জাতীয় পুরস্কার
জয়ার 'ফেরশতে' পেল ইরানের জাতীয় পুরস্কার
জয়া আহসান অভিনীত বাংলাদেশ-ইরানের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত ‘ফেরেশতে’ চলচ্চিত্রটি মানবিক দৃষ্টিভঙ্গির জন্য ইরানের জাতীয় পুরস্কার জিতেছে।
খবরটি জয়া আহসান তার অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে মঙ্গলবার নিশ্চিত করেছেন।
জয়ার পোস্ট থেকে জানা যায়, প্রতি বছর ফজর চলচ্চিত্র উৎসবের পর, মানবাধিকার, শিক্ষা, পরিবেশ, দাতব্য কাজ ইত্যাদি বিভাগে 'জাতীয় ইচ্ছার প্রতিফলন/বহিঃপ্রকাশ' নামে সমাজের জন্য অনুকরণীয় চলচ্চিত্রগুলোকে জাতীয় পুরস্কার প্রদান করা হয়।
এই পুরস্কারটি 'খয়র-ই-মান্দেগার' নামক একটি প্রতিষ্ঠান দ্বারা প্রদান করা হয়, যা ইরানের সমস্ত দাতব্য প্রতিষ্ঠান, দাতা, এনজিও-এর প্রতিনিধিত্ব করে এবং প্রতিষ্ঠানটি ইরানে ইউনিসেফের মতো সক্রিয়।
আরও পড়ুন: তেহরানে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে জয়া আহসান
এই পুরস্কারের পাশাপাশি, 'ফেরেশতে' চলচ্চিত্রের প্রধান দুই অভিনেতা জয়া আহসান এবং সুমন ফারুককে 'খয়র-ই-মান্দেগার' স্মারক প্রদান করে সম্মানিত করা হয়।
সিনেমাটির পরিচালক মুর্তজা অতাশ জমজম। চিত্রনাট্য লিখেছেন বাংলাদেশের মুমিত আল-রশিদ। ফারসি ও বাংলা অনুবাদ করেছেন মুমিত আল-রশিদ ও ফয়সাল ইফরান।
আরও পড়ুন: বলিউডেও দ্যুতি ছড়ালেন জয়া
ইরান-বাংলাদেশ যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত ‘ফেরেশতে’ সিনেমাতে সহপ্রযোজক হিসেবে আছে ইমেজ সিনেমা, সি তে সিনেমা এবং ম্যাক্সিমাম এন্টারপ্রাইজ বাংলাদেশ।
উল্লেখ্য, ইরানি বিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতাদের চলচ্চিত্রগুলোর পাশাপাশি 'ফেরেশতে' চলচ্চিত্রটি ফজর আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের প্রধান বিভাগের উদ্বোধনী চলচ্চিত্র হিসাবে জনগণ, সংবাদপত্র এবং সমালোচকদের দ্বারা সমাদৃত হয়েছিল।
এ চলচ্চিত্রে জয়া আহসান ও সুমন ফারুক ছাড়াও বাংলাদেশের আরও বেশ কজন শিল্পী রিকিতা নন্দিনী শিমু, শহীদুজ্জামান সেলিম, শাহেদ আলী, শাহীন মৃধা, শিশুশিল্পী সাথী অভিনয় করেছেন।
আরও পড়ুন: কড়ক সিং: জয়ার প্রথম হিন্দি সিনেমা আসছে ওটিটির পর্দায়
১০ মাস আগে
টেলিভিশন শিল্পীদের জন্য জাতীয় পুরস্কারের কথা ভাবা হচ্ছে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ জানিয়েছেন, টেলিভিশন শিল্পীদের জন্য আলাদাভাবে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরস্কার দেয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। এছাড়া আমাদের মন্ত্রণালয়ে এ নিয়ে আলোচনাও করেছি কয়েক দফায়।
সোমবার (১৭ অক্টোবর) মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে টেলিভিশন শিল্পী, পরিচালক, প্রযোজক, কুশলীদের সঙ্গে মতবিনিময়ের পর সাংবাদিকদের তিনি এমন তথ্য দিয়েছেন।
তিনি বলেন, যেহেতু এটি জাতীয় বিষয়, এককভাবে আমাদের মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। সবার সঙ্গে আলোচনা করে এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হবে। এভাবেই শিল্পীদের ও শিল্পের সুরক্ষার জন্য আমরা অনেক পদক্ষেপ নিয়েছি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আপনারা জানেন যে আগে বাংলাদেশে টেলিভিশনগুলোর কোনো সিরিয়াল ছিল না। যার যেমন ইচ্ছা ক্যাবল অপারেটররা সেভাবে প্রদর্শন করতো। অনেক ক্ষেত্রে ভারতীয় চ্যানেলের পরে বাংলাদেশের চ্যানেল দেখানো হতো। কিন্তু সেখানে একটা শৃঙ্খলা আমরা আনতে পেরেছি। বাংলাদেশ টেলিভিশন ভারতবর্ষে দেখানোর চেষ্টা শুরু হয় আজ থেকে ত্রিশ বছর আগে। কিন্তু তিন দশকেও তা সফলতা লাভ করেনি। প্রধানমন্ত্রী আমাকে দায়িত্ব দেয়ার পর ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে আমরা পুরো ভারতবর্ষে বাংলাদেশ টেলিভিশন প্রদর্শনের ব্যবস্থা করেছি। যা একটি মাইলফলক।
