অগ্নিসন্ত্রাস
ভোটের মাধ্যমে বিএনপি'র অগ্নিসন্ত্রাসের জবাব জনগণ দেবে: নসরুল হামিদ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচাল করতে বিএনপি অগ্নিসংযোগ ও মানুষ হত্যা করছে বলে অভিযোগ করেছেন ঢাকা-৩ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নসরুল হামিদ।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচনে না এসে তাদের জনপ্রিয়তা পরিমাপের সুযোগ হারিয়েছে। প্রকৃতপক্ষে জনসম্পৃক্ততার অভাবে তারা নির্বাচন থেকে সরে এসেছেন। এখন তারা সন্ত্রাসের মাধ্যমে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছে।’
মঙ্গলবার(১৯ ডিসেম্বর) কেরাণীগঞ্জের কোন্ডা ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের বীরবাঘাইর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উঠান বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন,‘আজ সকালে একটি ট্রেনে আগুন দিয়ে এক শিশুসহ চারজন নিরীহ মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। সাধারণ মানুষ ৭ জানুয়ারি ব্যালট বিপ্লবের মাধ্যমে এর জবাব দেবে।’
আরও পড়ুন: বুধবার সিলেট থেকে নির্বাচনী প্রচার শুরু করবেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, 'কেরাণীগঞ্জে বিএনপির অগ্নিসংযোগের ঘটনা বেশ কিছুদিন ধরেই চলছে। জনগণ তাদের প্রতিহত করেছে। এসব অগ্নিসংযোগকারীদের কোনো জনপ্রিয়তা নেই, জনভিত্তি নেই, তাই তারা জনগণের মনে ভীতি সৃষ্টির চেষ্টা করছে। যদি তাদের জনপ্রিয়তা থাকত, তাহলে তারা ভোটের মাধ্যমে নিজেদের প্রমাণ করতে পারত।’
এ সময় কেরাণীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহীন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক এম ই মামুন, কোন্ডা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: জনগণ ভোট দিয়ে নির্বাচন বর্জনকারীদের মুখে কালিমা লেপন করবে: হাছান মাহমুদ
১ বছর আগে
অগ্নিসন্ত্রাসের মাধ্যমে কিছুই অর্জন করা যায় না: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মানুষকে পুড়িয়ে মেরে কিছুই অর্জন করা যায় না। অগ্নিসংযোগকারীদের মধ্যে চেতনা ফিরে আসুক।
তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি আবারও শুরু হয়েছে অগ্নিসন্ত্রাস। কীভাবে একটা মানুষ জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মারে? এটা ভুল।’
মঙ্গলবার সশস্ত্র বাহিনী দিবস-২০২৩ উপলক্ষে ঢাকা সেনানিবাসের আর্মি মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্সে বীরত্ব পুরস্কারপ্রাপ্ত নির্বাচিত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনীর (সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী) নির্বাচিত ১১ জন সদস্যের মধ্যে অসামান্য অবদানের জন্য শান্তিকালীন পদক প্রদান করেন।
আরও পড়ুন: সশস্ত্র বাহিনী দিবস: শিখা অনির্বাণে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কিছু অর্জন করতে হলে জনগণের শক্তি প্রয়োজন, জনগণের পাশে থাকতে হবে এবং জনগণের কল্যাণে কাজ করতে হবে। জনগণের ক্ষতি করে বা মানুষকে পুড়িয়ে কিছুই অর্জন করা যায় না।
১৯৭১ সালের এই দিনে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সর্বাত্মক আক্রমণ চালায়, যা মুক্তিযুদ্ধে বিজয়কে ত্বরান্বিত করে।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে প্রতিবছর এই ঐতিহাসিক দিনটি সশস্ত্র বাহিনী দিবস হিসেবে পালিত হয়।
আরও পড়ুন: যুদ্ধের জন্য নয়, সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়ন: প্রধানমন্ত্রী
সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার সেনানিবাসে যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা
