জি-২০ সম্মেলন
জি-২০ সম্মেলনে শেখ হাসিনার সঙ্গে বাইডেনের সেলফি
নয়াদিল্লির প্রগতি ময়দানে ভারত মণ্ডপম কনভেনশন সেন্টারে চলমান জি-২০ সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সেলফি তুলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
অটিজম ও নিউরো ডেভেলপমেন্টাল ডিসঅর্ডার বিষয়ক জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারপার্সন এবং ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের থিমেটিক অ্যাম্বাসেডর শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদও ছবিটিতে ছিলেন।
শনিবার প্রধানমন্ত্রী সম্মেলনে বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে যোগ দেন।
শেখ হাসিনা ও জো বাইডেন প্রগতি ময়দানে ভারত মণ্ডপম আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী কেন্দ্রে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
আরও পড়ুন: সিপিএ নিয়ে আলোচনা করতে আগ্রহী শেখ হাসিনা-মোদি
অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার করতে রবিবার ঢাকায় আসছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ
১ বছর আগে
অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার করতে রবিবার ঢাকায় আসছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ দ্বিপক্ষীয় সফরে রবিবার সন্ধ্যায় ঢাকায় পৌঁছালে তাকে লাল গালিচায় স্বাগত জানাবে বাংলাদেশ।
নয়াদিল্লিতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণ শেষে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ঢাকায় আসছেন।
শনিবার এক কর্মকর্তা ইউএনবিকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে জি-২০ সফর শেষে বিকাল সাড়ে ৩টায় দেশে ফেরার কথা রয়েছে এবং সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁকে অভ্যর্থনা জানাবেন।
১৯৯০ সালের ২২ থেকে ২৪ ফেব্রুয়ারি ফ্রান্সের সাবেক প্রেসিডেন্ট মিত্রান্দের বাংলাদেশ সফরের পর ম্যাক্রোঁই প্রথম নেতা যিনি বাংলাদেশ সফর করছেন।
প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ সোমবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শেখ হাসিনার সঙ্গে একটি শীর্ষ বৈঠক করবেন। এর আগে রবিবার সন্ধ্যায় অতিথির সম্মানে প্রধানমন্ত্রী আয়োজিত ভোজসভায় যোগ দেবেন তিনি।
উভয় নেতা কয়েকটি দ্বিপক্ষীয় চুক্তি সই এবং একটি যৌথ সংবাদ সম্মেলন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
সোমবার সকালে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন ম্যাক্রোঁ।
ঢাকায় ফ্রান্সের দূতাবাস বলেছে, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে বিশেষ করে ফ্রান্সের প্রযুক্তি ও জ্ঞান-বিজ্ঞানের ওপর ভিত্তি করে ব্যবসা সম্প্রসারণে উভয় পক্ষের ক্রমবর্ধমান আগ্রহ দেখে আমরা রোমাঞ্চিত।’
ফ্রান্সের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর এই সফর দু'দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার করতে কিছু প্রকল্প বাস্তবায়নের সুযোগ হবে।
আরও পড়ুন: আলোচনার মাধ্যমে অমীমাংসিত দ্বিপক্ষীয় সমস্যা সমাধানে একমত হাসিনা-মোদি
১৯৯০ সালের শুরু থেকে উভয় দেশের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্ক অনেক দূর এগিয়েছে।
বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের মধ্যে মোট বাণিজ্য ২১০ মিলিয়ন ইউরো থেকে ৪ দশমিক ৯ বিলিয়ন ইউরোতে উন্নীত হয়েছে এবং ফ্রান্স রপ্তানির ক্ষেত্রে পঞ্চম দেশ।
ফরাসি কোম্পানিগুলো এখন প্রকৌশল, জ্বালানি, মহাকাশ ও পানি খাতসহ বিভিন্ন খাতের সঙ্গে জড়িত।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, বাংলাদেশ ও ফ্রান্স সরকার আন্তরিকভাবে আশা করছে- ফরাসি প্রেসিডেন্টের বাংলাদেশ সফর দু'দেশের মধ্যকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে।
