মেরামত
মেরামতের অপেক্ষায় ‘রিমালে’ ক্ষতিগ্রস্ত ভোলার ১১২ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে উপকূলীয় দ্বীপজেলা ভোলার বিভিন্ন উপজেলার অন্তত ১১২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো এখনও মেরামত না হওয়ায় শিক্ষাদান কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। কবে এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মেরামত করা হবে, তা এখনও নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না কেউ।
ভোলা জেলা শিক্ষা অফিসারের দেওয়া তথ্যমতে, ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে ভোলার ১১২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিধস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ১২টি প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণরূপে বিধ্বস্ত হয়েছে এবং ১০০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ভোলা সদর উপজেলায় ৩৭টি, বোরহানউদ্দিন উপজেলায় ১১টি, তজুমদ্দিন উপজেলায় ১৮টি, লালমোহন উপজেলায় ১৯টি, চরফ্যাশন উপজেলায় ১৭টি ও মনপুরা উপজেলায় ১০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রিমালে ২০ জেলায় ৬৮৮০ কোটি টাকার ক্ষতি: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
সরেজমিন দেখা যায়, দক্ষিণ দিঘদী ইউনিয়নের মধ্য পশ্চিম বালিয়া দাখিল মাদরাসার শ্রেণিকক্ষগুলো হেলে পড়েছে। কয়েকটি স্থানে টিনের ছাউনি নেই।
মাদরাসার শিক্ষকরা জানান, ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে মাদরাসাটি বিধ্বস্ত হয়ে যায়। টিনের ছাউনি না থাকায় বৃষ্টি ও রোদের তাপে বিধ্বস্ত শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের পাঠদানে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। অন্য শ্রেণিকক্ষে গাদাগাদি করে ক্লাস করতে হচ্ছে। এ ছাড়াও তীব্র গরমে শিক্ষার্থীদের অনেক কষ্ট হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো মেরামত না করায় ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতি অনেক কমে যাচ্ছে। এখানকার অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চিত্র একই। এ অবস্থায় শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো মেরামত ও পুনর্নির্মাণ করে পাঠদানের স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য দাবি জানিয়েছেন তারা।
এ ব্যাপারে ভোলা জেলা শিক্ষা অফিসার দীপক হালদার জানান, ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকা করে মাদরাসা ও মাধ্যমিক অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে। দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানগুলো সংস্কারের কাজ শুরু হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রিমালে ২০ জেলায় ৬৮৮০ কোটি টাকার ক্ষতি: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
৫ মাস আগে
ভাঙা রেললাইন মেরামত, রাজশাহীর রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক
রাজশাহীতে রেললাইন ভাঙা থাকায় অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে বরেন্দ্র এক্সপ্রেস। সোমবার (২৯ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে চারঘাট উপজেলার নন্দনগাছী স্টেশনের কাছে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার পর রাজশাহীর সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এর এক ঘণ্টা পর রেললাইন মেরামত করে পুনরায় রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়।
