দোষী
তদন্তে দোষী না হলে গ্রেপ্তার নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, আগে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করত, ১০ জনের নাম দিত আর ৫০ জন দিত বেনামী। এখন কিন্তু পুলিশ মামলা করছে না।
তিনি বলেন, মামলা করছে সাধারণ জনগণ। মামলা হলেই গ্রেপ্তার নয়। আগে তদন্ত, তদন্তে দোষী সাব্যস্ত হলেই আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শনিবার (৫ অক্টোবর) আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) হেডকোয়ার্টারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন স্কাউট গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও ইউনিট লিডার মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধর নামে প্রতিষ্ঠিত ‘স্কাউটার শহিদ মীর মুগ্ধ ভবন’ ও তার স্মরণে উৎসর্গ করা আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রবেশ তোরণ উদ্বোধন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ছাত্র আন্দোলনে আহত ১৪ জন বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
উপদেষ্টা বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যারা জীবন উৎসর্গ করেছে তারা সবাই শহিদ। শুধু মুগ্ধ নয়, যারা শাহাদত বরণ করেছেন, তাদের সবার জন্য আপনারা দোয়া করবেন যেন তারা শহিদের মর্যাদা পায়।
তিনি আরও বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত ও অসুস্থদের চিকিৎসার ব্যবস্থা সরকার করবে। যদি উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের বিদেশে পাঠাতে হয়, সে ব্যবস্থাও সরকার করবে। তাদের চিকিৎসার জন্য বিদেশ থেকে চিকিৎসক আনা হবে। চিকিৎসকদের পরামর্শ মোতাবেক আহত ও অসুস্থদের সুচিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো হবে।
উপদেষ্টা বলেন, বিগত সরকারের নেতা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের মধ্যে যারা অপরাধী তাদের বেশিরভাগই ৫ থেকে ৭ আগস্টের মধ্যে পালিয়ে গেছে। আর যাতে নতুন করে পালাতে না পারে সেজন্য সীমান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। সেজন্য এখন পালানোটা তাদের জন্য বেশ দুরূহ হয়ে গেছে। আর এখন পালাতে গেলে শুধু পুলিশ ও বিজিবি নয়, সাধারণ জনগণই তাদের ধরিয়ে দিচ্ছে।
উপদেষ্টা এসময় অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে অপরাধীদের ধরিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য সাংবাদিকদের অনুরোধ করেন।
আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের প্রধান ও অতিরিক্ত আইজিপি সেলিম মো. জাহাঙ্গীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ ও সুরক্ষা সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন, পুলিশ মহাপরিদর্শক মো. ময়নুল ইসলাম, মুগ্ধের বাবা মীর মোস্তাফিজুর রহমান, বড় ভাই মীর মাহমুদুর রহমান দীপ্ত ও মুগ্ধর জমজ ভাই স্নিগ্ধ।
আরও পড়ুন: আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা অপরিকল্পিত: শিক্ষা উপদেষ্টা
১ মাস আগে
জনগণের সঙ্গে অসদাচরণের জন্য দোষী সেনা সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: আইএসপিআর
বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেনা সদস্যদের অসদাচরণের কিছু ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে।
শুক্রবার (১৬ আগস্ট) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ ধরনের ঘটনা সম্পূর্ণ অনাকাঙ্ক্ষিত ও অনভিপ্রেত, যা বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কখনোই সমর্থন করে না।
উল্লেখ্য, দোষী সেনা সদস্যদের চিহ্নিত করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দোষী সাব্যস্ত সদস্যদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: ডিজিএফআইয়ের নতুন মহাপরিচালক মেজর জেনারেল ফয়জুর রহমান: আইএসপিআর