ফরাসি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে থাকবেন ইউরোপ ও পররাষ্ট্রবিষয়ক মন্ত্রী ক্যাথরিন কোলোনা।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর আমন্ত্রণে ২০২১ সালের নভেম্বরে ফ্রান্স সফর করেন শেখ হাসিনা।
ফ্রান্স এই সফরকে দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে গভীর করার সুযোগ হিসেবে দেখছে।
ফরাসি সরকার সোমবার এই সফরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। একই সঙ্গে তারা বলে, বাংলাদেশ এমন একটি দেশ যেটি 'দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করছে এবং অংশীদারিত্বে বৈচিত্র্য আনতে চায়'।
আরও পড়ুন: সিপিএ নিয়ে আলোচনা করতে আগ্রহী শেখ হাসিনা-মোদি
তারা আরও বলেছে, ‘বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশ ও ফ্রান্স দারুণ একতা দেখিয়ে থাকে, বিশেষ করে প্যারিস এজেন্ডা ফর পিপলস অ্যান্ড দ্য প্ল্যানেটের কাঠামোয়। যা বাংলাদেশ সক্রিয়ভাবে সমর্থন করে।’
যেহেতু বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে রয়েছে, তাই প্রেসিডেন্ট মানবিক দিক বিবেচনায়, বিশেষত নিয়মিত বন্যার সম্মুখীন হওয়ায় দেশটির পাশে দাঁড়াতে ফ্রান্সের দৃঢ় সংকল্পের কথা বলবেন।
শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সংহতি কার্যক্রমে বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ অবদানকারী দেশ।
চলতি গ্রীষ্মে প্যারিসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে স্বাগত জানানো এবং পাপুয়া নিউ গিনি, ভানুয়াতু ও শ্রীলঙ্গা সফরের পর ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে ফরাসি কৌশলের প্রয়োগ বাংলাদেশে অব্যাহত রাখবেন প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, বাংলাদেশ ও ফ্রান্স জলবায়ু পরিবর্তন ও নিয়ন্ত্রিত অভিবাসনের মতো বিষয় নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোর উপায় নিয়ে আলোচনা করবে।
বাংলাদেশ ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি উত্থাপন করবে এবং প্রাসঙ্গিক তহবিলকে ব্যাপকভাবে কার্যকর করবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘নারীর ক্ষমতায়ন, ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং নিয়ন্ত্রিত অভিবাসন- এগুলো স্বাভাবিক বিষয়। জলবায়ু পরিবর্তন একটি বড় সমস্যা। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নেতৃত্বের ভূমিকা নিয়েছেন।’
ফরাসি প্রেসিডেন্টের সোমবার দুপুর ২টায় ঢাকা ত্যাগের কথা রয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বিমানবন্দরে তাকে বিদায় জানাবেন।
আরও পড়ুন: নয়াদিল্লিতে জি-২০ সম্মেলন: বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
১ বছর আগে
জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতে নয়াদিল্লি পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে শুক্রবার নয়াদিল্লি পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইট স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টা ১০ মিনিট) ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
এর আগে বেলা ১১টায় বিমানটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে। বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানা তার বড় বোন শেখ হাসিনার সফরসঙ্গী হিসেবে রয়েছেন।
নয়াদিল্লিতে পৌঁছানোর কয়েক ঘণ্টা পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুক্রবার সন্ধ্যায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে তিনটি সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বিকাল সাড়ে ৫টা থেকে ৭টা পর্যন্ত বৈঠকের জন্য তার ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, বৈঠকে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপক্ষীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের আগে কৃষি গবেষণা, সাংস্কৃতিক বিনিময় কর্মসূচি এবং বাংলাদেশ ও ভারতীয় রুপির (দুই দেশের সাধারণ মানুষের) মধ্যে লেনদেন সহজীকরণ বিষয়ে ৩টি সমঝোতা স্মারক সই হবে বলে আশা করা হচ্ছে।’
