ইসরায়েলি বিমান হামলায় হামাসের এক জ্যেষ্ঠ রাজনৈতিক নেতাসহ ১৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। শনিবার (২২ মার্চ) দিবাগত রাতে এই হামলা চালানো হয়েছে। নিহতদের মধ্যে কয়েকজন নারী ও শিশুও রয়েছে।
মার্কিন বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের খবর অনুসারে, মিসর সীমান্তের রাফাহ শহরের একটি অংশ থেকে লোকজনকে সরে যেতে বলেছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী।
সেখানকার তেল-সুলতান অঞ্চলে অভিযান পরিচালনার কথা বলেছে তারা। এরইমধ্যে বিমান হামলায় অঞ্চলটি ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞে পরিণত হয়েছে। গেল মে মাসে সেখানে বড় ধরনের অভিযান চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।
আরও পড়ুন: গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে জাবিতে বিক্ষোভ মিছিল
মিসর সীমান্তের এই শহরটিতে একটি কৌশলগত করিডোর ও রাফাহ ক্রোসিং রয়েছে।
মাওয়াসি এলাকায় একটি একমুখী পথ ধরে পায়ে হেঁটে লোকজনকে চলে যেতে বলা হয়েছে। মাওয়াসিতে ব্যাপক দারিদ্র্যপীড়িত শরণার্থী শিবির রয়েছে, যেখানে উল্লেখ করার মতো সরকারি সেবা নেই।
লোকজনকে চলে যেতে এই নির্দেশ নতুন করে স্থল অভিযানের আভাস দিচ্ছে কিনা; তা এখনো পরিষ্কার না।
এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র কর্নেল অভিচাই আদ্রেই বলেন, ‘তেল আল-সুলতানের এসব বসতি, তাঁবু কিংবা শারণার্থী শিবিরে থাকা বা অন্য কোনো পথ ধরে হেঁটে যাওয়ার অর্থ হচ্ছে আপনার ও আপনার পরিবারের জীবন ঝুঁকিতে ঠেলে দেওয়া।’
হামাস জানিয়েছে, মাওয়াসিতে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় স্ত্রীসহ রাজনৈতিক ব্যুরো ও ফিলিস্তিনি পার্লামেন্ট সদস্য সালাহ বারদাওয়েল নিহত হয়েছেন।
ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনটির রাজনৈতিক শাখার একটি পরিচিত মুখ হলেন সালাহ। বহুবছর ধরে তিনি সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়ে আসছিলেন।
দক্ষিণাঞ্চলীয় গাজার দুটি হাসপাতাল জানিয়েছে, কয়েকজন নারী ও শিশুসহ তারা সতেরোটি মরদেহ পেয়েছেন। তবে হামাস নেতার ও তার স্ত্রীর মরদেহ সেখানে ছিল না।
আরও পড়ুন: গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নারী ও শিশুসহ ১২ ফিলিস্তিনি নিহত
দ্য ইউরোপীয় হাসপাতাল জানিয়েছে, এসব মরদেহের মধ্যে খান ইউনিসের পাঁচটি শিশু ও তাদের বাবা-মা রয়েছেন।
এছাড়া এক নারী ও শিশুর মরদেহ পাওয়ার কথা জানিয়েছে দ্য কুয়েত হাসপাতাল।
রাফাহে হামলার পর সেখানে অ্যাম্বুলেন্স যেতে দিচ্ছে না ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট। তাদের কয়েকজন চিকিৎসকও আহত হয়েছেন।