ভাগ্য পরিবর্তন
জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন করবে এমন সংস্কার চায় বিএনপি: তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বিএনপি এমন রাষ্ট্রীয় সংস্কার চায়, যা দেশের কোটি কোটি মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন এবং তাদের অধিকার নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে।
লন্ডন থেকে এক সমাবেশে ভার্চুয়ালি দেওয়া বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, জাতি এখনও এক সংকটময় সময় পার করছে, কারণ ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরাচারী সরকারের অশুভ প্রেতাত্মারা এখনও দেশের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র করছে।
তারেক বলেন, 'আমরা অনেকেই এখন সংস্কারের কথা শুনি, অনেকে বিভিন্ন সংস্কারের কথা বলছেন। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন এবং এই দেশকে বদলে দিতে বিএনপিই প্রথম সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছিল।’
তিনি বলেন, আমাদের দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ২০১৭ সালে বিএনপির ভিশন-২০৩০ সনদ ঘোষণা করে রাষ্ট্রীয় সংস্কারের রূপরেখা দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: তারেক রহমানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হাইকোর্টে বাতিল
তারেক রহমান বলেন, পরে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের যুগপৎ আন্দোলনে যোগ দেওয়া গণতান্ত্রিক দলগুলোর সঙ্গে পরামর্শ করে রাষ্ট্রীয় সংস্কারের জন্য ৩১ দফা রূপরেখা দিয়ে বিএনপি ২০২৩ সালেও সংস্কার প্রস্তাব উপস্থাপন করেছিল।
তিনি বলেন, ‘এসব সংস্কারের মূল উদ্দেশ্য কী? এটা কি শুধুই সংবিধানের কয়েক লাইন পরিবর্তনের জন্য? অবশ্যই, দেশ পরিচালনায় পরিবর্তিত সময় এবং বর্তমান বিশ্বব্যবস্থার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্য সংস্কার প্রয়োজন। কিন্তু একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমি মনে করি, দেশের কোটি কোটি সাধারণ মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করা এবং দেশে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সংস্কার হওয়া উচিত।’
একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে বিএনপির এই নেতা মনে করেন, সংবিধানের শুধু কয়েকটি লাইন পরিবর্তন করাই সংস্কার নয়।
বিএনপির প্রয়াত মন্ত্রী ও স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলামের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) যশোর টাউন হল মাঠে এ সমাবেশের আয়োজন করে বিএনপি।
তারেক রহমান বলেন, বিএনপির ৩১ দফা রাষ্ট্রীয় সংস্কার প্রস্তাবে সুস্পষ্টভাবে দেশের গুণগত পরিবর্তন নিশ্চিত করতে এবং জনগণের ভাগ্যোন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার কার্যক্রমের রূপরেখা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমি এক বাক্যে সংস্কারের কথা বলছি, যা মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করবে, বেকারদের কর্মসংস্থান আনবে, নারীর স্বাধীনতা ও অধিকার নিশ্চিত করবে, জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে, আমাদের সন্তানদের উন্নত শিক্ষা নিশ্চিত করবে এবং জনগণকে ন্যূনতম স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করবে।’
তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পরও দেশ এখনো সংকটময় সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘স্বৈরাচারী সরকারের পতন ও তার প্রধান দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেও তাদের প্রেতাত্মারা রয়ে গেছে সমাজে, প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায়। সেখান থেকে এখনো নানা ষড়যন্ত্রের বীজ বপনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। আমি এটাকে ক্রান্তিলিক সময় বলছি।’
বিশেষ করে জাতির এই দুঃসময়ে তরিকুল ইসলামের মতো একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের অনুপস্থিতির অনুভূতিও ব্যক্ত করেন তারেক।
তারেক বলেন, ‘তরিকুল ইসলামের মতো এখন যদি কেউ বেঁচে থাকতেন, তাহলে তিনি আমাকে মূল্যবান ও গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিতে পারতেন, যা দেশ ও দল উভয়ের কল্যাণে অবদান রাখত।’
আরও পড়ুন: সাংবিধানিক বিষয়ে তাড়াহুড়ো করা উচিৎ নয়: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে তারেক
২ সপ্তাহ আগে
কুড়িগ্রামে দুর্গম চরাঞ্চলে তরমুজ চাষ, ভাগ্য পরিবর্তনের আশা
কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র নদের দুর্গম চরাঞ্চলে শুরু হয়েছে তরমুজের চাষ। গত বছর থেকে পরীক্ষামূলকভাবে তরমুজ চাষ শুরু হলেও এবার এগিয়ে এসেছেন অনেক কৃষক। ফলনও হয়েছে আশানুরূপ।
