মডেল মসজিদ
আরও ৫০টি মডেল মসজিদ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
ইসলামের প্রকৃত বার্তা ছড়িয়ে দিতে সরকারের কর্মসূচির অংশ হিসেবে সারাদেশে আরও ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (৩০ অক্টোবর) জাতীয় ইমাম সম্মেলন ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান-২০২৩ এর ষষ্ঠ পর্বে তিনি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রগুলোর উদ্বোধন করেন।
মদিনার মসজিদে নববীর ইমাম শেখ ড. আবদুল্লাহ বিন আবদুর রহমান আল-বুয়াইজান এ সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন।
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানস্থলে তিনটি প্যান্ডেল স্থাপন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বেলজিয়ামে তিন দিনের সরকারি সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী
অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছানোর পর প্রধানমন্ত্রী প্রথমে মদিনায় মসজিদে নববীর ইমামকে সঙ্গে নিয়ে প্যান্ডেলগুলো পরিদর্শন করেন।
প্রধানমন্ত্রী ও ইমাম উভয়েই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সমাবেশস্থলে সমবেত ইমামদের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত পরিসরে কথা বলেন।
তিনি জাতীয় ইমাম কাউন্সিলে যোগ দিতে আসায় ইমামদের ধন্যবাদ জানান এবং দেশ ও জনগণের মঙ্গল কামনা করে দোয়া করার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘আল্লাহর কাছে দোয়া করবেন, সরকার দেশের যে উন্নয়ন করছে তা যেন অব্যাহত থাকে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুই পবিত্র মসজিদের খাদেম বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদকে ধন্যবাদ জানান।
সোমবার মসজিদগুলো উদ্বোধনের ফলে এ ধরনের মডেল মসজিদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০০টিতে।
সরকার সারাদেশে ৫৬৪টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সেন্টার নির্মাণের কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী ২০২১ সালের ১০ জুন প্রথম ধাপে, দ্বিতীয় ধাপে ১৬ জানুয়ারি, তৃতীয় ধাপে ১৬ মার্চ, চতুর্থ ধাপে ১৭ এপ্রিল এবং পঞ্চম ধাপে ৩০ জুলাই ৫০টি করে মসজিদ উদ্বোধন করেন।
অবশিষ্ট মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে ইসলামের প্রকৃত বাণী ছড়িয়ে দেয়ার কর্মসূচির আওতায় এসব মসজিদ ও কেন্দ্রগুলো নির্মাণ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বিএনপির সরকার পতনের আন্দোলন ব্যর্থ হবেই: আনোয়ারায় জনসভায় প্রধানমন্ত্রী
মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রগুলোতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থাসহ অজু ও নামাজের জন্য পৃথক স্থান রয়েছে।
এছাড়া হজযাত্রীদের নিবন্ধন ও প্রশিক্ষণ, ইমাম প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, গবেষণা কেন্দ্র ও ইসলামিক লাইব্রেরি, অটিজম কর্নার, দাফনের পূর্বে আচার-অনুষ্ঠান ব্যবস্থা, গাড়ি পার্কিং সুবিধা, হিফজাখানা, প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা ও কোরআন শিক্ষার ব্যবস্থা, ইসলামী সাংস্কৃতিক কার্যক্রম ও ইসলামী দাওয়াতের জন্য সম্মেলন কক্ষ, ইসলামিক বই বিক্রয় কেন্দ্র এবং দেশি-বিদেশি অতিথিদের জন্য বোর্ডিং সুবিধা থাকবে।
২০১৭ সালে সরকার দেশের প্রতিটি জেলা, উপজেলা ও পৌরসভায় ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও মডেল মসজিদ নির্মাণের জন্য ৯ হাজার ৪৩৫ কোটি টাকার একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে।
অনুষ্ঠানে মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের ওপর একটি অডিও-ভিজ্যুয়াল ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।
ফরিদুল হক খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন তরিকত ফাউন্ডেশনের সভাপতি সৈয়দ নজিবুল বাশার মাইজভান্ডারী, মাওলানা ড. মোহাম্মদ কফিলউদ্দিন সরকার সালেহী, মাওলানা এহসানুল হক আল মোজাদ্দেদী প্রমুখ।
