হামাস
হামাস একটি অজ্ঞাত লাশ ফেরত দিয়েছে, অভিযোগ ইসরায়েলের
যুদ্ধবিরতির চুক্তির আওতায় চলমান বন্দি বিনিময়ের অংশ হিসেবে জিম্মি অবস্থায় মারা যাওয়া চার ইসরায়েলির লাশ ফেরত দিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ইসরায়েল বলেছে, তারা ফরেনসিক বিশ্লেষণ নিশ্চিত করেছে যে, হামাসের কাছ থেকে জিম্মি শিরি বিবাসের লাশ হিসেবে পাওয়া মৃতদেহটি তার নয়। শিরি বিবাসের লাশ তার দুই সন্তান এবং অন্য এক ইসরায়েলির লাশের সঙ্গে হস্তান্তর করার কথা ছিল।
এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, দেশটির ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ফরেনসিক মেডিসিন শনাক্তকরণ প্রক্রিয়ায় জানা গেছে, লাশটি পরিচিত কোনো জিম্মির নয়। এতে বলা হয়, ‘এটি একটি সাধারণ ও অপরিচিত ব্যক্তির মৃতদেহ।’
আরও পড়ুন: দামেস্কে পা রাখতে পেরে আপ্লুত দুই ইহুদি ধর্মাবলম্বী
হামাস চার জিম্মির মৃতদেহ ফেরত দিতে ব্যর্থ হওয়ার জন্য তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী।
বিবাসের দুই ছেলের লাশ শনাক্ত করা হয়েছে। নিহত হওয়ার সময় এরিয়েলের বয়স ছিল চার বছর এবং কাফির বিবাসের বয়স ছিল ১০ মাস।
ইসরায়লি সেনাবাহিনী বলেছে, 'আমাদের কাছে থাকা গোয়েন্দা তথ্য এবং শনাক্তকরণ প্রক্রিয়ার ফরেনসিক তথ্যের ভিত্তিতে ২০২৩ সালের নভেম্বরে এরিয়েল ও কাফিরকে বন্দি অবস্থায় সন্ত্রাসীরা নির্মমভাবে হত্যা করেছে।’
কিব্বুটজ নীর ওজের বাড়ি থেকে মায়ের সঙ্গে শিশুদের অপহরণ করা হয়েছিল। তাদের বাবা ইয়ার্ডেন বিবাসকে আলাদাভাবে নেওয়া হলেও ১ ফেব্রুয়ারি যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।
এ ছাড়া বৃহস্পতিবার সকালে আরেক জিম্মি অবসরপ্রাপ্ত সাংবাদিক ও শান্তি কর্মী ওদেদ লিফশিটজের লাশ শনাক্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি: চলতি সপ্তাহে দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা
১৮ ঘণ্টা আগে
হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি: চলতি সপ্তাহে দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা
চলতি সপ্তাহে গাজায় যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় পর্যায় নিয়ে ‘পরোক্ষ’ আলোচনা শুরু করবে ইসরায়েল ও হামাস। মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ও ইসরায়েল প্রশাসন।—খবর আল জাজিরার
এদিকে হামাসের নেতা খলিল আল-হায়া বলেছেন, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ইসরায়েলের বিবাস পরিবারের সদস্যসহ চার জিম্মির মরদেহ ফেরত দেওয়া হবে। এরপর শনিবার জীবিত ছয় জিম্মিকে হস্তান্তর করা হবে।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। তারা জানায়, বৃহস্পতিবার চার জিম্মির মরদেহ, শনিবার ছয় জীবিত জিম্মি ও এরপর আরও চারজনের মুক্তি নিশ্চিত করতে মিসরের কায়রোতে একটি চুক্তি হয়েছে।
তবে জিম্মিদের পরিচয় প্রকাশে অস্বীকৃতি জানিয়েছে নেতানিয়াহুর কার্যালয়। মৃত জিম্মিদের নাম প্রকাশের আগে তাদের শনাক্তকরণের বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন একজন ইসরায়েলি কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: পশ্চিমতীরে এক হাজার অবৈধ বসতি নির্মাণ করবে ইসরায়েল
যুদ্ধবিরতি চুক্তির দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা গত ৪ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়ার কথা থাকলেও আনুষ্ঠানিকভাবে তা শুরু হয়নি বলে জানায় কাতার। ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডিয়ন সার জেরুজালেমে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘এটি (দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা) এ সপ্তাহেই হবে।’
তিন ধাপের যুদ্ধবিরতির পরবর্তী ধাপের আলোচনায় অংশগ্রহণের বিষয়ে ইসরায়েল গত কয়েক সপ্তাহে মিশ্র সংকেত দিয়েছে।
