জুবাইদা
তারেক ও জুবাইদার বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলা: চার্জ শুনানি ৯ এপ্রিল পর্যন্ত মুলতবি
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও তাদের হলফনামায় তথ্য গোপনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলার শুনানি আগামী ৯ এপ্রিল পর্যন্ত মূলতবি করেছেন আদালত।
বুধবার ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. আসাদুজ্জামান নতুন এ তারিখ ধার্য করেন।
আরও পড়ুন: তারেক-জোবাইদার গ্রেপ্তারি পরোয়ানার সঙ্গে সরকারের কোনো সম্পর্ক নেই: কাদের
এর আগে ২০২২ সালের ০১ নভেম্বর দুর্নীতি মামলায় তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জুবাইদার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে ঢাকার আদালত।
২৬ জুন হাইকোর্ট বিচারিক আদালতকে মামলাটি যত দ্রুত সম্ভব নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন।
হাইকোর্ট তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলাকে চ্যালেঞ্জ করে দম্পতির রিট পিটিশনও খারিজ করেছে।
তারা উভয়েই পলাতক থাকায় এগুলো গ্রহণযোগ্য নয় বলে আদালত রিট আবেদন খারিজ করে দেন।
তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার বিচার কার্যক্রমের ওপর দেয়া স্থগিতাদেশও প্রত্যাহার করেছেন আদালত।
২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর তারেক রহমান, জুবাইদা ও তার মা ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে ৪ কোটি ৮১ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের অভিযোগে কাফরুল থানায় অভিযোগ দায়ের করে দুদক।
একই বছর জুবাইদার আবেদনের শুনানি নিয়ে মামলার বিচার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
হাইকোর্ট ২০১৭ সালে এই নিয়ম প্রত্যাখ্যান করে এবং তাকে আট সপ্তাহের মধ্যে আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলেন।
আরও পড়ুন: তারেক-জোবায়দাকে আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির নির্দেশ
দুদকের মামলায় তারেক-জোবায়দার সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দিল আদালত
১ বছর আগে
তারেক-জোবাইদার গ্রেপ্তারি পরোয়ানার সঙ্গে সরকারের কোনো সম্পর্ক নেই: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার সঙ্গে সরকারের কোনো সম্পর্ক নেই।
তিনি বলেন, ‘সবকিছুতে সরকারের দোষ খোঁজা আর দায় চাপানো বিএনপির চিরকালের অভাস ও সংস্কৃতি। দুদকের দায়ের করা দুর্নীতির মামলায় তারেক ও জুবাইদার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। এটি একটি আইনি প্রক্রিয়া, সরকার হস্তক্ষেপ করেনি।’
আরও পড়ুন: বিএনপি ক্ষমতায় এলে গোটা দেশ গ্রাস করবে: কাদের
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরকারের ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসা’র অংশ হিসেবে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করার একদিন পর বুধবার ঢাকার সেতু ভবনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন যে সরকার বিরোধীদলকে দমন করার জন্য ‘মিথ্যা’ মামলাকে রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে এবং দেশে বিরাজনীতিকরণের ক্ষেত্র তৈরি করছে।
কাদের বলেন, এ ব্যাপারে দুদক স্বাধীন ভূমিকা পালন করায় ক্ষমতাসীন দলের অনেকের বিরুদ্ধে দুদক মামলাও করছে এবং কয়েকজনের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে।
জিয়া পরিবার নিয়ে সরকার ‘নার্ভাস’ বলে বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় কাদের বলেন, জিয়া পরিবারের দুঃশাসন ও দুর্নীতির ইতিহাস সবার জানা।
তিনি আরও বলেন, দুর্নীতি, লুটপাট ও অপকর্মের দায়ে বিএনপির এক নেতা এখন নির্বাসিত। দেশে ফেরার সাহস তার নেই।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না কিন্তু বিএনপি এই ধারার প্রবর্তক। ১৫ আগস্টের গণহত্যা ও গ্রেনেড হামলাকে উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: বিএনপিকে নিয়ে বিপদে আছে দেশের মানুষ: ওবায়দুল কাদের
বিএনপির সমাবেশের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি দেয় নি আ.লীগ: কাদের
২ বছর আগে