১ বছর আগে
অগ্নিসন্ত্রাস থেকে দেশরক্ষায় সাংস্কৃতিক বিপ্লবকে এগিয়ে নিতে পারে চলচ্চিত্র: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, দেশের ওপর আজ শকুনের শ্যেনদৃষ্টি পড়েছে। সেই থাবা ও অগ্নিসন্ত্রাস থেকে দেশরক্ষায় প্রয়োজন একটি সাংস্কৃতিক বিপ্লব। আর সেই বিপ্লবকে এগিয়ে নিতে পারে চলচ্চিত্র।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তৃতায় মন্ত্রী এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে ২০২২ সালে নির্মিত চলচ্চিত্রগুলো থেকে জুরি বোর্ড নির্বাচিত ২৭ ক্যাটাগরিতে পুরস্কার বিজয়ীদের হাতে তুলে দেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচন বর্জন করে বিএনপির ১৫ বছর কেটেছে, আর কত বছর কাটবে জানি না: তথ্যমন্ত্রী
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত ১৫ বছরে দেশ বদলে গেছে। আকাশ থেকে শহর চেনা যায় না; কুঁড়েঘর, মেঠোপথ আর নেই। খালি পায়ে মানুষ দেখা যায় না। আমাদের চলচ্চিত্র জগতের প্রতি আহ্বান, আপনারা এই বদলে যাওয়া বাংলাদেশকে তুলে ধরবেন।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ যেমন বদলে গেছে, চলচ্চিত্রও পিছিয়ে নেই, ঘুরে দাঁড়িয়েছে। বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক 'মুজিব: একটি জাতির রূপকার' দেশের ১৫৮টি হলে ২০০ পর্দায় চলেছে, ভারতে ৫০০ হলের ৬০০ পর্দায় মুক্তি পেয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, বিগত বছরে ঢাকার সিনেমা মুক্তি পেয়েছে বিশ্বের ২২টি দেশে। তাই শুধু দেশে নয়, বিশ্ব অঙ্গনেও সম্মানের আসন করবে আমাদের চলচ্চিত্র।
আরও পড়ুন: আন্দোলন মানে গাড়ি-ঘোড়া পোড়ানো নয়: তথ্যমন্ত্রী
ড. হাছান তার বক্তৃতায় বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, 'জাতির পিতা শেখ মুজিব শুধু স্বাধীন রাষ্ট্রই প্রতিষ্ঠা করেননি, বাঙালি শিল্প-সংস্কৃতি বিকাশেও তিনি ছিলেন সদানিবেদিত প্রাণ। বঙ্গবন্ধু ১৯৫৭ সালে প্রাদেশিক পরিষদে বিল উত্থাপনের মাধ্যমে ঢাকায় চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন প্রতিষ্ঠা করে এ দেশে সিনেমার প্রাতিষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করেন। সেই চলচ্চিত্র আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামে, মুক্তিযুদ্ধে এবং পরবর্তীতে দেশ গঠনে ভূমিকা রেখেছে।'
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চলচ্চিত্র শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করেছেন, সিনেপ্লেক্স-সিনেমা হল নির্মাণ ও সংস্কারে এক হাজার কোটি টাকার সহজতম ঋণ তহবিল গঠন করেছেন।
‘কুড়া পক্ষীর শূন্যে উড়া’ ও ‘পরাণ’ যুগ্ম শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র; চঞ্চল চৌধুরী শ্রেষ্ঠ অভিনেতা এবং জয়া আহসান ও রিকিতা নন্দিনী শিমু যৌথভাবে ২০২২ সালের শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার অর্জন করেছেন।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের এ বার্ষিক আয়োজনে মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু এমপি বিশেষ অতিথি হিসেবে এবং সিনিয়র সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার স্বাগত বক্তব্য দেন।
শেষে চলচ্চিত্র অঙ্গনের শিল্পীরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন।
আরও পড়ুন: সাধারণ মানুষ কেন বিএনপির অপরাজনীতি ও হিংস্রতার শিকার: বিএনপির কাছে তথ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন
১ বছর আগে
ঢাকা উত্তর আ.লীগের বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালিত
