অপরিহার্য
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে বাণিজ্যের আধুনিকায়ন অপরিহার্য
২০৪১ সালে একটি আধুনিক, সুখী-সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হলে বাণিজ্যের আধুনিকায়ন অপরিহার্য। এক্ষেত্রে বাণিজ্য হতে হবে স্মার্ট।
এফবিসিসিআই আয়োজিত ‘স্মার্ট ট্রেড ফর স্মার্ট বাংলাদেশ: ওয়ে ফরওয়ার্ড’ বিষয়ক এক সেমিনারে ব্যবসায়ীরা একথা বলেন।
রবিবার (৩ মার্চ) বিকাল ৪টায় এফবিসিসিআইর বোর্ড রুমে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, বাংলাদেশ আজ বিশ্ব অর্থনীতিতে এক উদীয়মান শক্তি। এই টেকসই প্রবৃদ্ধির মূলে রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্ব ও সাহসী পদক্ষেপ।
আরও পড়ুন: স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে ১৭ বছর সময় দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী: পলক
সেইসঙ্গে ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে গত দেড় দশক ধরে আইসিটি খাতকে উৎসাহিত করার মাধ্যমেই সূচিত হয়েছে অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের এক নতুন অধ্যায়।
তিনি আরও বলেন, সাশ্রয়ী, টেকসই, বুদ্ধিদীপ্ত, জ্ঞানভিত্তিক এবং উদ্ভাবনী প্রাযুক্তিগত সমাধানই হচ্ছে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ।’
স্মার্ট ইকোনমি গড়ে তুলতে স্মার্ট কৃষি, স্মার্ট বাণিজ্য, স্মার্ট পরিবহন ব্যবস্থার গুরুত্বের কথা তুলে ধরে মাহবুবুল আলম বলেন, কৃষিক্ষেত্রে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে উৎপাদিত পণ্য পরিবহনে স্মার্ট ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং এসব পণ্য সরবরাহ ও বিক্রয়ের ক্ষেত্রে ই-কমার্স ও ডিজিটাল পেমেন্টের প্রচার ও প্রসারের ব্যবস্থা করতে হবে।
তিনি বলেন, ২০২৬ সালে বাংলাদেশ বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডাব্লিউটিও) এলডিসি থেকে উত্তরণের পর যে ধরনের চ্যালেঞ্জে পড়তে পারে তা মোকাবিলায় অন্যতম হাতিয়ার হবে জিআই পণ্য ও প্যাটেন্ট। পণ্যের জিআই সার্টিফিকেট দেওয়ার অন্যতম উদ্দেশ্য হলো এর রপ্তানি বাড়ানো। তাই ক্রস বর্ডার ট্রেড বাড়াতে জিআই পণ্যগুলো অনেক বেশি ভূমিকা রাখবে।
এফবিসিসিআই’র সহসভাপতি ও ইক্যাব সভাপতি শমী কায়সার বলেন, স্মার্ট অর্থনীতি গড়ে তুলতে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে পণ্য পরিবহন খরচ কমাতে হবে। পণ্য পরিবহন খরচ বেশি হওয়ায় পণ্যের দাম বেড়ে যাচ্ছে। পণ্য মূল্য বেড়ে যাওয়ার ফলে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে।
দেশের নারী উদ্যোক্তা এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাত এখনও অনেক পিছিয়ে রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই খাতগুলোর সমৃদ্ধির জন্য গবেষণা ও উন্নয়নে আরও বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।
এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে স্মার্ট বাণিজ্যের কোনো বিকল্প নেই।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, পণ্য আমদানি ও রপ্তানিতে এলসি খোলার ক্ষেত্রে এখন বর্তমানে যথেষ্ট শিথিলতা অবলম্বন করা হচ্ছে। আমাদের এখন সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো নিয়ে কাজ করতে হবে।
