হামাস
হামাসের নতুন প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার
প্রয়াত হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়ার স্থলাভিষিক্ত হলেন ইয়াহিয়া সিনওয়ার।
এক বিবৃতিতে হামাস জানিয়েছে, 'ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে আমাদের রাজনৈতিক ব্যুরোর প্রধান হিসেবে মনোনীত করার ঘোষণা দিচ্ছি।’
৬১ বছর বয়সী সিনওয়ার ২০১৭ সাল থেকে গাজা উপত্যকায় হামাসের প্রধান। তিনি ২০ বছরেরও বেশি সময় ইসরায়েলি কারাগারে কাটিয়েছেন এবং ২০১১ সালে ইসরায়েলের সঙ্গে বন্দি বিনিময় চুক্তির অধীনে মুক্তি পান।
ইসরায়েল মনে করে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার অন্যতম প্রধান পরিকল্পনাকারী ছিলেন সিনওয়ার।
উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের শপথ অনুষ্ঠান উপলক্ষে তেহরানে অবস্থানকালে বিমান হামলায় নিহত হন ইসমাইল হানিয়া। এই হামলাকে 'বিশ্বাসঘাতক' ইসরায়েলের অভিযান বলে দাবি করে হামাস।
২ মাস আগে
ইরানে বিমান হামলায় নিহত হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়া
ইরানের রাজধানী তেহরানে এক হামলায় হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়া নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির আধাসামরিক বাহিনী রেভল্যুশনারি গার্ড।
বুধবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে মঙ্গলবার ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে তেহরানে যান হানিয়া।
হানিয়া কীভাবে নিহত হলেন সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি ইরান। হামলার ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে রেভল্যুশনারি গার্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
হানিয়ার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে হামাসের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ইরানের নতুন প্রেসিডেন্টের অভিষেক অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার পর তেহরানে নিজ অবস্থানস্থলে জায়নবাদীদের বিমান হামলায় হানিয়া নিহত হয়েছেন।’
বিবৃতিতে ফিলিস্তিনি জনগণ, আরব ও মুসলিম দেশ এবং বিশ্বের সব স্বাধীন মানুষের কাছে শোক প্রকাশ করে ইসমাইল হানিয়াকে শহীদ ঘোষণা করেছে হামাস।
হানিয়া ২০১৯ সালে গাজা উপত্যকা ছেড়ে কাতারে নির্বাসিত জীবন কাটাচ্ছিলেন।
এদিকে, এই হত্যাকাণ্ডের দায় তাৎক্ষণিকভাবে কেউ স্বীকার না করলেও সন্দেহের তীর ইসরায়েলের ওপরই গিয়ে পড়ছে। এই হামলার জন্য ইসরাইলকে দায়ী করেছে হামাস।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলায় ১২০০ জন নিহত ও ২৫০ জিম্মির পর হামাস প্রধান হানিয়া ও অন্যান্য নেতাদের হত্যার অঙ্গীকার করে দেশটি।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে এ হামলার জন্য তাৎক্ষণিকভাবে ইসরাইলকে দায়ী করেন বিশ্লেষকরা।
অন্যদিকে এ হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য আসেনি। তাছাড়া নিজেদের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের কোনো গুপ্তহত্যা নিয়ে সাধারণত মন্তব্য করে না ইসরায়েল।
হানিয়ার মৃত্যুর বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি হোয়াইট হাউজও। যেসময় বাইডেন প্রশাসন একটি সাময়িক যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তির চুক্তির বিষয়ে হামাস ও ইসরায়েলকে রাজি করাতে চাপ প্রয়োগ করছিল সেসময় এই হত্যাকাণ্ড ঘটল।
৩ মাস আগে
ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধে নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা ৩৮ হাজার ছাড়িয়েছে: গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়
গাজায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে প্রায় ৯ মাস ধরে চলা যুদ্ধে ফিলিস্তিনি নিহতের সংখ্যা ৩৮ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) এই তথ্য জানিয়েছে গাজার হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৮ জনের লাশ হাসপাতালে আনায় মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৮ হাজার ১১ জনে।
চলমান এই যুদ্ধে আরও ৮৭ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা।
হতাহতদের মধ্যে কতজন সামরিক ও বেসামরিক তা স্পষ্ট করে জানাতে পারেনি মন্ত্রণালয়। তবে নিহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু বলে জানা গেছে।
এদিকে গাজায় পর্যায়ক্রমে যুদ্ধবিরতির জন্য মার্কিন সমর্থিত প্রস্তাবের সর্বশেষ প্রতিক্রিয়া নিয়ে বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের মন্ত্রিসভা বৈঠক করার কথা ছিল। কারণ, ৯ মাসের যুদ্ধ অবসানের লক্ষ্যে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা এক সপ্তাহের বিরতির পর আবারও শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজায় ইসরায়েলের ‘যুদ্ধ-পরবর্তী পরিকল্পনা’ হামাসের প্রত্যাখ্যান
অন্যদিকে, ইসরায়েল ও লেবাননের হিজবুল্লাহর মধ্যে যুদ্ধ আরও বেড়েছে। সশস্ত্র গোষ্ঠীটি বলেছে তারা আগের দিন ইসরায়েলি বিমান হামলায় একজন সিনিয়র কমান্ডার হত্যার প্রতিশোধ নিতে উত্তর ইসরায়েলে ২০০টিরও বেশি রকেট ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে।
তুলনামূলকভাবে সংঘাত কম হলেও সীমান্তে উত্তেজনা বাড়িয়েছে। যা মধ্যপ্রাচ্যকে আরও ভয়ংকর যুদ্ধের দিকে ঠেলে দিয়েছে। ইরান সমর্থিত হিজবুল্লাহ বলেছে, মিত্র হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি হলে তারা হামলা বন্ধ করবে।
দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধবিরতি ও গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী প্রত্যাহারের বিনিময়ে হামাসের হাতে আটক জিম্মিদের সবাইকে মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বিশ্বের সমর্থন পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষই তা পুরোপুরি মেনে নেয়নি।
হামাস গত মাসে যুদ্ধবিরতির শর্ত ‘সংশোধনের’ প্রস্তাব করেছিল। তবে যুক্তরাষ্ট্র সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ না করে কয়েকটি বিষয়কে অকার্যকর বলেছে। মূল প্রস্তাবটি ইসরায়েলের ছিল বলে নিশ্চিত করেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তবে এটি যুদ্ধ সমাপ্ত করবে কি না তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে। যা হামাসের দাবিগুলোর মধ্যে একটি প্রধান দাবি।
আলোচনায় মধ্যস্থতাকারী মিশর ও কাতারকে আরেকটি বার্তা পাঠিয়েছে বলে বুধবার নিশ্চিত করেছে হামাস। যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তা বলেছেন, বাইডেন প্রশাসন প্রতিক্রিয়াটি পরীক্ষা করে দেখছে, এটিকে গঠনমূলক বলে অভিহিত করেছে তবে আরও কাজ করা দরকার বলে জানিয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ গাজায় রাতভর ইসরায়েলি হামলায় ৯ ফিলিস্তিনি নিহত