স্বাগত বক্তব্য দেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. এ হামিদ জমাদ্দার।
আরও পড়ুন: জ্ঞান অর্জন ও বিজ্ঞান চর্চা কর: ঢাবির সমাবর্তনে তরুণদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে
বিএনপির ভয়ঙ্কর অগ্নিসন্ত্রাসের রূপ আমরা আবারও দেখলাম: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জনগণ আবারও বিএনপির ভয়ঙ্কর অগ্নিসন্ত্রাসের রূপ প্রত্যক্ষ করেছে। কারণ বিরোধী দলের কর্মীরা তাদের অবস্থান কর্মসূচির সময় বেশ কয়েকটি বাসে আগুন দিয়েছে।
রবিবার গতকালকে (শনিবার) শহরে বেশ কয়েকটি বাসে অগ্নিসংযোগের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা গতকাল তাদের ভয়ঙ্কর অগ্নিসন্ত্রাসের রূপ আবারও দেখলাম।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পঞ্চম পর্যায়ে সারা দেশে আরও ৫০টি নবনির্মিত মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন।
রবিবার প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে ৫০টি মসজিদের উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী আরও ৫০টি মডেল মসজিদ উদ্বোধন করলেন
শেখ হাসিনা বলেন যে বিএনপি ইসলামের নামে রাজনীতি করে, কিন্তু ধর্মীয় কাজে তাদের আন্তরিকতা নেই, বিএনপি যা করেছে তা দেখানোর জন্যই করেছে।
তিনি বলেন, ‘আপনারা তাদের চরিত্র জানেন। তারাতো সন্ত্রাসী। আপনারা গতকালও অগ্নিসংযোগের সহিংসতা দেখেছেন। তারা বেশ কয়েকটি বাস পুড়িয়ে দিয়েছে। ২০১৩ ও ২০১৪ সালেও তারা চলমান বাস, ট্রেন, লঞ্চ, অফিস ও স্কুল জ্বালিয়েছে।’
এ ধরনের সন্ত্রাসীরা যাতে আর দেশের ক্ষতি করতে না পারে সেজন্য জনগণকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
সারা দেশে ৯ হাজার ৪৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ৫৬৪টি মডেল মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগের অংশ হিসেবে এ পর্যন্ত ২৫০টি মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে আমাদের শিক্ষার মান উন্নত করুন: প্রধানমন্ত্রী
সমালোচনা-উপহাস সত্ত্বেও দেশকে ডিজিটালে রূপান্তরিত করেছি: প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে
প্রধানমন্ত্রী আরও ৫০টি মডেল মসজিদ উদ্বোধন করলেন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৫ম ধাপে সারা দেশে আরও ৫০টি নবনির্মিত মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্বোধন করেছেন।
সারা দেশে ৯ হাজার ৪৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ৫৬৪টি মডেল মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগের অংশ হিসেবে এ পর্যন্ত ২৫০টি মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে।
রবিবার প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে ৫০টি মসজিদের উদ্বোধন করেন।
এর আগে ২০২১ সালের ১০ জুন প্রথম ধাপে, এ বছরের ১৬ জানুয়ারি দ্বিতীয় ধাপে, ১৬ মার্চ তৃতীয় ধাপে এবং ১৭ এপ্রিল চতুর্থ ধাপে ৫০টি করে মসজিদ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
অবশিষ্ট মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রগুলোতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থাসহ অজু ও নামাজের জন্য পৃথক স্থান রয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশের বিভিন্ন স্থানে আরও ৫০টি মডেল মসজিদ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