এসময় বিভিন্ন খাতের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা ও কমপ্লায়েন্স নিশ্চিতে সংশ্লিষ্ট অ্যাসোসিয়েশনগুলোকে আরও সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে স্থিতিশীল উন্নয়নে সরকারি ও বেসরকারি খাতের সমন্বিত উদ্যোগের কোনো বিকল্প নেই। কৃষকরা যেন সহজে ও ঝামেলামুক্তভাবে প্রয়োজনীয় সার পান সেজন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ‘স্মার্ট ফার্টিলাইজার ডিস্ট্রিবিউশন অ্যাপ বাস্তবায়নের চেষ্টা করছি আমরা। এটি কার্যকর করতে পারলে একদিকে যেমন কৃষকের হয়রানি কমবে অন্যদিকে দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে।
চতুর্থ শিল্প বিল্পবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকার কাজ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, অনগ্রসর এলাকায় শিল্প কারখানা স্থাপনে সরকার সব ধরনের সহযোগিতা করবে। পাশাপাশি ব্যবসার জন্য বাধা সৃষ্টি করে এমন কোনো নীতিমালা করবে না সরকার।
আরও পড়ুন: আগা খান একাডেমির মানসম্মত শিক্ষার প্রতিশ্রুতি স্মার্ট বাংলাদেশ ভিশনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ
চুয়াডাঙ্গায় ১১টি স্বর্ণের বার জব্দ, নারী আটক
৮ মাস আগে
জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতার শিকারদের অপরিহার্য সেবা নিশ্চিত করতে হবে: প্রতিবেদন
বাংলাদেশে জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতার শিকার ব্যক্তিদের অপরিহার্য সেবা নিশ্চিত করার ওপর জোর দিয়েছে ইউএনএফপিএ, ইউনিসেফ ও ইউএন উইমেন।
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতার বিরুদ্ধে ১৬ দিনব্যাপী প্রচারের অংশ হিসেবে ইউএনএফপিএ, ইউনিসেফ ও ইউএন উইমেন যৌথভাবে মেটা-বিশ্লেষণের প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে।
স্বাস্থ্য, পুলিশ, বিচার বিভাগ ও সামাজিক পরিষেবাসহ ভুক্তভোগীদের সঠিক যোগসূত্র স্থাপনের জন্য প্রতিবেদনে জোর দেয়। নারী ও শিশুদের ক্ষমতায়নের জন্য ভুক্তভোগীভিত্তিক ও ট্রমা-অবহিত পরিষেবা প্রদানের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে।
বিশ্লেষণটিতে, কোভিড-১৯ মহামারির ফলে জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতার (জিবিভি) ক্রমবর্ধমান ঝুঁকি বাংলাদেশের নারী, মেয়ে, শিশু ও কিশোর-কিশোরীরা কীভাবে মোকাবিলা করছে তা তুলে ধরা হয়।
নারী ও শিশুদের বিরুদ্ধে সব ধরনের সহিংসতা বন্ধ করতে দ্রুত ও কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারকে সহযোগিতার লক্ষ্যে জাতিসংঘের তিনটি সংস্থার যৌথ প্রচেষ্টায় ‘ন্যায়বিচার, জবাবদিহি ও সহায়তা: জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতার শিকার ব্যক্তিদের জন্য অপরিহার্য সেবা’ শীর্ষক এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
আরও পড়ুন: ইউনিসেফের মীনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড পেলেন ১১ সাংবাদিক
বিশ্লেষণের একটি গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ হলো– ভুক্তভোগীকেন্দ্রিক ও ট্রমা-অবহিত সেবা নিশ্চিত করা। এই পদ্ধতির মাধ্যমে নারী ও শিশু, বিশেষ করে কিশোর-কিশোরীরা সহজে ও বিনা সঙ্কোচে সহায়তা চাইতে পারবে। আর এভাবে বাল্যবিয়ে, পাচারসহ বিভিন্ন ধরনের জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতার (জিবিভি) ক্ষতিকর প্রথাগুলো প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।
ইউনিসেফ বাংলাদেশের ডেপুটি রিপ্রেজেন্টেটিভ এমা ব্রিগহাম বলেন, ‘এখনই সময় জিবিভির শিকার ব্যক্তিরা, যেসব বহুমাত্রিক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়, সেগুলো মোকাবিলায় একটি সমন্বিত প্রতিক্রিয়া ব্যবস্থা গ্রহণ করার।’