ইসরায়েলের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আলোচনাকে ঘিরে সর্বশেষ অগ্রগতি নিয়ে আলোচনার জন্য নেতানিয়াহু বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভার বৈঠক আহ্বান করবেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মকর্তা এ কথা বলেন। সংশোধিত প্রস্তাবের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ইসরায়েল সম্ভবত আরও পরামর্শ করবে।
হামাসের রাজনৈতিক কর্মকর্তা বাসেম নাঈম বলেছেন, তারা আমেরিকার প্রস্তাব গ্রহণ বা প্রত্যাখ্যান করেনি এবং দু'পক্ষের মধ্যকার ব্যবধান কমানোর জন্য কিছু ধারণা দিয়ে সাড়া দিয়েছে। হামাসের শীর্ষ রাজনৈতিক নেতা ইসমাইল হানিয়া মিশরীয়, কাতার ও তুর্কি কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরামর্শ বিনিময় করেছেন বলে বুধবার রাতে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে মধ্যস্থতাকারী গ্রুপটি।
গত ৭ অক্টোবর হামাস যোদ্ধারা ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলের একাধিক সেনা ঘাঁটি ও কৃষক সম্প্রদায়ের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে প্রায় ১ হাজার ২০০ মানুষ নিহত হন। এসময় আরও ২৫০ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায় হামাস। যাদের মধ্যে ১০০ জনেরও বেশি ইসরায়েলিকে নভেম্বরে সপ্তাহব্যাপী যুদ্ধবিরতির সময় মুক্তি দেওয়া হয়েছে। হামাসের হাতে এখনও প্রায় ৮০ জন জিম্মি এবং ৪০ জনের লাশ রয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের মতে, ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া হামলায় ৩৭ হাজর ৯০০ এরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এই যুদ্ধের ফলে গোটা অঞ্চল জুড়ে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে ইসরায়েল। ফলে গাজার ২৩ লাখ জনসংখ্যার বেশিরভাগই বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। বাসিন্দারা ব্যাপক ক্ষুধা ও সংকটের মধ্যে পড়েছেন। যা চরম দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা বাড়িয়ে তুলেছে।
আরও পড়ুন: অবিস্ফোরিত বোমা গাজাবাসীর জন্য বড় হুমকি: জাতিসংঘ
৩ মাস আগে
দক্ষিণ গাজায় রাতভর ইসরায়েলি হামলায় ৯ ফিলিস্তিনি নিহত
দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস শহরে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৯ জন বেসামরিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।
স্থল অভিযানের আগে সোমবার (১ জুলাই) ওই এলাকা খালি করার নির্দেশ দেয় ইসরায়েলি বাহিনী। এরপর রাত থেকে শুরু হয় হামলা।
স্থানীয় নাসের হাসপাতালের রেকর্ড অনুযায়ী, নিহতদের মধ্যে তিন শিশু ও দুজন নারী রয়েছেন।
ইসরায়েলের খালি করতে বলা এলাকার মধ্যে একটি ইউরোপীয় হাসপাতাল রয়েছে। হাসপাতালটির পাশেই এই হামলা হয়।
আরও পড়ুন: রাফাহতে ইসরায়েলি বোমা হামলায় ১১ ফিলিস্তিনি নিহত
স্থানটি খালি করার প্রাথমিক আদেশের সময় ‘হাসপাতালটি এই নির্দেশের বাইরে’ বলে জানানো হয়। তবে প্রাণ শঙ্কায় অনেক রোগী ও কর্মীই জায়গাটি ছেড়ে পালিয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক।
সোমবার হামাস যোদ্ধারা খান ইউনিস থেকে ইসরায়েলে অন্তত ২০টি রকেট ছোড়ে। হামাসের রকেট হামলায় হতাহতের বা ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর পাওয়া যায়নি। তবে তারপরই ওই ঘোষণা দিয়ে পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী।