৩ দিনের সফরে প্রধানমন্ত্রী শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) নয়াদিল্লির প্রগতি ময়দানের ভারত মণ্ডপম সেন্টারে 'এক পৃথিবী, এক পরিবার ও এক ভবিষ্যৎ' প্রতিপাদ্য নিয়ে শুরু হতে যাওয়া জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের দুটি অধিবেশনে ভাষণ দেবেন।
আরও পড়ুন: জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতে নয়াদিল্লির উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ প্রধানমন্ত্রীর
তিনি গ্লোবাল সাউথে জলবায়ু পরিবর্তন, কোভিড-১৯ পরবর্তী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার এবং ইউরোপে চলমান যুদ্ধের কারণে জ্বালানি, খাদ্য ও সার এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বৈশ্বিক সরবরাহ ব্যাহত হওয়ার মতো বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের বিষয়ে আলোকপাত করবেন। তিনি সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী বিশ্ব নেতৃবৃন্দের কাছে বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবিশ্বাস্য সাফল্যের অভিজ্ঞতা তুলে ধরবেন।
মোমেন বলেন, সম্মেলনের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী শনিবার সফররত আরও ৪ থেকে ৫ নেতার সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, সৌদি ক্রাউন প্রিন্স ও প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমান বিন আবদুল আজিজ, আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো অ্যাঞ্জেল ফার্নান্দেজ, সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান এবং কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে।
৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিতব্য জি-২০ সম্মেলনে বাংলাদেশসহ ৯টি দেশকে অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানিয়েছে ভারত। ভারত সম্মেলনটির সভাপতি দেশ। জি-২০ হচ্ছে ১৯টি দেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সমন্বয়ে গঠিত একটি আন্তঃসরকারি ফোরাম।
১০ সেপ্টেম্বর (রবিবার) দুপুর সাড়ে ১২টায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে দেশের উদ্দেশে নয়াদিল্লি ত্যাগ করবেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: আলোচনার মাধ্যমে ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান করুন: রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে
জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতে নয়াদিল্লির উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ প্রধানমন্ত্রীর
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে শুক্রবার ঢাকা ত্যাগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইট বেলা ১১টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
ফ্লাইটটি স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ১৫ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টা ৪৫ মিনিট) নয়াদিল্লির পালাম বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে।
নয়াদিল্লিতে পৌঁছানোর কয়েক ঘণ্টা পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুক্রবার সন্ধ্যায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে তিনটি সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বিকাল সাড়ে ৫টা থেকে ৭টা পর্যন্ত বৈঠকের জন্য তার ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, বৈঠকে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপক্ষীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের আগে কৃষি গবেষণা, সাংস্কৃতিক বিনিময় কর্মসূচি এবং বাংলাদেশ ও ভারতীয় রুপির (দুই দেশের সাধারণ মানুষের) মধ্যে লেনদেন সহজীকরণ বিষয়ে ৩টি সমঝোতা স্মারক সই হবে বলে আশা করা হচ্ছে।’