নারী ও শিশুরা ভালোভাবে বেঁচে থাকার ও পূর্ণ বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয় সেবাগুলো নিশ্চিত করতে এবং প্রতিরোধ ও সুরক্ষা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করার আহ্বান জানান তিনি।
ইউএন উইমেনের ২০২১ সালের এক প্রতিবেদন অনুসারে, বাংলাদেশের ৯৩ শতাংশ নারী জানিয়েছেন, তারা নিজেরা নারী ও মেয়েদের বিরুদ্ধে সহিংসতার (ভিএডব্লিউজি) শিকার হয়েছেন অথবা অন্য এমন নারীকে তারা চেনেন যিনি এর শিকার হয়েছেন।
এছাড়াও, বিশ্বে যেসব দেশে বাল্যবিয়ের হার সর্বোচ্চ, বাংলাদেশ এখনও সেই দেশগুলোর কাতারে রয়েছে। এখানে ২২ থেকে ২৪ বছর বয়সী নারীদের অর্ধেকের বেশির ১২ বছর বয়সী শিশু অবস্থায় বিয়ে হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে প্রতিবন্ধী শিশুদের অর্ধেকেরও বেশি স্কুলে যায় না, উদ্বেগ ইউনিসেফের
ইউএনএফপিএ বাংলাদেশের ডেপুটি রিপ্রেজেন্টেটিভ মাসাকি ওয়াতাবে বলেন, ‘সহিংসতার শিকার নারী ও মেয়েদের জন্য অপরিহার্য সেবা প্যাকেজ (ইএসপি) হলো জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতা মোকাবিলায় স্বাস্থ্য, সামাজিক সেবা, বিচার ও পুলিশ– এই চার গুরুত্বপূর্ণ খাত নিয়ে জাতীয় ব্যবস্থাকে সমর্থন করা জাতিসংঘের একটি বৈশ্বিক নির্দেশিকা।
ইউএনএফপিএর পক্ষ থেকে এবং ইউনিসেফ ও ইউএন উইমেনের সঙ্গে মিলে একত্রে, আমি বাংলাদেশে ইএসপি পুরোপুরি বাস্তবায়নের জন্য চিহ্নিত ঘাটতিগুলো পূরণ করতে সরকারের প্রচেষ্টায় সহায়তা প্রদানে আমাদের যৌথ প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করছি। এই সবকিছু অর্জনের জন্য সংশ্লিষ্ট সরকারি প্রতিষ্ঠান, বেসরকারি ও সুশীল সমাজের সংগঠন এবং উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অংশীদারিত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ইউএন উইমেন প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর শ্রাবনা দত্ত বলেন, ‘নারী ও মেয়েদের প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ জোরদার করতে সামগ্রিক ও সমন্বিত উপায়ে কাজ করা এবং সকল স্টেকহোল্ডারদের সম্পৃক্ত করা অপরিহার্য। সহিংসতা প্রতিরোধ প্রচেষ্টায় আমাদের বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। ইউএন উইমেন সরকার, সুশীল সমাজের অংশীদার ও উন্নয়ন অংশীদারদের সঙ্গে জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ কার্যক্রম এগিয়ে নিতে প্রস্তুত।’
আরও পড়ুন: ইউএন উইমেন’র নির্বাহী বোর্ডের সভাপতি রাবাব ফাতিমা
প্রতিবেদনে উঠে আসা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো হলো:
আইনগত কাঠামোতে অসামঞ্জস্যতা: বিচার সেবা মূল্যায়ন করতে গিয়ে লিগ্যাল ফ্রেইমওয়ার্ক বা আইনগত কাঠামোতে অসামাঞ্জস্য দেখা গেছে যেমন ১৮৬০ সালের দণ্ডবিধির ৩৭৫ ধারার অধীনে ধর্ষণের সংজ্ঞা থেকে শিশুবিয়ে ও বৈবাহিক ধর্ষণকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
· পুলিশি ও বিচার সেবার চ্যালেঞ্জসমূহ: মূল্যায়নটি পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ ও সক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর জোর দেওয়ার পাশাপাশি ভুক্তভোগী-কেন্দ্রিক এবং ট্রমার উপর বিশেষ জ্ঞান সম্বলিত পদ্ধতি অবলম্বনের আহ্বান জানায়।
· স্বাস্থ্য সেবাসমূহের সমন্বয়: চিকিৎসা ও বিচার সেবা প্রদানকারীদের মধ্যে সমন্বয়ের গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেওয়ার মাধ্যমে জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতা মোকাবিলায় যথাযথ পদক্ষেপ নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