উল্লেখ্য, গাজায় ১৯ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ কার্যকর হয়। চুক্তি অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ ৪২ দিন স্থায়ী হওয়ার কথা রয়েছে। এ ধাপে ৩৩ জন ইসরায়েলি জিম্মিকে ফিরিয়ে দেওয়ার বিনিময়ে আটক কয়েক শ ফিলিস্তিনি ও বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার কথা রয়েছে।
চুক্তি লঙ্ঘনের পাল্টাপাল্টি অভিযোগে বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হলেও মিসর ও কাতারের মধ্যস্ততায় এখনো চুক্তিটি কার্যকর রয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজায় ‘জাহান্নামের সব দরজা’ খুলে দেওয়ার হুমকি ইসরায়েলের
দ্বিতীয় ধাপে ৬৪ ইসরায়েলি জিম্মি মুক্তির কথা রয়েছে, বিনিময়ে মুক্তি পাবেন কয়েক শ ফিলিস্তিনি। তবে দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা কঠিন হবে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, এ ধাপে চুক্তির শর্তে যুদ্ধ পরবর্তী গাজার প্রশাসনের রূপ কেমন হবে, সে বিষয়টি রয়েছে।
এ বিষয়ে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে বড় মতপার্থক্য রয়েছে। গাজায় হামাসের অস্তিত্ব মেনে নেবে না বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলের কর্মকর্তারা।
২ দিন আগে
চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ: জিম্মিদের ফেরত দিচ্ছে না হামাস
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে বন্দিবিনিময় স্থগিত করেছে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। এ সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, চুক্তি অনুযায়ী ইসরায়েলি বন্দিদের মুক্তি না দিলে যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাতিল হতে পারে।
চলমান যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় আগামী শনিবারে (১৫ ফেব্রুয়ারি) তিন ইসরায়েলি জিম্মি মুক্তির কথা রয়েছে। তবে স্থানীয় সময় সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) এক বিবৃতিতে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত আর কোনো ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন হামাসের সামরিক শাখা কাশেম ব্রিগেডের এক মুখপাত্র।
হামাসের এই সিদ্ধান্তকে ‘যুদ্ধবিরতি চুক্তির পুরোপুরি লঙ্ঘন’ বলেছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইসরায়েল কাৎয।
হামাসের সিদ্ধান্তকে চলমান চুক্তির লঙ্ঘন আখ্যা দিয়ে সেনাদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন কাৎয। জিম্মিদের পরিবারকেও হামাসের সিদ্ধান্তের বিষয়ে অবগত করেছে ইসরায়েল প্রশাসন।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলি হামলায় প্রাণ গেল অন্তঃসত্ত্বা ফিলিস্তিনি নারীর
এদিকে হামাসের মুখপাত্র আবু ওবেইদা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি চুক্তির মূল শর্তগুলোই অমান্য করেছে ইসরায়েল।
ইসরায়েলি সেনারা সময়মতো ফিলিস্তিনিদের উত্তর গাজায় প্রবেশ করতে দেয়নি অভিযোগ করে তিনি বলেন, এমনকি গাজায় পর্যাপ্ত ত্রাণ পৌঁছাতেও বাধা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, হামাসের বন্দিবিনিময় চুক্তি স্থগিত করায় তীব্র চাপের মুখে পড়েছে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ইসরায়েলের কর্মকর্তারা জানিয়েছে, উদ্ভূত এই পরিস্থিতিতে গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছে নেতানিয়াহু।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ( ১১ ফেব্রুয়ারি) সকালে নিরাপত্তা পরিষদের সঙ্গে এক জরুরি বৈঠকে তিনি এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন বলে বার্তা সংস্থা এসোসিয়েট প্রেসের (এপি) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