৩ দিনের সফরে প্রধানমন্ত্রী শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) নয়াদিল্লির প্রগতি ময়দানের ভারত মণ্ডপম সেন্টারে 'এক পৃথিবী, এক পরিবার ও এক ভবিষ্যৎ' প্রতিপাদ্য নিয়ে শুরু হতে যাওয়া জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের দুটি অধিবেশনে ভাষণ দেবেন।
তিনি গ্লোবাল সাউথে জলবায়ু পরিবর্তন, কোভিড-১৯ পরবর্তী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার এবং ইউরোপে চলমান যুদ্ধের কারণে জ্বালানি, খাদ্য ও সার এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বৈশ্বিক সরবরাহ ব্যাহত হওয়ার মতো বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের বিষয়ে আলোকপাত করবেন। তিনি সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী বিশ্ব নেতৃবৃন্দের কাছে বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবিশ্বাস্য সাফল্যের অভিজ্ঞতা তুলে ধরবেন।
আরও পড়ুন: সংখ্যালঘু বলে নিজেদের অবজ্ঞা করবেন না: হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
মোমেন বলেন, সম্মেলনের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী শনিবার সফররত আরও ৪ থেকে ৫ নেতার সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, সৌদি ক্রাউন প্রিন্স ও প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমান বিন আবদুল আজিজ, আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো অ্যাঞ্জেল ফার্নান্দেজ, সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান এবং কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে।
৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিতব্য জি-২০ সম্মেলনে বাংলাদেশসহ ৯টি দেশকে অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানিয়েছে ভারত। ভারত সম্মেলনটির সভাপতি দেশ। জি-২০ হচ্ছে ১৯টি দেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সমন্বয়ে গঠিত একটি আন্তঃসরকারি ফোরাম।
১০ সেপ্টেম্বর (রবিবার) দুপুর সাড়ে ১২টায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে দেশের উদ্দেশে নয়াদিল্লি ত্যাগ করবেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: কৃষি গবেষণায় সহযোগিতা করতে পারে ঢাকা-ইসলামাবাদ: পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূতকে প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে
জি-২০ সম্মেলনে পারস্পরিক সহযোগিতার আহ্বান পলকের
জি-২০ জোটভুক্ত প্রত্যেক দেশের সমান অংশীদারিত্ব অটুট রাখতে প্রতিযোগিতার পরিবর্তে পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে সহযাত্রী হিসেবে একসঙ্গে এগিয়ে যেতে সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
শনিবার (১৯ আগস্ট) ভারতের ব্যাঙ্গালুরুতে ফোরাম জি-২০ আয়োজিত ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার (ডিপিআই) শীর্ষক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: প্রযুক্তিগত ত্রুটি ও সিইআরটি নির্দেশনা না মানায় সরকারি ওয়েবসাইটের তথ্য ফাঁস: পলক
ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচারের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভারত অনেক উন্নত উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল জন অবকাঠামো উন্নয়নে ভারতের ব্যবহৃত টুলগুলো ব্যবহার করতে বাংলাদেশ আগ্রহী।