· সামাজিক সেবায় বিনিয়োগ: প্রতিবেদনে সামাজিক সেবায় বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান জানানো হয়েছে এবং এমন একটি দল গঠনের কথা তুলে ধরা হয়েছে- যারা কমিউনিটির সবার কাছে পৌঁছানো, সচেতনতামূলক অভিযান পরিচালনা এবং জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতার শিকার ব্যক্তিদের মনো-সামাজিক সমর্থন প্রদানে সক্ষম।
প্রতিবেদনে সরকার, সুশীল সমাজ, নারী অধিকার সংগঠন, গণমাধ্যম ও জাতিসংঘ সংস্থাগুলোর জন্য করা সুপারিশগুলোর মধ্যে রয়েছে সক্ষমতা বাড়ানো, জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতাসংক্রান্ত অপরিহার্য সেবা সম্পর্কিত তথ্য সহজলভ্য করা, ভুক্তভোগীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং তথ্য সংগ্রহ ও ব্যবস্থাপনা উন্নত করা।
প্রস্তাবিত সুপারিশমালার মাধ্যমে দেশে জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতার শিকার মানুষ যে বহুমুখী চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয় তা মোকাবিলা করার জন্য একটি বিস্তৃত ও কার্যকরী পদ্ধতি সম্বলিত এক নীতি ও কর্মসূচি বাস্তবায়নের আহ্বান জানানো হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে শিশুদের মধ্যে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বাড়ায় ইউনিসেফের জরুরি চিকিৎসা সহায়তা
১০ মাস আগে
প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে এসডিজি ত্বরান্বিত করতে সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টা অপরিহার্য
প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সংলাপ শুরু করার উদ্দেশ্যে ইউএনডিপি এবং বেসরকারি খাতের শীর্ষ অংশীদাররা ঢাকায় সোমবার (২৩ অক্টোবর) থেকে তিন দিনব্যাপী এক আলোচনার আয়োজন করেছে।
আঞ্চলিক অংশীদারিত্ব বিনিময়ের লক্ষ্যে বিভিন্ন আমন্ত্রিত বাণিজ্যিক নেতা, ফাউন্ডেশন ও ইউএনডিপি’র বিভিন্ন প্রতিনিধি দল এখানে অংশ নিয়েছে।
এই বৈঠকের উদ্দেশ্য হলো- বিভিন্ন অংশীদারদের সঙ্গে ইউএনডিপি’র মিলিত উদ্যোগসমূহের ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা করা এবং বিভিন্ন উদ্যোগের মধ্যে পারস্পরিক সমন্বয় সাধন করা। যাতে করে এই কার্যক্রমগুলোর সাফল্য তরান্বিত করতে প্রয়োজনীয় সম্পদ সরবরাহ নিশ্চিত করা যায়।
আরও পড়ুন: বিশ্বের দরিদ্রতম মানুষের জন্য অস্থায়ী আয়ের ব্যবস্থা করোনার সংক্রমণ কমাতে পারে: ইউএনডিপি
অংশীদারদের সঙ্গে এই মতবিনিময় নতুন কিছু শেখার সুযোগ তৈরি করবে, খুলে দিতে পারে আরও নতুন সংলাপের দ্বার এবং ২০২৪ সাল বা আরও বেশি সময় পর্যন্ত অংশীদারিত্ব বৃদ্ধির সম্ভাবনাও তৈরি হতে পারে এই আলোচনার মধ্য দিয়ে।
এ সভায় বেসরকারি খাতের বিভিন্ন অংশীদার এবং ইউএনডিপি’র মধ্যে সরাসরি পারস্পরিক আলোচনার সুযোগ তৈরি হবে। যেখানে দু’পক্ষের মধ্যে এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করার ক্ষেত্রে মূল প্রতিবন্ধকতাগুলো দূর করার এবং এ অঞ্চলের সম্ভাবনাগুলো নিয়ে আলোচনা হবে।
ইউএনডিপি’র উপ-আঞ্চলিক পরিচালক ক্রিস্টোফ বাহুয়ে তার বক্তব্যে, এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ইউএনডিপি’র সঙ্গে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যকার ক্রমবর্ধমান পারস্পরিক সহযোগিতা এবং জাতীয় ও স্থানীয় উন্নয়নে এ সম্পর্কের ইতিবাচক প্রভাব তুলে ধরেন।