৩ মাস আগে
দোষীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
ঢাকার সদরঘাটে লঞ্চের রশি ছিঁড়ে নিচে পড়ে পাঁচ যাত্রী নিহতের ঘটনায় দোষীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
একইসঙ্গে যাত্রীদের হতাহতের ঘটনায় নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সদরঘাটে লঞ্চের দড়ি ছিঁড়ে এই ঘটনা ঘটে।
বৃহস্পতিবার প্রতিমন্ত্রী এক শোকবার্তায় নিহতদের আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
৭ মাস আগে
প্রীতি উড়ানের মৃত্যুর ঘটনায় দোষীদের শাস্তি দাবি বাবা-মায়ের
শিশু গৃহকর্মী প্রীতি উড়ানের মৃত্যুর ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের উদ্যোগে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে প্রীতির বাবা-মা অভিযোগ করেন, তাদের মেয়েকে নির্মমভাবে মোহম্মদপুরের একটি ভবনেরআটতলা থেকে ফেলে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ডেইলি স্টার পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হক জড়িত। তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তারা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-ভারতের অংশীদারিত্বের ভবিষ্যৎ কার্যকর বহুমুখী সংযোগে নিহিত: প্রণয় ভার্মা
তারা বলেন, সৈয়দ আশফাকুল হকের বাসার কাজে নিয়োজিত ছিল প্রীতি উড়ান।
সৈয়দ আশফাকুল হককে সমর্থন দেওয়ার জন্যে ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারের নিবন্ধন বাতিলের দাবি জানান মানববন্ধনে উপস্থিত বক্তারা।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি ডেইলি স্টার পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হকের অষ্টম তলার ফ্ল্যাট থেকে পরে নিহত হন শিশু গৃহকর্মী প্রীতি উড়ান।
এ ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয় সৈয়দ আশফাকুল হক ও তার স্ত্রীকে।
আরও পড়ুন: জলবায়ু প্রতিশ্রুতি পূরণে উন্নত বিশ্বের প্রতি আহ্বান পরিবেশমন্ত্রীর
এ সময় উপস্থিত ছিলেন-
নিহত প্রীতির বাবা লুকেশ উরান, মা নমিতা উরান, কবিতা উরান, চা শ্রমিক, নিহত প্রীতির চাচাতো বোন, শংকর তাতী, মনু ধলই ভ্যালী পরিষদের সাংগঠনিক ফিল্ড কর্মী, মঞ্জুরুল ইসলাম, শ্রমিক নেতা মিন্টু শেখ, তাইজউদ্দীন রনি, সমাজসেবক ও আইনজীবী এম রহমান। এছাড়াও বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সদস্য ও সাধারণ জনতা মানববন্ধনে অংশ নেন।
আরও পড়ুন: এআই বিষয়ক আইন করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার: আইনমন্ত্রী
৯ মাস আগে
নির্বাচনের আগে বিএনপি নেতাদের দোষী সাব্যস্ত করতে সরকারের ‘ভয়ংকর মাস্টার প্ল্যান’: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বুধবার অভিযোগ করেছেন, সরকার বিরোধী দলগুলোর নেতাদের নির্বাচনের মাঠ থেকে সরাতে 'ভয়াবহ মাস্টারপ্ল্যান' নিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘যখন মৃত্যু ঘনিয়ে আসে এবং বেঁচে থাকার কোন আশা থাকে না, তখন অনেকেই বেঁচে থাকার জন্য কিছু একটা ধরে রাখার চেষ্টা করে। তাই, বিরোধী দলের নেতাদের বিরুদ্ধে সাজা তাদের (সরকার) পরিকল্পনার অংশ যে বাংলাদেশের রাজনীতিকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দেওয়া, রাজনীতিকে বিলুপ্ত করা। দেশ ও রাজনীতিবিদদের রাজনীতির মাঠ থেকে সরিয়ে দিয়ে একাই নির্বাচনের প্রতিবন্ধকতা পার করুন।’
এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা বলেন, তারা শুনেছেন যে সরকার আগামী সাধারণ নির্বাচনের আগে বিরোধী দলের নেতাদের কারাগারে পাঠানোর জন্য প্রায় ১ হাজার ৩৫০টি মামলা নিষ্পত্তি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘প্রতিটি মামলার আসামি বিএনপিসহ বিরোধী দলের শীর্ষ নেতারা। তারা (সরকার) এখন এই ভয়ানক পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নেমেছে।’
