইস্যু, সংযোগ, জলবায়ু পরিবর্তন, নিরাপত্তা এবং সন্ত্রাসবাদের মতো উভয়ের স্বার্থের বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়।
আরও পড়ুন: শিগগিরই প্রধানমন্ত্রীর জাপান সফর অনুষ্ঠিত হবে: শাহরিয়ার আলম
এ সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি উপস্থিত ছিলেন।
২০২১ সালের অক্টোবরে, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ব্রাসেলসে ইউরোপিয়ান এক্সটারনাল অ্যাকশন সার্ভিস (ইইএএস) এর ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেলের সঙ্গে দেখা করার সময় উভয় পক্ষ রাজনৈতিক সংলাপ শুরু করতে সম্মত হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেছেন, জাতি হিসেবে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির গতি এবং নতুন আত্মবিশ্বাসকে স্বীকার করেছে ইইউ। ইন্দো-প্যাসিফিকের ওপর আলোকপাতসহ উভয়ের স্বার্থের ইস্যুতে বাংলাদেশের সঙ্গে আরও যুক্ত হওয়ার জন্য আগ্রহী।
আরও পড়ুন: ব্রুনাই থেকে বছরে ১.৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন এলএনজি পাবে বাংলাদেশ
২ বছর আগে