‘বিএনপির অগ্নিসন্ত্রাস’র বিরুদ্ধে থানায় থানায় বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে সোমবার (৩১ জুলাই) সকালে শান্তি সমাবেশ করার কথা জানালেও তা বাতিল করে এ কর্মসূচি পালন করেছে দলটি।
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান ইউএনবিকে বলেন, বিএনপির তাদের পুরোনো চরিত্রে ফিরে গেছে। আমরা ১৫০ দিন মাঠে থাকব। সেই ধারাবাহিকতায় থানায় থানায় বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি চলমান থাকবে।
আরও পড়ুন: ঢাকা-১৭ উপনির্বাচনে আ.লীগ প্রার্থী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বিজয়ী
মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক প্রলয় সমাদ্দর বাপ্পি ইউএনবিকে বলেন, এতদিন আওয়ামী লীগ কাউন্টার কর্মসূচি দেওয়াতে সমালোচনার ঝড় ছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ আগেই বুঝতে পেরেছিল তাদের মাঠ খালি করে দিলে যেকোনো সময় ঢাকা শহর দখলে নেওয়ার চেষ্টা করবে এবং ক্ষতি করবে। শেষ পর্যন্ত বিএনপি তাই করেছে।
১ বছর আগে
অগ্নিসন্ত্রাসের হুকুমদাতা বিএনপি নেতাদের বিচার ও রাজনীতি থেকে বিদায়ই আজ জনগণের দাবি: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, রাজনীতির নামে মানুষকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যাকারীদের রাজনীতি থেকে বিদায় দেয়া এবং অগ্নিসন্ত্রাসীদের সঙ্গে তাদের হুকুমদাতাদেরও বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোই আজ দেশের মানুষের একদফা দাবি।
তিনি বলেন, 'আজকে এই পোড়া মানুষগুলোর, জীবন্ত দগ্ধ হয়ে মৃতদের স্বজনদের অসহনীয় জীবনের জন্য দায়ী বিএনপি-জামাতের নেতারা। বেগম খালেদা জিয়া-তারেক রহমানের নির্দেশে এবং ফখরুল-রিজভী-আব্বাস-খন্দকার মোশাররফ সাহেব যারা বড়গলায় কথা বলেন, তাদের পরিচালনায় ও অর্থায়নে দেশে অগ্নিসন্ত্রাস করা হয়েছে।'
শনিবার দুপুরে রাজধানীতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে 'অগ্নি-সন্ত্রাসের আর্তনাদ' সংগঠন আয়োজিত 'বিএনপি-জামাত কর্তৃক মানবাধিকার লঙ্ঘন, মানুষ পোড়ানো, অগ্নিসন্ত্রাসী ও হুকুমদাতাদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন' শীর্ষক পোড়া মানুষের আহাজারিপূর্ণ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে অভিযোজন এবারের কপ-২৭ আলোচনার মূল ফোকাস: তথ্যমন্ত্রী
অগ্নিসন্ত্রাসের ভয়াবহতা তুলে ধরে ড. হাছান বলেন, 'পাঁচ শতাধিক নিরীহ মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে, ৫০ জনের বেশি পরিবহন চালক-শ্রমিককে হত্যা করা হয়েছে, তিন হাজারের বেশি মানুষকে অগ্নিদগ্ধ করা হয়েছে, সাড়ে তিন হাজার গাড়ি পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে, বাসে-ট্রেনে-লঞ্চে আগুন দেয়া হয়েছে। তাদের এই প্রতিহিংসার আগুন থেকে পশুপাখি-গাছপালাও রক্ষা পায়নি।'
এছাড়া বিএনপি-জামাত তাই মানুষের শত্রু, পশুপাখির শত্রু, প্রকৃতির শত্রু, এরা অগ্নিসন্ত্রাসী, এরা মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী।
১০ ডিসেম্বর বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে বিএনপির উদ্দেশ্যে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, 'তারা আজ মানবাধিকারের কথা বলে অথচ বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান থেকে শুরু করে খালেদা জিয়া এবং আজকের মির্জা ফখরুল সাহেবরাই বাংলাদেশে মানবাধিকারের চরম লংঘন ঘটিয়েছে।
জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে রক্তের ওপর পাড়া দিয়ে ক্ষমতা দখল করেছিল এবং সেই ক্ষমতায় টিকে থাকতে শতশত সেনা অফিসার ও জওয়ানকে হত্যা করেছে।