তিনি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে স্মার্ট অর্থনীতি ও স্মার্ট সমাজ বিনির্মাণে এনপিসিআই, আরবিআই, ই-গভ ফাউন্ডেশন একটেক এবং অন্তর্ভূক্তিমূলক প্রযুক্তির মাধ্যমে ক্ষমতায়নের বিষয়ে একটি নতুন প্রকল্প নিয়ে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে বৈঠকের কথা তুলে ধরেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশও ডিজিটাল অর্থনীতি ও সমাজ গড়ে তুলতে ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্টাকচার অথবা ডিপিআই-কে সক্ষমতার চাবিকাঠি হিসেবে ব্যবহার করছে।
তিনি আরও বলেন, গত ১৪ বছরে ডিজিটাল অবকাঠামো উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এরই মধ্যে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য সফলতা অর্জন করেছে।
তিনি বলেন, সুলভ ও সহজলভ্য ইন্টারনেট, ডিজিটাল যাচাইযোগ্য পেমেন্ট প্লাটফর্ম, স্মার্ট ভেরিফাইয়েবল আইডি এবং বাংলাদেশ ন্যাশনাল ডিজিটাল আর্কিটেকচার নিশ্চিত করা হয়েছে। ইন্টারনেট ব্যবহারে নাগরিক সচেতনতা তৈরি করায় দেশে এখন ১৩ লাখ মানুষ ইন্টারনেট সংযুক্ত।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, লক্ষাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ৮০ হাজার সরকারি অফিসে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে ৫২ হাজার ওয়েবসাইট তৈরি এবং একটি মাত্র মোবাইল অ্যাপ থেকে এসব সেবা মিলছে। এ ছাড়াও ১২ কোটি স্মার্ট আইডি কার্ডধারী সরকারের ৮৩ ধরনের সেবা পাচ্ছে।
পলক বলেন, ২০১০ সালে প্রধানমন্ত্রী ন্যাশনাল পেমেন্ট সুইচ স্থাপনের সিদ্ধান্ত দেওয়ার পর এখন দেশে ৭১ মিলিয়ন মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল ওয়ালেট সৃষ্টি হয়েছে। একইভাবে আন্তঃলেনদেনের প্লাটফর্ম ‘বিনিময়’ স্থাপনের পর এখন সব ধরনের পেমেন্ট গেটওয়ে ও অ্যাকাউন্টের মধ্যে আন্তঃলেনদেন ব্যবস্থা গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দেশের সব সরকারি সংস্থা এখন ন্যাশনাল ডিজিটাল আর্কিটেকচার অনুসরণ করে সংশ্লিষ্ট প্লাটফর্ম ‘মিয়াবাস’ব্যবহার করছে।
আরও পড়ুন: জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির দোয়ার আয়োজন
১ বছর আগে
জি-২০ সম্মেলন: পুতিন ও এমবিএসের সঙ্গে সাক্ষাত হতে পারে বাইডেনের
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আগামী মাসে এক সপ্তাহে তিনটি দেশ সফর করবেন। তিনি একটি সম্মেলনের চতুর্থভাগে যোগ দেবেন। এসময় তিনি সম্ভাব্যভাবে চীনের শি জিনপিং এবং রাশিয়ার ভ্লাদিমির পুতিনের মতো বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি কারিন জিন-পিয়ের শুক্রবার জানিয়েছেন, বাইডেন দক্ষিণ-পূর্বের ইউএস-আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিতে কম্বোডিয়ার নমপেনে যাওয়ার আগে ১১ নভেম্বর প্রথম কপ-২৭ জলবায়ু সম্মেলনের জন্য মিশরের শার্ম আল-শেখ যাবেন। পরে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার নেতাদের আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেবেন। এরপর তিনি বিশ্বের বেশিরভাগ বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের নেতাদের একটি সমাবেশ গ্রুপ অব-২০ শীর্ষ সম্মেলনের জন্য ইন্দোনেশিয়ার বালিতে যাবেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মধ্যবর্তী নির্বাচনের মাত্র কয়েক দিন পরে প্রেসিডেন্টের বিদেশ ভ্রমণ শুরু হবে। যেটি নির্ধারণ করবে কোন দল হাউস এবং সিনেট নিয়ন্ত্রণ করবে।
বাইডেন জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করলে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
একইসঙ্গে ধারণা করা হচ্ছে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের (এমবিএস) সঙ্গেও তিনি মিলিত হতে পারেন।
আরও পড়ুন: জর্জিয়ায় জিতলেন জো বাইডেন
তবে পুতিন, শি এবং এমবিএস এখনও তাদের ভ্রমণ পরিকল্পনা ঘোষণা করেননি।