বিদেশি শিল্পীদের দিয়ে বিজ্ঞাপন বানানোর লাগাম টেনে ধরার কথা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আপনারা জানেন যে, বাংলাদেশের অভিনয় শিল্পীদের কথা মাথায় রেখেই আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে এ নিয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। আমরা অচিরেই তা বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছি।
আরও পড়ুন: সচিবের অবসর: কারণ জানেন না তথ্যমন্ত্রী
আপনারা জানেন যে, বিজ্ঞাপনচিত্র বানানো হয় বিদেশি শিল্পীদের দিয়ে। অথচ আমাদের দেশে অনেক প্রতিভাবান অভিনয়শিল্পী আছে, বিজ্ঞাপন নির্মাতাও আছেন। অতীতে আমাদের দেশের নির্মাতারাই অনেক ভালো বিজ্ঞাপন বানিয়েছেন। যেগুলোকে শুধু পণ্যের বিজ্ঞাপন বলা যাবে না, এগুলো মানুষের তৃতীয় নয়ন খুলে দিতো, মানুষের মধ্যে ভাবনার জন্ম দিতো, ত্রিশ বা দশ সেকেন্ডের মধ্যেই সেটিকে উপস্থাপন করা অনেক শেয়ানার, অনেক মুনশিয়ানার কাজ। সেটি আমাদের দেশের বিজ্ঞাপন নির্মার্তারা বানিয়েছেন। শিল্পীরা অভিনয় করে দেখিয়েছেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, এরপরেও ইদানীং আমরা একটি প্রবণতা দেখতে পাচ্ছি যে সব বিজ্ঞাপন চিত্রই যতটা সম্ভব বিদেশি শিল্পীদের দিয়ে বানিয়ে আনা এবং বিদেশি বিজ্ঞাপন ডাবিং করে বাংলাদেশে প্রদর্শন করা হচ্ছে। আমরা সেটির লাগাম টেনে ধরতে চাই। সেজন্যই এরইমধ্যে আমরা প্রজ্ঞাপন জারি করেছি। আরও একটি নীতিমালা চূড়ান্ত হয়েছে, তা প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করা হবে।
তাতে বলা আছে, বিদেশি শিল্পীদের দিয়ে বিজ্ঞাপন বানাতে হলে প্রতিটি শিল্পীপ্রতি ট্যাক্স-ভ্যাটের বাইরে সরকারকে অতিরিক্ত কর দিতে হবে। পাশাপাশি যারা প্রদর্শন করবেন, তাদেরকেও টাকা দিতে হবে। আর তা ডাবিং করা বিজ্ঞাপনচিত্রের জন্যও প্রযোজ্য হবে।
কারণ বাইরে বানিয়ে এনে তা বাংলাদেশে ডাবিং করে, যেমন বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর যে পণ্য-প্রদর্শন করার লাগাম টেনে ধরতে হবে।
উপমহাদেশের অনেক দেশে তা করা যায় না বলেও জানান তথ্যমন্ত্রী। প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, তা আমাদের দেশে কেন হবে? আমাদের দেশের শিল্পীরা অনেক মেধাবী, নির্মাতারাও মেধাবী। আমাদের দেশের শিল্প ও শিল্পী যাতে উপকৃত হয়, সেজন্য আমরা এ পদক্ষেপ নিচ্ছি।
এছাড়া বাংলাদেশে টেলিভিশনে গত কয়েক বছর ধরে বিদেশি সিরিয়াল কিনে এনে-পঞ্চাশ কিংবা ত্রিশ বছর আগের-ডাবিং করে সম্প্রচার করা হয়। আমরা সেটার লাগাম টেনে ধরেছি। এ কাজ প্রথমে দুয়েকটি চ্যানেল শুরু করেছিল, পরে তা অনেকগুলো চ্যানেল করেছে। একটির বেশি (বিদেশি) সিরিয়াল কোনো টেলিভিশন চালাতে পারবে না। কিন্তু আমরা একেবারে বন্ধ করছি না, পৃথিবী এখন মুক্তবাজার অর্থনীতিতে চলছে। এখন আকাশ উন্মুক্ত। কাজেই এমন পরিস্থিতিতে একটির বেশি বিদেশি সিরিয়াল কোনো টেলিভিশন চালাতে পারবে না। ইতিমধ্যেই তা আমরা কার্যকর করেছি।
তিনি আরও জানান, আমি যখন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিই, তখন শিল্পীরাই এসে আমার কাছে এমন দাবি করেছিল। দ্রুততার সঙ্গে আমরা সেটি বাস্তবায়ন করেছি। এটা এজন্যই করেছি, যাতে আমাদের দেশে সিরিয়াল তৈরি হয়। অতীতে আমাদের দেশে অনেক ভালো ভালো টিভি সিরিয়াল তৈরি হয়েছে, যা মানুষ উন্মুখ হয়ে দেখতো। আমাদের ছোট বেলায় বা আমাদের কলেজ জীবনে আমরা সিরিয়াল উন্মুখ হয়ে দেখতাম। আমাদের সেই মানের শিল্পী আছে। যারা বানিয়েছিলেন, তারা এখনও বেঁচে আছেন।
কাজেই বিদেশি সিরিয়াল কেন দেখানো হবে?
আরও পড়ুন: বিএনপির চট্টগ্রামের সমাবেশের চেয়ে জব্বারের বলি খেলায় বেশি ভিড় হয়: তথ্যমন্ত্রী
গাইবান্ধা-৫ আসনের নির্বাচনে স্থগিতাদেশ প্রমাণ করে কমিশনের সিদ্ধান্ত সবার ঊর্ধ্বে: তথ্যমন্ত্রী
২ বছর আগে