এছাড়া হজযাত্রীদের নিবন্ধন ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, ইমাম প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, গবেষণা কেন্দ্র ও ইসলামিক লাইব্রেরি, অটিজম কর্নার, দাফনের পূর্বে আচার-অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা, গাড়ি পার্কিং সুবিধা, হেফজখানা, প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা ও কোরআন শিক্ষার ব্যবস্থা, ইসলামী সাংস্কৃতিক কার্যক্রম ও ইসলামী দাওয়াতের জন্য সম্মেলন কক্ষ, ইসলামিক বই বিক্রয় কেন্দ্র, দেশি-বিদেশি অতিথিদের জন্য বোর্ডিং সুবিধা থাকবে এসব মসজিদে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে ইসলামের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে প্রধানমন্ত্রী সারা দেশে ৫৬৪টি মডেল মসজিদ নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেন।
প্রকল্পটির উদ্দেশ্য হচ্ছে ইসলামী সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ প্রচারের পাশাপাশি চরমপন্থা ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ইসলামের মর্ম বাণী প্রচার করা।
'এ' ক্যাটাগরির আওতায় ৬৪টি জেলা ও সিটি করপোরেশন এলাকায় লিফট সুবিধা এবং ২ হাজার ৩৬০ দশমিক ০৯ বর্গমিটারের জায়গাসম্পন্ন ৬৯টি চারতলা বিশিষ্ট মসজিদ নির্মাণ করা হচ্ছে।
'বি' ক্যাটাগরিতে ১ হাজার ৬৮০ দশমিক ১৪ বর্গমিটারের জায়গাসম্পন্ন ৪৭৫টি মসজিদ এবং উপকূলীয় এলাকায় 'সি' ক্যাটাগরির ২ হাজার ৫২ দশমিক ১২ বর্গমিটার জায়গাসম্পন্ন ১৬টি মসজিদ নির্মাণ করা হবে।
নতুন ৫০টি মসজিদের মধ্যে রয়েছে মাগুরা জেলা মডেল মসজিদ ও ৪৯টি উপজেলা মডেল মসজিদ।
আরও পড়ুন: দেশীয় টাকায় নির্মাণ হচ্ছে ৫৬০ মডেল মসজিদ: ধর্ম প্রতিমন্ত্রী
৪৯টি উপজেলা মডেল মসজিদ হচ্ছে - গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলা, কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ ও হোসেনপুর উপজেলা, মানিকগঞ্জের হরিরামপুর ও দৌলতপুর, শরীয়তপুরের ডামুড্যা, টাঙ্গাইল সদর উপজেলা, বগুড়ার আদমদীঘি ও সোনাতলা, নওগাঁর রাণীনগর ও বদলগাছি ও সদর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর, নাটোরের সিংড়া, পাবনার বেড়া, ঈশ্বরদী ও সদর, রাজশাহীর পুঠিয়া ও দুর্গাপুর, গাইবান্ধার পলাশবাড়ী, কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী, দিনাজপুরের বিরামপুর, লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা, নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ, খালিয়াজুরী ও সদর, জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ, ময়মনসিংহের ত্রিশাল, বরিশাল সদর, ভোলার দৌলতখান, ঝালকাঠির নলছিটি, পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল, চাঁদপুরের হাইমচর ও হাজীগঞ্জ, কুমিল্লার নোয়াখালী সদর, নাঙ্গলকোট ও সদর, কক্সবাজার সদর, চট্টগ্রামের সাতকানিয়া, ফেনীর ছাগলনাইয়া, রাঙামাটির কাউখালী, নানিয়ারচর ও রাজস্থলী, খুলনার ফুলতলা ও পাইকগাছা, মাগুরা সদর, মেহেরপুর সদর ও সিলেটের গোলাপগঞ্জ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কক্সবাজার সদর উপজেলা ও খুলনা জেলার ফুলতলায় আলেম-ওলামা, জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিবিদ ও সরকারি কর্মকর্তাসহ স্থানীয় জনগণ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের ওপর একটি অডিও-ভিজ্যুয়াল ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া সঞ্চালনা করেন।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন ধর্ম সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার।
আরও পড়ুন: সারাদেশে আরও ৫০ মডেল মসজিদের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
২০০টি মডেল মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ
১ বছর আগে
দেশের বিভিন্ন স্থানে আরও ৫০টি মডেল মসজিদ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তৃতীয় ধাপে দেশের বিভিন্ন স্থানে ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্বোধন করেছেন।
বৃহস্পতিবার তিনি তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
এই মডেল মসজিদগুলোতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থাসহ ওজু ও নামাজের জন্য পৃথক জায়গা রয়েছে।
