দখলকারী
খাল দখলকারীদের ধিক্কার জানালেন ডিএনসিসি মেয়র
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, অত্যন্ত দুঃখের বিষয় সরকারি খাল, খাস জমি এগুলো কতিপয় দখলদার অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে।
তিনি বলেন, আমরা জানতে পেরেছি যারা খাল, খাস জমি অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে তারা হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক।
যারা সরকারি জমি, জনগণের জমি দখল করেছে তাদেরকে আমি ধিক্কার জানাই।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর সাতারকুল-ভাটারা একশ’ ফুট এলাকায় সূতিভোলা খালের উন্নয়ন কার্যক্রম পরিদর্শন এবং খালের দলখ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনাকালে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সমস্যা শুনে সমাধান করা হবে: ডিএনসিসি মেয়র
মেয়র বলেন, আমি স্থানীয় সংসদ সদস্য, কাউন্সিলর, নদী রক্ষা কমিশনসহ পরিবেশ নিয়ে কাজ করে এমন অন্যান্য সংগঠনের প্রতিনিধি ও জনগণকে সঙ্গে নিয়ে অবৈধ স্থাপনা ভেঙে দিব। অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করব। অভিযান শুরু হয়েছে। এই অভিযান চলবে।
শুরুতে ডিএনসিসি মেয়র সূতিভোলা খাল এবং পরে পাশের সমুদ্র খালের উন্নয়ন কাজ পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে ডিএনসিসি মেয়র সূতিভোলা খালের পাড় দিয়ে হেটে যান।
এসময় মেয়রের উপস্থিতিতে খালের পাড়ে অবৈধভাবে গড়ে তোলা ইটের তৈরি ওয়াল ভেঙে দিয়ে প্রায় আধা কিলোমিটার জায়গা দখলমুক্ত করা হয়।
অভিযান পরিচালনা করেন ডিএনসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ড. মোহাম্মদ মাহে আলম, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুলকার নায়ন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুব হাসান এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হাসান।
আরও পড়ুন: হাতিরঝিলের আদলে সুতিভোলা খাল সাজানো হবে: ডিএনসিসি মেয়র
মত বিনিময়কালে আতিকুল ইসলাম বলেন, মূল খালের পাশে অনেক খাস জমি রয়েছে। সেসব খাস জমিতে শিশুদের জন্য খেলাধুলার জায়গা করে দেওয়া হবে, খালের পাড়ে ওয়াকওয়ে, সাইকেল লেন, নান্দনিক গণপরিসর, পার্ক, নৌকার জন্য ঘাট নির্মাণ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। প্রথম ধাপে ৬ দশমিক ৮ কিলোমিটার খালের উন্নয়ন কাজ করা হবে। এর আওতায় সূতিভোলা খাল ও সমুদ্র খালের উন্নয়ন হবে। প্রায় সাত কিলোমিটার খাল উন্নয়নের এই প্রকল্পে প্রায় ৮০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে এই উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন করা হবে।
মেয়র বলেন, ঢাকার পূর্ব পাশে মোট প্রায় ২৯ কিলোমিটার খালের উন্নয়ন ও খালগুলোর মধ্যে কানেকটিভিটি তৈরি করা হবে। এ বছরের মধ্যে প্রথম ধাপে সূতিভোলা খালের ৭ কিলোমিটার উন্নয়ন করব এবং পরে বাকী ২২ কিলোমিটারের উন্নয়ন করা হবে।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে বর্জ্য সম্পদে পরিণত হবে: ডিএনসিসি মেয়র
৮ মাস আগে
৩০ দিনের মধ্যে রেলের জায়গা দখলকারীদের তালিকা দাখিলের নির্দেশ
দেশের বিভিন্ন জেলায় যারা রেলওয়ের জায়গা অবৈধভাবে দখল করেছে, তাদের তালিকা তৈরি করে তা ৩০ দিনের মধ্যে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এক সম্পূরক আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। তাকে সহায়তা করেন অ্যাডভোকেট রিপন বাড়ৈ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সাইফুদ্দিন খালেদ।
মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠনের পক্ষে সোমবার এ আবেদন করা হয়।
আইনজীবী মনজিল মোরসেদ জানান, রুলে সারাদেশে রেলওয়ের সম্পত্তি অবৈধ দখলমুক্ত করতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং বাংলাদেশ রেলওয়ের বিভিন্ন জেলায় থাকা সম্পত্তি অবৈধ দখলকারীদের উচ্ছেদ করার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: আপনি ভুল করেননি, ক্রাইম করেছেন: জেলা জজকে হাইকোর্ট
দুই সপ্তাহের মধ্যে রেলওয়ে সচিব ও মহাপরিচালক, পরিচালক, সহকারী ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
তিনি জানান, বিভিন্ন জেলায় রেলওয়ের কী পরিমাণ জমি অবৈধ দখলে আছে, তা রেলওয়ের সচিব ও মহাপরিচালককে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে জানাতে বলেছেন আদালত, পাশাপাশি দখলকারীদের তালিকা তৈরি করে আদালতে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
শুনানিতে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, ২০১৬ সালে নারায়ণগঞ্জে রেলওয়ের জায়গা অবৈধ দখলকারীদের উচ্ছেদের নির্দেশনা চেয়ে একটি রিট পিটিশন দায়ের করার পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, পাবনাসহ বিভিন্ন জেলায় শত শত একর জমি অবৈধভাবে দখল করা আছে মর্মে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
তিনি আদালতে বলেন, রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কতিপয় অসাধু কর্মচারীর যোগসাজশে হাজার হাজার একর সম্পত্তি বেদখল হয়ে আছে, যা মূলত জনগণের সম্পত্তি এবং এগুলো উদ্ধারের জন্য নির্দেশনা প্রয়োজন। আদালত হস্তক্ষেপ না করলে এসব জনগণের সম্পত্তি উদ্ধার করা সম্ভব হবে না।
আরও পড়ুন: সেন্ট্রাল হাসপাতালের ডা. মিলিকে আত্মসমর্পণে হাইকোর্টের নির্দেশ
ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে অভিযোগ বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট
১ বছর আগে