ফখরুল বলেন, সরকার ভাবছে বিরোধী দলের সিনিয়র নেতাদের গ্রেপ্তার ও সাজা হলে তারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।
আরও পড়ুন: আগামী নির্বাচন নিয়ে সংকট নিরসনে সরকারের সুর নেমে এসেছে: ফখরুল
তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতারা সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনের কথা বলেন যেহেতু তারা তাদের ইচ্ছানুযায়ী জাতীয় সনদ সংশোধন করে একতরফা খেলা এবং একা গোল করার সুযোগ তৈরি করেছেন। ‘তারা কোনো প্রতিপক্ষ ছাড়াই (নির্বাচনের নামে) খেলার মাধ্যমে ক্ষমতায় থাকবে। তারা সেই লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে।’
বুধবার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা দুর্নীতি মামলার শুনানি এবং দলের নেতা ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, আমানুল্লাহ আমান ও তার স্ত্রী সাবেরা আমানের পৃথক দুর্নীতি মামলায় হাইকোর্টের রায়ের প্রতিবাদে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বিএনপি।
ফখরুল বলেন, ২০০৭ সালে তারেক ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দায়ের করা ‘মিথ্যা’ মামলায় আসামিদের আত্মরক্ষার অধিকার প্রয়োগের সুযোগ না দিয়ে হঠাৎ করেই শুনানি শুরু হয়।
তিনি অভিযোগ করেন, ‘এখন খুব দ্রুত প্রতিদিন সাক্ষী হাজির করা হচ্ছে এবং রাত পর্যন্ত তাদের সাক্ষ্য নেওয়া হচ্ছে। আমরা মনে করি এর মাধ্যমে দেশের বিচার বিভাগের কফিনে পেরেক ঠেকানো হয়েছে।’
আরও পড়ুন: সরকার বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের কারাগারে পাঠিয়ে আন্দোলনকে স্তব্ধ করার চেষ্টা করছে: ফখরুল
বিষয়টি নিয়ে ঢাকার বিশেষ আদালতে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা কথা বলার চেষ্টা করলে ফখরুল বলেন, সেখানে তাদের কথা বলতে দেওয়া হয়নি।
‘তারা (বিএনপিপন্থী আইনজীবী) ক্ষমতাসীন দলের আইনজীবীদের ওপর হামলা চালায় যখন পুলিশ বেআইনিভাবে আদালতে ঢুকে তাদের ওপর নির্যাতন চালায়। তাহলে আমরা কিভাবে বলবো, এ দেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচনের সুযোগ আছে? আমরা কিভাবে বলবো যে বিরোধীদের রাজনীতি করার অধিকার আছে, জনগণের ভোটের অধিকার আছে, সাংবাদিকদের লেখার অধিকার আছে এই দেশে? তিনি প্রশ্ন করেন।
বিএনপি নেতা সরকারকে সতর্ক করে বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য তাদের দলের চলমান আন্দোলনকে কোনো কিছুই দমন করতে পারবে না। তিনি বলেন, বিরোধী দলের নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা করে কারাগারে রেখে আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না। জনগণ জেগে উঠেছে এই শাসককে পরাজিত করার জন্য।
তিনি আরও বলেন, দেশে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করা সম্ভব নয়।‘আমরা সরকারকে বলতে চাই যে এখনও সময় আছে। সুতরাং, অশুভ খেলা পরিহার করে এবং জনগণকে প্রতারণা ও নির্যাতনের পথ থেকে সরে সরল পথে আসুন...দেশে একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য একটি নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন।
বিএনপি নেতা টুকু ও আমানের বিরুদ্ধে রায়ের প্রতিবাদ জানিয়ে ফখরুল বলেন, বিরোধী দলের নেতাদের দোষী সাব্যস্ত করে নির্বাচন থেকে দূরে রাখাই সরকারের মূল লক্ষ্য।
তিনি আরও বলেন, একই ধরনের মামলায় ক্ষমতাসীন দলের নেতা প্রয়াত মোহাম্মদ নাসিম, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া ও মহিউদ্দিন খান আলমগীরকে আদালত বেকসুর খালাস দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: আ.লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য হতে পারে না: ফখরুল
১ বছর আগে