তিনি আরও বলেন, ইউএনডিপি ও বেসরকারি খাতের এই সহযোগিতামূলক সম্পর্কটি আগামী দিনে আরও বিকশিত হওয়ার দারুণ সম্ভাবনা রয়েছে। ইউএনডিপি ও কর্পোরেট কোম্পানিগুলোর একসঙ্গে পথচলার এ যাত্রায় আরও অনেক কিছু অর্জন সম্ভব। আঞ্চলিক পর্যায়ের এই পারস্পরিক মতবিনিময়ের মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের বিদ্যমান অংশীদারিত্বের পরিসর আরও বৃদ্ধি করতে এবং এ পারস্পরিক সম্পর্কে নতুন নতুন মাত্রা যোগ করার সুনির্দিষ্ট সম্ভাবনাগুলো চিহ্নিত করা সম্ভব হবে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউএনডিপি’র আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার তার উদ্বোধনী বক্তব্যে এই আয়োজনটির তাৎপর্য তুলে ধরে বলেনI
স্টেফান লিলার বলেন, ‘বেসরকারি খাত ও ইউএনডিপি এশিয়া প্যাসিফিকের প্রতিনিধিদের এ সম্মিলন থেকে। আমরা আশাবাদ ব্যক্ত করতে চাই, বেসরকারি খাতের সঙ্গে সম্পৃক্ততা তৈরিতে পুরো অঞ্চলের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সকল অন্তর্দৃষ্টি, অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতা জড়ো করার মাধ্যমে একটি ‘সামগ্রিক আঞ্চলিক দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তোলা হবে।’
স্টেফান আরও বলেন, ‘সরকারের সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্কের মাধ্যমে ইউএনডিপি এমন নীতিগুলির পক্ষে এডভোকেসি করে যেগুলো বাণিজ্যিক স্বার্থসমূহকে দীর্ঘমেয়াদে আরও জোরদার করে। আমাদের বিশাল অভিজ্ঞতা ও বেসরকারি খাতের কর্মতৎপরতার এই যুগলবন্দী টেকসই উন্নয়নের জন্য প্রণীত ‘এজেন্ডা ২০৩০’ এর অভীষ্ঠ অর্জনগুলো বাস্তবায়নে অনন্য ভূমিকা রাখবে।’
সংলাপে উপস্থিত ছিলেন- ইউনিলিভার বাংলাদেশ, ওরাকল, ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই), হিন্দুস্তান ইউনিলিভার, ডিএইচএল, স্যামসাং, এসএপি ইন্ডিয়া, এনইসি ইন্ডিয়া, ইউগলেনা, জেট্রো, গ্রামীণফোন ও ইউনিকলোসহ বেসরকারি খাতের গুরুত্বপূর্ণ কোম্পানিগুলির উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিগণ।
এ সংলাপগুলোতে যে বিষয়গুলো গুরুত্ব পাবে সেগুলো হলো- নেটশূন্য অর্থনীতি অভিমুখে ন্যায্য জ্বালানী রূপান্তর, টেকসই উন্নয়নের জন্য যুব ও নারীদের ক্ষমতায়ন, বৃত্তাকার অর্থনীতি, প্রযুক্তি উদ্ভাবন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও ডিজিটাল রূপান্তরের মতো ক্ষেত্রগুলোতে অংশীদারিত্বের রূপরেখা তৈরি।
আরও পড়ুন: ইউএনডিপি-এসএমই ফাউন্ডেশনের সমঝোতা স্মারক সই
দ্বিতীয়বার ইউএনডিপির শুভেচ্ছা দূত হলেন জয়া আহসান
১ বছর আগে
স্বাধীন ও দায়িত্বশীল গণমাধ্যম গণতন্ত্রের জন্য অপরিহার্য: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলছেন, স্বাধীন, স্বচ্ছ ও দায়িত্বশীল গণমাধ্যম অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য সহায়ক এবং গণতান্ত্রিক সমাজের জন্য অপরিহার্য।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজকে গণমাধ্যমের স্বাধীন বিকাশ, অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপদানের এক অনন্য উদাহরণ।
মঙ্গলবার (২৩ মে) দুপুরে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে ১৮তম এশিয়া মিডিয়া সামিট উদ্বোধনী দিনে ‘অর্থনৈতিক পুনর্গঠনে গণমাধ্যমের ভূমিকা’- শীর্ষক মন্ত্রী পর্যায়ের অধিবেশনে বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এশিয়া-প্যাসিফিক ইনস্টিটিউট ফর ব্রডকাস্টিং ডেভেলপমেন্ট (এআইবিডি) আয়োজিত সম্মেলনের এ অধিবেশনে কম্বোডিয়ার তথ্যমন্ত্রী খিউ কানহারিত, মিয়ানমারের তথ্যমন্ত্রী মং মং ওন, সামোয়ার যোগাযোগ তথ্য ও প্রযুক্তিমন্ত্রী তোলুপ পৌমুলিনুকু ওনেসেমো এবং ফিজির সহকারী মন্ত্রী সাকিউসা তুবুনা বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: ৭ মে শেখ হাসিনা দেশে না ফিরলে গণতন্ত্রও ফিরতো না: তথ্যমন্ত্রী