এছাড়া হজযাত্রীদের নিবন্ধন ও প্রশিক্ষণ, ইমাম প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, গবেষণা কেন্দ্র ও ইসলামিক লাইব্রেরি, অটিজম কর্নার, দাফনের পূর্বে আচার-অনুষ্ঠান, গাড়ি পার্কিং সুবিধা, হিফজ-খানা, প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা ও কুরআন শিক্ষার ব্যবস্থা, ইসলামিক সাংস্কৃতিক কার্যক্রম ও ইসলামী দাওয়াতের জন্য সম্মেলন কক্ষ, ইসলামিক বই বিক্রয় কেন্দ্র, দেশি-বিদেশি অতিথিদের জন্য বসার ব্যবস্থা থাকবে।
আরও পড়ুন: ইসলামের মর্মবাণী প্রচারে আরও ৫০ মডেল মসজিদ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
এর আগে ২০২১ সালের ১০ জুন এবং ২০২৩ সালের ১৬ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী ধর্ম সম্পর্কে ভুল ধারণা দূর করতে ইসলামের প্রকৃত বাণী প্রচারের লক্ষ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে একযোগে সারাদেশে ১০০টি মডেল মসজিদ উদ্বোধন করেন।
এ প্রকল্পের আওতায় দেশে মোট ৫৬৪টি মসজিদ নির্মাণ করা হচ্ছে।
প্রকল্পটির উদ্দেশ্য হচ্ছে ইসলামী ভ্রাতৃত্ব বোধ ও এর মূল্যবোধের প্রচার এবং উগ্রবাদ ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ইসলামের সারমর্ম প্রচার করা।
'এ' ক্যাটাগরির আওতায় ৬৪টি জেলা ও সিটি করপোরেশন এলাকায় লিফট সুবিধা সম্পন্ন ৬৯টি চারতলা মসজিদ এবং দুই হাজার ৩৬০ দশমিক ০৯ বর্গমিটার ফ্লোর স্পেস নির্মাণ করা হচ্ছে।
'বি' ক্যাটাগরিতে এক হাজার ৬৮০ দশমিক ১৪ বর্গমিটার ফ্লোর স্পেসসহ ৪৭৫টি মসজিদ এবং উপকূলীয় এলাকায় 'সি' ক্যাটাগরির ১৬টি মসজিদে দুই হাজার ৫২ দশমিক ১২ বর্গমিটার করে ফ্লোর স্পেস নির্মাণ করা হবে।
আরও পড়ুন: সাড়ে ৩ বছরেও শেষ হয়নি দিঘলিয়ায় মডেল মসজিদ নির্মাণ কাজ
১ বছর আগে
দেশীয় টাকায় নির্মাণ হচ্ছে ৫৬০ মডেল মসজিদ: ধর্ম প্রতিমন্ত্রী
প্রতিশ্রুতি দিয়েও সৌদি আরব সরকার অর্থ না দেয়ায় দেশীয় অর্থে ৫৬০টি মডেল মসজিদ নির্মাণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।
শনিবার বরগুনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আয়োজিত আন্তধর্মীয় সংলাপ অনুষ্ঠানে এ কথা জানান তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সৌদি সরকারের সাথে আলোচনা করে প্রধানমন্ত্রী জেলা সদরসহ দেশের প্রতিটি উপজেলায় ৫৬০টি মডেল মসজিদ নির্মাণের ঘোষণা দেন। যার অর্থ দেয়ার কথা ছিল সৌদি সরকারের। সৌদি আরবের আশ্বাস পেয়ে প্রধানমন্ত্রী এ প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে সৌদি আরব অর্থ না দেয়ায় প্রধানমন্ত্রী তার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের জন্য রাষ্ট্রের অর্থে মসজিদগুলো নির্মাণ শুরু করেন।’
আরও পড়ুন: স্থাপত্যশৈলীর অনন্য নিদর্শন ইবির কেন্দ্রীয় মসজিদ
ইতোমধ্যে ৫০টি মডেল মসজিদের উদ্বোধন করা হয়েছে। এছাড়া ১০০টি মসজিদ উদ্বোধনের অপেক্ষায় আছে। মসজিগুলো নির্মাণ করতে ৯ হাজার কোটি টাকা খরচ হবে বলেও জানান ফরিদুল হক খান।
ধর্মকে কেন্দ্র করে একটি চক্র দেশের বিভিন্ন স্থানে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির পাঁয়তারা চালাচ্ছে উল্লেখ করে সকল ধর্মের মানুষের মধ্যে সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য দেশের প্রত্যেক উপজেলায় ধর্মীয় সংলাপ আয়োজনের জন্য জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারদের প্রতি আহবান জানান তিনি।
ধর্মীয় সংলাপের বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সকল ধর্মের মানুষের মধ্যে সম্প্রীতি বজায় রাখতে গেলে কয়েক জন মিলে আলোচনা করলে হবে না। উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ইউপি চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্যসহ স্থানীয় সকল ধর্মের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিয়ে ধর্মীয় সংলাপ আয়োজন করতে হবে। এর ফলে এক ধর্মের মানুষের প্রতি অন্য ধর্মের মানুষের শ্রদ্ধা বৃদ্ধি পাবে।’