আগামী নির্বাচনের আগে বিএনপি নেতাদের দোষী সাব্যস্ত করে জেলে পাঠানোই সরকারের মূল পরিকল্পনা: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, সরকার তাদের দলের জনপ্রিয় নেতাদের ‘মিথ্যা’ মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে কারাগারে রেখে আগামী নির্বাচনে অযোগ্য করার মহাপরিকল্পনা নিয়েছে।
তিনি বলেন, সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে তিনবারের বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিব ২১ বছর আগে দায়ের করা মামলায় সাতক্ষীরার আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন এবং বিরোধী নেতাদের বিরুদ্ধে অনেক মামলার বিচার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হচ্ছে।
ফখরুল বলেন,‘এই অবৈধ সরকার অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে আসন্ন নির্বাচনের আগে বিএনপিতে নেতৃত্বের সংকট সৃষ্টির বিশদ পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। এই পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে বিএনপির জনপ্রিয় নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্যদের মিথ্যা অভিযোগে গ্রেপ্তার ও সাজা দেওয়া এবং তারা এই প্রক্রিয়া শুরু করেছে।’
বুধবার বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ফখরুল বলেন, সরকার ইতোমধ্যে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের গণমাধ্যমে ফ্যাসিবাদ প্রচণ্ড আঘাত করেছে: ফখরুল
‘হাবিবুল ইসলাম হাবিবকে সাজা দেওয়া সরকারের সেই নীল নকশারই অংশ। খুব শিগগিরই দেখবেন বিএনপি ও বিরোধী দলের অনেক শীর্ষ নেতাকে এ ধরনের মিথ্যা মামলায় সাজা দেওয়া হবে। আমরা লক্ষ্য করছি যে (আমাদের অনেক নেতার বিরুদ্ধে) মামলা হচ্ছে। খুব দ্রুত নিষ্পত্তি করা হয়েছে।’
এর আগে গত মঙ্গলবার সাতক্ষীরায় তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা শেখ হাসিনার গাড়িবহরে ২০০২ সালে হামলার ঘটনায় দায়ের করা পৃথক দু’টি মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপি নেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৪৪ জনকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দেন সাতক্ষীরার আদালত।
হাবিবুল ইসলাম হাবিব তার স্থানীয় নির্বাচনী এলাকায় অত্যন্ত জনপ্রিয় নেতা উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, এমন রাজনৈতিক নেতাকে মিথ্যা মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা ষড়যন্ত্রমূলক, প্রতিহিংসামূলক এবং সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
‘এই শাস্তি ন্যায়বিচারের সঙ্গে সম্পূর্ণ প্রতারণা। আমরা এর নিন্দা ও প্রতিবাদ করছি।’
তিনি প্রশ্ন তোলেন, ২০০১ সালে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলায় শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার ১২ বছর পর সংগৃহীত তথ্য-প্রমাণ ও জব্দ তালিকা আদালত কীভাবে গ্রহণ করেন?
বিএনপি নেতা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, সরকার বিরোধী নেতাদের গ্রেপ্তার, সাজা ও দমন-পীড়ন করে জনগণের ন্যায্য আন্দোলনকে দমন করতে পারবে না।
তিনি আরও বলেন,‘বাংলাদেশের জনগণ শপথ নিয়েছে যে তারা এদেশে এমন স্বৈরাচারী ও ফ্যাসিবাদী শাসন আর মেনে নেবে না। আন্দোলনের মাধ্যমে জনগণ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করবে।’
ফখরুল বলেন, সোমবার তাদের দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বিভিন্ন বাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সরকারের কঠোর সমালোচনা করা হয়।
তিনি বলেন, বিএনপির নীতিনির্ধারকেরা অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বিএনপিকে জড়িত করার সরকারের প্রচেষ্টার নিন্দা করেছেন।
ফখরুল বলেন, তাদের বৈঠকে অন্যের ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টা না করে মার্কার অগ্নিকাণ্ডের নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে অগ্নিসংযোগের মূল হোতা ও সূচনাকারী।