আরও পড়ুন: মার্চেই কালুরঘাট সেতুতে যান চলাচল শুরু হবে: রেলমন্ত্রী
জানা গেছে, চিলাহাটি থেকে ছেড়ে আসে বরেন্দ্র এক্সপ্রেস ট্রেন। তবে রাজশাহীর নন্দনগাছী স্টেশন এলাকায় রেললাইন ভাঙা থাকায় দুর্ঘটনায় পড়তে যাচ্ছিল। এ সময় এলাকাবাসীর দেখানো লাল পতাকায় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছে বরেন্দ্র এক্সপ্রেস ট্রেনটি।
এছাড়া লাইনে কাজ চলার কারণে কিছু সময় থেমে থাকতে হয়েছে ঢাকা থেকে রাজশাহীর উদ্দেশে ছেড়ে আসা ধূমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেন।দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) অসীম কুমার তালুকদার বলেন, নন্দনগাছী স্টেশনে পৌঁছার আগে ওই এলাকায় রেললাইনের পাত ভাঙা থাকায় সেখানে থাকা কয়েকজন লোক লাল নিশানা টানিয়ে ট্রেনটি থামায়। পরে রেলওয়ের প্রকৌশলীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ভাঙা স্থানটি পরীক্ষা করে।
আরও পড়ুন: পুরোনোদের অভিজ্ঞতা নিয়ে রেলকে সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়া হবে: রেলমন্ত্রী
তিরি আরও বলেন, রেললাইনের একটি পাত কোনোভাবে ভেঙে গিয়েছিল। খবর পেয়ে তাদের প্রকৌশলীরা নিজস্ব টিম নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে রেললাইন মেরামত করেন। তাতে দূরে থাকা ট্রেনগুলোর গতি কমিয়ে দেওয়া হয়। এভাবে ওই পথ দিয়ে প্রায় ১ ঘণ্টা ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ রাখা হয়।
অসীম কুমার বলেন, লাইন মেরামতের কাজ শেষ হলে দুপুর সাড়ে ১২টার পর থেকে রাজশাহীর সঙ্গে গোটা দেশের রেলপথ যোগাযোগ আবারও স্বাভাবিক হয়।
তবে কীভাবে রেলের পাত ভেঙেছে সেটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলেও জানান পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের এই কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: মারা গেলেন খুলনায় স্থায়ী অস্ট্রেলিয়ার চিত্রশিল্পী ম্যালকম কেইথ
৯ মাস আগে
হাতিরঝিল এলাকায় ভূগর্ভস্থ ক্যাবল বসানোর কাজ শেষ
হাতিরঝিল এলাকায় ভূগর্ভস্থ ক্যাবল বসানোর কাজ শেষ হয়েছে। যদিও প্রকল্পের কারণে প্রয়োজনীয় সড়ক মেরামতের কাজ ধীরে ধীরে এগিয়ে চলছে।
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি) ও ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি) গত সেপ্টেম্বরে তাদের কাজ শেষ করে নিয়ম অনুযায়ী রাস্তা মেরামতের জন্য রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) কাছে প্রয়োজনীয় অর্থ জমা দেয়।
সূত্র আরও জানায়, সম্প্রতি রাজউকের নিযুক্ত একটি ঠিকাদার সড়ক মেরামতের কাজ শুরু করলেও তা খুব ধীর গতিতে চলছে।
আরও পড়ুন: হাতিরঝিলে স্থাপনা নিষিদ্ধ: আপিলের অনুমতি পেল রাজউক
ডিপিডিসি ও পিজিসিবি হাতিরঝিল লেকে ওভারহেড ক্যাবল প্রতিস্থাপনের জন্য ওই এলাকার রাস্তা খননের মাধ্যমে হাই ভোল্টেজ ভূগর্ভস্থ ক্যাবল স্থাপন করেছে।
পিজিসিবি সূত্রে জানা গেছে, ডিপিডিসি প্রথমে জুনে তার অংশের কাজ শেষ করে ও পরে সেপ্টেম্বরে পিজিসিবির কাজ শেষ হয়।
পিজিসিবি কর্মকর্তারা জানান, কাজ শেষ হওয়ার পর রাজউক সড়কগুলো মেরামত করবে।
