বিত্তশালী
শুধু বিত্তশালী নয়, রিকশাচালক-দিনমজুররাও ফ্ল্যাটে থাকবে: প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশে অন্তর্ভুক্তিমূলক আবাসন উন্নয়নের আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শুধু ধনীদের ফ্ল্যাটে থাকলেই চলবে না, বরং রিকশাচালক, দিনমজুর এবং সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষও থাকবে।
শনিবার (১১ মে) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশের (আইইবি) ৬১তম কনভেনশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ অভিমত ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এসময় ঝাড়ুদার, হরিজন ও দলিতদের মতো ঐতিহ্যগতভাবে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীসহ বস্তিবাসী এবং নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীর জন্য ফ্ল্যাট প্রদানের লক্ষ্যে চলমান সরকারি উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি উল্লেখ করেন, এসব সম্প্রদায়ের লোকদের সাশ্রয়ী মূল্যে স্বাস্থ্যকর, মর্যাদাপূর্ণ জীবনযাপন করতে সক্ষম করার জন্য নির্মাণ প্রকল্পগুলো ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে।
আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য ঘর নির্মাণের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২১ জেলার ৩৩৪টি উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সরকারি কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে অন্তর্ভুক্তির আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
তিনি বলেন, 'বাংলাদেশের একটি পরিবারও ভূমিহীন বা গৃহহীন থাকবে না, এটাই আমাদের লক্ষ্য।’
প্রধানমন্ত্রী জাতি গঠনে জনগণের বুদ্ধিবৃত্তিক শক্তিকে কাজে লাগানোর কথাও বলেন। পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে এগিয়ে আনতে উপগ্রহ ও পারমাণবিক শক্তির মতো আধুনিক প্রযুক্তি গ্রহণের গুরুত্বের ওপর জোর দেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কোন দল কী বলল তাতে কিছু যায় আসে না। আমার চিন্তা হচ্ছে আমার দেশের মানুষ ভালো থাকছে কি না, তারা উন্নতি করছে কি না, তাদের ভাগ্য বদলাচ্ছে কি না।’
শেখ হাসিনা তার বক্তব্যে মাথাপিছু আয় এবং তৃণমূল জনগণের ক্রয় ক্ষমতার উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধিসহ বিগত ১৫ বছরে তার প্রশাসনের উন্নয়ন অর্জনসমূহ তুলে ধরেন।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় সব বাংলাদেশির জীবনমান উন্নয়ন এবং দেশের উন্নয়ন কর্মসূচিকে এগিয়ে নিতে তার সরকারের অব্যাহত নিষ্ঠার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: দেশ ও জনগণের কল্যাণে আসে না এমন কোনো প্রকল্প অনুমোদন দেব না: প্রধানমন্ত্রী
৬ মাস আগে
অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য বিত্তশালীদের প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমাজের বিত্তশালী অংশকে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন, কারণ তার সরকার দেশের সব গৃহহীন মানুষের জন্য ঘরের ব্যবস্থা করতে কাজ করছে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে একজন মানুষও ভূমিহীন ও গৃহহীন থাকবে না। এটি আমাদের লক্ষ্য।’
রবিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের (বিএবি) প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ন্যায্য ও গ্রহণযোগ্য অর্থনৈতিক ব্যবস্থার জন্য সম্মিলিত কাজ করুন: গ্লোবাল সাউথ সামিটে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রীর ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি কে এম শাখাওয়াত মুন সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে বলেন, বৈঠকে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় গৃহহীনদের ঘর নির্মাণে ৩৬টি ব্যাংক মোট ১১৩ দশমিক ২৫ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের অধিকাংশ গৃহহীন ও ভূমিহীন মানুষকে ইতোমধ্যেই ঘর দেয়া হয়েছে এবং বাকিরাও আবাস পাবে।
তিনি আরও বলেন, যারা আশ্রয়ণ বাড়ি পেয়েছেন তাদের হাসি ও তৃপ্তির চেয়ে বড় কিছু হতে পারে না।
তিনি বলেন, দুই দশমিক জমিতে আশ্রয়ণ বাড়ি পাওয়া অনেকেই সেখানে সবজি চাষ, মুরগি পালন, কুটির শিল্প ও দোকান খুলছেন।
তিনি বলেন, ‘তারা (স্বাভাবিক) জীবিকা নির্বাহের পথ খুঁজে পাচ্ছে।’
ভূমিহীন ও গৃহহীনদের ঘর নির্মাণে সচ্ছল অংশকে এগিয়ে আসতে বলেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, শুধু সরকার নয়, আমরা সবাই মিলে দেশকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাব।
প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অনুদান প্রদানের জন্য বিএবি ও ব্যাংকারদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘আমার আপনাদেরকে (সহায়তা দেয়ার জন্য) বলারও দরকার নেই। আপনারা সবাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে এগিয়ে আসেন এবং যেকোনো দুর্যোগ ও সংকটের সময় সাহায্য করেন।