ফখরুল বলেন, ‘আমরা (বিএনপি) কখনও অগ্নিসংযোগ সহিংসতার সঙ্গে জড়িত ছিলাম না। এই সন্ত্রাস তাদের (আওয়ামী লীগের) জিনে আছে। আমি একটা কথা বলি দুইটা জিনিস, সন্ত্রাস আর দুর্নীতি তাদের (আ.লীগের) শরীরের রসায়নে আছে।’
ক্ষমতাসীন দলের বিদেশিদের কাছে যাওয়ার অভিযোগ এবং বিএনপির পক্ষ থেকে তাদের আনুকূল্য চাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, তাদের দল কোনো অনুগ্রহ করতে বিদেশিদের কাছে যায়নি। ‘আমরা যখন তাদের দ্বারা আমন্ত্রিত হয়েছিলাম তখনই আমরা গিয়েছিলাম।’
বিএনপি নেতা বলেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতারা বিদেশিদের কাছে যাচ্ছেন এবং ২০১৪ ও ২০১৮ সালের একই স্টাইলে আরেকটি নির্বাচন করতে রাজি করাতে কোটি কোটি ডলার খরচ করে লবিস্ট নিয়োগ করছেন।
আরও পড়ুন: সরকার আগুন নিয়ে খেলছে, মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা পুড়িয়ে দিচ্ছে: ফখরুল
মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের পেছনে সরকারের হাত রয়েছে: ফখরুল
১ বছর আগে
৮৮ কারারক্ষী নিয়োগে জালিয়াতি: দোষীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ জানতে চান হাইকোর্ট
সারাদেশের কারারক্ষী পদে ৮৮ জনের নিয়োগে জালিয়াতির ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, এক মাসের মধ্যে তা জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বুধবার (৯ নভেম্বর) বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এক রিটের প্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
এ ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন দাখিলেরও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আইজি প্রিজন্সকে এ আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
একইসঙ্গে সিলেট কারাগারে অন্য একজনের নাম পরিচয় ব্যবহার করে ১৮ বছর ধরে কারারক্ষীর চাকরি করা জহিরুলকে সরিয়ে প্রকৃত জহিরুলকে কেন নিয়োগ দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশিদ আলম খান। সঙ্গে ছিলেন মো. আবুল কালাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
চলতি বছরের ৩১ জুলাই ‘চাকরি ফিরে পেতে চান কুলাউড়ার জহিরুল: জালিয়াতি করে কারারক্ষী পদে চাকরির ১৮ বছর পর তদন্তে প্রমাণিত!
শিরোনামে একটি দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদন যুক্ত করে রিটটি করেন ভুক্তভোগী জহিরুল ইসলাম এশু।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে কুকুর লেলিয়ে হিমাদ্রী হত্যা: ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড হাইকোর্টে বহাল
প্রতিবেদনে বলা হয়, কারারক্ষী পদে চাকরির জন্য ২০০৩ সালে নিয়োগ পরীক্ষা দিয়েছিলেন কুলাউড়ার বাসিন্দা জহিরুল ইসলাম এশু। নিয়োগে উত্তীর্ণ হওয়ার পর পুলিশ ভেরিফিকেশনও হয়েছিল। কিন্তু পরে আর যোগদানপত্র না পাওয়ায় চাকরির আশা ছেড়ে শহরে ব্যবসা শুরু করেন।
কিন্তু দীর্ঘ ১৮ বছর পর জানতে পারেন প্রতারণার মাধ্যমে তার নাম-পরিচয় ব্যবহার করে ওই পদে চাকরি করছেন আরেকজন।
এরইমধ্যে জালিয়াতির বিষয়টির তদন্তেও সত্যতা পাওয়া গেছে।
সিলেটের কারা উপমহাপরিদর্শক কামাল হোসেনের নেতৃত্বে খাগড়াছড়ি জেলা কারাগারের জেলার এজি মাহমুদ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেল সুপার ইকবাল হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত তদন্ত কমিটি প্রতিবেদনও জমা দিয়েছে।
এর মধ্যে এশু চাকরি ফিরে পেতে চলতি বছরের জানুয়ারিতে সিলেটের কারা উপমহাপরিদর্শক বরাবর আবেদন করেন। কিন্তু আবেদনে সাড়া না পেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন তিনি।