এ ছাড়াও হামাসের সিদ্ধান্তে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) হোয়াইট হাউসে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘শনিবারের মধ্যে বন্দিবিনিময় সম্পন্ন না করা হলে যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাতিল হওয়া উচিত।’
আরও পড়ুন:ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তুদের নিয়ে নেতানিয়াহুর বক্তব্য প্রত্যাখ্যান সৌদির
ট্রাম্প বলেন, ‘আমি বলব শনিবার ১২টার মধ্যে তাদের ফেরত দেওয়া উচিত......দুই, এক বা তিন চারজন করে নয় সবাইকে।’
এসময় চুক্তি ভঙ্গ হলে গাজায় পুনরায় সর্বাত্বক যুদ্ধ শুরু হওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন তিনি। এমন হুঁশিয়ারি ইসরায়েলের পক্ষ থেকে প্রতিশোধ হিসেবে কিনা জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আপনারা দেখতে পারবেন, তারাও দেখবে…..হামাসও দেখতে পারবে আমি কি বুঝাতে চেয়েছি।’
প্রসঙ্গত, গেল পনেরো মাস ধরে গাজায় নির্বিচারে সামরিক হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে ৪৭ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হন, যাদের বেশিরভাগ নারী ও শিশু। মিসর, সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যস্থতায় ও যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনে দুই পক্ষের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি সই হয়, যা কার্যকর হয় গত ১৯ জানুয়ারি।
১০ দিন আগে
মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েলের অবস্থান মজবুত করতে বৈঠকে বসছেন ট্রাম্প-নেতানিয়াহু
হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে বিজয়, ইরানকে মোকাবিলা ও আরব দেশগুলোর সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক বাড়ানো নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনা করতে যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) ওয়াশিংটনের উদ্দেশে তেল-আবিব ছেড়েছেন নেতানিয়াহু।
নিউ ইয়র্ক সময় মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে তার। এর মধ্য দিয়ে হোয়াইট হাউসে ফেরার পর প্রথম কোনো বিদেশি নেতার সঙ্গে বসতে যাচ্ছেন ট্রাম্প।
এদিকে গাজা যুদ্ধ বন্ধে ও হামাসের হাতে জিম্মি ইসরায়েলিদের মুক্তির বিষয়ে পরবর্তী ধাপের চুক্তি নিয়ে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র ও মধ্যস্থতাকারী আরব দেশগুলো।
যুদ্ধবিরতির পরপরই গাজা উপত্যকায় নিজেদের আধিপত্য ও নিয়ন্ত্রণ পুনর্বহাল করেছে হামাস। যুদ্ধ পুরোপুরি বন্ধ ও উপত্যকাটি থেকে ইসরায়েলি সেনাদের প্রত্যাহার করা না হলে দ্বিতীয় ধাপে জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের এই স্বাধীনতাকামী সংগঠন।
অপরদিকে, গাজায় ফের যুদ্ধ শুরু করতে সরকারে থাকা উগ্রপন্থিদের চাপে মুখে পড়েছেন নেতানিয়াহু।
গত মার্চের প্রথম সপ্তাহে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি সই হয়। তবে হামাসের বিরুদ্ধে বিজয় ও জিম্মিদের ফিরিয়ে আনতে ইসরায়েল অঙ্গীকারাবদ্ধ বলেও মন্তব্য করেছেন নেতানিয়াহু।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর আকস্মিক হামলা চালিয়ে বহু ইসরায়েলিকে জিম্মি করে হামাস। এ যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ৪৭ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।
ইসরায়েলের পাঁড় সমর্থক হিসেবে বিবেচনা করা হয় ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের অবসানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি অস্ত্রবিরতি চুক্তির মধ্যস্থতায় ভূমিকা রাখার দাবি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
আরও পড়ুন: দেশগুলো ট্রাম্পের শুল্কারোপের পাল্টা জবাব দেবে কীভাবে?