ফিলিস্তিনে জাতিসংঘের সহায়তাকারী সংস্থার (ইউএনআরডব্লিউএ) তথ্যানুসারে, খান ইউনিসের যে অংশে ইসরায়েল হামলা চালানোর উদ্দেশ্যে শরণার্থীদের জায়গাটি খালি করার নির্দেশ দিয়েছে, সেখানে অন্তত আড়াই লাখ ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছিল।
আরও পড়ুন: গাজায় ইসরায়েলের ‘যুদ্ধ-পরবর্তী পরিকল্পনা’ হামাসের প্রত্যাখ্যান
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ঢুকে হামাসের হামলায় দেশটির অন্তত ১ হাজার ২০০ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়। সে সময় ২৫০ ইসরায়েলিকে জিম্মি করে নিয়ে যায় ফিলিস্তিনের সশস্ত্র শাসক গোষ্ঠী হামাস। ওই ঘটনার পর থেকে গাজায় ক্রমাগত হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী।
ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত ৩৭ হাজার ৯০০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে হামাস পরিচালিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
৪ মাস আগে
গাজায় ইসরায়েলের ‘যুদ্ধ-পরবর্তী পরিকল্পনা’ হামাসের প্রত্যাখ্যান
ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জাচি হানেগবির উত্তর গাজায় যুদ্ধ-পরবর্তী পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হবে না বলে জানিয়েছে হামাস।
মঙ্গলবার সিনহুয়াকে পাঠানো এক বিবৃতিতে হামাস জানিয়েছে, গাজার যুদ্ধ-পরবর্তী ভবিষ্যত নিয়ে হানেগবির আলোচনা এবং তার পরিকল্পনা নিরর্থক, যা শুধু ইসরায়েলি সরকারের জেদকে প্রতিফলিত করে।
‘গাজা উপত্যকার ভবিষ্যৎ কেবল ফিলিস্তিনি জনগণের দ্বারাই নির্ধারিত হবে। ফিলিস্তিনিদের ভাগ্য ও ভবিষ্যতের ওপর হস্তক্ষেপের চেষ্টা করলে সেই হাত কেটে ফেলা হবে।’
আরও পড়ুন: গাজায় আবারও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ বন্ধ করেছে মার্কিন সেনাবাহিনী
এর আগে, সোমবার ইসরায়েলের রাইচম্যান বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি সম্মেলনে হ্যানেগবি বলেন, ‘হামাসের জন্য যুদ্ধ-পরবর্তী পরিকল্পনা করা হয়েছে। আমরা শিগগিরই এই পদক্ষেপের বাস্তবায়ন করব।’
তিনি বলেন, ‘দীর্ঘমেয়াদী জয় পেতে (গাজায়) হামাসের একটি বিকল্প প্রতিষ্ঠা করা অপরিহার্য। বিকল্পটি এমন একটি সরকার হবে, যারা ফিলিস্তিনি জনগণের ভোটে নির্বাচিত, ইসরায়েলের পাশে থাকতে চায় এবং মধ্যপন্থী আরব রাষ্ট্রগুলির সমর্থন পায়।’
আরও পড়ুন: গাজায় ‘খুব শিগগির’ অভিযান বন্ধের ঘোষণা দিয়ে লেবাননে যুদ্ধ শুরুর ইঙ্গিত ইসরায়েলের
৪ মাস আগে
গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে ইসরায়েল প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: নেতানিয়াহু
হামাসের হাতে জিম্মিদের মুক্তির বিনিময়ে গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রস্তাবে ইসরাইল ‘প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’ বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
ইসরায়েলের বিরোধী দলের নেতাদের নিয়ে ডাকা বিশেষ সংসদ অধিবেশনে সোমবার (২৪ জুন) এ কথা বলেন নেতানিয়াহু।
তিনি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট বাইডেন যে প্রস্তাব দিয়েছেন, তাতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ বিষয়ে আমাদের অবস্থান বদলায়নি।’
আরও পড়ুন: রাফায় ১০ ফিলিস্তিনি নিরাপত্তাকর্মীকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী
গাজায় আট মাসের বেশি সময় ধরে চলা সংঘাত অবসানের জন্য মে মাসের শেষের দিকে একটি প্রস্তাব উপস্থাপন করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। প্রস্তাবটিকে তিনি ‘ইসরায়েলি প্রস্তাব’ হিসেবে উল্লেখ করেন। এরপর সোমবার ওই প্রস্তাবে প্রকাশ্য সমর্থন দিলেন নেতানিয়াহু।