রিটে কারারক্ষী পদে আবেদনকারীর যোগদানপত্র গ্রহণে এবং আবেদনকারীর পদে চাকরি করা অন্য জহিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণে কেন পাঁচ বিবাদীকে নির্দেশনা দেয়া হবে না, মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়।
রিটে বিবাদী হিসেবে রয়েছেন স্বরাষ্ট্র সচিব, কারা মহাপরিদর্শক, কারা উপমহাপরিদর্শক, সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার, কারারক্ষী হিসেবে চাকরিরত জহিরুল ইসলাম।
পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘দুইশ জন কারারক্ষীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের জাল-জালিয়াতি বা একজনের স্থলে আরেকজন শারীরিকভাবে কাজ করছেন বলে গণমাধ্যমে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন আসে।
এ বিষয়টি যখন কর্তৃপক্ষের নজরে আসে তখন ওনারা গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছেন এবং এ বিষয়গুলো তদন্ত করেছেন। সেই তদন্তে ২০০ জনের মধ্যে ৮৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। তিন জন পাওয়া গেছে, তারা প্রকৃত ব্যক্তির পরিবর্তে কর্মরত।
আবার অনেকে রয়েছেন তারা ঠিকানা পরিবর্তন করেছেন, যেটা ওনার প্রকৃত ঠিকানা নয়। আবার অনেকে বিভিন্ন ধরনের কাগজপত্রে জাল-জালিয়াতি করেছেন। এগুলো ধরা পড়ার পরে এরইমধ্যে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তবে ধরনের জালিয়াতি ফৌজদারি অপরাধ।
আরও পড়ুন: ৪ জেলায় অবৈধ ইটভাটা বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশ
হাতিরঝিলের বাণিজ্যিক স্থাপনা উচ্ছেদে হাইকোর্টের রায়ের ওপর স্থিতাবস্থা জারি
২ বছর আগে
গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচন: দোষী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে ইসি
গাইবান্ধা-৫ আসনের উপ-নির্বাচনে অনিয়মের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।
মঙ্গলবার নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে কর্মকর্তার সংখ্যা নির্বিশেষে অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: জেলা পরিষদ নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খল হয়েছে: সিইসি
আলমগীর বলেন, ইসি কারও পক্ষেও নয়, বিপক্ষেও নয়। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। যখনই ভোটগ্রহণ অন্যায্য হবে তা স্থগিত করা হবে এবং একটি নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
কমিশনার বলেন, নির্বাচন ভবন থেকে সিসিটিভির মাধ্যমে তারা গাইবান্ধা-৫ আসনের নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘গোপন ভোটকেন্দ্রে ভোটারের আঙুলের ছাপ দেয়ার পর পোলিং এজেন্টরা ভোটের বোতাম টিপতে দেখা গেছে। তা দেখে প্রিজাইডিং অফিসারকে নির্দেশনা দেয়া হলেও তিনি সে অনুযায়ী কাজ করেননি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে অপরাধীকে তুলে দেয়ার নির্দেশও মানা হয়নি।’
কমিশন কখনও দেখেনি যে প্রিজাইডিং অফিসাররা শৃঙ্খলা ফিরিয়ে এনেছেন। তাই আইনে যা করা উচিত ছিল ইসি তাই করেছে।
ওই সব অনিয়মের বিষয়ে তদন্ত চলছে জানিয়ে আলমগীর বলেন, প্রিজাইডিং অফিসাররা কী কারণে এসব অনিয়ম করেছে কমিশন তার কারণ খুঁজছে। তদন্তে যদি প্রমাণিত হয় যে তারা স্বেচ্ছায় এটা করেছে এবং শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার সুযোগ থাকা সত্ত্বেও কেউ কাজ করেনি, তাহলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি বলেন, ইসি তাদের দুই মাস পর্যন্ত সাময়িক অব্যাহতি দিতে পারে। এছাড়াও, এটি অপরাধী কর্মকর্তাদের বরখাস্তের সুপারিশ করতে পারে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তা বাস্তবায়ন করে ইসিকে জানাতে হবে।
আরও পড়ুন: উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের জন্য বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ: ব্রিটিশ হাইকমিশনার
নির্বাচন কমিশন কোনো চাপে নেই: সিইসি
২ বছর আগে