প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাধীনতার ফল এবং দেশের উন্নয়নের ধারাকে থামিয়ে দিতে চায় এমন অবৈধ ক্ষমতা দখলকারীদের ‘প্রেতাত্মাকে’ প্রতিহত করতে তার দলের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, দেশের স্বাধীনতাকে বিফল হতে দেয়া যাবে না। জাতির পিতার হত্যাকারী অবৈধ ক্ষমতা দখলকারী এবং তাদের প্রেতাত্মাদের বাংলাদেশের জনগণের স্বাধীনতাকে ধ্বংস করা থেকে প্রতিহত করতে হবে।
সোমবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
তিনি বলেন, ২০০৮ সাল থেকে দেশে গণতন্ত্র বিরাজ করায় বাংলাদেশে উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন হয়েছে।
তিনি বলেন, বিশ্ব বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বিবেচনা করে। বাংলাদেশ এখন আর পিছিয়ে যাবে না, এগিয়ে যাবে অপ্রতিরোধ্য গতিতে।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রধান শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭৫-১৯৯৬ এবং ২০০১-২০০৮ সাল পর্যন্ত ২৯ বছর দেশ অন্ধকারে ছিল।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা সেই কালো মেঘ দূর করে বাংলাদেশের মানুষের জন্য নিয়ে এসেছি নতুন আলো। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে যাত্রা অব্যাহত থাকবে।
তিনি বলেন, যাই হোক বাংলাদেশ আলোর পথে যাত্রা অব্যাহত রাখবে।
তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে জনগণের বিশ্বাস ও আস্থা নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার জন্য আওয়ামী লীগের নেতা ও কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।
আসুন কারোর মিথ্যা বক্তব্যে বিভ্রান্ত না হই।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধাদের উপহার পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, তিনি খুব ভাল করেই জানেন যে কিছু আন্তর্জাতিক শক্তি রয়েছে, যারা বাংলাদেশে ধারাবাহিক গণতন্ত্র পছন্দ করে না।
তিনি আরও বলেন, আমাদের কিছু বুদ্ধিজীবী আছেন তারাও এটি মোটেও পছন্দ করেন না। তারা মনে করেন, দেশে কোনো অস্বাভাবিক সরকার বিরাজ করলে তারা গুরুত্ব পাবেন। কারণ অবৈধ ক্ষমতা দখলকারীদের তাদের মতো কিছু লাঠি দরকার। তারা (অবৈধ ক্ষমতা দখলকারীদের) লাঠি হতে না পারায় তারা দুঃখ বোধ করছে।
তিনি বলেন, এইসব লোকেরা নিরলসভাবে বিদেশে দেশের সুনামকে কলঙ্কিত করছে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন-আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাহজাহান খান, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন ও জাহাঙ্গীর কবির নানক, আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপকমিটির চেয়ারম্যান রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ জমির, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য পারভিন জামান কল্পনা ও অ্যাডভোকেট নাদিরা খান, আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস, আওয়ামী লীগের ঢাকা দক্ষিণ শাখার সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির ও আওয়ামী লীগের ঢাকা উত্তর শাখার সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি প্রমুখ।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসে স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করলেন প্রধানমন্ত্রী