সংসদে নেতানিয়াহু বলেন, ‘১২০ জিম্মির সবাইকে, জীবিত হোক বা মৃত, ফিরিয়ে না আনা পর্যন্ত গাজায় অভিযান চলবে। হামাসকে নির্মূল করে (ইসরায়েলের) দক্ষিণ ও উত্তরাঞ্চলের বাসিন্দারা নিজ বাড়িতে যাওয়া পর্যন্ত সংঘাত চলবে।’
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ঢুকে হামাসের হামলায় দেশটির অন্তত ১ হাজার ২০০ বেসামরিক নাগরিককে নিহত হয়। সে সময় ২০০ ইসরায়েলিকে জিম্মি করে নিয়ে যায় ফিলিস্তিসের সশস্ত্র শাসক গোষ্ঠী হামাস। ওই ঘটনার পর থেকে গাজায় ক্রমাগত হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী।
ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত ৩৭ হাজার ৬০০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে হামাস পরিচালিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন: গাজায় ‘খুব শিগগির’ অভিযান বন্ধের ঘোষণা দিয়ে লেবাননে যুদ্ধ শুরুর ইঙ্গিত ইসরায়েলের
৪ মাস আগে
রাফায় ১০ ফিলিস্তিনি নিরাপত্তাকর্মীকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী
দক্ষিণ গাজার রাফা শহরে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর গুলিতে বাণিজ্যিক ট্রাকের অন্তত ১০ জন নিরাপত্তাকর্মী নিহত হয়েছে।
ফিলিস্তিনি নিরাপত্তা ও চিকিৎসা বিভাগ জানিয়েছে, রাফাহ শহরের পূর্বে বুধবার বাণিজ্যিক পণ্যের নিরাপত্তা প্রদানকারী একদল নিরাপত্তাকর্মীকে লক্ষ্য করে বিমান থেকে গুলিবর্ষণ করে ইসরায়েলি বাহিনী।
এ ঘটনায় নিহত ও আহতদের সবাইকে ইউরোপিয়ান গাজা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়ে গাজার স্বাস্থ্য বিভাগ।
তবে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে এখনও এ বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: রাফা ক্রসিংয়ে ফিলিস্তিনের বহির্গমন হল জ্বালিয়ে দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী
এর আগে, সোমবার রাতেও বাণিজ্যিক পণ্যের নিরাপত্তাকর্মীদের লক্ষ্য করে ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ৯ জন নিহত হয়।
ফিলিস্তিনের নিরাপত্তা বিভাগ জানিয়েছে, শর্ত সাপেক্ষে পশ্চিম তীর থেকে দক্ষিণের যুদ্ধ-বিধ্বস্ত অবরুদ্ধ অঞ্চলগুলোতে বাণিজ্যিক পণ্য প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। তারপরও এসব কর্মকাণ্ড চলাকালে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ঢুকে হামাসের হামলায় দেশটির অন্তত ১ হাজার ২০০ বেসামরিক নাগরিককে নিহত হয়। সে সময় ২০০ ইসরায়েলিকে জিম্মি করে নিয়ে যায় ফিলিস্তিসের সশস্ত্র শাসক গোষ্ঠী হামাস। ওই ঘটনার পর থেকে গাজায় ক্রমাগত হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী।
ইসরায়েলি হামলায় বুধবার সকাল পর্যন্ত ৩৭ হাজার ৩৯৬ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে হামাস পরিচালিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
যুদ্ধের মধ্যে সব সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ায় খাদ্য, ওষুধ এবং অন্যান্য মৌলিক সামগ্রী গাজায় প্রবেশ করতে পারছে না। দীর্ঘদিন ধরে এমন অচলাবস্থা থাকায় উপত্যকায় দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘর্ষ, হামাস কমান্ডার নিহত
৪ মাস আগে
ইসরাইল-হামাস যুদ্ধের মধ্যেই পবিত্র হজ শুরু