এছাড়া আওয়ামী লীগের ২২ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। আর খালেদা জিয়া, তারেক রহমান অবৈধ পথে ক্ষমতায় যাওয়ার লিপ্সায় হাজার হাজার মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে হতাহত করেছে।
এ সবই আমরা বিশ্ব অঙ্গনে নিয়ে যাবো।
এসময় পেট্রোলবোমায় চৌদ্দগ্রামে দগ্ধমৃত মোহাম্মদ ইউসুফের সন্তান জাহেদুল ইসলাম, গাজীপুর চৌরাস্তায় দগ্ধমৃত কাভার্ড ভ্যান চালকের বাবা মো. রমজান, শাহবাগে দগ্ধমৃত নাহিদের মা রুনি বেগম, ঠাকুরগাঁওয়ে অগ্নিদগ্ধ রফিকুল ইসলাম, রাজশাহীতে কর্মরত অবস্থায় অগ্নিদগ্ধ সাব ইন্সপেক্টর জাহাঙ্গীর, যাত্রাবাড়ীতে সম্পূর্ণ মুখমন্ডল ও শরীর ঝলসে যাওয়া সালাহউদ্দিন ভূঁইয়াসহ প্রায় অর্ধশতাধিক পেট্রোলবোমার শিকার ও তাদের স্বজনরা বক্তব্য দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
তাদের বিলাপ ও আহাজারিতে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণের বাতাস ভারী হয়ে ওঠে।
'অগ্নি-সন্ত্রাসের আর্তনাদ' আহ্বায়ক শাহাদাত হোসেন বাবুলের সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান, সংস্কৃতি সম্পাদক অসীম কুমার উকিল এমপি, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. মুহাম্মদ সামাদ, ব্যারিস্টার সাঈদুল হক সুমন, মোটরচালক শ্রমিক লীগ নেতা আলী হোসেন, সংস্কৃতিব্যক্তিত্ব অরুণ সরকার রানা, আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটির সদস্য মোহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম রাসেল প্রমুখ সমাবেশে বক্তব্য দেন।
বক্তারা বলেন, 'মানুষ আর অগ্নিসন্ত্রাস চায় না। রাজাকার-আলবদর নিয়ে জাতীয় সরকার করতে চাওয়া বিএনপিকে শুধু প্রতিহত করলেই হবে না, দেশের রাজনীতি থেকে তাদেরকে চিরতরে নিষিদ্ধ করতে হবে।'
আরও পড়ুন: তথ্যমন্ত্রী সম্পর্কে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা
কপ-২৭ সম্মেলনে লস এন্ড ড্যামেজ স্বীকৃতি পেয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
২ বছর আগে
অগ্নিসন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িতদের কোনো স্থান নেই: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি এখন নির্বিঘ্নে রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতে পারলেও, অগ্নিসংযোগ করে যারা জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করেছে তাদের গ্রেপ্তার করে উপযুক্ত শাস্তি দেয়া হবে।
তিনি বলেন, ‘যেহেতু আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি, তাই বিএনপি এখন নির্বিঘ্নে সভা-সমাবেশ, মিছিলসহ সব কর্মসূচি আয়োজন করতে পারে। তবে এ ধরনের হত্যাকাণ্ড, অগ্নিসংযোগ ও জঙ্গিবাদের সঙ্গে জড়িত আসামিদের গ্রেপ্তার করে উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে। কারণ, তারা মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে এবং মানুষকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করেছে।’
শুক্রবার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারি বাসভবন গণভবনে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে সভাপতিত্বকালে এসব কথা বলেন।
২০১৩-২০১৫ সালে বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসংযোগ সহিংসতার উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা মানুষকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করেছে; ট্রেন, বাস, লঞ্চ এমনকি সিএনজি চালিত অটোরিকশাসহ সর্বত্র অগ্নিসংযোগ করেছে।
তিনি বলেন, অপরাধীরা আত্মগোপন করেছে, কিন্তু বিএনপি রাজপথে আন্দোলন করছে বলে তারা এখন বেরিয়ে আসবে।
আরও পড়ুন: দাম নিয়ন্ত্রণে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়