এ বছর আগাম বন্যা না হলে দ্বিগুণ লাভের আশা করছেন কৃষকরা। তবে বাজার বিপণনে সরকার এগিয়ে আসলে এবং আর্থিক ব্যাংকগুলো সহজ কিস্তিতে ঋণ ব্যবস্থা করলে চরের বালু মাটিতে ফলবে সোনা; পাল্টে যাবে চরাঞ্চলের মানুষের দুঃখ-দুর্দশা – এমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট সবাই।
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, জেলায় ১৬টি নদ-নদীতে রয়েছে প্রায় সাড়ে চার শতাধিক চর। আবাদযোগ্য জমি রয়েছে প্রায় ৪৫ হাজার হেক্টর। এর মধ্যে ৩৬৮টি চরে ৩৫ হাজার হেক্টর জমিতে চাষাবাদ শুরু করেছে কৃষকরা। এ সব চরাঞ্চলে ভুট্টা, তরমুজ, মিষ্টি কুমড়া, শসা ও মরিচ চাষ করা হয়েছে।
গত বছর জেলার উলিপুর উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নের চর বাগুয়া গ্রামে ৫০ একর জমিতে তরমুজ আবাদ করা হয়। আগাম বন্যায় ৪০ একর ফসল নিমজ্জিত হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তারপরও দমিয়ে যাননি কৃষকরা। এ বছর চরে ৩৪ হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ করা হয়েছে। তরমুজ উত্তোলনও শুরু করেছেন কৃষকরা। আবহাওয়া অনুকূল থাকায় ফলনও হয়েছে আশানুরূপ। ফলে গত বছরের ক্ষতি কাটিয়ে এবার ভালো লাভের আশা করছেন তারা।
তবে চরে বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদের জন্য সবচেয়ে বড় বাধা হল বাজার বিপণন ব্যবস্থাপনা। এছাড়াও আর্থিক ব্যাংকগুলো সাধারণ কৃষককে ঋণ প্রদান না করায় ইচ্ছে থাকা সত্বেও অনেক কৃষক এসব ফসল চাষাবাদ করতে না পেরে জমি ফেলে রেখেছেন।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে বোরো আবাদ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে
বাগুয়া চরের দছিম উদ্দিন বলেন, ‘এই চরে তিনজন উদ্যোক্তা কৃষক ৪০ একর জমিতে তরমুজ চাষ করেছেন। ব্যাংক থেকে বড় অংকের ঋণ পাওয়ায় তারা ব্যাপক আকারে চাষ করার সুযোগ পেয়েছেন। তাদের চাষাবাদ দেখে এখানকার অনেক কৃষক আগ্রহী হয়ে উঠলেও অর্থনৈতিক কারণে তারা এগিয়ে আসতে পারছে না।’
তরমুজ চাষি আব্দুর সবুর জানান, গতবছর পরীক্ষামূলকভাবে তরমুজ চাষ করলেও আগাম বন্যায় তরমুজ খেত ভেসে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি। এ বছর আগাম ১৪ একর জমিতে তরমুজ চাষ করেছি। এতে আমার ছয় থেকে সাত লাখ টাকা খরচ হয়েছে। আশা করছি ২০ হাজার তরমুজ উঠাতে পারব। এতে আমার ছয় থেকে সাত লাখ টাকা বাড়তি আয় হবে। তবে বড় সমস্যার জায়গা হলো তরমুজ বিপণন। পাইকাররা এখানে এসে কমমূল্যে তরমুজ কিনে নিয়ে যায়। আমরা শহরে নিয়ে গিয়ে তরমুজ বিক্রি করতে পারলে আরও বেশি লাভবান হতাম। এতে আরও কৃষক তরমুজ চাষে এগিয়ে আসতো।
এই কৃষক আরও জানান, পৌষ মাসের শুরুতে তরমুজের বীজ বপন করতে হবে। চার মাস পর চৈত্র মাসের মাঝামাঝি সময়ে তরমুজ উত্তোলন করা যায়। তরমুজ চাষে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। বালু জমিতে ১০ ইঞ্চি বাই ১০ ইঞ্চি স্কোয়ারে দেড় ফুট গর্ত করে গর্তের মধ্যে কিছু দোআঁশ মাটি, গোবর সার ও ডিএসপি দিতে হয়। প্রতি গর্তে ৪০ গ্রাম দিলেই হবে। এভাবে এক সপ্তাহ রাখার পর একটি গর্তে তিনটি করে বীজ বপন করা হয়। এছাড়াও নিয়মিতভাবে পোকামাকড় ও ইঁদুরের আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে পরিচর্চা ও কীটনাশক স্প্রে করতে হবে।
বিষয়টি নিয়ে হাতিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল হোসেন মাস্টার জানান, বর্তমানে চরাঞ্চলে স্থানীয় উদ্যোক্তারা বিভিন্ন কৃষিজ পণ্য চাষাবাদে আগহী হয়ে উঠেছে। অর্থনৈতিক সমস্যার কারণে বাকি কৃষকরা এগিয়ে আসতে পারছে। এক্ষেত্রে আর্থিক ব্যাংক, জিও ও এনজিওরা এগিয়ে আসলে চরের পতিত জমিতে সোনা ফলানো সম্ভব।
এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের অতিরিক্ত উপপরিচালক (শষ্য) মো. আজিজুল ইসলাম জানান, গত বছর থেকে এ জেলায় তরমুজের আবাদ শুরু হয়েছে। এ বছর ২২ হাজার হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ হয়েছে। বিপণনে কৃষকরা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় এজন্য চরাঞ্চলে কালেকশন সেন্টার করার চিন্তা-ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে রমজান উপলক্ষে বাজারে আগাম তরমুজ, দাম আকাশচুম্বী
১ বছর আগে
মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে সরকারি কর্মকর্তাদের নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার নবনিযুক্ত সরকারি কর্মচারীদের একটি দলকে জনগণের জীবন পরিবর্তনে আত্মনিয়োগ করতে বলেছেন।