প্রচণ্ড গরমের মধ্যে শুক্রবার মক্কার হাজিরা মরুভূমির একটি বিশাল তাঁবু শিবিরে জমায়েত হয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে পবিত্র হজের কার্যক্রম শুরু করেছেন। এর আগে তারা ইসলামের পবিত্রতম স্থান গ্র্যান্ড মসজিদের কাবা শরিফ তাওয়াফ করেন।
সারা বিশ্বের ১৫ লাখেরও বেশি হজযাত্রীরা এরই মধ্যে হজ পালন করতে মক্কা এবং এর আশেপাশের এলাকায় জড়ো হয়েছেন। এছাড়া সৌদি আরবের অভ্যন্তর থেকে আরও হাজি যোগ দেওয়ায় এই সংখ্যা এখনও বাড়ছে। সৌদি কর্তৃপক্ষ ধারণা করছে, চলতি বছর এ সংখ্যা ২০ লাখ ছাড়িয়ে যাবে।
এবারের হজের কার্যক্রম এমন এক সময়ে শুরু হলো যখন ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা ইসরাইলি হামলায় বিধ্বস্ত। স্বাধীনতাকামী হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলি বাহিনীর যুদ্ধ চলছে। এই যুদ্ধটি মধ্যপ্রাচ্যে আঞ্চলিক যুদ্ধে রূপ নেওয়ার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। হামাসকে সমর্থন দিয়ে আসছে ইরান। অন্যদিকে ইসরায়েলকে সমর্থন দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যসহ তার অন্যান্য মিত্ররা।
গাজার উপত্যকার ফিলিস্তিনিরা এ বছর হজের জন্য মক্কায় যেতে পারেনি। কারণ, ইসরায়েল মিশরের সীমান্তবর্তী অঞ্চলের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফাহ শহরে স্থল আক্রমণ বাড়িয়ে চলতি বছরের মে মাসে মিশর সীমান্তের রাফাহ ক্রসিং বন্ধ করে দেয়।
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অধিকৃত পশ্চিম তীর থেকে ৪ হাজার ২০০ হজযাত্রী মক্কায় পৌঁছেছেন। সৌদি আরবের বাদশাহ সালমানের আমন্ত্রণে গাজার যুদ্ধে নিহত ও আহত ফিলিস্তিনিদের পরিবারের আরও ১ হাজার সদস্যও হজ পালনের জন্য এসেছেন বলে জানিয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। রাফাহ ক্রসিং বন্ধ হওয়ার আগে এই ১ হাজার আমন্ত্রিত ব্যক্তি গাজার বাইরে ছিলেন- যাদের বেশিরভাগই মিশরে অবস্থান করছিলেন।
আরও পড়ুন: হজযাত্রীদের ভিসা প্রক্রিয়ায় সহায়তার প্রতিশ্রুতি সৌদি রাষ্ট্রদূতের
গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনুসের ৭৫ বছর বয়সী ফিলিস্তিনি নারী আমনা আবু মুতলাক বলেন, 'ক্রসিং বন্ধ থাকায় এবং ক্রমবর্ধমান যুদ্ধ ও ধ্বংসযজ্ঞের কারণে আমরা হজ থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। তারা (ইসরায়েল) আমাদের সবকিছু থেকে বঞ্চিত করেছে।’
মোহাম্মদ রফিক নামে এক ভারতীয় হাজি মিনার তাঁবু ক্যাম্পের দিকে যাওয়ার সময় বলেন, 'আমরা মুসলমানদের জন্য, আমাদের দেশ ও জনগণের জন্য, সমগ্র মুসলিম বিশ্বের জন্য, বিশেষ করে ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য প্রার্থনা করি।’
হজ ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে একটি এবং শারীরিক ও আর্থিকভাবে সক্ষম হলে প্রত্যেক মুসলমানকে তাদের জীবনে অন্তত একবার হলেও পাঁচ দিনের হজ করতে হবে।
এটি তীর্থযাত্রীদের জন্য একটি চলমান আধ্যাত্মিক অভিজ্ঞতা। তারা বিশ্বাস করে, এটি পাপমোচন করে এবং বিশ্বের ২ বিলিয়নেরও বেশি মুসলমান একত্রিত হয়ে সৃষ্টিকর্তার নিকটবর্তী হয়।
সৌদি কর্তৃপক্ষ মক্কা ও এর আশেপাশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। এ বছরের জন্য যাদের হজে অংশগ্রহণ করার অনুমতি নেই তাদের পবিত্র স্থানগুলোতে প্রবেশ ঠেকাতে শহরের দিকে যাওয়ার রাস্তাগুলোতে তল্লাশি করা হচ্ছে।