তিন দিনব্যাপী এবারের সম্মেলনের প্রতিপাদ্য অর্থনীতিকে আরও টেকসই করতে গণমামধ্যমের ভূমিকা।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারি ও ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিশ্বব্যাপী এবং দেশে দেশে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে।
তিনি বলেন, আমাদের গণমাধ্যম এ ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ এবং নীতি দেশের নাগরিকদের কাছে তুলে ধরে মানুষকে সচেতন রেখেছে। দেশে বিনিয়োগের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে গণমাধ্যমের প্রতিবেদন বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করেছে।
একই সঙ্গে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প নিয়ে গণমাধ্যমের প্রতিবেদন উদ্যোক্তাদের উৎসাহ দিয়েছে, আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে।
গণমাধ্যম যেমন বাণিজ্যের প্রসার ঘটাতে এবং চিন্তা ও উদ্ভাবনী পরিকল্পনাকে বিশ্বময় ছড়িয়ে দিতে সহায়ক ভূমিকা রাখে তেমনি সরকারের দায়িত্বশীলতাও বৃদ্ধি করে উল্লেখ করে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, সে কারণে বাংলাদেশ সরকার প্রায় দেড় হাজার পত্রিকা এবং কয়েক ডজন টেলিভিশন ও রেডিওকে লাইসেন্স দিয়েছে যাতে এই গণমাধ্যম বস্তুনিষ্ঠ তথ্য দিয়ে স্বচ্ছতা বৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক বিষয়ে মানুষকে সচেতন করে দেশের অর্থনীতি পুনর্গঠনে ভূমিকা রাখতে পারে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশ এবং এশীয় প্রশান্ত অঞ্চল তথা বিশ্বের সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ গড়তে সরকার এবং গণমাধ্যম হাতে হাত রেখে কাজ করবে।
আরও পড়ুন: হত্যা-খুনের রাজনীতি থেকে বিএনপি বেরিয়ে আসতে পারেনি: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপির আন্দোলনের ঘোষণা কাগুজে বাঘ ছাড়া কিছু নয়: তথ্যমন্ত্রী
১ বছর আগে
ডিজিটাল নিরাপত্তার জন্য আইপিভি-৬ ভার্সন অপরিহার্য: টেলিযোগাযোগমন্ত্রী
ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার জানিয়েছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তার জন্য ইন্টারনেট প্রটোকল ভার্সন (আইপিভি)-৪ এর পরিবর্তে আইপিভি-৬ প্রচলন করা অপরিহার্য। এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যব্স্থা গ্রহণে সরকার বদ্ধপরিকর।
রবিবার ঢাকায় এক হোটেলে আইএসপিএবি আয়োজিত আইপিভি-৬ রাউটিং ডিপ্লয়মেন্ট শীর্ষক এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
এছাড়া মন্ত্রী ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারসহ সংশ্লিষ্টদের এ ব্যাপারে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারীদের মধ্যে সুস্থ্য ব্যবসায়িক প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, লাইসেন্সহীন আইএসপিদের অবৈধ কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে না পারলে এ খাতের বিশৃঙ্খলা বন্ধ করা যাবে না।