তিনি বলেন, ‘সবাইকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হতে হবে, দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে নিজেদের নিয়োজিত করতে হবে।’
বুধবার রাজধানীর শাহবাগে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যাকাডেমিতে ১২৪তম, ১২৫তম ও ১২৬তম আইন ও প্রশাসন প্রশিক্ষণ কোর্সের সার্টিফিকেট প্রদান ও সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি তাদেরকে ‘জনসাধারণের সেবক’ হিসাবে নিজেদের পরিচয় দিতেও নির্দেশ দেন।
তিনি বলেন, আমি চাই দেশকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিতে আপনারা জনগণের সেবা করবেন।
তিনি তাদের স্মরণ করিয়ে দেন যে একটি দেশকে জনকল্যাণমূলক কর্মসূচি গ্রহনের পাশাপাশি একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে যোগাযোগ অবকাঠামো, স্বাস্থ্য, কৃষি, শিক্ষা ও বিদ্যুৎ ব্যবস্থার উন্নয়নে মনোনিবেশ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি আমাদের নতুন অফিসাররা সেই অনুযায়ী কাজ করবেন।’
প্রধানমন্ত্রী নতুন কর্মকর্তাদেরকে ২০৪১ সালের পরিবর্তিত পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত হতে বলেছেন। কেননা সরকার ওই সময়ের মধ্যে দেশকে একটি উন্নত দেশে রূপান্তর করার সময়সীমা নির্ধারণ করেছে।
তিনি বলেন, ‘প্রশাসনের নতুন কর্মকর্তাদের ওপর অনেক কিছুই নির্ভর করে এবং তাদের যথাযথ পরিকল্পনা নিয়ে অগ্রসর হতে হবে।’
প্রশাসনের নতুন কর্মকর্তাদের সাধারণ মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করার সুযোগ রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তার সরকার দেশের তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দেয়।
১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধুর দেয়া ভাষণের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণকে সেবা দেয়ার জন্য সরকারি কর্মকর্তাদেরকে নিজেদেরকে নিবেদিত করতে হবে এবং সর্বোপরি জাতীয় স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।
তিনি উল্লেখ করেন যে সরকারি কর্মকর্তাদের দেশপ্রেম ও আত্মমর্যাদাবোধ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
শেখ হাসিনা জনগণকে শিক্ষিত করা এবং যুবকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, তার সরকার বেসরকারি খাত উন্মুক্ত করে দিয়েছে।
তিনি বলেন, কোনও জাতি কাঙ্ক্ষিত উন্নতি করতে পারে না, যদি না একটি সমাজে নারী-পুরুষ উভয়ে মিলে অগ্রসর হতে পারে।
কোভিড মহামারি এবং ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের পরে নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী দেশে খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে উৎপাদন বাড়ানোর আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি সত্ত্বেও সরকার দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে সক্ষম হয়েছে।
তবে ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপের অন্যান্য দেশসহ উন্নত বিশ্বের মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় গ্রামীণ জনগণকে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে উৎসাহিত করতে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান তিনি।
তিনি দেশে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প স্থাপনের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
হাসিনা পরিবেশ রক্ষায় দেশব্যাপী পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা এবং চারা রোপণের প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দেন।
গৃহহীন মানুষকে বাড়ি উপহার দেয়ার তার সরকারের পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে একটি পরিবারও গৃহহীন থাকবে না। এটি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল।
তিনি সবাইকে স্মরণ করিয়ে দেন যে পাকিস্তান আমলে সেক্রেটারি জেনারেল ও মেজর জেনারেল পদে কোনো বাঙালি ছিল না, কেবল একজন কর্নেল ছিল।
তিনি বলেন, এখন স্বাধীন বাংলাদেশে সবাই সেই সুযোগ পাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী ১২৪তম, ১২৫তম ও ১২৬তম আইন ও প্রশাসনের ১০৩জন প্রশিক্ষণার্থীর মধ্যে সনদ ও পুরস্কার বিতরণ করেন।
এর আগে তিনি সেখানে বঙ্গবন্ধু অধ্যয়ন কেন্দ্রের ফলক উন্মোচন ও পরিদর্শন করেন। তিনি অ্যাকাডেমিতে তার বক্তব্য সম্বলিত একটি সংকলন বইয়ের মোড়কও উন্মোচন করেন।
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন একাডেমির ওপর একটি ভিডিও ডকুমেন্টারিও প্রদর্শিত হয়
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আলী আজম ও বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন একাডেমির রেক্টর মমিনুর রশিদ আমিন।
২ বছর আগে