বাইডেন এবং শি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনে একসঙ্গে ভ্রমণ করেছিলেন যখন উভয়ই ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন। ২০২১ সালের জানুয়ারিতে বাইডেন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে বেশ কয়েকবার তিনি আমন্ত্রণ পেয়েছেন৷ কিন্তু মার্কিন ও চীনের মধ্যে সম্পর্ক ক্রমশ তিক্ত হয়ে উঠেছে৷
যুক্তরাষ্টের প্রেসিডেন্ট উইঘুর এবং অন্যান্য জাতিগত সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য চীনকে দায়ী করেছেন। এছাড়াও হংকংয়ে গণতন্ত্রপন্থীদের কণ্ঠস্বর রোধ করা, জবরদস্তিমূলক বাণিজ্যের অনুশীলন, গণতান্ত্রিক, স্বশাসিত তাইওয়ানের বিরুদ্ধে তার সামরিক উস্কানি এবং ইউক্রেনের বিরুদ্ধে আট মাস ধরে চলমান যুদ্ধের জন্য রাশিয়ার বিচারের বিষয়ে মতপার্থক্য রয়েছে।
এদিকে, চীনের প্রেসিডেন্ট শির সরকার তাইওয়ানের প্রতি বাইডেন প্রশাসনের নীতির সমালোচনা করেছে। এবং বেইজিং শেষ পর্যন্ত চীনের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে ক্ষুণ্ন করার নামান্তর উল্লেখ করে তাইওয়ানকে কমিউনিস্ট মূল ভূখণ্ড চীনের সঙ্গে একত্রিত করতে উৎসাহিত করেছে।
হোয়াইট হাউস ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি এই সপ্তাহের শুরুতে বলেছিলেন যে মার্কিন ও চীনের কর্মকর্তারা নেতাদের একটি বৈঠকের ব্যবস্থা করার জন্য কাজ করছেন। তবে এটি এখনও নিশ্চিত করা যায়নি।
বুধবার প্রতিরক্ষা বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের শুরুতে বাইডেন ‘চীনের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান তীব্র প্রতিযোগিতা পরিচালনা করার দায়িত্ব’-এর ওপর জোর দিয়েছিলেন।
বাইডেন বলেন, ‘যেমনটি আমি বলেছি, আমাদের যে সামরিক সুবিধা তা আমাদের অবশ্যই বজায় রাখতে হবে। তবে আমরা এটি স্পষ্ট করছি যে আমরা সংঘাত চাই না।’
বাইডেন পুতিন বা এমবিএসের সঙ্গে একের পর এক বৈঠক করবেন এমন সম্ভাবনা কম।
বাইডেন প্রশাসন ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পর মস্কোর উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সংগঠিত করেছে। যুদ্ধ দ্বারা প্রভাবিত ইউক্রেন ও এর প্রতিবেশীদের সহায়তার জন্য ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি অর্থনৈতিক ও সামরিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
রাশিয়া ইউক্রেনের সীমান্তে সেনা মোতায়েন শুরু করার কয়েক মাস আগে বাইডেন এবং পুতিন ২০২১ সালের জুনে সুইজারল্যান্ডের জেনেভাতে মুখোমুখি বৈঠক করেছিলেন। তারা ফেব্রুয়ারিতে ফোনে শেষ কথা বলেছিল, বাইডেন পুতিনকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে রাশিয়া আক্রমণের জন্য অগ্রসর হলে ‘গুরুতর মূল্যের’ সম্মুখীন হবে।
চলতি মাসের শুরুর দিকে বাইডেন ঘোষণা করেছিলেন যে রিয়াদের নেতৃত্বাধীন ওপেক + জোট তেল উৎপাদন কমানোর পদক্ষেপ নেয়ার পরে সৌদি আরবের জন্য ‘পরিণাম’ ভোগ করতে হবে। হোয়াইট হাউস আরও বলেছে যে এটি তেল উৎপাদন হ্রাসের আলোকে রাজ্যের সঙ্গে তার সম্পর্কের পুনর্মূল্যায়ন করছে যে হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারা বলছেন যে রাশিয়া, অপর ওপেক + সদস্য, ইউক্রেনে প্রায় আট মাসের যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার কারণে রাশিয়াকে সাহায্য করবে।
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস ১৮ থেকে ১৯ নভেম্বর এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশন লিডারদের বৈঠকে যোগদানের জন্য থাইল্যান্ডের ব্যাংককে আলাদাভাবে ভ্রমণ করবেন। তারপরে ফিলিপাইনের ম্যানিলা যাবেন।
আরও পড়ুন: ট্রাম্পের পরাজয় স্বীকার না করা 'বিব্রতকর': জো বাইডেন
প্রথমেই যেসব পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছেন জো বাইডেন
২ বছর আগে