এ সময় অনুষ্ঠানে সনাতন ধর্মাবলম্বী নারীদের পৈতৃক সম্পত্তিতে অধিকার প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি হিন্দু বিবাহ নিবন্ধন আইন বাধ্যতামূলক করার দাবি জানানো হয়। এছাড়া প্রত্যেক উপজেলায় একটি করে মডেল মন্দির নির্মাণেরও দাবি জানানো হয়।
আরও পড়ুন: মসজিদসহ সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশ
ফতুল্লায় বিস্ফোরণে বন্ধ হওয়া মসজিদ খুলে দেয়ার দাবি
৩ বছর আগে
৫০ মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
প্রত্যেক জেলা ও উপজেলায় একটি করে মোট ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র প্রকল্পের আওতায় প্রাথমিকভাবে মুজিববর্ষ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার ৫০টি মডেল মসজিদ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান এ কথা জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী বৃহস্পতিবার ‘প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পের আওতায় ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের শুভ উদ্বোধন করতে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, প্রতিটি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ৪৩ শতাংশ জায়গার ওপর তিন ক্যাটাগরিতে নির্মিত হচ্ছে। এর মধ্যে জেলা ও সিটি করপোরেশন পর্যায়ে ৪ তলা, উপজেলা পর্যায়ে ৩ তলা এবং উপকূলীয় এলাকায় ৪ তলা (নীচ তলা ফাঁকা) মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে।
এ-ক্যাটাগরিতে ৬৪টি জেলা শহর ও ৩টি সিটি করপোরেশনে ৫টিসহ মোট ৬৯টি চারতলা বিশিষ্ঠ মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মিত হচ্ছে। বি-ক্যাটাগরিতে উপজেলা পর্যায়ে ৪৭৫টি এবং সি-ক্যাটাগরিতে উপকূলীয় এলাকায় ১৬টি মডেল মসজিদ নির্মাণ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: মডেল মসজিদ: মুজিববর্ষের অনন্য এক উপহার
ফরিদুল হক বলেন, মসজিদগুলোতে নারী ও পুরুষদের জন্য পৃথক অজু ও নামাজকক্ষ, ইমাম প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, হেফজখানা, গণশিক্ষা কেন্দ্র, গবেষণা কেন্দ্র, পাঠাগার, মৃতদেহ গোসলের ব্যবস্থা, জানাজার ব্যবস্থা, হজ্জযাত্রীদের নিবন্ধন, অটিজমকর্ণার, ই-কর্ণার, বিদেশি পর্যটকদের আবাসনের ব্যবস্থা থাকবে। এছাড়া ইমাম-মুয়াজ্জিনের আবাসনসহ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য অফিসের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, ইসলামের প্রচার ও প্রসারে ভূমিকা রাখার পাশাপাশি সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও নারীর প্রতি সহিংসতারোধ এবং সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি, তৃণমূল পর্যন্ত ইসলাম ধর্মের সঠিক প্রচার-প্রসার, ধর্মীয় সভা-সেমিনার আয়োজন, হজযাত্রীদের প্রশিক্ষণ, হামদ-নাত-ক্বেরাত প্রতিযোগিতা তথা ইসলামিক সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা, ইসলামিক রিসার্চ, ইমাম-মুয়াজ্জিনদের ট্রেনিং, সামাজিক সমস্যা-বাল্যবিবাহ, যৌতুক ও মাদকসহ নানাবিধ সামাজিক সমস্যা সমাধানে আলেম ওলামাদের কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে এ মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে।
৩ বছর আগে
মডেল মসজিদ: মুজিববর্ষের অনন্য এক উপহার
মুজিববর্ষে জনগণের জন্য উপহার হিসেবে সরকার সারা দেশে মডেল মসজিদ নির্মাণ করছে যা কাজ করবে ইসলামি জ্ঞান, গবেষণা ও মূল্যবোধের শ্রেষ্ঠত্বের কেন্দ্র হিসেবে।
৩ বছর আগে
কুমিল্লায় ধুঁকছে মডেল মসজিদ প্রকল্প
দেশের প্রতিটি উপজেলায় একটি করে মডেল মসজিদ নির্মাণ করতে সরকার যে বিশাল প্রকল্প যজ্ঞ হাতে নিয়েছে, কুমিল্লায় সেই প্রকল্পের কাজ চলছে ধীর গতিতে।
৪ বছর আগে
কুমিল্লায় ২৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে ১৮টি মডেল মসজিদ
কুমিল্লায় প্রায় ২৩৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হতে যাচ্ছে ১৮টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র।
৪ বছর আগে