সম্প্রতি ওই এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, রাজউকের নিযুক্ত ঠিকাদার মগবাজার রেড ক্রিসেন্ট এলাকায় রাস্তা মেরামতের কাজ শুরু করেছেন। কাজের ধীরগতির কারণে যাত্রীদের ভোগান্তি দীর্ঘায়িত হচ্ছে। এই এলাকার রাস্তায় ব্যাপক হারে ধুলাবালি বেড়েছে।
কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য প্রতিদিন রাস্তা ব্যবহার করতে হয় জানিয়ে রাজীব আহমেদ বলেন, ‘ধুলোবালি সবসময় উড়ছে, শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা হচ্ছে।’
পিজিসিবির সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) এ বি এম বদরুদ্দোজা খান সুমন জানান, তার প্রতিষ্ঠান প্রায় দুই মাস আগে কাজ শেষ করে প্রকল্প এলাকা থেকে সব সরঞ্জাম সরিয়ে নিয়েছে।
সড়ক মেরামতকাজের দায়িত্বে থাকা রাজউকের নির্বাহী প্রকৌশলী এ কে আজাদের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাড়া দেননি।
হাতিরঝিল এলাকায় হাইভোল্টেজ ওভারহেড সঞ্চালন লাইন প্রতিস্থাপনের জন্য ভূগর্ভস্থ ক্যাবল বসানোর কাজ শুরু করে ডিপিডিসি।
ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকাশ দেওয়ান বলেন, প্রকল্পটি শেষ হলে হাতিরঝিলে কোনো ওভারহেড ক্যাবল থাকবে না।
তিনি বলেন, হাতিরঝিল এলাকার দক্ষিণ অংশে রাস্তা খননের মাধ্যমে ভূগর্ভস্থ ক্যাবল স্থাপন করা হয় এবং রামপুরা ব্রিজ এলাকা দিয়ে মগবাজারে পৌঁছানো যায়।
রাজধানীর সৌন্দর্যবর্ধন ও পরিবেশ সংরক্ষণ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে গুলশান, তেজগাঁও ও রামপুরার বিস্তীর্ণ এলাকায় কৃত্রিমভাবে হাতিরঝিল লেক তৈরি করা হয়। তবে ওভারহেড কেবলগুলো পরিকল্পনার সঙ্গে জায়গার বাইরে ছিল।
হাতিরঝিল থেকে ওভারহেড ক্যাবল অপসারণ ডিপিডিসির বৃহত্তর পরিকল্পনার একটি অংশ।
যার মধ্যে রয়েছে- ডিপিডিসির মধ্য, পশ্চিম ও দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা থেকে ওভারহেড ক্যাবল ভূগর্ভস্থ করা।
আরও পড়ুন: খুলনার ময়ূর নদে হাতিরঝিলের আদলে হবে সেতু
শিগগিরই শেষ হচ্ছে না হাতিরঝিলে চলাচলকারী যাত্রীদের ভোগান্তি
১ বছর আগে
চীন সফরে সম্পর্ক মেরামত করতে চান অস্ট্রেলিয়ার বাণিজ্যমন্ত্রী
অস্ট্রেলিয়ার বাণিজ্য ও পর্যটন মন্ত্রী ডন ফ্যারেল বেইজিং সফরের সময় চীনের সঙ্গে প্রায় দশকব্যাপী চির ধরা সম্পর্ক পুনরুদ্ধারে অগ্রগতি করছেন বলে আশা করা হচ্ছে।
শুক্রবার ফ্যারেল বিভিন্ন বৈঠক ও ব্যবসায়িক সফর করেছেন, লক্ষণগুলো দেখে মনে হচ্ছে সম্পর্কগুলো আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসছে।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ শুক্রবার সিডনিতে দেওয়া তার বক্তব্যে বলেছেন, উভয় পক্ষকে ‘বোঝাপড়া ও সংলাপ বৃদ্ধি করতে হবে এবং আমি বলেছি যে আমরা যেখানে পারবো চীনের সঙ্গে সহযোগিতা করব, যেখানে আমাদের প্রয়োজন সেখানে আমরা দ্বিমত করব এবং জাতীয় স্বার্থে আমরা এক অপরের সঙ্গে সম্পৃক্ত হবো।’
আরও পড়ুন: চীন সাংবাদিকদের সবচেয়ে বড় বৈশ্বিক কারাগার: প্রেস গ্রুপ
অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদার চীন। ২০২২ সালে তাদের দ্বিমুখী বিনিময় মোট ২৮৭ বিলিয়ন ডলার। চীন সম্প্রতি আবার অস্ট্রেলিয়া থেকে কয়লা, তুলা ও তামা আমদানি শুরু করেছে এবং ফ্যারেল তার সফরে বলেছেন যে তিনি অস্ট্রেলিয়ান বার্লির ওপর আরোপিত শুল্ক পর্যালোচনার ব্যবস্থা করবেন।