আজ শুক্রবার হাজিরা মিনার উদ্দেশে রওনা হন এবং হজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন হজযাত্রীরা। এরপর তারা শনিবার মরুভূমির পাহাড় আরাফাতের ময়দানে সূর্যাস্ত পর্যন্ত অবস্থান করবেন। এখানে নবী মুহাম্মদ (সা.) তার শেষ ভাষণ দিয়েছিলেন- যেটি বিদায় খুতবা নামে পরিচিত। সুস্থ তীর্থযাত্রীরা পায়ে হেঁটে, অন্যরা বাস বা ট্রেনে ভ্রমণ করেন।
আরও পড়ুন: হজ ফ্লাইট ডাটা যথাসময়ে এন্ট্রির জন্য হজ এজেন্সিগুলোকে নির্দেশ ধর্ম মন্ত্রণালয়ের
এটি ইসলামিক চন্দ্র বর্ষের শেষ মাস জিলহজের দ্বিতীয় সপ্তাহে পাঁচ দিনের জন্য নির্ধারণ করায় খ্রিষ্টীয় বর্ষপঞ্জী অনুযায়ী প্রতি বছর হজ অনুষ্ঠিত হওয়ার সময় পরিবর্তন হয়।
অনেক হাজি সূর্যের তীব্র তাপ থেকে কিছুটা নিস্তার পেতে ছাতা বহন করছেন। মিনায় দাতব্য সংস্থাগুলো ঠান্ডা পানি বিতরণ করছে এবং শীতল কেন্দ্রগুলো হাজিদের শীতল করার জন্য পানি ছিটাচ্ছে। মুসল্লিরা তাদের তাঁবু টাঙিয়ে ছোট্ট বিছানা পেতে বিশ্রাম নেন এবং হজের পরবর্তী কার্যক্রম সম্পন্ন করতে প্রস্তুতির অংশ হিসেবে একসঙ্গে প্রার্থনা করছিলেন।
শনিবার আরাফাতের হজের কার্যক্রম শেষে হাজিরা কয়েক কিলোমিটার (মাইল) ভ্রমণ করে মুজদালিফা নামে পরিচিত একটি স্থানে নুড়ি সংগ্রহ করবেন। এগুলো তারা মিনায় শয়তানের প্রতিনিধিত্বকারী স্তম্ভের প্রতীকী পাথরকে লক্ষ্য করে নিক্ষেপ করার জন্য ব্যবহার করবেন।
এরপরে হজযাত্রীরা তিন দিনের জন্য মিনায় ফিরে আসেন। ঈদুল আজহার উৎসবের ছুটির সঙ্গে মিলে যায়। যখন বিশ্বজুড়ে আর্থিকভাবে সক্ষম মুসলমানরা গবাদি পশু জবাই করে এবং দরিদ্র লোকদের মাঝে কিছু অংশ মাংস বিতরণ করে। অতঃপর তারা চূড়ান্ত প্রদক্ষিণ করার জন্য মক্কায় ফিরে আসে, যা বিদায় তাওয়াফ নামে পরিচিত।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, করোনাভাইরাস মহামারির কারণে তিন বছরের কঠোর বিধিনিষেধের পরে বার্ষিক হজযাত্রা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এসেছে। ২০২৩ সালে ১৮ লাখের বেশি হাজি হজ পালন করেছেন। ২০১৯ সালে এই সংখ্যা ছিল ২৪ লাখের বেশি।
আরও পড়ুন: হজের সময় সৌদি আরবে গাজা বিষয়ে ‘রাজনৈতিক স্লোগান’ নিষিদ্ধ
৪ মাস আগে
পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘর্ষ, হামাস কমান্ডার নিহত
অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষের পর হামাসের এক কমান্ডার নিহত হয়েছে।
সোমবার রাতে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে হামাস জানিয়েছে, পশ্চিম তীরে হামাসের সদর দপ্তরের কাছে রামাল্লার একটি গ্রামে ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে লড়াইয়ে কমান্ডার মোহাম্মদ জাবের আবদোসহ চারজন প্রাণ হারিয়েছেন।
আবোদা ২০ বছর ইসরায়েলের কারাগারে বন্দি ছিলেন বলে বিবৃতিতে জানানো হয়।
আরও পড়ুন: চার জিম্মিকে মুক্ত করেছে ইসরায়েল, শনিবারের হামলায় গাজায় নিহত বেড়ে ২১০
অপরদিকে, ইসরায়েলের পুলিশ ও সেনাবাহিনীর এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইহুদি বসতির কাছে ইসরায়েলে হামলায় অভিযুক্ত এক সন্দেহভাজনের অবস্থান শনাক্ত করে গুপ্ত বাহিনী। লোকটি আরও তিন সন্দেভাজনের সঙ্গে একটি ভবনে লুকিয়ে ছিল। এরইমধ্যে একটি গাড়িতে করে তারা পালিয়ে যেতে চেষ্টা করে। তখন ইসরায়েলি বাহিনী গুলি ছোড়ে। এরপর তাদের গাড়িতে অস্ত্র পাওয়া যায়।
গত ৭ অক্টোবর হামাস যোদ্ধারা ইসরায়েলের অভ্যন্তরে ঢুকে হামলা ও জিম্মির ঘটনার পর থেকে পশ্চিম তীরে সহিংসতা বেড়েছে।
শুধু এই বসতিতেই ৫৩০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। বিক্ষোভ চলাকালে কিংবা ইসরায়েলের গ্রেপ্তার অভিযানের সময় এদের বেশিরভাগের মৃত্যু হয়।