এ ব্যাপারে বিটিআরসি কাজ করছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এ খাতে যে কোন বিশৃঙ্খলা মেনে নেয়া যায় না। উপজেলা, জেলা, বিভাগ ও জাতীয় পর্যায়ের জন্য আইএসপি লাইসেন্স গ্রাহক চাহিদার অনুযায়ী ইস্যু করার বিষয়টিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বিদ্যমান আইএসপি লাইসেন্স সমূহের পারফর্মেন্সের ভিত্তিতে লাইসেন্স আপগ্রেডের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হবে বলে সংশ্লিষ্টদের আশ্বস্ত করেন।
আরও পড়ুন: প্রতিটি থানায় সাইবার ইউনিট গঠন করা প্রয়োজন: টেলিযোগাযোগমন্ত্রী
মন্ত্রী উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটকে ডিজিটাল বাংলাদেশ ও স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মহাসড়ক উল্লেখ করে বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি বাস্তবায়নের ফলে দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের সূচনা হয়েছে।
দেশে বর্তমানে তিন হাজার ৮৪০ জিবিপিএস ইন্টারনেট ব্যবহৃত হচ্ছে এবং ১৩ কোটি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। ২০০৮ সালে মাত্র সাড়ে সাত জিবিপিএস ইন্টারনেট ব্যবহৃত হতো এবং ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিলো মাত্র আট লাখ।
ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় ইন্টারনেটকে এক নম্বর জরুরি হাতিয়ার আখ্যায়িত করে ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশের এই অগ্রদূত বলেন, করোনাকালে প্রমাণিত হয়েছে বাংলাদেশের মানুষ প্রযুক্তি ব্যবহারে পিছিয়ে থাকে না। এমনকী প্রত্যন্ত ও দুর্গম অঞ্চলে বসেও ইন্টারনেট ব্যবহার করে হাজার হাজার ডলার আয় করছে আউট সোর্সিংয়ের মাধ্যমে।
ইন্টারনেটের বর্ধিত চাহিদা মেটাতে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ খুবই তৎপর উল্লেখ করে বলেন, আমরা খুব শিগিগিরই তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের সঙ্গে বাংলাদেশকে সংযুক্ত করতে যাচ্ছি। এর ফলে আমরা আরও ১৩২০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউদথ পাব। এছাড়া পরবর্তীতে চতুর্থ সাবমেরিন ক্যাবলের সঙ্গে আমরা দেশকে সংযুক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।
এর অতিরিক্ত আরও তিনটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে সাবমেরিন ক্যাবল সংযোগের জন্য লাইসেন্স দেয়া হয়েছে বলে মন্ত্রী জানান।
সেমিনারে অংশ গ্রহণকারীদেরকে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের অগ্রযাত্রায় দক্ষ সৈনিক হিসেবে নিজেদের তৈরি করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আপনারা যে চ্যালেঞ্জ নিয়ে প্রশিক্ষণ নিতে আসছেন এটিকে আমরা খুবই গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। তিনি আইপিভি-৬ আপডেট করার জন্য দক্ষ মানব সম্পদ গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
আইএসপিএবি সভাপতি ইমদাদুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আবদুর রহিম খান, অ্যাপনিক প্রশিক্ষক আবদুল আওয়াল এবং আইএসপিএবি সেক্রেটারি নাজমুল করিম ভূঞা প্রমুখ বক্তব্য দেন।
বক্তারা ডিজিটাল নিরাপত্তার প্রয়োজনে আইপিভি-৬ ভার্সন এর প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন অত্যন্ত সময়োপযোগী একটি উদ্যোগ বলে উল্লেখ করেন। তারা এ ব্যাপারে দক্ষ মানব সম্পদের প্রয়োজনীয়তা ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
আরও পড়ুন: আমরা ডাকঘর ডিজিটাল করার কাজ শুরু করেছি: মোস্তাফা জব্বার
ডিজিটাইজেসন বা পদ্ধতিগত রূপান্তরের ফলে ‘লাল ফিতার দৌরাত্ম্য’ দূর হচ্ছে: মোস্তাফা জব্বার
২ বছর আগে