১৫ মাসের যুদ্ধ শেষে দুই পক্ষের মধ্যে চুক্তি হওয়ার পর এখন পর্যন্ত ১৭ ইসরায়েলি জিম্মি ও শত শত ফিলিস্তিনি বন্দি মুক্তি পেয়েছেন।
এর মধ্যে আজ (রবিবার) আবার মধ্য গাজায় একটি গাড়িতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় পাঁচ ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। আল-আওদা হাসপাতাল এ তথ্য জানিয়েছে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলছে, গাড়িটি একটি তল্লাশি চৌকি অতিক্রমের চেষ্টা করা হলে ওই হামলা করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার আগে এক বিবৃতিতে নেতানিয়াহু বলেন, ‘ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে হামাসের বিরুদ্ধে বিজয়, জিম্মিদের মুক্তি ও ইরানি সন্ত্রাসী অক্ষ মোকাবিলা নিয়ে আলোচনা হবে।’
তিনি বলেন, ‘একসঙ্গে কাজ করে দুই দেশের নিরাপত্তা জোরদার, শান্তির পরিসর আরও বিস্তৃত ও শক্তির মাধ্যমে শান্তির এক অসাধারণ যুগে আমরা প্রবেশ করতে পারি।’
১৯ দিন আগে
এবার চিকিৎসা নিতে মিসরে যাওয়ার সুযোগ পেলেন ৫০ ফিলিস্তিনি
হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যকার দীর্ঘদিনের যুদ্ধের অবসান হওয়ায় ধীরে ধীরে স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরছে গাজা। এরই ধারাবাহিকতায় এবার রাফাহ ক্রসিং দিয়ে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে মিসর গিয়েছেন ৫০ জন ফিলিস্তিনি।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) মিসরের একটি টেলিভিশনের খবর থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। মিসরে চিকিৎসার নিতে প্রথমধাপে ৫০ জন গুরুতর অসুস্থ রোগী রাফাহ সীমান্ত দিয়ে দেশটিতে প্রবেশ করেছে।
আরও পড়ুন: ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতি কার্যকর হচ্ছে রবিবার: কাতার
টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ফুটেজে দেখা গেছে, সীমান্ত দিয়ে রোগীরা একে একে মিসরে প্রবেশ করার পর অ্যাম্বুলেন্সে উঠছেন।
মিসরীয় রেড ক্রিসেন্টের একটি সূত্র সিনহুয়াকে জানিয়েছে, শনিবার সকালে শেখ জুয়েইদ, আরিশ ও সুয়েজ শহরের হাসপাতালে রোগীদের পরিবহনের জন্য ৩০টি অ্যাম্বুলেন্স ক্রসিংয়ের মিসরীয় অংশে রাখা হয়েছিল। পরে রোগীদের নিয়ে অ্যাম্বুলেন্সগুলো সীমান্ত ত্যাগ করে।
ওইসব ফিলিস্তিনিদের নির্ধারিত হাসপাতালের অর্থোপেডিক্স, বার্ন, জেনারেল সার্জারি ও শিশু বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ১০ ফিলিস্তিনি নিহত
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরুর পর থেকে রাফাহ ক্রসিং মিসরসহ অন্যান্য দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার ত্রাণ সামগ্রী সরবরাহের একটি মূল প্রবেশদ্বার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে গত ১৯ জানুয়ারি মিসরের দিক থেকে রাফাহ ক্রসিং পুনরায় খুলে দেওয়া হয়।
২০২৪ সালের মে মাস থেকে ক্রসিংয়ের ফিলিস্তিন অংশটির নিয়ন্ত্রণ নেয় ইসরায়েল। সম্প্রতি যুদ্ধবিরতি চুক্তি হওয়ার আগপর্যন্ত তা অবরুদ্ধ করে রাখে ইসরায়েল।
১৯ দিন আগে
গাজা থেকে মিসর-জর্ডানে শরণার্থী বাড়াতে ট্রাম্পের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান হামাসের
যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা থেকে মিসর ও জর্ডানের আরও বেশি শরণার্থী নেওয়া উচিত বলে যে মন্তব্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড করেছেন, তা প্রত্যাখ্যান করেছে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও সুস্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন যে তাদের পক্ষে ট্রাম্পের এই নির্দেশনা গ্রহণ করা সম্ভব না।
গাজা উপত্যকার জন্য এটি কী অস্থায়ী কিংবা দীর্ঘমেয়াদি সমাধান, প্রশ্নে ট্রাম্প বলেন, ‘দুটোই হতে পারে।’
ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর হামলায় গাজায় ভয়াবহ মানবিক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৪৫ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: মার্কিন অভিবাসী ফ্লাইট অবতরণের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান, নিষেধাজ্ঞার মুখে কলোম্বিয়া
ট্রাম্পের এই মন্তব্যকে স্বাগত জানিয়েছেন ইসরাইলের অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ। তিনি বলেন, এটি একটি চমৎকার আইডিয়া। এটি বাস্তবায়ন করার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ শুরু করে দেব।
কিন্তু বিষয়টিকে সন্দেহের চোখে দেখছে হামাস। বাড়িঘর থেকে ফিলিস্তিনিদের স্থায়ীভাবে উচ্ছেদের যে শঙ্কা রয়েছে, ট্রাম্পের বক্তব্যে সেটিই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে বলে মনে করছে তারা।
হামাসের রাজনৈতিক শাখার সদস্য বাসেম নাইম বলেন, বিষয়টি ভালো উদ্দেশ্য হিসেবে দেখা দিলেও এমন কোনো সমাধান কিংবা প্রস্তাব গ্রহণ করবে না ফিলিস্তিনিরা।
আর পূর্বসূরি জো বাইডেনের মতো ট্রাম্পকেও কোনো ‘ব্যর্থ ধারণার’ পুনরাবৃত্তি না করার আহ্বান জানিয়েছেন আরেক হামাস নেতা সামি আবু জুহরি। তিনি বলেন, ‘ফিলিস্তিনিরা মরতে রাজি, কিন্তু তারা নিজেদের মাতৃভূমি ছাড়তে চায় না। কোনো অজুহাতে তারা এই ভূখণ্ড ছেড়ে যাবে না।’
ট্রাম্পের এই নির্দেশনা প্রত্যাখ্যান করেছে জর্ডানও। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান সাফাদি সাংবাদিকদের বলেন, গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের উৎখাতের বিরুদ্ধে জর্ডানের অবস্থান আগের মতোই অবিচল ও কঠোর।
এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত মিসরের কাছ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। কিন্তু ফিলিস্তিনিদের নিজ ভূখণ্ড থেকে উৎখাতের বিরোধিতা করে আসছেন তারা।
ফিলিস্তিনি বিশ্লেষক গাসসান আল-খতিব বলন, অধিকৃত পশ্চিমতীর, গাজা উপত্যকাসহ জর্ডান ও মিসরে বাস করা ফিলিস্তিনিরাও ট্রাম্পের এই ধারণাকে গ্রহণ করবেন না। আমি মনে করি না, এমন কিছু ভাবার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
নিজেদের মাটি থেকে ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক উচ্ছেদে সমর্থন করে না বলে গতবছর জানিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া গাজার পরিস্থিতি নিয়ে মানবাধিকার সংস্থাগুলো বছরজুড়ে উদ্বেগ জানিয়ে আসছে।
কিন্তু সমালোচনার মুখে পড়লেও ইসরাইলকে সমর্থন দেওয়া অব্যাহত রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। হিজবুল্লাহ, হুতি ও হামাসের মতো মিলিশিয়াদের বিরুদ্ধে ইসরাইলের প্রতিরক্ষায় সহায়তার কথা বলছে ওয়াশিংটন।