১৯৬৭ সালের লড়াইয়ে পশ্চিম তীর, গাজা ও পূর্ব জেরুজালেম দখল করে ইসরায়েল। কিন্তু ভবিষ্যৎ রাষ্ট্র গঠনে ওই তিনটি অঞ্চলই চায় ফিলিস্তিনিরা।
আরও পড়ুন: নিরাপত্তাজনিত কারণে গাজার মার্কিন জেটিতে ত্রাণ বিতরণ বন্ধ করেছে জাতিসংঘের খাদ্য সংস্থা
গত আট মাসে ইসরায়েলি হামলায় ৩৬ হাজার ৭৩০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে হামাস পরিচালিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। যুদ্ধের মধ্যে সব সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ায় খাদ্য, ওষুধ এবং অন্যান্য মৌলিক সামগ্রী গাজায় প্রবেশ করতে পারছে না। দীর্ঘদিন ধরে এমন অচলাবস্থা থাকায় উপত্যকায় দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে।
জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, জুলাইয়ের মধ্যে গাজার অন্তত ১০ লাখ মানুষ তীব্র খাবার সংকটের মুখোমুখি হবে।
৪ মাস আগে
গাজার স্কুলে ইসরায়েলের হামলা, নিহত অন্তত ৩০
হামাসের ঘাঁটি দাবি করে মধ্য গাজার একটি স্কুলে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এ ঘটনায় পাঁচ শিশুসহ অন্তত ৩০ জন নিহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ভোরে এই হামলা চালায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। জাতিসংঘের এজেন্সি দ্বারা পরিচালিত স্কুলটি শরণার্থীদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছিল।
মধ্য গাজায় নতুন করে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর বিমান ও স্থল অভিযান শুরুর ঘোষণা দেওয়ার পরই এ হামলা হলো।
আরও পড়ুন: আমাদের কিছুই নেই: হামলায় খাদ্যের সন্ধানে থাকা ফিলিস্তিনিরা
ওই স্কুলে হামলার পর ৩০টি এবং একটি বাসভনে পৃথক হামলার পর ছয়টি লাশ পেয়েছে বলে জানিয়েছে দাইর আল-বালাহর আল-আকসা শহিদ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
হাসপাতালের কাছেই আশ্রয় নেওয়া মোহাম্মদ আল-কারিম নামের বাস্তুচ্যুত এক ফিলিস্তিনি ঘটনাটিকে ‘বিপর্যয়কর’ বলে মন্তব্য করেছেন।
তিনি বলেন, হাসপাতালে একের পর এক গাড়ি আসছিল আর গাড়ি থেকে আহতদের তড়িঘড়ি করে (হাসপাতালের) জরুরি বিভাগে নেওয়া হচ্ছিল। এরপর সাদা কাফনে মোড়ানো লাশের স্তুপ থেকে স্বজনদের খুঁজতে ভিড় করে লোকজন। এক মহিলা লাশগুলোর মধ্যে তার ছেলে আছে কি না, তা দেখতে কাফন খুলতে মেডিকেলের কর্মীদের বারবার অনুরোধ করছিল।
অনলাইনে প্রকাশিত হাসপাতালের একটি ভিডিওতে দেখা যায়, আহতদের বেশ কয়েকজন হাসপাতালের মেঝেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। বর্তমানে এটি গাজার একটি সাধারণ দৃশ্য।
আরও পড়ুন: বাইডেনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে উভয়সংকটে নেতানিয়াহু
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, তাদের যুদ্ধবিমান যে স্কুলটিতে হামলা করেছে, সেটি হামাস ও ইসলামিক জিহাদ নিজেদের অপারেশনের ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করছিল। তবে এ দাবির উপযুক্ত প্রমাণ তারা দেখায়নি।
গত ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরুর পর থেকে জাতিসংঘ পরিচালিত স্কুলগুলো আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। ইসরায়েলের হামলায় এ পর্যন্ত গাজায় বসবাসরত ২৩ লাখ বাসিন্দার অধিকাংশই বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
৪ মাস আগে