রমজানে আন্দোলনের ডাক দেয়ায় বিএনপিকে কটাক্ষ প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাধীনতার ফল এবং দেশের উন্নয়নের ধারাকে থামিয়ে দিতে চায় এমন অবৈধ ক্ষমতা দখলকারীদের ‘প্রেতাত্মাকে’ প্রতিহত করতে তার দলের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, দেশের স্বাধীনতাকে বিফল হতে দেয়া যাবে না। জাতির পিতার হত্যাকারী অবৈধ ক্ষমতা দখলকারী এবং তাদের প্রেতাত্মাদের বাংলাদেশের জনগণের স্বাধীনতাকে ধ্বংস করা থেকে প্রতিহত করতে হবে।
সোমবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
তিনি বলেন, ২০০৮ সাল থেকে দেশে গণতন্ত্র বিরাজ করায় বাংলাদেশে উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন হয়েছে।
তিনি বলেন, বিশ্ব বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বিবেচনা করে। বাংলাদেশ এখন আর পিছিয়ে যাবে না, এগিয়ে যাবে অপ্রতিরোধ্য গতিতে।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রধান শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭৫-১৯৯৬ এবং ২০০১-২০০৮ সাল পর্যন্ত ২৯ বছর দেশ অন্ধকারে ছিল।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা সেই কালো মেঘ দূর করে বাংলাদেশের মানুষের জন্য নিয়ে এসেছি নতুন আলো। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে যাত্রা অব্যাহত থাকবে।
তিনি বলেন, যাই হোক বাংলাদেশ আলোর পথে যাত্রা অব্যাহত রাখবে।
তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে জনগণের বিশ্বাস ও আস্থা নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার জন্য আওয়ামী লীগের নেতা ও কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।
আসুন কারোর মিথ্যা বক্তব্যে বিভ্রান্ত না হই।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধাদের উপহার পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, তিনি খুব ভাল করেই জানেন যে কিছু আন্তর্জাতিক শক্তি রয়েছে, যারা বাংলাদেশে ধারাবাহিক গণতন্ত্র পছন্দ করে না।
তিনি আরও বলেন, আমাদের কিছু বুদ্ধিজীবী আছেন তারাও এটি মোটেও পছন্দ করেন না। তারা মনে করেন, দেশে কোনো অস্বাভাবিক সরকার বিরাজ করলে তারা গুরুত্ব পাবেন। কারণ অবৈধ ক্ষমতা দখলকারীদের তাদের মতো কিছু লাঠি দরকার। তারা (অবৈধ ক্ষমতা দখলকারীদের) লাঠি হতে না পারায় তারা দুঃখ বোধ করছে।
তিনি বলেন, এইসব লোকেরা নিরলসভাবে বিদেশে দেশের সুনামকে কলঙ্কিত করছে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন-আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাহজাহান খান, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন ও জাহাঙ্গীর কবির নানক, আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপকমিটির চেয়ারম্যান রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ জমির, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য পারভিন জামান কল্পনা ও অ্যাডভোকেট নাদিরা খান, আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস, আওয়ামী লীগের ঢাকা দক্ষিণ শাখার সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির ও আওয়ামী লীগের ঢাকা উত্তর শাখার সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি প্রমুখ।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসে স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করলেন প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে
কাপ্তাই হ্রদ দখলকারীদের তালিকা চান হাইকোর্ট
আগামী ৩০ দিনের মধ্যে রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদের অবৈধ দখলকারীদের তালিকা দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে আদালত কাপ্তাই হ্রদের মাটি ভরাট বা স্থাপনা নির্মাণ আর যাতে না হয় সে ব্যাপারে কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে রাঙামাটি ডিসি ও এসপিসহ সংশ্লিষ্ট ১২ বিবাদীর প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন।
এছাড়া আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ে আদালতে অগ্রগতি প্রতিবেদন দিতে বলেছেন।
আরও পড়ুন: ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট
হ্রদটির অবৈধ দখল বন্ধ, জরিপ করে হ্রদের সীমানা নির্ধারণ এবং অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ চেয়ে জনস্বার্থে করা রিটের শুনানি নিয়ে সোমবার বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ারদীর বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেন।
এছাড়া আদালত কাপ্তাই হৃদের অবৈধ দখল-মাটি ভরাট ও স্থাপনা নির্মাণ বন্ধে প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং অবৈধ দখলদার উচ্ছেদের কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন।
চার সপ্তাহের মধ্যে বিবাদীদের এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। তাকে সহায়তা করেন এডভোকেট রিপন বাড়ৈ ও এডভোকেট সঞ্জয় মন্ডল।
আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার মাঈনুল হাসান।
হ্রদটি দখলের বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদযুক্ত করে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস এন্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষ থেকে রবিবার হাইকোর্টে রিট করেন আইনজীবী মো. ছারওয়ার আহাদ চৌধুরী ও আইনজীবী রিপন বাড়ৈ।
ওই রিটের ওপর সোমবার শুনানি হয়।
আরও পড়ুন: সিজেএম’র সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ, পিরোজপুরের পিপিকে হাইকোর্টে তলব
জামিন চেয়ে হাইকোর্টে মিন্নির আবেদন
২ বছর আগে