আরও পড়ুন: ইসরাইলি অবরোধ, বাড়িঘরে ফিরতে পারছেন না ফিলিস্তিনিরা
শনিবার জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহর সঙ্গে ফোনকলের পর ট্রাম্প বলেন, ‘আমি তাকে বলেছি, তারা যাতে আরও বেশি শরণার্থী গ্রহণ করেন। কারণ জায়গাটি (গাজা) এখন একেবারে বিশৃঙ্খলায় অবস্থায় আছে। মিসরকেও একই কথা বলবো।
এ বিষয়ে মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির সঙ্গে কথা বলবেন বলেও জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
২৫ দিন আগে
নতুন করে হামাসে যোগ দিল ১৫ হাজার যোদ্ধা
ইসরাইলের সঙ্গে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ১০ হাজার থেকে ১৫ হাজার যোদ্ধা নিয়োগ দিয়েছে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। মার্কিন গোয়েন্দা বরাতে এমন খবর দিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম। এতে ইসরাইলের জন্য ক্রমাগত হুমকি হিসেবেই থেকে যাচ্ছে ইরান সমর্থিত হামাস।
তবে এই যুদ্ধে একই পরিমাণ হামাস যোদ্ধা নিহত হয়েছেন বলে আভাস দিয়েছে গোয়েন্দারা। রোববার (১৯ জানুয়ারি) থেকে যুদ্ধবিরতিতে যায় হামাস ও ইসরাইল। গেল ১৫ মাসের যুদ্ধে ধ্বংসস্তূপে রূপান্তরিত গাজা উপত্যকা, পুরো মধ্যপ্রাচ্য উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
খবরে বলা হয়—হামাসে যোগ দেওয়া নতুন সদস্যরা বয়সে তরুণ ও অপ্রশিক্ষিত। তাদের এখন কেবল নিরাপত্তার উদ্দেশ্যে কাজে লাগানো হচ্ছে।
আরও পড়ুন: গাজায় ইসরাইলি হামলায় নারী ও শিশুসহ ১২ ফিলিস্তিনি নিহত
এ বিষয়ে জানতে মার্কিন জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালকের অফিসে যোগাযোগ করা হলে সাড়া মেলেনি। গত ১৪ জানুয়ারি তখনকার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিংকিন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র মনে করে যে, গাজায় যতজন যোদ্ধা হারিয়েছে হামাস, ততজনই তারা নতুন করে নিয়োগ দিয়েছে। এটি একটি চিরস্থায়ী বিদ্রোহ ও যুদ্ধেরই প্রস্তুতি।’
এ বিষয়ে তার কাছ থেকে আর কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। ইসরাইল বলছে, ‘গাজা যুদ্ধে প্রায় ২০ হাজার হামাস যোদ্ধা নিহত হয়েছেন।’
অ্যান্থনি ব্লিংকিন বলেন, ‘যখনই গাজায় ইসরাইল কোনো সামরিক অভিযান চালিয়ে ফিরে এসেছে, হামাস তখনই নতুন করে পুনর্গঠিত ও আবিভূত হয়েছে।’
হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র ইসরাইল। গেল বছরের জুলাইয়ে হামাসের সামারিক শাখার প্রধান আবু ওবায়দা বলেন, ‘তারা কয়েক হাজার নতুন যোদ্ধা নিয়োগ দিতে সক্ষম।’
এবারের যুদ্ধে ইসরাইল হামাসকে ধ্বংস করে দেওয়ার অঙ্গীকার করলেও গাজা উপত্যকায় গভীরভাবে নিজের অবস্থান জারি রেখেছে হামাস। গাজা থেকে ইসরাইলি বাহিনী প্রত্যাহার করে নেওয়া হলে হামাস সেখানে নিরাপত্তা কার্যক্রম পুনর্প্রতিষ্ঠা করে। পাশাপাশি নাগরিকদের মৌলিক সেবাগুলোও তারা পুনর্বহাল করতে সক্ষম হয়েছেন।
গাজা যুদ্ধে কতজন হামাস যোদ্ধা প্রাণ হারিয়েছেন, মার্কিন কর্মকর্তাদের কাছ থেকে তেমন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তারা কেবল বলছেন, ‘ফিলিস্তিনি এই প্রতিরোধ বাহিনীর ব্যাপক শক্তি ক্ষয় হয়েছে—সম্ভবত কয়েক হাজার যোদ্ধা খুইয়েছে।’
