গাইবান্ধা-৫ আসনের উপ-নির্বাচনে অনিয়মের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।
মঙ্গলবার নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে কর্মকর্তার সংখ্যা নির্বিশেষে অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: জেলা পরিষদ নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খল হয়েছে: সিইসি
আলমগীর বলেন, ইসি কারও পক্ষেও নয়, বিপক্ষেও নয়। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। যখনই ভোটগ্রহণ অন্যায্য হবে তা স্থগিত করা হবে এবং একটি নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
কমিশনার বলেন, নির্বাচন ভবন থেকে সিসিটিভির মাধ্যমে তারা গাইবান্ধা-৫ আসনের নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘গোপন ভোটকেন্দ্রে ভোটারের আঙুলের ছাপ দেয়ার পর পোলিং এজেন্টরা ভোটের বোতাম টিপতে দেখা গেছে। তা দেখে প্রিজাইডিং অফিসারকে নির্দেশনা দেয়া হলেও তিনি সে অনুযায়ী কাজ করেননি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে অপরাধীকে তুলে দেয়ার নির্দেশও মানা হয়নি।’
কমিশন কখনও দেখেনি যে প্রিজাইডিং অফিসাররা শৃঙ্খলা ফিরিয়ে এনেছেন। তাই আইনে যা করা উচিত ছিল ইসি তাই করেছে।
ওই সব অনিয়মের বিষয়ে তদন্ত চলছে জানিয়ে আলমগীর বলেন, প্রিজাইডিং অফিসাররা কী কারণে এসব অনিয়ম করেছে কমিশন তার কারণ খুঁজছে। তদন্তে যদি প্রমাণিত হয় যে তারা স্বেচ্ছায় এটা করেছে এবং শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার সুযোগ থাকা সত্ত্বেও কেউ কাজ করেনি, তাহলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি বলেন, ইসি তাদের দুই মাস পর্যন্ত সাময়িক অব্যাহতি দিতে পারে। এছাড়াও, এটি অপরাধী কর্মকর্তাদের বরখাস্তের সুপারিশ করতে পারে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তা বাস্তবায়ন করে ইসিকে জানাতে হবে।
আরও পড়ুন: উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের জন্য বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ: ব্রিটিশ হাইকমিশনার