বেসরকারি খাতে ব্যাংক খোলার জন্য তার সরকারের উদ্যোগের দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ করে তিনি বলেন, বেসরকারি ব্যাংক প্রতিষ্ঠার ফলে তিন লাখ গ্র্যাজুয়েটের কর্মসংস্থান হয়েছে। ‘এটি একটি বড় বিষয়।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট সব দুর্যোগ কাটিয়ে দেশ সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে।
বিশ্ব অর্থনীতিতে কোভিড-১৯ মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘অন্যান্য দেশের মতো আমরা বড় সমস্যায় নেই। আমরা এটা কাটিয়ে উঠছি।’
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জেল হোসেন মিয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিএবি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার।
আরও পড়ুন: আ. লীগ সব সময় জাতির কাছে দেয়া নির্বাচনী অঙ্গীকার পূরণ করে: প্রধানমন্ত্রী
‘আইডিএফ গ্লোবাল অ্যাম্বাসেডর ফর ডায়াবেটিস’ পদক পেলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
১ বছর আগে
আ.লীগ নেতারা ছিন্নমূল থেকে বিত্তশালী হয়েছে: ফখরুল
ব্যক্তিগত আক্রমণ করার জন্য ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে নিন্দা জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ নেতারা কীভাবে ছিন্নমূল থেকে বিত্তশালী হয়েছে তা জনগণ ভালো করেই জানে।
রবিবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, দলের অনেক নেতা নিজের উপার্জনে কিংবা পৈতৃক সম্পত্তি বিক্রি করে রাজনীতি করছেন।
বিএনপি নেতা অভিযোগ করেন, কাদের শনিবার সব ধরনের নৈতিকতার ঊর্ধ্বে গিয়ে তাকে নিয়ে কিছু আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন।
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘তিনি (কাদের) আমাকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করেছিলেন এবং বলেছিলেন যে আমরা দুবাই থেকে টাকা পাই এবং আমি টাকা নিয়ে মিথ্যা বলছি। আমি ওবায়দুল কাদেরকে বলতে চাই, আমাদের বেশি চাপ দেবেন না। কেঁচো খুড়তে সাপ বেরিয়ে আসতে পারে।’
আরও পড়ুন: পায়রা সমুদ্রবন্দরে রিজার্ভের টাকা কীভাবে খরচ হয়েছে ব্যাখ্যা করুন: সরকারের উদ্দেশে ফখরুল
ফখরুল বলেন, বাংলাদেশের সবাই জানে আওয়ামী লীগ নেতারা কী করে এবং কীভাবে অর্থ উপার্জন করে। ‘বাংলাদেশ সৃষ্টির পর থেকে আপনারা কী করছেন,তা এদেশের মানুষ জানে। রাতারাতি ছিন্নমূল থেকে বিত্তশালী বনে যাচ্ছেন।’
তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের মধ্যে কারা কানাডা,সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম তৈরি করছে এবং কারা নানাভাবে বিদেশে টাকা পাচার করছে তার সব তথ্য বাংলাদেশের জনগণের কাছে আছে।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই নেতা কটাক্ষ করে বলেন, ‘আমরাও জানি আমেরিকায় কে কত ব্যাংকের মালিক, আর কে কত ঘর বানিয়েছে...এটা এদেশের করদাতার টাকা। আপনারা সেই টাকা লুটপাট করছেন।’
ফখরুল বলেন, একটি বড় দলের মহাসচিব তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে অশালীনভাবে ব্যক্তিগত আক্রমণ করা খুবই দুঃখজনক। ‘আপনি যদি ব্যক্তিগত পর্যায়ে আক্রমণ করেন তবে আপনি এটি মোকাবিলা করতে পারবেন না। আপনি কীভাবে জনগণের টাকা লুট করেছেন তার তথ্য একদিন প্রকাশিত হবে।’
এর আগে শনিবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগর এলাকায় ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিল উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে ওবায়দুল কাদের অভিযোগ করেন, মির্জা ফখরুল সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে বিদেশ থেকে তহবিল পাচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন,ফখরুল দুবাই থেকে টাকা নিচ্ছেন বলে আমরা তথ্য পেয়েছি।
আরও পড়ুন: বিএনপির এমপিরা পদত্যাগ করতে প্রস্তুত; বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের জন্য সরকারকে ক্ষমতা ছাড়তে হবে: ফখরুল
কাদেরের অভিযোগকে নস্যাৎ করে ফখরুল বলেন, আমরা পৈতৃক সম্পত্তি বিক্রি করে রাজনীতি করি। আমরা কারও টাকা নিয়ে রাজনীতি করি না। আমাদের দলের লোক এবং আমাদের প্রত্যেক সদস্য আমাদের সমাবেশ করার জন্য তাদের নিজস্ব অর্থ দিচ্ছেন। এটাই আমাদের বৈশিষ্ট্য।’
রংপুরে বিএনপির সমাবেশের চেয়ে তাদের শনিবারের সমাবেশ অনেক বড় বলে মন্তব্য করে আ.লীগ সাধারণ সম্পাদকের সমালোচনা করে তিনি বলেন,‘ক্ষমতাসীন দল যানবাহনে ও জনগণের টাকা ব্যবহার করে তাদের কর্মসূচিতে লোক এনেছে, কিন্তু অনুষ্ঠানস্থলে রাখা ২২ হাজার চেয়ার পূরণ করতে পারেনি। তাহলে আপনারাই নির্ধারণ করুন কত লোক সেখানে জড়ো হয়েছিল।’
ক্ষমতাসীন দল এত শক্তিশালী হলে বিএনপির সমাবেশে বাধা দিতে কেন ক্ষমতাসীন দল পরিবহন বন্ধ করে এবং বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালাতে দলীয় ক্যাডারদের লেলিয়ে দেয়, সে বিষয়েও প্রশ্ন তোলেন ফখরুল।
আরও পড়ুন: পরিবহন ধর্মঘট উপেক্ষা, রংপুরে বিএনপির সমাবেশ শুরু
২ বছর আগে