অস্ট্রেলিয়ার নির্বাচন এবং বৃহৎ অস্ট্রেলিয়ান-চীনা সম্প্রদায়ের রাজনৈতিক জীবন ও সামাজিক সংগঠনগুলোতে বেইজিংয়ের কথিত হস্তক্ষেপের অভিযোগের কারণে চীন এই জাতীয় রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে।
যদিও বাণিজ্য সম্পর্ক উন্নত হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে, তবে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা ইস্যুতে পক্ষগুলো অনেক দূরে অবস্থান করছে।
বৃহস্পতিবার তার সফরের সময় ফ্যারেল বলেছিলেন, তিনি আশা করেন যে তার সফর ‘আমাদের সম্পর্ক স্থিতিশীল করার প্রক্রিয়া চালু রাখবে এবং আমাদের সমস্ত বাণিজ্য পার্থক্য সমাধানের জন্য একটি সফল মাধ্যম হিসেবে কাজ করবে।’
ফ্যারেল বলেন, ‘সমস্যাগুলো রাতারাতি ঘটেনি এবং সেগুলো রাতারাতি সমাধানও হবে না।’
এপ্রিল মাসে অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং বলেছিলেন যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক একবিংশ শতকের প্রথম দিকের স্তরে ফিরে যাওয়ার সম্ভাবনা কম, তখন রাজনৈতিক ও কৌশলগত অগ্রাধিকার থেকে বাণিজ্য আলাদা ছিল।
তারপর থেকে ক্রমে অস্ট্রেলিয়া এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে প্রভাব বিস্তারের জন্য চীনের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নিরাপত্তা সহযোগিতা বাড়িয়েছে।
বেইজিং তথাকথিত এইউকেইউএস অংশীদারিত্বে অস্ট্রেলিয়ার অংশগ্রহণের কঠোর সমালোচনা করেছে; যা মূলত দক্ষিণ চীন সাগর,চীনের দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগর এবং পূর্ব চীন সাগরে বেইজিংয়ের ক্রমবর্ধমান সামরিক উপস্থিতির প্রতিক্রিয়া হিসেবে, অস্ট্রেলিয়া চীনের প্রতিদ্বন্দ্বি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন র সঙ্গে মিলে মার্কিন পরমাণু প্রযুক্তি চালিত আটটি সাবমেরিনের একটি অস্ট্রেলিয়ান বহর তৈরি করে।
আগামী ২৪ মে তথাকথিত কোয়াড দেশগুলোর নেতাদের শীর্ষ সম্মেলনের জন্য অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ভারত ও জাপানের নেতাদের নিমন্ত্রণ করবে; যে দেশগুলোর সঙ্গে চীনের সক্রিয় স্থল এবং সমুদ্র সীমান্ত বিরোধ রয়েছে।
অস্ট্রেলিয়া সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জাতীয় নিরাপত্তার ভিত্তিতে চীনা কোম্পানিগুলোর কাছে গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোসহ বিভিন্ন মূল্যবান সম্পদ বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে।
ফ্যারেল আরও বলেছেন, তিনি ফেব্রুয়ারিতে ‘বাণিজ্য সম্পূর্ণ পুনরুদ্ধারের পথ হিসেবে পারস্পরিক যোগাযোগ উন্নত করার লক্ষ্যে চীনের বাণিজ্যমন্ত্রী ওয়াং ওয়েনতাওয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।’
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন তরান্বিত করতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে ‘অবিচলভাবে মধ্যস্থতা করছে’ চীন: রাষ্ট্রদূত ইয়াও
চলতি অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি অর্জনে চীনকে ছাড়িয়ে যাবে বাংলাদেশ: আইএমএফ
১ বছর আগে
লোকসান সত্ত্বেও বাংলাদেশ রেলওয়ে ডেমু ট্রেন মেরামত করবে
ডেমু ট্রেন চালানোর জন্য রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ক্ষতি হওয়ার বিষয়ে গুরুতর উদ্বেগ থাকলেও বাংলাদেশ রেলওয়ে আগামী বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে ২০টি অচল ট্রেন পুনরায় চালানোর পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।