শেখ হাসিনা বলেন, ‘তারা জনগণকে নির্যাতন করেছে। তাদের জন্য কোন জায়গা থাকবে না। আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। আইন সবার জন্য সমান।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, এদেশে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের রাজনীতির কোনো স্থান থাকবে না। ‘আমরা এর অনুমতি দেব না।’
শেখ হাসিনা বলেন, তার দল জনগণের জন্য কাজ করে, তাদের মন জয় করে ক্ষমতায় এসেছে এবং এখনও জনগণের আস্থা রাখতে সক্ষম হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা জনগণের ভোট ও আস্থা নিয়ে ক্ষমতায় এসেছি। আমরা গত ১৪ বছর ধরে এই দেশের জনগণের আস্থা ধরে রেখেছি। বরং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এই সময়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।’
এই অর্জন ধরে রেখে তার দলের নেতাকর্মীদের তিনি সামনে এগিয়ে যেতে বলেন।
তিনি বলেন, যারা সন্ত্রাসী, খুনি, ১০ ট্রাক অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনার অপরাধী, গ্রেনেড হামলাকারী এবং যারা ৬৩টি জেলায় একযোগে বোমা হামলা চালিয়েছে তাদের জনগণ বিশ্বাস করে না।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ কখনই তাদের পাশে দাঁড়াবে না এবং তাদের ভোটও দেবে না।’
পায়রা সমুদ্রবন্দর নির্মাণের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের বৈদেশিক রিজার্ভের অর্থে গঠিত বাংলাদেশ অবকাঠামো উন্নয়ন তহবিলের নিজস্ব অর্থে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়কে ২ শতাংশ সার্ভিস চার্জে টাকা দেয়া হয়েছে এবং ২ শতাংশ সুদে টাকা ফেরত দেয়া হবে। সুতরাং, এটি রিজার্ভকে প্রভাবিত করবে না বরং এটি থেকে লাভও হবে।
আরও পড়ুন: রূপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিটের চুল্লি বসছে বুধবার, উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
জ্বালানি সংকট সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে কীভাবে ঘাটতি মেটাতে জ্বালানি আমদানি করা যায় সে বিষয়ে সরকার পদক্ষেপ নিচ্ছে।
খাদ্য আমদানিকারকদের সঙ্গে সম্প্রতি এক বৈঠকে তিনি ব্যবসায়ীদের স্পষ্টভাবে বলেন, সরকার যদি আন্তর্জাতিক দামে জ্বালানি কিনতে প্রস্তুত হয়, তবে তা আমদানি করতে পারে।
তিনি তাদের বলেন, এখানে অতিরিক্ত ভর্তুকি দেয়ার ক্ষমতা সরকারের নেই ।কারণ খাদ্য ক্রয়ের জন্য ভর্তুকি হিসাবে ৪৬ হাজার কোটি টাকা দিতে হবে। এখন কৃষি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ভর্তুকি দেয়ার জন্য প্রায় ৮৬ হাজার কোটি টাকার প্রয়োজন। সরকার দেশে সৌরশক্তি বাড়ানোর ব্যবস্থা নিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আ.লীগ নেতাকর্মীদের তার সরকারের সাফল্য ও অর্জন, উন্নয়ন পরিকল্পনা এবং বিএনপি সরকারের দুঃশাসন জনগণের সামনে তুলে ধরতে বলেছেন।
সংকটের মধ্যে আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক কাউন্সিল সহজভাবে অনুষ্ঠিত হবে:
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগই সম্ভবত একমাত্র দল যারা তার সনদ অনুসরণ করে নিয়মিত কাউন্সিল আয়োজনের পাশাপাশি জনগণের জন্য কাজ করে।
তিনি বলেন, আগামী ডিসেম্বরে আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে এবং শুক্রবারের সভায় কাউন্সিল বাস্তবায়নের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হবে।
আ.লীগ সভাপতি বলেন, অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে কঠোর পরিশ্রমের অংশ হিসেবে স্বল্প বাজেটে এ বছর কাউন্সিল হবে সহজ পদ্ধতিতে।
আরও পড়ুন: অস্ত্রব্যয়ের একটি অংশ খাদ্য উৎপাদনে দিলে, কেউ ক্ষুধার্ত থাকবে না: প্রধানমন্ত্রী
২ বছর আগে