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরাইলে অতর্কিত হামলা চালায় হামাস যোদ্ধারা। এতে এক হাজার ২০০ ইসরাইলি অবৈধ বসতিস্থাপনকারী নিহত হন। এছাড়াও ২৫০ ইসরাইলিকে তারা জিম্মি করেছিল। পরবর্তীতে গাজায় ইসরাইলি হামলায় ৪৬ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।
আরও পড়ুন: লেবানন-গাজায় ইসরাইলের যুদ্ধ অবিলম্বে বন্ধের আহ্বান সৌদি যুবরাজের
২৭ দিন আগে
অবশেষে হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি কার্যকর
ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তি অবশেষে কার্যকর হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে ১৫ মাস ধরে চলা ধ্বংসাত্মক গাজা যুদ্ধের অবসান হয়েছে।
রবিবার (১৯ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় সময় রবিবার (১৯ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টায় চুক্তি কার্যকর হওয়ার কথা থাকলেও যথাসময়ে তিন নারী জিম্মির তালিকা দিতে ব্যর্থ হয় হামাস। ফলে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হতে তিন ঘণ্টা দেরি হয়।
মাজেদ আল-আনসারি বলেন, গাজায় জিম্মি তিন ইসরায়েলি নাগরিককে ফেরত পাঠানো হয়েছে।র তাদের মধ্যে একজন রোমানীয়, অন্য দুজন ব্রিটিশ নাগরিক।
আল-জাজিরার খবর বলছে, অস্ত্রবিরতি চুক্তি বাস্তবায়নে যেটুকু সময়ক্ষেপণ হয়, ওই সময়ে গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ১৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৩৯ জন। গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাহমুদ বাশাল এ তথ্য দিয়েছেন।
এক বিবৃতিতে মুখপাত্র বলেন, রাফায় একজন, খান ইউনিসে ৬ জন, গাজা সিটিতে ৯ জন ও উত্তর গাজায় ৩ জন নিহত হয়েছেন।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানিয়েছে, স্থানীয় সময় রবিবার (১৯ জানুয়ারি) তিন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে গাজা। সাত দিনের মধ্যে জীবিত আরও চার নারী জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হবে।
আল-জাজিরার খবর অনুসারে, ছয় সপ্তাহের প্রাথমিক যুদ্ধবিরতির সময়ে মধ্য গাজা থেকে ধীরে ধীরে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে। আর উত্তর গাজার বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরাও নিজেদের ভূমিতে ফিরে যাবেন।
যুদ্ধবিরতির শর্তের মধ্যে আরও রয়েছে, প্রতিদিন ৫০ ট্রাক জ্বালানিসহ মানবিক সহায়তাবাহী মোট ৬০০ ট্রাক গাজায় ঢোকার অনুমতি দেবে ইসরায়েল।
উত্তর গাজার ভয়াবহ মানবিক পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে এসব ট্রাকের অর্ধেকই ওই অঞ্চলটিতে পাঠানো হবে।
৩৩ দিন আগে
গাজায় ইসরায়েলি অভিযানে ৩৩ জিম্মি নিহত: হামাস
সোমবার গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে ৩৩ জন ইসরায়েলি জিম্মির মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে হামাস। এ ঘটনায় এখনও নিখোঁজ রয়েছেন আরও কয়েকজন।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর 'একগুঁয়েমি ও অব্যাহত আগ্রাসন বন্দিদের মৃত্যুর সংখ্যা বাড়িয়ে তুলছে' বলে মন্তব্য করেছে হামাস।
নেতানিয়াহুর উদ্দেশে হামাস এক বক্তব্যে বলে, 'উন্মত্ত যুদ্ধ' অব্যাহত থাকলে 'আপনি আপনার বন্দিদের চিরতরে হারাতে পারেন। খুব দেরি হওয়ার আগেই ব্যবস্থা নিন।’
হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসসাম ব্রিগেড শনিবার গাজায় এক ইসরায়েলি বন্দিকে আটক রাখার একটি ভিডিও প্রকাশ করে। ওই নাগরিকের মার্কিন নাগরিকত্বও রয়েছে। এর দু'দিন পরে হামাসের এই ভিডিও এসেছিল।
আরও পড়ুন: উত্তর গাজায় ১৫ ইসরায়েলি সেনাকে হত্যার দাবি হামাসের
এডান আলেকজান্ডার বলেন, তাকে ৪২০ দিনেরও বেশি সময় ধরে বন্দি করে রাখা হয়েছিল। ইসরায়েলি সরকার ও যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি গাজার বাকি বন্দিদের মুক্তি নিশ্চিত করার আহ্বান জানান তিনি।
একজন ইসরায়েলি-আমেরিকান সৈন্য আগে গাজায় জিম্মি ছিল বলে মনে করা হতো। সোমবার ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ঘোষণা দেয়, এখন তাকে মৃত মনে করা হচ্ছে।
এক বিবৃতিতে সেনাবাহিনী ওই সেনাকে ক্যাপ্টেন ওমর ম্যাক্সিম নিউট্রা (২১) বলে শনাক্ত করেছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের অতর্কিত হামলায় নিহত হয় তিনি। এতে আরও বলা হয়, তার মরদেহ গাজায় হামাস আটকে রেখেছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানায়, নিউইয়র্কে জন্মগ্রহণকারী নিউট্রা ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীতে তালিকাভুক্ত হন এবং ৭৭তম ব্যাটালিয়নে ট্যাংক প্লাটুন কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েল সীমান্তে হামাস আক্রমণ করে। সে সময় প্রায় ১,২০০ মানুষ নিহত এবং প্রায় ২৫০ জনকে জিম্মি করা হয়েছিল। এর প্রতিশোধ নিতে ইসরায়েল গাজায় হামাসের ওপর আক্রমণ চালায়।
গাজা উপত্যকায় চলমান ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৪ হাজার ৪৬৬ জনে দাঁড়িয়েছে বলে সোমবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে গাজাভিত্তিক স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ।
হামাস পরিচালিত গাজা সরকারের গণমাধ্যম কার্যালয় জানায়, গত ৫ অক্টোবর গাজার উত্তরাঞ্চলে ইসরায়েল সামরিক অভিযান জোরদার করার পর থেকে এ পর্যন্ত ৩ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত বা নিখোঁজ হয়েছেন।
আরও পড়ুন: নেদারল্যান্ডসে ইসরায়েলি ফুটবল সমর্থকদের ওপর হামলা
৮০ দিন আগে
হামাসের নতুন প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার
প্রয়াত হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়ার স্থলাভিষিক্ত হলেন ইয়াহিয়া সিনওয়ার।
এক বিবৃতিতে হামাস জানিয়েছে, 'ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে আমাদের রাজনৈতিক ব্যুরোর প্রধান হিসেবে মনোনীত করার ঘোষণা দিচ্ছি।’
৬১ বছর বয়সী সিনওয়ার ২০১৭ সাল থেকে গাজা উপত্যকায় হামাসের প্রধান। তিনি ২০ বছরেরও বেশি সময় ইসরায়েলি কারাগারে কাটিয়েছেন এবং ২০১১ সালে ইসরায়েলের সঙ্গে বন্দি বিনিময় চুক্তির অধীনে মুক্তি পান।
ইসরায়েল মনে করে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার অন্যতম প্রধান পরিকল্পনাকারী ছিলেন সিনওয়ার।
উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের শপথ অনুষ্ঠান উপলক্ষে তেহরানে অবস্থানকালে বিমান হামলায় নিহত হন ইসমাইল হানিয়া। এই হামলাকে 'বিশ্বাসঘাতক' ইসরায়েলের অভিযান বলে দাবি করে হামাস।
১৯৮ দিন আগে