সরকার ২০১৩ সালে চীনের তাংশান রেলওয়ে ভেহিকল কোম্পানি লিমিটেড থেকে আনুমানিক ৬০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ডিজেল ইলেকট্রিক মাল্টিপল ইউনিট (ডেমু) ট্রেন কিনেছিল। সাত বছর ধরে এগুলো চালানোর পর সবগুলো অচল হয়ে পড়ে এবং এখন রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ সেগুলো মেরামতের জন্য তড়িঘড়ি করে চেষ্টা করছে।
কিছু কর্মকর্তা ডেমু ট্রেনের ক্রয় বিষয়ে তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করেন। কারণ কিছু ট্রেন কয়েক বছরের মধ্যে অচল হয়ে যায়। তবে ১৯৫৩ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে কেনা লোকোমোটিভগুলো এখনও চালু আছে। এছাড়া, ১৯৮০’র দশকে জার্মান থেকে কেনা কোচগুলো এখনও যাত্রী বহনের জন্য ব্যবহার করা হয়।
আরও পড়ুন: দেশীয় প্রযুক্তিতে সচল ডেমু ট্রেন চলাচল শুরু
বাংলাদেশ রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, এখন দুই থেকে তিন সেট ডেমু ট্রেন ২০২৩ সালের জানুয়ারির মধ্যে মেরামত করা হবে। অন্য পাঁচটি ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে চালু করা হবে এবং বাকি ট্রেনগুলো ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে মেরামত করা হবে।
কর্মকর্তারা জানান, ডেমু ট্রেনগুলোর যান্ত্রিক ও বৈদ্যুতিক অংশগুলো দীর্ঘ সময় ধরে মেরামত না করার কারণে অকার্যকর হয়ে পড়েছে, তাই মেরামত করা জরুরি।
স্বল্প মেয়াদী পরিকল্পনা অনুসারে, ডেমু ট্রেনগুলোর মধ্যে যেগুলো ভালো অবস্থায় আছে এবং সামান্য মেরামতের প্রয়োজন, সেগুলো প্রথমে চালু করা হবে। তারা জানান, এই ট্রেনগুলোর মডিউলভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেমের বাজারে সহজলভ্য যন্ত্রাংশ ও যন্ত্রপাতি দ্বারা মেরামত করা হবে।
যেসব ডেমু ট্রেন আরও মেরামতের প্রয়োজন হবে সেগুলো মধ্যমেয়াদী পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
এবং যে ট্রেনগুলোর বড়ধরনের মেরামতের প্রয়োজন তা দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার অংশ হবে।
যদিও ডেমু ট্রেনের জন্য রেল ট্র্যাক স্থাপনের ছয় বছর হয়ে গেছে, তবে ব্যস্ত সময়সূচির জন্য চালু না করায় বেশিরভাগ ট্রেনের ইঞ্জিন অচল হয়ে পড়ে। ইঞ্জিনের বিকট শব্দ, বিপুল পরিমাণ কালো ধোঁয়া নির্গমন, লোড সমস্যা ও ইঞ্জিন অতিরিক্ত গরম হওয়ার কারণে ডেমু অপারেশন স্থগিত করা হয়েছিল।
ডেমু ট্রেনগুলো মেরামতের জন্য কোনো পৃথক ওয়ার্কশপ না থাকায় ২০১৮ সালে পরিষেবার জন্য বিদ্যমান ডিজেল ওয়ার্কশপগুলো ব্যবহার করার পদক্ষেপ নেয়া হয়।
ডেমু ট্রেনগুলোর প্রতিটিতে দুটি মোটরকার ও একটি ট্রেলার কার রয়েছে৷ এই ট্রেনগুলোর দুই পাশে ইঞ্জিন আছে।
প্রথম ডেমু ট্রেনগুলো ঢাকা, চট্টগ্রাম ও লালমনিরহাট রেলওয়ে বিভাগের অধীনে বিভিন্ন রুটে চলাচল করে।
বাংলাদেশ রেলওয়ে ২০০৮-২০০৯ ও ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের মধ্যে ১৩ বছরে ১৫ হাজার ৫৫৫ কোটি টাকার বেশি লোকসান করেছে।
২০২০-২০২১ অর্থবছরে একটি অন্তর্বর্তী প্রতিবেদনে বলা হয় যে রাষ্ট্রচালিত সংস্থাটির এক হাজার ৩৮৪ কোটি টাকার লোকসান গুনতে হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ রেলওয়ে: ঢেলে সাজানোর বিস্তর পরিকল্পনা সরকারের
২ বছর আগে